
সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer
সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer : সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই West Bengal WBCHSE Class 11th Geography Concept of Isostasy Question and Answer, Suggestion, Notes | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 11th Eleven XI Geography Examination – পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। একাদশ শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা তে এই সাজেশন বা কোশ্চেন (সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer) গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।
তোমরা যারা সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো।
রাজ্য (State) | পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) |
বোর্ড (Board) | WBCHSE, West Bengal |
শ্রেণী (Class) | একাদশ শ্রেণী (WB Class 11th) |
বিষয় (Subject) | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল (Class 11 Geography) |
প্রাকৃতিক ভূগোল (Physical Geography) | সমস্থিতির ধারণা (Concept of Isostasy) |
[একাদশ শ্রেণীর সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নউত্তর Click Here]
সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal WBCHSE Class 11th Geography Concept of Isostasy Question and Answer
সংক্ষিপ্ত | সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 11 Geography Concept of Isostasy SAQ Question and Answer :
- সমস্থিতি কাকে বলে?
Ans: পৃথিবীর উপরিভাগে অবস্থিত বিভিন্ন ভূমিরূপ যথা পর্বত, মালভূমি, সমভূমি, হ্রদ, সমুদ্র, মহাসাগর ইত্যাদি নিজেদের মধ্যে এক বিশেষ ভারসাম্য বজায় রেখে অবস্থান করছে। এইভাবে পৃথিবীর ভূমিভাগের উত্থিত ও নিমজ্জিত অংশের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার ঘটনাকেই বলা হয় সমস্থিতি (Isostasy) |
ভারসাম্যের ভিত্তিতে ভূত্বকের বিভিন্ন অংশ যথা পাহাড়, পর্বত, মালভূমি, সমভূমি ইত্যাদি অবস্থান করছে। এ কথা বোঝাতে আইসোস্ট্যাসি (Isostasy) কথাটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন আমেরিকার ভূতত্ত্ববিদ ডাটন (1859 সালে)।
- প্রতিবিধান তলের সংজ্ঞা দাও।
Ans: পর্বত, মালভূমি, সমভূমি প্রভৃতি ভূত্বকীয় স্তম্ভগুলির ঘনত্ব সমান নয়। প্র্যাট মনে করেন, ভূত্বকের নীচের স্তরে এমন একটি তল আছে, যেখানে পদার্থ সমপ্রকৃতির এবং প্রত্যেক ভূত্বকীয় স্তম্ভ সেখানে সমান চাপ প্রয়োগ করে। তিনি ওই তলকে প্রতিবিধান তল বা প্রতিপূরণ তল (Level of Compensation) নামে অভিহিত করেছেন।
- প্লাম্ব রেখা (Plumb line) কি?
Ans: প্লাম্ব লাইন হল এক প্রান্তে ভার ঝুলানো দড়ির এমন একটি উলম্ব রেখা, যার সাহায্যে কোনো বস্তু তার উলম্ব অবস্থান থেকে কতখানি হেলে আছে তা নির্ণয় করা সম্ভব হয়।ডাম্পি লেভেল, থিওডোলাইট,প্লেন টেবিল প্রভৃতি যন্ত্রে প্লাম্ব ব্যবহার করা হয় ।
- সমস্থিতি বৈশিষ্ট্য তিনটি লেখ ।
Ans: সমস্থিতির বৈশিষ্ট্য
১) Asthenosphere এর উপর ভাসমান বিভিন্ন ভূ-খণ্ড (পর্বত, মালভূমি,সমভূমি,নিম্নভূমি নিজেদের মধ্যে সাম্যবস্থা বজায় রেখে অবস্থান করে আছে।
২) যে ভূখণ্ড যত উঁচু এবং ভর বেশি সেই ভূখণ্ড তত গভীরে অবস্থান করে আছে।
৩) আর্কিমিডিসের প্লবতার সূত্র –সমস্থিতির ক্ষেত্রে আর্কিমিডিসের প্লবতার সূত্র প্রযোজ্য। বস্তুর ওজন প্লবতার থেকে বেশি হলে বস্তুটি ডুবে যায়, বস্তুর ওজন প্লবতা থেকে কম হলে বস্তুটি ভাসতে থাকে, বস্তুর ওজন ও প্লবতা উভয়ই সমান হলে বস্তুটি ডুবে ভেসে থাকে।
- Isostasy কথাটির আদি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কে করেন ?Isostasy কথাটির সর্বপ্রথম সার্থক প্রয়োগ কে করেন ?
Ans: ফরাসি ভূতত্ত্ববিদ পিয়ের বোগার (Pierre Bouguer) 1735 খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম Isostasy সম্পর্কিত বীজ বপন করেন। 1859 খ্রিস্টাব্দে ডাটন (Dutton) সর্বপ্রথম Isostasy কথাটির সার্থক প্রয়োগ করেন।
- সমস্থিতি প্রমাণের জন্য যে বিজ্ঞানীগণ উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন তাঁদের নাম কী কী?
Ans: জি বি এইরি, জে এইচ প্র্যাট, ড্যালি প্রমুখ বিজ্ঞানী সমস্থিতি সম্পর্কিত নানা পরীক্ষানিরীক্ষা করেন।
- তত্ত্বীয় অভিকর্ষ (Theoretical gravity) কাকে বলে?
Ans: অভিগত গোলকাকৃতি পৃথিবীর নিরক্ষীয় প্রদেশ স্ফীত এবং মেরু প্রদেশ চাপা। নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে তাই মেরু প্রদেশের দিকে অভিকর্ষজ বল বাড়তে থাকে। অক্ষাংশের সাপেক্ষে প্রাপ্ত অভিকর্ষজ মানকে ‘তাত্ত্বিক অভিকর্ষ”প্রমাণ অভিকর্ষ’ বলা হয়। তাত্ত্বিক অভিকর্ষ অক্ষাংশের মান বৃদ্ধির সাথে বাড়তে থাকে। অর্থাৎ তাত্ত্বিক অভিকর্ষ নিরক্ষরেখায় সবচেয়ে কম এবং মেরুর দিকে ক্রমশ তা বাড়তে বাড়তে মেরুতে সর্বাধিক হয়।
- প্রকৃত অভিকর্ষ (Actual Gravity)-কাকে বলে?
