মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি - একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer
মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি - একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer

মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর

Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer

মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer : মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই West Bengal WBCHSE Class 11th Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer, Suggestion, Notes | একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – থেকে সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 11th Eleven XI Education 2nd Semester Examination – পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান পরীক্ষা তে এই সাজেশন বা কোশ্চেন (মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer) গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।

তোমরা যারা মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো।

রাজ্য (State) পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)
বোর্ড (Board) WBCHSE, West Bengal
শ্রেণী (Class) একাদশ শ্রেণী (WB Class 11th)
বিষয় (Subject) একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান (Class 11 Education)
অধ্যায় (Chapter) মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি (Monobigyan Onusandhan Podoti)

[Class 11 All (1st 2nd) Semester Question and Answer Click here]

মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal WBCHSE Class 11th Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer 

সংক্ষিপ্ত | মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti SAQ Short Question and Answer:

  1. পরীক্ষণে নিয়ন্ত্রণ গ্রুপের ভূমিকা কী?

Ans: পরীক্ষণে নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ একটি অপরিহার্য উপাদান, যেখানে গবেষক একটি নির্দিষ্ট গ্রুপকে কোনো স্বাধীন চলকের সাথে হস্তক্ষেপ না করে পর্যবেক্ষণ করেন। এই গ্রুপকে পরীক্ষা গ্রুপের সঙ্গে তুলনা করা হয়, যা স্বাধীন চলকের প্রভাব নির্ধারণে সহায়ক হয়। নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ ফলাফলের বৈজ্ঞানিকতা নিশ্চিতও করতে সহায়ক হয়।

  1. দ্বি-অন্ধ পরীক্ষণ কী?

Ans: দ্বি-অন্ধ পরীক্ষণ একটি পদ্ধতি, যেখানে গবেষক এবং অংশগ্রহণকারী উভয়েই জানেন না কোন্ গ্রপুটি পরীক্ষা গ্রুপ এবং কোন্টি নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ। এতে গবেষকের পক্ষপাতিত্ব এবং অংশগ্রহণকারীদের প্রতিক্রিয়া থেকে আসা সম্ভব্য বিকৃতি কমে যায়। এই পদ্ধতি পরীক্ষার বিজ্ঞাননির্ভরতা এবং সত্যতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়।

  1. পরীক্ষণের ফলাফল বিশ্লেষণে পরিসংখ্যানের ভূমিকা কী?

Ans: পরীক্ষণের ফলাফল বিশ্লেষণে পরিসংখ্যান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এটি তথ্যের যথাযথ বিশ্লেষণে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হয়। পরিসংখ্যান ব্যবহার করে গবেষক পরীক্ষার ফলাফলগুলির মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ করতে পারেন। এটি তথ্যের নির্ভুলতা এবং বৈজ্ঞানিকতা নিশ্চিত করে। ফলাফলের উপর ভিত্তি করে গবেষক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

  1. পরীক্ষা পুনরাবৃত্তি কী? এর গুরুত্ব কী?

Ans: পরীক্ষা পুনরাবৃত্তি হল একটি পরীক্ষা একাধিকবার পরিচালনা করা, যাতে ফলাফলগুলি কতটা নির্ভুল এবং ধারাবাহিক তা নির্বাচন করা যায়।

  • পরীক্ষা পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে গবেষণার যাচাইযোগ্যতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। পরীক্ষার ফলাফল যদি পুনরাবৃত্তিতে একই থাকে, তবে তা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়। এটি গবেষণার সঠিকতা নিশ্চিত করে।
  1. পরীক্ষণে আচরণ পরিবর্তনের প্রভাব কীভাবে কমানো যায়?

Ans: পরীক্ষণে আচরণ পরিবর্তনের প্রভাব কমানোর জন্য গবেষক দ্বি-অন্ধ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। এতে অংশগ্রহণকারী এবং গবেষক উভয়েই জানেন না কোন্ গ্রুপটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও পরীক্ষার আগে অংশগ্রহণকারীদের সাথে স্বাভাবিক আচরণ বজায় রাখতে উৎসাহিত করা উচিত। এর ফলে পরীক্ষার ফলাফল আরও সঠিক ও নির্ভুল হয়।

  1. পরীক্ষণে প্রাক্-পরীক্ষা এবং পর-পরীক্ষার গুরুত্ব কী?

