Madhyamik Life Science Suggestion
Madhyamik Life Science Suggestion

Madhyamik Life Science Suggestion

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন

Madhyamik Life Science Suggestion(মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (অধ্যায়-১) প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এই Madhyamik Life Science Suggestion (মাধ্যমিক  জীবন বিজ্ঞান সাজেশন) – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (অধ্যায়-১) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর  গুলি আগামী West Bengal Madhyamik Life Science Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সালের পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। আপনারা যারা মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার সাজেশন খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নপত্র ভালো করে পড়তে পারেন। এই পরীক্ষা তে কোশ্চেন গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।

জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (অধ্যায়-১) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik Life Science Suggestion – মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : (মান – 1) Madhyamik Life Science Suggestion – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন 

  1. উদ্ভিদের মূলের চলন সাধারণত কোন দিকে হয় ? a. আলোর দিকে b. অভিকর্ষের অনুকুলে c. অভিকর্ষের প্রতিকুলে d. জলের প্রতিকূলে

উত্তরঃ[b] অভিকর্ষে অনুকুলে হয়

  1. উদ্ভিদের কোন অঙ্গের চলন জলের অনুকূলে ঘটে ? a. কাণ্ড b. মূল c. পাতা d. আকর্ষ

উত্তরঃ[b] মূল

  1. উত্তেজনায় জীবের সাড়া দেওয়ার ধর্মকে বলে – a. উদ্দীপনা b. সংবেদনশীলতা c. উত্তেজিতা d. সহনশীলতা

উত্তরঃ[c] উত্তেজিতা

  1. সূর্যমুখী ফুল আলোকের তীব্রতায় ফোটে, এটি কী প্রকারের চলন ? a. ফোটোট্রপিক b. ফোটোন্যাস্টিক c. থার্মোন্যাস্টিক d. নিকটিন্যাস্টিক

উত্তরঃ[b] ফোটোন্যাস্টিক

  1. নীচের কোনটি মাছের জোড় পাখনা ? a. পৃষ্ঠ পাখনা b. পায়ু পাখনা c. বক্ষ পাখনা d. পুচ্ছ পাখনা

উত্তরঃ[c] বক্ষ পাখনা

  1. মাছকে জলে ডুবাতে ও ভাসাতে সাহায্য করে কোন অঙ্গ ? a. পেশি b. পাখনা c. পটকা d. লঘুমস্তিস্ক

উত্তরঃ[c] পটকা

  1. পায়রার ডানায় বড়ো পালকের (রেমিজেস) সংখ্যা কটি ? a. 23 টি b. 12 টি c. 10 টি d. 22 টি

উত্তরঃ[a] 23টি

  1. প্যারামিসিয়ামের গমন অঙ্গ হল – a. ক্ষণপদ b. সিলিয়া c. ফ্লাজেলা d. কর্ষিকাউত্তরঃ[b] সিলিয়া
  2. জীবের স্বেচ্ছায় স্থান পরিবর্তন করাকে বলে – a. চলন b. সঞ্চালন c. গমন d. চলন ও গমন।

উত্তরঃ[c] গমন

  1. সিলিয়ারি গতি দেখা যায় – a. প্যারামিসিয়ামে b. অ্যামিবায় c. ইউগ্লিনাতে d. কেঁচোতে

উত্তরঃ[a]প্যারামিসিয়ামে

  1. মায়োটোম পেশি গমনে সাহায্য করে কোন্ প্রাণীটিতে ? – a. ব্যাং b. সাপ c. কেঁচো d. মাছ

উত্তরঃ[d] মাছ

  1. বল ও সকেট সন্ধির উদাহরণ হল – a. হাঁটু সন্ধি b. কনুই সন্ধি c. ঊরু সন্ধি d. করোটির অস্থি সন্ধি

উত্তরঃ[c] ঊরুসন্ধি

  1. হাতের বাইসেপস পেশি হল – a. ফ্লেক্সর পেশি b. এক্সটেনসর পেশি c. অ্যাবডাক্টর পেশি d. অ্যাডাক্টর পেশি

উত্তরঃ[a] ফ্লেক্সর পেশি

  1. কোনটি রোটেটর পেশি ? a. পাইরিফরমিস পেশি b. ফ্রেক্সর পেশি c. ডেলটয়েড পেশি d. মায়োটোম পেশি

উত্তরঃ[a] পাইরিফরমিস পেশি

  1. উদ্ভিদ হরমোনের প্রধান কাজ হল – a. কোশে কোশে রাসায়নিক সমন্বয় সাধন করা b. কাণ্ডের বৃদ্ধি ঘটানো c. মূলের বৃদ্ধি ঘটানো d. ফলের বিকাশ ঘটানো

উত্তরঃ[a] কোশে কোশে রাসায়নিক সমন্বয় সাধন করা

  1. ফুল ফোটাতে সাহায্য করে কোন প্রকল্পিত হরমোন ? a. ইথিলিন b. ফ্লোরিজেন c. কাইনিন d. অক্সিন

উত্তরঃ[b] ফ্লোরিজেন

  1. উদ্ভিদের কোন অঙ্গ কম ঘনত্বের অক্সিনে অনুভূতিশীল ? a. মূল b. পাতা c.কাণ্ড d.ফল

উত্তরঃ[b] মূল

  1. উদ্ভিদের পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ঘটায় কোন হরমোন ? a. কাইনিন b. অক্সিন c. জিব্বেরেলিন d. ইথিলিন

উত্তরঃ[c] জিব্বেরেলিন

  1. মাতৃদুগ্ধ ক্ষরণে সহায়তা করে কোন্ হরমোন ? a. LTH b.STH c. ACTH d. GTH

উত্তরঃ[a] LTH

  1. তারারন্ধ্রকে বিস্ফারিত করে কোন হরমোন ? a. অ্যাড্রিনালিন b. নন-অ্যাড্রিনালিন c. ইনসুলিন d. থাইরক্সিন

উত্তরঃ[a] অ্যাড্রিনালিন

  1. স্ত্রীলোকদের স্তনগ্রন্দ্বির বিকাশ ঘটায় কোন হৱমোন ? a. STH b. থাইরক্সিন c. ইস্ট্রোজেন d. প্রোজেস্টেরন

উত্তরঃ[d] প্রোজেস্টেরন

  1. উদ্ভিদের জরা রোগ এবং ক্লোরোফিল বিনষ্টকরণ প্রতিহত করে কোন্ হরমোন ? a. সাইটোকাইনিন b. জিব্বেরেলিন c. কৃত্রিম অক্সিন d. কৃত্রিম জিব্বেরেলিন

উত্তরঃ[a] সাইটোকাইনিন

  1. পত্রমোচন বিলম্বিত করে কোন্ হরমোন ? a. অক্সিন b. জিব্বেরেলিন c. কাইনিন d. ইথিলিন

উত্তরঃ[c] কাইনিন

  1. গলগণ্ড বা গয়টার রোগ হয় কোন হরমোনের অধিক ক্ষরণে ? a. STH b. TSH c. থাইরক্সিন d. অ্যাড্রিনালিন

উত্তরঃ[b] TSH

  1. নীচের কোনটি নিউরোট্রান্সমিটার নয় ?
  2. অ্যাড্রিনালিন b. নন-অ্যাড্রিনালিন c. অ্যাসিটাইলকোলিন d. STH

উত্তরঃ[d] STH

  1. একটি স্টেরয়েডধর্মী হরমোন হল – a. থাইরক্সিন b. ইনসুলিন c. টেস্টোস্টেরন d. অ্যাড্যিনালিন

উত্তরঃ[c] টেস্টোস্টেরন

  1. কোন গ্রন্থিকে মাস্টার গ্র্যান্ড বা প্রভুগ্রন্থি বলে ? a.অগ্ন্যাশয় b. থাইরয়েড c. পিটুইটারি d. পিনিয়াল বডি

উত্তরঃ[c] পিটুইটারি

  1. নিম্নলিখিত কোন হরমোন কম নিঃসৃত হলে ডায়বেটিস ইনসিপিডাস রোগ হয় ? a. ACTH b.STH c. ADH d. GTH

উত্তরঃ[c] ADH

  1. যে নিউরোন দিয়ে গ্রাহক থেকে উদ্দীপনা কেন্দ্রে যায় তাকে কী বলে ? a.সংজ্ঞাবহ নিউরোন b.আজ্ঞাবহ নিউরোন c.সহযোগী নিউরোন d.কোনোটিই ঠিক নয়

উত্তরঃ[a] সংজ্ঞাবহ নিউরোন

  1. স্নায়ুকোশের কোন অংশকে নিউরোসাইটন বলে ? a.অ্যাক্সনকে b.ডেনড্রনকে c.কোশদেহকে d.সমগ্র স্নায়ুকোশকে

উত্তরঃ[c] কোশদেহকে

  1. একটি আজ্ঞাবহ স্নায়ুর নাম হল – a.অপটিক b.অকিউলোমোটর c.ভেগাস d.অলফ্যাক্টরি

উত্তরঃ[b] অকিউলোমোটর

  1. আমাদের হাসি-কান্না, ক্ষুধা-তৃষ্ণা ইত্যাদি মানসিক আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের কোন্ অংশ ? a.থ্যালামাস b.হাইপোথ্যালামাস c.গুরুমস্তিষ্ক d.লঘুমস্তিষ্ক

উত্তরঃ[b] হাইপোথ্যালামাস

  1. দূরের বস্তু দেখার সময় লেন্স – a.মোটা হয় b.পুরু হয় c.পাতলা হয় d.কোনোটিই ঠিক নয়

উত্তরঃ[c] পাতলা হয়

  1. মানুষের দৃষ্টি হল – a.একনেত্র b.দ্বিনেত্র c.উভয় d. কোনোটিই নয়

উত্তরঃ[b] দ্বিনেত্র

  1. ব্যাং এর দৃষ্টি হল – a.একনেত্র b.দ্বিনেত্র c.উভয় d.কোনোটিই নয়

উত্তরঃ[a] একনেত্র

  1. অর্জিত প্রতিবর্তের ব্যাখ্যা দিয়েছেন কোন্ বিজ্ঞানী ? a.স্যার নিউটন b.আইভ্যান প্যাভলভ c. ড.খোরানা d.জগদীশ চন্দ্র বোস

