
শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর
HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer
শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer : শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer নিয়ে আলোচনা করা হলো। এই শিখন কৌশল (Sikhon Kousol) থেকে যে SAQ ও রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি স্টার মার্ক করা হয়েছে সেগুলো আগামী West Bengal HS Class 12th Twelve XII Education 4th Semester Examination – পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান চতুর্থ সেমিস্টার পরীক্ষার জন্য (VVI) খুব ইম্পর্টেন্ট। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান পরীক্ষাতে এই সাজেশন বা কোশ্চেন শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।
তোমরা যারা শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা এই প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়ো এবং নীচে দেওয়া লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নাও।
| রাজ্য (State) | পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) |
| বোর্ড (Board) | WBCHSE, West Bengal |
| শ্রেণী (Class) | উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণী (WB HS Class 12th) |
| বিষয় (Subject) | দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান (HS Class 12 Education) |
| দ্বিতীয় অধ্যায় (2nd Chapter) | শিখন কৌশল (Sikhon Kousol) |
[দ্বাদশ শ্রেণীর সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নউত্তর Click Here]
শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal WBCHSE HS Class 12th Education Sikhon Kousol 2nd Chapter Question and Answer
সংক্ষিত | শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | WB HS Class 12 Education Sikhon Kousol SAQ Question and Answer:
- ফললাভের সূত্রটি ব্যাখ্যা করো । ***
Ans: ফললাভের সূত্র: এই সূত্রে বলা হয়েছে, একটি উদ্দীপক ও তার প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংশোধনযোগ্য বন্ধন স্থাপিত হলে, সেই সংযোগের ফল যদি প্রাণীর কাছে তৃপ্তিদায়ক হয়, তবে সেই সংযোগ দৃঢ় হবে, আর সেই সংযোগ স্থাপনের ফল প্রাণীর কাছে বিরক্তিকর হলে, সেই সংযোগ শিথিল হবে।
- শিখনের ক্ষেত্রে অনুশীলনের সূত্রটি ব্যাখ্যা করো। ***
Ans: মনোবিদ থর্নডাইক তাঁর প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন তত্ত্বে বলেছেন, উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার বন্ধনকে সুসংহত করতে অনুশীলনের গুরুত্ব আছে। উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে স্থাপিত হওয়া বন্ধন দৃঢ় হয় অনুশীলন বা অভ্যাসের মাধ্যমে। আবার অন্যদিকে অনভ্যাসের জন্য বন্ধন দুর্বল হয়ে যায়। এটিই হল শিখনের ক্ষেত্রে অনুশীলনের সূত্র।
- অনুষঙ্গ কী ? এর তিনটি সূত্র কী কী ? ***
Ans: অনুষঙ্গ: আমাদের অতীত অভিজ্ঞতার বিষয়বস্তুগুলো বিচ্ছিন্ন নয়। এই কারণে পূর্ব অভিজ্ঞতার কোনো একটি বিষয় মনে করতে গেলে, তার সঙ্গে সুসম্পর্কযুক্ত অন্য একটি বিষয় মনে পড়ে যায়। যে যোগসূত্রটি – এই বিষয়ের মধ্যে সমন্বয়সাধন করে থাকে, তাকে অনুষঙ্গ বলে।
প্রধানত অনুষঙ্গের তিনটি সূত্র সাদৃশ্যের সূত্র (Law of – similarity), বৈসাদৃশ্যের সূত্র (Law of Contrast), সান্নিধ্যের সূত্র (Law of Contiguity)।
- প্রচেষ্টা ও ভুল শিখন কৌশলের অর্থ কী ? ***
Ans: প্রচেষ্টা ও ভুল শিখন কৌশলের অর্থ হল উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংযোগস্থাপনের মাধ্যমে শিখন সম্পন্ন হয়। আর এই সংযোগ বা বন্ধন সৃষ্টি হয় প্রচেষ্টা ও ভুল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এক্ষেত্রে বারবার পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে প্রাণীর ভুল প্রচেষ্টাগুলি হ্রাস পেতে থাকে এবং সঠিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে ফলপ্রাপ্তি ঘটে ও শিখন সম্ভব হয়।
- থর্নডাইক কোন কোন প্রাণীর উপর তাঁর প্রচেষ্টা ও ভুল তত্ত্বের প্রয়োগ করেছিলেন ? মনোবিদ থর্নডাইক কোন্ দেশের মানুষ ছিলেন ?
Ans: মনোবিদ থর্নডাইক কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, বাঁদর, মাছ, মুরগি প্রভৃতি প্রাণীর উপর তাঁর প্রচেষ্টা ও ভুল তত্ত্বের প্রয়োগ করেছিলেন।
মনোবিদ থর্নডাইক আমেরিকার মানুষ ছিলেন।
- থর্নডাইকের দেওয়া প্রধান তিনটি সূত্র কী কী ? থর্নডাইকের অনুশীলনের সূত্রকে ক-টি অংশে বিভক্ত করা যায় ? **
Ans: থর্নডাইকের শিখন তত্ত্বের মুখ্য তিনটি সূত্র হল -প্রস্তুতির সূত্র, অনুশীলনের সূত্র, ফললাভের সূত্র।
থর্নডাইকের অনুশীলন সূত্রকে দুটি অংশে বিভক্ত করা যায়। যথা- অভ্যাসের সূত্র এবং অনভ্যাসের সূত্র ।
- থর্নডাইকের শিখনে গৌণ সূত্রের সংখ্যা কটি ও কী কী ? থর্নডাইকের শিখনে ‘S’ ও ‘R’ কী ? **
Ans: থর্নডাইকের শিখনে গৌণ সূত্রের সংখ্যা 5 টি। এগুলি হল -মানসিক প্রস্তুতির সূত্র, বহুমুখী প্রতিক্রিয়ার সূত্র, আংশিক প্রতিক্রিয়ার সূত্র, উপমানের সূত্র এবং অনুষঙ্গমূলক সঞ্চালনের সূত্র।
থর্নডাইকের শিখনে ‘S’ হল Stimulus অর্থাৎ উদ্দীপক এবং ‘R’ হল Response অর্থাৎ প্রতিক্রিয়া।
- শিখনের মানসিক প্রস্তুতির সূত্রটি লেখো । **
Ans: মনোবিদ থর্নডাইক তাঁর শিখনের সূত্রে বলেছেন, উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সার্থক সম্বন্ধ স্থাপন করতে হলে ব্যক্তির মানসিক প্রস্তুতির প্রয়োজন। এই প্রস্তুতি বলতে থর্নডাইক দৈহিক প্রস্তুতির কথা বলেননি।
- শ্রেণিকক্ষে থর্নডাইকের ফললাভের সূত্রের প্রয়োগ লেখো । ***
Ans: উপযুক্ত ফললাভ ছাড়া শিখন বাধাপ্রাপ্ত হয়। দেখা যায় যে, তৃপ্তিদায়ক অনুভূতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্জনে সহায়তা করে এবং তারা তুলনামূলকভাবে সহজে শিক্ষার্জন করতে সমর্থ হয়। সেইজন্য শ্রেণিকক্ষকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, যাতে পাঠ্যবস্তু শিক্ষণ পদ্ধতি এবং পরিস্থিতি শিক্ষার্থীর প্রত্যাশা অনুযায়ী আনন্দদায়ক হয়।
- থর্নডাইকের দেওয়া ব্যবহারের সূত্রটি লেখো ।
Ans: ব্যবহারের সূত্র: থর্নডাইকের দেওয়া ব্যবহারের সূত্রে বলা হয়েছে, যখন সবকিছুই ঠিক থাকে, তখন উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার সংযোগস্থাপনের পর যদি বারবার অনুশীলন করা হয়, তখন সংযোগের শক্তি বাড়বে এবং শিখন শক্তিশালী হবে।
- শিখনের ক্ষেত্রে অনুশীলনের অব্যবহারের সূত্রটি লেখো । ***
Ans: অব্যবহারের সূত্র: শিখনের ক্ষেত্রে অনুশীলনের অব্যবহারের সূত্রটি হল- যখন উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংশোধনযোগ্য বন্ধন দীর্ঘ সময় ধরে তৈরি করা হয় না, তখন বন্ধনের শক্তি হ্রাস পায়।
- প্রচেষ্টা ও ভুল শিখন কৌশলের যে-কোনো দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো ।
Ans: প্রচেষ্টা ও ভুল শিখন কৌশলের বৈশিষ্ট্যগুলি হল —
(ক) শিক্ষার্থীর আত্মসক্রিয়তা: কোনো সমস্যাসমাধান করতে হলে সর্বপ্রথম প্রয়োজন শিক্ষার্থীর সক্রিয়তা। সমস্যামূলক পরিস্থিতিতে সমাধান খুঁজে পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থী নিজে প্রচেষ্টা করবে এবং এই প্রচেষ্টালব্ধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভুল প্রচেষ্টাগুলিকে ত্যাগ করে সঠিক প্রচেষ্টা বেছে নেবে।
(খ) পুনরাবৃত্তি: সমস্যামূলক পরিস্থিতিতে উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে বারবার সংযোগ করা প্রয়োজন। এই পুনরাবৃত্তি হল প্রচেষ্টা ও ভুল শিখন কৌশলের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
- শিক্ষাক্ষেত্রে প্রচেষ্টা ও ভুলের তত্ত্বের যে-কোনো দুটি গুরুত্ব লেখো ।
Ans: শিক্ষাক্ষেত্রে প্রচেষ্টা ও ভুলের তত্ত্বের গুরুত্বগুলি হল –
(ক) শিক্ষার্থীর প্রস্তুতি: পাঠ্যবিষয় আয়ত্ত করার জন্য শিক্ষার্থীর দৈহিক, মানসিক ও প্রাক্ষোভিক প্রস্তুতির উপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
অনুবন্ধের নীতি অনুসরণ: শিক্ষার্থীর পাঠের বিষয়টি উদ্ভূত জ্ঞানের ভিত্তিতে বিন্যাস করতে হবে। যাতে শিখন প্রক্রিয়া সাবলীল গতিতে এগিয়ে যেতে পারে।
- সুপ্ত শিখন বা Latent Learning বলতে কী বোঝো ?
Ans: Talman এর মতে, শিখন প্রক্রিয়ায় অনেকক্ষেত্রেই কোনোরকম পুরস্কার ছাড়াই শিখন ঘটে। এ প্রসঙ্গে তাঁর Maze Learning-এর পরীক্ষা উল্লেখযোগ্য। তিনি এগুলিকেই সুপ্ত শিখন বা Latent Learning বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক দুঃখজনক ঘটনাকে আমরা ভুলতে পারি না।
- গেস্টান্ট মতবাদ বা সমগ্রতাবাদ কাকে বলে ?
Ans: গেস্টান্ট একটি জার্মান শব্দ। এর অর্থ হল অবয়ব বা সামগ্রিক আকার, প্যাটার্ন, সংগঠন, সমগ্রতা ইত্যাদি। প্রাণী কীভাবে শেখে, তা নিয়ে বিভিন্ন মনোবিজ্ঞানী বিভিন্ন শিখন তত্ত্বের উদ্ভাবন করেছেন। শিখনের যে তত্ত্বের মাধ্যমে আমরা অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন কৌশল ও শিখনে সমগ্রতার তত্ত্ব জানতে পারি, তাকে বলা হয় গেস্টাল্ট মতবাদ।
- অন্তর্দৃষ্টি (Insight) কাকে বলে ?