Ans: প্রাক্-পরীক্ষা এবং পর-পরীক্ষা পরীক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যেখানে অংশগ্রহণকারীদের পরীক্ষা শুরুর আগে এবং পরে পরীক্ষা করা হয়। এর মাধ্যমে গবেষক পরিবর্তনগুলি পরিমাপ করতে পারেন এবং পরীক্ষা প্রভাব নির্ধারণ করতে পারেন। এই পদ্ধতি পরীক্ষার সঠিকতা এবং ফলাফলের বিজ্ঞাননির্ভরতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়।

  1. মনোবিজ্ঞানে সমীক্ষা বা সার্ভে পদ্ধতি কী?

Ans: মনোবিজ্ঞানে সমীক্ষা বা সার্ভে পদ্ধতি হল একটি গবেষণা পদ্ধতি, যেখানে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয় বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে। এই পদ্ধতিতে সাধারণত প্রশ্নাবলি বা সাক্ষাৎকার ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সার্ভে পদ্ধতি বড়ো পরিসরে মানুষের মতামত, আচরণ অথবা অভিজ্ঞতা জানতে ব্যবহৃত হয়।

  1. সমীক্ষা বা সার্ভে পদ্ধতির প্রধান দুটি সুবিধা লেখো।

Ans: সার্ভে পদ্ধতির প্রধান দুটি সুবিধা হল-① একটি বড়ো পরিসরে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে তথ্যসংগ্রহ করতে সহায়ক হয়। এটি বৈচিত্র্যময় জনগণের মতামত এবং অভিজ্ঞতা জানতে ব্যবহৃত হয়। ② এটি তুলনামূলকভাবে কম সময় এবং খরচে করা যায়। ফলাফলস্বরূপ, এই পদ্ধতি ব্যাপকভাবে সংগ্রহের জন্য জনপ্রিয়।

  1. সমীক্ষা বা সার্ভে পদ্ধতির প্রধান দুটি অসুবিধা লেখো।

Ans: সার্ভে পদ্ধতির প্রধান দুটি অসুবিধা হল- (1) এটি প্রায়ই পক্ষপাতমূলক ফলাফল দিতে পারে, যদি প্রশ্নাবলি সঠিকভাবে প্রণয়ন বা ডিজাইন না করা হয়। (2) অংশগ্রহণকারীরা অযথা উত্তর দিতে পারেন, যা তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা কমিয়ে দেয়। সার্ভে বা সমীক্ষার তথ্য সবসময় গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান নাও করতে পারে।

  1. সমীক্ষা বা সার্ভে পরিচালনার জন্য প্রশ্নাবলি কেমন হওয়া উচিত?

Ans: সমীক্ষা বা সার্ভে পরিচালনার জন্য প্রশ্নাবলি স্পষ্ট, সরল এবং সম্পর্কযুক্ত হওয়া উচিত। প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়া সহজ হতে হবে এবং এটি অংশগ্রহণকারীদের অভিজ্ঞতা বা মতামত সঠিকভাবে ধারণ করতে সক্ষম হতে হবে। প্রশ্নাবলিতে ওপেন এন্ডেড ধরনের প্রশ্ন থাকতে পারে, যা বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে সাহায্য করে।

  1. সমীক্ষা বা সার্ভেতে নমুনা নির্বাচন কীভাবে করা হয়?

Ans: সমীক্ষা বা সার্ভেতে নমুনা নির্বাচন সাধারণত র‍্যান্ডাম স্যাম্পলিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়; যাতে সমস্ত অংশগ্রহণকারীর সমান সুযোগ থাকে। এ ছাড়াও স্যাম্পলিং বা নমুনায়ন পরিকল্পনা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা উচিত; যাতে প্রাপ্ত তথ্য জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্বমূলক হয়। সঠিক নমুনা নির্বাচন গবেষণার ফলাফলকে আরও সঠিক এবং কার্যকর করে।

  1. সমীক্ষা বা সার্ভে পদ্ধতিতে পক্ষপাতিত্ব কমানোর জন্য কী করা উচিত? 

Ans: সমীক্ষা বা সার্ভে পদ্ধতিতে পক্ষপাতিত্ব কমানোর জন্য প্রশ্নাবলি নিরপেক্ষভাবে নকশা (ডিজাইন) করা উচিত এবং অংশগ্রহণকারীদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। প্রশ্নের ভাষা পরিষ্কার এবং অভ্যন্তরীণ পক্ষপাতিত্ব কমানোর জন্য প্রস্তুত করা উচিত। প্রয়োজন হলে, পূর্ব প্রস্তুতি করা যেতে পারে।

  1. সমীক্ষার বা সার্ভের ডেটা বিশ্লেষণ কীভাবে করা হয়? 

