
শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর
HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer
শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer : শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer নিয়ে আলোচনা করা হলো। এই শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (Educational Technology Concept) থেকে যে SAQ ও রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি স্টার মার্ক করা হয়েছে সেগুলো আগামী West Bengal HS Class 12th Twelve XII Education 4th Semester Examination – পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান চতুর্থ সেমিস্টার পরীক্ষার জন্য (VVI) খুব ইম্পর্টেন্ট। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান পরীক্ষাতে এই সাজেশন বা কোশ্চেন শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।
তোমরা যারা শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা এই প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়ো এবং নীচে দেওয়া লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নাও।
| রাজ্য (State) | পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) |
| বোর্ড (Board) | WBCHSE, West Bengal |
| শ্রেণী (Class) | উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণী (WB HS Class 12th) |
| বিষয় (Subject) | দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান (HS Class 12 Education) |
| সপ্তম অধ্যায় (7th Chapter) | শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (Educational Technology Concept) |
[দ্বাদশ শ্রেণীর সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নউত্তর Click Here]
শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal WBCHSE HS Class 12th Education Educational Technology Concept 7th Chapter Question and Answer
সংক্ষিত | শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | WB HS Class 12 Education Educational Technology Concept SAQ Question and Answer:
- Technology of Education’ বলতে কী বোঝায়? ***
Ans: ‘Technology of Education’ বলতে শিক্ষাবিজ্ঞানের বিভিন্ন তত্ত্ব, নীতি, কৌশল এবং পদ্ধতির সাহায্যে শিক্ষাদান প্রক্রিয়াকে নিয়মতান্ত্রিক ও বৈজ্ঞানিকভাবে পরিচালনা করাকে বোঝায়। এটি শুধুমাত্র যন্ত্র বা প্রযুক্তি নয়, বরং শিক্ষাদান ও শিখন পদ্ধতিকে গঠনমূলক ও বিশ্লেষণাত্মকভাবে পরিচালনা করার কৌশল। উদাহরণস্বরূপ-শিক্ষণের উদ্দেশ্য নির্ধারণ, বিষয়বস্তু নির্বাচন, মূল্যায়ন পরিকল্পনা এবং প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে শিক্ষার কৌশল পরিবর্তন-সবই এর অন্তর্ভুক্ত।
- Technology in Education এবং Technology of Education-এর মধ্যে মূল পার্থক্য কী ? ***
Ans: Technology in Education এবং Technology of Education -এর মধ্যে মূল পার্থক্য হল, ‘Technology in Education’ হল শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার (যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম), আর ‘Technology of Education’ হল শিক্ষার পদ্ধতিগত পরিকল্পনা এবং কৌশলগত প্রয়োগ। প্রথমটি বাহ্যিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার পরিবেশকে আধুনিক করে তোলে, দ্বিতীয়টি হল শিক্ষণ প্রক্রিয়াকে কার্যকর করে এমন কৌশল ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োগ।
- একটি উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করো Technology in Education এবং Technology of Education কীভাবে কাজ করে ? **
Ans: ধরো, একজন শিক্ষক ক্লাসে একটি বিজ্ঞানের পাঠ পড়াচ্ছেন। তিনি যদি প্রোজেক্টর ও অ্যানিমেটেড ভিডিয়ো ব্যবহার করে পাঠ বোঝান, সেটি ‘Technology in Education’। আবার, যদি তিনি শিক্ষার্থীদের স্তর অনুযায়ী, পাঠের উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে, ধারাবাহিক মূল্যায়ন করে এবং শেখার প্রতিবন্ধকতা বিশ্লেষণ করে পাঠ পরিকল্পনা করেন, সেটি ‘Technology of Education’I
- শিক্ষায় প্রযুক্তি এবং শিক্ষার প্রযুক্তিকরণ-একসঙ্গে কীভাবে শিক্ষাকে সমৃদ্ধ করতে পারে ? **
Ans: Technology in Education’ ও ‘Technology of Education’ একসঙ্গে ব্যবহৃত হলে শিক্ষার গুণমান অনেক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। পরিকল্পিত শিক্ষার (Technology of Education) ওপর আধুনিক প্রযুক্তি (Technology in Education) প্রয়োগ করলে পাঠ আরও কার্যকর ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়। এতে শিক্ষার্থী শুধু বিষয়বস্তুর তথ্য পায় না, বরং কার্যকরভাবে তা বোঝে ও প্রয়োগ করতে শেখে। এই দুটি যৌথভাবে শিক্ষাদানকে গঠনমূলক ও আনন্দদায়ক করে তোলে।
- ব্যুৎপত্তিগতভাবে “Technology” শব্দের অর্থ কী ? **
Ans: Technology শব্দটির উৎপত্তি গ্রিক শব্দ Technic থেকে। যার অর্থ হল শিল্প বা দক্ষতা এবং Logic-এর অর্থ হল বিজ্ঞান বা অধ্যয়ন। অর্থাৎ Technology বলতে বোঝায় কোনো শিল্প বা দক্ষতার অধ্যয়ন।
- কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে শিক্ষাপ্রযুক্তির প্রতিষ্ঠানটির নাম কী ও এর কাজ কী ? **
Ans: কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে শিক্ষাপ্রযুক্তির প্রতিষ্ঠানটি হল সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ এডুকেশন টেকনোলজি (CIET)। এর কাজ হল শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সফটওয়্যার তৈরি করা।
- শিক্ষাপ্রযুক্তিকে বিজ্ঞানভিত্তিক বলা হয় কেন ? ***
Ans: শিক্ষাপ্রযুক্তিতে শিক্ষার লক্ষ্য নির্দিষ্টকরণ, পাঠক্রম প্রণয়ন, শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ার মূল্যায়ন ইত্যাদি সবক্ষেত্রেই বিজ্ঞানভিত্তিক নীতি প্রয়োগ করা হয়। তাই একে বিজ্ঞানভিত্তিক বলা হয়।
- শিক্ষাপ্রযুক্তিতে ম্যাক্রো স্তরের ও মাইক্রো স্তরের দুটি উদ্দেশ্য লেখো । **
Ans: শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে মানুষ, উপকরণ, সম্পদ ও কৌশল নির্ধারণ করা এবং শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ার উন্নতিকল্পে শিক্ষণ মডেল প্রস্তুত করা। শ্রেণিকক্ষে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য, আচরণের ভিত্তিতে ব্যক্ত করা ও শ্রেণি শিক্ষণকে আরও কার্যকরী করে তুলতে উপযুক্ত শিক্ষাপোকরণ ব্যবহার করা।
- বর্তমান ভারতবর্ষে শিক্ষাপ্রযুক্তির অবস্থা কী ? **
Ans: উন্নত দেশগুলিতে বিদ্যালয় স্তর থেকেই উচ্চমানের বৈদ্যুতিন শিক্ষাপ্রযুক্তি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। উন্নত দেশ হিসেবে দাবি করলেও আমাদের ভারতবর্ষে উচ্চমানের শিক্ষাপ্রযুক্তি দূরে থাক, বহু বিদ্যালয়ে প্রয়োজনমতো চক-বোর্ডের ব্যবস্থাও নেই।
(ক) অর্থ ও উদ্যোগের অভাব: বর্তমানে প্রতিটি জেলায় জেলাভিত্তিক রিসোর্স কেন্দ্র আছে। কিন্তু রিসোর্স কেন্দ্র এবং বিদ্যালয়গুলির উদ্যোগের অভাবে শিক্ষাপোকরণ যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয় না। যোগ্য শিক্ষক ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব: শহর ও মফস্সলের
(খ) শিক্ষাপোকরণ : বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষাপোকরণ থাকলেও শিক্ষকরা এগুলি যথাযথভাবে ব্যবহার করেন না ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে শিক্ষাপোকরণগুলির কার্যকারিতা হ্রাস পায়। শিক্ষাপ্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আর্থিক ব্যয়ের কার্যকারিতা বিবেচনা করা প্রয়োজন।
- শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞানের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখো । **
Ans: শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞান হল শিক্ষাক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক নীতিসমূহের শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়াকে কার্যকর করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রয়োগ। রকম পদ্ধতি ও কৌশলের উন্নতিবিধানের উপর শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞান গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞান পরিবেশ, মাধ্যম, পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করে শিখন প্রক্রিয়াকে সহজতর ও ত্বরান্বিত করে। এটি কেবলমাত্র শিক্ষায় ইলেকট্রনিক মাধ্যমের ব্যবহারেই আবদ্ধ নয়, সিস্টেম দৃষ্টিভঙ্গিও এর অন্তর্ভুক্ত।
- ET, বলতে কী বোঝো ? ***
Ans: ডেভিস ও হার্টলি (1972 সাল) এই ধারণার প্রবর্তক। এই ধারণায় ET, ও ET₂-এর সমন্বয় করে সিস্টেম দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে শিখন ও নির্দেশদান কাজে প্রয়োগ করা হয়। এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞানের অর্থ হল- শিক্ষাক্ষেত্রে একটি সিস্টেমের পরিকল্পনা করা। এখানে শিক্ষাও প্রশিক্ষণ তন্ত্র (System) হিসেবে বিবেচিত হয় যার চটি অংশ হল-যন্ত্র, উপকরণ, মাধ্যম, মানুষ ও পদ্মতি। এগুলির যথাযথ প্রয়োগ করা ও তার মূল্যায়ন।
- ET, বলতে কী বোঝো ? ***
Ans: শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যার অন্যতম অর্থ ET-এর ধারণায় অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে, খরচ সাশ্রয় করে শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখাকে বোঝায়। এর ফলে মুক্ত শিক্ষা, দূরাগত শিক্ষা, পত্রযোগে শিক্ষা ইত্যাদির গুরুত্ব বাড়ছে।
- শিক্ষা প্রযুক্তির তিনটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমের নাম লেখো। শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহৃত একটি প্রযুক্তির নাম লেখো । ***
Ans: শিক্ষাপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে তিনটি বৈদ্যুতিন মাধ্যম যথাক্রমে-দূরদর্শন, কম্পিউটার, বেতার ইত্যাদি।
শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রযুক্তি হল- কম্পিউটার, ওভারহেড প্রোজেক্টর ইত্যাদি।
- শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞানে অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি মুদ্রিত দর্শন মাধ্যমের নাম লেখো । ***
Ans: শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত মুদ্রিত দর্শন মাধ্যমগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বই, ম্যাগাজিন প্রভৃতি।
- শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞানে ব্যবহৃত কয়েকটি শ্রবণ মাধ্যমের নাম লেখো। শিক্ষাপ্রযুক্তির পরিধিকে কটি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?