Ans: সমস্যামূলক পরিস্থিতির সামগ্রিক রূপ উপলব্ধি হওয়ার ফলেই প্রাণীরা সমস্যাসমাধান করতে পারে। এই উপলব্ধি হঠাৎ শিক্ষার্থীর মধ্যে আসে। সমস্যামূলক পরিস্থিতির সামগ্রিকতার হঠাৎ এই প্রত্যক্ষণকে গেস্টাল্ট মনোবিদগণ বলেছেন অন্তর্দৃষ্টি (Insight) |
- গেস্টাল্ট মতবাদে বিশ্বাসী মনোবিজ্ঞানীদের নাম লেখো।
Ans: গেস্টাল্ট মতবাদে বিশ্বাসী মনোবিজ্ঞানীরা হলেন কোহলার (Kohler), কঙ্কা (Koffka) এবং ওয়ারদাইমার (Wertheimer)। KKW School: গেস্টাল্ট মতবাদের প্রবর্তক হলেন মনোবিজ্ঞানী কোহলার, কক্কা ও ওয়ারদাইমার। যাঁদের একসঙ্গে KKW বলেও উল্লেখ করা হয়। তাই এই মনোবিজ্ঞানীদের প্রদত্ত মতবাদকে KKW School-ও বলা হয়ে থাকে।
- অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন কী ?
Ans: গেস্টাল্টবাদীদের মতে, শিখনের ক্ষেত্রে পৃথক্করণ এবং সামান্যীকরণ-এই দুটি মানসিক বৈশিষ্ট্যের দ্বারা যে-কোনো শিখন ঘটে। সমস্যামূলক পরিস্থিতিতে প্রাণী হঠাৎ করে যে উপলব্ধির মাধ্যমে সমস্যার সামগ্রিক রূপ প্রত্যক্ষণ করে তাকে বলে অন্তর্দৃষ্টি। এই অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে সমস্যার সামগ্রিক রূপ প্রত্যক্ষণ করেও শিখন সম্ভব হয়। একেই বলে অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন।
- গেস্টাল্ট মতবাদে ‘অন্তর্দৃষ্টি শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয় ?
Ans: শিক্ষার্থী শিখন সমস্যার সমগ্র রূপটি যখন পূর্ণভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং তৎক্ষণাৎ তার কাছে অংশগুলির মধ্যে সমগ্র সমস্যাটি সম্বন্ধে পরিপূর্ণভাবে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে, তখন তাকে অন্তর্দৃষ্টি বলে।
- অর্থপূর্ণ শিখনের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো ।
Ans: অর্থপূর্ণ শিখনের বৈশিষ্ট্যগুলি হল – (ক) অর্থপূর্ণ ভাষাভিত্তিক শিখনের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা সংরক্ষণে সাহায্য করা হয়। (খ) পূর্ব অভিজ্ঞতার সঙ্গে ধারণার সংযুক্তিকরণ ঘটে।
- অর্থপূর্ণ শিখনে শিক্ষকের দুটি ভূমিকা লেখো ।
Ans: অর্থপূর্ণ শিখনে শিক্ষকের দুটি ভূমিকা হল – এর সাহায্যে শিক্ষক যতটা সম্ভব বেশি পরিমাণ তথ্য শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।
শিক্ষক পাঠের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করবেন ও শিক্ষার্থীদের পাঠে মনোযোগী করে তুলবেন।
- অর্থপূর্ণ শিখনে শিক্ষার্থীর দুটি ভূমিকা লেখো ।
Ans: অর্থপূর্ণ শিখনে শিক্ষার্থীর দুটি ভূমিকা হল – বোঝার ক্ষেত্রে অসুবিধা হলে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করবে। পাঠগ্রহণের সময় সক্রিয় থাকবে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীরা
- ZPD বলতে কী বোঝো ?
Ans: ZPD বলতে ভাইগটস্কি বুঝিয়েছেন-একজন শিক্ষার্থী স্বাধীনভাবে নিজে নিজে কী জ্ঞান অর্জন করেছে এবং নির্দেশনা পাওয়ার পর কী জ্ঞান অর্জন করেছে তার পার্থক্য। অর্থাৎ যে ব্যক্তি একা একা যা শেখে এবং অন্যের সহযোগিতার মাধ্যমে যা শিখতে পারে তার অন্তর বা ব্যবধান হল ZPD বা Zone of Proximal Development !
- শিখন তত্ত্ব বা শিখন কৌশল বলতে কী বোঝো ? শিখনের যে-কোনো দুটি কৌশল উল্লেখ করো । ***
Ans: যে পদ্ধতিতে শিখন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাকে ‘শিখন তত্ত্ব’ বা শিখন কৌশল বলা হয়।
শিখনের বিভিন্ন কৌশলের মধ্যে মনোবিদগণ দুটি কৌশলকে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন – অনুবর্তন এবং সমস্যাসমাধানমূলক কৌশল ।
- অনুবর্তনের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো । ***
Ans: অনুবর্তনের উল্লেখযোগ্য দুটি বৈশিষ্ট্য হল – এই প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম উদ্দীপকের সাহায্যে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় প্রাণীর আচরণের প্রকৃতি অনুশীলন করা হয়।
- অনুবর্তন প্রক্রিয়ায় পুনঃসংযোজন কী ? প্রাচীন অনুবর্তনের আবিষ্কারক কে ?
Ans: পুনঃসংযোজন: অনুবর্তন প্রক্রিয়াকে সচল রাখার জন্য মাঝে মাঝে পূর্ব পরীক্ষা মতো তার পুনরাবৃত্তি করতে হয়। একেই পুনঃসংযোজন বলে।
প্রাচীন অনুবর্তনের আবিষ্কারক হলেন রাশিয়ান শারীরতত্ত্ববিদ আইভান প্যাভলভ।
- শিক্ষাক্ষেত্রে অনুবর্তন নীতির তিনটি প্রয়োগ বা শিক্ষামূলক তাৎপর্য লেখো । ***
Ans: শিক্ষাক্ষেত্রে অনুবর্তন নীতির প্রয়োগের মাধ্যমে – (ক) শিশুর কু-অভ্যাস দূর করা যায় এবং সু-অভ্যাস গঠন করা যায়, (খ) শিশু বিভিন্ন শব্দ ও শব্দের সাহায্যে বস্তুর নাম শিখতে পারে । (গ) ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে অনুবর্তন প্রক্রিয়াকে কাজে লাগানো যায় ।
- প্রাচীন অনুবর্তন কী ?
Ans: প্যাভলভের মতে, যদি কোনো স্বাভাবিক উদ্দীপকের সঙ্গে কৃত্রিম উদ্দীপক বারবার উপস্থিত করা যায়, তাহলে ওই কৃত্রিম উদ্দীপক এক সময় স্বাভাবিকের মতো প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারবে।
- প্যাভলভের পরীক্ষাটি কেমন ছিল-তা সংক্ষেপে লেখো ।
Ans: প্যাভলভ কুকুরকে ঘণ্টাধ্বনি ও খাদ্য দিয়ে পরীক্ষা করে দেখিয়েছেন, বারবার একসঙ্গে ঘণ্টাধ্বনি ও খাদ্য দিলে কুকুরের যে লালাক্ষরণ হচ্ছে, তা একসময় খাদ্য ছাড়া শুধু ঘণ্টাধ্বনি দিলেই লালাক্ষরণ হচ্ছে। এখানে ঘণ্টাধ্বনি কৃত্রিম উদ্দীপক এবং খাদ্য স্বাভাবিক উদ্দীপকের মতো কাজ করছে।
- অনাবর্তিত উদ্দীপক কাকে বলে ? অনুবর্তিত উদ্দীপক কী ?
Ans: অনাবর্তিত উদ্দীপক: স্বাভাবিক উদ্দীপকের সঙ্গে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার সম্বন্ধকেই অনাবর্তিত উদ্দীপক বলা হয়। প্যাভলভের পরীক্ষার খাদ্যবস্তু হল অনাবর্তিত উদ্দীপক।
অনুবর্তিত উদ্দীপক: কৃত্রিম উদ্দীপকের (ঘণ্টাধ্বনি) সঙ্গে যখন স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াটি (লালা নিঃসরণ) অনুবর্তিত হয়, তখন ওই কৃত্রিম উদ্দীপকটিকে অনুবর্তিত উদ্দীপক বলা হয়।
- অনুবর্তিত প্রতিক্রিয়া বা Conditioned Response কী ? প্যাভলভের প্রাচীন অনুবর্তনে CS বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
Ans: অনুবর্তিত প্রতিক্রিয়া: প্রাণীর শিখনের ক্ষেত্রে বিকল্প উদ্দীপকের সাহায্যে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে, তাকে অনুবর্তিত প্রতিক্রিয়া বলে। প্যাভলভের প্রাচীন অনুবর্তনে সাপেক্ষ ও বিকল্প উদ্দীপককে CS বা Conditioned Stimulus বলা হয়েছে। এখানে CS হল ঘণ্টাধ্বনি।
- অপানুবর্তন কী ? প্যাভলভের অনুবর্তনে UR বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? ***
Ans: অপানুবর্তন: অনুবর্তনের পর অনুবর্তিত উদ্দীপকের (ঘণ্টাধ্বনি) পরই যদি স্বাভাবিক উদ্দীপক (খাদ্য) উপস্থাপন না করা হয়, তাহলে অনুবর্তন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে। একেই ‘অপানুবর্তন’ বলে।
প্যাভলভের অনুবর্তনে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াকে UR বা Unconditioned Response বলা হয়েছে। এখানে UR হল সজাগভাব।
- প্রাচীন অনুবর্তন কৌশলের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো ।
Ans: প্রাচীন অনুবর্তনের কৌশলের দুটি বৈশিষ্ট্য হল –
(ক) উদ্দীপকের প্রকৃতি ও প্রতিক্রিয়া: অনুবর্তন হল কোনো অস্বাভাবিক উদ্দীপকের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি। এখানে উদ্দীপকের প্রকৃতির ওপর প্রতিক্রিয়া নির্ভরশীল। যেমন- উদ্দীপক শক্তিশালী হলে প্রতিক্রিয়াও শক্তিশালী হবে।
(খ) অধিক শক্তিশালী স্বাভাবিক উদ্দীপক: প্যাভলভের অনুবর্তনে অনুবর্তিত উদ্দীপকের থেকে স্বাভাবিক উদ্দীপক অধিক শক্তিশালী ছিল। এখানে খাদ্যবস্তু, ঘণ্টাধ্বনি অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী।
- শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তনের দুটি গুরুত্ব লেখো ।
Ans: (ক) শিশুর ভাষার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে (খ) প্রাক্ষোভিক কু-অভ্যাস দূর করে ও সু-অভ্যাস গঠন করে।
- প্রাচীন অনুবর্তন তত্ত্বটি কোন্ ব্যাখ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ? কুকুরের উপর পরীক্ষাটি কে করেছিলেন ?