Ans: সার্ভের তথ্য বিশ্লেষণ সাধারণত পরিসংখ্যান পদ্ধতি ব্যবহার করে বিশ্লেষণ করা হয়। তথ্যকে শ্রেণিবদ্ধ এবং সংখ্যায়িত করা হয় এবং তারপরে বিভিন্ন ধরনের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করা হয়। ফলাফলগুলি গ্রাফ, চিত্র বা টেবিলের আকারে উপস্থাপন করা হয়। এই বিশ্লেষণের মাধ্যমে মূল প্রবণতা এবং সম্পর্ক নির্ধারণ করা হয়।

  1. সমীক্ষার বা সার্ভের পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক মূল্য কীভাবে নিশ্চিত করা হয়?

Ans: সমীক্ষা বা সার্ভে পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক মূল্য নিশ্চিত করতে প্রশ্নাবলি সঠিকভাবে নকশা (ডিজাইন) করা উচিত এবং নমুনা নির্বাচনের পদ্ধতি সঠিকভাবে প্রণয়ন করা উচিত। ডেটা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ সতর্কভাবে করা উচিত এবং ফলাফলগুলির পরিসংখ্যান যাচাই করা উচিত। সমীক্ষা বা সার্ভের ফলাফল যদি পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে সমর্থিত হয়, তবে তা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়।

  1. সমীক্ষা বা সার্ভে পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের বৈচিত্র্য কীভাবে বাড়ানো যায়?

Ans: সমীক্ষা বা সার্ভে পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন ও উত্তর বিকল্প ব্যবহার করা যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট নমুনা নির্বাচন করা উচিত। এ ছাড়াও সার্ভে প্রচারের জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন-অনলাইন সার্ভে।

  1. সমীক্ষা বা সার্ভে পদ্ধতিতে জবাবদিহিতা কীভাবে বাড়ানো যায়?

Ans: সমীক্ষা বা সার্ভে পদ্ধতিতে জবাবদিহিতা বাড়ানোর জন্য প্রশ্নাবলিকে সহজ এবং পরিষ্কারভাবে তার নকশা করা উচিত। অংশগ্রহণকারীদের গোপনীয়তা এবং সঠিক উত্তর দেওয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত। সার্ভে পরিচালনার সময় অংশগ্রহণকারীদের নিশ্চিত করা উচিত যে, তাদের উত্তরগুলি গোপনীয় এবং গবেষণার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে।

  1. সমীক্ষার বা সার্ভের ক্ষেত্রে নৈর্ব্যক্তিক এবং ওপেন এন্ডেড প্রশ্নের মধ্যে পার্থক্য কী?

Ans: সমীক্ষায় বা সার্ভের ক্ষেত্রে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন যার নির্দিষ্ট উত্তর হ্যাঁ বা না বা একাধিক বিকল্প হতে পারে। সার্ভে দ্রুত এবং সহজভাবে বিশ্লেষণ করা যায়। ওপেন এন্ডেড প্রশ্নে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের ভাষায় উত্তর দেওয়ার সুযোগ পায়, যা আরও বিস্তারিত এবং গুণগত তথ্য প্রদান করতে সাহায্য করে।

  1. সমীক্ষা পদ্ধতির ক্ষেত্রে তথ্যের নির্ভুলতা কীভাবে নিশ্চিত করা হয়?

Ans: সার্ভে পদ্ধতির ক্ষেত্রে তথ্যের নির্ভুলতা নিশ্চিত করার জন্য, প্রশ্নাবলি সঠিকভাবে সাজানো উচিত এবং অংশগ্রহণকারীদের সঠিকভাবে তথ্য প্রদান করার জন্য উৎসাহিত করা উচিত। সার্ভের সময় সম্পূর্ণতা এবং নির্ভুলতা বজায় রাখার জন্য প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর যাচাই করা উচিত। এ ছাড়াও তথ্যের বিষয় যাচাই করার ক্ষেত্রে সঠিক সময় নির্ধারণ করতে হতে পারে।

  1. সমীক্ষা বা সার্ভে পদ্ধতির মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়োগ কীভাবে করা যায়?

