HS Bengali Question Paper 2019 | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নপত্র ২০১৯
HS Bengali Question Paper 2019 | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নপত্র ২০১৯

HS Bengali Question Paper 2019

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নপত্র ২০১৯

HS Bengali Question Paper 2019 | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নপত্র ২০১৯ : HS Bengali Question Paper 2019 | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নপত্র ২০১৯ প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এই HS Bengali Question Paper 2019উচ্চমাধ্যমিক  বাংলা প্রশ্নপত্র ২০১৯ মধ্যে MCQ, SAQ, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর গুলি দেওয়া হয়েছে। আপনারা যারা HS Bengali Question Paper 2019 | পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নপত্র ২০১৯ খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া HS Bengali Question Paper 2019 – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ২০১৯ প্রশ্নপত্র গুলো ভালো করে পড়তে পারেন। 

   উচ্চমাধ্যমিক বাংলা 2019 পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ডাউনলোড। পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম প্রশ্নপত্র বা উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নপত্র ২০১৯ – HS Bengali Question Paper 2019 নিচে দেওয়া রয়েছে।

West Bengal Higher Secondary (WBCHSE Class 12th) / HS Bengali Question Paper 2019 | উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা প্রশ্নপত্র ২০১৯

সময় : ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ( প্রথম ১৫ মিনিট শুধু প্রশ্নপত্র পড়ার জন্য এবং বাকি ৩ ঘন্টা উত্তর লেখার জন্য ) 

Full Marks :   ৮০ (80)

১। সঠিক সঠিক বিকল্পটি নির্বাচন করাে-
১×১৮=১৮

১.১ “বড় বউ ভাবতে চেষ্টা করে”— কী
ভাবতে চেষ্টা করে ?

(ক) তখন আর মাছ আসবে না

(খ) কত কাজ বাকি আছে

(গ) তখনাে চাদ উঠবে কি না

(ঘ) তখনও সসাগরা পৃথিবী থাকবে কিনা।

উত্তরঃ (গ) তখনও চাঁদ উঠবে কিনা।

১.২ ফজরের নামাজ’ বলতে বােঝায়—

(ক) বিকেলের নমাজ

(খ) সন্ধ্যার নমাজ

(গ) ভােরের নমাজ 

(ঘ) দুপুরের নমাজ।

উত্তরঃ (গ) ভােরের নমাজ।

১.৩ “উষ্ণ লাল রংটি ছিল—

(ক) ভােরের সূর্যের

(খ) অস্তগামী সূর্যের

(গ) হরিণের মাংসের

(ঘ) দেশােয়ালিদের জ্বালানাে আগুনে

উত্তরঃ (গ) হরিণের মাংসের।

১.৪ সুবজ সকাল কীসে ভেজা ?

(ক) শিশিরে 

(খ) জলে 

(গ) মেঘে

(ঘ) ভােরের আলােয়।

উত্তরঃ (ক) শিশিরে।

১.৫ “স্টেশনমাস্টারের কাছে আবেদন জানানাে হল।”— কীসের আবেদন জানানাে হল ?

(ক) ট্রেনটাকে চালানাের

(খ) ট্রেনটাকে থামানাের

(গ) নতুন ট্রেনের ব্যবস্থা করার

(ঘ) ট্রেনটাকে বাতিল করার।

উত্তরঃ (খ) ট্রেনটাকে থামানাের।

অথবা, “কে জিতেছিল ? একলা সে?”— একলা’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে ?

(ক) সিজার 

(খ) স্পেনের ফিলিপ

(গ) দ্বিতীয় ফ্রেডারিক 

(ঘ) আলেকজান্ডার।

উত্তরঃ (গ) দ্বিতীয় ফ্রেডারিক।

১.৬ “দুজনে হাত ধরাধরি করে ডানদিকে পিছনের উইং দিয়ে পালিয়ে যান”— দুজন কে কে ?

(ক) শম্ভু ও বৌদি 

(খ) অমর ও বৌদি

(গ) শম্ভ ও অমর 

(ঘ) শম্ভ ও যুবক।

উত্তরঃ (গ) শম্ভু ও অমর।

অথবা,

“উঃ কী শীত—সব আছে কী নেই ?

(ক) মানুষ নেই 

(খ) আলাে নেই

(গ) লােকজন নেই 

(ঘ) শীতের পােষাক নেই।

উত্তরঃ (ক) মানুষ নেই।

১.৭ জারি গানে ‘জারি’ শব্দের অর্থ—

(ক) আনন্দ 

(খ) সমবেত 

(গ) বীরত্ব 

(ঘ) ক্রন্দন।

উত্তরঃ (ঘ) ক্রন্দন।

১.৮ “ধোঁয়া আর কুয়াশা মিলে হয় ধোঁয়াশা”- এটি হল—

(ক) মিশ্র রূপমূল

(খ) জটিল রূপমূল

(গ) জোড়াকলম রূপমূল

(ঘ) সমন্বয়ী রূপমূল।

উত্তরঃ (গ) জোড়াকলম রূপমূল।

১.৯ রামব্রীজকে রজনীবাবু কত টাকা বকশিশ দিয়েছিলেন ?

(ক) এক টাকা 

(খ) তিন টাকা

(গ) চার টাকা 

(ঘ) দুই টাকা।

উত্তরঃ (খ) তিন টাকা।

অথবা, “পৃথিবীতে সবচেয়ে পপুলার জিনিস
হচ্ছে …..”—

(ক) নাটক 

(খ) গান 

(গ) প্রেম 

(ঘ) বন্ধুত্ব।

উত্তরঃ (গ) প্রেম।

১.১০ “কয়েক মিনিটে মৃত্যুঞ্জয়ের সুস্থ শরীরটা অসুস্থ হয়ে গেল।’- কারণ—

(ক) অফিসে কাজের চাপ প্রবল

(খ) প্রচণ্ড গরমের মধ্যে হেঁটে সে অফিসে
এসেছিল

(গ) প্রথমবার অনাহারে মৃত্যু দেখে সে প্রবল
আঘাত পেয়েছিল

(ঘ) বেশি খাবার খেয়ে ফেলায় তার বমি
হচ্ছ।

উত্তরঃ (গ) প্রথমবার অনাহারে মৃত্যু দেখে সে প্রবল আঘাত পেয়েছিল।

১.১১ কী উচ্ছবকে বড়াে উতলা করে ?

(ক) বাদার চালের গন্ধ

(খ) যজ্ঞ শেষে ভাত পাবার আশা

(গ) বউ-ছেলেমেয়ের কথা

(ঘ) ফুটন্ত ভাতের গন্ধ।

উত্তরঃ (ঘ) ফুটন্ত ভাতের গন্ধ।

১.১২ থুথুড়ে ভিখিরি বুড়ির গায়ে জড়ানাে—

(ক) চিটচিটে তুলাের কম্বল

(খ) ছেড়া কাপড়

(গ) নােংরা চাদর

(ঘ) দামী শাল।

উত্তরঃ (ক) চিটচিটে লার কম্বল।

১.১৩ “নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে/না-ই
যদি হয়….”—

(ক) রােষ 

(খ) ক্ষোভ 

(গ) রাগ 

(ঘ) ক্রোধ।

উত্তরঃ (ঘ) ক্রোধ।

১৪ “রক্তের অক্ষরে দেখিলাম’– কী দেখলেন ?

(ক) আপনার স্বপ্ন 

(খ) আপনার জগৎ

(গ) আপনার বেদনা 

(ঘ) আপনার রূপ।

উত্তরঃ (ঘ) আপনার রূপ।

১.১৫ রুশ দেশীয় এক বিখ্যাত চিত্র পরিচালক হলেন—

(ক) আইজেনস্টাইন 

(খ) আইজেকস্টাইন

(গ) আইনস্টাইন 

(ঘ) রুশাে।

উত্তরঃ (ক) আইজেনস্টাইন।

অথবা, “শাহজাদি! সম্রাটনন্দিনী! মৃত্যুভয় দেখাও কাহারে”— কোন নাটকের অংশ ?