Ans: প্রাচীন অনুবর্তন তত্ত্বটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শারীরবৃত্তীয় ব্যাখ্যার উপর। কুকুরের উপর পরীক্ষাটি করেছিলেন প্যাভলভ।
- মনোবিদ ড্রেভার (Drever)-এর মতে, সাপেক্ষীকরণ বা অনুবর্তন কী ?
Ans: মনোবিদ ড্রেভার-এর মতে, সাপেক্ষীকরণ বা অনুবর্তন হল সাধারণ বা স্বাভাবিক উদ্দীপকের পরিবর্তে অন্য কোনো বস্তু কিংবা অবস্থাকে উদ্দীপক হিসেবে ব্যবহার করে, একই ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির ধারা।
- অপারেন্ট কী ? অপারেন্ট অনুবর্তন কীসের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে ?
Ans: অপারেন্ট: যে প্রকার আচরণ কোনো নির্দিষ্ট বস্তুধর্মী উদ্দীপকের সাহায্যে ঘটে না, প্রত্যাশামূলক উদ্দীপকের পরিপ্রেক্ষিতেই হয়, তাকেই বলা হয় অপারেন্ট।
অপারেন্ট অনুবর্তন প্রাণীর সক্রিয়তার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
- অপারেন্ট অনুবর্তন কী ? ***
Ans: যে অনুবর্তন প্রক্রিয়ায় প্রাণীর প্রতিক্রিয়ার নির্দিষ্ট কোনো উদ্দীপক থাকে না, যে-কোনো উদ্দীপকের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ার সংযোগ ঘটানো যায়, তাকে সক্রিয় অনুবর্তন বলে। এই অনুবর্তন প্রক্রিয়ায় শক্তিদায়ক উদ্দীপকের বিশেষ প্রভাব লক্ষ করা যায়। এই অনুবর্তনের প্রবক্তা হলেন বিখ্যাত মনোবিদ বি এফ স্কিনার। এই অনুবর্তন প্রক্রিয়া টাইপ । প্রকৃতির বাR type অনুবর্তন প্রকৃতির শিখন।
- স্ক্রিনার বক্স কী ? R-Type আচরণ কাকে বলে?
Ans: স্কিনার বক্স: স্কিনার সক্রিয় অনুবর্তনের পরীক্ষার জন্য নিজের তৈরি যন্ত্রপাতির ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে তিনি একটি বিশেষ ধরনের বাক্স ব্যবহার করেন, যা স্কিনার বক্স (Skinner Box) নামে পরিচিত।
R-Type আচরণ: এখানে R-Type বলতে প্রতিক্রিয়াকে বোঝানো হয়েছে। এই ধরনের অনুবর্তনে কোনো প্রতিক্রিয়া বা আচরণ নির্দিষ্ট উদ্দীপকের প্রভাবে সৃষ্টি হয় না, এটি সক্রিয় অনুবর্তনের অন্তর্গত।
- স্কিনারের মতে, আচরণ কত প্রকার ও কী কী ? ***
Ans: স্কিনারের মতে, আচরণ সাধারণত দুই ধরনের। যথা-
(ক) রেসপনডেন্ট আচরণ : এই আচরণে নির্দিষ্ট উদ্দীপক আছে। যেমন-লালা নিঃসরণের জন্য খাদ্য, চোখের সংকোচনের জন্য উজ্জ্বল আলো ইত্যাদি।
(খ) অপারেন্ট আচরণ : এই আচরণে কোনো নির্দিষ্ট উদ্দীপক নেই। যেমন-কোনো শিক্ষার্থী যদি বানান ভুল কমাতে পারে, তাহলে তাকে পুরস্কার দেওয়া।
- স্কিনারের মতে, প্রবলক (Reinforcer) কী ? স্কিনার তাঁর অপারেন্ট অনুবর্তন সংক্রান্ত রিপোর্ট কত সালে প্রকাশ করেন ?
Ans: প্রবলক: যখন কোনো উদ্দীপক কোনো এক আচরণের সম্ভাব্যতাকে বাড়িয়ে তোলে, তখন সেই উদ্দীপককে বলে প্রবলক। যেমন- পুরস্কার, প্রশংসা ইত্যাদি।
স্কিনার তাঁর অপারেন্ট অনুবর্তন সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেন 1931 সালে।
- প্রবলককে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?
Ans: প্রবলককে দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যথা –
(ক) ধনাত্মক প্রবলক (Positive Reinforcement) : এটি হল একধরনের সুখদায়ক উদ্দীপক, যার উপস্থাপন কোনো আচরণকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যেমন-পুরস্কার, প্রশংসা ধনাত্মক প্রবলকের উদাহরণ।
(খ) ঋণাত্মক প্রবলক (Negative Reinforcement): এটি হল একধরনের অসুখকর প্রবলক, যার বিলোপ কোনো আচরণকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- শিক্ষাক্ষেত্রে সক্রিয় অনুবর্তনের তত্ত্বের দুটি উপযোগিতা উল্লেখ করো ।
উতর – শিক্ষাক্ষেত্রে সক্রিয় অনুবর্তন তত্ত্বের দুটি উপযোগিতা হল –
(ক) পূর্ব প্রস্তুতি: পাঠদানের পূর্বে শিক্ষক মহাশয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাঞ্ছিত আচরণ আনার জন্য তাদের মধ্যে প্রস্তুতি আনবেন।
(খ) শক্তিদায়ক উদ্দীপকের উপস্থাপন: শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সঠিক আচরণের জন্য তাদের শিক্ষক পুরস্কৃত করবেন, যা পরে সঠিক আচরণ করতে শক্তি জোগাবে। এই পুরস্কার শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শক্তিদায়ক উদ্দীপক হিসেবে কাজ করবে।
- শেপিং (Shaping) বা আচরণের রূপদান কী ? ***
Ans: কোনো আচরণ যদি প্রাণীর কাছে দীর্ঘ বা জটিল হয়, সেক্ষেত্রে সমগ্র আচরণকে ছোটো ছোটো অংশে বিভক্ত করে প্রতিটি অংশের সঠিক আচরণের জন্য প্রবলক দেওয়া হয়, তবে দেখা যাবে ধীরে ধীরে সমগ্র আচরণটি করা সম্ভব হচ্ছে। এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় শেপিং।
- রেসপনডেন্ট বলতে কী বোঝানো হয় ? ***
Ans: যে-সমস্ত আচরণের উদ্দীপক পরিস্থিতির সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে বা যে-সমস্ত আচরণকে আমরা নির্দিষ্ট বস্তুধর্মী উদ্দীপকের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারি, সেগুলিকে স্কিনার রেসপনডেন্ট বলেছেন।
স্কিনারের পরীক্ষায় ইঁদুরটি যে আচরণসমূহ সম্পাদন করেছিল, সেগুলি বিশেষ বস্তুধর্মী উদ্দীপক (খাদ্য) দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছিল। তাই ওই আচরণগুলি হল রেসপনডেন্ট আচরণ।
- অপারেন্ট অনুবর্তন কীসের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে ? স্কিনার কত সালে সক্রিয় অনুবর্তনের উপর পরীক্ষানিরীক্ষা করেছিলেন ?
Ans: অপারেন্ট অনুবর্তন প্রাণীর সক্রিয়তার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে ।
স্কিনার 1932 সালে সক্রিয় অনুবর্তনের উপর পরীক্ষানিরীক্ষা করেছিলেন।
- স্কিনারের সক্রিয় অনুবর্তন তত্ত্বে কী ধরনের উদ্দীপকের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ? সক্রিয় আচরণ বলতে কী বোঝো ? ***
Ans: মনোবিদ স্কিনার তাঁর সক্রিয় অনুবর্তন তত্ত্বে ফলপ্রাপ্তি বা পুরস্কার এবং শাস্তিদায়ক উদ্দীপক-এর উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
যে আচরণের ক্ষেত্রে কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্দীপক থাকে না, যে-কোনো উদ্দীপকের প্রভাবেই প্রাণী আচরণ করে, তাকে সক্রিয় আচরণ বলা হয়। যেমন- স্কিনার বক্সের পরীক্ষায় ইঁদুরের খাদ্যগ্রহণ।
- প্রতিক্রিয়ামূলক আচরণ কাকে বলে ? S-type অনুবর্তনের প্রবর্তক কে ?
Ans: প্রতিক্রিয়ামূলক আচরণ: যে-সমস্ত আচরণের উদ্দীপক পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে, সেগুলিকে স্কিনার বলেছেন প্রতিক্রিয়ামূলক আচরণ।
মনোবিদ প্যাভলভ প্রতিক্রিয়ামূলক আচরণ এবং স্বতঃক্রিয়ামূলক আচরণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে S-type অনুবর্তনের প্রবর্তন করেন।
- কোন প্রকার শিখনকে Type-II শিখন বলা হয় ? স্কিনার প্রস্তাবিত সিডিউল কী ?
Ans: সক্রিয় অনুবর্তনের তত্ত্বকে Type-II শিখন বলা হয়।
সিডিউল: মনোবিদ স্কিনার শক্তিদায়ক উদ্দীপককে উপস্থাপন করার জন্য যে চার ধরনের সময় নির্ধারণ করেছেন, সেগুলিকেই সিডিউল বলা হয়।
- স্কিনারের উল্লিখিত সিডিউলগুলির মধ্যে যে-কোনো দুটি সিডিউলের উল্লেখ করো । ***
আনুপাতিক সিডিউল কী?
Ans: নোবিদ স্কিনার উল্লিখিত সিডিউলগুলি হল – সিডিউল এবং সময় অন্তর সিডিউল।
আনুপাতিক সিডিউল: পাঠদানকালে সবসময় সঠিক প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শক্তিদায়ক সত্তা প্রয়োগ না করে কখনো তাড়াতাড়ি বা কখনো কিছুটা সময় নিয়ে শক্তিদায়ক উদ্দীপক প্রয়োগে ভালো ফল পাওয়া যায়। এটিই হল আনুপাতিক সিডিউল।
- শৃঙ্খল প্রক্রিয়া কী ?প্রত্যাশামূলক উদ্দীপকের জন্য যে আচরণ ঘটে, তাকে কী ধরনের আচরণ বলে ?
Ans: শৃঙ্খল প্রক্রিয়া: অপারেন্ট প্রক্রিয়ার পূর্বে প্রতিক্রিয়া পরবর্তী পর্যায়ের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির জন্য উদ্দীপক সৃষ্টি করে। এই প্রক্রিয়াকেই শৃঙ্খল প্রক্রিয়া বলা হয়।
প্রত্যাশামূলক উদ্দীপকের জন্য যে আচরণ ঘটে, তাকে অপারেন্ট আচরণ বলে।
- সমস্যামূলক পরিস্থিতি বলতে কী বোঝো ? সমস্যাসমাধানমূলক শিখন কাকে বলে ?