উত্তরঃ[b] আইভ্যান প্যাভলভ

  1. ক্রোধ ও লজ্জা নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের কোন অংশ ? a. লঘুমস্তিষ্ক b.গুরুমস্তিষ্ক c.থ্যালামাস d.হাইপোথ্যালামাস

উত্তরঃ[c] থ্যালামাস

  1. লোভনীয় খাদ্যের দর্শনে লালা ক্ষরণ হয়, এটি নিয়ন্ত্রণ করে – a.গুরুমস্তিষ্ক b.লঘুমস্তিষ্ক c.সুষুম্নাশীর্ষক d.সুষুম্নাকাণ্ড

উত্তরঃ[d] সুষুম্নাকাণ্ড

  1. নিউরোসিলের মধ্যে যে তরল থাকে তাকে বলে – a.হিমোলিম্ফ b.লসিকা c.সেরিব্রোস্পাইনাল তরল d.নিউরোহিউমর

উত্তরঃ[c] সেরিব্রোস্পাইনাল তরল

  1. চক্ষুর বাইরের দিকের স্বচ্ছ স্তরটি হল – a.স্ক্লেরা b.কোরয়েড c.রেটিনা d.কর্নিয়া

উত্তরঃ[a] স্ক্লেরা

  1. একটি লোকাল হরমোন হল – a. থাইরক্সিন b. অ্যাড্রিনালিন c. টেস্টোস্টেরন d. ইনসুলিন

উত্তরঃ[c] টেস্টোস্টেরন

  1. ফ্ল্যাজেলা কোন প্রাণীর গমন অঙ্গ ? a. আরশোলা b. মাছ c. ইউগ্লিনা d. প্যারামিসিয়াম

উত্তরঃ[c] ইউগ্লিনা

  1. মানুষের অক্ষিগোলকের যে অংশটি আলোকসুবেদী – a. কোরয়েড b. ক্লেরা c. কর্নিয়া d. রেটিনা

উত্তরঃ[d] রেটিনা

অতি-সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর : (মান – 1) Madhyamik Life Science Suggestion – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন 

  1. ভলভক্স এর আলোর দিকে গমন চলনের ______ উদাহরণ ।

উত্তরঃ[ফোটোট্যাকটিক]

  1. ______ যন্ত্রের সাহায্যে জগদীশচন্দ্র বসু উদ্ভিদ দেহে প্রতিবর্ত ক্রিয়ার অস্তিত্ব প্রমাণ করেন

উত্তরঃ[রেজোন্যান্ট রেকোর্ডার]

  1. বনচাঁড়ালের পাতার ত্রিফলকের পার্শ্ব পত্ৰক দুটির পর্যায়ক্রমে ওঠানামা হল এক প্রকার ______ চলন ।

উত্তরঃ[প্রকরণ]

  1. সূর্যের আলোর প্রভাবে ট্রপিক চলন হল ______ ।

উত্তরঃ[হেলিওট্রপিজম]

  1. ______ পেশার সংকোচনে গোড়ালি মাটি থেকে ওপরে উঠে আসে ।

উত্তরঃ[গ্যাস্ট্রোকনেমিয়াম]

  1. মাছের ______ ও শ্রোণিপাখনা হল জোড় পাখনা ।

উত্তরঃ[বক্ষ পাখনা]

  1. মাছের মেরুদণ্ডের দুপাশের অস্থিসংলগ্ন পেশির নাম ______ |

উত্তরঃ[মায়োটোম]

  1. গমনে সক্ষম উদ্ভিদ হল ______ ।

উত্তরঃ[ভলভক্স]

  1. সল জেল পরিবর্তনের সাহায্যে ______ প্রাণীর গমন ঘটে ।

উত্তরঃ[অ্যামিবা]

  1. রোটেশন সাহায্যকারী পেশি হল ______ |

উত্তরঃ[পাইরিফরমিস পেশি]

  1. অ্যামিবার গমন পদ্ধতি হল ______ ।

উত্তরঃ[অ্যামিবয়েড]

  1. পাখির উড্ডয়ন দু-প্রকার ______ ও ______ ।

উত্তরঃ[ফ্ল্যাপিং, গ্লাইডিং]

  1. ক্ষণপদ ______ গমন অঙ্গ ।

উত্তরঃ[অ্যামিবার]

  1. অস্থিসন্ধিগুলি ______ বন্ধনি দ্বারা আবদ্ধ থাকে ।

উত্তরঃ[লিগামেন্ট]

  1. ______ নামক প্রাণী গমনে অক্ষম ।

উত্তরঃ[স্পঞ্জ]

  1. হরমোনকে _______ সমম্বায়ক বলে।

উত্তরঃ[রাসায়নিক]

  1. উদ্ভিদ হরমোন _______ কলা থেকে উৎপন্ন হয় ।

উত্তরঃ[ভাজক]

  1. ডাবের জল _______ হরমোন থাকে।

উত্তরঃ[কাইনিন]

  1. প্রানী হরমোন _______ গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় ।

উত্তরঃ[অনাল]

  1. _______ একটি ক্ষারীয় উদ্ভিদ হরমোন।

উত্তরঃ[কাইনিন]

  1. _______ হরমোন DNA রেপ্লিকেশন ত্বরান্বিত করে।

উত্তরঃ[সাইটোকাইনিন]

  1. _______ হরমোন ক্লোরোফিল বিনষ্টিকরণ বিলম্বিত করে।

উত্তরঃ[সাইটোকাইনিন]

  1. _______ একটি গ্যাসীয় হরেমান।

উত্তরঃ[ইথিলিন]

  1. _______ এটি স্টেরয়েড হরমোন।

উত্তরঃ[ইস্ট্রোজেন]

  1. _______ একটি গ্লাইকোপ্রোটিন হরমোন।

উত্তরঃ[FSH]

  1. _______ অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি না হয়েও অন্তঃক্ষরা তন্ত্রের কার্য নিয়ন্ত্রন করে।উত্তরঃ[হাইপোথ্যালামা29. বীজের দ্রুত অঙ্কুরোদ্গম ঘটায় _______ হরমোন।

উত্তরঃ[জিব্বেরেলিন]

  1. প্রথম আবিষ্কৃত উদ্ভিদ হরমোন _______ ।

উত্তরঃ[অক্সিন]

  1. _______ হল অ্যান্টি জিব্বেরেলিন হরমোন।

উত্তরঃ[অ্যাবসিসিক অ্যাসিড]

  1. _______ ঘনত্বে অক্সিন কাণ্ডের বৃদ্ধি ঘটায়।

উত্তরঃ[বেশি]

  1. থাইরক্সিন হরমোনের কম ক্ষরণে শিশুদের _______ রোগ হয়।

উত্তরঃ[ক্রেটিনিজম]

  1. _______ একটি প্রোটিন হরমোন।

উত্তরঃ[ইনসুলিন]

  1. _______ একটি অ্যামাইনো হরমোন।

উত্তরঃ[থাইরক্সিন]

  1. _______ একটি অ্যান্টিডায়াবেটিক হরমোন।

উত্তরঃ[ইনসুলিন]

  1. __________ স্নায়ুকলার ধারক কোশ হিসেবে কাজ করে।

উত্তরঃ[নিউরোগ্নিয়া]

  1. _________ হল স্নায়ুকোশের বৃহৎ বহির্বাহী প্রবর্ধক।

উত্তরঃ[অ্যাক্সন]

  1. অ্যাক্সনের মায়োলিন সিদ্ ও নিউরোলেমার মধ্যে নিউক্লিয়াস যুক্ত ডিম্বাকার কোশকে বলে ________ কোশ।

উত্তরঃ[সোয়ান]

  1. স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র ___________ ও ___________ স্নায়ুতন্ত্র নিয়ে গঠিত।

উত্তরঃ[সমবেদী, পরাসমবেদী]

  1. গুরুমস্তিষ্কের অর্ধগোলক দুটি ___________ নামক স্নায়ুযোজক দিয়ে যুক্ত থাকে।

উত্তরঃ[করপাস ক্যালোসাম]

  1. ___________ হল মেনিনজেসের বাইরের স্তর।

উত্তরঃ[ডুরাম্যাটার]

  1. মস্তিষ্কের ফাঁপা স্থানকে ____________ বলে।

উত্তরঃ[ভেন্ট্রিকল]

  1. __________ -এর দ্বিনেত্রি দৃষ্টি দেখা যায়।

উত্তরঃ[মানুষ]

  1. উদ্ভিদের নাইট্রোজেনবিহীন হরমোন হল ________ ।

উত্তরঃ[জিব্বেরেলিন]

  1. চক্ষুর বাইরের দিকে স্বচ্ছ স্তরটি হল __________ ।

উত্তরঃ[স্ক্লেরা]

নীচের বিবৃতিগুলি সত্য না মিথ্যা লেখো : (মান – 1) Madhyamik Life Science Suggestion – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন 