Ans: শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞানে ব্যবহৃত শ্রবণ মাধ্যমগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল- রেডিয়ো, গ্রামোফোন, টেপরেকর্ডার প্রভৃতি।
শিক্ষাপ্রযুক্তির পরিধিকে ওটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-প্রযুক্তিভিত্তিক পাঠদান প্রক্রিয়া, প্রযুক্তিভিত্তিক সাধারণ শিক্ষা প্রশাসন, প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা পরিমাপক।
- শিক্ষায় মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রযুক্তি কীভাবে সাহায্য করে ? প্রযুক্তিবিদ্যা প্রসারের ক্ষেত্রে ভারতের একটি সমস্যা উল্লেখ করো ।
Ans: মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রযুক্তি বিভিন্নভাবে সাহায্য করে, যেমন- MCQ প্রশ্নের নম্বর প্রদান, মার্কশিট প্রস্তুত, ফল প্রকাশ প্রভৃতির দ্বারা শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা সহজ হয়।
প্রযুক্তিবিদ্যা প্রসারের ক্ষেত্রে ভারতের একটি সমস্যা হল-অর্থনৈতিক দৈন্য।
- মানবসম্পদের অপচয় রোধ-এর ক্ষেত্রে প্রযুক্তিবিদ্যার ভূমিকা সংক্ষেপে লেখো। বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না, এমন দুটি শিক্ষা প্রযুক্তির উদাহরণ দাও ।
Ans: প্রযুক্তিবিদ্যায় মানবসম্পদের যথার্থ প্রয়োগে নব নব দিকের উন্মোচন ঘটে। অর্থাৎ মানবমনে তৃপ্তি আনে এবং মানবসম্পদের অপচয় রোধ হয়।
বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না এমন দুটি শিক্ষা প্রযুক্তি হল যথাক্রমে -চার্ট ও মডেল।
- শিক্ষায় প্রযুক্তিবিজ্ঞানের দুটি অবদান লেখো ।
Ans: (ক) শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ: ব্যক্তি ও সমাজের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণে প্রযুক্তিবিদ্যা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
(খ) ব্যক্তিভিত্তিক শিখন: শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজস্ব পছন্দ, ক্ষমতা, সামর্থ্য অনুযায়ী অগ্রসর হতে পারে।
- Technology বা প্রযুক্তি কথাটির অর্থ কী ? ***
Ans: Technology কথাটির অর্থ হল কলা বা দক্ষতার বিজ্ঞান। এটি গ্রিক শব্দ Technic থেকে এসেছে Technic Logic থেকে Technology. Technic-এর অর্থ শিল্প বা দক্ষতা এবং Logic হল বিজ্ঞান। সুতরাং প্রযুক্তি হল কোনো বিশেষ ব্যাবহারিক উদ্দেশ্য বা সমস্যাসমাধানের জন্য বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের প্রয়োগ।
- শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যা কী ? ***
Ans: শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যা = প্রযুক্তিবিদ্যার প্রয়োগ + প্রযুক্তিকরণ। শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যা হল শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ার উন্নতির জন্য যথোপযুক্ত সিস্টেম, কৌশল-সহায়ক উপকরণ তৈরি করা ও তার যথাযথ প্রয়োগ ও মূল্যায়ন করার সামগ্রিক কৌশল।
- শিক্ষায় প্রযুক্তিবিদ্যার দুটি পরিধি উল্লেখ করো।
Ans: শিক্ষায় প্রযুক্তিবিদ্যার পরিধি যথাক্রমে-পরিবেশের পরিকল্পনা করা এবং করা। শিক্ষামূলক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলি চিহ্নিত
- শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যা কটি M-এর সমন্বয় ? এগুলি কী কী ? ***
Ans: শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যা 5টি M-এর সমন্বয়। যেগুলি হল Man, Material, Machine, Method এবং Media। এগুলি শিক্ষার নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যপূরণে একত্রে কাজ করে।
- প্রযুক্তির দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো । **
Ans: প্রযুক্তির দুটি বৈশিষ্ট্য হল –
(ক) উদ্দেশ্যমূলক: প্রযুক্তি হল মানুষের তৈরি করা একধরনের নকশা বা পদ্ধতি, যা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যপূরণে সাহায্য করে।
(খ) বৈজ্ঞানিক ভিত্তি: সাধারণত বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে প্রযুক্তি তৈরি করা হয়।
- প্রযুক্তির দুটি ব্যবহার লেখো । ***
Ans: প্রযুক্তির 2টি ব্যবহার হল –
(ক) শিক্ষাক্ষেত্র: শিক্ষাদানের সময় অর্থাৎ শিখনের ক্ষেত্রে, স্বয়ংশিখনের ক্ষেত্রে এবং শিক্ষণের ক্ষেত্রে কম্পিউটার, বেতার, টেলিভিশন ইত্যাদির মতো শিক্ষাসহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়, যা শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়াকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
(খ) মহাকাশ গবেষণা: মহাকাশ গবেষণা, মহাশূন্যের ছবি তোলা, স্যাটেলাইটের নিয়ন্ত্রণ, পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ, মহাকাশযানকে নিয়ন্ত্রণ করে তার মাধ্যমে তথ্য গ্রহণ সবকিছুই প্রযুক্তিবিদ্যা ছাড়া অসম্ভব।
- প্রযুক্তিবিদ্যার দুটি সমস্যা উল্লেখ করো । ***
Ans: প্রযুক্তিবিদ্যা ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুটি সমস্যা হল –
(ক) আর্থিক দৈন্যতা: প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার ব্যয়বহুল হওয়ায় আমাদের দেশে তা এখনও সর্বজনীন করা সম্ভব হয়নি। আধুনিক যন্ত্রপাতির দাম অনেক বেশি হওয়ায়, তা কেনা সম্ভব হয় না।
(খ) মানবিক মিথস্ক্রিয়ার অভাব: প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষাদান করলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে মানবিক মিথস্ক্রিয়ার অভাব দেখা যায়। প্রযুক্তির সাহায্যে শিক্ষণে শিক্ষার্থীরা আনন্দ পায় কিন্তু শিক্ষক ও সহপাঠীদের মধ্যে যে মানবিক মিথস্ক্রিয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে, প্রযুক্তির মাধ্যমে তা সম্ভব হয় না।
- প্রযুক্তিবিদ্যার সমস্যাসমাধানের জন্য দুটি উপায় লেখো । ***
Ans: প্রযুক্তিবিদ্যা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য দুটি উপায় হল –
(ক) আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা: সরকারকে প্রযুক্তিবিদ্যার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে উন্নত যন্ত্রপাতির জোগান দিতে হবে। আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর চাহিদাভিত্তিক শিখন উপযোগী সামগ্রী মোতায়েন রাখতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে।
(খ) দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ: প্রযুক্তিবিদ্যায় দক্ষ শিক্ষকের অভাব দূর করার জন্য উপযুক্ত শিক্ষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকার জোগান বাড়াতে হবে সরকারকে। এর পাশাপাশি শিক্ষক-প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়াতে হবে।
- শিক্ষাগত প্রযুক্তির মূল উদ্দেশ্য কী ? ***
Ans: শিক্ষাগত প্রযুক্তির মূল উদ্দেশ্য হল শিক্ষাদান ও শিক্ষাগ্রহণকে আরও ফলপ্রসূ ও দক্ষ করে তোলা। এটি শিক্ষার্থীর চাহিদা অনুযায়ী কন্টেন্ট প্রদান করে, যার ফলে ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও শিখনকেন্দ্রিক শিক্ষা বাস্তবায়িত হয়। এ ছাড়া এটি শিক্ষার গুণমান বৃদ্ধি, সময় ও শক্তি সাশ্রয়, এবং শিক্ষকের কাজকে সহজ করতেও সাহায্য করে।