(ক) সাজাহান 

(খ) মেবার পতন

(গ) রিজিয়া 

(ঘ) চন্দ্রগুপ্ত।

উত্তরঃ (গ) রিজিয়া।

১.১৬ সুনয়নী দেবী অঙ্কিত একটি বিখ্যাত চিত্র—

(ক) মা যশােদা 

(খ) মধ্যযুগের সন্তগণ

(গ) হলকর্ষণ 

(ঘ) ভারতমাতা।

উত্তরঃ (ক) মা যশােদা।

১.১৭ বাংলায় বিজ্ঞান রচনায় পথিকৃৎ পত্রিকা হল—

(ক) সমাচার দর্পণ 

(খ) তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা

(গ) দিগদর্শন 

(ঘ) প্রাকৃতিক বিজ্ঞান।

উত্তরঃ (গ) দিগদর্শন।

১.১৮ ‘চুপ-চাপ’ শব্দটি নিম্নলিখিত কোন্ শ্রেণির মধ্যে পড়ে ?

(ক) ব্যাখ্যামূলক সমাস 

(খ) অনুকার পদ

(গ) বর্ণনামূলক সমাস 

(ঘ) পদদ্বৈত।

উত্তরঃ (খ) অনুকার পদ।

২. অনধিক ২০ টি শব্দে উত্তর দাও : ১×২=১২

২.১ ফাঁপি কাকে বলে ?

উত্তরঃ পৌষ মাসে বৃষ্টির সঙ্গে জোরালাে
বাতাস বইতে শুরু করলে তাকে ফাঁপি বলে।

২.২ “ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয়..”—
কাদের চোখে কী হানা দেয় ?

উত্তরঃ কবি সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ’
কবিতানুসারে সাঁওতাল পরগনার মানুষদের
চোখে হানা দেয় ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন।

২.৩ ‘চিনিলাম আপনারে’— কবি কীভাবে
নিজেকে চিনলেন ?

উত্তরঃ ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতার মাধ্যমে কবি জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে চিনতে পেরেছেন আঘাত এবং বেদনার মধ্য দিয়ে।

২.৪ “তাতে বয়েসটা ঠিক বােঝা যায় না”—
কার বয়স কেন বােঝা যায় না ?

উত্তরঃ নানা রঙের দিন নাটকে লম্বা লম্বা চুলে প্রতিদিন হাফ শিশি কলপ লাগিয়ে রজনীবাবু ছেলেছােকরাদের সঙ্গে যেভাবে ইয়ার্কি করেন তাতে তার বয়সটা বােঝা যায় না।

২.৫ উপসর্গ কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে সব বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি শব্দ বা ধাতুর পূর্বে যুক্ত হয়ে নতুন নতুন অর্থ বিশিষ্ট শব্দ গঠন করে, তাদের উপসর্গ বলে।
যেমন— প্র, পরা, অপ, সম ইত্যাদি।

২.৬ সংক্ষেপিত পদ বা ক্লিপিংস কী ?

উত্তরঃ শব্দগঠনের যে প্রক্রিয়ায় কোনাে শব্দের অর্থ পরিবর্তন না করে সেটিকে আকারে ছােটো বা সংক্ষেপিত করা হয় তাকে সংক্ষেপিত পদ বা ক্লিপিংস বলে। যেমন– বড়ােদাদা থেকে বড়দা।

২.৭ “চনুনীরে! তুইও খা।”— কোন গল্পের
অংশ ? ‘চনুনী’-র পরিচয় দাও।

উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশটি লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ গল্পের থেকে নেওয়া হয়েছে। উচ্ছব নাইয়ার মেয়ে হলো চনুনী।

২.৮ “একটি তারা এখনাে আকাশে রয়েছে”— তারাটিকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন ?

উত্তরঃ কবি জীবনানন্দ দাশ ‘শিকার’ কবিতায় উল্লিখিত তারাটিকে দুটি জিনিসের সঙ্গে তুলনা করেছেন—
• পাড়াগাঁর কোনাে বাসরঘরে সবথেকে গােধূলিমদির মেয়েটির সঙ্গে,
• মিশরের জনৈক রমণী তার বুকের থেকে কবির নীল মদের গ্লাসে রাখা মুক্তোর সঙ্গে।

২.৯ “এখন যদি না থাকি”— বলতে কার
পাশে কখন না থাকার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ বিপদের সময় ক্রন্দনরতা জননীর পাশে না থাকার কথা বলা হয়েছে।

২.১০ ‘জয়তােরণে ঠাসা’— কোন শহরের
কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ উদ্ধৃত কবিতাংশেরর অংশে রােম শহরের কথা বলা হয়েছে।

অথবা,

আমি কৌতূহলী হয়ে উঠি’— কী বিষয়ে বক্তা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন ?

উত্তরঃ প্রচন্ড গ্রীষ্মের মধ্যে শিষ্যদের সঙ্গে
গুরুনানক হাসান আব্দালের জঙ্গলে এসে
পৌঁছানাের পর কী হয়েছিল, সেটা শােনার জন্য বক্তা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন।

২.১১ বিভাব’ নাটকে কাবুকি’ থিয়েটারের বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে লেখাে।

উত্তরঃ জাপানের কাবুকি’ থিয়েটারে পাত্রপাত্রীগণ অঙ্গভঙ্গিমার সাহায্যে নাটকের দৃশ্যগুলি প্রাণবন্ত করে তোলেন।

অথবা,

রজনীবাবু ভয়ে চিৎকার করে পিছিয়ে যান’— কাকে, কী অবস্থায় দেখে রজনীবাবু ভয় পেয়েছিলেন ?

উত্তরঃ পরনে ময়লা পাজামা, গায়ে কালাে চাদর, এলােমেলাে চুলে কালীনাথ সেনকে মঞ্চে প্রবেশ করতে দেখে রজনী বাবু ভয় পেয়েছিলেন।

১.১২ Dictionary শব্দটি প্রথম কবে কোথায় পাওয়া যায় ?

উত্তরঃ ১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দে স্যার থমাস এলিয়েটের ল্যাটিন-ইংরেজি অশি ডিকশনারি’ শব্দটি প্রথম পাওয়া যায়

বিভাগ – ‘ক’ (নম্বর : ৫০)

১.অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও ৫×১ = ৫

১.১ “সেই সময় এল এক বুড়ি।”— লেখক বুড়ির সম্পর্কে যে বর্ণনা দিয়েছেন তা নিজের ভাষায় লেখো। ৫

উত্তরঃ সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের মুখ্য ভূমিকায় রয়েছে একটি বুড়ি। গ্রাম-পার্শ্ববর্তী একটি ছোট্ট বাজারে সেই বুড়ির আগমণ, তার আকস্মিক মৃত্যু এবং তার মরদেহ নিয়ে গ্রামস্থ হিন্দু-মুসলিমের বিবাদ এই গল্পের প্রধান বিষয়। ‘পৌষে বাদলার’ অকাল-দুর্যোগের দিনে এক সকালে সেই বুড়ির আবির্ভাব ঘটেছিল। লেখক সুন্দরভাবে সেই বুড়ির চেহারা এবং পোশাক-পরিচ্ছদের বর্ণনা তুলে ধরেছেন।

বুড়ির চেহারাঃ সে ছিল এক থুথুড়ে কুঁজো বুড়ি যাকে দেখে ভিখিরি বলেই মনে হবে। তার রাক্ষুসে চেহারায় একমাথা সাদা চুল এবং মুখে দীর্ঘায়ুর ছাপ পড়েছে।