  1. বনচাঁড়াল উদ্ভিদ ভারতীয় টেলিগ্রাফ উদ্ভিদ নামে পরিচিত । [F]
  2. বনচাঁড়ালের নিদ্রচলন দেখা যায় । [F]
  3. কুমড়ো গাছের কাণ্ডের রোমে সারকুলেশন দেখা যায় । [T]
  4. লজ্জাবতী উদ্ভিদে প্রকরণ চলন দেখা যায় । [F]
  5. Resonent Recorder জগদীশচন্দ্র বসু আবিষ্কার করেন । [T]
  6. টপিক চলন অক্সিন হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় । [T]
  7. ভলভক্স শুষ্ক স্থান থেকে জলের দিকে গমন কেমোট্যাকটিক চলন । [F]
  8. কাণ্ডে প্রতিকূল আলোকবর্তী চলন দেখা যায় । [F]
  9. ইউগ্লিনা সিলিয়ার সাহায্যে গমন করে । [F]
  10. মাছের বক্ষ পাখনা জোড় পাখনা । [T]
  11. যে পেশি অস্থি সন্ধিতে দুটো অস্থিকে দূরে নিয়ে যায় তাকে এক্সটেনসর পেশি বলে । [T]
  12. ডানা দুটিকে প্রসারিত করে বাতাসে ভেসে থাকাকে গ্লাইডিং বলে । [T]
  13. অক্সিন ক্ষারীয় হরমোন। [F]
  14. IAA একটি কৃত্রিম হরমোন। [F]
  15. অক্সিন ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে। [T]
  16. জিব্বেরেলিন পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ঘটায়। [T]
  17. সাইটোকাইনিনের অপর নাম ফাইটোকাইনিন। [T]
  18. কাইনিন ক্লোরোফিল উৎপাদনে সাহায্য করে। [T]
  19. অক্সেইন শব্দের অর্থ বৃদ্ধি হওয়া। [T]
  20. ACTH এর কম ক্ষরণে কুশিং রোগ হয়। [F]
  21. ইনসুলিন অ্যান্টিকিটোজেনিক হরমোন। [T]
  22. এপিনেফ্রিন অ্যাড্রিনাল কর্টেক্স থেকে ক্ষরিত হয়। [F]
  23. থাইরক্সিনের প্রভাবে BMR বৃদ্ধি পায়। [T]
  24. নিউরোফাইব্রিল স্নায়ুকোশের সংকোচনে সহায়তা করে। [T]
  25. অ্যাক্সোপ্লাজমে নিজল দানা থাকে। [F]
  26. ডেনড্রনের শাখাকে ডেনড্রাইট বলে। [T]
  27. অপটিক স্নায়ু মিশ্র স্নায়ু। [F]
  28. সুষুম্না স্নায়ুর সংখ্যা 31 জোড়া। [T]
  29. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের আবরণকে মেনিনজেস বলে। [T]
  30. মানুষের মস্তিষ্কের পাঁচটি ভেন্ট্রিকল থাকে। [F]
  31. মানুষের প্রতিটি চোখে প্রায় 65 লক্ষ কোন কোশ থাকে। [T]
  32. স্নায়ুতন্ত্রের একক হল নেফ্রন। [F]
  33. অ্যাসিটাইল কোলিন একটি নিউরোট্রান্সমিটার। [T]
  34. লজ্জাবতীর পাতা স্পর্শ করলে পাতাগুলি মুড়ে যায়। [T]

দ্বিতীয় জড়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাও : (মান – 1) Madhyamik Life Science Suggestion – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন 

  1. টিউলিপ ফুল : থার্মোন্যাস্টি :: পদ্ম ফুল : ________ ।

উত্তরঃ[ফোটোন্যাস্টি]

  1. অ্যামিবা : সিউডোপপাডিয়া :: ইউগ্লিনা : ________ ।

উত্তরঃ[ফ্ল্যিাজেলা]

  1. সল ও জেল মতবাদ : অ্যামিবয়েড গমন :: মেটাক্রোনাল ছন্দ ________ ।

উত্তরঃ[সিলিয়ারী গমন]

  1. ফিমার : পায়ের অস্থি :: রেডিয়াস : ________ ।

উত্তরঃ[হাতের অথি]

  1. প্রাকৃতিক হরমোন : অক্সিন : : প্রকল্পিত হরমোন : ________ ।

উত্তরঃ[ফ্লোরিজেন]

  1. বামনত্ব : STH :: গয়টার : ________ ।

উত্তরঃ[TSH]

  1. অগ্রস্থ প্রকটতা : অক্সিন :: কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি : ________ ।

উত্তরঃ[কাইনিন]

  1. ভ্রূণমুকুলাবরণী : অক্সিন :: ডাবের জল : ________ ।

উত্তরঃ[কাইনিন]

  1. জিব্বেরেলিন : অ্যাসিটাইল CoA :: ইথিলিন : ________ ।

উত্তরঃ[মিথিওনিন ]

  1. প্রোটিন হরমোন : ইনসুলিন :: স্টেরয়েড হরমোন : ________ ।

উত্তরঃ[ইস্ট্রোজেন]

  1. মিশ্র গ্রন্থি : শুক্রাশয় :: বহিক্ষরা গ্রন্থি : ________ ।

উত্তরঃ[লালাগ্রন্থি]

  1. পুং গোনাড : শুক্রাশয় :: স্ত্রী গোনাড : ________ ।

উত্তরঃ[ডিম্বাশয়]

  1. বৃক্ক নিঃসৃত হরমোন : এরিথ্রোপোয়েটিন :: হৃৎপিণ্ড নিঃসৃত হরমোন : ________ ।

উত্তরঃ[ANF]

  1. ক্ষুদ্রতম অন্তঃক্ষরাগ্রন্থি : পিটুইটারি :: বৃহত্তম অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি : ________ ।

উত্তরঃ[থাইরয়েড]

  1. অ্যাড্রিনাল মেডালা : অ্যাড্রিনালিন :: অ্যাড্রিনাল কর্টেক্স : ________ ।

উত্তরঃ[গ্লুকোকর্টিকয়েড]

  1. ADH : ভেসোপ্রেসিন :: অক্সিটোসিন : ________ ।

উত্তরঃ[পিটোসিন]

  1. পিটুইটারির ওজন : 500 mg :: থাইরয়েডের ওজন : ________ ।

উত্তরঃ[20 gm]

  1. সেরিব্রামের ভাঁজ : গাইরাস :: সেরিব্রামের খাঁজ : _________ ।

উত্তরঃ[সালকাস]

  1. সেরিব্রাম : করপাস ক্যালোসাম :: সেরিবেলাম : _________ ।

উত্তরঃ[ভারমিস]

  1. রড কোশ : মৃদু আলো :: কোন কোশ : _________ ।

উত্তরঃ[উজ্জ্বল আলো ]

  1. মায়োপিয়া : অবতল লেন্স :: হাইপারমেট্রোপিয়া : ________ ।

উত্তরঃ[উত্তল লেন্স]

  1. দূরবন্ধ দৃষ্টি : হাইপারমেট্রোপিয়া :: নিকট বন্ধ দৃষ্টি : ________ ।

উত্তরঃ[মায়োপিয়া ]

  1. গ্রাহক প্রবর্ধক : ডেনড্রন :: প্রেরক প্রবর্ধক : ________ ।

উত্তরঃ[অ্যাক্সন]

  1. প্রতিসারক মাধ্যম : লেন্স :: প্রতিবিম্ব গঠন ________ ।

উত্তরঃ[রেটিনা]

  1. সরল প্রতিবর্ত : সুষুম্নাকাণ্ড :: জটিল প্রতিবর্ত : ________ ।

উত্তরঃ[মস্তিষ্ক]

  1. রড কোশ : 110-125 মিলিয়ন :: কোন কোশ _________ ।

উত্তরঃ[6-7 মিলিয়ন]

  1. স্নায়ুতন্তু : এন্ডোনিউরিয়াম :: কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র : ________ ।

উত্তরঃ[মেনিনজেস]

  1. বৃহত্তম অক্ষিগাোলক : ঘোড়ার :: ক্ষুদ্রতম অক্ষিগোলক : ________ ।

উত্তরঃ[বাঁদরের]

  1. স্তন্যপায়ীদের করোটিয় স্নায়ু : 12 জোড়া :: মাছের করোটিয় স্নায়ু: ________ ।

উত্তরঃ[10 জোড়া]

বিসদৃশ শব্দটি বেছে লেখো : (মান – 1) Madhyamik Life Science Suggestion – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন

  1. কেমোন্যাস্টিক, কলসপত্রী, সন্ধ্যামালতি, সূর্যশিশির 

উত্তরঃ[সন্ধ্যামালতি]

  1. পদ্ম, সূর্যমুখী, ফোটোন্যাস্টিক, টিউলিপ ।

উত্তরঃ[টিউলিপ]

  1. হিউমেরাস, টিবিয়া, আলনা, কারপাল ।

উত্তরঃ[টিবিয়া]

  1. এক্সটেনশন, অ্যাবডাকশন, অ্যাডাক্টর, ফ্লেক্সন ।

উত্তরঃ[অ্যাডাক্টর]

  1. পাইরিফরমিস পেশি, অ্যাডাকটর ম্যাগনাস, ল্যাটিসিমাস ডরসি, লংগাস ।

উত্তরঃ[পাইরিফরমিস পেশি]

  1. লঘু মস্তিষ্ক, অর্ধবৃত্তাকার নালি, ভেস্টিবিউল, গুরু মস্তিষ্ক ।

উত্তরঃ[গুরুমস্তিষ্ক]

  1. ভুট্টার সস্য, ডাবের জল, অঙ্কুরিত চারাগাছ, টম্যাটোর রস।

উত্তরঃ[অঙ্কুরিত চারাগাছ]

  1. IAA, IBA, IPA, NAA ।

উত্তরঃ[IAA]

  1. ট্রপিক চলন, ফুলফোটা, অগ্রন্থ প্রকটতা, মুকুললাম ।

উত্তরঃ[ফুলফোটা]

  1. 2, 4-D, 2, 4, 5-T, GA, IBA ।

উত্তরঃ[GA]

  1. গ্লুকাগন, অ্যাড্রেনালিন, ইনসুলিন, লন ইনসুলিন, সোমাটোস্টেটিন ।

উত্তরঃ[অ্যাড্রিনালিন]

  1. GH, ADH, ইনসুলিন, FSHT ।

উত্তরঃ[ইনসুলিন]

  1. ক্রেটিনিজম, মিক্সিডিমা, গয়টার, বামনত্ব ।

উত্তরঃ[বামনত্ব]

  1. ভেগাস, অপটিক, ফেসিয়াল, ট্রাইজেমিনাল।

উত্তরঃ[অপটিক]

  1. মায়োপিয়া, ক্যাটারাক্ট, হাইপারমেট্রোপিয়া, প্রেসবায়োপিয়া।

উত্তরঃ[ক্যাটারাক্ট]

  1. নিজল দানা, র‍্যানভিয়ারের পর্ব, সোয়ান কোশ, অ্যাক্সোপ্লাজম।

উত্তরঃ[নিজল দানা]

এক কথায় উত্তর দাও : (মান – 1) Madhyamik Life Science Suggestion – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন 

  1. পরিবেশের যে সব পরিবর্তন শনাক্ত হয় এবং প্রাণীদেহে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে তাদের কী বলে ?

