একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর
ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) | Class 11 Political Science Bharater Sangbidhan Question and Answer
একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর : ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) Class 11 Political Science Bharater Sangbidhan Question and Answer : একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Political Science Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – WBCHSE Class 11 Political Science Bharater Sangbidhan Question and Answer, Suggestion, Notes – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 11th Eleven XI Political Science Examination – পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।
তোমরা যারা ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) – একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Political Science Bharater Sangbidhan Question and Answer Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো।
ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) – পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 11th Political Science Bharater Sangbidhan Question and Answer
MCQ প্রশ্নোত্তর | একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Political Bharater Sangbidhan Science Question and Answer :
- ভারতের সংবিধান—
(A) লিখিত
(B) অলিখিত
(C) প্রধানত লিখিত
(D) প্রধানত অলিখিত
Ans: (C) প্রধানত লিখিত
- সংবিধানসভা গঠনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়—
(A) 1945 সালে
(B) 1946 সালে
(C) 1947 সালে
(D) 1948 সালে
Ans: (B) 1946 সালে
- সংবিধানসভার দাবি প্রথম জানান –
(A) নেহরু
(B) গান্ধিজি
(C) কৃপালিনি
(D) মভলংকর
Ans: (B) গান্ধিজি
- সংবিধানসভার সহসভাপতি ছিলেন—
(A) আম্বেদকর
(B) কে . এম . মুন্সি
(C) হরেন্দ্রকুমার মুখোপাধ্যায়
(D) মৌলানা আজাদ
Ans: (C) হরেন্দ্রকুমার মুখোপাধ্যায়
- ভারতীয় সংবিধানে তপশিল আছে—
(A) 10 টি
(B) 11 টি
(C) 12 টি
(D) 13 টি
Ans: (C) 12 টি
- বর্তমানে ভারতের সংবিধানে তালিকা আছে
(A) 7 টি
(B) 8 টি
(C) 10 টি
(D) 12 টি
Ans: (D) 12 টি
- নির্দেশমূলক নীতিগুলি সংযোজিত হয়েছে সংবিধানের কোন অংশে ?
(A) তৃতীয় অংশে
(B) চতুর্থ অংশে
(C) পঞ্চম অংশে
(D) ষষ্ঠ অংশে
Ans: (B) চতুর্থ অংশে
- মৌলিক কর্তব্যগুলি সংযুক্ত হয়েছে সংবিধানের—
(A) তৃতীয় অংশে
(B) পঞ্চম অংশে
(C) চতুর্থ অংশে
(D) ষষ্ঠ অংশে
Ans: (C) চতুর্থ অংশে
- ভারতীয় সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্য সংযুক্ত হয়েছে
(A) 10 টি
(B) 11 টি
(C) 12 টি
(D) 13 টি
Ans: (B) 11 টি
- গণপরিষদের স্থায়ী সভাপতি ছিলেন—
(A) ড . রাজেন্দ্র প্রসাদ
(B) ড . সচ্চিদানন্দ সিংহ
(C) ড . বি . আর আম্বেদকর
(D) আচার্য কৃপালনি
Ans: (A) ড . রাজেন্দ্র প্রসাদ
- গণপরিষদের খসড়া কমিটির সভাপতি ছিলেন—
(A) গোপালস্বামী আয়েঙ্গার
(B) কে . এম . মুন্সি
(C) বাবাসাহেব আম্বেদকর
(D) ড . রাজেন্দ্র প্রসাদ
Ans: (C) বাবাসাহেব আম্বেদকর
- বিদেশি নাগরিকরা ভারতে যে অধিকারটি ভোগ করে না সেটি হলো—
(A) অর্থনৈতিক
(B) সামাজিক
(C) ধর্মীয়
(D) রাজনৈতিক
Ans: (D) রাজনৈতিক
- ভারতে বসবাসকারী একজন ইংরেজ হলেন
(A) নাগরিক
(B) জাতীয়
(C) বিদেশি
(D) রাষ্ট্রহীন
Ans: (C) বিদেশি
- সংবিধানসভার অস্থায়ী সভাপতি ছিলেন—
(A) সচ্চিদানন্দ সিংহ
(B) নেহরু
(C) বল্লভভাই প্যাটেল
(D) রাজেন্দ্রপ্রসাদ
Ans: (A) সচ্চিদানন্দ সিংহ
- সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়েছে সংবিধানের-
(A) 326
(B) 321
(C) 322
(D) 324 নং ধারায়
Ans: (A) 326 নং ধারায়
- সংবিধানের খুবই অনমনীয় ধারাটি হলো—
(A) 356 নং ধারা
(B) 365 নং ধারা
(C) 367 নং ধারা
(D) 368 নং ধারা
Ans: (D) 368 নং ধারা
- ভারতের সংবিধানের ‘ প্রস্তাবনা ‘ সংশোধিত হয়েছে–
(A) এক বার
(B) দুই বার
(C) তিন বার
(D) চার বার
Ans: (A) এক বার
- এগারো তম মৌলিক কর্তব্য সংবিধানে যুক্ত হয়েছে-
(A) 85 তম
(B) 86 তম
(C) 87 তম
(D) ৪৪ তম সংবিধান সংশোধনীতে
Ans: (B) 86 তম তম সংবিধান সংশোধনীতে