পোশাক-পরিচ্ছদঃ তার পরনে জড়ানো ছিল একটি চিটচিটে তুলোর একটি ছেঁড়া নোংরা কাপড় এবং গায়ে কম্বল। এক হাতে বেঁটে লাঠি নিয়ে পিচের উপর হেঁটে হেঁটে এসে হাজির হয়েছিল চায়ের দোকানের সামনে।

ব্যক্তিত্বঃ বুড়ি ছিল খুবই বদ-মেজাজি। বাজারের লোকজন তাকে নিয়ে ঠাট্টাতামশা করলে সেও মুখের উপর জবাব দিয়েছিল। তার ব্যাপারে কেউ নাক গলাক, এটা তার পছন্দ ছিল না। একজন তার ঠিকানা জানতে চাইলে সে বলেছিল -‘সে কথায় তোমাদের কাজ কী বাছারা ?’ তাকে দেখে ভিখিরি মনে হলেও সে কিন্তু ভিখিরি ছিল না। চা খেয়ে সে নিজেই দাম মিটিয়েছে।

বুড়ির আরেকটি বিশেষ পরিচয় হল যে সে একজন বৃক্ষবাসিনী। দুর্যোগপূর্ণ দিনে সে বাজারের বটগাছের খোন্দলে আশ্রয় নিয়েছিল।

১.২ “ভূরিভােজনটা অন্যায়, কিন্তু না খেয়ে মরাটা উচিত নয় ভাই।”— বক্তা কে ? এই বক্তব্যের মধ্যে বক্তার চরিত্রের কোন দিক আভাসিত হয়েছে ? ১+৪

উত্তরঃ এখানে ক্লিক করুন। Link দেওয়া হয়েছে।

২.অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১ = ৫

২.১ “মৃত্যুতে সকল দেনা শােধ করে দিতে বক্তা কে ? মৃত্যুতে সকল দেনা’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে ? সে ‘দেনা’ কীভাবে শােধ করতে চেয়েছিলেন কবি ? ১ + ১ + ৩

উত্তরঃ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবির দার্শনিক ভাবনার প্রকাশ ঘটেছে। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যে পথচলা, সেই দীর্ঘ পথচলাকে কবি রূপকের আশ্রয়ে তুলে ধরেছেন।

কবির মতে, মানবজীবন সর্বদা দুঃখময়। মানুষ সারাজীবন ধরে দুঃখের তপস্যা করে। এই তপস্যা চলতে থাকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। কবি বলেছেন, “আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা এই জীবন”। তবে এই তপস্যার ফল কিন্তু স্বাদু হয়। তপস্যা করেই ‘সত্যের দারুণ মূল্য’ লাভ করা যায়। ইহজীবনে মানুষ যাকিছু লাভ করে অর্থাৎ ধনদৌলত, মান-যশ ইত্যাদি সবই হল সত্যের দেওয়া একেকটি উপহার। আবার, জীবনে চলার পথে আমরা যেসব পার্থিব জিনিস অর্জন করে থাকি, সে সবই হল জীবনের কাছে আমাদের দেনা বা ঋণ প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে কবি এই দেনার কথাই বলেছেন।

মৃত্যুতেই জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। অন্যভাবে বললে, জন্মের পর থেকে যে পথচলা শুরু হয়, মৃত্যুতেই তার পূর্ণবিরতি। জন্মের সময় মানুষ যেমন একাই আসে, মৃত্যুর সময়েও তাকে একাই ফিরে যেতে হয়। সারাজীবন ধরে দুঃখের কঠোর তপস্যা করে সে যা কিছু অর্জন করে, সেইসব পার্থিব জিনিস ফেলে রেখেই তাকে চলে যেতে হয়। তাই কবি মৃত্যুর মাধ্যমে সেই দেনা শোধ করতে চেয়েছিলেন। (Credit banglasir.com)

২.২ “আরােগ্যের জন্য ঐ সবুজের ভীষণ দরকার” ‘ঐ সবুজ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ? সেই সবুজকে পাওয়ার জন্য কবি কী কী নির্দেশ দিয়েছেন ? ১+৪

উত্তরঃ * জীবনানন্দ দাশ পরবর্তী বাংলা কাব্য-কবিতায় অন্যতম আধুনিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘অঙ্গুরী তোর হিরণ্য জল কাব্যগ্রন্থের’ ‘আমি দেখি’ কবিতায় প্রশ্নোদ্ধৃত পংক্তিটিতে কবি নিজস্ব জীবনে আনতে চেয়েছেন সবুজের সোহাগ স্পর্শ। শহুরে জীবনের ক্লান্তি, অবসন্নতা ধূসরতাকে সরানোর জন্য প্রয়োজন গাছের সবুজ অংশ। গাছের সবুজ খেয়ে ফেলবে নগর সভ্যতার সমস্ত অসুখ। কবি ‘ঐ সবুজের’ বলতে প্রকৃতির সবুজকে নির্দেশ করেছেন।

প্রকৃতি প্রেমিক কবি প্রকৃতির সবুজের স্নিগ্ধতা, সোহাগ-স্পর্শ পাওয়ার জন্য জঙ্গল থেকে গাছগুলো তুলে এনে নগর পরিবেশে বাগানে বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

কবি জানেন নগর সভ্যতার ক্লান্তি, অবসন্নতা ও একঘেয়েমি থেকে আরোগ্য লাভের একমাত্র উপায় প্রকৃতির কোলে সবুজ প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকা। শহরের ব্যস্ততার কারণে বহুদিন জঙ্গলে না যেতে পারার জন্য কবির আক্ষেপ ধ্বনিত হয়েছে কবিতায়। কবির কথায়—

”বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন
বহুদিন জঙ্গলে যাইনি
বহুদিন শহরে আছি”

* কবি এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য আপামর শহুরে মানুষদের নির্দেশ দিয়েছেন জঙ্গলের গাছ এনে নগর পরিবেশে বাগানে বসাতে। কারণ চোখ এবং দেহ চায় সবুজ প্রকৃতি। সবুজ প্রকৃতির মাঝে নিজেকে মেলে ধরতে পারলে অন্তরাত্মা চেতনাকে যেমন সবুজ করা যায়, তেমনি শারীরিক- মানসিক সুস্থতা ও আরোগ্য লাভ সম্ভব।

৩. অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১=৫

৩.১ “জীবন কোথায় ?”— কে, কাকে বলেছেন ? বক্তা জীবনকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে করেন ?

উত্তরঃ ‘বিভাব’ নাটক থেকে গৃহীত প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটির বক্তা হলেন স্বয়ং নাট্যকার শম্ভু মিত্র। তিনি নাটকের অপর এক চরিত্র অমর গাঙ্গুলিকে একথা বলেছেন।

‘বিভাব’ নাটকে নাট্যদলের সম্পাদকের নির্দেশে হাসির নাটকের উপকরণ খুঁজতে শম্ভু মিত্র সহ-অভিনেতা অমর গাঙ্গুলির বাড়িতে যান। সেখানে ‘বৌদি’ তৃপ্তি মিত্রের নির্দেশনায় ‘লভ সিন’ এবং ‘প্রগ্রেসিভ লভ সিন’-এর দৃশ্যের অবতারণা করেও হাসি পায় না। শম্ভু মিত্র মানুষকে হাসাবার রীতিমত চেষ্টাও করে গেছেন। নাট্যকারের সব চেষ্টা বিফলে যায়। তখন তারা সিদ্ধান্ত নেন যে, বদ্ধ ঘরের মধ্যে জীবনকে উপলব্ধি করা যাবে না। নাট্যকারের মতে, জীবনের আসল স্বাদ আস্বাদন করতে হলে চার দেওয়ালের মধ্য থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। জীবনকে উপলব্ধি করা যাবে ‘রাস্তায়, মাঠে, ঘাটে’ । অর্থাৎ, বৃহত্তর জনজীবনের মধ্যেই জীবনের প্রকাশ। কিন্তু মানুষ বড়ই বাস্তববিমুখ। সুখ-দুঃখ, হাসিকান্না নিয়েই মানুষের জীবন। কিন্তু মানুষ শুধু সুখটা চায়, দুঃখকে বরণ করার মানসিকতা কারো নেই।