উত্তরঃ উদ্দীপক বলে ।

  1. প্রোটোপ্লাজমের আবর্তনগতি বা সারকুলেশন কোথায় দেখা যায় ?

উত্তরঃ কুমড়ো গাছের কাণ্ডের রোমে ।

  1. গমনে সক্ষম একটি উদ্ভিদের নাম কী ?

উত্তরঃ ক্ল্যামাইডোমোনাস ।

  1. প্রকরণ চলন কোথায় দেখা যায় ?

উত্তরঃ বনচাঁড়ালের পত্রকে ।

  1. উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে না হয়ে তীব্রতা অনুসারে হয় তাকে কী চলন বলে ?

উত্তরঃ ন্যাস্টিক চলন ।

  1. উদ্ভিদ দেহের উদ্দীপকের প্রভাবে স্থানান্তরে গমনকে কী বলে ?

উত্তরঃ ট্যাকটিক চলন ।

  1. তেঁতুল পাতার পত্রগুলি প্রখর আলো ও অধিক উষ্নতায় খুলে যায় এবং কম আলো ও কম তাপে মুদে যায়, এটি কী প্রকারের চলন ?

উত্তরঃ নিকটিন্যাস্টিক চলন ।

  1. ক্ষণপদের সাহায্যে গমন হয় কোন প্রাণীর ?  

উত্তরঃ অ্যামিবার ।

  1. মানবদেহের কোন কোশে ক্ষণপদ দেখা যায় ?

উত্তরঃ শ্বেত রক্তকণিকা ।

  1. অ্যামিবার গমনকে কী বলে ?

উত্তরঃ অ্যামিবয়েড গতি ।

  1. একটি মুখ্য জলজ প্রাণীর উদাহরণ দাও ।

উত্তরঃ মাছ মুখ্য জলজ প্রাণী ।

  1. একটি মুখ্য খেচর প্রাণীর উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ পায়রা মুখ্য খেচর প্রাণী ।

  1. একটি অ্যাবডাক্টর পেশির উদাহরণ দাও ।

উত্তরঃ ডেলটয়েড পেশি।

  1. যে প্রক্রিয়ায় কোনো অঙ্গাকে দেহাক্ষের নিকটবর্তি হতে সাহায্য করে তাকে কী বলে ?  

উত্তরঃ অ্যাডাকশন বলে।

  1. একটি অ্যাক্টর পেশির উদাহরণ দাও ।

উত্তরঃ ল্যাটিসিমাস ডরসি ।

  1. রোটেশন কাকে বলে?

উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ার দেহের কোনো অংশ আবর্তিত হয় তা রোটেশন বলে ।

  1. মানবদেহের দীর্ঘতম অস্থি কোনটি ?

উত্তরঃ ফিমার ।

  1. একটি এক্সটেনসর পেশির উদাহরণ দাও ।

উত্তরঃ ট্রাইসেপস ।

  1. কৃষিক্ষেত্রে আগাছা নির্মূল করার জন্য কোন্ কৃত্রিম হরমোন প্রয়োগ করা হয় ?

উত্তরঃ কৃত্রিম অক্সিন (2, 4-D)।

  1. পত্রমোচন বিলম্বিত করে কোন হরমোন ?

উত্তরঃ সাইটোকাইনিন।

  1. জিব্বেরেলিনের রাসায়নিক উপাদানগুলি কী কী ?

উত্তরঃ জিব্বেরেলিনের রাসায়নিক উপাদানগুলি হল- কার্বন,হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন।

  1. জিব্বেরেলিনের দুটি উৎস উল্লেখ করো।

উত্তরঃ জিব্বেরেলিন উদ্ভিদের পরিপক্ক বীজে ও বীজপত্রে পাওয়া যায়।

  1. উদ্ভিদের অগ্রথ প্রকটতা ঘটায় কোন হরমোন?

উত্তরঃ অক্সিন।

  1. হরমোনের পরিণতি কী ?

উত্তরঃ হরমোন ক্রিয়ার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

  1. একটি ট্রফিক হরমোনের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ থাইরোট্রফিক হরমোন বা TSH ।

  1. আয়োডিন কোন হরমোনের উপাদান ?

উত্তরঃ থাইরক্সিন।

  1. প্রাণী হরমোনের উৎস কী ?

উত্তরঃ এন্ডোক্রিন গ্রন্থি বা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি।

  1. একটি অ্যামাইনোধর্মী হরমোনের নাম কী ?

উত্তরঃ অ্যাড্রিনালিন।

  1. GH-এর পুরো নাম কী ?

উত্তরঃ গ্রোথ হরমোন ।

  1. GTH এর পুরো নাম কী ?

উত্তরঃ গোনাডোট্রফিক হরমোন।

  1. LH হয় পুরো নাম কী ?

উত্তরঃ লিউটিনাইজিং হরমোন।

  1. LTH হয় পুরো নাম কী ?

উত্তরঃ লিউটোট্রফিক হরমোন।

  1. অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি থেকে কী কী হরমোন নিঃসৃত হয় ?

উত্তরঃ অ্যাড্রিনালিন ও নন অ্যাড্রিনালিন।

  1. GH এর কম ক্ষরণে কী রোগ হয় ?

উত্তরঃ বামনত্ব বা ডোয়ারফিজম।

  1. GH এর অধিক ক্ষরণে কী রোগ হয় ?

উত্তরঃ জাইগ্যানটিজম বা অতিকায়ত্ব।

  1. অ্যাক্রোমেগালি রোগ কী কারণে হয় ?

উত্তরঃ STH এর অধিক ক্ষরণের ফলে হয়।

  1. কারক কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে সব অঙ্গ উদ্দীপনায় উদ্দীপিত হয় তাকে কারক বা ইফেকটর বলে। যেমন—গ্রন্থি ও পেশি ।

  1. স্নায়ুকোশের দীর্ঘ প্রবর্ধকের নাম কী ?

উত্তরঃ অ্যাক্সন ।

  1. অ্যাক্সনের শেষ প্রান্তের সূক্ষ্ম শাখাগুলিকে কী বলে ?

উত্তরঃ প্রান্তবুরুশ বলে ।

  1. একটি ইফারেন্ট স্নায়ুর (আজ্ঞাবহ স্নায়ু) উদাহরণ দাও ।

উত্তরঃ অকিউলোমোটর স্নায়ু ।

  1. নিউরোন কত প্রকারের ?

উত্তরঃ নিউরোন প্রধানত তিন প্রকারের, যথা—(i) সংজ্ঞাবহ নিউরোন, (ii) আজ্ঞাবহ নিউরোন ও (ii) সহযোগী নিউরোন।

42.স্নায়ুতন্ত্রের একক কী ?

উত্তরঃ স্নায়ুকোশ বা নিউরোন।

  1. একটি নিউরোহরমোনের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ ভেসোপ্রেসিন বা ADH ।

  1. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান অংশ দুটি কী কী?

উত্তরঃ মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড ।

  1. স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র কত প্রকারের?

উত্তরঃ স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র দুপ্রকারের যথা- সমবেদী ও পরাসমবেদী ।

  1. গুরুমস্তিষ্কের কটি গোলার্ধ এবং কী কী?

উত্তরঃ দুটি গোলার্ধ-বাম গোলার্ধ ও ডান গোলার্ধ ।

  1. সুষুম্নাকাণ্ডের শেষ প্রান্তের সূঁচালো অংশকে কী বলে?

উত্তরঃ ফাইলাম টারমিনেল ।

  1. প্রাত্যহিক জীবন থেকে প্রতিবর্তের একটি গুরুত্ব উল্লেখ করো ।

উত্তরঃ খেতে খেতে শ্বাসনালিতে কিছু আটকে গেলে বিষম খাওয়া বা কাশি হওয়া ।

  1. চক্ষুর কোন স্তরে বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?

উত্তরঃ রেটিনায় বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয় ।

  1. লেন্স এর কাজ কী ?

উত্তরঃ আলোর প্রতিসরণ ঘটিয়ে রেটিনায় ফোকাস সৃষ্টি করে ।

  1. ভিট্রিয়াস হিউমর কোথায় থাকে ?

উত্তরঃ লেন্স-এর পশ্চাদ প্রকোষ্ঠে থাকে ।

  1. স্নায়ুতন্ত্রের গঠনমূলক ও কার্যমূলক উপাদান কোনটি ?

উত্তরঃ নিউরোন বা স্নায়ুকোশ ।

  1. লঘুমস্তিষ্কের গোলকদ্বয়ের সংযোজক কোনটি ?

উত্তরঃ ভারমিস ।

সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : (মান – 1) Madhyamik Life Science Suggestion – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন

  1. চলন বা সঞ্চালন কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বতঃস্ফুর্তভাবে বা কোনো উদ্দীপকের প্রভাবে দেহের কোনো অংশ বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঙ্গালন করে তাকে চলন বা সঞ্চালন বলে ।

  1. ট্রপিক ও ট্যাকটিক চলনের মূল পার্থক্য কী ?

উত্তরঃ ট্রপিক চলনে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয় না, ট্যাকটিক চলনে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয়।

  1. জিওট্রপিক চলন কাকে বলে?

উত্তরঃ উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন অভিকর্ষের গতিপথ অনুসারে হয়, তখন তাকে জিওট্রপিক চলন বলে । যেমন— উদ্ভিদের মূল অভিকর্ষের টানে মাটির গভীরে প্রবেশ করে ।

  1. প্রাণীদের গমনের দুটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করো ।

উত্তরঃ প্রাণীদের গমনের দুটি উদ্দেশ্য হল- (i) খাদ্য অন্বেষণের জন্য প্রাণীদের গমন হয় । (ii) বাসস্থান খোঁজার জন্য প্রাণীদের গমন হয় ।

  1. সিলিয়ারি গমন কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।

উত্তরঃ সিলিয়ার আন্দোলনের সাহায্যে যে গমন তাকে সিলিয়ারি গমন বা সিলিয়ারি গতি বলে| যেমন -প্যারামিসিয়ামের গমন ।  

  1. মাছের গমনে পুচ্ছ পাখনার ভূমিকা কী ?