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Political Science Bharater Sangbidhan Broad Question and Answer :
- ভারতীয় সংবিধানের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করো ।
Ans: ভারতীয় সংবিধানের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করতে গেলে প্রথমেই যেসব কথা বা যেসব বিষয় আলোচনা করা প্রয়োজন সেগুলি হলো—
লিখিত ও অলিখিত অংশ : ভারতীয় সংবিধানকে সারা বিশ্বের মধ্যে সর্ববৃহৎ লিখিত সংবিধান বলে অ্যাখ্যা দেওয়া হয় । 1950 সালে 26 জানুয়ারি ভারতীয় সংবিধান যখন কার্যকর হয় সেইসময় তাতে 395 টি ধারা এবং ৪ টি তপশিল ছিল । বর্তমানে বিভিন্ন সময়ে সংবিধান সংশোধনের পর ভারতীয় সংবিধানের সর্বমোট ধারা প্রায় 450 টি এবং তপশিলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 12 টি ।
তবুও ভারতীয় সংবিধানে কিছু অলিখিত অংশ থেকে গেছে । যেমন — লোকসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতারূপে প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগ , প্রশাসনে প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব , সংসদীয় সুযোগসুবিধা ইত্যাদি ।
সংবিধান সংশোধন পদ্ধতির পর্যালোচনা :
1)মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের মতো অতিমাত্রায় দুষ্পরিবর্তনীয় বা ব্রিটেনের মতো সুপরিবর্তনীয় — এই দুই পর্যায়ের কোনোটির মধ্যেই ভারতীয় সংবিধানকে ফেলা যায় না । ভারতের সংবিধানে সুপরিবর্তনশীলতা এবং দুষ্পরিবর্তনশীলতার সঠিক সমন্বয় ঘটেছে ।
2) পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ক্ষমতাসীন দল খুব সহজেই সংবিধান সংশোধন করতে পারে । তাছাড়া 24 তম সংশোধনী আইন অনুসারে , সংবিধান সংশোধন বিলের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সম্মতিপ্রদান বাধ্যতামূলক হওয়ায় সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির প্রকৃত অর্থে কোনো কার্যকরী ভূমিকা নেই ।
3) যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে থেকেও রাজ্যগুলিকে সংবিধান সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপনের ক্ষমতা দেওয়া হয়নি ।
4) রাজ্যগুলির পুনর্গঠনের ব্যাপারে পার্লামেন্টের একক ক্ষমতা রয়েছে ।
5) কেন্দ্র এবং অর্ধেক রাজ্যে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের গরিষ্ঠতা থাকলে ভারতীয় সংবিধানের সব অংশ সুপরিবর্তনীয় হয়ে দাঁড়ায় ।
উপসংহার : ভারতীয় সংবিধানের প্রকৃতি বিশ্লেষণে একথা বলা যায় , যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ভারতে সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে । ভারতীয় সংবিধানকে সার্বভৌম , সমাজতান্ত্রিক , ধর্মনিরপেক্ষ , গণতান্ত্রিক সাধারণতান্ত্রিক প্রকৃতিবিশিষ্ট বলে অ্যাখ্যা দেওয়া হয় । অবশ্য মার্কসবাদী লেখকরা ভারতের সংবিধানের প্রকৃতি বিশ্লেষণ প্রসঙ্গে এর পুঁজিবাদী শ্রেণিচরিত্রের দিকটি তুলে ধরেন । তাঁদের মতে , জনকল্যাণের যে উচ্চ আদর্শের কথা সংবিধানে বলা হয়েছে তা প্রকৃতপক্ষে একচেটিয়া পুঁজিপতিদের ক্ষমতাকে আরও সুদৃঢ় করেছে ।
- ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো ।
Ans: প্রস্তাবনার সংজ্ঞ : বর্তমানে সমস্ত দেশের লিখিত সংবিধানের শুরুতেই একটি প্রস্তাবনা বা মুখবন্ধ থাকতে দেখা যায় । কোনো দেশের সংবিধান রচয়িতাগণ সংবিধানের দ্বারা যে সমস্ত আদর্শ ও লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করেন , প্রস্তাবনায় তারই একটা ইঙ্গিত দেওয়া হয় ।
1787 সালে সর্বপ্রথম আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের সূচনার একটি প্রস্তাবনা সংযুক্ত হয় । আদর্শ , উদ্দেশ্য ও দর্শনকে অল্প কথায় এবং ভাবগম্ভীর শব্দের মাধ্যমে প্রস্তাবনায় তুলে ধরা হয়েছে । 1976 সালের 42 তম সংবিধান সংশোধনের পর প্রস্তাবনায় পরিবর্তন ঘটে । বর্তমান প্রস্তাবনা যেরূপে আমাদের সামনে রয়েছে তা হলো—
আমরা ভারতের জনগণ : ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনার সূচনায়— “ আমরা ভারতের জনগণ ” শব্দগুলো সংযুক্ত হয়েছে । এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে ভারতে প্রত্যেকে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী ।