Ans: সমীক্ষা বা সার্ভে পদ্ধতির মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রয়োগ করার জন্য, গবেষক একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রাসঙ্গিক প্রশ্নাবলি প্রস্তুত করেন এবং একটি আদর্শ নমুনা থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। এরপর প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে মূলপ্রবণতা এবং সম্পর্ক নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়াও সার্ভে পদ্ধতি ব্যবহার করে বৃহৎ পরিসরের জনগণের মতামত এবং অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন করা হয়।

  1. সমীক্ষা বা সার্ভে পদ্ধতির বৈধতা বা নির্ভরযোগ্যতা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়?

Ans: সমীক্ষা বা সার্ভে পদ্ধতির বৈধতা বা নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে, প্রশ্নাবলি আগে থেকে দেখা উচিত এবং সেগুলিকে গবেষণার উদ্দেশ্য অনুযায়ী পরিমার্জন করা উচিত। এ ছাড়াও তথ্য বিশ্লেষণ সঠিকভাবে করা উচিত এবং ফলাফল পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে পরীক্ষায় সমন্বিত হওয়া উচিত।

  1. সমীক্ষা বা সার্ভেতে অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচন কীভাবে করা যেতে পারে? 

Ans: সমীক্ষায় বা সার্ভেতে অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচন সাধারণত আদর্শ নমুনায়নের মাধ্যমে করা হয়, যাতে এটি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে যে, সমস্ত অংশগ্রহণকারীর এখানে সমান সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে নির্দিষ্ট গবেষণার উদ্দেশ্য অনুসারে গোষ্ঠী নির্বাচন করা যেতে পারে।

  1. মনোবিজ্ঞানে কেসস্টাডি পদ্ধতি কী?

Ans: মনোবিজ্ঞানে কেসস্টাডি পদ্ধতি হল একটি গভীর এবং বিস্তারিত গবেষণা পদ্ধতি, যেখানে একজন বা একটি গোষ্ঠীর আচরণ, মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা বা ঘটনা বিশ্লেষণ করা হয়। এটি একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহ করে এবং বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে মানসিক ও আচরণগত বিশ্লেষণ করে। এই পদ্ধতিতে দীর্ঘ সময় ধরে তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং বিশেষ করে অস্বাভাবিক বা বিরল ঘটনা বিশ্লেষণে ব্যবহার করা হয়।

  1. কেসস্টাডি পদ্ধতির প্রধান দুটি সুবিধা কী?

Ans: কেসস্টাডি পদ্ধতির প্রধান দুটি সুবিধা হল-① এটি গবেষককে একটি ক্ষেত্রে গভীর এবং বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের সুযোগ দেয়। ② এটি ব্যক্তির বা গোষ্ঠীর আচরণ এবং মানসিক অবস্থা বুঝতে সাহায্য করে।

  1. কেসস্টাডি পদ্ধতিতে প্রধান দুটি অসুবিধা কী?

Ans: কেসস্টাডি পদ্ধতির প্রধান দুটি অসুবিধা হল-① এর ফলাফলগুলি প্রায়ই সীমিতভাবে সাধারণীকৃত হয়, কারণ এটি একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে পরিচালিত হয়। এতে গবেষক পক্ষপাতমূলক হতে পারেন এবং সাধারণ মানুষের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। দীর্ঘসময় এবং অনেক সম্পদ প্রয়োজন হতে পারে। গবেষণার ফলাফল বৈজ্ঞানিকভাবে যাচাই করার জন্য অন্যান্য পদ্ধতির প্রয়োজন হতে পারে।

  1. কেসস্টাডি পদ্ধতিতে তথ্যসংগ্রহের জন্য কোল্ কোল্ উপায় অবলম্বন করা হয়?

Ans: কেসস্টাডি পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করা হয়। যেমন-সাক্ষাৎকার, পর্যবেক্ষণ, ডকুমেন্ট বিশ্লেষণ এবং পরীক্ষামূলক মূল্যায়ন। সাক্ষাৎকারের পর্যালোচনা করা হয় এবং ডকুমেন্ট বিশ্লেষণের দ্বারা অতীত তথ্য পরীক্ষা করা হয়। এই উপায়গুলি মিলিয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

  1. কেসস্টাডির ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকারের ভূমিকা কী?