Ans: পৃথিবী পৃষ্ঠে কোনো স্থানে যে অভিকর্ষজ মান নির্ধারিত হয়, তাকে প্রকৃত বা বাস্তব অভিকর্ষ বলা হয়। পৃথিবী বন্ধুর হওয়ায় একই অক্ষরেখা বরাবর পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের প্রকৃত অভিকর্ষের মান ভিন্ন হয়।প্রকৃত অভিকর্ষের মান ভূমির উচ্চতা ও শিলা ঘনত্বের উপর নির্ভরশীল।
- অভিকর্ষ বিচ্যুতি (Gravity anomaly) কাকে বলে?
Ans: কোনো একটি নির্দিষ্ট অক্ষাংশগত স্থানে যে অভিকর্ষ টান থাকা উচিত তাকে প্রমাণ বা তাত্ত্বিক অভিকর্ষ (theoretical value) বলে। এটি নিরক্ষরেখায় সবচেয়ে কম এবং ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে মেরুতে সর্বোচ্চ হয়। উপগোলক (Geoid) আকৃতি বিশিষ্ট পৃথিবীর বন্ধুর ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন স্থানে পরিমাপ করে পাওয়া অভিকর্ষ মানকে প্রকৃত অভিকর্ষ (actual gravity) বলে। তাত্ত্বিক মান ও প্রকৃত মানের পার্থক্যকে অভিকর্ষ বিচ্যুতি (Gravity anomaly) বলে। অতএব, অভিকর্ষের তাত্ত্বিক মান – প্রকৃত মান = অভিকর্ষ বিচ্যুতি। প্রকৃত মান তাত্ত্বিক মানের চেয়ে বেশি হলে ধণাত্মক বিচ্যুতি এবং প্রকৃত মান তাত্ত্বিক মানের চেয়ে কম হলে ঋণাত্মক বিচ্যুতি হয়।
- অভিকর্ষজ ত্বরণ (Gravitational Acceleration)কাকে বলে?
Ans: অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ওপর থেকে বাধাহীনভাবে কোনো বস্তু নীচের দিকে নামার সময় বেগ ক্রমশ বাড়তে থাকে। অর্থাৎ একটি ত্বরণের সৃষ্টি হয়। পতনশীল বস্তুর বেগ প্রতি সেকেন্ডে মোটামুটি 9.81 মিটার বা 981 সেমি করে বেড়ে যায়। এই বেগ বাড়ার হারকে ত্বরণ বলা হয়। অভিকর্ষ বলের কারণে এই ত্বরণ নিয়ন্ত্রিত হয় বলে একে ‘অভিকর্ষজ ত্বরণ’ বলা হয়। অভিকর্ষজ ত্বরণ ‘g’ অক্ষর দ্বারা প্রকাশ করা হয়। অভিকর্ষজ ত্বরণ বা g অক্ষাংশ বৃদ্ধিতে বেড়ে যায়। ভূপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়লে অভিকর্ষজ ত্বরণ কমে, বিপরীত দিকে ভূপৃষ্ঠের উচ্চতা কমলে অভিকর্ষজ ত্বরণ বাড়তে থাকে।
- অভিকর্ষজ বিচ্যুতি (Gravity anomaly) কয় প্রকার ও কি কি ? Ans: অভিকর্ষজ বিচ্যুতি দুই প্রকারের হয়- যথা ধন্যাত্মক অভিকর্ষ বিচ্যুতি এবং ঋণাত্মক অভিকর্ষজ বিচ্যুতি
- ধনাত্মক অভিকর্ষ বিচ্যুতি (Positive Gravity anomaly)কাকে বলে ? Ans: কোনো স্থানে অক্ষাংশ অনুসারে যে তাত্ত্বিক অভিকর্ষজ মান প্রাপ্ত হয় তার তুলনায় ওই স্থানের সমীক্ষা করে পাওয়া প্রকৃত অভিকর্ষজ মান যদি বেশি হয়, তবে যে অভিকর্ষ বিচ্যুতি দেখা যায় তাকে’ধনাত্মক অভিকর্ষ বিচ্যুতি’ বলা হয়। সমভূমি বা সামুদ্রিক ভূত্বকের বিচ্যুতি ধনাত্মক হয়।
- ঋণাত্মক অভিকর্ষ বিচ্যুতি (Negative Gravity anomaly)কাকে বলে ? Ans: কোনো স্থানের অক্ষাংশ অনুসারে যে তাত্ত্বিক অভিকর্ষজ মান প্রাপ্ত হয়, তার তুলনায় ওই স্থানের সমীক্ষা করে পাওয়া প্রকৃত অভিকর্ষজ মান যদি কম হয় তবে এই অভিকর্ষ বিচ্যুতিকে ‘ঋণাত্মক অভিকর্ষ বিচ্যুতি’ বলা হয়। নবীন ভঙ্গিল পর্বত শ্রেণিতে বিচ্যুতি ঋণাত্মক হয়। * সমীক্ষা করে পাওয়া কোনো স্থানের প্রকৃত অভিকর্ষজ মান নির্ভরশীল দুটি বিষয়ের ওপর— (i) পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে স্থানটির দূরত্ব এবং(ii) স্থানটির শিলার ঘনত্বের ওপর।
রচনাধর্মী | সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer :
1. সমস্থিতি সম্পর্কে এইরির মতবাদ আলোচনা কর।
Ans: ব্রিটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী জি বি এইরি 1855 খ্রিস্টাব্দে ব্যক্ত করেন যে, ভূপৃষ্ঠের পর্বত, মালভূমি, সমভূমি প্রভৃতি ভূখণ্ডগুলির উচ্চতা ও ঘনত্বের তারতম্যের সঙ্গে অ্যাসথেনোস্ফিয়ার বা নমনীয় মণ্ডলের এক গভীর সম্পর্ক আছে। অর্থাৎ পর্বত, পাহাড়, মালভূমি, সমভূমি প্রভৃতি ভূত্বকীয় অংশগুলি এক ভারসাম্যতার নীতি বজায় রেখে অবস্থান করে।জি বি এইরির তত্ত্ব ভূ-ত্বকের ভারসাম্য তত্ত্ব (Crustal Equilibrium)নামে পরিচিত। জি বি এইরি 1855 খ্রিস্টাব্দে তাঁর সমস্থিতি সম্পর্কিত একটি তত্ত্ব উপস্থাপন করেন।
তত্ত্বের মূলকথা : পৃথিবীর পর্বত, মালভূমি,সমভূমি ইত্যাদি ঘনত্ব ও উচ্চতার পার্থক্যে নীচের Asthenosphere এর ওপর ভারসাম্য অবস্থায় বিরাজ করে।