- শিক্ষাপ্রযুক্তির প্রয়োজন কেন ? ***
Ans: আধুনিক সমাজে শিক্ষার চাহিদা ও পরিবেশ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিক্ষাগত প্রযুক্তি অত্যাবশ্যক। এটি শিক্ষাকে গতিশীল, উদ্দীপনামূলক ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক করে তোলে। এ ছাড়া কোভিড-পরবর্তী যুগে অনলাইন শিক্ষার বিস্তারের ফলে শিক্ষাগত প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা বহুগুণে বেড়েছে। এটি শিক্ষাকে আকর্ষণীয়, মিথস্ক্রিয়ামূলক এবং উদ্ভাবনী করে তোলে, যা শিক্ষার্থীর জ্ঞানার্জনের আগ্রহ বাড়ায়। এ ছাড়াও এটি শিক্ষাকে আধুনিকীকরণ করে, শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করে, শিক্ষণ উপকরণ সহজলভ্য করে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
- শিক্ষাগত প্রযুক্তির প্রকারভেদ কী কী ? ***
Ans: শিক্ষাগত প্রযুক্তি মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত –
(ক) হার্ডওয়্যার প্রযুক্তি: টিভি, কম্পিউটার, প্রোজেক্টর ইত্যাদি।
(খ) সফটওয়্যার প্রযুক্তি: শিক্ষণ সফটওয়্যার, মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট।
(গ) ব্যবস্থাপনাগত প্রযুক্তি: পাঠ পরিকল্পনা, শিক্ষণ কৌশল, মূল্যায়ন প্রক্রিয়া।
এই তিনটি একত্রে শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক ও দক্ষ করে তোলে।
- শিক্ষাগত প্রযুক্তির পরিসর কী কী ক্ষেত্রে বিস্তৃত? ***
Ans: শিক্ষাগত প্রযুক্তির পরিসর শুধু শ্রেণিকক্ষে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, দূরশিক্ষণ, মূল্যায়ন ব্যবস্থা এবং ব্যবস্থাপনা পর্যন্ত বিস্তৃত। বর্তমানে মোবাইল অ্যাপ, লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (LMS), এআই-ভিত্তিক টুল ইত্যাদিও এর অংশ।
- শিক্ষাগত প্রযুক্তি কীভাবে শিক্ষকের ভূমিকা পরিবর্তন করেছে ? ***
Ans: আগে শিক্ষক ছিলেন তথ্যের একমাত্র উৎস। এখন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের গাইড বা ফ্যাসিলিটেটরের ভূমিকায় কাজ করেন। শিক্ষাগত প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষক পাঠের পরিকল্পনা করেন, উপস্থাপনা দেন, মূল্যায়ন করেন এবং শিক্ষার্থীর অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন। এর ফলে শিক্ষককে আরও দক্ষ, প্রযুক্তিপরিচিত ও উদ্ভাবনী হতে হয়।
- শিক্ষাগত প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা কেমন ? ***
Ans: শিক্ষাগত প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। AI (Artificial Intelligence), AR (Artificial Reality), ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি, ব্লেন্ডেড লার্নিং, এবং গেমিফিকেশন শেখার ধারাকে বদলে দিচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও ব্যক্তিকেন্দ্রিক, দক্ষ ও নমনীয় শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষাগত প্রযুক্তি মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। এ জন্য প্রযুক্তিতে শিক্ষকের দক্ষতা বৃদ্ধিও জরুরি।
- শিক্ষাগত প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের কী কী উপকারে আসে ?
উতর – শিক্ষাগত প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের শেখার প্রক্রিয়াকে আরও আকর্ষণীয় ও অংশগ্রহণমূলক করে তোলে। এটি শিক্ষার্থীকে ভিজ্যুয়াল, অডিয়ো ও ইনটারঅ্যাকটিভ কনটেন্টের মাধ্যমে শেখার সুযোগ দেয়। এতে বিমূর্ত ধারণা সহজে বোঝা যায় এবং বাস্তব জীবনের উদাহরণে শিক্ষা প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। এ ছাড়া নিজস্ব গতিতে শেখার সুযোগও শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
- শিক্ষাগত প্রযুক্তি কীভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাকে সহায়তা করে ?
Ans: শিক্ষাগত প্রযুক্তি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক। ব্রেইল সফটওয়্যার, টেক্সট-টু-স্পিচ, সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ভিডিয়ো এবং বিশেষ অ্যাপ ব্যবহারে দৃষ্টিহীন, শ্রবণ প্রতিবন্ধী কিংবা পাঠদানে – অসুবিধাগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের উপকার হয়। প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষার্থী একই পরিবেশে উপযুক্ত সহায়তা পায়।
- শিক্ষাগত প্রযুক্তি ও প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য কী ?
Ans: প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষাদান বেশি শিক্ষককেন্দ্রিক ও – বক্তৃতাভিত্তিক। শিক্ষাগত প্রযুক্তি এই পদ্ধতিকে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক, অংশগ্রহণমূলক ও প্রযুক্তিনির্ভর করে তোলে। এতে শিক্ষা হয় আরও বাস্তবধর্মী, দৃশ্যমান এবং অভিজ্ঞতানির্ভর। ফলে শিক্ষার্থীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও শেখার মান বাড়ে।
- শিক্ষাগত প্রযুক্তি মূল্যায়নের পদ্ধতিকে কীভাবে আধুনিক করেছে ?
Ans: অনলাইন কুইজ, গুগল ফর্ম, AI-ভিত্তিক মূল্যায়ন টুল এবং লার্নিং অ্যানালিটিক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর প্রগতি সহজে নিরূপণ করা যায়। মূল্যায়ন এখন শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; শেখার অংশগ্রহণ, গতি ও ফিডব্যাকের ভিত্তিতেও মূল্যায়ন সম্ভব হচ্ছে।
- শিক্ষাগত প্রযুক্তির ব্যবহার কীভাবে আত্মনির্ভরশীলতা তৈরি করে ?
Ans: প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নিজের গতিতে এবং নিজের ইচ্ছামতো সময়ে শিখতে পারে। এতে শিক্ষার্থীর মধ্যে সমস্যাসমাধান দক্ষতা, তথ্য অনুসন্ধানের অভ্যাস এবং আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে। এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীকে আত্মনির্ভর ও স্বশিক্ষিত করে তোলে।
- শিক্ষাগত প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার না হলে, কী কী সমস্যা হতে পারে ?
Ans: প্রযুক্তির অতিরিক্ত নির্ভরতা শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা কমাতে পারে। শিক্ষার্থীরা ভুল বা ভুয়ো তথ্যের ব্যবহার করতে পারে। স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন-চোখের সমস্যা, প্রযুক্তি আসক্তি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। প্রযুক্তির ভুল ব্যবহারে পাঠের গুণমান কমে যেতে পারে। তাই সঠিক তত্ত্বাবধান ও পরিমিত প্রযুক্তির ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে।
- শিক্ষাগত প্রযুক্তি কীভাবে নতুন শিক্ষানীতি–এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ?
Ans: ভারতের নতুন শিক্ষানীতি (NEP 2020) প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। এতে ডিজিটাল লার্নিং, ই-রিসোর্স, অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম (যেমন: DIKSHA, SWAYAM), এবং AI-এর ব্যবহার উৎসাহিত করা হয়েছে। শিক্ষাগত প্রযুক্তি এই নীতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে।
- শিক্ষাপ্রযুক্তিতে নৈতিকতার পাঠ গুরুত্বপূর্ণ কেন ?