Ans: সমস্যামূলক পরিস্থিতি: যেসকল শিখন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীর লক্ষ্যপূরণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর চাহিদা এবং লক্ষ্যের মাঝে বাধা সৃষ্টি হয়, তাকেই বলে সমস্যামূলক পরিস্থিতি।
সমস্যাসমাধানমূলক শিখন প্রত্যক্ষভাবে সমস্যাসমাধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর আচরণধারার যে পরিবর্তন প্রক্রিয়া সংগঠিত হয়, তাকেই বলে সমস্যাসমাধানমূলক শিখন।
- থর্নডাইকের প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন কৌশল কী ? পাজল বক্স কী ? ***
Ans: প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন: নিজের প্রচেষ্টায় ভুল প্রতিক্রিয়াগুলিকে বর্জন করে নির্ভুল প্রতিক্রিয়াগুলিকে গ্রহণ করার মাধ্যমে যে শিখন হয়, তাকে থর্নডাইক প্রচেষ্টা ও ভুলের মাধ্যমে শিখন কৌশল বলেছেন।
পাজল বক্স: থর্নডাইক শিখনের সঠিক কৌশল নির্ণয়ের জন্য বিড়াল ও মাছ নিয়ে পরীক্ষা করার সময় বিশেষ একধরনের বক্স ব্যবহার করেছিলেন, ওই বক্সের নাম পাজল বক্স।
- “টাইম কার্ভ” কাকে বলে ? সংযোজনবাদ কোন ধারণার দ্বারা গড়ে উঠেছে ?
Ans: টাইম কার্ভ থর্নডাইক প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন কৌশল পরীক্ষার ফলাফল লেখচিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করেন। পুনরাবৃত্তির সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই লেখ ক্রমশ নীচের দিকে নামতে থাকে। একে ‘টাইম কার্ভ’ বলে।
সংযোজনবাদ অনুষঙ্গবাদের ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত। সংবেদন, প্রত্যক্ষণ, প্রতিরূপ ইত্যাদি বিভিন্ন মানসিক এককের সংযোগের ফলে অনুষঙ্গবাদ গড়ে ওঠে।
রচনাধর্মী | শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | WB HS Class 12 Education Sikhon Kousol Descriptive Question and Answer:
1. থর্নডাইকের শিখনের সূত্রগুলিকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ? থর্নডাইকের শিখনের মুখ্য সূত্রগুলি লেখো । ***
Ans: আমেরিকান মনোবিদ এডওয়ার্ড লি থর্নডাইক (Edward Lee Thorndike) তাঁর শিখনের সূত্রগুলিকে 3 টি মুখ্য সূত্র ও 5 টি গৌণ সূত্রে ভাগ করেছেন। সূত্রগুলি হল-
(ক) মুখ্য সূত্র : মুখ্য সূত্রগুলি হল –
(১) প্রস্তুতির সূত্র (২) অনুশীলনের সূত্র (৩) ফললাভের সূত্র
(খ) গৌণ সূত্র : গৌণ সূত্রগুলি হল –
(১) মানসিক প্রস্তুতির সূত্র
(২) বহুমুখী প্রতিক্রিয়ার সূত্র
(৩) আংশিক প্রতিক্রিয়ার সূত্র
(৪) উপমানের সূত্র
(৫) অনুষঙ্গমূলক সঞ্চালনের সূত্র
থর্নডাইকের শিখনের মুখ্য সূত্র:
(ক) প্রস্তুতির সূত্র : থর্নডাইক শিখনের মুখ্য সূত্রে দৈহিক প্রস্তুতির কথা বলেছেন। তাঁর মতে, উদ্দীপক ও তার উপযোগী প্রতিক্রিয়ার মধ্যে প্রয়োজন। সংযোগস্থাপনের জন্য যদি ব্যক্তি প্রস্তুত থাকে তাহলে সংযোগ স্থাপন করতে দিলে সে তৃপ্তিবোধ করবে। ব্যক্তির যদি প্রস্তুতি না থাকে, সেক্ষেত্রে জোর করে সংযোগস্থাপন করতে দিলে সে বিরক্তিবোধ করবে।
(খ) অনুশীলনের সূত্র : থর্নডাইক উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংযোগস্থাপনের জন্য বারবার অনুশীলন বা চর্চার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। অনুশীলনের সূত্রকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় – ব্যবহারের সূত্র, অব্যবহারের সূত্র।
(১) ব্যবহারের সূত্র (Law of use): ব্যবহারের সূত্রে বলা হয়েছে, যখন সবকিছুই ঠিক থাকে, উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার সংযোগস্থাপনের পর যদি বারবার অনুশীলন করা হয়, তখন সংযোগের শক্তি বাড়বে এবং শিখন শক্তিশালী হবে।
(২) অব্যবহারের সূত্র (Law of Disuse): অব্যবহারের সূত্রে বলা হয়েছে, যখন উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সাফল্যের সঙ্গে সংযোগস্থাপনের পর যদি দীর্ঘদিন অনুশীলন না করা হয়, তখন সেই সংযোগের শক্তি দুর্বল হয়ে পড়বে।
(গ) ফললাভের সূত্র : উদ্দীপক (S) ও প্রতিক্রিয়া -এর সংশোধনযোগ্য সংযোগের ফল যদি শিক্ষার্থীর কাছে সুখকর বা আনন্দদায়ক হয়, তবে সংযোগটি শক্তিশালী হয় অর্থাৎ S-R বন্ধন দৃঢ় হয়। অপরপক্ষে সংযোগের ফল যদি অতৃপ্তিকর বা বিরক্তিকর হয়, তবে সংযোগটি (S-R বন্ধন) দুর্বল হয়।
2. থর্নডাইকের শিখনতত্ত্বে মুখ্য সূত্রগুলির শিক্ষাগত তাৎপর্য লেখো । ***
অথবা, শিক্ষাক্ষেত্রে থর্নভাইকের শিখনতত্ত্বের মুখ্য সূত্রগুলির প্রয়োগ লেখো।
Ans: মুখ্য সূত্রের শিক্ষাগত তাৎপর্য বা প্রয়োগ:
(ক) শ্রেণিকক্ষে অনুশীলন ও একাধিকবার উপস্থাপন: শ্রেণিকক্ষে পাঠদানকালে শিক্ষক-শিক্ষিকারা নতুন ও জটিল অংশগুলি একাধিকবার উপস্থাপন করবেন ও শিক্ষার্থীদের বারবার অনুশীলনের উপর জোর দেবেন।
(খ) অব্যবহারের সচেতনতা ও জানা থেকে অজানা বিষয়ে পাঠদান: অনেকসময় শিক্ষার্থীরা পূর্বে শেখা বিষয়বস্তু দীর্ঘদিন চর্চার অভাবে ভুলে যায়। সেক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকারা মাঝে মাঝেই বিষয়গুলি অনুশীলনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেবেন। এ ছাড়া পাঠদানের সময় শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানা থেকে অজানা বিষয়ের দিকে যাওয়ার নীতি অনুসরণ করলে শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হবে।
(গ) শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়ার প্রাধান্য ও ভুল পরিত্যাগ: শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রাধান্য দিলে তারা ভুল প্রতিক্রিয়া করতে করতে একসময় সঠিক প্রতিক্রিয়াটি করে।
(ঘ) পুনরালোচনা: নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে গঠিত বিষয়কে, শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের কাছে পুনরালোচনা করবেন।
প্রস্তুতি সূতের তাৎপর্য :
(ক) পাঠদানে সফলতা: শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাগ্রহণে দৈহিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত না হলে পাঠদানের উদ্দেশ্য বিফল হয়।
(খ) অমনোযোগী: প্রস্তুতির অভাবে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা অনেকসময় অমনোযোগী হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণে মনোযোগী করতে পারেন।
(গ) আদর্শের দ্বারা শিক্ষা: প্রয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষিকারা নীতি, আদর্শ, মূল্যবোধের দ্বারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণে প্রস্তুত করে তুলতে পারেন।
ফললাভের সূত্রের তাৎপর্য:
(ক) বিষয়বস্তু আয়ত্তকরণ: শিক্ষক মহাশয় পাঠ্য বিষয়টি যেন শিক্ষার্থীদের দৈহিক ও মানসিক ক্ষমতার আয়ত্তের মধ্যে থাকে সেদিকে নজর দেবেন।
(খ) সহজ থেকে কঠিন বিষয়ে পাঠদান: শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাঠক্রমকে সহজ থেকে কঠিন এই ক্রমানুসারে বিন্যস্ত করবেন।
(গ) আংশিক থেকে সমগ্র বিষয়ে পাঠদান: দীর্ঘ পাঠকে ছোটো ছোটো অংশে ভাগ করে উপস্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষক মহাশয় শিক্ষার্থীদের কোনো বিষয় পড়াবেন।
(ঘ) পুরষ্কৃত করা: মাঝে মাঝে প্রশংসা, পুরস্কার ও তিরস্কারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেবেন।
(ঙ) শিক্ষাসহায়ক উপকরণ ব্যবহার: বিভিন্ন রকম শিক্ষাসহায়ক উপকরণ ও আকর্ষণীয় শিক্ষাপদ্ধতি সহযোগে শিক্ষক-শিক্ষিকা পাঠ প্রদান করবেন।
(চ) বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্য: শিক্ষণীয় বিষয়বস্তুটি বৈচিত্র্যময় হতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের একঘেয়েমি দূর হয়।
(ছ) তৃপ্তিদায়ক: শিক্ষক-শিক্ষিকারা শিক্ষণীয় বিষয়কে শিক্ষার্থীদের কাছে বৈচিত্র্যপূর্ণভাবে উপস্থাপন করবেন যাতে বিষয় ও শিখনের ফল শিক্ষার্থীদের কাছে তৃপ্তিকর হয়।
3. থর্নডাইক কর্তৃক বর্ণিত শিখন কৌশলের মুখ্য সূত্রগুলি উল্লেখ করো । শিক্ষাক্ষেত্রে যে-কোনো দুটি মুখ্য সূত্রের গুরুত্ব আলোচনা করো । ***
Ans: থর্নডাইকের শিখনের মুখ্য সূত্র :
প্রস্তুতির সূত্র : থর্নডাইক শিখনের মুখ্য সূত্রে দৈহিক প্রস্তুতির কথা বলেছেন। তাঁর মতে, উদ্দীপক ও তার উপযোগী প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংযোগস্থাপনের জন্য ব্যক্তির দৈহিক প্রস্তুতি থাকা VIDEO প্রয়োজন। সংযোগস্থাপনের জন্য যদি ব্যক্তি প্রস্তুত থাকে তাহলে সংযোগ স্থাপন করতে দিলে সে তৃপ্তিবোধ করবে। ব্যক্তির যদি প্রস্তুতি না থাকে, সেক্ষেত্রে জোর করে সংযোগস্থাপন করতে দিলে সে বিরক্তিবোধ করবে।
ফললাভের সূত্র : উদ্দীপক (S) ও প্রতিক্রিয়া-এর সংশোধনযোগ্য সংযোগের ফল যদি শিক্ষার্থীর কাছে সুখকর বা আনন্দদায়ক হয়, তবে সংযোগটি শক্তিশালী হয় অর্থাৎ S-R বন্ধন দৃঢ় হয়। অপরপক্ষে সংযোগের ফল যদি অতৃপ্তিকর বা বিরক্তিকর হয়, তবে সংযোগটি (S-R বন্ধন) দুর্বল হয়।
থর্নডাইকের শিখনের মুখ্য সূত্রের শিক্ষাগত তাৎপর্য:
(ক) পাঠদানে সফলতা: শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাগ্রহণে দৈহিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত না হলে পাঠদানের উদ্দেশ্য বিফল হয়।
(খ) অমনোযোগী: প্রস্তুতির অভাবে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা অনেকসময় অমনোযোগী হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণে মনোযোগী করতে পারেন।
(গ) আদর্শের দ্বারা শিক্ষা: প্রয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষিকারা নীতি, আদর্শ, মূল্যবোধের দ্বারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণে প্রস্তুত করে তুলতে পারেন।
ফললাভের সূত্রের তাৎপর্য:
(ক) বিষয়বস্তু আয়ত্তকরণ: শিক্ষক মহাশয় পাঠ্য বিষয়টি যেন শিক্ষার্থীদের দৈহিক ও মানসিক ক্ষমতার আয়ত্তের মধ্যে থাকে সেদিকে নজর দেবেন।
(খ) সহজ থেকে কঠিন বিষয়ে পাঠদান: শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাঠক্রমকে সহজ থেকে কঠিন এই ক্রমানুসারে বিন্যস্ত করবেন।
(গ) আংশিক থেকে সমগ্র বিষয়ে পাঠদান: দীর্ঘ পাঠকে ছোটো ছোটো অংশে ভাগ করে উপস্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষক মহাশয় শিক্ষার্থীদের কোনো বিষয় পড়াবেন।
(ঘ) পুরষ্কৃত করা: মাঝে মাঝে প্রশংসা, পুরস্কার ও তিরস্কারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেবেন।
(ঙ) শিক্ষাসহায়ক উপকরণ ব্যবহার: বিভিন্ন রকম শিক্ষাসহায়ক উপকরণ ও আকর্ষণীয় শিক্ষাপদ্ধতি সহযোগে শিক্ষক-শিক্ষিকা পাঠ প্রদান করবেন।
(চ) বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্য: শিক্ষণীয় বিষয়বস্তুটি বৈচিত্র্যময় হতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের একঘেয়েমি দূর হয়।
(ছ) তৃপ্তিদায়ক: শিক্ষক-শিক্ষিকারা শিক্ষণীয় বিষয়কে শিক্ষার্থীদের কাছে বৈচিত্র্যপূর্ণভাবে উপস্থাপন করবেন যাতে বিষয় ও শিখনের ফল শিক্ষার্থীদের কাছে তৃপ্তিকর হয়।
4. অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন সম্পর্কিত কোহলার-এর শিম্পাঞ্জির পরীক্ষাটি বর্ণনা করো ।
Ans: কোহলারের পরীক্ষা: গেস্টাল্ট মনোবিজ্ঞানী কোহলার শিম্পাঞ্জি নিয়ে পরীক্ষা করে জানিয়েছিলেন যে, প্রাণীর সামনে সমস্যামূলক পরিস্থিতি এলে, প্রথমে কিছুক্ষণ ধরে প্রচেষ্টা ও ভুলের পথে সে এগিয়ে গেলেও একটু পরে ওই পথ ছেড়ে পরিস্থিতিকে সামগ্রিকভাবে প্রত্যক্ষণ করে সমস্যাটির সমাধান করে। নীচে পরীক্ষাটি আলোচনা করা হল-
পরীক্ষার উপকরণ: কোহলার পরীক্ষাটির জন্য নিয়েছিলেন সুলতান নামে শিম্পাঞ্জি, একটি খাঁচা, দুটি বাঁশের লাঠি যা একটির মধ্যে অন্যটি প্রবেশ করিয়ে জোড়া লাগানো যায়, কয়েকটি কলা।
পরীক্ষা: কোহলার তাঁর পরীক্ষার জন্য শিম্পাঞ্জিটিকে কিছু খেতে না দিয়ে খাঁচার মধ্যে প্রবেশ করিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিলেন। খাঁচার বাইরে খাদ্যবস্তু হিসেবে কলাগুলিকে এমন দূরত্বে রাখলেন, যাতে একটি লাঠি কলা পর্যন্ত না যায়। লাঠি দুটিকে খাঁচার মধ্যে রাখলেন।
কোহলারের শিম্পাঞ্জির পরীক্ষা :
পর্যবেক্ষণ: এরপর কোহলার দেখলেন –
(ক) প্রথমে শিম্পাঞ্জিটি এক-একটি লাঠি দিয়ে খাদ্যবস্তু হিসেবে কলার ছড়াকে টেনে আনার চেষ্টা করলেও প্রত্যেকটি লাঠি কলার দূরত্ব থেকে ছোটো হওয়ায় তা সম্ভব হল না।
(খ) এরপর শিম্পাঞ্জিটি একটি লাঠিকে আর-একটি লাঠির দ্বারা ঠ্যালা দিয়ে কলার ছড়া পর্যন্ত নিয়ে গেল। কিন্তু এক্ষেত্রেও সম্ভব হল না, কারণ সে লাঠি দুটিকে জোড়া লাগাতে পারেনি। সাফা সাদীপ
(গ) এই পর্যায়ে শিম্পাঞ্জিটি নিরাশ হয়ে বসে লাঠি দুটিকে নিয়ে খেলা করতে লাগল। এই সময় কোহলার লাঠি দুটি জোড়ার জন্য দুটি আঙুলকে বার করে জোড়া করে মুখোমুখি দেখিয়ে একটি ইঙ্গিত দিলেন। কিন্তু শিম্পাঞ্জিটি ইঙ্গিত বুঝল না।
(ঘ) পরবর্তী পর্যায়ে শিম্পাঞ্জিটি লাঠি নিয়ে খেলতে খেলতে একসময় হঠাৎ একটি লাঠিকে আর-একটি লাঠির সঙ্গে জুড়ে দিল এবং সঙ্গে সঙ্গে সেই যুক্ত লাঠি দিয়ে কলার ছড়াকে কাছে টেনে নিল। এইভাবে সে সমস্যাটির সমাধান করল।
সিদ্ধান্ত: এ থেকে কোহলার সিদ্ধান্তে আসেন এখানে পরিস্থিতির সামগ্রিক সত্তা প্রত্যক্ষণের ভিতর দিয়ে শিম্পাঞ্জিটি পরিস্থিতির সামগ্রিক রূপের মধ্যেকার সম্পর্কগুলি উপলব্ধি করে অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে সমস্যাসমাধানের পথ শিখে নিল। অর্থাৎ কলার ছড়ার অবস্থান, লাঠির দৈর্ঘ্য, নিজের অবস্থান ইত্যাদির মধ্যেকার সম্পর্ক সামগ্রিকভাবে শিম্পাঞ্ঝিটি বুঝতে পেরেছিল বলে, তার পক্ষে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়েছিল। তাই গেস্টাল্টবাদীরা মনে করেন, শিখন অংশভিত্তিক নয়, সামগ্রিক রূপের ভিত্তিতে হয়।
5. অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখনের শিক্ষাগত গুরুত্ব লেখো ।
Ans: অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখনের শিক্ষাগত গুরুত্ব: গেস্টাল্টবাদীদের মতে, শিক্ষার্থীদের শিখন ঘটে অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে। এই কৌশলকে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে গেলে নিম্নলিখিত উপায়গুলি অবলম্বন করতে হবে-
সামগ্রিক উপস্থাপন: শ্রেণিতে পাঠদানকালীন শিক্ষণীয় বিষয়বস্তুকে ছোটো ছোটো অংশে উপস্থাপন না করে সামগ্রিকভাবে উপস্থাপন করা দরকার।
(ক) সমগ্র থেকে বিশেষের দিকে: সমগ্র বিষয়টি উপস্থাপনের VIDEO পর সেগুলিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্রভাবে বিশ্লেষণ করা দরকার।
(খ) মূর্ত থেকে বিমূর্তের দিকে যাওয়া: শ্রেণিকক্ষে কোনো বিষয় পাঠদানকালে মূর্ত থেকে বিমূর্তের দিকে যাওয়া দরকার।সহজ থেকে জটিল শিক্ষক পড়ানোর সময় সহজ উদাহরণ দিয়ে শুরু করে জটিলের দিকে যাবেন।
(গ) সক্রিয়তা: শিক্ষার্থীদের সমস্যাসমাধানে সক্রিয় করে তোলার জন্য জীবন পরিবেশের সঙ্গে যুক্ত করে বিষয়বস্তু উপস্থাপন করবেন।
(ঘ) যান্ত্রিক প্রাচষ্টা নিরসন: শিক্ষার্থীরা সমস্যাসমাধানের ক্ষেত্রে যাতে অন্ধ বা যান্ত্রিক প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকে, শিক্ষক সেদিকে লক্ষ রাখবেন।
(ঙ) সামান্যীকরণ ও পৃথকীকরণ: গেস্টাল্টবাদীরা অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখনের ক্ষেত্রে সামান্যীকরণ ও পৃথকীকরণের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষণীয় বিষয়বস্তুর অন্তর্গত অংশগুলি বাদ দিয়ে প্রাসঙ্গিক ও প্রয়োজনীয় সাধারণধর্মী বৈশিষ্ট্যগুলি আলাদা করে নিয়ে সর্বজনীন সূত্র গঠনে সমর্থ হয়, সেদিকের প্রতি শিক্ষক নজর রাখবেন।
(চ) সম্পর্কস্থাপন: সমস্যামূলক পরিস্থিতির বিভিন্ন অংশগুলির মধ্যে যথার্থ সম্পর্কস্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষক বিষয়টি উপস্থাপন করবেন।
(ছ) শিখালর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: শিক্ষার্থীরা কোনো বিষয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী সে বিষয়ে যাতে যথাযথভাবে অবহিত হতে পারে সে ব্যাপারে শিক্ষকদের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
(জ) সামঞ্জস্যবিধান: কোনো বিষয়ে পাঠদান করতে গেলে বিষয়বস্তুর বিভিন্ন অংশের মধ্যে সামঞ্জস্যবিধান করে বিষয়বস্তু উপস্থাপন করা শিক্ষকের কাজ।
সুতরাং অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন কৌশল শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা অর্জনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই পদ্ধতিতে শিখনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অতীত অভিজ্ঞতার সঙ্গে বর্তমান অভিজ্ঞতার সংযোগ করতে পারে। এই কৌশলে পাঠদান গ্রহণ করলে আত্মসক্রিয়তা বাড়ে, শিখনমুখী আগ্রহ ও প্রেষণা জাগ্রত হয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এইসমস্ত কারণে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন কৌশলে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
6. প্রাচীন অনুবর্তন কাকে বলে ? প্রাচীন অনুবর্তনের ধারণাটি ব্যাখ্যা করো। প্রাচীন অনুবর্তন সংক্রান্ত প্যাভলভের পরীক্ষাটি বর্ণনা করো। ***
Ans: প্রাচীন অনুবর্তন: রাশিয়ান শারীরতত্ত্ববিদ আইভান প্যাভলভের (Ivan Pavlov) মতানুযায়ী, প্রাণীর স্বাভাবিক উদ্দীপকের উপস্থিতিতে বা কৃত্রিম উদ্দীপকের দ্বারা স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে প্রাচীন অনুবর্তন বলে।
প্যাভলভের পরীক্ষা: প্রাচীন অনুবর্তনের পরীক্ষাটি করার আগে প্যাভলভ একটি কুকুরকে কয়েক সপ্তাহ প্রশিক্ষণ দেন। পরীক্ষাটি করার সময় ওই ক্ষুধার্ত কুকুরটির সামনে কিছু খাবার রেখে প্যাভলভ দেখেন কুকুরটির লালাক্ষরণ হচ্ছে। এখানে খাদ্যবস্তু হল স্বাভাবিক উদ্দীপক আর লালাক্ষরণ হল স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। এরপর প্রতিদিন প্যাভলভ খাদ্যবস্তু উপস্থাপনের পূর্বে কিছু সময় ধরে ঘণ্টাধ্বনি করেন এবং ঘণ্টাধ্বনি শেষ হওয়ার পূর্বমুহূর্তে খাদ্যবস্তু উপস্থাপন করেন। এখানে ঘণ্টাধ্বনি কৃত্রিম উদ্দীপক।
আইভান প্যাভলভের পরীক্ষা :
প্রথম দিকে দেখা যায়, ঘণ্টাধ্বনি কুকুরটিকে সজাগ করছে। এই সজাগভাবটি হল ঘণ্টাধ্বনির প্রতি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। প্যাভলভ আরও দেখেন ঘণ্টাধ্বনি শেষ হওয়ার পূর্বমুহূর্তে খাদ্যবস্তু দেওয়ার ফলে কুকুরের লালাক্ষরণ হচ্ছে। এই লালাক্ষরণের পরিমাণটি প্যাভলভ কাইমোগ্রাফ যন্ত্রের সাহায্যে পরিমাপ করেন। এই ঘটনাটির পুনরাবৃত্তির ফলে খাদ্যবস্তু উপস্থাপনের পূর্বে ঘণ্টাধ্বনির সঙ্গে সঙ্গে কুকুরটির লালাক্ষরণ হতে দেখা যায়।
সিদ্ধান্ত: এ থেকে প্যাভলভ সিদ্ধান্ত নেন যে, স্বাভাবিক উদ্দীপক (S₁) খাদ্যবস্তুর পরিবর্তে ঘণ্টাধ্বনিরূপ কৃত্রিম উদ্দীপকের (S₂) দ্বারা স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া অর্থাৎ লালাক্ষরণ ঘটেছে। এই কৃত্রিম উদ্দীপকের দ্বারা স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির প্রক্রিয়াটিকেই প্যাভলভ অনুবর্তন বলেছেন এবং ঘণ্টাধ্বনিকে অনুবর্তিত উদ্দীপক ও লালাক্ষরণকে অনুবর্তিত প্রতিক্রিয়া বলেছেন। অন্যদিকে, খাদ্যবস্তু হল অনাবর্তিত উদ্দীপক আর সজাগভাব হল অনাবর্তিত প্রতিক্রিয়া।
7. শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তনের গুরুত্ব লেখো। অপানুবর্তন কাকে বলে ? [ অথবা], শিশুর শিখনে যে-কোনো একটি অনুবর্তনমূলক শিখন কৌশলের গুরুত্ব আলোচনা করো।