তত্ত্বের ধারণা (Main Concept): এইরির মতে, একই ধরনের ঘনত্বযুক্ত বিভিন্ন আয়তনের বস্তুকে জলে ভাসিয়ে দিলে সেগুলি বিভিন্ন উচ্চতায় জলের ওপর ভাসতে থাকে। ঠিক তেমনি পর্বত, মালভূমি, সমভূমিগুলিও Asthenosphereএর ওপর বিভিন্ন গভীরতায় অবস্থান করছে। এই নিমজ্জিত অংশকে বিজ্ঞানী এইরি Root বলেছেন। এই জন্য তাঁর তত্ত্বকে Root Hypothesis of Isostasy বলে।
এইরির পরীক্ষা : এইরি সমস্থিতি মতবাদকে প্রমাণ করার জন্য একটি পরীক্ষা করেন। একটি জলের পাত্রে বিভিন্ন আয়তনের কাঠের টুকরো ভাসিয়ে দেন। তিনি লক্ষ করেন, যে কাঠের টুকরোটির আয়তন বেশি, সেই কাঠের টুকরোটি জলের মধ্যে বেশি গভীরতায় ভাসছে এবং অপেক্ষাকৃত কম আয়তনবিশিষ্ট কাঠের টুকরোটি কম গভীরতায় ভাসছে।এইভাবে তিনি বলেন যে, ভূত্বকের বিভিন্ন এককগুলি (পর্বত,মালভূমি) একই ঘনত্বের হলেও তাদের আয়তন বিভিন্ন হয়ে থাকে। ফলে ভূত্বকের এককগুলি নমনীয়মণ্ডলের (Asthenosphere) মধ্যে বিভিন্ন গভীরতায় অবস্থান করে । অর্থাৎ এই এককগুলির যতটা অংশ ভূপৃষ্ঠের ওপরে রয়েছে,তার চেয়ে বেশি অংশ ভূ-অভ্যন্তরে অবস্থান করছে।
এইরির পরীক্ষার সমালোচনা : এইরির তত্ত্বটি নানা দিক থেকে সমালোচিত হয়। যেমন-
(i) এইরি ভূত্বকের এককগুলির(পর্বত, মালভূমি, সমভূমি) ঘনত্বকে সমান ধরেন। কিন্তু ভূত্বকের সম এককগুলির ঘনত্ব একই প্রকার হয় না। খনিজের তারতম্যে ঘনত্বের তারতম্য হয়।
(ii) এইরি গভীরতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঘনত্ব বৃদ্ধির সাধারণ ধারণাটি মেনে নেননি। এটি এই তত্ত্বের একটি অন্যতম দুর্বল দিক।
(iii) এইরি বলেন, জলে ভাসমান হিমশৈলের মতো (হিমশৈলের 1/10 ভাগ জলের ওপরে ও 9/10 ভাগ জলের তলায়
থাকে) পৃথিবীর ভূত্বকের এককগুলি নমনীয় মণ্ডলে ভাসমান অবস্থায় আছে। সেই হিসাবে হিমালয়কে (8,848 x 9 = 79632 মিটার) 79632 মিটার গভীরতা পর্যন্ত প্রোথিত থাকতে হবে। কিন্তু ভূত্বকের গভীরে 30-32 মিটারে 1°C তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে 79632 মিটার গভীরতার অনেক আগেই উষ্ণতা ও চাপজনিত কারণে পদার্থটি গলে যাবে।
(iv) ভূ-অভ্যন্তরে অতিরিক্ত চাপ ও তাপের প্রভাব এইরির তত্ত্বে অনুপস্থিত।
2. সমস্থিতি সম্পর্কে প্র্যাটের মতবাদ আলোচনা কর।
Ans: 1859 খ্রিস্টাব্দে গণিতবিদ ও ধর্মযাজক জে এইচ প্র্যাট পর্বত, পাহাড়, মালভূমি, সমভূমি প্রভৃতি ভূত্বকীয়অংশগুলির ভারসাম্যের বিষয়ে এক মতবাদ ব্যক্ত করেন। তাঁর মতবাদের মূল ভিত্তি হল- জর্জ এভারেস্টের নেতৃত্বে Ans:মধ্য ভারতের কালিয়ানা ও কালিয়ানপুরে যখন নক্ষত্রের উন্নতি কোণ পরিমাপ করা হয় তখন বেশ কিছু অভিকর্ষজ অসংগতি লক্ষ করা যায়। এই অসংগতির পরিপ্রেক্ষিতে প্র্যাট তাঁর প্রতিবিধানের নিয়ম ( Laws of compensation) তত্ত্বটি প্রকাশ করেন।
প্রাথমিক অনুমানসমূহ (Basic Assumptions) : বিজ্ঞানী প্র্যাট তাঁর ধারণার সম্পর্কে কিছু অনুমানের সাহায্য নেন। এই অনুমানগুলি হল—(1) বিজ্ঞানী প্র্যাট-এর মতে, ভূত্বকের পর্বত, মালভূমি ও সমভূমি ইত্যাদি বিভিন্ন এককগুলি বিভিন্ন ঘনত্বের হয়।
(ii) যে সমস্ত এককগুলির ঘনত্ব কম, তার উচ্চতা বেশি হবে। (iii) যে সমস্ত এককগুলির ঘনত্ব বেশি, তার উচ্চতা কম হবে।
(iv) ভূত্বকের এককগুলি ভূ-গভীরে নমনীয় মণ্ডলের (অ্যাসথেনোস্ফিয়ার) মধ্যে একই গভীরতা পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে।
তত্ত্বের ধারণা (Main Concept): প্র্যাট উপরোক্ত অনুমানের ওপর ভিত্তি করে বলেন, ভূত্বকের বিভিন্ন এককগুলি বিভিন্ন পদার্থ দ্বারা তৈরি, তাই তাদের ঘনত্ব বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এই বিভিন্ন ঘনত্বের এককগুলির ওজন প্রায় একই হয়। ফলে এই এককগুলি একই ধরনের চাপ প্রয়োগ করে। একই চাপের ফলে ভূত্বকের
এককগুলি নমনীয় মণ্ডলের (Asthenosphere) একটি নির্দিষ্ট গভীরতাযুক্ত তল পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে। একে তিনি প্রতিবিধানতল বা Level of Compensation বলে উল্লেখ করেন।
তত্ত্বের সমর্থনে পরীক্ষা : প্র্যাট তাঁর এই তত্ত্বের সমর্থনে একটি পরীক্ষা করেন। একটি পাত্রের মধ্যে পারদ নিয়ে তিনি একই ওজনের কিছু বিভিন্ন ঘনত্বের ধাতব ব্লক ভাসিয়ে দেন। দেখা যায়, লোহা, সীসা, দস্তা, টিন প্রভৃতি ধাতব টুকরোগুলির ঘনত্ব