Ans: কেসস্টাডির ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ এটি গবেষকে ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ অনুভূতি, চিন্তা এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সরাসরি তথ্য প্রদান করে। সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বিস্তারিত এবং গভীর তথ্য সংগ্রহ করা যায়, যা অন্যান্য পদ্ধতিতে পাওয়া সম্ভব নয়। এটি ব্যক্তির জীবন ও পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও জানার সুযোগ দেয়।

  1. কেসস্টাডিতে পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব কী?

Ans: কেসস্টাডিতে পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব অনেক, কারণ-এটি গবেষককে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর আচরণ প্রকৃত পরিবেশে সরাসরি দেখার সুযোগ করে দেয়। এটি আচরণের নিখুঁত তথ্যসংগ্রহ করতে সহায়ক হয় এবং ঘটনাগুলির প্রাকৃতিক প্রবাহ বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে। পর্যবেক্ষণ গবেষণার প্রাসঙ্গিকতা এবং বাস্তবতা নিশ্চিত করে।

  1. কেসস্টাডির ক্ষেত্রে তথ্য বিশ্লেষণের পদ্ধতি কী?

Ans: কেসস্টাডির পদ্ধতির ক্ষেত্রে তথ্য বিশ্লেষণের পদ্ধতি সাধারণত গুণগতভাবে বিশ্লেষণ করা হয়। এতে গবেষক বিভিন্ন ধরনের তথ্য একত্রিত করে তা বিশ্লেষণ করেন এবং সাধারণ প্রবণতা, গঠন এবং সম্পর্ক নির্ধারণ করেন। বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য মিলিয়ে একটি সার্বিক চিত্র তৈরি করা হয়। এর মাধ্যমে গভীর অন্তর্দৃষ্টি পাওয়া যায়।

  1. কেসস্টাডিতে পক্ষপাত কমানোর জন্য কী করা উচিত?

Ans: কেসস্টাডিতে পক্ষপাত কমানোর জন্য গবেষককে অবশ্যই নিরপেক্ষভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। গবেষকের ব্যক্তিগত পক্ষপাত গবেষণার ফলাফলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই স্বচ্ছতা এবং সর্তকতার সাথে কাজ করা উচিত।

  1. কেসস্টাডি পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক মূল্য কীভাবে নিশ্চিত করা হয়?

Ans: কেসস্টাডি পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক মূল্য নিশ্চিত করার জন্য গবেষককে তথ্যসংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ সঠিকভাবে করতে হবে। গবেষককে বিস্তারিত এবং নির্ভরযোগ্য তথ্যসংগ্রহ করতে হবে এবং বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করতে হবে। গবেষণার ফলাফল পুনরাবৃত্তিযোগ্য হওয়া উচিত এবং ফলাফলগুলি বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্লেষণ করা উচিত। এই পদক্ষেপগুলি গবেষণার বৈজ্ঞানিকতা নিশ্চিত করে।

  1. কেসস্টাডির ক্ষেত্রে সাধারণীকরণে সীমাবদ্ধতা কী?

Ans: কেসস্টাডির ক্ষেত্রে সাধারণীকরণের সীমাবদ্ধতা হল, এটি একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তির বা গোষ্ঠীর উপর ভিত্তি করে করা হয়। তাই ফলাফলগুলি সমস্ত মানুষের জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে। একটি কেসের ফলাফল অন্য কেসের সাথে তুলনা কার কঠিন হতে পারে এবং এর ভিত্তিতে সাধারণ সিদ্ধান্ত নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। সাধারণীকরণের জন্য অন্যান্য গবেষণা পদ্ধতির সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে।

  1. কেসস্টাডি পদ্ধতিতে বিষয় ভিত্তিক তথ্যসংগ্রহের গুরুত্ব কী?

Ans: কেসস্টাডি পদ্ধতিতে বিষয় ভিত্তিক তথ্যসংগ্রহের গুরুত্ব হল এটি গবেষকের কাছে ব্যক্তিগত এবং বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে। এর মাধ্যমে গবেষক একটি নির্দিষ্ট কেসের আচরণ, মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে পারেন। বিষয়ভিত্তিক তথ্যগুলি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি গবেষণার নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত বিস্তারিতভাবে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।

  1. কেসস্টাডিতে সুপারভাইজারের ভূমিকা কী?