Ans: শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তনের প্রয়োগ/গুরুত্ব: শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তনের প্রয়োগ/গুরুত্বগুলি হল –
(১) ভাষা বিকাশ: শিশুর ভাষা শেখার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ বস্তুর সঙ্গে বিশেষ শব্দকে যোগ করা হয়। যেমন- কোনো বিশেষ মহিলাকে দেখিয়ে মুখে ‘মা’ কথাটি বারবার বললে শিশু ‘মা’ শব্দটি অনুবর্তনের মাধ্যমে শিখে ফেলে।
(২) আদর্শ অভ্যাস গঠন : আদর্শ অভ্যাস গঠনে শিশুর সু-অভ্যাস গঠনে অনুবর্তন প্রক্রিয়া ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- সকালে ঘুম থেকে ওঠা, দাঁত মাজা ইত্যাদি।
(৩) খারাপ অভ্যাস দূর করা : বানান ভুল, গালাগালি প্রভৃতি কু-অভ্যাস দূর করতে অনুবর্তন পদ্ধতি খুবই কার্যকরী।
(৪) শিখন দক্ষতায় : লেখা, পড়া, অঙ্ক কষা প্রভৃতিতে শিশুর শিখন দক্ষতা বাড়াতে অনুবর্তন পদ্ধতি খুবই কার্যকরী।
(৫) শিক্ষক-শিক্ষিকার আচরণের প্রভাব: শিক্ষক-শিক্ষিকার আচার-আচরণ, বিভিন্ন অভ্যাস, কথা বলা এগুলি সব শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুবর্তিত হয়।
(৬) গ্রাঙ্কোভিক বিকাশে: শিশুর জীবনে প্রক্ষোভমূলক বিকাশ ঘটাতে অনুবর্তন প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ।
(৭) আগ্রহ বা অনাগ্রহ সৃষ্টি করা : অনুবর্তনের মাধ্যমে শিশুর মধ্যে আগ্রহ বা অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়। অনেকক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রতি ভালোবাসা- তিনি যে বিষয় পড়ান, তাতে অনুবর্তিত হয়।
(৮) পুনরাবৃত্তিমূলক শিখনের ক্ষোত: ছোটো শিশুদের নতুন ছড়া শেখানো, নামতা মুখস্থ করানো, বানান শেখানো ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তনের প্রভাব রয়েছে।
(৯) ইতিবাচক মানসিকতার সৃষ্টি ও মানসিক রোগের উপশাম: কোনো বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা গড়ে তুলতে ও মানসিক রোগের চিকিৎসায় এই কৌশল সাহায্য করে।
অপানুবর্তন: অনুবর্তনের পর অনুবর্তিত উদ্দীপকের (ঘণ্টাধ্বনি) সঙ্গে সঙ্গে যদি স্বাভাবিক উদ্দীপক (খাদ্য) উপস্থাপন না করা হয়, তাহলে অনুবর্তন প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে। একেই অপানুবর্তন বলে। যেমন- প্যাভলভ তাঁর পরীক্ষায় দেখেছেন কুকুরটির ঘণ্টাধ্বনির সঙ্গে লালাক্ষরণ হয়, পরবর্তী সময় প্যাভলভ ঘণ্টার ধ্বনির সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য দেওয়া বন্ধ করে দিলে, ঘণ্টাধ্বনি শুনে খাদ্য না পাওয়ায় ধীরে ধীরে কুকুরটির লালাক্ষরণ বন্ধ হয়ে গেল। এটি হল অপানুবর্তন। তবে প্যাভলভদেখলেন অপানুবর্তনের পর পরীক্ষার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে প্রতিক্রিয়াকে সজীব করা যাচ্ছে, একে বলে পুনঃসংযোজন।
8. সক্রিয় বা অপারেন্ট অনুবর্তন কাকে বলে ? সংক্ষেপে স্কিনার বক্সের পরীক্ষাটি বর্ণনা করো । ***
Ans: অপারেন্ট অনুবর্তন: বিখ্যাত আমেরিকান মনোবিদ বি এফ স্কিনার (BF Skinner) অপারেন্ট অনুবর্তনের স্রষ্টা। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে 1930 সালে একটি পত্রিকার একটি প্রবন্ধে অপারেন্ট অনুবর্তনের ধারণা দেন।
Operant কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল ‘ফলোৎপাদনের জন্য প্রতিক্রিয়া।‘ স্কিনারের মতে, প্রতিক্রিয়া করার ক্ষেত্রে সবসময় উদ্দীপকের প্রয়োজন নেই। তাঁর মতে, যে অনুবর্তন প্রক্রিয়ায় কোনো উদ্দীপক ছাড়া প্রতিক্রিয়া সম্ভব এবং প্রাণীর সক্রিয়তা যেখানে আবশ্যক, তাকে বলে সক্রিয় বা অপারেন্ট অনুবর্তন। যেমন- চাহিদা, আগ্রহ, তৃপ্তিদায়ক ও বেদনাদায়ক অনুভূতি প্রভৃতি প্রাণীর মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত আচরণ সৃষ্টি করে। এই আচরণই হল সক্রিয় অনুবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্ট আচরণ।
অপারেন্ট অনুবর্তন সংক্রান্ত স্কিনারের পরীক্ষা: মনোবিদ স্কিনার সক্রিয় অনুবর্তন বা Operant Conditioning সংক্রান্ত পরীক্ষাটির জন্য উপকরণ হিসেবে স্কিনার বক্স, ক্ষুধার্ত ইঁদুর, খাদ্যবস্তু ব্যবহার করেন।
পরীক্ষা: স্কিনারের সক্রিয় অনুবর্তনের পরীক্ষার পর্যায়গুলি হল-
প্রথম পর্যায়: স্কিনার পরীক্ষার জন্য প্রথমে একটি ক্ষুধার্ত ইঁদুরকে তাঁর তৈরি স্কিনার বক্স-এর মধ্যে ঢুকিয়ে দেন। ওই বক্সের মধ্যে থাকা ট্রে-তে আগে থেকেই খাবার রাখা ছিল। ইঁদুরটি খাদ্যগ্রহণ করে এবং এইভাবে পরীক্ষামূলক পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিত হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়: অন্য একদিন ইঁদুরটিকে স্কিনার বক্সে ঢোকানোর পর স্কিনার নিজেই লিভারে চাপ দিয়ে যান্ত্রিক কৌশলের সাহায্যে ট্রে-তে খাদ্যবস্তু নিয়ে আসেন। এক্ষেত্রে ইঁদুরের কোনো প্রচেষ্টা ছিল না। বক্সের পরিস্থিতি সম্পর্কে ইঁদুরকে পরিচয় করানো হল।
তৃতীয় পর্যায়: আবার আর একদিন ক্ষুধার্ত ইঁদুরটিকে বক্সে ঢোকানো মাত্র স্কিনার দেখলেন ইঁদুরটি খাবার খাওয়ার জন্য ট্রে-র দিকে দৌড়ে যায় কিন্তু ট্রে-তে খাদ্যবস্তু না থাকায় ইঁদুর তা সংগ্রহ করতে পারল না। খাদ্য পাওয়ার জন্য ইঁদুরটি বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়ামূলক আচরণ করতে থাকে। এইভাবে একসময় যখন তার লিভারে পা পড়ে যায়, তখন ট্রে-তে খাদ্যবস্তু এসে পড়ে এবং ইঁদুরটি সেই খাদ্যগ্রহণ করে।
চতুর্থ পর্যায়: এই পর্যায়ে স্কিনার ইঁদুরটি নিয়ে পরীক্ষার পুনরাবৃত্তি ঘটালেন এবং পর্যবেক্ষণ করলেন পুনরাবৃত্তির ক্রম অনুযায়ী লিভারে চাপ দিয়ে ট্রে-তে খাদ্যবস্তু আনতে ক্রমশ সময় কম লাগছে। এইভাবে একসময় এল যখন ইঁদুরটিকে বক্সে ঢোকানোমাত্র সে লিভারে চাপ দিয়ে খাদ্যবস্তুকে ট্রে-তে আনল এবং খাদ্যবস্তু খেলো। এইভাবে ইঁদুরটি খাদ্য পাওয়ার কৌশলটি আয়ত্ত করল।
সিদ্ধান্ত: উপরোক্ত পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে স্কিনার সিদ্ধান্তে আসলেন প্রাণীর আচরণ দুধরনের- রেসপনডেন্ট, অপারেন্ট।
রেসপনডেন্ট: যে আচরণসমূহ ইঁদুর সম্পাদন করে, সেগুলিকে বিশেষ বস্তুধর্মী উদ্দীপক (খাদ্য) দ্বারা সৃষ্টি করা হয়, তাকে বলে রেসপনডেন্ট আচরণ কারণ খাদ্যবস্তু সম্পর্কে ইঁদুরের পূর্ব জ্ঞান রয়েছে।
অপারেন্ট: ইঁদুরটির এমন আচরণ লক্ষ করা যায় যেগুলি বস্তুধর্মী উদ্দীপকের সাহায্যে ঘটে না কারণ পরীক্ষা চলাকালীন ইঁদুরটি কোনো খাবার দেখতে পাচ্ছে না। এই আচরণ ঘটে প্রত্যাশামূলক উদ্দীপকের দরুন। একেই স্কিনার বলেছেন অপারেন্ট আচরণ।
9. সক্রিয় বা অপারেন্ট অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো । ***
Ans: সক্রিয় অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য বা নীতি: অপারেন্ট অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্যগুলি হল –
(১) প্রস্তুতি : সক্রিয় অনুবর্তনের জন্য প্রাণীর প্রস্তুতির প্রয়োজন। তাই স্কিনারের পরীক্ষায় প্রথম দু-দিন ইঁদুরটিকে বাক্সের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষামূলক পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচয় ঘটানো হয়।
(২) সক্রিয়তা : সক্রিয় অনুবর্তনে প্রাণীর আত্মসক্রিয়তা প্রয়োজন। তা না হলে উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে শৃঙ্খলা তৈরি হয় না।
(৩) শক্তিদায়ক উদ্দীপক : সক্রিয় অনুবর্তনে শক্তিদায়ক উদ্দীপক বিশেষভাবে প্রয়োজন। এগুলি ও ভাগে বিভক্ত, যথা –
(ক) ধনাত্মক : ক্ষুধার্ত ইঁদুরের কাছে খাদ্যটি ধনাত্মক শক্তিদায়ী উদ্দীপক।
(খ) ঋণাত্মক : পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া এই ধরনের উদ্দীপক।
(৪) শাস্তিদায়ক : কাউকে দৈহিক শাস্তিদান করা।
(৫) আচরণের শক্তি হ্রাস বা বিলোপসাধন : ধনাত্মক উদ্দীপকের পরিবর্তে ঋণাত্মক উদ্দীপক উপস্থাপন করলে আচরণের শক্তি হ্রাস পায় বা বিলোপ ঘটে। লিভারে চাপ দেওয়ার পর খাদ্যবস্তুর প্রাপ্তি না ঘটলে ইঁদুরটির আচরণ সম্পাদন বন্ধ হয়ে যেত।
(৬) আচরণের স্বতঃস্ফূর্ততা : সক্রিয় অনুবর্তনে প্রাণীর স্বতঃস্ফূর্ত আচরণ প্রয়োজন যা প্রাণী নিজের চাহিদা পরিতৃপ্তির জন্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে করে।
(৭) স্বতঃস্ফূর্ত পুনরাবির্ভাব : সক্রিয় অনুবর্তনে আচরণ সম্পাদনের শক্তি অবলুপ্ত হলে, প্রাণীটির উপর কিছুদিন আচরণ সম্পাদন বন্ধ রেখে পুনরায় একই পরিস্থিতিতে নিয়ে এসে দু-একবার শক্তিদায়ক উদ্দীপক উপস্থাপন করা হলে প্রাণীটির মধ্যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ওই আচরণের পুনরাবির্ভাব ঘটে।
(৮) বিন্যাসকরণ বা আকৃতিদান : যে পরিস্থিতিতে প্রাণী কাঙ্ক্ষিত আচরণগুলি সম্পাদনের জন্য পর্যায়ক্রমে আচরণের শৃঙ্খল তৈরি করে, তখনই প্রাণীর মধ্যে সমস্ত আচরণের একটি আকৃতিদান ঘটে।এক্ষেত্রে ও টি নীতি হল- সামান্যীকরণ, খন্ডাংশের ধারাবাহিক শৃঙ্খল গঠন ও প্রতিযোগী স্বভাব।
(৯) স্থায়ী প্রক্রিয়া: সক্রিয় অনুবর্তন প্রক্রিয়ায় প্রাণী সক্রিয় থাকে এবং স্বতঃস্ফূর্ত আচরণ সম্পাদন করে। তাই সক্রিয় অনুবর্তনের দ্বারা প্রাণীর যে শিখন, তা স্থায়ী হয়।
(১০) স্থায়িত্ব : শক্তিদায়ী উদ্দীপকের উপস্থিতির ভিত্তিতে স্কিনার তিন ধরনের শক্তিদায়ী উদ্দীপক বা সিডিউল -এর কথা বলেছেন
10. শিক্ষাক্ষেত্রে সক্রিয় অনুবর্তনের ভূমিকার মূল্যায়ন করো । ***
অথবা, শিক্ষাক্ষেত্রে সক্রিয় অনুবর্তন তত্ত্বের উপযোগিতা আলোচনা করো। অথবা, শিক্ষাক্ষেত্রে সক্রিয় বা অপারেন্ট অনুবর্তন তত্ত্বের প্রয়োগ লেখো ।
Ans: শিক্ষাক্ষেত্রে সক্রিয় বা অপারেন্ট অনুবর্তন তত্ত্বের প্রয়োগ:
প্রস্তুতি: শিশুর যে-কোনো শিখনের জন্য প্রয়োজন প্রস্তুতির। শিক্ষক শিক্ষার্থীর কাঙ্ক্ষিত আচরণের জন্য শ্রেণিকক্ষে এমন পরিবেশ তৈরি করবেন, যাতে শিক্ষার্থীরা বহুমুখী প্রতিক্রিয়া করতে পারে।
বিশ্লেষণ: শিক্ষক শিখনের উপাদানগুলিকে যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করবেন যাতে শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা করা যায়।
সহজ থেকে জটিল: শিখনের বিষয়গুলিকে সবসময় সহজ থেকে জটিল এই অনুযায়ী সাজানো দরকার অপারেন্ট অনুবর্তনকে কার্যকরী করার জন্য।
গণিত, বানান, শব্দ, সমস্যাসমাধান: গণিত, বানান, শব্দ, সমস্যাসমাধান ইত্যাদি শিখনের ক্ষেত্রে অপারেন্ট অনুবর্তন তত্ত্ব প্রয়োগ করা হয়।
শক্তিদায়ক উদ্দীপাকর ব্যবহার: শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্ষেত্রে আগ্রহী করে তোলার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষক শক্তিদায়ক উদ্দীপক ব্যবহার করবেন।
ধারাবাহিকতা: শক্তিদায়ক উদ্দীপকের ব্যবহারের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা থাকা প্রয়োজন, যাতে শিক্ষার্থী প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াগুলি দূর করতে পারে।
শিক্ষার্থীর সক্রিয়তা: অপারেন্ট অনুবর্তনে শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ফূর্ততা প্রয়োজন। শিক্ষক শ্রেণিকক্ষের এমন পরিবেশ তৈরি করবেন, যাতে শিক্ষার্থীরা সক্রিয় থাকে। শিক্ষার্থীদের সক্রিয়তা শিখন প্রক্রিয়াকে সহজ ও অর্থপূর্ণ করে তোলে।
সু-অভ্যাস গঠন: শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সু-অভ্যাস গঠন গুরুত্বপূর্ণ। সু-অভ্যাস গঠনে অপারেন্ট অনুবর্তন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ব্যক্তিত্বের বিকাশ: শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যগুলি বিকাশের জন্য অনুবর্তন তত্ত্বের প্রয়োগ করা দরকার।
গতি বৃদ্ধি: শিখনের গতি বৃদ্ধির জন্য অপারেন্ট অনুবর্তন তত্ত্বের প্রয়োগের প্রয়োজন।
সুতরাং বি এফ স্কিনারের অপারেন্ট অনুবর্তন তত্ত্বের মাধ্যমে শিশুর তথা শিক্ষার্থীর শিখন প্রক্রিয়া অনেক বেশি বিজ্ঞানসম্মত করে তোলা সম্ভব।
11. প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন তত্ত্ব সম্পর্কিত থর্নডাইকের পরীক্ষাটি লেখো। ***
অথবা, সমস্যাসমাধানমূলক শিখন কৌশলের একটি পরীক্ষা বর্ণনা করো।
অথবা, সমস্যাসমাধানমূলক শিখন কৌশলের একটি পরীক্ষার বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।
Ans: থর্নডাইকের প্রচেষ্টা ও ভুলের পরীক্ষা: প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন কৌশলের প্রবক্তা হলেন আমেরিকার মনোবিদ এডওয়ার্ড লি থর্নডাইক (EL Thorndike)। তাঁর মতে, প্রাণী যখন সমস্যার সম্মুখীন হয়, তখন সমাধানের জন্য বারবার প্রচেষ্টা করে এবং ভুল করে। একসময় উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সঠিক সংযোগসাধনের মাধ্যমে সমস্যাটির সমাধান করে ও শিখন সম্ভব হয়। থর্নডাইক তাঁর শিখনের এই কৌশলকে নির্বাচন ও সংযোজন বলেছেন। থর্নডাইক তাঁর এই তত্ত্বের পরীক্ষায় বিড়াল, মুরগি, কুকুর, মানুষ প্রভৃতি প্রাণী নিয়ে পরীক্ষা করেছেন। এক্ষেত্রে বিড়ালের পরীক্ষাটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। থর্নডাইক ও টি প্রধান সূত্রের মাধ্যমে তাঁর পরীক্ষাটি ব্যাখ্যা করেছেন। যথা-প্রস্তুতির সূত্র, অনুশীলনের সূত্র । পরীক্ষাটি নিম্নরূপ-
পরীক্ষার উপকরণ: এই পরীক্ষার জন্য একটি বিড়াল, বিশেষভাবে প্রস্তুত পাল বক্স, কিছু মাছ এবং আনুষঙ্গিক উপকরণ নেওয়া হয়েছিল।
পরীক্ষা:
(i) প্রথমে থর্নডাইক একটি ক্ষুধার্ত বিড়ালকে পা বক্সের মধ্যে ভরে ছিটকিনি দিয়ে দেন ও বাইরে খাদ্যবস্তু হিসেবে কিছু মাছ রেখে পর্যবেক্ষণ করেন। তাতে দেখেন, বিড়ালটি বাইরে বেরিয়ে মাছটি খাওয়ার জন্য বক্সের ভিতরে এলোপাতাড়ি আচরণ করছে। এক্ষেত্রে চাহিদা ও লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে বাধা হল বক্সের দরজা। কিন্তু বিড়ালটির ক্রমাগত এলোপাতাড়ি ছোটাছুটিতে হঠাৎই শরীরের কোনো অংশের দ্বারা বোতামে চাপ পড়ে বক্সের দরজা খুলে যায় ও বিড়ালটি বাইরে এসে মাছটি খেয়ে নেয়।
(ii) পরে থর্নডাইক পুনরাবৃত্তিমূলক পরীক্ষার জন্য ক্ষুধার্ত বিড়ালটিকে আবার পাল বক্সের মধ্যে প্রবেশ করান। এক্ষেত্রে দেখা যায়, বিড়ালটি বিক্ষিপ্তভাবে দৌড়াদৌড়ি না করে উদ্দেশ্যমুখী হয়ে বাইরে আসার গলিপথটি খুঁজছে। এ ছাড়া দেখা যায় যে, বিড়ালটি পূর্বের ভুল আচরণগুলির পুনরাবৃত্তি না করে পূর্বের থেকে অনেক কম সময়ে বক্স থেকে বেরিয়ে আসছে। এভাবে বার বার পুনরাবৃত্তিতে দেখা যায়, বিড়ালটি ক্রমশ ভুল প্রচেষ্টাগুলিকে পরিত্যাগ করে নির্ভুল প্রচেষ্টাগুলিকে সমস্যাসমাধানের ক্ষেত্রে আচরণের স্থায়ীরূপে গ্রহণ করছে।
(iii) পরবর্তী পর্যায়ে দেখা যায়, পুনরাবৃত্তির সংখ্যা যত বেড়েছে, সময়ের পরিমাণ তত কমেছে। এটিকে থর্নডাইক টাইম কার্ড নামক লেখচিত্রের মাধ্যমেও দেখিয়েছেন।
সিদ্ধান্ত: থর্নডাইক পরীক্ষাটি থেকে ৩ টি সিদ্ধান্তে আসেন-
(i) প্রাণী সমস্যামূলক পরিস্থিতিতে প্রত্যক্ষভাবে সমস্যাসমাধানের মাধ্যমে শেখে।
(ii) পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে শিখনের স্থায়ীকরণ হয়।
(iii) আত্মসক্রিয়তা শিখনের মূলভিত্তি।
12. প্রচেষ্টা ও ভুলের মাধ্যমে শিখনের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। ***
Ans: প্রচেষ্টা ও ভুলের মাধ্যমে শিখনের বৈশিষ্ট্য:
(ক) পুনরাবৃত্তি : থর্নডাইকের মতে, সমস্যামূলক পরিস্থিতিতে একটি উদ্দীপক ও তার সমাধান-উপযোগী প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংযোগসাধনের ফলে প্রাণীর শিখন হয়। এক্ষেত্রে উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে গড়ে ওঠে।
(খ) উদ্দেশ্য সম্পার্ক সচেতন : প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন কৌশলে প্রাণী বা শিক্ষার্থী কেন আত্মসক্রিয়তার মাধ্যমে বারবার সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চালাবে, সে সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। যেমন-বিড়ালটির = উদ্দেশ্য ছিল পাজল বক্স থেকে বেরোতে পারলেই খাদ্যবস্তু হিসেবে মাছ খেতে পারবে। এক্ষেত্রে বিড়ালটি উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন ছিল।
(গ) বহুমুখী প্রতিক্রিয়া : থর্নডাইকের শিখন তত্ত্বে একটিমাত্র উদ্দীপক থাকলেও প্রাণী বা শিক্ষার্থীদের বহু প্রতিক্রিয়া করার সুযোগ থাকে। পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে ভুল প্রতিক্রিয়াগুলিকে তারা বর্জন করে এবং সঠিক প্রতিক্রিয়া নির্বাচন করে। যেমন- বিড়ালটির সামনে একটিমাত্র উদ্দীপক হিসেবে রাখা ছিল মাছ, কিন্তু পাট্ল বক্স থেকে বেরোনোর জন্য বিড়ালটিকে বিভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া করতে হয়েছে।
(ঘ) আংশিক প্রতিক্রিয়া : থর্নডাইকের মতে, প্রাণী যখন সমস্যামূলক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়, তখন অংশভিত্তিক প্রতিক্রিয়া করে, সামগ্রিকভাবে নয়। অংশগুলির প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে সর্ব অংশ শিক্ষার্থীর আয়ত্তে আসে ও সমস্যাটির সমাধান হয়। সুতরাং এই শিখনে আংশিক প্রতিক্রিয়া হল অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
(ঙ) জৈব-মানসিক প্রস্তুতি : থর্নডাইক-এর মতে, শিক্ষার্থী যদি দৈহিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত না থাকে, তাহলে শিখন সম্ভব নয়। যদি দৈহিক ও মানসিক দিক থেকে প্রস্তুতি না থাকে, তাহলে উদ্দীপক থাকলেও শিক্ষার্থী কোনোভাবে তার প্রতি প্রতিক্রিয়া করবে না।
(চ) ফললাভ : থর্নডাইকের মতে, যে শিখন আনন্দদায়ক অনুভূতি দেয়, সেই শিখন স্থায়ী হয় এবং যে শিখন বেদনাদায়ক অনুভূতি দেয়, সেই শিখন শিক্ষার্থী পরিত্যাগ করে। যেমন- পাল বক্সের বাইরে যদি কোনো ফল থাকত, তাহলে বিড়ালটি সঠিক প্রতিক্রিয়াটি দ্বিতীয়বার করত না। তাই ফলপ্রাপ্তি এই শিখন কৌশলের একটি বৈশিষ্ট্য।
(ছ) আত্মসক্রিয়তা : শিক্ষার্থী নিজে থেকে সক্রিয় হয়ে সমস্যার সমাধানে উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সঠিক সংযোগসাধনের জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালাবে এবং ভুল প্রচেষ্টাগুলি ত্যাগ করবে। একসময় সঠিক প্রচেষ্টা করে সমস্যার সমাধান করবে। সুতরাং চাহিদার নিবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থী নিজে থেকে সক্রিয় হলে শিখন কৌশল সংগঠিত হবে। থর্নডাইকের পরীক্ষায় বিড়ালটির মধ্যে খাদ্যের চাহিদা তৈরির ফলে সে বাইরে আসতে সক্রিয় হয়েছিল।
(জ) সাদৃশ্যভিত্তিক প্রতিক্রিয়া : এই বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, প্রাণী যখন সমস্যামূলক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়, তখন সে পূর্বের জ্ঞাত প্রতিক্রিয়ার দ্বারা সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে। থর্নডাইক তাঁর তত্ত্বে ‘সাদৃশ্যের সূত্রে’ সাদৃশ্যভিত্তিক প্রতিক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যটি তুলে ধরেছেন।
(ঝ) জানা থেকে অজানা বিষয়ের দিকে যাওয়া :: শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের সময় শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানা বিষয় থেকে অজানা বিষয়ের দিকে পড়ানোর পদ্ধতিকে অনুসরণ করেন। এর ফলে শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণে আগ্রহী হয়। ফলে পড়ানো ও পড়া বোঝা উভয়ই সহজ হয়।
HS Class 12 3rd Semester (Third Unit Test) Question and Answer :