আলাদা হলেও তাদের ওজন এক হওয়ার কারণে তারা পারদের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট গভীরতা পর্যন্ত ভেসে রয়েছে।
এইপরীক্ষা দ্বারা তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, ভূত্বকের এককগুলিও একই ওজনের হওয়ার কারণে ভূ-অভ্যন্তরে সমগভীরতা পর্যন্ত বিস্তৃত।
প্র্যাটের সমস্থিতি তত্ত্বের সমালোচনা : বিজ্ঞানী প্র্যাটের ধারণা বিভিন্নভাবে সমালোচিত হয়েছে। যেমন-
(i) প্রতিবিধান তল সম্পর্কিত • প্ল্যাট যে Level of Compensation বা প্রতিবিধানতলের কথা বলেছেন, তা সঠিক নয়। কারণ পরবর্তীকালে ভূকম্পীয় তরঙ্গ বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, নবীন ভঙ্গিল পর্বতগুলির নীচে ভূত্বক প্রায় 70 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। অপরদিকে মহাসাগরীয় অংশ 10-110 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।
(ii) ঘনত্ব সম্পর্কিত : ভূত্বকের এককগুলি সম্বন্ধে বিভিন্ন ঘনত্বের যে ধারণা তিনি নিয়েছেন, তা সবসময় সঠিক নয়।
সমস্থিতি তত্ত্বের মূল্যায়ন : সমস্থিতি ধারণার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানী প্র্যাট একটি স্বতন্ত্র দিকনির্দেশ করেছেন। পরবর্তীকালে প্রচলিত ধারণার থেকে পৃথক বলে প্র্যাট-এর ধারণা সমস্থিতির ব্যাখ্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণারূপে বিবেচিত হয়।
প্রতিবিধানতল : গণিতবিদ জে এইচ প্র্যাট তাঁর ভূত্বকীয় অংশগুলির ভারসাম্য অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন যে,ভূত্বকে এমন এক তল রয়েছে যার নীচে অনুভূমিক দিকে পদার্থ সমপ্রকৃতির হয়। এই তলকে প্র্যাট প্রতিবিধানতল (Level of compensation) বলেছেন।
বৈশিষ্ট্য
(i) ভূত্বকীয় খণ্ডগুলি স্তস্তরূপে প্রতিবিধানতলে সমান চাপ প্রয়োগ করবে বলে ধারণা।
(ii) প্রতিবিধানতলে শিলার ঘনাঙ্ক অনুসারে ভূত্বকীয় অংশগুলির (পর্বত, মালভূমি, সমভূমি প্রভৃতি) উচ্চতা নির্ভর করে। যেমন—হালকা পাললিক শিলার ভঙ্গিল পর্বতগুলির ভূপৃষ্ঠের দিকে উচ্চতা বেশি হয় ও ভারী লাভাগঠিত সমভূমির উচ্চতা কম হয়
3. এইরি ও প্র্যাটের সমস্থিতি মতবাদের পার্থক্য লেখ।
Ans:
এইরির তত্ত্ব | প্র্যাটের তত্ত্ব | |
উপস্থাপন কাল | এইরি 1855 সালে তাঁর তত্ত্বটি উপস্থাপন করেন। | প্র্যাট 1859 সালে তাঁর তত্ত্বটি উপস্থাপন করেন। |
ভিত্তি | এইরি-র তত্ত্বটি ‘ভাসমানতার নীতির’ ওপর প্রতিষ্ঠিত। | প্র্যাট-এর তত্ত্বটি ‘প্রতিবিধান তলের সূত্রের ওপর প্রতিষ্ঠিত। |
সম্পর্ক | এই তত্ত্বে ভূত্বকীয় খণ্ডগুলির গভীরতা ও উচ্চতা সমানুপাতিক সম্পর্ক নির্দেশ করে। | এই তত্ত্বে ভূমিরূপগুলির ঘনত্ব ও উচ্চতাব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক নির্দেশ করে। |
ভারসাম্য | এই তত্ত্বে জলগত হাইড্রোস্ট্যাটিক ভারসাম্যের ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । | এই তত্ত্বে জলগত বা উদস্থৈতিক বা হাইড্রোস্ট্যাটিক ভারসাম্যের ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয় নি । |
ঘনত্ব | ভূ-খণ্ডগুলোকে সম ঘনত্ব বলেছেন | ভূ-খণ্ডগুলিকে বিষম ঘনত্ববিশিষ্ট বলেছেন । |
চিত্র |
4. যে স্থান যত উঁচুতে তার শিকড় তত গভীরে “আলোচনা কর। অথবা পর্বতের শিকড় আছে (Mountain have roots) – ব্যাখ্যা করো।
Ans: এইরির সমস্থৈতিক মতবাদ অনুসারে তরলের ওপর ভাসমান কোনো পদার্থের নিমজ্জিত অংশ একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে নিমজ্জিত থাকে। সাধারণত ভাসমান অংশ যদি 1 একক হয় তবে নিমজ্জিত অংশ 9 একক হয়। এক্ষেত্রে পর্বত, পাহাড় ইত্যাদি ভূত্বকের ওপরে যতটুকু উচ্চতায় আছে নীচে তার নয় গুণ নিমজ্জিত আছে। তাই বলা হয় ওই নিমজ্জিত অংশই হল পাহাড় বা পর্বতের শিকড়। পর্বতের উচ্চতা সবচেয়ে বেশি,তাই পর্বত সবচেয়ে বেশি নিমজ্জিত আছে ।মালভূমি পর্বত অপেক্ষা কম উঁচু তাই মালভূমির পর্বতের চেয়ে কম নিমজ্জিত হয়ে আছে, সমভূমি আবার মালভূমি অপেক্ষা কম উঁচু ,তাই সমভূমি আরো কম নিমজ্জিত হয়ে আছে।একারণেই বলা হয় যে স্থান যত উঁচুতে তার শিকড় তত গভীরে।
5. সমস্থৈতিক সমন্বয় [Isostatic Adjustments- বলতে কি বুঝ?