৩.২ প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ !”— কে বলেছেন ? এই অপমৃত্যু কীভাবে ঘটে বলে বক্তা মনে করেন ? ১+৪

উত্তরঃ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের উল্লিখিত অংশটির বক্তা হলেন বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়।

গভীর রাতে মঞ্চের উপরে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় শূন্য অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহের দিকে তাকিয়ে জীবনের ফেলে আসা দিনগুলিকে মনে করেছেন। তীব্র হতাশা এবং কষ্টবােধে ভুগেছেন তিনি। নিজের যৌবনে পুলিশ ইনস্পেকটরের চাকরি ছেড়ে নাটকের জগতে এসেছিলেন তিনি। নাটকের কারণেই তার নামডাক হয়েছিল। ধনী মানুষের একমাত্র মেয়ের সঙ্গে জীবনের একমাত্র প্রেম সম্পর্কটিও হয়েছিল এই অভিনয়ের সূত্রেই। কিন্তু সেই সম্পর্ক ভেঙেও গিয়েছিল এই অভিনয়কে ছাড়তে না পারার জন্যই। আর তখন থেকেই রজনীকান্ত উপলব্ধি করেছিলেন অভিনেতার জীবনের অর্থহীনতাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিনেতা হিসেবে তার কদরও কমেছে। গলার আওয়াজ নষ্ট হল, চরিত্রকে বােঝার এবং ফুটিয়ে তােলার ক্ষমতাও নষ্ট হয়ে গেল। আর এ কারণেই হতাশ রজনীকান্তের মনে হল থিয়েটারের দেওয়ালে কেউ অদৃশ্য কালাে হাতে যেন লিখে দিয়ে গেছে তার প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ। (Credit millioncontent)

৪. অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১ = ৫

৪.১ “ভারত জয় করেছিল তরুণ আলেকজান্ডার। একলাই না কি ?”— আলেকজান্ডার কে ছিলেন ? ‘একলাই না কি’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ?

উত্তরঃ গ্রিক সম্রাট আলেকজান্ডার ম্যাসিডোনিয়ার রাজা ছিলেন। তার পিতার নাম ফিলিপ। ৩২৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি সিন্ধু নদ অতিক্রম করে ভারত আক্রমণ করেন।

‌ কবি ব্রেখ্ট বিভিন্ন ঐতিহাসিক কীর্তিকাহিনির আড়ালে সাধারণ মানুষের অতুলনীয় অবদানের দিকটিকেই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন। সমরকুশলী গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। তাঁর পারদর্শিতায় রাজা দারায়ুস থেকে পুরু সকলে পর্যুদস্ত হয়েছিল । ছোটো ছোটো রাজ্যের রাজারা বিনা যুদ্ধেই বশ্যতা স্বীকার করেছিল। কিন্তু আলেকজান্ডারের এই সাফল্যের মূল কারণ ছিল, তার সুদক্ষ ও সাহসী বিপুল সৈন্যদল।

কারণ একলা তার পক্ষে ইতিহাসের নায়ক হওয়া সম্ভব ছিল না। ঠিক যেমন যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী গলজাতিকে পরাজিত করা এক জুলিয়াস সিজারের পক্ষে অসম্ভব ছিল। ‘নিদেন একটা রাঁধুনি ছিল’— বলার মধ্য দিয়ে সিজারের যুদ্ধজয়ে অসংখ্য মানুষের কৃতিত্বের এই বিষয়টিকেই কবি স্পষ্ট করেন। অথচ প্রথাগত ইতিহাস সবসময় ক্ষমতাবান ব্যক্তির শ্রেষ্ঠত্বকেই স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু যে-কোনো সাফল্যের মূলে লুকিয়ে থাকা সমষ্টিগত মানুষের দুঃখ কান্না শ্রম ও সাধনার দিকটি চির- উপেক্ষিতই থেকে যায়। প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটি মজুরের জিজ্ঞাসার মাধ্যমে ইতিহাসের এই অন্ধকার দিকটিতেই আলোকপাত করে।

৪.২ “অবাক-বিহ্বল বসে আছি, মুখে কথা নেই।”— মুখে কথা নেই কেন ?

উত্তরঃ অলৌকিক’ গল্পে লেখক কর্তার সিং দুগ্গাল পাঞ্জাসাহেবে গিয়ে মায়ের বান্ধবীর কাছে নিম্নলিখিত গল্পটি শুনেছিলেন। কোনাে-এক দূরের শহরে ফিরিঙ্গিরা একবার নিরস্ত্র ভারতীয়দের ওপরে গুলি চালানােয় বহু মানুষের মৃত্যু হয়। বাকিদের ট্রেনে করে অন্য শহরের জেলে পাঠানাের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কয়েদিরা খিদে-তেষ্টায় মৃতপ্রায় ছিল, তা সত্ত্বেও ট্রেন কোথাও না থামার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই খবর পাঞ্জাসাহেবে পৌঁছালে উত্তেজিত জনতা সিদ্ধান্ত নেয় যে, খিদে-তেষ্টায় কাতর কয়েদিদের নিয়ে ট্রেনটিকে যেতে দেওয়া হবে না। এরপর ট্রেন আটকানাের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে বাড়ির মেয়ে, বাচ্চা-সহ পুরুষেরা রেললাইনে শুয়ে পড়ে। তীক্ষ্ণ হুইসেল দিয়ে ট্রেন এসে গতি কমালেও তার চাকা চলে যায় অনেকের বুকের ওপর দিয়ে। যার মধ্যে সেই মহিলার স্বামীও ছিলেন। ট্রেনের চাকায় লাশগুলি কেটে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল। খালপাড়ের সেতুর দিকে বয়ে গিয়েছিল রক্তের স্রোত। লেখকের মায়ের বান্ধবী শুধু ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীই ছিলেন না, তিনি অবরােধে অংশগ্রহণও করেছিলেন।

এই ঘটনা লেখকের মনে গভীরভাবে রেখাপাত করেছিল। তিনি অবাক-বিহ্বল হয়ে বসেছিলেন। এইজন্য তাঁর মুখে কথা ছিল না।

৫. অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১=৫

৫.১ “নতুন ছাতি মাথায় দিয়ে মহাফুর্তিতে বাড়ির দিকে সে চলল”— কার কথা ? সে নতুন ছাতি কীভাবে পেল ? ১+৪

উত্তরঃ সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের ‘ছাতির বদলে হাতি’-র উল্লিখিত অংশে চেংমান-এর কথা বলা হয়েছে।

গারাে পাহাড়ের নীচের এক গ্রাম থেকে হালুয়াঘাট বন্দরে সওদা করতে এসেছিল এক গারাে চাষী চেংমান। সেসময়ে মুশলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। দিন শেষ হয়ে রাত নেমে আসে। কিন্তু বৃষ্টি থামার কোনাে লক্ষণ দেখা যায় না। তাই মনমােহন মহাজনের দোকানের ঝাপের নীচে আশ্রয় নিয়েছিল চেংমান। যখন সে বাড়ি ফেরার কোনাে উপায়ই পাচ্ছে না, তখনই করুণার অবতার হয়ে দেখা দিল মনমােহন মহাজন। কলকাতা থেকে কিনে আনা একটা নতুন ছাতা চেংমানকে দিয়ে সে বাড়ি ফিরে যেতে বলে। চেংমানের জিনিসগুলি যাতে না ভেজে তা নিয়েও মহাজনকে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায়। চেংমান যখন ছাতার দাম নিয়ে ভাবছে এবং ছাতা নেবে কি না তা নিয়ে দ্বিধা করছে, তখন মনমােহন তাকে আশ্বস্ত করে এবং বলে যে, নগদ পয়সা না দিলেও চলবে। চেংমান তার সুবিধামতাে পরে কোনাে সময় ছাতার দাম দিয়ে দিলেই হবে। চেংমান এই সুযােগ হাতছাড়া করতে চায়নি। তাই সে ছাতা নিয়ে মহাফুর্তিতে বাড়িতে ফেরে।