‘ সার্বভৌম ’ : প্রস্তাবনায় ভারতকে সার্বভৌম , সমাজতান্ত্রিক , গণতান্ত্রিক , ধর্মনিরপেক্ষ , সাধারণতন্ত্র রূপে ঘোষণা করা হয়েছে । সার্বভৌম শব্দটির অর্থ হলো ভারত অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ব্যাপারে স্বাধীন । ভারত কমনওয়েলথের সদস্য হলেও তার দ্বারা ভারতের সার্বভৌমিকতা ক্ষুণ্ণ হয় না । কমনওয়েল্ল্থের সদস্যপদ যেমন সে স্বেচ্ছায় গ্রহণ করেছে তেমনি স্বেচ্ছায় পরিত্যাগ করতে পারে ।
‘ সমাজতন্ত্র ‘ : 1947 সালে 42 তম সংশোধনের দ্বারা প্রস্তাবনায় সমাজতান্ত্রিক শব্দটি যোগ করা হয়েছে ।
‘ ধর্মনিরপেক্ষ ‘ : 42 তম সংশোধনের মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি সংবিধানের প্রস্তাবনায় যুক্ত করা হয়েছে । ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটির অর্থ হলো ভারতের কোনো রাষ্ট্রীয় ধর্ম নেই ও ধর্মের ব্যাপারে রাষ্ট্র সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ । ভারতে সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের ক্ষেত্রে সমান সুযোগদানের নীতি গ্রহণ করা হয়েছে ।
‘ গণতন্ত্র ‘ : ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলে অভিহিত করা হয়েছে । সংকীর্ণ অর্থে গণতন্ত্র হলো রাষ্ট্রনৈতিক গণতন্ত্র । ভারতে প্রতিনিধিত্বমূলক এবং সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তিত হয়েছে । সাধারণভাবে ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনার গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে উপেক্ষা করা যায় না । ভারতীয় সংবিধানের কার্যকরী অংশের কোনো শব্দ বা বাক্যের অর্থ সুস্পষ্ট না থাকলে ওই অংশের অর্থ পরিস্ফুট করার জন্য প্রস্তাবনা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ । প্রস্তাবনার মাধ্যমে সংবিধানের আদর্শ ও আকাঙ্ক্ষা প্রকাশিত হয় । প্রস্তাবনা সংবিধানের সবচেয়ে মূল্যবান অংশ হিসাবে সংবিধানকে উপলব্ধি করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক ধাপ হিসাবে কাজ করে ।
- ভারতের সংবিধান রচনায় গণপরিষদের ভূমিকার মূল্যায়ন করো ।
Ans: ভারতীয় সংবিধান রচনার জন্য গঠিত গণপরিষদের গঠন ব্যবস্থা ও কার্যাবলি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সমালোচিত হয়েছে । যেমন— নতুন
গণচরিত্রের ঘাটতি : গণপরিষদের সবথেকে বড়ো ত্রুটি ছিল এর গণচরিত্রের ঘাটতি । দামোদরস্বরূপ শেঠের মতে , যেহেতু প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে গণপরিষদ – এর সদস্যরা নির্বাচিত হননি , তাই এতে জনগণের আশা – আকঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি । এই কারণে তিনি প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের দাবি জানান । তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন , জনগণের শতকরা মাত্র 14 ভাগকে নিয়ে পরোক্ষ নির্বাচনে গঠিত এই গণপরিষদ কখনো দেশের সমস্ত মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না ।
উচ্চবিত্ত প্রতিনিধির সংখ্যাধিক্য : অনেকে মনে করেন , গণপরিষদে সমাজের উচ্চবিত্ত ও সামস্ততন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব সবথেকে বেশি ছিল । এর ফলে সাধারণ মানুষের চিন্তাধারা বা আশা – আকাঙ্ক্ষা এখানে কোনো মর্যাদা পায়নি ।
গণভোটের অনুপস্থিতি : গণপরিষদ কর্তৃক রচিত সংবিধানটিকে যাচাই করার জন্য কোনো গণভোটের ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অনেকে একে জনগণের সংবিধান বলতে চান না ।
পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতা : অধ্যাপক জোহারির অভিমত হলো , গণপরিষদে সংবিধানের খসড়া আলোচনার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতা ছিল এর অন্যতম ত্রুটি । সংশোধনী প্রস্তাব বাতিল করার পর্যাপ্ত ক্ষমতা সভাপতির থাকায় সাধারণ সদস্যদের মতামত এক্ষেত্রে গুরুত্ব পায়নি । সংবিধান রচনায় আইনবিদদের পূর্ণ কর্তৃত্ব গণপরিষদে এক ধরনের স্বৈরাচার সৃষ্টি করেছিল বলে অনেকে মনে করেন । কে.ভি. রাও – এর মতে , খসড়া কমিটির সভাপতি ড . আম্বেদকর সদস্যদের অনেক সময় তাঁর ছাত্র হিসাবে গণ্য করতেন , সব বিষয়ে তিনিই ছিলেন শেষকথা বলার অধিকারী । যদিও সংবিধান রচনার প্রকৃত ক্ষমতা তার বা তার খসড়া কমিটির ছিল না , ছিল নেহরু , প্যাটেল , রাজেন্দ্র প্রসাদ এবং আবুল কালাম আজাদের হাতে ।
কংগ্রেসের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব : অনেকে সমালোচনা করেন , গণপরিষদে কংগ্রেসের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব বাস্তবে গণপরিষদকে কংগ্রেস পরিষদে রূপান্তরিত করেছিল ।