Ans: কেসস্টাডিতে সুপারভাইজারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তিনি গবেষককে তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং রিপোর্ট প্রস্তুতিতে সহায়তা করেন। সুপারভাইজার গবেষণার মান নিশ্চিত করতে সাহায্য করেন এবং গবেষণার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখেন। তিনি গবেষকের সঙ্গে সহযোগিতায় কাজ করে ভুল এড়াতে এবং নির্ভুল ফলাফল পাওয়ার চেষ্টা করেন।

  1. কেসস্টাডি পদ্ধতির জন্য উপযুক্ত ক্ষেত্র কী?

Ans: কেসস্টাডি পদ্ধতির জন্য উপযুক্ত ক্ষেত্রগুলি হল-এমন একটি পরিস্থিতি যেখানে গভীর বিশ্লেষণ এবং বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, বিরল মানসিক রোগ, বিশেষজ্ঞদের আচরণ অথবা একটি অস্বাভাবিক সামাজিক ঘটনা বিশ্লেষণে কেসস্টাডি উপযুক্ত। এটি অস্বাভাবিক বা জটিল সমস্যাসমাধানের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।

  1. কেসস্টাডি পদ্ধতিতে বৈপরীত্য কীভাবে মোকাবিলা করা হয়?

Ans: কেসস্টাডি পদ্ধতিতে বৈপরীত্য মোকাবিলা করতে গবেষককে সতর্কভাবে তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করতে হয়। বৈপরীত্য বা অসংগতি দেখা দিলে, গবেষককে বিভিন্ন উৎস থেকে ডেটা যাচাই করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে, গবেষণার ফলাফল বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক। তথ্যের বৈপরীত্যের সম্ভাব্য কারণগুলি বিশ্লেষণ করে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত।

  1. কেসস্টাডি পদ্ধতির ফলাফল কীভাবে প্রয়োগ করা যায়?

Ans: কেসস্টাডি পদ্ধতির ফলাফল সাধারণভাবে নির্দিষ্ট কেস বা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে প্রয়োগ করা হয়। গবেষণার ফলাফল প্রায়ই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সমাধান বা নতুন ধারণা প্রদান করতে পারে। যদিও সাধারণীকরণ সীমিত, ফলাফলগুলি অন্যান্য ক্ষেত্রের গবেষণার সহায়ক হতে পারে। এ ছাড়াও কেসস্টাডির ফলাফল বাস্তব জীবনের পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।

  1. মনোবিজ্ঞানে অনুসঙ্গ বা কোরিলেশন পদ্ধতি কী?

Ans: মনোবিজ্ঞানে অনুষঙ্গ বা কোরিলেশন পদ্ধতি হল একটি পরিসংখ্যান পদ্ধতি, যা দুটি বা তার বেশি চলকের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়। চলকের মধ্যে সম্পর্ক ইতিবাচক, নেতিবাচক অথবা কোনো সম্পর্ক আছে কি না তার অর্থাৎ সেটি সম্পর্কের শক্তি এবং দিক নির্ধারণ করে। কোরিলেশন পদ্ধতির মাধ্যমে বিভিন্ন মানসিক এবং আচরণগত পরিবর্তনগুলির মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হয়।

  1. কোরিলেশন পদ্ধতির প্রধান দুটি সুবিধা কী?

Ans: কোরিলেশন পদ্ধতির প্রধান দুটি সুবিধা হল-① এটি সম্পর্কের শক্তি এবং দিক দ্রুত এবং সহজভাবে নির্ধারণ করতে সহায়ক হয়। ② এটি বড়ো পরিসরের তথ্যের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণে সহায়ক হয় এবং কোনো দুটি চলকের মধ্যে সম্পর্ক আছে কি না, তা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।

  1. কোরিলেশন পদ্ধতির মাধ্যমে কোন্ কোন্ ধরনের সম্পর্ক নির্ধারণ করা যায়?

Ans: কোরিলেশন পদ্ধতির মাধ্যমে তিন ধরনের সম্পর্ক নির্ধারণ করা যায়, যেমন-ইতিবাচক কোরিলেশন, নেতিবাচক কোরিলেশন এবং শূন্য কোরিলেশন। ইতিবাচক কোরিলেশনে একটি ভেরিয়েবলের বৃদ্ধি, অন্য ভেরিয়েবলের বৃদ্ধি, নেতিবাচক কোরিলেশনে একটি চলকের বৃদ্ধি অন্য ভেরিয়েবলের হ্রাসের সাথে সম্পর্কিত। শূন্য কোরিলেশনে দুটি চলকের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই।

  1. কোরিলেশন কৌশলে কোন্ পরিসংখ্যানসূচক ব্যবহার করা হয়?