৫.২ “অমনি মনের মধ্যে গুনগুনিয়ে উঠল মার কাছে শেখা গান।”— মার কাছে শেখা গানটি কী ? কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন লেখক ? ১+৪

উত্তরঃ ‘কলের কলকাতা’ রচনার লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায় ছেলেবেলায় তার মায়ের কাছ থেকে যে গানটি শুনেছিলেন সেটি হল—”ও তাের শিকল পরা ছল। শিকল পরে শিকলরে তুই করবি রে বিকল।”

লেখকদের বাড়িওয়ালা রামদুলালবাবুর দাদার অনুরােধে লেখক একবার জেলে যান গ্রেফতার হওয়া তাঁদেরই বাড়িওয়ালা, কংগ্রেস কর্মী রামদুলালবাবুর সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে গিয়ে লেখক দেখেন, ভ্যানের কয়েদিদের সমবেত ‘বন্দেমাতরম’ ধ্বনিতে জেলখানা কাঁপছে। জেলখানায় ঢুকে একটু এগিয়ে বাঁ-দিকের শেষ ঘরের চেয়ারে বসে আছেন স্বয়ং সুভাষচন্দ্র বসু। সেই সময় বলেন লেখক আরও লক্ষ করেন, জেলের ভেতরে থাকা বন্দিরা জেলের জানলায় জেল ওয়ার্ডারদের চোখ এড়িয়ে মাঝে মাঝে এসে ভিড় করছিল লেখকদের দেখতে। এদের মধ্যে একজন লেখককে তার বাড়ির নম্বর দিয়ে অনুরােধ করে বলেন লেখক যেন তার বৃদ্ধা মায়ের কাছে তার ভালাে থাকার সংবাদটুকু পৌঁছে দেন। জেলের দরজা পেরিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে লেখক হতাশ হয়ে পড়েন। তিনি ভাবতে থাকেন রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলনরত মানুষগুলি জেলখানার অন্ধকার গুহায় দিন কাটানাের প্রতিদান পাবেন কি না। এসময় হঠাৎই লেখকের মনের মধ্যে গুনগুন করে ওঠে মায়ের কাছে শেখা সেই গান- “ও তাের শিকল পরা ছল। শিকল পরে শিকলরে তুই করবি রে বিকল।” (Uploaded)

৬. অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১ = ৫

৬.১ ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাগুলির উল্লেখ করে যে-কোনাে একটি শাখার আলােচনা করাে। ২+৩

উত্তরঃ ভাষাবিজ্ঞানের মূল আলোচনার বিষয় হলো মানুষের ভাষা এবং সেই সঙ্গে মানবজীবনের বিভিন্ন দিকের পারস্পরিক সম্পর্ক। এই ভাষাবিজ্ঞানের প্রধান দুই শাখা হলো (ক) প্রধান ভাষাবিজ্ঞান এবং (খ) ফলিত ভাষাবিজ্ঞান ।

ভাষার সঙ্গে সমাজের সম্পর্ক এবং ভাষার সঙ্গে অন্যান্য বিদ্যার সম্পর্ক ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় বিচার বিশ্লেষণ করা হয়, তাই হলো ফলিত ভাষাবিজ্ঞান। ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের ছটি শাখা। যথা— (ক) সমাজ ভাষাবিজ্ঞান (খ) মনোভাষাবিজ্ঞান (গ) স্নায়ু ভাষাবিজ্ঞান (ঘ) নৃ ভাষাবিজ্ঞান (ঙ) শৈলিবিজ্ঞান (চ) অভিধান বিজ্ঞান।

  • নিম্নে সমাজ ভাষাবিজ্ঞান শাখা নিয়ে আলোচনা করা হলো—

সমাজ ভাষাবিজ্ঞানঃ একই অঞ্চলের মধ্যে বসবাসকারী একই ভাষা গোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে সামাজিক অবস্থান ভেদে কথার যে তারতম্য লক্ষ্য করা যায় তাকেই সমাজ ভাষা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যে শাস্ত্র এই সমাজভাষা নিয়ে আলোচনা করে তাই হলো সমাজ ভাষাবিজ্ঞান। বর্তমানে সমাজ ভাষবিজ্ঞান ভাষাবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখারুপে চিহ্নিত হয়েছে। ফিশম্যান সমাজ ভাষাবিজ্ঞানের তিনটি ক্ষেত্র নির্দেশ করেছেন। সেগুলি হলো— বর্ণনামূলক, প্রয়োগমূলক ও বিবর্তনশীল। বর্ণনামূলক সমাজ ভাষাবিজ্ঞানের মধ্যে বক্তা, শ্রোতা ও উপলক্ষ্যের দিকটি প্রধানত আলোচনা করা হয়। বিবর্তনশীল সমাজ ভাষা বিজ্ঞানে ইতিহাসের দিক থেকে সমাজ ভাষার উদ্ভব, বিবর্তন এবং ব্যবহারের দিকটি আলোচিত হয়। প্রয়োগমূলক সমাজ ভাষাবিজ্ঞানে সামাজিক কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে সমাজ ভাষার ব্যবহারের দিকটি বিশ্লেষিত হয়। এছাড়াও মাতৃভাষার প্রয়োজনীয়তা শেখানোর উন্নত পদ্ধতি, ভাষা শিক্ষার আবশ্যিকতা, অনুবাদ নীতি– নির্ধারণ প্রভৃতি দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। (Credit bhugolsiksha)

৬.২ উদাহরণসহ যুক্তধ্বনির পরিচয়।

উত্তরঃ শব্দের মধ্যে পাশাপাশি অবস্থানে থাকা একাধিক ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে যদি স্বরধ্বনি না থাকে, তবে তাকে বলা হয় ব্যঞ্জন-সমাবেশ। শব্দের শুরুতে বা শেষে থাকা ব্যঞ্জনসমাবেশে কোনাে দলসীমা যদি না থাকে, তবে তাকে বলা হয় যুক্ত ধ্বনি।

দুই ব্যঞ্জনের শব্দ শুরুর যুক্ত ধ্বনিতে প্রথম ব্যঞ্জনটি ‘স’ হবে, নয়তাে দ্বিতীয় ব্যঞ্জনটি ‘র’ বা ‘ল্’ হবে। যেমন প্র (প্রাণ), ত্র (ত্রাণ), তৃ (তৃণ), ধ্র (ধ্রূব), স্প (স্পন্দন), স্ফ (স্ফীত) ইত্যাদি। শব্দের শুরুতে এইরকম মােট ২৮টি যুক্ত ধ্বনি পাওয়া যায় বাংলা ভাষায়। বাংলা কৃতঋণ বা আগন্তুক (মূলত ইংরেজি) শব্দে আরও বেশ কয়েকটি যুক্ত ধ্বনি পাওয়া যায়। যেমন—ফ্র (ফ্রাই), ফ্ল (ফ্ল্যাট), ট্র (ট্রাম) ইত্যাদি। বাংলায় তিন ব্যঞ্জনের ২টি যুক্ত ধ্বনির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যেমন—স্ত্র (স্ত্রী), স্পৃ (স্পৃহা)। আগন্তুক বেশ কিছু শব্দের শেষেও যুক্ত ধ্বনির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যেমন—ক্স (ট্যাক্স), ংক (ব্যাংক) ইত্যাদি। যুক্ত ধ্বনি এমনই এক ব্যঞ্জন-সমাবেশ যেখানে ব্যঞ্জনগুলিকে বর্ণে লিখে দেখানাে যায়।

৭. অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনাে দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫ × ২ = ১০