Ans: সমস্থৈতিক সমন্বয় [Isostatic Adjustments- অন্তর্জাত ও বহির্জাত প্রক্রিয়ার ক্রিয়াশীলতা সত্ত্বেও ভূমিরূপের উচ্চতাগত ভারসাম্য বজায় থাকলে তাকে সমস্থৈতিক সমন্বয় (Isostatic Adjustments)বলে। ইহা দুইপ্রকার। যথা—
1) স্থানীয় সমস্থৈতিক সমন্বয় (Local Isostatic Adjustment):(2) আঞ্চলিক সমস্থৈতিক সমন্বয় (Regional Isostatic Adjustment) :
1) স্থানীয় সমস্থৈতিক সমন্বয় (Local Isostatic Adjustment): (স্বল্পপরিসর স্থান জুড়ে অন্তর্জাত ও বহির্জাত প্রক্রিয়ার ক্রিয়াশীল থাকা সত্ত্বেও জদি ভূমিরূপের ভারসাম্য বজায় থাকে তবে তাকে স্থানীয় সমস্থৈতিক সমন্বয় বলে।
(2) আঞ্চলিক সমস্থৈতিক সমন্বয় (Regional Isostatic Adjustment): আরোহণ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট কোনো ভূমিখণ্ডের উপরিভাগ বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত হলে তার উচ্চতা হ্রাস পায়।ক্ষয়জাত পদার্থ অন্যত্র পরিবাহিত হয়ে সেখানকার চাপ বৃদ্ধি করলে ভূ-অভ্যন্তরে চাপ বৃদ্ধিজনিত কারণে নতুনভাবে সমস্থৈতিক সমন্বয় সৃষ্টি হলে তাকে আঞ্চলিক সমস্থৈতিক সমন্বয় বলে। যেমন- পাত সঞ্চালনের ফলে সৃষ্ট একটি ভঙ্গিল পর্বত যখন ক্ষয়কারী শক্তির মুখোমুখি হয় তখন তা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে উচ্চতা হ্রাস পায়।
স্থির তরল বা গ্যাসীয় পদার্থের মধ্যে কোনো বস্তুকে নিমজ্জিত করলে ওই বস্তুটির ওপর উক্ত তরল বা গ্যাসীয় পদার্থ যেঊর্ধ্বমুখী উল্লম্ব চাপ প্রয়োগ করে, তাকে প্লবতা বল বলে।বস্তুর ওজন প্লবতার থেকে বেশি হলে বস্তুটি ডুবে যায়, বস্তুর ওজন প্লবতা থেকে কম হলে বস্তুটি ভাসতে থাকে, বস্তুর ওজন ও প্লবতা সমান হলে বস্তুটি ডুবে ভেসে থাকে।
6. সমস্থিতির ধারণা দাও।
Ans: সমস্থিতির ধারণা: আমরা ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে যত ধরনের ভূমিরূপ দেখি, যেমন-পর্বত,
মালভূমি, সমভূমি, নিম্নভূমি, উপকূলভূমি, মহাসাগরীয় অঞ্চল ইত্যাদি, সেগুলি কিন্তু কোনোটিই এলোমেলো অবস্থায় নেই। প্রতিটি ভূমিরূপই একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ভূ-অভ্যন্তরস্থ পদার্থসমূহের ওপর ভেসে আছে বা অবস্থান করছে, যাকে ভারসাম্য অবস্থা বলা যেতে পারে। আর যখন এই ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় তখন অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিকম্প প্রভৃতি ভূগাঠনিক প্রক্রিয়াগুলি সক্রিয় হয়। এইভাবে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে ভারসাম্য বজায় রাখার ঘটনাকে সমস্থিতি বলা হয়।
সংজ্ঞা: ইংরেজি ‘Isostasy’ কথাটির বাংলা প্রতিশব্দ হল সমস্থিতি। Isostasy বা সমস্থিতি বলতে বোঝায় ভূত্বকের বিভিন্ন অংশের বিভিন্ন উচ্চতায় ভারসাম্য বজায় রেখে অবস্থান। অন্যভাবে বলা যায় যে, উচ্চভূমি ও নিম্নভূমির মধ্যে যে সাম্যাবস্থার জন্য ভূপৃষ্ঠে পর্বত, মালভূমি, সমভূমি, নিম্নভূমি, মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রভৃতি পরস্পরের মধ্যে উচ্চতার তারতম্য বজায় রাখে, সেই সাম্যাবস্থাকে সমস্থিতি বলে।’
শব্দটির ব্যবহার: ভারসাম্যের ভিত্তিতে ভূত্বকের বিভিন্ন অংশ যথা পাহাড়, পর্বত, মালভূমি, সমভূমি ইত্যাদি অবস্থান করছে। এ কথা বোঝাতে আইসোস্ট্যাসি (isostasy) কথাটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন আমেরিকার ভূতত্ত্ববিদ ডাটন (1819 খ্রিস্টাব্দে)। তিনি দুটি গ্রিক শব্দ যথাক্রমে ‘Isos” (যার অর্থ সমান বা equal) এবং ‘stasis’ (যার অর্থ নিশ্চল বা standing still) মিশিয়ে ইংরেজিতে এই isostasy কথাটি ব্যবহার করেছিলেন।
সমস্থিতি তত্ত্বের ভিত্তি [Basis of Isostatic Theory]
অভিকর্ষ সম্পর্কীয় প্রচলিত ধারণা: পৃথিবীর আকার সম্পূর্ণ গোল নয়, অভিগত গোলাকার অর্থাৎ উত্তর ও দক্ষিণ মেরুপ্রান্ত সামান্য চাশা এবং মধ্যভাগ বা নিরক্ষীয় প্রদেশ সামান্য স্ফীত (কিছুটা কমলালেবুর মতো)। এজন্য নিউটনের অভিকর্ষ তত্ত্ব অনুসারে ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র অভিকর্ষের মান এক হয় না। নিরক্ষরেখায় এই মান কম এবং মেবুর দিকে তা একটু করে বাড়তে থাকে অর্থাৎ অক্ষাংশের মান বাড়লে অভিকর্ষের মানও বাড়ে। এ ছাড়া, উচ্চতার সঙ্গে সঙ্গে অভিকর্ষের মান কমে যায় (যেহেতু, ভুকেন্দ্র থেকে দূরত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে)। আবার ভূমিরূপ গঠনকারী শিলার ঘনত্বের পার্থক্য হলেও অভিকর্ষের মানের তারতম্য হয়।
ব্যুগের-এর অভিকর্ষজ অসংগতি পর্যবেক্ষণ: ভূপৃষ্ঠে অভিকর্যের মান সম্পর্কে উল্লিখিত
ধারণার পটভূমিতে 1735 খ্রিস্টাব্দে ফরাসি ভূতত্ত্ববিদ পিয়ের ব্যুগের (Pierre Bouguer) আন্দিজ পর্বতমালায় অভিকর্ষের মান নির্ণয়ের জন্য চিম্বোরাজো পর্বতের উত্তরে ও দক্ষিণে এক বিশেষ সমীক্ষা করেন। ওই সময় তিনি লক্ষ করেন যন্ত্রের ওলন দড়ি বা প্লাম্বরেখা নিউটনের অভিকর্ষ নির্ণয় পদ্ধতি অনুসারে যতটা আন্দিজের দিকে আকৃষ্ট হওয়ার কথা ততটা হচ্ছে না। ব্যুগের-এর অভিকর্ষ অসংগতি সম্পর্কীয় ওই পর্যবেক্ষণ যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক, তা কিন্তু সেই সময়কার বিজ্ঞানীমহলে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি।