Ans: শিক্ষা প্রযুক্তিতে নৈতিকতার পাঠ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ নীতি নৈতিকতাই পারে প্রযুক্তির মাধ্যমে ডেটা বিশ্লেষণের গোপনীয়তা বজায় রাখতে, ডেটা সুরক্ষিত রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে।
- অনলাইন কোর্সের সুবিধাগুলি কী কী ? প্রযুক্তির সাহায্যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা কী ?
Ans: অনলাইন কোর্স শিক্ষার্থীদের সময় ও স্থান নির্বাচনে যেমন নমনীয়তা দেয়, তেমনই স্বল্প খরচে গুণগত মানের শিক্ষা প্রদান করে, যা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক।
শিক্ষাপ্রযুক্তি যেমন-টেক্সট-টু-স্পিচ সফটওয়্যার, ব্রেইল রিডার এবং ভয়েস কমান্ড টুল বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শেখার প্রক্রিয়া সহজ করে।
- ডিসট্যান্স এডুকেশনে শিক্ষাপ্রযুক্তির গুরুত্ব কী ? শিখনের ক্ষেত্রে ডিপ লার্নিং-এর ভূমিকা কী ?
Ans: শিক্ষাপ্রযুক্তি ডিসট্যান্স এডুকেশনে শিক্ষার্থীদের ইনটারনেটের মাধ্যমে পাঠগ্রহণ এবং মূল্যায়নের সুযোগ দেয়। বিশেষত এটি গ্রামীণ অঞ্চলে শিক্ষার প্রসারে সহায়ক। তবে, ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে এখনো ডিসট্যান্স এডুকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো উন্নয়নের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
ডিপ লার্নিং শিক্ষার্থীদের শেখার ধরনকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে এবং শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করে তোলে।
- শিক্ষায় প্রযুক্তির প্রয়োগে নৈতিকতার বিষয়টি কীভাবে যুক্ত ? শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যর্থতার কারণ কী ?
Ans: শিক্ষায় প্রযুক্তির প্রয়োগে নৈতিকতার বিষয়টি প্রধানত তথ্যের সঠিক ব্যবহার ও তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা সুনিশ্চিত করার সঙ্গে যুক্ত।
পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব এবং পরিকাঠামোগত সমস্যার কারণে প্রযুক্তি ব্যর্থ হতে পারে।
- প্রযুক্তি কীভাবে শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করে ? শিক্ষার উপকরণ তৈরি করতে প্রযুক্তি কীভাবে সাহায্য করে ?
Ans: অনলাইন শিক্ষা মাধ্যম প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার সুযোগকে বৃদ্ধি করে, যদিও তা ব্যয়বহুল এবং একই সঙ্গে তা পরিকাঠামোগত উন্নতিও দাবি করে।
প্রযুক্তি শিক্ষকদের জন্য শ্রেণিকক্ষে ব্যবহারের জন্য ইনটারঅ্যাকটিভএবং কাস্টমাইজড উপকরণ তৈরি সহজ করে।
- ই-লার্নিং কী ? অনলাইন শিক্ষার সুবিধাগুলি কী কী ?
Ans: ই লার্নিং: ই-লার্নিং হল অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণের প্রক্রিয়া। এতে ভিডিয়ো লেকচার, ই-বুক, কুইজ ও ভার্চুয়াল ক্লাসের মাধ্যমে পড়াশোনা করা যায়। এটি শিক্ষাকে যে-কোনো স্থানে সহজলভ্য করে তুলেছে।
অনলাইন শিক্ষা সময় ও স্থানের সীমাবদ্ধতা দূর করে। শিক্ষার্থীরা নিজের সুবিধামতো সময় বেছে নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে। এটি আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী এবং বিভিন্ন কোর্সে সহজ প্রবেশাধিকার দেয়।
- ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি শিক্ষায় কী ভূমিকা পালন করে ? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) কীভাবে শিক্ষায় ব্যবহৃত হয় ?
Ans: ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষা প্রদান করে। এটি বিজ্ঞান, ইতিহাস বা মেডিকেল বিষয়ে বাস্তবসম্মত ধারণা তৈরি করতে সাহায্য করে, যা তাত্ত্বিক শিক্ষাকে কার্যকর করে।
AI শিক্ষার্থীদের নিজ গতিতে শিক্ষার সুযোগ করে দেয়। এটি অটো-গ্রেডিং, শিক্ষককে শিক্ষার্থীর দুর্বল দিক চিহ্নিত করতে সাহায্য করে এবং সেইমতো তিনি শিক্ষার্থীকে সহায়তা প্রদান করতে পারেন।
- গুগল ক্লাসরুম কী ? মোবাইল অ্যাপ কীভাবে শিক্ষায় সহায়তা করে ?
Ans: গুগল ক্লাসরুম: গুগল ক্লাসরুম একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে শিক্ষকরা ক্লাস পরিচালনা, অ্যাসাইনমেন্ট শেয়ার এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করতে পারেন। এটি শিক্ষার ডিজিটাল মাধ্যমে রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মোবাইল অ্যাপ শিক্ষার্থীদের দ্রুত তথ্য সংগ্রহ, অনুশীলন এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে কুইজ, ভিডিয়ো টিউটোরিয়াল, ই-বুক ইত্যাদি সহজলভ্য হয়।
- অনলাইন শিক্ষা কি অফলাইন শিক্ষার বিকল্প হতে পারে ? ই-বুকের সুবিধা কী ?
Ans: অনলাইন শিক্ষা সুবিধাজনক হলেও অফলাইন শিক্ষার মতো এটিতে সরাসরি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া সম্ভবপর নয়। দুটি পদ্ধতি মিলেমিশে শিক্ষার অভিজ্ঞতাকে পূর্ণাঙ্গ করে তুলতে পারে।
এই বুকের সুবিধা: ই-বুক পোর্টেবল, সাশ্রয়ী এবং সহজে অ্যাক্সেসযোগ্য। এটি প্রচুর পরিমাণে তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে এবং এটি পরিবেশবান্ধবও বটে।
- Technology in Education’ বলতে কী বোঝায় ?
Ans: ‘Technology in Education’ বলতে শিক্ষার কাজে প্রযুক্তির ব্যবহারকে বোঝানো হয়। এর অর্থ হল-পাঠদানের সময় বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম যেমন প্রোজেক্টর, স্মার্টবোর্ড, কম্পিউটার, ইনটারনেট, মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন, ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ইত্যাদি ব্যবহার করে শিক্ষাকে আরও কার্যকর, আকর্ষণীয় এবং বাস্তবসম্মত করে তোলা। এটি একটি বাহ্যিক পদ্ধতি, যা শিক্ষার পরিবেশকে আধুনিক করে তোলে এবং পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর আগ্রহ বাড়ায়।
- গ্রামীণ শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষাগত প্রযুক্তির ভূমিকা কী হতে পারে ?