উত্তরঃ পুচ্ছ পাখনা গমনকালে মাছকে দিক পরিবর্তনে সাহায্য করে ।

  1. মানুষের গমনকালে ভারসাম্য রক্ষা করে কোন কোন অঙ্গ ?

উত্তরঃ মানুষের গমনকালে লঘুমস্তিষ্ক এবং কর্ণের অর্ধচন্দ্রাকার নালি ও অটোলিথ যন্ত্র দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে ।

  1. সচল অস্থিসন্ধি কাকে বলে? উদাহরণ দাও ।

উত্তরঃ দুটি অস্থির সংযোগস্থলকে অস্থিসন্ধি বলে । যে সব অস্থিসন্ধি নড়াচড়া করতে পারে তাদের সচল অস্থিসন্ধি বলে। যেমন-হিপ সন্ধি, হাঁটু সন্ধি।

  1. কব্জা সন্ধি কাকে বলে ? একটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ একটি অস্থির গোল প্রান্ত যখন অপর একটি অস্থির অর্ধগোলাকার অবতল অঙ্গে যুক্ত থাকে, তখন তাকে কব্জা সন্ধি বলে। হাঁটু সন্ধি, কনুই সন্ধি এই প্রকারের সন্ধি ।

  1. হরমোন ও উৎসেচকের দুটি পার্থক্য কী ?

উত্তরঃ (i) হরমোন ক্রিয়ার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, কিন্ত উৎসেচক ক্রিয়ার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় না। (ii) হরমোন অন্তঃক্ষরা কোশ থেকে নিঃসৃত হয়। কিন্তু উৎসেচক বহিঃক্ষরা কোশ থেকে ক্ষরিত ।

  1. হরমোনের দুটি কাজ উল্লেখ করো ।

উত্তরঃ (1) হরমোন জীবদেহের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। (2) হরমোন জীবদেহে যৌন লক্ষণ প্রকাশে সাহায্য করে।

  1. হরমোনকে রাসায়নিক দূত বলে কেন ?

উত্তরঃ হরমোন কোশে কোশে রাসায়নিক বার্তা বহন করে তাই হরমোনকে রাসায়নিক দূত বলে।

  1. সাইটোকাইনিনের দুটি কাজ বা ভূমিকা উল্লেখ করো ।

উত্তরঃ (i) সাইটোকাইনিন অগ্রমুকুলের বৃদ্ধির হ্রাস ঘটিয়ে পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ঘটায়। (ii) পত্রমোচন বিলম্বিত করে এবং ক্লোরোফিল বিনষ্টকরণ প্রতিহত করে।

  1. উদ্ভিদের একটি প্রকল্পিত হরমোনের নাম ও তার কাজ উল্লেখ করা ।

উত্তরঃ উদ্ভিদের একটি প্রকল্পিত হরমোন হল ফ্লোরিজেন। এটি ফুল ফোটাতে সাহায্য করে।

  1. অক্সিনের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো ।

উত্তরঃ (1) অক্সিনের প্রবাহ সবসময় মেরুবর্তী (1) অক্সিনের ক্রিয়া অন্ধকারে ভালো হয়।

  1. জিব্বেরেলিনের প্রধান কাজ কী ?

উত্তরঃ জিব্বেরেলিনের প্রধান কাজগুলি হল খর্বাকার উদ্ভিদের বৃদ্ধি, কাক্ষিক মুকুলের পরিস্ফুটন এবং বীজের সুপ্ত অবস্থা ভঙ্গ করতে সাহায্য করা।

  1. অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি কাকে বলে ? একটি উদাহরণ দাও ।

উত্তরঃ যে স্থির ক্ষরিত বস্তু নালিপথের মাধ্যমে বাইরে আসে না, সরাসরি রক্তে মিশে যায়, তাকে অন্তঃক্ষরা বা অনাল গ্রন্থি বলে। যেমন পিটুইটারি, থাইরয়েড।

  1. হরমোন উৎপাদক গ্রন্থিকে অনাল গ্রন্থি বলে কেন ?

উত্তরঃ হরমোন উৎপাদক গ্রন্থির কোনো নালি থাকে না, ফলে এই গ্রন্থির ক্ষরিত রস (হরমোন) গ্রন্থিকলার বাইরে আসতে পারে তাই হরমোন উৎপাদক গ্রন্থিকে অনাল গ্রন্থি বলে।

  1. প্রাণী হরমোনের ধর্ম কীরূপ ?

উত্তরঃ হরমোন প্রোটিনধর্মী বা স্টেরয়েডধর্মী বা অ্যামাইনোধর্মী।

  1. অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির অপর নাম কী ? এটি কোথায় অবস্থিত ?

উত্তরঃ অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির অপর নাম সুপ্ৰারেনাল গ্রন্থি। এটি বুকের ওপর অবস্থিত।

  1. হাইপো ও হাইপারগ্লাইসিমিয়া কাকে বলে ?

উত্তরঃ রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক অপেক্ষা কমে গেলে তাকে হাইপোগ্লাইসিমিয়া এবং শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি হলে তাকে হাইপারগ্লাইসিমিয়া বলে।

  1. কখন মূত্রের সঙ্গে শর্করা নির্গত হয় ? ওই অবস্থাকে কী বলে ?

উত্তরঃ যখন 100 সিসি রক্তে শর্করার পরিমাণ 18০ মিগ্রা হয়, তখন মূত্রের সঙ্গে শর্করা নির্গত হয় ওই অবস্থাকে গ্লুকোসুরিয়া বলে।

  1. নিওপ্লুকোজেনেসিস বা গ্লুকোনিওজেনেসিস কাকে বলে ?

উত্তরঃ করা ছাড়া প্রোটিন, ফ্যাট ইত্যাদি উপাদান থেকে গ্লাইকোজেন বা গ্লুকোজ উৎপাদনকে নিওপ্লুকোজেনেসিস বা গ্লুকোনিওজেনেসিস বলে।

  1. অগ্ন্যাশয়কে মিশ্রগ্রন্থি বলার কারণ কী ?

উত্তরঃ অগ্ন্যাশয় সনাল ও অনাল উভয় প্রকার গ্রন্থির সমন্বয়ে গঠিত হওয়ায় একে মিশ্রগ্রন্থি বলা হয়।

  1. শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয় থেকে নিঃসৃত একটি করে হরমোনের নাম ও তাদের কাজ উল্লেখ করো ।

উত্তরঃ শুক্রাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন টেস্টোস্টেরন, যা পুরুষদেহে গৌণ যৌনলক্ষণ প্রকাশে সহায়তা করে। ডিম্বাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন ইস্ট্রোজেন, যা নারীদেহে গৌণ যৌনলক্ষণ প্রকাশে সহায়তা করে।

  1. অ্যাড্রিনালিনের উৎস ও কাজ উল্লেখ করো ।

উত্তরঃ অ্যাড্রিনালিন অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির মেডালা থেকে নিঃসৃত হয়। খাড়া হতে সাহায্য করে। এই হরমোন অণুর গ্রন্থির ক্ষরণ বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের রোম খাড়া হতে সাহায্য কর।

  1. শুক্রাশয় কোথায় অবস্থিত ?

উত্তরঃ শুক্রাশয় পুরুষ মানুষের দেহগহ্বরের বাইরে ফ্লোটাম নামক থলির মধ্যে অবস্থিত।

  1. ADH-এর পুরো নাম উৎস ও কাজ উল্লেখ করো ।

উত্তরঃ ADH- এর পুরো নাম অ্যান্টি ডাইইউরেটিক হরমোন। এর উৎস পিটুইটারির পশ্চাদভাগ। এটি বৃক্কীয় নালির পুনঃশোষণে। সহায়তা করে।

  1. মিশ্র স্নায়ু কাকে বলে ? এর উদাহরণ কী ?

উত্তরঃ যে স্নায়ু সেনসরি ও মোটর উভয় নিউরোন দিয়ে গঠিত, তাকে মিশ্র স্নায়ু বলে। যেমন—ভেগাস স্নায়ু ।

  1. স্নায়ুর কাজ কী ?

উত্তরঃ স্নায়ুর কাজ হল-(i) রিসেপটর বা গ্রাহক থেকে উদ্দীপনা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে প্রেরণ করা এবং (ii) কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে সাড়াকে কারক অঙ্গে প্রেরণ করা ।

  1. সহযোগী নিউরোন কাকে বলে? এটি কোথায় অবস্থিত ?

উত্তরঃ যে নিউরোন সেনসরি ও মোটর নিউরোনের মধ্যে সংযোগসাধন করে, তাকে সহযোগী নিউরোন বলে। এই প্রকার নিউরোন কেবল সুষুম্নাকাণ্ডে থাকে।

  1. অ্যাক্সন হিলক কাকে বলে ?

উত্তরঃ অ্যাক্সনটি কোশদেহের যে অংশে সংযুক্ত থাকে সেই অংশটিকে অ্যাক্সন হিলক বলে। এই অংশে মায়েলিন সিদ এবং নিউরিলেমা থাকে না ।

  1. অ্যাক্সনের আবরণীগুলি কী কী ?

উত্তরঃ অ্যাক্সনের আবরণীগুলি হল—অ্যাক্সোলেমা, মায়েলিন সিদ বা মেডুলারি আবরণ এবং নিউরিলেমা ।

  1. স্নায়ুগ্রন্থি কাকে বলে ? এর কাজ কী কী ?

উত্তরঃ কয়েকটি স্নায়ুকোশের কোশদেহগুলি মিলিত হয়ে যে গ্রন্থি গঠন করে, তাকে স্নায়ুগ্রন্থি বলে । স্নায়ু সৃষ্টি করা এর প্রধান কাজ ।

  1. স্নায়ুসন্ধির কাজ কী?

উত্তরঃ পূর্ববর্তী নিউরোন থেকে স্নায়ু-সংবেদকে পরবর্তী নিউরোনে পৌছে দেওয়া স্নায়ুসন্ধির কাজ ।

  1. সহজাত ও অভ্যাসমূলক প্রতিবর্ত বলতে কী বোঝো?