ভারতে জর্জ এভারেস্টের নেতৃত্বে অভিকর্ষজ অসংগতি পর্যবেক্ষণ: বুযুগের-এর আন্দিজ পর্বতমালার অভিকর্ষের মান পর্যবেক্ষণের প্রায় 120 বছর পর (1859 খ্রি.) ভারতের তৎকালীন সার্ভেয়র জেনারেল জর্জ এভারেস্টের নেতৃত্বে একই দ্রাঘিমায় কিন্তু ভিন্ন অক্ষাংশে অবস্থিত এরকম তিনটি স্থানে একটি বিশেষ জরিপ কার্যের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই জরিপের উদ্দেশ্য ছিল ওই তিনটি স্থানের অক্ষাংশ ও দূরত্ব নির্ণয়ের মাধ্যমে পৃথিবীর আকার ও আয়তন সম্পর্কে ধারণা লাভকরা। ট্রানজিট থিয়োডোলাইটের সাহায্যে নক্ষত্রের উন্নতি কোণ পরিমাপ করে যেমন একটি স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায়, তেমনই পৃথিবীর ব্যাসার্ধ জানা আছে বলে বিভিন্ন স্থানের মধ্যে দূরত্ব নির্ণয় করাও সহজ হয়।
উল্লিখিত জরিপকার্যের জন্য (1) প্রথমে 78° পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত Ans:মধ্য ভারতের তিনটি স্থান নির্বাচন করা হয়। এগুলি হল- (a) উত্তর ভারতে শিবালিক পর্বতের পাদদেশে কালিয়ানা, (b) এর 603 কিমি দক্ষিণে কালিয়ানপুর এবং (c) কালিয়ানপুরের 680 কিমি দক্ষিণে দাক্ষিণাত্যের দামারিদগা। (ii) এরপর ট্রানজিট থিয়োডোলাইটের সাহায্যে নক্ষত্রের উন্নতি কোণ মেপে কালিয়ানা, কালিয়ানপুর ও দামারিদ্গার অক্ষাংশ এবং এদের মধ্যবর্তী দূরত্ব নির্ণয় করা হয়। এ ছাড়া, (iii) একইসঙ্গে ত্রিভুজ বা ট্রায়াঙ্গুলেশান (triangulation) পদ্ধতি অনুসারেও কালিয়ানা ও কালিয়ানপুরের দূরত্ব সরাসরি মাপা হয়। (iv) কিন্তু অবাক হওয়ার ব্যাপার এই যে, এই দুই পদ্ধতিতে প্রাপ্ত মানের মধ্যে 5.236 সেকেন্ড কৌণিক পার্থক্য হয়, যা ভূমির দৈর্ঘ্যের হিসাবে 268 মিটার দূরত্বের পার্থক্য নির্দেশ করে। (v) কী কারণে এই পার্থক্য হল তা নির্ণয় করতে গিয়ে 1855 খ্রিস্টাব্দে ভূবিজ্ঞানী আর্কডিকন গ্র্যাট (Archleacon Pratt) গ্রাপ্ত শিলার গড় ঘনাকের সাহায্যে হিমালয়ের সম্ভাব্য ভর (mass) নির্ণয় করেন এবং তার ফলে নিয়োডোলাইটের ওলন দড়ি বা প্লাম্বরেখার ওপর কতটা অভিকর্ষীয় টান হওয়া সম্ভব তাও তিনি হিসাব করে দেখান। তাঁর হিসাব অনুযায়ী, হিমালয়ের আকর্ষণে প্লাম্বরেখার বিক্ষেপ বা বিচাতি হওয়া উচিত ছিল 15.885 সেকেন্ড। কিন্তু প্রকৃত বিচ্যুতি ঘটে মাত্র 5.236 সেকেন্ড অর্থাৎ তিনভাগের একভাগ মাত্র। (vi) নির্ণীত বিক্ষেপের তুলনায় প্রকৃত বিক্ষেপের মান কম হওয়ায় এবার বিষয়টি প্রায় 120 বছর আগে আন্দিজ পর্বতমালার অসংগতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (vii) এইভাবে প্লাম্বরেখার প্রকৃত বিক্ষেপ কম হওয়ার কারণ দুভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, (a) হিমালয়ে শিলার যে ঘনত্ব ধরা হয়েছে তা ঠিক নয় অর্থাৎ অভ্যন্তরভাগ হালকা শিলা দ্বারা গঠিত বা ফাঁপা প্রকৃতির। অথবা, (৮) সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপর হিমালয়ের যে অংশ দেখা যায় সেখানে বিপুল পরিমাণে শিলাস্তূপ থাকলেও মাটির নীচে ওই পর্বতের যে অংশ আছে তা নিশ্চয়ই আশেপাশের শিলা থেকে হালকা। তাই হিমালয় পর্বত প্লাম্বরেখা বা ওলন দড়িকে যতটা আকর্ষণ করা উচিত ছিল তা করেনি। এই দুটি ব্যাখ্যার মধ্যে প্রথমটি অবান্তর বলে বাতিল করা হলেও দ্বিতীয়টি সত্য বলেই মনে হয়। এর কারণ, (viii) 1855 খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন অ্যাস্ট্রোনোমার রয়্যাল (Astronomer Royal) স্যার জর্জ এইরি প্রথম বলেন যে, পর্বতগুলির বিশাল ভরের জন্য মাটির নীচে পর্বতগুলির নিম্নদেশ অপেক্ষাকৃত ঘন পদার্থের মধ্যে অনেকটাই ঢুকে আছে এবং এইভাবে
ভাসমানতার মাধ্যমে পর্বতগুলি ভারসাম্যে পৌঁছেছে অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠে দাঁড়িয়ে আছে। (ভেসে থাকার সময় বরফের যেমন 9/10 তাগ জলে ডুবে থাকে, তেমনই পর্বত-সহ অন্যান্য ভূত্বকীয় ভূখণ্ডেরও নিম্নাংশ নীচের অপেক্ষাকৃত ঘন অ্যাসথেনোস্ফিয়ার স্তরে ডুবে আছে)। আর এজন্যই পর্বতসমূহের ভরের তুলনায় তাদের অভিকর্ষীয় টান কম হয়।
7. সমস্থিতিজনিত বিচ্যুতি কাকে বলে ? সমস্থিতিজনিত বিচ্যুতির কারণ লিখ । সমস্থিতিজনিত বিচ্যুতি কয় প্রকার ও কি কি ?
Ans: সমস্থৈতিক বিচ্যুতি (Isostatic Anomaly) : তাত্ত্বিক অভিকর্ষজ বিচ্যুতি ও প্রকৃত অভিকর্ষজ বিচ্যুতির পার্থক্যকে সমস্থৈতিক বিচ্যুতি বলে। অর্থাৎ, সমস্থৈতিক বিচ্যুতি = প্রকৃত অভিকর্ষজ বিচ্যুতি – তাত্ত্বিক অভিকর্ষজ বিচ্যুতি।
নবীন ভঙ্গিল পার্বত্যাঞ্চলে সমস্থৈতিক বিচ্যুতির মান ঋণাত্মক হয়। শিল্ড মালভূমি, সমুদ্রের তলদেশ প্রভৃতি অঞ্চলে সমস্থৈতিক বিচ্যুতির মান ধনাত্মক হয়।
সমস্থিতিজনিত বিচ্যুতির কারণ : প্রধানত দুটি কারণে অভিকর্ষ বিচ্যুতি হয়।
(1) ভূপৃষ্ঠস্থ শিলার সমস্থিতির ভারসাম্য না থাকলে তা কিছুটা উঠে কিংবা নেমে একটি নতুন ভারসাম্যে পৌঁছাতে চায়।
(ii) কোনো ভূখণ্ডের শিলা যদি স্বাভাবিকের থেকে ভারী বা হালকা হয়, সেক্ষেত্রে অভিকর্ষ বিচ্যুতি দেখা যায়।