৭.১ বাংলা চিকিৎসাবিজ্ঞানে কাদম্বিনী (বসু) গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা সম্পর্কে আলােচনা করাে। ৫

উত্তরঃ বাংলা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাদম্বিনী (বসু) গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা—

অধুনা বিহারের অন্তর্গত ভাগলপুরে ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুলাই কাদম্বিনী বসু জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে ভাগলপুর গার্লস ইন্সটিটিউটে এবং ১৯৮৩-এ কলকাতার ‘হিন্দু বাের্ডিং স্কুল’-এ ভরতি হন। দু বছর পর তাকে ভরতি করা হয় বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয়ে। এরপর বেথুন স্কুলে ভরতি হয়ে সেখান থেকেই তিনি এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেন। ১৮৮০-তে এফ এ পাস করে পরের বছর মেডিকেল পড়তে চেয়ে আবেদন করেন তিনি। ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে কাদম্বিনী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হন। তিনি এবং চন্দ্রমুখী বসু ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট। ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে দ্বারকানাথ গাঙ্গুলির সঙ্গে কাদম্বিনীর বিবাহ হয়।

পরবর্তীকালে ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজে প্রথম ছাত্রী হিসেবে ভরতি হন। কিন্তু অধ্যাপকদের অসন্তোষের জেরে তিনি মেডিসিন-এ উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তবে অধ্যক্ষ প্রদত্ত জি বি এম সি (গ্র্যাজুয়েট অব বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ) উপাধি লাভ করে চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে লেডি ডাফরিন হাসপাতালে নিযুক্ত হন কাদম্বিনী। ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দেই তিনি রাজনৈতিক আন্দোলনে অংশ নিয়ে পঞ্চম কংগ্রেসের অধিবেশনে যােগদান করেন। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইংল্যান্ডে গিয়ে ট্রিপল ডিপ্লোমা লাভ করেন। নেপালের রাজমাতার চিকিৎসার জন্য তিনি ১৮৯৫-১৬ খ্রিস্টাব্দে নেপালে যান। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে কাদম্বিনী দেবী খনি শ্রমিকদের অবস্থা পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে বিহারে যান। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের ৩ অক্টোবর কলকাতায় মৃত্যু হয় কাদম্বিনী বসুর।

৭.২ বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় পরিচালক মৃণাল সেনের অবদান আলােচনা করাে।

উত্তরঃ বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় পরিচালক মৃণাল সেনের অবদান—

বাংলা সিনেমায় নতুন ধারা নিয়ে আসেন মৃণাল সেন। ১৯৫৫ থেকে চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে তার যাত্রা শুরু। আজ অবধি সেই ধারা বহমান রয়েছে। টেলিফিল্ম, শর্টফিল্ম, ডকুমেন্টারি ফিল্ম এবং পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি সব মিলিয়ে সংখ্যাটি প্রায় পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। তার প্রথম ছবি ‘রাতভাের’ (১৯৫৫)। ওই একই বছর মুক্তি পেয়েছে ‘পথের পাঁচালী’। ‘রাতভাের’-এ ব্যর্থ হলেন পরিচালক মৃণাল সেন। কিন্তু সেই ব্যর্থতা তাকে দমাতে পারেনি। পরবর্তী ছবি নীল আকাশের নীচে এবং তৃতীয় ছবি ‘বাইশে শ্রাবণ’। এর মধ্যেই তিনি খুঁজে নিলেন নিজের চলার পথ। চলচ্চিত্র পরিচালনার আগে চলচ্চিত্র বিষয়ক লেখালেখি থেকেই মৃণাল সেনের ছবি তৈরির ভাবনা শুরু হয়। সত্যজিৎ রায় যেমন শুরু থেকেই ধ্রুপদি সাহিত্য অবলম্বনে ছবি তৈরি করেছেন, মৃণাল সেন তা করেননি। বরং তাঁর বিপরীত অবস্থানটিই মৃণাল সেনের ছবির বৈশিষ্ট্য। সত্যজিৎ রায় সে কথা স্বীকার করে বলেছেন—“দে স্টার্টেড অ্যাট অ্যাবাউট দ্য সেম টাইম অ্যাজ আই ডিড, ঋত্বিক অ্যান্ড মৃণাল, দে ওয়্যার মেকিং ফিল্ম ভেরি ডিফারেন্ট ফ্রম মাইন, ভেরি ডিফারেন্ট, বাট ভেরি পাওয়ারফুল, আই থিংক।”

মৃণাল সেন পরিচালিত উল্লেখযােগ্য ছবিগুলি হল— ‘নীল আকাশের নীচে’ (১৯৫৮), ‘বাইশে শ্রাবণ’ (১৯৬০), ‘আকাশ কুসুম’ (১৯৬৫), ‘ভুবন সােম’ (১৯৬৯), ‘কলকাতা ৭১’ (১৯৭২), ‘পদাতিক’ (১৯৭৩), ‘আকালের সন্ধানে’ (১৯৮২), ‘মহাপৃথিবী’ (১৯৯১) ইত্যাদি। সারা জীবনে মৃণাল সেন অসংখ্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। তার নির্মিত তথ্যচিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে ‘মুভিং পারসপেকটিভ’ (১৯৬৭), ‘ত্রিপুরা প্রসঙ্গ’(১৯৮২), ‘ক্যালকাটা মাই এলডােরাডাে’ (১৯৮৯), ‘অ্যান্ড দি শাে গােজ অন’ (১৯৯৬)। এ ছাড়াও তিনি ‘তসবির আপনি আপনি’ (১৯৮৪) নামে একটি দূরদর্শন চিত্র, বহু দূরদর্শন ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য রচনা করেন (যেমন—’দশ সাল বাদ’, ‘আজনভি’, ‘শাল’, ‘সালগিরা’, ‘জিত’, ‘দো বহেন’, ‘আজকাল’, ‘রবিবার’, ‘আয়না’, ‘স্বয়ম্ভব’, ‘কভি দূর কভি পাস,’অপরাজিত’)। ‘রাজধানী থেকে’ (১৯৫৮), ‘কানামাছি’ (১৯৬১), ‘জোড়াদীঘির চৌধুরী পরিবার’ (১৯৬৬) এবং “কাচকাটা হীরে’ (১৯৬৬)-র চিত্রনাট্যও মৃণাল সেনের রচনা।

৭.৩ বাংলা গানের ধারায় সলিল চৌধুরীর বিশিষ্টতা সম্পর্কে আলােচনা করাে।

উত্তরঃ কথা আর সুরের অপূর্ব জাদুতে সংগীত পিপাসু মনকে মুগ্ধ করে মানুষের মনে আপন চিরন্তন আসনখানি ছিনিয়ে নিয়েছেন যিনি তিনি বিশ শতকের অবিস্মরণীয় কথাকার ও সুরকার সলিল চৌধুরী (১৯২৩-১৯৯৫)।

সলিল চৌধুরী একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক। তিনি প্রথম জীবনে ভারতীয় গণনাট্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর গানে সমকালীন রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের ছাপ লক্ষ্য করা যায়। 1949 এ ‘পরিবর্তন’ ছবির সংগীত পরিচালক রূপে আত্মপ্রকাশ ঘটে। বাংলা সহ বিভিন্ন ভাষার ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেন। প্রায় 75 টি হিন্দি, 40 টি বাংলা, 26 টি মালয়ালম এবং বেশ কিছু মারাঠি, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, গুজরাটি,ওড়িয়া এবং অসমিয়া ছবি তাঁর নিপুণ সঙ্গীত পরিচালনায় সার্থক হয়ে উঠেছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য– ‘বাঁশেরকেল্লা’, ‘গঙ্গা’, ‘কিনু গোয়ালার গলি’, ‘লাল পাথর’, ‘রক্তাক্ত বাংলা’, ‘জাগতে রহো’, ‘মুশাফির’, ‘দো বিঘা জমিন’, ‘চেম্মিন’ প্রভৃতি।