Ans: গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষাগত প্রযুক্তি পৌঁছোতে পারলে মানসম্পন্ন শিক্ষা সবার কাছে পৌঁছানো সম্ভব। অনলাইন ক্লাস, মোবাইল অ্যাপ ও রেডিয়ো বা টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষাদান হতে পারে। তবে এজন্য সরকার ও এনজিও-দের যৌথ উদ্যোগ দরকার, যাতে অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়।
রচনাধর্মী | শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | WB HS Class 12 Education Educational Technology Concept Descriptive Question and Answer:
1. শিক্ষাপ্রযুক্তিকে কি শিক্ষকের বিকল্প হিসেবে গণ্য করা যায় ব্যাখ্যা করো । **
Ans: শিক্ষাপ্রযুক্তি ও শিক্ষক: যান্ত্রিক পদ্ধতিতে শিক্ষণ-শিখনের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রযুক্তি বিশেষ ভূমিকা নিলেও শিক্ষকের অবদান খুব বেশি। প্রযুক্তিবিদ্যাকে শিক্ষকের বিকল্প হিসেবে বিশ্বাস করা যায় না, কারণ –
(ক) মানসিক উৎসাহহীন: সঠিক উত্তরদানের জন্য শিক্ষার্থী শিক্ষকের কাছ থেকে প্রশংসা পায়, যেটা প্রযুক্তিবিদ্যা থেকে অসম্ভব।
(খ) সংবেদনশীলতার অভাব: শিক্ষক শিক্ষার্থীর পরিণমন, চাহিদা ও মানসিক অবস্থা বুঝে শিক্ষার ব্যবস্থা করেন, যা প্রযুক্তিবিদ্যা করতে পারে না।
(গ) পরামর্শদাতা: শিক্ষাজীবনে শিক্ষার্থী নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়। শিক্ষক শিক্ষার্থীর সেই সমস্যাসমাধানে পরামর্শদাতার ভূমিকা গ্রহণ করেন, যা প্রযুক্তিবিদ্যা পারে না।
(ঘ) শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ: শ্রেণিশিখনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে যে মধুর সম্পর্ক থাকে, তার ফলে শিক্ষণ কাজ যথার্থভাবে সম্পাদিত হয়। গড়ে ওঠে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশ, যা প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতা যাচাইয়ের জন্য অভীক্ষা তৈরি, মূল্যায়ন কৌশল নির্বাচন ও সেগুলি প্রয়োগের ব্যবস্থা করেন।
(ঙ) চরিত্রগঠন: শিক্ষার্থীর চরিত্রগঠনের ক্ষেত্রে শিক্ষক বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেন। কিন্তু প্রযুক্তিবিদ্যা এই দায়িত্ব পালন করতে পারে না।
সুতরাং সেদিক দিয়ে বিচার করে বলা যায়, প্রযুক্তি কখনও শিক্ষকের বিকল্প হতে পারে না।
2. শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যাকে কীভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহার করা যায় ? **
Ans: শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়ে থাকে। যেমন –
(ক) দৃশ্য-শ্রাব্য উপকরণ ব্যবহার: বিভিন্ন ধরনের দৃশ্য-শ্রাব্য উপকরণ যেমন- চার্ট, মডেল, বিভিন্ন ধরনের প্রোজেক্টর (OHP, LCD), ইনটারনেট, স্মার্ট ফোন, পাওয়ার পয়েন্ট, ইন্টারঅ্যাকটিভ হোয়াইট বোর্ড, মূর্তবস্তু ইত্যাদি উপকরণ ব্যবহার করে পাঠদান করলে শিখন স্থায়ী হয়।
(খ) পুস্তক ও শিক্ষণ যন্ত্র: বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে কার্যকরী রূপ দেওয়ার জন্য স্বয়ং শিক্ষণ পদ্ধতি প্রবর্তিত হয়েছে। এই ধরনের প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের স্বাধীনভাবে প্রতিক্রিয়া করার সুযোগ করে দেয়।
(গ) দূরাগত শিক্ষা: শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞান দূরশিক্ষা কর্মসূচির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দূরাগত শিক্ষায় EDUSAT (Educational Satellite) দ্বারা শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
(ঘ) কম্পিউটারভিত্তিক নির্দেশনা: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় যেগুলির জন্য পরীক্ষাগারের প্রয়োজন, অথচ স্কুল, কলেজগুলিতে এই ধরনের পরীক্ষাগারের অভাব রয়েছে, সেইসব ক্ষেত্রে বর্তমানে কম্পিউটারভিত্তিক নির্দেশনার মাধ্যমে অনেক সহজেই পরীক্ষামূলক ফলাফল পর্যবেক্ষণ ও আয়ত্ত করা যায়।
(ঙ) গবেষণা: যে-কোনো তথ্যভাণ্ডার থেকে গবেষকগণ তার ল্যাবরেটরিতে বা বাড়িতে বসেই প্রযুক্তিকে (ইনটারনেট, ওয়েবসাইট ইত্যাদি) কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক জ্ঞান অর্জন করতে পারেন যা গবেষণার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
(চ) তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ: কম্পিউটার, মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ভাণ্ডার সংগৃহীত রয়েছে। এই তথ্য ভাণ্ডার থেকে যে-কোনো শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষক খুব সহজ উপায়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এর ফলে যে-কোনো স্তরের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হয়।
3. শিক্ষাপ্রযুক্তি কয়প্রকার ও কী কী ? শ্রেণিবিভাগগুলি সম্পর্কে লেখো । ***
Ans: শিক্ষাপ্রযুক্তিকে তিনটি রীতির ভিত্তিতে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথা – হার্ডওয়্যার রীতি, সফটওয়্যার রীতি ও সিস্টেম অ্যাপ্রোচ রীতি।
হার্ডওয়্যার রীতি: এই রীতির অন্তর্ভুক্ত হল বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি যেমন প্রোজেক্টর (ওভারহেড প্রোজেক্টর, স্লাইড প্রোজেক্টর ইত্যাদি), কম্পিউটার (ডেক্সটপ, ল্যাপটপ, মোবাইল ইত্যাদি), TV (যা হল দর্শন ও শ্রবণধর্মী প্রদীপন) ইত্যাদি। এই ধরনের প্রযুক্তিসমূহ শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়াকে অতি সহজে কম সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেয়। তা ছাড়া এই প্রযুক্তিকে নির্দেশনার কাজে লাগানো যায়।
সফটওয়্যার রীতি: শিক্ষণ-শিখনের মনস্তাত্ত্বিক নীতির উপর ভিত্তি করে এই রীতি গঠিত, এটি সম্পূর্ণরূপে যন্ত্র নির্ভর নয়। এক্ষেত্রে কত সহজে শিক্ষার্থীরা তথ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং কত ভালোভাবে শিক্ষার্থীরা তথ্যসমূহকে উপস্থাপন করতে পারে, এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সিস্টেম অ্যাপ্রোচ রীতি: এই রীতির সাহায্যে শিক্ষাগত প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা অর্থাৎ সম্পূর্ণরূপে শিক্ষাব্যবস্থাকে কম খরচে ও অতি সহজে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। পাঠক্রমের বিকাশ, মূল্যায়ন ব্যবস্থা ইত্যাদির সংস্কারও এই রীতির অন্তর্ভুক্ত।
এর উপর ভিত্তি করে শিক্ষণ-শিখনের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রযুক্তির উপকরণগুলি হল- শিখন ব্যবস্থাপনা তন্ত্র (LMS), অনলাইন কোর্সসমূহ, মিথস্ক্রিয়ামূলক উপকরণ ইত্যাদি।
4. প্রযুক্তি বলতে কী বোঝো ? এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখো । ***
Ans: প্রযুক্তি: যে-কোনো যন্ত্র এবং প্রাকৃতিক উপাদান সম্পর্কে জ্ঞান এবং সেগুলি দক্ষভাবে ব্যবহার করার ক্ষমতাকে প্রযুক্তি বলা হয়। সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে, প্রযুক্তি হল ব্যাবহারিক উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানের জ্ঞান প্রয়োগ করা।
প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য: প্রযুক্তির সংজ্ঞাগুলিকে বিশ্লেষণ করলে এর কিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। যেগুলি হল –
(ক) উদ্দেশ্যমূলক: প্রযুক্তি হল মানুষের তৈরি করা একধরনের নকশা বা পদ্ধতি, যা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যপূরণে সাহায্য করে।
(খ) ব্যাবহারিক: প্রযুক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাবহারিক উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করা হয় যেমন শিল্প, ব্যবসা, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি।
(গ) বৈজ্ঞানিক ভিত্তি: প্রযুক্তি সাধারণত বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।
(ঘ) পুনরুৎপাদনযোগ্য: প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা পণ্য বা প্রক্রিয়াগুলি সাধারণত সহজে এবং পুনরাবৃত্তিভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
5. প্রযুক্তির কয়েকটি ব্যবহার লেখো । **
Ans: প্রযুক্তির ব্যবহার: বর্তমানে প্রযুক্তি সকল ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। প্রযুক্তি ছাড়া জীবন একেবারেই অচল।
(ক) মহাকাশ গবেষণা: মহাকাশ গবেষণা, মহাশূন্যের ছবি তোলা, স্যাটেলাইটের নিয়ন্ত্রণ, পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্যাদি সংগ্রহ, মহাকাশযানকে নিয়ন্ত্রণ করা, তার মাধ্যমে তথ্যগ্রহণ সবই প্রযুক্তিবিদ্যা ছাড়া অসম্ভব।