উপসংহার : তৎকালীন পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে উপরিউক্ত সমালোচনা পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য নয় । সেইসময় দ্রুত এবং স্থায়ী একটি রাজনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করাই ছিল প্রধান কাজ । তৎকালীন ভারতের অবিসংবাদী জননেতাদের নিয়ে গঠিত গণপরিষদে কংগ্রেসের নিরঙ্কুশ প্রাধান্য ছিল একথা সত্যি । কিন্তু এর ফলে একদিকে যেমন সাম্প্রদায়িক ও বিচ্ছিন্নতাকামী শক্তিগুলি সংবিধান রচনায় বাধা দিতে পারেনি , অন্যদিকে তেমনি মাত্র তিন বছর সময়কালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম লিখিত সংবিধান রচনার পথ সুগম হয়েছিল ।
- সুপরিবর্তনীয় ও দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করো ।
Ans: সুপরিবর্তনীয় ও দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের মধ্যে কতগুলি পার্থক্য করা যেতে পারে । যে সংবিধানকে সহজে পরিবর্তন করা যায় সেই সংবিধানকে সুপরিবর্তনীয় সংবিধান বলে । অপরদিকে যে সংবিধান সংশোধন করতে গেলে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় , সেই সংবিধানকে দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান বলে ।
প্রথমত , সুপরিবর্তনীয় সংবিধানে আইনসভায় সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন করা যায় । কিন্তু দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানে প্রণীত আইন সাধারণ আইন প্রণয়নের পদ্ধতিতে সংশোধন করা যায় না । এক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধন করতে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় ।
দ্বিতীয়ত , সুপরিবর্তনীয় সংবিধানে সাধারণ আইন এবং সাংবিধানিক আইনের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা হয় না । কিন্তু দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানে সাংবিধানিক আইন ও সাধারণ আইনের পার্থক্য করা হয় এবং এখানে সাংবিধানিক আইনকে সাধারণ আইন অপেক্ষা বেশি মর্যাদা দেওয়া হয় ।
তৃতীয়ত , সুপরিবর্তনীয় সংবিধান লিখিত বা অলিখিত হতে পারে । কিন্তু দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান অবশ্যই লিখিত হবে । যেমন — ইংল্যান্ডের সুপরিবর্তনীয় সংবিধান অলিখিত । কিন্তু আয়ারল্যন্ডের সুপরিবর্তনীয় সংবিধান লিখিত ।
চতুর্থত , সুপরিবর্তনীয় সংবিধানে সাধারণ আইন ও সাংবিধানিক আইনের উৎস এক এবং অভিন্ন । কিন্তু দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানে সাধারণ আইন ও সাংবিধানিক আইনের উৎস আলাদা ।
পঞ্চমত , সুপরিবর্তনীয় সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলি অনেক সময় লিখিত থাকে না বলে অনেকে এরূপ সংবিধানকে অগণতান্ত্রিক সংবিধান বলে অভিহিত করেন । অন্যদিকে দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানে নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলি সুস্পষ্টভাবে লিখিত থাকে বলে অনেকে এরূপ সংবিধানকে গণতান্ত্রিক সংবিধান বলে মন্তব্য করেন ।
ষষ্ঠত , সুপরিবর্তনীয় সংবিধানে আইনসভা সার্বভৌম কর্তৃত্বের অধিকারী হওয়ায় আইনসভার কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না । কিন্তু দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান সর্বোচ্চ কর্তৃত্বের অধিকারী । তাই এরূপ সংবিধানে আইনসভাকে সংবিধানের নিয়ন্ত্রণে থেকে যাবতীয় আইন প্রণয়ন করতে হয় ।
সপ্তমত , সুপরিবর্তনীয় সংবিধানে একমাত্র আইনসভার প্রাধান্য থাকে বলে আইনসভা প্রণীত কোনো আইনকে বিচার বিভাগ অবৈধ ঘোষণা করতে পারে না । কিন্তু দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানে বিচার বিভাগের প্রাধান্য থাকে বলে বিচার বিভাগ আইনসভা রচিত সংবিধানবিরোধী আইনকে বাতিল করে দিতে পারে ।
অষ্টমত , জরুরি অবস্থায় সুপরিবর্তনীয় সংবিধান খুবই উপযোগী । দ্রুত সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে জরুরি অবস্থার মোকাবিলা করা সম্ভব হয় । কিন্তু জরুরি অবস্থায় দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান দ্রুত সংশোধন করে জরুরি অবস্থার সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয় না।
- ভারতীয় সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো ।