উত্তরঃ যেসব প্রতিবর্ত বংশগত সূত্রে পূর্বপুরুষ থেকে প্রাপ্ত, তাদের সহজাত প্রতিবর্ত এবং যেসব প্রতিবর্ত জন্মের পর অনুশীলন বা অভ্যাসের মাধ্যমে অর্জিত হয়, তাকে অভ্যাসমূলক প্রতিবর্ত বলে

  1. গুরুমস্তিষ্কের কাজ কী ?

উত্তরঃ গুরুমস্তিষ্ক প্রাণীদের বুদ্ধি, চিন্তা, স্মৃতি, দর্শন, ঘ্রাণ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে ।

  1. সুষুম্নাশীৰ্ষকের কাজ কী ?

উত্তরঃ সুষুম্নাশীর্ষক প্রাণীদের হৃদস্পন্দন, শ্বাসক্রিয়া, ঘাম নিঃসরণ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে ।

  1. করপাস ক্যালোসাম কাকে বলে ?

উত্তরঃ গুরুমস্তিষ্কের গোলার্ধদ্বয় যে স্নায়ু-যোজক দিয়ে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাকে করপাস ক্যালোসাম বলে ।

  1. কোল্যাটারাল কাকে বলে ?

উত্তরঃ অ্যাক্সনের র‍্যানভিয়ারের পর্ব থেকে অনেক সময় সূক্ষ্ম শাখা নির্গত হয়, অ্যাক্সনের এরূপ শাখাকে কোল্যাটারাল বলে ।

  1. প্রতিবর্ত ক্রিয়ার দুটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ (i) চোখে তীব্র আলো পড়লে তারারন্ধ্র সংকুচিত হয়। (ii) খাদ্যের দর্শনে বা ঘ্রাণে লালা নিঃসরণ হওয়া।

  1. জন্মগত প্রতিবর্ত কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।

উত্তরঃ যে সব প্রতিবর্ত পুর্বপুরুষ থেকে প্রাপ্ত এবং কোনো শর্তের অধীন নয়, তাদের জন্মগত প্রতিবর্ত বলে। যেমন- জন্মের সঙ্গে সঙ্গে শিশুর স্তনপানের ইচ্ছা ।

  1. জ্ঞানেন্দ্রিয় কাকে বলে?

উত্তরঃ প্রাণীদের যে সব গ্রাহক অঙ্গ পরিবেশ থেকে বিশেষ বিশেষ উদ্দীপনা গ্রহণ করে নির্দিষ্ট স্নায়ুর মাধ্যমে স্নায়বিক কেন্দ্রে পাঠিয়ে সেখানকার নির্দেশ পালন করে, তাদের জ্ঞানেন্দ্রিয় বলে ।

  1. চক্ষুর প্রতিসারক মাধ্যমগুলি কী কী ?

উত্তরঃ চক্ষুর প্রতিসারক মাধ্যমগুলি হল— কর্নিয়া, অ্যাকুয়াস হিউমর, লেন্স, ভিট্রিয়াস হিউমর ।

  1. অশ্রুতে কী এনজাইম থাকে ? এর কাজ কী ?

উত্তরঃ অশ্রুতে লাইসোজাইম নামক এনজাইম থাকে। এই এনজাইম ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ।

  1. রেটিনা কাকে বলে ? এর কাজ কী ?

উত্তরঃ অক্ষিগোলকের একেবারে ভিতরের দিকে অবস্থিত স্নায়ুকোশ দিয়ে গঠিত স্তরটিকে রেটিনা বলে। রেটিনাতে বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।

  1. দ্বিনেত্র দৃষ্টি কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যখন দুটি চোখ দিয়ে একসঙ্গে একই বস্তুর প্রতিবিম্ব দেখা যায় তাকে দ্বিনেত্র দৃষ্টি বলে। যেমন—মানুষ, পেঁচা ইত্যাদি।

  1. মায়োপিয়া কাকে বলে? কীভাবে এর ত্রুটি দূর করা যায়?

উত্তরঃ যে দৃষ্টিতে দূরের দৃষ্টি ব্যাহত হয়, কিন্তু নিকটের দৃষ্টি ঠিক থাকে তাকে মায়োপিয়া বলে । অবতল লেন্স যুক্ত চশমা ব্যবহার করলে এই ত্রুটি দূর হয় ।

  1. প্রেসবায়োপিয়া কাকে বলে ? কীভাবে এই ত্রুটি দূর করা যেতে পারে ?

উত্তরঃ 40 বছর এবং তার বেশি বয়সের লোকদের লেন্স এর স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কাছের বস্তু স্পষ্টভাবে দেখতে পায় না । বাইফোকাল লেন্সযুক্ত চশমা ব্যবহার করলে এই ত্রুটি দূর হয় ।

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর : (মান – 5) Madhyamik Life Science Suggestion – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (অধ্যায়-১) প্রশ্নউত্তর – মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন

  1. ট্রপিক চলন কাকে বলে ? বিভিন্ন প্রকার ট্রপিক চলন সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ ট্রপিক চলন-উদ্দীপকের উৎসের দিকে বা গতিপথের দিকে উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে ট্রপিক বা দিগনির্ণীত চলন বলে। এটি প্রধানত তিন প্রকারের ।যথা-

(a) ফোটোট্রপিক চলন : আলোক উৎসের দিকে বা আলোর গতিপথের দিকে উদ্ভিদের চলনকে ফোটোট্রপিক চলন বলে।

(b) হাইড্রোট্রপিক চলন : জলের উৎসের দিকে উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে হাইড্রোট্রপিক চলন বলে ।

উদাহরণ— জলের উৎসের দিকে উদ্ভিদের মূলের চলন ।

(c) জিওট্রপিক চলন : মাধ্যাকৰ্ষণ শক্তির প্রভাবে বা অভিকর্ষ বলের প্রভাবে বা টানে পৃথিবীর ভরকেন্দ্রের দিকে উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে জিওট্রপিক চলন বলে ।

উদাহরণ— অভিকর্ষ বলের প্রভাবে উদ্ভিদের মূলের মাটির ভিতরে অগ্রসর হওয়া ।

  1. লজ্জাবতী স্পর্শ করলে পত্রকগুলি নুয়ে যায় এবং বনচাঁড়ালের পাতার নীচের পাতা দুটি পর্যায়ক্রমে ওঠানামা করে—এর কারণ কী ? উদ্ভিদের চলন কত প্রকারের হয় ? 2+3=5

উত্তরঃ লজ্জাবতী লতার পাতা স্পর্শ করা মাত্র পাতা মধ্যস্থ রসস্ফীতি চাপ কমে যাওয়ায় পত্রকগুলি নুয়ে পড়ে (সিসমেন্যাস্টি চলন)। আবার বনচাঁড়াল উদ্ভিদের (Desmodium gyrans) পরিণত কোশের রসস্ফীতির হ্রাস ও বৃদ্ধির ফলে বনচাঁড়াল উদ্ভিদের তিনটি ফলকের দুই পাশের ফলক দুটি পর্যায়ক্রমে ওঠানামা করতে থাকে । একে প্রকরণ চলন (Movement of variation) বলে ।

উদ্ভিদের চলনের প্রকার ও উদ্ভিদের চলন প্রধানত তিন প্রকার: যথা—ট্যাকটিক চলন, ট্রপিক চলন ও ন্যাস্টিক চলন ।

  1. উদ্ভিদের প্রধান তিন প্রকার চলন উদাহরণযোগে সংক্ষেপে আলোচনা করো ।

উত্তরঃ উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রকার চলন ও উদ্ভিদের চলন প্রধানত তিন প্রকারের, যথা—ট্যাকটিক চলন, ন্যাস্টিক চলন এবং ট্রপিক চলন ।

ট্যাকটিক চলন: বহিঃস্থ উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ অঙ্গের স্থান পরিবর্তনকে ট্যাকটিক চলন বা আবিষ্ট চলন বলে ।

উদাহরণ : (i) আলোক উদ্দীপকের প্রভাবে শৈবালের স্থান পরিবর্তন । (ii) মস, ফার্ন ইত্যাদি উদ্ভিদের শুক্রাণুর যথাক্রমে গ্লুকোজ ও ম্যালিক অ্যাসিডের প্রভাবে ডিম্বাণুর দিকে চলন ।

ন্যাস্টিক চলন : উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে না হয়ে উদ্দীপকের তীব্রতা অনুসারে হয়, তখন তাকে ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলন বলে ।

উদাহরণ : (1) লজ্জাবতী লতা স্পর্শ করলে তৎক্ষণাৎ পত্রকগুলি মুদে যায় । (ii) পদ্মফুল তীব্র আলোকে ফোটে এবং কম আলোক মুদে যায় ।

ট্রপিক চলন : উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের উৎসের গতিপথ অনুসারে হয়, তখন তাকে ট্রপিক চলন বা দিকনির্ণীতি চলন বলে ।

উদাহরণ : উদ্ভিদের বিটপের আলোর উৎসের দিকে গমন ।

  1. ন্যাস্টিক চলন কাকে বলে ? উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রকার ন্যাস্টিক চলন উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করো। 2+3=5

উত্তরঃ সংজ্ঞা : উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে না হয়ে উদ্দীপকের তীব্রতা অনুসারে হয়, তখন তাকে ন্যাস্টিক চলন বলে।

ন্যাস্টিক চলনের প্রকারভেদ : ন্যাস্টিক চলন নিম্নলিখিত প্রকারের হয়; যেমন—ফোটোন্যাস্টি, থার্মোন্যাস্টি, কেমোন্যাস্টি এবং সিসমেন্যাস্টি।

  1. ফোটোন্যাস্টি : আলোর তীব্রতার প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের যে চলন হয়, তাকে ফোটোন্যাস্টিক চলন বলে।

উদাহরণ : পদ্মফুল, সূর্যমুখী ফুল প্রভৃতি তীব্র আলোকে ফোটে, আবার কম আলোকে মুদে যায়।

  1. থার্মোন্যাস্টি : উষ্নতার তীব্রতার প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে থার্মোন্যাস্টি চলন বলে।