Ans: কোরিলেশন কৌশলে সাধারণত পিয়ারসন কোরিলেশন কোইফিসিয়েন্ট ব্যবহার করা হয়। এটি দুটি চলকের মধ্যে সম্পর্কের শক্তি এবং দিক পরিমাপ করে। কোরিলেশন কোইফিসিয়েন্টের মান 1 থেকে 1-এর মধ্যে থাকে, যেখানে + 1 সম্পূর্ণ ইতিবাচক সম্পর্ক, 1 সম্পূর্ণ নেতিবাচক সম্পর্ক এবং ০ কোনো সম্পর্কের অভাব নির্দেশ করে।

  1. কোরিলেশন বিশ্লেষণের জন্য কোন্ ধরনের ডেটা প্রয়োজন?

Ans: কোরিলেশন বিশ্লেষণের জন্য সাধারণত পরিমাণগত ডেটা প্রয়োজন, যা পরিমাপযোগ্য হয়। এই ডেটা ধারাবাহিক হতে পারে, যেমন-স্কোর, মান বা পরিমাপের সংখ্যা। ডেটা দুটি চলকের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হতে হবে এবং যথাযথ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে হতে হবে।

  1. কোরিলেশন পদ্ধতির দুটি সীমাবদ্ধতা লেখো।

Ans: কোরিলেশন পদ্ধতির দুটি সীমাবদ্ধতা হল-① এটি সম্পর্কের শক্তি এবং দিক নির্ধারণ করতে সক্ষম হলেও কারণ এবং প্রভাবের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। ② এটি সম্পর্কের প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে না এবং শুধু সম্পর্কের উপস্থিতি প্রদর্শন করে।

  1. কোরিলেশন পদ্ধতি কোন্ ধরনের গবেষণার জন্য উপযুক্ত?

Ans: কোরিলেশন পদ্ধতির সাহায্যে বৈজ্ঞানিক গবেষণা, মানসিক স্বাস্থ্যের গবেষণা এবং সামাজিক আচরণের বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। এটি বিভিন্ন মানসিক পরিবর্তন, আচরণগত প্রবণতা এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণে সহায়ক হয়। বিশেষভাবে, এটি সম্পর্কের অস্তিত্ব খুঁজে বের করার জন্য প্রাথমিক বিশ্লেষণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

  1. কোরিলেশন পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত সম্পর্কগুলির প্রয়োগের দিক উল্লেখ করো।

Ans: কোরিলেশন পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত সম্পর্কগুলির প্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানসিক এবং আচরণগত প্রবণতাগুলি বিশ্লেষণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, এটি মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা এবং জীবনধারার পরিবর্তনের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণের সহায়ক হতে পারে। ফলস্বরূপ, এই সম্পর্কগুলি অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক এবং সামাজিক কার্যক্রমের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে।

  1. কোরিলেশন পদ্ধতির পরিমাপের দুটি উপায় লেখো।

Ans: কোরিলেশন পদ্ধতির পরিমাপের জন্য-① সাধারণত পিয়ারসনের সহগতির সহগাঙ্ক ব্যবহার করা হয়, যা একটি চলের অন্য ভেরিয়েবলের সাথে সম্পর্কের শক্তি এবং দিক নির্ধারণ করে। ② স্পিয়ারম্যানের ব্যাংক সহগতির সহগাঙ্ক ব্যবহার করা হয়, যা ব্যাংক বা স্থানীয় তথ্যের জন্য উপযুক্ত। ফলাফলগুলি একটি স্কেল থেকে +1 থেকে -1 পর্যন্ত পরিবর্তিত হতে পারে।

  1. কোরিলেশন পদ্ধতিতে কোন্ ধরনের গাণিতিক বিশ্লেষণ করা হয়?

Ans: কোরিলেশন পদ্ধতিতে গাণিতিক বিশ্লেষণ, সাধারণত পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত করে। যেমন-পিয়ারসনের সহগতির সহগাঙ্ক গণনা করা হয়। এটি দুটি চলকের মধ্যে সম্পর্কের শক্তি এবং দিক নির্ধারণ করে। এ ছাড়াও রিগ্রেশন অ্যানালাইসিসও প্রয়োগ করা যেতে পারে, যা সম্পর্কের গাণিতিক মডেল তৈরি করে এবং ভবিষ্যদ্বাণী করতে সাহায্য করে।

  1. কোরিলেশন পদ্ধতির পর্যালোচনার ক্ষেত্রে কোন্ বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ?