Ans: ভারতীয় সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য সমস্ত রাষ্ট্রের সংবিধানের কিছু নির্দিষ্ট নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে । এই বৈশিষ্ট্যগুলি থেকেই সংবিধানের প্রকৃত স্বরূপ বোঝা যায় ৷ ভারত রাষ্ট্রও তার ব্যতিক্রম নয় । ভারতীয় সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হলো— ● বিশ্বের বৃহত্তম লিখিত সংবিধান ভারতের সংবিধান বিশ্বের সর্ববৃহৎ লিখিত সংবিধান । বিভিন্ন সময়ে সংবিধান সংশোধনের পর বর্তমানে এতে মোট 450 টি ধারা এবং 12 টি তপশিল রয়েছে । আকৃতিতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সংবিধান হওয়ায় প্রকৃতিগতভাবেও এই সংবিধান জটিল হয়েছে । ও যুক্তরাষ্ট্রীয় ও এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার সংমিশ্রণ ভারতীয় সংবিধানে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার নীতি অনুযায়ী একটি কেন্দ্রীয় সরকার এবং অনেকগুলি রাজ্য সরকারের মধ্যে শাসনক্ষমতা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে । এছাড়া লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান এবং নিরপেক্ষ যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতের অস্তিত্ব রয়েছে । কিন্তু আকৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রীয় হলেও ভারতের সংবিধান প্রকৃতিগতভাবে এককেন্দ্রিক । কারণ ক্ষমতাবণ্টনের গৃহীত নীতি অনুসারে সর্বত্রই কেন্দ্রের প্রাধান্য স্বীকৃত । তাই ভারতের সংবিধানকে ‘ আধাযুক্তরাষ্ট্রীয় ’ বা ‘ যুক্তরাষ্ট্রপ্রতিম ’ বলে অনেকে মন্তব্য করেন ।
সংবিধানের প্রাধান্য : বর্তমান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন হিসাবে ভারতে সংবিধানের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । যাবতীয় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের উৎস হলো সংবিধান । কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারসমূহ , বিচার বিভাগ , আইন বিভাগ এবং দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সবাইকে সংবিধানের অধীনে থেকে কাজকর্ম সম্পাদন করতে হয় ।
প্রস্তাবনা সংযোজন : ভারতীয় সংবিধানের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো সংবিধানের সঙ্গে একটি প্রস্তাবনার সংযুক্তি । এতে সংবিধানের নৈতিক আদর্শ , দর্শন , মূল উদ্দেশ্য প্রভৃতি ব্যক্ত হয়েছে । সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতকে একটি সার্বভৌম , সমাজতান্ত্রিক , ধর্মনিরপেক্ষ , গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র বলে বর্ণনা করা হয়েছে ।
সুপরিবর্তনীয় ও দুষ্পরিবর্তনীয়তার মিশ্রণ : ভারতীয় সংবিধানের অন্তর্গত কয়েকটি বিষয়ের পরিবর্তন বা সংশোধন পদ্ধতি অত্যন্ত সরল প্রকৃতির , যেমন — নতুন রাজ্য সৃষ্টি , পুরনো রাজ্যের নাম বা সীমানা পরিবর্তন ইত্যাদি । অন্যদিকে সংবিধানের কিছু নির্দিষ্ট অংশের সংশোধন পদ্ধতি দুষ্পরিবর্তনীয় , যেমন — মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত ও রাষ্ট্রপতির নির্বাচন সংক্রান্ত ধারা সংশোধন ইত্যাদি ।
নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও কর্তব্য লিপিবদ্ধ : ভারতীয় সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হিসাবে ( a ) সাম্যের অধিকার , ( b ) স্বাধীনতার অধিকার , ( c ) শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার , ( d ) ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার , ( e ) সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক অধিকার এবং ( 1 ) শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে । এছাড়া সংবিধানের চতুর্থ অধ্যায়ে নাগরিকদের এগারোটি মৌলিক কর্তব্য পালনের নির্দেশ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে ।
অন্যান্য বৈশিষ্ট্য : ভারতীয় সংবিধানের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য হলো রাষ্ট্রপরিচালনার নির্দেশমূলক নীতিসমূহের উপস্থিতি , সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার , স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ , সংসদীয় ও মন্ত্রীসভা শাসিত শাসন ব্যবস্থার স্বীকৃতি , তপশিলি জাতি , উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য বিশেষ সংরক্ষণ ব্যবস্থা ইত্যাদি ।