উদাহরণ : টিউলিপ ফুল বেশি উষ্ণতায় ফোটে এবং কম উষ্নতায় মুদে যায় ।

  1. কেমোন্যাস্টি : কোনো রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে সংঘটিত ন্যাস্টিক চলনকে কেমোন্যাস্টি চলন বলে।

উদাহরণ : সূর্যশিশির উদ্ভিদের পাতার রোম প্রোটিনের (পতঙ্গ) সংস্পর্শে আসা মাত্রা পতঙ্গের দিকে বেঁকে যায় এবং পতঙ্গকে আবদ্ধ করে ।

  1. সিসমোন্যাস্টি : স্পর্শ,ঘর্ষণ বা আঘাতের ফলে যে ন্যাস্টিক চলন হয়, তাকে সিসমেন্যাস্টি চলন বলে।

উদাহরণ : লজ্জাবতী লতার পাতা স্পর্শ করা মাত্র পাতার পত্রকগুলি মুদে যায় বা নুয়ে পড়ে।

  1. ট্যাকটিক চলন কাকে বলে ? এটি কয় প্রকারের হয় ? ফোটোট্যাকটিক চলন উদাহরণ দিয়ে বোঝও।3+2=5

উত্তরঃ ট্যাকটিক চলনের সংজ্ঞা : বহিঃস্থ উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ অঙ্গের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তনকে ট্যাকটিক চলন বলে।

ট্যাকটিক চলন তিন প্রকারের হয় : (i) ফোটোট্যাকটিক চলন, (ii) থার্মোট্যাকটিক চলন এবং (iii) কেমোট্যাকটিক চলন।

আলোক উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদের আলোর দিকে যে চলন ঘটে তাকে ফোটোট্যাকটিক চলন বলে।

যেমন, শৈবালদের আলোক উৎসের দিকে অগ্রসর হওয়া।

  1. ইনসুলিন কোথা থেকে ক্ষরিত হয়? এর দু’টি কাজ লেখো। এর অভাবে কোন রোগ হয় ? এই রোগের লক্ষণ কী ?

উত্তরঃ অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যান্স থেকে ক্ষরিত হয় ।

ইনসুলিনের কাজ :

(i) ইনসুলিন কার্বোহাইড্রেট বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে রক্তে ঢুকোজ-এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে ।

(ii) ইনসুলিন শর্করা থেকে সুকোজ উৎপাদনে বাধা দান করে।

(iii) ইনসুলিন যকৃতে কিটোন বডি উৎপাদনে বাধা দান করে। তাই একে অ্যান্টিকিটোজেনিক হরমোন বলে।ইনসুলিনের অভাবে মধুমেহ বা ডায়াবেটিস মেলিটাস রোগ হয়।

রোগের লক্ষণ:(i) মূত্রের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বৃদ্ধি পায়।(iii) মূত্রে শর্করা থাকে।(iii)প্রবল তৃষ্ষা হয়।

  1. জিব্বেরেলিন হরমোনের উৎস এবং কাজ লেখো।

উত্তরঃ জিব্বেরেলিনের উৎস: পরিপক্ক বীজ, অঙ্কুরিত চারাগাছ, বীজের বীজপত্র ইত্যাদি স্থানে জিব্বেরেলিনের উৎপন্ন হয়।

কাজ –(i)বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ: জিব্বেরেলিনের হরমোন উদ্ভিদের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি এবং পাতার আয়তন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

(ii) সুপ্তাবস্থা ভঙ্গকরণ: জিব্বেরেলিনের উদ্ভিদের বীজ ও মুকুলের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ করতে সাহায্য করে।

(iii) ফুলের প্রফুটন: জিব্বেরেলিন সমস্ত উদ্ভিদে ফুল ফোটাতে সাহায্য করে ।

(iv)ফল গঠন: এটি ফল গঠনে এবং কিউকারবিটেসি গোত্রযুক্ত উদ্ভিদের লিঙ্গ প্রকাশে সাহায্য করে।

জিব্বেরেলিনের রাসায়নিক নাম জিব্বেরেলিক অ্যাসিড।

  1. হরমোনের সংজ্ঞা দাও। মানবদেহে ৪টি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির অবস্থান ও নিঃসৃত হরমোনের নাম লেখো।

উত্তরঃ হরমোন: যে জৈব রাসায়নিক পদার্থ অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিকোশ থেকে বা বিশেষ কলাকোশ থেকে ক্ষরিত হয়ে দূরবর্তী স্থানের কলাকোশের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে ।এবং ক্রিয়ার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় তাকে হরমোন বলে ।

অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির নাম অবস্থান নিঃসৃত হরমোনের নাম
পিটুইটারি গ্রন্থি মস্তিষ্কের মূলদেশে স্ফেনয়েড অস্থির সেলাটারসিকা প্রকোষ্টে STH,TSH,ACTH,FSH,LH, ইত্যাদি
থাইরয়েড গ্রীবাদেশে ল্যারিংসের নীচে ট্রাকিয়ার দু’পাশে থাইরক্সিন ও থাইরোক্যালসিটোনিন
অগ্ন্যাশয় পাকস্থলীর নীচে ডিওডিনামের বামপাশে ইনসুলিন, গ্লুকাগন
অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি বৃক্কের উপরে অ্যাড্রিনালিন ও নর-অ্যাড্রিনালিন
  1. পার্থক্য লেখো– হরমোন ও উৎসেচক ।

উত্তরঃ

হরমোন উৎসেচক
হরমোন অনাল গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয় । উৎসেচক সব সজীব কোশ থেকে ক্ষরিত হয়।
হরমোন সরাসরি রক্ত বা লসিকার ও সঙ্গে মিলিত হয়ে বাহিত হয় । উৎসেচক নালির মাধ্যমে বাহিত হয় ।
হরমোন উৎপত্তিস্থলে ক্রিয়া করে না । ক্রিয়ার পর অপরিবর্তিত থাকে ।
হরমোন রাসায়নিক বার্তাবহ রূপে কাজ করে । এটি রাসায়নিক বার্তাবহ রূপে কাজ করে না ।
  1. হরমোনের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো । হরমোনের দুটি কাজ উল্লেখ করো ।

উত্তরঃ হরমোনের বৈশিষ্ট্য:

(i) রাসায়নিক ধর্মে হরমোন প্রোটিনধৰ্মী,অ্যামাইনোধৰ্মী, লিপিডধর্মী বা স্টেরয়েডধর্মী হয়ে থাকে ।

(ii)হরমোন উৎসস্থল থেকে রক্তের মাধ্যমে বা লসিকার মাধ্যমে দেহে সারা দেহে বাহিত হয় এবং কলাকোশের উপর ক্রিয়া করে ।

(iii) হরমোন কলাকোশের বিপাকীয় ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের পর ধ্বংস হয়।

(iv) হরমোন কোশের মধ্যে রাসায়নিক সংযোগ স্থাপন করে।

হরমোনের কাজ:

(i) হরমোন জীবদেহে বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।

(ii) বিভিন্ন অঙ্গের কলাকোশের বিপাকীয় ও শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলি হরমোনের দ্বারা সম্পন্ন হয়।

  1. অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের গঠনগত ও কার্যগত পার্থক্য লেখো। নিউরোনের কাজ লেখো।

উত্তরঃ

অ্যাক্সন ডেনড্রন
এটি নিউরোনের আজ্ঞাবহ অংশ । এটি নিউরোনের সংজ্ঞাবহ অংশ।
এটি সাধারণত শাখাহ। এটি শাখাপ্রশাখাযুক্ত।
নিউরিলেমা ও মায়েলিন নিউরিলেমা ও মায়েলিন নামক আবরণ থাকে। নিউরিলেমা ও মায়েলিন নিউরিলেমা ও মায়েলিন নামক আবরণ থাকে না।
র‍যোনভিয়ারের পর্ব থাকে। র‍যোনভিয়ারের পর্ব থাকে না।
স্নায়ুস্পন্দন কোশদেহ থেকে পরবর্তী স্নায়ুকোশে বহন করে নিয়ে যায়। স্নায়ুস্পন্দন গ্রহণ করে কোশদেহে পাঠানো প্রধান কাজ।
  1. জ্ঞানেন্দ্ৰিয় হিসেবে জিহ্বানাসিকা ও ত্বকের ভূমিকা আলোচনা করো।

উত্তরঃ প্রাণীদেহের যেসব গ্রাহক অঙ্গ পরিবেশ থেকে বিশেষ উদ্দীপনা গ্রহণ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে পাঠায় তাদের জ্ঞানেন্দ্রিয় বলে। উদাহরণ- চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, ত্বক হলো পঞ্চইন্দ্রিয়।

জিহ্বা বা জিভ: এটি মানুষের স্বাদেন্দ্ৰিয় হিসেবে কাজ করে।এর উপরিভাগে অসংখ্য গুটির মতো দানা থাকে, তাদের স্বাদকোরক বলে। জিহ্বায় এদের সংখ্যা 10000-এর মতো। জিহ্বার অগ্রভাগে মিষ্টি, পশ্চাদভাগে তিক্ত,মধ্যভাগে লবণাক্ত ও দুই পার্শ্বে অম্ল স্বাদ গৃহীত হয়।

কাজ: প্রধানত স্বাদগ্রহণে সাহায্য করে। তাছাড়া কথা বলা খাদ্য চর্বণ ও গলাধঃকরণে সাহায্য করে।

নাসিকা: নাসিকা বা নাক ঘ্রাণ অনুভূতি গ্রহণ করে, তাই একে ঘ্রাণেন্দ্রিয় বলে। নাসাগহ্বরের ছাদে অবস্থিত ভ্ৰাণ-ঝিল্লিতে ভ্ৰাণ অনুভূতি কোশ থাকে যা ঘ্রাণ গ্রাহক হিসেবে কাজ করে। পরিবেশ থেকে বিভিন্ন প্রকার গন্ধ এই গ্রাহক দ্বারা মস্তিষ্কের ঘ্রাণকেন্দ্রে প্রেরিত হয় এবং আমরা সেই গন্ধ অনুভব করতে পারি।