(খ) প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র: দেশের প্রতিরক্ষার স্বার্থে বিভিন্ন তথ্যসংগ্রহ, সন্ত্রাসবাদীদের অবস্থান, সৈন্যদের নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন স্থানের চিত্রসহ পরিবেশন, সৈন্যদের অবস্থান কখন কীরূপ হবে, বিভিন্ন স্থানের ভৌগোলিক পরিবেশে কোন্ স্থানে সৈন্যদল অবস্থান করবে ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য কম্পিউটার ছাড়া সম্ভব নয়।
(গ) বিনোদনমূলক ক্ষেত্র: চিত্তবিনোদনমূলক কাজকর্ম, অ্যানিমেশন ও স্পেশাল এফেক্টের সাহায্যে চলচ্চিত্র নির্মাণ কম্পিউটার তথা প্রযুক্তি ছাড়া সম্ভব নয়।
(ঘ) আবহাওয়ার পূর্বাভাস: কৃত্রিম উপগ্রহগুলি নিয়ন্ত্রিত হয় সুপার কম্পিউটার দ্বারা। এগুলির দ্বারা গৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে খুব সহজে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
(ঙ) শিক্ষাক্ষেত্র: শিক্ষাদানের সময় অর্থাৎ শিখনের ক্ষেত্রে, স্বয়ংশিখনের ক্ষেত্রে, শিক্ষণের ক্ষেত্রে কম্পিউটার, টেলিভিশন, বেতার ইত্যাদি প্রযুক্তি সহায়ক উপকরণের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
(চ) বৈজ্ঞানিক গবেষণা: বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণা, জটিল গণনা, অতি দ্রুত ও নিখুঁতভাবে গবেষণার কার্যক্রম করা ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম।
6. প্রযুক্তিবিদ্যার সমস্যাগুলি সমাধানের উপায়গুলি কী কী ? [ অথবা ] শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহৃত কয়েকটি প্রযুক্তির নাম লেখো । ***
Ans: সমস্যাসমাধানের উপায়সমূহ: প্রযুক্তিবিদ্যা ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলি লক্ষ করা যায়, সেগুলি সমাধানের উপায়গুলি হল –
(ক) দক্ষ শিক্ষক: প্রযুক্তিবিদ্যায় দক্ষ শিক্ষকের অভাব দূর করতে উপযুক্ত শিক্ষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকার জোগান বাড়াতে হবে সরকারকে। শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়াতে হবে।
(খ) আর্থিক অনুদান: আর্থিক দৈন্যতা কাটিয়ে সরকারকে প্রযুক্তিবিদ্যার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে উন্নত যন্ত্রপাতির জোগান দিতে হবে। আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর চাহিদাভিত্তিক শিখন উপযোগী উপকরণ মোতায়েন রাখতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে।
(গ) আঞ্চলিক ভাষা: প্রযুক্তিবিদ্যার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষার প্রয়োগ করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষালাভের সময় ভাষাগত সমস্যা না হয়।
(ঘ) কর্মসংস্থান: প্রযুক্তিবিদ্যার মাধ্যমে শিক্ষালাভের পর শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে সরকারকে, যাতে বেকারত্ব কমে।
শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহৃত কয়েকটি প্রযুক্তির নাম হল-কম্পিউটার, ওভারহেড প্রোজেক্টর ইত্যাদি।
7. শিক্ষাপ্রযুক্তির সংজ্ঞা দাও । শিক্ষাপ্রযুক্তির উপাদানগুলি সম্পর্কে লেখো । ***
Ans: শিক্ষাপ্রযুক্তি: শিক্ষাপ্রযুক্তি বা Educational Technology বলতে সাধারণত শিক্ষাক্ষেত্রে বহুমুখী প্রযুক্তি ও কৌশলের প্রয়োগকে বোঝানো হয়।
গ্যাগনে-র মতে, সমগ্র শিক্ষা প্রক্রিয়াটি হল একটি সিস্টেম। শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞান শিক্ষণ প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য এবং তার ফলাফল বিচার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কৌশল উদ্ভাবন করে। শিখন প্রক্রিয়াকে বিকশিত করার জন্য শিক্ষাপ্রযুক্তির প্রয়োজন।
শিক্ষাগত প্রযুক্তির উপাদান: শিক্ষাগত প্রযুক্তির 5টি উপাদান রয়েছে। যেগুলি হল-
(ক) প্রযুক্তিগত উপাদান : যথাযথ উপকরণ, কৌশল ও প্রক্রিয়া, বিভিন্ন ধরনের শিক্ষণ-শিখন সহায়ক উপকরণ, যেমন-চার্ট, মডেল, প্রোজেক্টর, কম্পিউটার ইত্যাদি। আবার কৌশলগুলির মধ্যে রয়েছে যেমন-সমস্যাসমাধান, প্রোগ্রামভিত্তিক শিখন, কম্পিউটারভিত্তিক শিক্ষণ ইত্যাদি এবং প্রক্রিয়াগুলি হল শিক্ষণ, শিখন, মূল্যায়ন, প্রশাসন ইত্যাদির সমন্বয়ে শিক্ষা প্রক্রিয়া পরিচালনা।
(খ) বৌদ্ধিক উপাদান: বৌদ্ধিক উপাদানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-অনুভূতি, স্মৃতি ও যথাযথ বৌদ্ধিক প্রক্রিয়া, যা শিক্ষাগত প্রযুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
(গ) যথাযথ প্রয়োগ: প্রযুক্তিগত উপাদান, বৌদ্ধিক উপাদানসমূহের যথাযথ প্রয়োগ।
(ঘ) শিক্ষা প্রক্রিয়ার উন্নয়ন: শিক্ষা প্রক্রিয়ার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন উন্নত প্রযুক্তিগত উপাদান, বৌদ্ধিক উপাদানের যথাযথ প্রয়োগ।
(ঙ) শিখনের ফলের উন্নয়ন: শিক্ষা প্রক্রিয়ার উন্নয়ন শিখনের ফলের উন্নয়নে সাহায্য করে।
8. জে ব্লুমার–এর মতে, শিক্ষাপ্রযুক্তি কী ? শিক্ষাপ্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য লেখো । **
Ans: জে ব্লুমার: শিক্ষাপ্রযুক্তি হল শিক্ষা সম্পর্কিত বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান, যা বাস্তব শিখন পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করা হয়।
শিক্ষাপ্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য: শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞানের সংজ্ঞাগুলি বিশ্লেষণ করলে শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞানের কতকগুলি বৈশিষ্ট্যের সন্ধান পাওয়া যায়, যেমন –
(ক) তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক শিক্ষা: প্রযুক্তিবিজ্ঞানে কেবল তাত্ত্বিক বিষয় নয় বা কেবল ব্যাবহারিক বিষয় নয়। তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক উভয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।
(খ) শিক্ষা প্রক্রিয়া শিক্ষা: প্রযুক্তিবিজ্ঞান শিক্ষাবিদ ও মনোবিদ এবং প্রযুক্তিবিদদের ধারণার সমন্বয়। সাধারণত প্রযুক্তিবিদদের ধারণা শিক্ষা প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে।
(গ) শিক্ষণ যন্ত্র: শিক্ষাক্ষেত্রে যে-কোনো ধরনের প্রযুক্তিগত শিক্ষণ যন্ত্র (Teaching Machine) এবং তার যান্ত্রিক কৌশলগুলি জ্ঞানের সংরক্ষণ, সঞ্চালন, প্রসার ও উন্নয়নের সমস্ত পর্যায়ে সহায়তা করে।
(ঘ) কারিগরি কৌশল: শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়াতে কারিগরি শিক্ষার প্রয়োগ হয় শিক্ষা প্রযুক্তির মাধ্যমে।
(ঙ) ব্যাবহারিক কৌশল: যে-কোনো ধরনের প্রযুক্তিগত যন্ত্র এবং তার ব্যবহার কৌশলগুলির সক্রিয় সমন্বয়। যেমন-শিক্ষার উপযোগী বিভিন্ন শিক্ষণ সহায়ক উপকরণগুলির (Teaching Aids) উদ্ভাবন ও তার ব্যবহার।
9. শিক্ষাপ্রযুক্তির ব্যবহারগুলি আলোচনা করো ।
Ans: শিক্ষাপ্রযুক্তির ব্যবহার: শিক্ষাপ্রযুক্তি বর্তমানে সবক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যার দ্রুত প্রসার ঘটছে। যেসব ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যাকে ব্যবহার করা হয়, সেগুলি হল –
(ক) বহুমাধ্যম: বহুমাধ্যম বা Multimedia-র মাধ্যমে পড়ানোর ফলে শিক্ষণীয় বিষয় আকর্ষণীয় হচ্ছে এবং শিক্ষার গুণগত মানও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে।
(খ) অনুশিক্ষণ: অণুশিক্ষণ হল শিক্ষণ-শিখনের ক্ষেত্রে একটি আধুনিক বিশ্লেষণাত্মক পদ্ধতি। এর মাধ্যমে শিক্ষকদের উন্নতমানের শিক্ষাদান করা যায়।
(গ) গণমাধ্যম ও এভারাহড প্রোজেক্টর: গণমাধ্যম ও ওভারহেড প্রোজেক্টরের মাধ্যমে পড়ানোর ফলে বিষয়বস্তুকে সহজে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপিত করা যায়।
(ঘ) প্রোগ্রাম শিখল শিক্ষা: প্রযুক্তিবিজ্ঞানের প্রোগ্রাম শিখন ব্যবস্থা শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে। এখানে বিষয়বস্তুকে ছোটো ছোটো উপ-এককে বিভক্ত করা সম্ভব হয়।
(ঙ) তথ্যপ্রযুক্তি: তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের ফলে শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জ্ঞান আহরণ করতে পারছে।
(চ) ইনটারঅ্যাকটিভ সরঞ্জাম: ইনটারঅ্যাকটিভ হোয়াইটবোর্ড, শিক্ষামূলক অ্যাপ এবং মাল্টিমিডিয়া রিসোর্স শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং পাঠদানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