- তুমি কি ভারতকে একটি সার্বভৌম , সমাজতান্ত্রিক , ধর্মনিরপেক্ষ , গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র বলে মনে করো ? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও ।
Ans: ভারতীয় সংবিধানকে সারা বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বৃহৎ লিখিত সংবিধান বলে অভিহিত করা হয়েছে । ভারতীয় সংবিধানে সুপরিবর্তনীয়তা এবং দুষ্পরিপবর্তনীয়তার সংমিশ্রণ প্রকটভাবে পরিলক্ষিত হয় । এই সংবিধানকে লিখিত সংবিধান অ্যাখ্যা দেওয়া হলেও কিছু অলিখিত অংশও এই সংবিধানে বিদ্যমান । খসড়া কমিটি বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলির সংবিধান থেকে উৎকৃষ্ট উপাদান সংগ্রহ করে ভারতীয় সংবিধানকে সমৃদ্ধ করেছে । এছাড়া 1935 সালের ভারতশাসন আইনের কথাও এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য । 1947 সালের 4 নভেম্বর খসড়া সংবিধান রচনার কাজ শুরু হয় । পরিশেষে 1949 সালে 26 নভেম্বর গণপরিষদে ভারতের সংবিধান 395 টি ধারা ও ৪ টি তপশিল সমেত গৃহীত হয় । 1950 সালের 26 জানুয়ারি স্বাধীন ভারতের সংবিধান কার্যকর হয় । পণ্ডিত নেহরু গণপরিষদে মন্তব্য করেছিলেন , “ আমরা সংবিধানকে এরকম দুষ্পরিবর্তনীয় করতে চাই না যা পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে সংগতি রাখতে সক্ষম হবে না । ” ভারতীয় সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতির প্রকৃতিতে আপাত দুষ্পরিবর্তনীয়তার মধ্যে যে নমনীয়তা আছে তা সংবিধানের গতিশীলতাকে অব্যাহত রাখতে পেরেছে বলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা মনে করেন ।
ভারত সার্বভৌম , সমাজতান্ত্রিক , ধর্মনিরপেক্ষ , গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র : মূল সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতকে একটি সার্বভৌম , গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র বলে ঘোষণা করা হয়েছিল । 1976 সালের 42 তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ‘ সমাজতান্ত্রিক ’ ও ‘ ধর্মনিরপেক্ষ ‘ এই দু’টি শব্দ সংযোজনের পর ভারতকে একটি সার্বভৌম , সমাজতান্ত্রিক , ধর্মনিরপেক্ষ , গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র বলে ঘোষণা করা হয়েছে ।
সার্বভৌম : প্রস্তাবনায় ভারতকে সার্বভৌম বলা হয়েছে । অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয় দিক থেকে ভারত সার্বভৌম । দেশের অভ্যন্তরে সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ভারত রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন । আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত রাষ্ট্র বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত । কোনো কোনো সমালোচক মনে করেন , ব্রিটিশ কমনওয়েলথের সদস্যপদ ভারতের সার্বভৌমিকতাকে ক্ষুণ্ণ করেছে । এই অভিযোগ সমর্থনযোগ্য নয় । কারণ ভারত ব্রিটিশরাজের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে না । অর্থাৎ ভারত রাষ্ট্র ব্রিটিশরাজের অনুগত ছিল না ।
সমাজতান্ত্রিক : প্রস্তাবনা অনুসারে , ভারত রাষ্ট্র সমাজতান্ত্রিক । বিভিন্ন সমাজতান্ত্রিক আদর্শ কার্যকর করার জন্য সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংস্থান রাখা হয়েছে । একথা ঠিক , পরিপূর্ণ সমাজতন্ত্র ভারতে প্রতিষ্ঠিত না হলেও মিশ্র অর্থনীতির আদর্শ গ্রহণ করে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রের আদর্শকে রূপায়ণের চেষ্টা করা হয়েছে ।
ধর্মনিরপেক্ষ : ভারত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র । অর্থাৎ ভারতের কোনো নির্দিষ্ট রাষ্ট্রীয় ধর্ম নেই । ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে কোনো ধর্মের প্রতি অবিশ্বাস ও দৈনন্দিন জীবনে ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কহীনতা বোঝায় না । ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ হলো রাষ্ট্র কোনো বিশেষ ধর্মকে সাহায্য করবে না এবং এক ধর্ম অপেক্ষা অন্য ধর্মকে প্রাধান্য দেবে না । অর্থাৎ ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে সব ধর্মকে সমান মর্যাদা দেওয়া বোঝায় । ভারত রাষ্ট্র এই নীতিগুলি অনুসরণ করে চলে , কোনো ধর্মের প্রতি পক্ষপাতিত্ব বা বিদ্বেষভাব পোষণ করে না ।
গণতান্ত্রিক : সংবিধান অনুসারে ভারত রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক । এখানে সার্বিক প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা শাসনকার্যে অংশগ্রহণ করেন ।