- HS Class 12 Bengali 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 English 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 Geography 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 History 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 Education 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 Political Science 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 Philosophy 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 Sociology 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 Sanskrit 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 All Subjects First Semester Question Click here
HS Class 12 4th Semester (Forth Unit Test) Question and Answer :
- HS Class 12 Bengali 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 English 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 Geography 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 History 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 Education 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 Political Science 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 Philosophy 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 Sociology 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 Sanskrit 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 All Subjects 4th Semester Question Click here
Higher Secondary All Subject Suggestion – উচ্চমাধ্যমিক সমস্ত বিষয়ের সাজেশন
আরোও দেখুন:-
HS Bengali Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 English Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 Geography Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 History Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 Political Science Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 Education Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 Philosophy Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 Sociology Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 Sanskrit Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 All Subjects Suggestion Click here
◆ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি: বিনামূল্যে নোটস, সাজেশন, PDF ও সমস্ত আপডেটের জন্য আমাদের WhatsApp Group এ Join হয়ে যাও।
| Class 12 WhatsApp Groups | Click Here to Join |
দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal HS Class 12th Education Question and Answer / Suggestion / Notes Book
আরোও দেখুন :-
দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here
FILE INFO : শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer with FREE PDF Download Link
| PDF File Name | শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer PDF |
| Prepared by | Experienced Teachers |
| Price | FREE |
| Download Link | Click Here To Download |
| Download PDF | Click Here To Download |
শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) অধ্যায় থেকে আরোও বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :
Update
[আরও দেখুন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন রচনা – Rabindranath Tagore Biography in Bengali]
[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now]
Info : শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর
HS Class 12 Education Suggestion | West Bengal WBCHSE Class Twelve XII (HS Class 12th) Education Question and Answer Suggestion
” শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Twelve XII / WB HS Class 12 / WBCHSE / HS Class 12 Exam / West Bengal Council of Higher Secondary Education – WB HS Class 12 Exam / HS Class 12th / WB HS Class 12 / HS Class 12 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর ( দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন / দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান প্রশ্ও উত্তর । Class-11 Education Suggestion / HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer / HS Class 12 Education Suggestion / Class-11 Pariksha Education Suggestion / Education HS Class 12 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / HS Class 12 Education Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর (HS Class 12 Education Suggestion / West Bengal Twelve XII Question and Answer, Suggestion / WBCHSE HS Class 12th Education Suggestion / HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer / HS Class 12 Education Suggestion / HS Class 12 Pariksha Suggestion / HS Class 12 Education Exam Guide / HS Class 12 Education Suggestion 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030 / HS Class 12 Education Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Class-11 Education Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।
শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর
শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer Suggestion দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।
শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান
শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer Suggestion দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer Question and Answer, Suggestion
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) | দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) | পশ্চিমবঙ্গ দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) | দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান সহায়ক – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর । HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer, Suggestion | HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer Suggestion | HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer Notes | West Bengal HS Class 12th Education Question and Answer Suggestion.
উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | Higher Secondary Class 12 Education Question and Answer, Suggestion
দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) । HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer Suggestion.
WBCHSE HS Class 12th Education Sikhon Kousol Suggestion | দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়)
WBCHSE HS Class 12 Education Sikhon Kousol Suggestion দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর । শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) | HS Class 12 Education Sikhon Kousol Suggestion দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর ।
HS Class 12 Education Sikhon Kousol 4th Semester Question and Answer Suggestions | দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) | দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর
HS Class 12 Education Sikhon Kousol 4th Semester Question and Answer দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর ।
WB HS Class 12 Education Sikhon Kousol Suggestion | দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) সাজেশন
HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer Suggestion দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) সাজেশন । HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer Suggestion দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।
West Bengal HS Class 12 Education Suggestion Download WBCHSE HS Class 12th Education short question suggestion . HS Class 12 Education Sikhon Kousol Suggestion download HS Class 12th Question Paper Education. WB HS Class 12 Education suggestion and important question and answer. HS Class 12 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।
Get the HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer by Bhugol Shiksha .com
HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB HS Class 12 Education Suggestion with 100% Common in the Examination .
Class Twelve XII Education Sikhon Kousol Suggestion | West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) HS Class 12 Exam
HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) HS Class 12 Twelve XII Education Suggestion is provided here. HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free here.
শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” শিখন কৌশল (দ্বিতীয় অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Education Sikhon Kousol Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।





