কাজ: গন্ধ বা ভ্ৰাণ অনুভূতি গ্রহণ করা মুখ্য কাজ ।

ত্বক ও চর্মঃ আমাদের দেহের আবরণকে চর্ম বা ত্বক বলে। এটি স্পর্শ, চাপ, তাপ, ঠান্ডাব্যথা ইত্যাদি অনুভূতির গ্রাহক হিসেবে কাজ করে।

কাজ: (i)স্পর্শ গ্রাহক হিসেবে কাজ করে। (ii) চাপ, তাপ, ঠান্ডা, গরম অনুভূতি গ্রহণ করে।(iii) বস্তুর শনাক্তকরণে সাহায্য করে।

  1. রুই মাছের বিভিন্ন প্রকার পাখনার অবস্থান ও গমনে ভূমিকা আলোচনা করো ।

উত্তরঃ পাখনা রুই মাছের প্রধান গমন অঙ্গ। রুই মাছের জোড় ও বিজোড় মোট সাতটি পাখনা আছে। এদের অবস্থান ও গমনে ভূমিকা নীচে দেওয়া হলো-

পাখনার নাম অবস্থান কাজ ও ভূমিকা
বক্ষপাখনা(এক জোড়া) বক্ষদেশে অবস্থিত মাছকে জলে স্থির থাকতে এবং জলে ওঠানামা করতে সাহায্য করে।
শ্রোণি পাখনা(এক জোড়া) শ্রোণিদেশে অবস্থিত বক্ষপাখনার সাথে মিলিত ভাবে মাছকে অবস্থিত। জলে স্থির থাকতে এবং ওঠানামা করতে সাহায্য করে।
পৃষ্ঠ পাখনা পৃষ্ঠদেশে অবস্থিত সন্তরণের সময় দেহের ভারসাম্য রক্ষা এবং সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।
পায়ু পাখনা পায়ুর পিছনে অবস্থিত দেহের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে।
পুচ্ছ পাখনা লেজের শেষ প্রান্তে অবস্থিত মাছকে দিক পরিবর্তনে সাহায্য করে।
  1. প্রতিবর্ত পথ বা প্রতিবর্ত চাপ কাকে বলে? এর বিভিন্ন অংশের নাম লেখো।

উত্তরঃ যে পথে প্রতিবর্ত ক্রিয়া সম্পন্ন হয় সেই পথকে অর্থাৎ প্রতিবর্ত ক্রিয়ার পথকে প্রতিবর্ত পথ বা প্রতিবর্ত চাপ বলে।

বিভিন্ন অংশ– (i) গ্রাহক(ii) অন্তর্বাহী নিউরোন। (iii) কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্ৰ ও (iv)বহির্বাহী নিউরোন। (v)কারক

  1. পার্থক্য লেখো: গুরুমস্তিষ্ক ও লঘুমস্তিষ্ক

উত্তরঃ

গুরুমস্তিষ্ক লঘুমস্তিষ্ক
এটি অগ্রমস্তিষ্কে অবস্থিত এটি পশ্চাৎমস্তিষ্কে অবস্থিত।
মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড়ো অং এটি অপেক্ষাকৃত ছোটো অংশ
গুরুমস্তিষ্কের যোজককে করপাস ক্যালোসাম লঘুমস্তিষ্কের যোজককে ভারমিস বলে।
এটি চিন্তা,স্মৃতি, বুদ্ধি, ভয়, ক্ৰোধ, চাপ, তাপ, ব্যথা প্রভৃতি অনুভূতি গ্রহণকেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। এটি দেহের ভারসাম্য, দেহভঙ্গি।ও পেশির চলন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে
এর পাঁচটি খণ্ড থাকে এর কোনো খণ্ড থাকে না
  1. স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপনা পরিবহণকারী উপাদানগুলি কী কী ? তাদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। 2+3=5

উত্তরঃ উদ্দীপনা পরিবহণকারী উপাদান : পরিবেশ থেকে আগত বিভিন্ন উদ্দীপনা গ্রহণ, উদ্দীপনায় সাড়া দেওয়া, দেহ-মধ্যস্থ বিভিন্ন যন্ত্র ও তন্ত্রের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা ইত্যাদি বিভিন্ন কাজ করার জন্যে স্নায়ুতন্ত্রে তিন রকমের উপাদান থাকে, যথা—1. গ্রাহক বা রিসেপটর (receptor), 2. কারক বা ইফেকটর (effector), এবং 3. বাহক বা কনডাক্টর (conductor)।

  1. গ্রাহক বা রিসেপটর : প্রাণীদেহে অবস্থিত এক বা একাধিক উদ্দীপক সংবেদনশীল কোশকে রিসেপটর বা গ্রাহক বলা হয় । রিসেপটর দেহের ত্বকে, পেশিতে, কণ্ডরায় (tendon), জিহ্বায়, কর্ণে, নাসিকা এবং চক্ষুর মধ্যে অবস্থিত ।
  2. কারক বা ইফেকটর : দেহের যেসব যন্ত্র বিভিন্ন উদ্দীপনায় উদ্দীপিত হয় বা উত্তেজনায় সাড়া দেয় তাদের কারক বা ইফেকটর বলে । যেমন–বিভিন্ন পেশি ও গ্রন্থি
  3. বাহক বা কনডাক্টর : রিসেপটর থেকে উদ্দীপনা যার মাধ্যমে বাহিত হয়ে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে পৌঁছোয় বা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে ইফেকটরে আসে তাদের বাহক বা কনডাক্টর বলে । যেমন-নিউরোন বা স্নায়ুকোশ । বাহক দু-রকমের হয়, যথা- সংজ্ঞাবহ বাহক ও আজ্ঞাবহ বাহক ।

যে বাহকের মাধ্যমে উদ্দীপনা গ্রাহক বা রিসেপটার থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে পৌছোয় তাকে সংজ্ঞাবহ বাহক বলে । অপরপক্ষে, যে বাহকের মাধ্যমে সাড়া কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে কারক বা ইফেকটরে পৌছায় তাকে আজ্ঞাবহ বাহক বলে।

  1. স্নায়ু বা নার্ভ কাকে বলে ? স্নায়ু কত প্রকারের ? তাদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও । 2+3=5

উত্তরঃ সংজ্ঞা : রক্তবাহ সমন্বিত এবং পেরিনিউরিয়াম নামক যোগকলার আবরণ দ্বারা আবৃত এক বা একাধিক স্নায়ুতন্তু বা স্নায়ুতন্তগুচ্ছকে স্নায়ু বা নার্ভ (nerve) বলে।

স্নায়ুর শ্রেণিবিভাগ : গঠন অনুযায়ী স্নায়ু দু-রকমে হয়, যেমন—

  1. মেডুলেটেড স্নায়ু : মেডুলারিযুক্ত স্নায়ুতন্তু দ্বারা গঠিত স্নায়ুকে মেডুলেটেড স্নায়ু বলে। এইরকম স্নায়ু কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অবস্থিত থাকে।
  2. নন-মেডুলেটেডস্নায়ু : মেডুলাবিহীন স্নায়ুতন্তু দ্বারা গঠিত স্নায়ুকে নন-মেডুলেটেড স্নায়ু বলে। এইরকম স্নায়ু অটোনোমিক স্নায়ুতন্ত্রে অবস্থিত থাকে।

কাজ অনুযায়ী স্নায়ু নিম্নলিখিত তিন রকমের হয়, যথা-

  1. অন্তর্বাহী স্নায়ু বা অ্যাফারেন্ট নার্ভ : যে স্নায়ু রিসেপটর থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে উদ্দীপনা (stimuli) বহন করে, তাকে অন্তর্বাহী স্নায়ু বা আফ্যারেন্ট নার্ভ বলে । এই স্নায়ু সেনসরি নিউরোনের স্নায়ুতন্তু দ্বারা গঠিত হওয়ায় এই রকম স্নায়ুকে সংজ্ঞাবহ স্নায়ু বা সেনসরি নার্ভ (sensory nerve) বলা হয় । অলফ্যাক্টরি (১ম করোটি স্নায়ু), অপটিক (২য় করোটি স্নায়ু), অডিটরি (অষ্টম করোটি স্নায়ু) ইত্যাদি এই রকমের স্নায়ু ।
  2. বহির্বাহী স্নায়ু বা ইফারেন্ট নার্ভ : যে স্নায়ু কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে ইফেকটরে সাড়া (response) বহন করে, তাকে বহির্বাহী স্নায়ু বা ইফারেন্ট নার্ভ বলা হয়। মোটর নিউরোনের স্নায়ুতন্তু দ্বারা এই স্নায়ু গঠিত হওয়ায় একে আজ্ঞাবহ স্নায়ু বা চেষ্টীয় স্নায়ু বা মোটর নার্ভ (motor nerve) বলে । স্পাইনাল অ্যাকসেসরি (একাদশ করোটি স্নায়ু) এবং হাইপোগ্লসাল (দ্বাদশ করোটি স্নায়ু) প্রভৃতি হল এই রকমের স্নায়ু ।
  3. মিশ্র স্নায়ু বা মিক্সড নার্ভ : যে স্নায়ু উভয়মুখে স্নায়ুস্পন্দন বহন করে (রিসেপটর থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে ইফেকটরে) এবং যে স্নায়ু সেনসরি ও মোটর, উভয় প্রকার স্নায়ুতন্তু দ্বারা গঠিত, তাকে মিশ্র স্নায়ু বা মিক্সড নার্ভ বলে । ফেসিয়াল (সপ্তম করোটি স্নায়ু), ভেগাস (দশম করোটি স্নায়ু) ইত্যাদি এই রকমের স্নায়ু ।

Madhyamik Life Science Suggestion | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন

আরোও দেখুন :

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here

Madhyamik Suggestion 2024 | মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৪

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Bengali Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik English Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Geography Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik History Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Life Science Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Mathematics Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Physical Science Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Suggestion 2024 Click here

Info: Madhyamik Life Science Suggestion | West Bengal WBBSE Madhyamik Life Science Qustion and Answer Suggestion

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন | দশম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (অধ্যায়-১) প্রশ্ন উত্তর সাজেশন 

        আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” Madhyamik Life Science Suggestion – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (অধ্যায়-১) প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করুন এবং নিজেকে  তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন , ধন্যবাদ।