সাধারণতন্ত্র : প্রস্তাবনায় ভারতকে সাধারণতন্ত্র হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে । ভারতের শাসন ব্যবস্থার শীর্ষে আছেন রাষ্ট্রপতি । তাঁর পদটি বংশানুক্রমিক নয় , নির্বাচনমূলক সমালোচকরা ভারতের কমনওয়েলথের সদস্যপদের কথা উল্লেখ করে ‘ সাধারণতান্ত্রিক ’ চরিত্র দিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন । কিন্তু এই সদস্যপদ বাধ্যতামূলক নয় ।
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে একথা বলা যায় যে ভারত নিঃসন্দেহে একটি সার্বভৌম , সমাজতান্ত্রিক , ধর্মনিরপেক্ষ , গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র ।
একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 11 Class 11th Political Science Question and Answer / Suggestion / Notes Book
আরোও কিছু প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :-
একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here
Class 11 Suggestion 2024 | একাদশ শ্রেণীর সাজেশন ২০২৪
আরোও দেখুন:-
Class 11 Bengali Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 English Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Geography Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 History Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Political Science Suggestion 2024 Click Here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Education Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Philosophy Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Sociology Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Sanskrit Suggestion 2024 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 All Subjects Suggestion 2024 Click here
Info : West Bengal Class 11 Political Science Qustion and Answer | WBCHSE Higher Secondary Eleven XI (Class 11th) Political Science Suggestion
একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর
” একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক একাদশ শ্রেণী পরীক্ষা (West Bengal Class Eleven XI / WB Class 11 / WBCHSE / Class 11 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 11 Exam / Class 11 Class 11th / WB Class 11 / Class 11 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন / একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ও উত্তর । Class 11 Political Science Suggestion / Class 11 Political Science Question and Answer / Class 11 Political Science Suggestion / Class 11 Pariksha Political Science Suggestion / Political Science Class 11 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / Class 11 Political Science Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 11 Political Science Suggestion / West Bengal Eleven XI Question and Answer, Suggestion / WBCHSE Class 11th Political Science Suggestion / Class 11 Political Science Question and Answer / Class 11 Political Science Suggestion / Class 11 Pariksha Suggestion / Class 11 Political Science Exam Guide / Class 11 Political Science Suggestion 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015 / Class 11 Political Science Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Class 11 Political Science Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।
ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর
ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর | ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) Class 11 Political Science Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর।
ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান
ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) Class 11 Political Science Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর।
ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান
ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) Class 11 Political Science Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।
একাদশ শ্রেণি রাষ্ট্রবিজ্ঞান – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | Class 11 Political Science
একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান (Class 11 Political Science) – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর | ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) | Class 11 Political Science Suggestion একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর।
একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | Class 11 Political Science Question and Answer Question and Answer, Suggestion
একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) | একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) | পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) | একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান সহায়ক – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর । Class 11 Political Science Question and Answer, Suggestion | Class 11 Political Science Question and Answer Suggestion | Class 11 Political Science Question and Answer Notes | West Bengal Class 11 Class 11th Political Science Question and Answer Suggestion.
একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE Class 11 Political Science Question and Answer, Suggestion
একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) । Class 11 Political Science Suggestion.
WBCHSE Class 11th Political Science Suggestion | একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়)
WBCHSE Class 11 Political Science Suggestion একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) | Class 11 Political Science Suggestion একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।
Class 11 Political Science Question and Answer Suggestions | একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) | একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর
Class 11 Political Science Question and Answer একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর Class 11 Political Science Question and Answer একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ।
WB Class 11 Political Science Suggestion | একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর
Class 11 Political Science Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Class 11 Political Science Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর।
West Bengal Class 11 Political Science Suggestion Download WBCHSE Class 11th Political Science short question suggestion . Class 11 Political Science Suggestion download Class 11th Question Paper Political Science. WB Class 11 Political Science suggestion and important question and answer. Class 11 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।
Get the Class 11 Political Science Question and Answer Question and Answer by Bhugol Shiksha .com
Class 11 Political Science Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 11 Political Science Suggestion with 100% Common in the Examination .
Class Eleven XI Political Science Suggestion | West Bengal Board WBCHSE Class 11 Exam
Class 11 Political Science Question and Answer, Suggestion Download PDF: WBCHSE Class 11 Eleven XI Political Science Suggestion is provided here. Class 11 Political Science Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below.
একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Political Science Question and Answer
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” একাদশ শ্রেণী রাষ্ট্রবিজ্ঞান – ভারতের সংবিধান (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Political Science Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।