সংগীত সাধনার ক্ষেত্রে তাঁর বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে—

(ক) তাঁর গানে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। বাংলা গানে পাশ্চাত্য রীতির ব্যবহারে তিনি অসামান্য।

(খ) ‘বিচারপতি’, ‘রানার’, ‘অবাক-পৃথিবী’ প্রভৃতি গণসঙ্গীতের ও সার্থক স্রষ্টা তিনি।

(গ) তিনিই প্রথম কয়্যার সংগীতের প্রবর্তক। ‘বম্বে ইয়ুথ কয়্যার’ তিনি প্রতিষ্ঠা করেন এবং পলিফোনিক কয়্যার বা বহুস্বর পদ্ধতি চালু করেন।

(ঘ) ‘ও আলোর পথযাত্রী’, ‘ঢেউ উঠছে কারা টুটছে’, ‘হেই সামালো’ প্রভৃতি গণসঙ্গীতে কোরাস গায়ণ পদ্ধতি নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন।

(ঙ) ‘উজ্জ্বল এক ঝাঁক পায়রা’, ‘আজ নয় গুনগুন গুঞ্জন প্রেমের’, ‘সুরের এই ঝর ঝর ঝরনা’ প্রভৃতি গানে কোথাও পাশ্চাত্য ক্রিসক্রস গতি বা প্যাটার্ন, কোথাও ভোকাল হারমনি, কোথাও বা কাউন্টার পয়েন্ট সফলভাবে প্রয়োগ করেছেন।

(চ) বাংলা গানে সলিল চৌধুরীর অবদানের যথার্থ মূল্যায়ন এখনো হয়নি। তবে সঙ্গীত পিপাসু মানুষের কাছে আজও তাঁর গানগুলির অসামান্য জনপ্রিয়তা ও কদর তাঁর অসামান্য প্রতিভাকেই স্মরণ করায়।

৭.৪ আন্তর্জাতিক স্তরে সুনাম অর্জন করেছেন, এমন একজন বাঙালি ক্রীড়াবিদের কৃতিত্বের পরিচয় দাও।

উত্তরঃ বাঙালির ক্রীড়া সংস্কৃতির ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। তবে, আধুনিক খেলাগুলির সঙ্গে বাঙালির পরিচয় ঘটে মূলত ইংরেজদের মাধ্যমে। আর সবক্ষেত্রেই বাঙালি ক্রীড়াবিদরা কৃতিত্বের পরিচয় দিয়ে গেছেন। অনেক বাঙালি ক্রীড়াব্যক্তিত্ব দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম অবশ্যই সৌরভ গাঙ্গুলি।

ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলিঃ
সৌরভ গাঙ্গুলী ভারতের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৯২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একদিবসীয় ম্যাচের মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পণ করেন এবং সারাজীবনে ৩১১ টি একদিবসীয় ম্যাচে তাঁর প্রাপ্ত রান ১১৩৬৩। আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর প্রথম ম্যাচ ১৯৯৬ সালে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সৌরভ গাঙ্গুলি মোট ১১৩ টি টেস্টে ৭২১২ রান সংগ্রহ করেছেন। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি যতখানি সফল ছিলেন, ডানহাতি মিডিয়াম পেসার হিসেবেও তিনি ততখানি অনবদ্য ছিলেন। এছাড়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও তিনি যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।

অধিনায়ক সৌরভঃ
সৌরভ গাঙ্গুলী ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সফল অধিনায়ক হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর অধিনায়কত্বে ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল এবং ভারতীয় দল ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল।

প্রশাসক সৌরভঃ
সৌরভ গাঙ্গুলী শুধুমাত্র একজন দক্ষ ক্রিকেটার বা সফল অধিনায়ক নন, বিভিন্ন ক্রিকেট সংগঠনের প্ৰশাসক হিসেবেও তাঁর ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি ক্রিকেট এসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল- এর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা বিসিসিআই (বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া)- এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

পুরস্কার ও সম্মাননাঃ
ক্রিকেটার হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলি খেলার মাঠে বহু পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন। আবার অনেক রেকর্ডও গড়েছেন। যেমন, একদিবসীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি একটানা চারটি ম্যাচে ‘ম্যান অফ দি ম্যাচ’ পুরস্কার পেয়েছেন। ক্রিকেটে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অর্জুন পুরস্কারে (১৯৯৮) ভূষিত হয়েছেন। ২০০৪ সালে তিনি ভারত সরকার প্রদত্ত পদ্মশ্ৰী পুরস্কার পান। (Credit banglasir)

৮. নিম্নলিখিত যে-কোনাে একটি বিষয় নির্বাচন করে, নির্দেশ অনুসারে কমবেশি ৪০০ শব্দের মধ্যে একটিৎপ্রবন্ধ রচনা করাে : ১০×১ =১০

৮.১ নিম্নে প্রদত্ত মানস-মানচিত্র অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করাে : বিশ্ব উষ্ণায়ন কী ?

৮.২ প্রদত্ত অনুচ্ছেদটিকে প্রস্তাবনা বা ভূমিকাস্বরূপ গ্রহণ করে বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করে, পরিণতি দানের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধ রচনা করাে ।

ভারত এক মিলনমেলা।

পরকে আপন করিতে প্রতিভার প্রয়ােজন। অন্যের প্রবেশ করিবার শক্তি এবং অন্যকে সম্পূর্ণ আপন করিয়া লইবার ইন্দ্রজাল, ইহাই প্রতিভার নিজস্ব। ভারতবর্ষের মধ্যে সে প্রতিভা আমরা দেখিতে পাই। ভারতবর্ষ অসংকোচে অন্যের মধ্যে প্রবেশ করিয়াছে এবং অনায়াসে অন্যের সামগ্রী নিজের করিয়া লইয়াছে ভারতবর্ষ কিছুই ত্যাগ করে নাই।

৮.৩ প্রতিপক্ষের যুক্তির অসারতা মনে করে স্বপক্ষে যুক্তিক্রম বিন্যাস করে প্রবন্ধ রচনা করাে :

বিতর্কের বিষয় : সুপ্রভাব নয়, বর্তমান গণমাধ্যম কুপ্রভাবই বিস্তার করছে।

মতের পক্ষে : সংবাদপত্র, বেতার, দূরদর্শন, ইন্টারনেট ইত্যাদির কুরুচিপূর্ণ বিজ্ঞাপন,
সংবাদ বা তথ্য পরিবেশনের প্রভাব মারাত্মক। মতের বিপক্ষে নানা কুরুচিপূর্ণ বিজ্ঞাপন ও সংবাদকে বাদ দিলে আজও গণমাধ্যম সুপ্রভাব বিস্তারকারী।

৮.৪ প্রদত্ত সূত্র ও তথ্য অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করাে :

সত্যজিৎ রায়

জন্ম : ২রা মে, ১৯২১। কলকাতা।
পিতা : বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায়।
মাতা : সুপ্রভা রায়।
পারিবারিক ঐতিহ্য : সন্দেশ পত্রিকার সম্পাদক উপেন্দ্রকিশাের রায়চৌধুরি তাঁর
পিতামহ। নিকট আত্মীয় – লীলা মজুমদার।
শিক্ষাজীবন : বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুল।
প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে স্নাতক।
বিশ্বভারতীর (শান্তিনিকেতন) কলাভবনে শিল্প বিষয়ে পাঠগ্রহণ।
কর্মজীবন : প্রথম জীবনে বিজ্ঞাপন সংস্থায় যােগদান। পুস্তকের প্রচ্ছদ অঙ্কনে নব্য ধারার প্রবর্তন।
বাংলা চলচ্চিত্রে অবদান: পথের পাঁচালী ছবির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ।
বিশিষ্ট ছবি – অপরাজিত, চারুলতা, জলসাঘর। ছােটোদের সিনেমা ও অন্যান্য বহু ছবি।
সাহিত্যকর্ম : ফেলুদার কাহিনি, প্রাে সার শঙ্কুর কাহিনি এবং অজস্র ছােটোগল্প, প্রবন্ধ।
পুরস্কার : বিভিন্ন স্তরের জাতীয় পুরস্কার, দাদাসাহেব ফালকে, লিজিয়ন
অফ অনার এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় চলচ্চিত্র
মৃত্যু : ২৩ শে এপ্রিল, ১৯৯২।