10. শিক্ষায় প্রযুক্তিবিজ্ঞানের অবদান বা গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করো ।
Ans: শিক্ষায় প্রযুক্তিবিজ্ঞানের অবদান: শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তিবিদ্যাকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগানো হয়। এর অবদান বা গুরুত্ব হল –
(ক) শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণে: ব্যক্তি ও সমাজের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণে প্রযুক্তিবিদ্যা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
(খ) পাঠক্রম নির্ধারণে: শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণে উপযুক্ত পাঠক্রম নির্বাচনে শিক্ষাপ্রযুক্তি বিশেষ দায়িত্ব পালন করে।
(গ) বিজ্ঞানসম্মত উপস্থাপন: শিক্ষাকে বিজ্ঞানসম্মত করতে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বহু তথ্য শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপনের দ্বারা বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা সম্ভব হয়।
(ঘ) ব্যক্তিভিত্তিক শিখন: শিক্ষাপ্রযুক্তির সাহায্যে প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজস্ব পছন্দ, ক্ষমতা, সামর্থ্য অনুযায়ী অগ্রসর হতে পারে।
(ঙ) শিক্ষা উপকরণের ব্যবহার: পঠনপাঠনের জন্য বর্তমানে যে-সমস্ত উপকরণ ব্যবহার করা হয় যেমন-চার্ট, মডেল, স্লাইড, ওভারহেড প্রোজেক্টর ইত্যাদি প্রযুক্তিবিদ্যার অবদান।
(চ) মূল্যায়ন প্রক্রিয়া: আজকের দিনে শিক্ষাপ্রযুক্তি মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন MCQ বা বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নের উত্তরপত্র দেখা, মার্কশিট তৈরি করা, নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ প্রভৃতি।
(ছ) সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ: সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তিবিদ্যা বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছে।
11. শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যার সুবিধাগুলি আলোচনা করো ।
Ans: শিক্ষাপ্রযুক্তির হাত ধরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসাবাণিজ্য প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রই এগিয়ে চলেছে। শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যার সুবিধাগুলি হল –
(ক) সক্রিয়তা সৃষ্টি: শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যা শিক্ষার্থীকে সক্রিয় করে যা তাদের সাফল্যলাভে সাহায্য করে।
(খ) অনুশীলনের সুযোগ: প্রযুক্তিবিদ্যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনুশীলনের সুযোগ পায়। ফলে শিক্ষণীয় বিষয়টি তারা যথাযথভাবে আয়ত্ত করতে পারে।
(গ) ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যভিত্তিক শিক্ষাদান: সাধারণ পাঠদানের ক্ষেত্রে অনেকসময়ই ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যভিত্তিক শিক্ষাদান সম্ভব হয় না। কিন্তু প্রযুক্তিবিদ্যার ও সাহায্যে এই শিক্ষাদান সম্ভব হয়।
(ঘ) সমস্যাসমাধান: প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারে।
(ঙ) প্রেষণা সঞ্চার: প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ইতিবাচক মনোভাব গঠনের সহায়ক। এতে শিক্ষার্থীর মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়, প্রেষণার সঞ্চার ঘটে।
(চ) অনুশীলনের সুযোগ: প্রযুক্তিবিদ্যা তথা কম্পিউটারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনুশীলনের সুযোগ পায়। শিক্ষার্থীরা প্রয়োজন অনুসারে নিজস্ব সময় অনুযায়ী অনুশীলন করতে পারে, ফলে শিক্ষণীয় বিষয় অধিক ত্রুটিমুক্ত হয়।
12. অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার লেখো ।
Ans: প্রথাগত শিক্ষার বাইরে যা কিছু শেখা হয় সেগুলিকেই সাধারণত অপ্রথাগত শিক্ষা বলা হয়। অপ্রথাগত শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রযুক্তির ব্যবহারগুলি হল-
(ক) ইনটারনেট: ইনটারনেট থেকে একজন শিক্ষার্থী যে-কোনো তথ্য যে-কোনো সময়ে জানতে পারে।
(খ) ওয়েবসাইট: বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষার্থী বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।
(গ) ই-মেল: বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংস্থার ই-মেল রয়েছে। ই-মেলের মাধ্যমে যেমন বিভিন্ন বিষয়গত শিক্ষা সম্বন্ধে জানা যায় ঠিক তেমনই বিভিন্ন ধরনের অপ্রথাগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
(ঘ) অনলাইন প্ল্যাটফর্ম: বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম (গুগুল, ইয়াহু ইত্যাদি) রয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কোনো বিশেষ ব্যক্তির কোনো বিষয়ে আলোচনা, সেমিনার থেকে অনেক তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব, যেগুলি শিক্ষার্থীর জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে পারে।
(ঙ) ডিজিটাল শিখন উৎস: অনলাইন লাইব্রেরি, ডাটাবেস ইত্যাদি থেকে বর্তমানে দেশ, বিদেশের এমন অনেক তথ্য সংগ্রহ করা যায় যেগুলি অপ্রথাগত শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত।
(চ) মিথস্ক্রিয়ামূলক যন্ত্রপাতি: বর্তমানে যে-কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের সংস্কৃতি, আচার-আচরণ ইত্যাদি আদানপ্রদান করতে পারেন।
(ছ) ভার্চুয়াল মিউজিয়াম ও ট্যুর: কম্পিউটারের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মিউজিয়াম ও ভার্চুয়াল ট্যুর বিভিন্ন অপ্রথাগত শিক্ষাক্ষেত্রে কার্যকরী।
13. শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যা কাকে বলে ? শিক্ষাক্ষেত্রে এর যে-কোনো দুটি সুবিধা উল্লেখ করো ।
Ans: শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যা: শিক্ষাপ্রযুক্তি বা Educational Technology বলতে সাধারণত শিক্ষাক্ষেত্রে বহুমুখী প্রযুক্তি ও কৌশলের প্রয়োগকে বোঝানো হয়।
গ্যাগনে-র মতে, সমগ্র শিক্ষা প্রক্রিয়াটি হল একটি সিস্টেম। শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞান শিক্ষণ প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য এবং তার ফলাফল বিচার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কৌশল উদ্ভাবন করে। শিখন প্রক্রিয়াকে বিকশিত করার জন্য শিক্ষাপ্রযুক্তির প্রয়োজন।
শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যার সুবিধা: শিক্ষাপ্রযুক্তির হাত ধরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসাবাণিজ্য প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রই এগিয়ে চলেছে। শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যার সুবিধাগুলি হল –
(ক) সক্রিয়তা সৃষ্টি: শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যা শিক্ষার্থীকে সক্রিয় করে যা তাদের সাফল্যলাভে সাহায্য করে।
(খ) অনুশীলনের সুযোগ: প্রযুক্তিবিদ্যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনুশীলনের সুযোগ পায়। ফলে শিক্ষণীয় বিষয়টি তারা যথাযথভাবে আয়ত্ত করতে পারে।
(গ) ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যভিত্তিক শিক্ষাদান: সাধারণ পাঠদানের ক্ষেত্রে অনেকসময়ই ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যভিত্তিক শিক্ষাদান সম্ভব হয় না। কিন্তু প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে এই শিক্ষাদান সম্ভব হয়।
(ঘ) সমস্যাসমাধান: প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারে।
(ঙ) প্রেষণা সঞ্চার: প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ইতিবাচক মনোভাব গঠনের সহায়ক। এতে শিক্ষার্থীর মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়, প্রেষণার সঞ্চার ঘটে।
(চ) অনুশীলনের সুযোগ: প্রযুক্তিবিদ্যা তথা কম্পিউটারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনুশীলনের সুযোগ পায়। শিক্ষার্থীরা প্রয়োজন অনুসারে নিজস্ব সময় অনুযায়ী অনুশীলন করতে পারে, ফলে শিক্ষণীয় বিষয় অধিক ত্রুটিমুক্ত হয়।
14. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষাদানের কাজে শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যা কীভাবে শিক্ষকদের সাহায্য করে ?