পার্বত্য অঞ্চল ও উঁচু মালভূমির ক্ষেত্রে কম ঘনত্বযুক্ত শিলাস্তর বেশি থাকে বলে সেক্ষেত্রে অভিকর্ষজ বিচ্যুতি ঋণাত্মক হয়। পেরিডোটাইট শিলার ঘনত্ব বেশি বলে তা থেকে ধনাত্মক বিচ্যুতি পাওয়া যায়। সমুদ্রের তলদেশের শিলার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় তা ধনাত্মক বিচ্যুতিযুক্ত হয়।
অভিকর্ষ বিচ্যুতি শ্রেণিবিভাগ : অভিকর্ষ বিচ্যুতি তিন প্রকার। যথা-
(i) A বিচ্যুতি : অভিকর্ষ বিচ্যুতির মানকে যদি উচ্চতার প্রভাব বাদ দিয়ে সংশোধন করে নেওয়া হয়, তাহলে তাকে ‘A’ বিচ্যুতি বা Air Gravity Anomaly বলে।
(ii) B বিচ্যুতি : সমুদ্রতলদেশ থেকে উচ্চতা এক যন্ত্রের উচ্চতাজনিত অভিকর্ষ বিচ্যুতি, সামগ্রিক অভিকর্ষ বিচ্যুতির থেকে বাদ দিলে যে মানটি পাওয়া যায়, তাকে বিজ্ঞানী বোগার-এর নামানুসারে বোগার অভিকর্ষ বিচ্যুতি (Bouguer Gravity Anomaly) বলে।
(iii) C বিচ্যুতি : শিলাস্তরের ঘনত্বের পার্থক্যের ভিত্তিতে যখন অভিকর্ষ বিচ্যুতির সংশোধন করা হয়, তখন তাকে ‘C’ বিচ্যুতি বলে।
Class 11 First (1st) Unit Test Question and Answer :
- Class 11 Bengali 1st Semester Question Click here
- Class 11 English 1st Semester Question Click here
- Class 11 Geography 1st Semester Question Click here
- Class 11 History 1st Semester Question Click here
- Class 11 Education 1st Semester Question Click here
- Class 11 Political Science 1st Semester Question Click here
- Class 11 Philosophy 1st Semester Question Click here
- Class 11 Sociology 1st Semester Question Click here
- Class 11 Sanskrit 1st Semester Question Click here
- Class 11 All Subjects First Semester Question Click here
Class 11 Second (2nd) Unit Test Question and Answer :
- Class 11 Bengali 2nd Semester Question Click here
- Class 11 English 2nd Semester Question Click here
- Class 11 Geography 2nd Semester Question Click here
- Class 11 History 2nd Semester Question Click here
- Class 11 Education 2nd Semester Question Click here
- Class 11 Political Science 2nd Semester Question Click here
- Class 11 Philosophy 2nd Semester Question Click here
- Class 11 Sociology 2nd Semester Question Click here
- Class 11 Sanskrit 2nd Semester Question Click here
- Class 11 All Subjects 2nd Semester Question Click here
Class 11 Suggestion 2025 – একাদশ শ্রেণীর সাজেশন ২০২৫
আরোও দেখুন:-
Class 11 Bengali Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 English Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Geography Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 History Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Political Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Education Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Philosophy Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Sociology Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Sanskrit Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 All Subjects Suggestion 2025 Click here
◆ একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার প্রস্তুতি: বিনামূল্যে নোটস, সাজেশন, PDF ও সমস্ত আপডেটের জন্য আমাদের WhatsApp Group এ Join হয়ে যাও।
Class 11 WhatsApp Groups | Click Here to Join |
একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 11th Geography Question and Answer / Suggestion / Notes Book
আরোও দেখুন :-
একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here
FILE INFO : সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer with FREE PDF Download Link
PDF File Name | সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer PDF |
Prepared by | Experienced Teachers |
Price | FREE |
Download Link | Click Here To Download |
Download PDF | Click Here To Download |
সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) অধ্যায় থেকে আরোও প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :
Update
[আরও দেখুন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন রচনা – Rabindranath Tagore Biography in Bengali]
[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now]
Info : সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর
Class 11 Geography Suggestion | West Bengal WBCHSE Class Eleven XI (Class 11th) Geography Question and Answer Suggestion
” সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Eleven XI / WB Class 11 / WBCHSE / Class 11 Exam / West Bengal Council of Higher Secondary Education – WB Class 11 Exam / Class 11th / WB Class 11 / Class 11 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে একাদশ শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন / একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ও উত্তর । Class-11 Geography Suggestion / Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer / Class 11 Geography Suggestion / Class-11 Pariksha Geography Suggestion / Geography Class 11 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / Class 11 Geography Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস একাদশ শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 11 Geography Suggestion / West Bengal Eleven XI Question and Answer, Suggestion / WBCHSE Class 11th Geography Suggestion / Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer / Class 11 Geography Suggestion / Class 11 Pariksha Suggestion / Class 11 Geography Exam Guide / Class 11 Geography Suggestion 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030 / Class 11 Geography Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Class-11 Geography Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।
সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর
সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর।
সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল
সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) MCQ প্রশ্ন উত্তর।
সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণির ভূগোল
সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।
সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) MCQ প্রশ্ন উত্তর – একাদশ শ্রেণি ভূগোল | Class 11 Geography Concept of Isostasy
একাদশ শ্রেণি ভূগোল (Class 11 Geography Concept of Isostasy) – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) | Class 11 Geography Concept of Isostasy Suggestion একাদশ শ্রেণি ভূগোল – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) প্রশ্ন উত্তর।
একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) প্রশ্ন উত্তর | Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer Question and Answer, Suggestion
একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) | পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সহায়ক – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর । Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer, Suggestion | Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer Suggestion | Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer Notes | West Bengal Class 11th Geography Question and Answer Suggestion.
একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE Class 11 Geography Question and Answer, Suggestion
একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) । Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer Suggestion.
WBCHSE Class 11th Geography Concept of Isostasy Suggestion | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল)
WBCHSE Class 11 Geography Concept of Isostasy Suggestion একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) | Class 11 Geography Concept of Isostasy Suggestion একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।
Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer Suggestions | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ।
WB Class 11 Geography Concept of Isostasy Suggestion | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর
Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।
West Bengal Class 11 Geography Suggestion Download WBCHSE Class 11th Geography short question suggestion . Class 11 Geography Concept of Isostasy Suggestion download Class 11th Question Paper Geography. WB Class 11 Geography suggestion and important question and answer. Class 11 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। একাদশ শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।
Get the Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer by Bhugol Shiksha .com
Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 11 Geography Suggestion with 100% Common in the Examination .
Class Eleven XI Geography Concept of Isostasy Suggestion | West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) Class 11 Exam
Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) Class 11 Eleven XI Geography Suggestion is provided here. Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free here.
সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” সমস্থিতির ধারণা (প্রাকৃতিক ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Concept of Isostasy Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।