◆ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি, বিনামূল্যে নোটস, সাজেশন, PDF ও সমস্ত আপডেটের জন্য আমাদের WhatsApp Group এ Join হয়ে যাও।

HS WhatsApp Groups Click Here to Join

HS Question Paper 2019 | উচ্চমাধ্যমিক প্রশ্নপত্র ২০১৯

আরোও দেখুন:-

HS Bengali Question Paper 2019 Click here

আরোও দেখুন:-

HS English Question Paper 2019 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Geography Question Paper 2019 Click here

আরোও দেখুন:-

HS History Question Paper 2019 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Political Science Question Paper 2019 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Education Question Paper 2019 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Sociology Question Paper 2019 Click here

আরোও দেখুন:-

HS All Subject Question 2019 Click here

HS Suggestion 2025 | উচ্চ মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৫

আরোও দেখুন:-

HS Bengali Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

HS English Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

HS History Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Geography Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Political Science Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Philosophy Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Sanskrit Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Education Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Sociology Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

HS All Subjects Suggestion 2025 Click here

HS Bengali Question Paper 2019 | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নপত্র ২০১৯

File Details: 

PDF File Name WB HS Bengali Question Paper 2019 | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নপত্র ২০১৯
Board WBCHSE
Download Link Click Here To Download
Download PDF Click Here To Download

Info : West Bengal HS Bengali Question Paper 2019 | WBCHSE Class 12th HS Bengali Question Paper 2019

HS Bengali Question Paper 2019 download with Sure Common in Examination. West Bengal HS 2019 Bengali Question Paper and new question pattern. WBCHSE 12th Class Board Exam suggestive questions. HS Bengali Question Paper PDF Download. Important questions for WB HS 2019 Bengali Subject. West Bengal Council of Higher Secondary Education HS 2019 Model Question Paper Download.

West Bengal HS  Bengali Question Paper 2019 Download. WBCHSE HS Bengali short question Question Paper 2019 . HS Bengali Question Paper 2019  download. HS Question Paper  Bengali. WB HS 2019 Bengali Question Paper and important questions. HS Question Paper 2019 pdf.পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক  বাংলা পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্নপত্র ডাউনলোড। উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।

Get the HS Bengali Question Paper 2019 by BhugolShiksha.com

 West Bengal HS Bengali Question Paper 2019  prepared by expert subject teachers. WB HS  Bengali Question Paper with 100% Common in the Examination 2019.

HS Bengali Question Paper 2019 – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নপত্র ২০১৯

HS Bengali Question Paper 2019 Download good quality Question Papers for HS 2019 Bengali Subject prepared by Expert Bengali subject teachers. Get the WBCHSE HS 2019 Bengali Question Paper. উচ্চমাধ্যমিক 2019 বাংলা প্রশ্নপত্র. his HS Bengali Question Paper 2019 will help you to find out your HS 2019 preparation.

West Bengal Class 12th Bengali Board Exam 2019 details info

West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) HS 2019 Exam Question Paper download for Bengali subject. West Bengal HS 2019 Examination will be started from February. Students who are currently studying in Class 12th, will seat for their first Board Exam HS. West Bengal Council of Higher Secondary Education will organize this Examination all over West Bengal. WBCHSE HS 2019 Bengali Question Paper download.

West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) Bengali Exam 2019

West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) will organize HS (12th) Board Examination 2019. Students who are currently studying in Class 12 standard, will have to seat for their second Board Exam HS 2019. Bengali is the first language for many students in the exam.

HS Bengali Syllabus 2019

West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) HS Bengali Syllabus with all the important chapters and marks distribution. Download the HS 2019 Bengali Syllabus and Question Paper. 

Questions on the Bengali exam will come from these chapters. All the chapters are equally important, so read them carefully.

HS 2019 Bengali Question Paper Marks Details

The total marks for this Examination will be 100, out of which 80 marks for the written exam and 20 marks for viva voce. The question pattern and Marks distribution of HS Bengali Question Paper are given below.

West Bengal HS Bengali Question Paper 2019 FREE PDF

West Bengal HS 2019 Bengali Question Paper Download in Bengali version. WBCHSE HS Bengali Question Paper 2019 pdf version. Get the complete Higher Secondary Bengali Question Paper 2019 with 100% Common in Examination. HS 2019 Bengali Question Paper pdf download. HS Scientific Question Paper. WBCHSE Class 12th Bengali exam 2019 notes and Important questions.

HS Bengali Question Paper 2019

 This HS 2019 Bengali Question Paper prepared by expert subject teachers. Hope this will help you on your first Board Examination. First, read your textbooks carefully and then practice this Question Paper. In this Question Paper, all the questions are mentioned, which are important for the HS 2019 Bengali exam.

HS Bengali Question Paper 2019 FREE PDF Download

HS Bengali Question Paper 2019 PDF Download : This Question Paper prepared on the basis of all the important questions for this year’s Examination. This is not a complete study material, never depends upon only this Question Paper. Read your textbooks carefully first.
This is the complete list of Question Papers and other information of West Bengal HS 2019 Examination.  Share this page to help your friends.

© BhugolShiksha.com

West Bengal HS Bengali Question Paper 2019 | WB HS Bengali Question Paper 2019 | পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নপত্র ২০১৯

     উচ্চমাধ্যমিক  বাংলা পরীক্ষা 2019 (HS 2019 / WB HS 2019 / HS Exam 2019 / West Bengal Council of Higher Secondary Education – WBCHSE HS Exam 2019 / HS Class 12th / Class XII / HS Pariksha 2019 ) এবং বিভিন্ন চাকরির (WBCS, WBSSC, RAIL, PSC, DEFENCE) পরীক্ষায় এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে BhugolShiksha.com এর পক্ষ থেকে উচ্চমাধ্যমিক (দ্বাদশ শ্রেণী) বাংলা পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর এবং প্রশ্নপত্র (HS Bengali Question Paper / West Bengal Council of Higher Secondary Education – WBCHSE Bengali Question Paper / HS Class 12th Bengali Question Paper 2019 / Class XII Bengali Question Paper / HS Pariksha Bengali Question Paper / Bengali HS Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive  Type Question Paper / HS Bengali Question Paper 2019 FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষা 2019 / দ্বাদশ শ্রেণী বাংলা পরীক্ষা 2019 প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর এবং উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নপত্র ২০১৯ / পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নপত্র ২০১৯ / দ্বাদশ শ্রেণী বাংলা প্রশ্নপত্র ২০১৯ (HS Bengali Question Paper 2019 / West Bengal Council of Higher Secondary Education – WBCHSE Bengali Question Paper 2019 / HS Class 12th Bengali Question Paper 2019 / Class XII Bengali Question Paper 2019 / HS Pariksha Bengali Question Paper 2019 / HS Bengali Exam Guide 2019 / HS Bengali MCQ , Short , Descriptive  Type Question Paper 2019 / HS Bengali Question Paper 2019 FREE PDF Download) সফল হবে।

HS Bengali Question Paper 2019 | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নপত্র ২০১৯

        আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” HS Bengali Question Paper 2019 | পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নপত্র ২০১৯ ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই  BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করুন এবং নিজেকে  তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন , ধন্যবাদ।

Google News Follow Now
WhatsApp Channel Follow Now
Telegram Channel Follow Now