Ans: শিক্ষক মহাশয় শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সময় বিভিন্নভাবে শিক্ষাপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করে পাঠদান প্রক্রিয়াকে আকর্ষণীয় ও আনন্দপূর্ণ করে তুলতে পারেন। যেমন –
(ক) শিক্ষা সহায়ক উপকরণ: দৃশ্য-শ্রাব্য উপকরণ কীভাবে তৈরি করা যায়, কীভাবে ব্যবহার করা যায় ইত্যাদি বিষয়ে একজন শিক্ষক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সহজেই জানতে পারেন।
(খ) বোর্ড, ইন্টারঅ্যাকটিভ বোর্ড: শিক্ষক বোর্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লেখেন, আবার ইন্টারঅ্যাকটিভ বোর্ডের মাধ্যমে শিক্ষক যেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পড়ান, তেমনই সেগুলিকে সংরক্ষণ করতে পারেন। তাই এগুলি শিক্ষকের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রযুক্তি।
(গ) প্রোগ্রাম পদ্ধতি: শিক্ষক প্রোগ্রাম পদ্ধতিতে শিক্ষাবিষয়ক প্রোগ্রাম তৈরি করেন বা প্রোগ্রাম পদ্ধতিকে ভিত্তি করে শিক্ষণের পুস্তক প্রস্তুত করে সেগুলিকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের শিখনে সাহায্য করেন। প্রোগ্রাম তৈরির ক্ষেত্রে শিক্ষক কম্পিউটারকে কাজে লাগাতে পারেন।
(ঘ) বিভিন্ন ধরনের প্রোজেক্টর: ওভারহেড প্রোজেক্টর, ফিল্ম প্রোজেক্টর ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষক বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করে বিষয়কে অনেক সহজে শিক্ষার্থীদের কাছে বোধগম্য করে তুলতে পারেন।
(ঙ) ইনটারনেট, ওয়েবসাইট: ইনটারনেট, ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষক বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন এবং সেই তথ্যগুলিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চালিত করে অনেক অজানা তথ্য জানতে সাহায্য করতে পারেন।
(চ) AI বা কৃত্রিম বুদ্ধি: বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তিতে AI-কে শিক্ষক কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীদের সেই তথ্য জানাতে পারেন।
15. বর্তমান ভারতে শিক্ষাপ্রযুক্তির অবস্থা আলোচনা করো ।
Ans: আধুনিক শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞানসম্মত চিন্তা বা জ্ঞানের বিকাশ দেখতে পাই, যা শিক্ষাপ্রযুক্তির অবদান।
(ক) UGC ও প্রযুক্তিবিদ্যা: UGC 1984 সালের 15 আগস্ট ভারতের সমগ্র অঞ্চলে এক দেশব্যাপী শ্রেণিকক্ষ অনুষ্ঠানের প্রচার শুরু করে। যার উদ্দেশ্য ছিল দূরাগত শিক্ষাকে কার্যকরী, ব্যাপক ও ফলপ্রসূ করে তোলা।
(খ) প্রতিটি রাজ্য ও প্রযুক্তিবিদ্যা: ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই State Institutes of Technology স্থাপিত হয়েছে। 1975 সালের আগস্ট মাসে The Satellite Instructional Television Experiment বা SITE উপগ্রহের মাধ্যমে শিক্ষাবিস্তার করার জন্য প্রবর্তন করা হয়।
(গ) মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তিবিদ্যা: Indian Space Research Organisation (ISRO) বা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের সাহায্যে শিক্ষামূলক উপগ্রহ (EDUSAT) প্রকল্প রূপায়ণ করা হয়। যার মাধ্যমে দূরদর্শনের বিভিন্ন কর্মসূচির সম্প্রসারণের সাহায্যে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে শিক্ষার প্রসার সম্ভব হচ্ছে।
(ঘ) ভাষা পরীক্ষাগার ও প্রযুক্তিবিদ্যা: বর্তমানে বিদেশি ভাষা শিক্ষা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই ভারতে ভাষা পরীক্ষাগার বা Language Laboratory-র যথেষ্ট প্রয়োগ হচ্ছে। এটি একটি স্বশিখন বা আত্মশিখন পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী রেকর্ড করা বক্তব্য বা ভাষ্য শোনে এবং একই কায়দায় তা উচ্চারণ করে বলার অভ্যাস করে।
HS Class 12 3rd Semester (Third Unit Test) Question and Answer :
- HS Class 12 Bengali 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 English 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 Geography 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 History 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 Education 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 Political Science 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 Philosophy 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 Sociology 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 Sanskrit 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 All Subjects First Semester Question Click here
HS Class 12 4th Semester (Forth Unit Test) Question and Answer :
- HS Class 12 Bengali 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 English 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 Geography 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 History 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 Education 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 Political Science 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 Philosophy 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 Sociology 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 Sanskrit 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 All Subjects 4th Semester Question Click here
Higher Secondary All Subject Suggestion – উচ্চমাধ্যমিক সমস্ত বিষয়ের সাজেশন
আরোও দেখুন:-
HS Bengali Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 English Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 Geography Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 History Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 Political Science Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 Education Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 Philosophy Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 Sociology Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 Sanskrit Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 All Subjects Suggestion Click here
◆ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি: বিনামূল্যে নোটস, সাজেশন, PDF ও সমস্ত আপডেটের জন্য আমাদের WhatsApp Group এ Join হয়ে যাও।
| Class 12 WhatsApp Groups | Click Here to Join |
দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal HS Class 12th Education Question and Answer / Suggestion / Notes Book
আরোও দেখুন :-
দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here
FILE INFO : শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer with FREE PDF Download Link
| PDF File Name | শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer PDF |
| Prepared by | Experienced Teachers |
| Price | FREE |
| Download Link | Click Here To Download |
| Download PDF | Click Here To Download |
শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) অধ্যায় থেকে আরোও বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :
Update
[আরও দেখুন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন রচনা – Rabindranath Tagore Biography in Bengali]
[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now]
Info : শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর
HS Class 12 Education Suggestion | West Bengal WBCHSE Class Twelve XII (HS Class 12th) Education Question and Answer Suggestion
” শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Twelve XII / WB HS Class 12 / WBCHSE / HS Class 12 Exam / West Bengal Council of Higher Secondary Education – WB HS Class 12 Exam / HS Class 12th / WB HS Class 12 / HS Class 12 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর ( দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন / দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান প্রশ্ও উত্তর । Class-11 Education Suggestion / HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer / HS Class 12 Education Suggestion / Class-11 Pariksha Education Suggestion / Education HS Class 12 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / HS Class 12 Education Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর (HS Class 12 Education Suggestion / West Bengal Twelve XII Question and Answer, Suggestion / WBCHSE HS Class 12th Education Suggestion / HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer / HS Class 12 Education Suggestion / HS Class 12 Pariksha Suggestion / HS Class 12 Education Exam Guide / HS Class 12 Education Suggestion 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030 / HS Class 12 Education Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Class-11 Education Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।
শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর
শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer Suggestion দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।
শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান
শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer Suggestion দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer Question and Answer, Suggestion
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) | দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) | পশ্চিমবঙ্গ দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) | দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান সহায়ক – শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর । HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer, Suggestion | HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer Suggestion | HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer Notes | West Bengal HS Class 12th Education Question and Answer Suggestion.
উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | Higher Secondary Class 12 Education Question and Answer, Suggestion
দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) । HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer Suggestion.
WBCHSE HS Class 12th Education Educational Technology Concept Suggestion | দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়)
WBCHSE HS Class 12 Education Educational Technology Concept Suggestion দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর । শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) | HS Class 12 Education Educational Technology Concept Suggestion দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর ।
HS Class 12 Education Educational Technology Concept 4th Semester Question and Answer Suggestions | দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) | দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর
HS Class 12 Education Educational Technology Concept 4th Semester Question and Answer দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর ।
WB HS Class 12 Education Educational Technology Concept Suggestion | দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) সাজেশন
HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer Suggestion দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) সাজেশন । HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer Suggestion দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।
West Bengal HS Class 12 Education Suggestion Download WBCHSE HS Class 12th Education short question suggestion . HS Class 12 Education Educational Technology Concept Suggestion download HS Class 12th Question Paper Education. WB HS Class 12 Education suggestion and important question and answer. HS Class 12 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।
Get the HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer by Bhugol Shiksha .com
HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB HS Class 12 Education Suggestion with 100% Common in the Examination .
Class Twelve XII Education Educational Technology Concept Suggestion | West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) HS Class 12 Exam
HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) HS Class 12 Twelve XII Education Suggestion is provided here. HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free here.
শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ধারণা (সপ্তম অধ্যায়) দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Education Educational Technology Concept Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।





