Ans: কোরিলেশন পদ্ধতির পর্যালোচনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি হল-সম্পর্কের শক্তি, দিক এবং পরিসংখ্যান গুরুত্ব। কোরিলেশন কোইফিসিয়েন্টের মান এবং পি-ভ্যালু পরীক্ষা করে সম্পর্কের গুরুত্ব নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়াও সম্পর্কের প্রভাব এবং সম্ভাব্য পক্ষপাতমূলক প্রভাবগুলির মূল্যায়ন করাও উচিত।

  1. কোরিলেশন পদ্ধতির ফলাফলগুলি কীভাবে যাচাই করা হয়?

Ans: কোরিলেশন পদ্ধতির ফলাফলগুলি যাচাই করতে, গবেষককে ফলাফলগুলি বিভিন্ন পরিসংখ্যানভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে পরীক্ষা করতে হয়। ফলাফলগুলি অন্যান্য গবেষণার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। এর ফলে প্রাপ্ত সম্পর্কগুলি পুনরাবৃত্তি পরীক্ষায় সমর্থিত হওয়া উচিত। কোরিলেশন পদ্ধতিটি সম্পর্কটির সত্যতা এবং বৈজ্ঞানিকভাবে বৈধতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

  1. মনোবিজ্ঞানে পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি কী?

Ans: মনোবিজ্ঞানে পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি হল একটি গবেষণা পদ্ধতি, যেখানে গবেষক নির্দিষ্ট আচরণ বা ঘটনা সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে ডেটা বা তথ্য সংগ্রহ করে। এটি গবেষকের জন্য ব্যক্তির প্রাকৃতিক আচরণ সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এই পদ্ধতিতে কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়াই আচরণ পর্যবেক্ষণ করা হয়। এটি একটি মৌলিক এবং প্রাথমিক তথ্য (ডেটা) সংগ্রহ পদ্ধতি।

  1. মনোবিজ্ঞানের গবেষণায় পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব কী?

Ans: মনোবিজ্ঞানে পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি গবেষককে প্রকৃত সময়ে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে আচরণ পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেয়। এর মাধ্যমে গবেষক স্বতঃস্ফূর্তভাবে আচরণের নিখুঁত তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। এটি প্রাকৃতিক পরিবেশে মানসিক ও আচরণগত বৈশিষ্ট্য বোঝার জন্য বিশেষভাবে কার্যকর হয়। এভাবে সঠিক এবং বাস্তবসম্মত ফলাফল পাওয়া যায়।

  1. প্রকৃত পর্যবেক্ষণ কী?

Ans: প্রকৃত পর্যবেক্ষণ একটি পদ্ধতি যেখানে গবেষক স্বাভাবিক পরিবেশে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন। এতে গবেষক কোনো হস্তক্ষেপ করেন না, ফলে ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবেই আচরণ করে। এই পদ্ধতিতে পর্যবেক্ষণ করা তথ্য অধিকতর নির্ভরযোগ্য হয়। এটি বাস্তব জীবনের পরিস্থিতিতে গবেষণা করা একটি প্রাকৃতিক উপায়।

  1. অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ কী?

Ans: অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ হল একটি পদ্ধতি, যেখানে গবেষক পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নিজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এতে গবেষক সরাসরি অভিজ্ঞতা লাভ করেন এবং পরিস্থিতির আরও গভীর অন্তর্দৃষ্টি পান। এই পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা আরও কার্যকর হয়। তবে এতে গবেষকের ব্যক্তিগত পক্ষপাতের সম্ভাবনা থাকে।

  1. অপ্রকৃত পর্যবেক্ষণ কী?

Ans: অপ্রকৃত পর্যবেক্ষণ হল একটি পদ্ধতি যেখানে গবেষক নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ব্যক্তির আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন। সাধারণত একটি পরীক্ষাগারে বা নির্দিষ্ট সেটিংয়ে করা হয়, যেখানে গবেষক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এতে গবেষক নির্দিষ্ট ভেরিয়েবলের প্রভাব পরীক্ষা করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ফলে ফলাফল নির্ভুল হতে পারে।

  1. পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির সুবিধা কী?

Ans: পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির প্রধান সুবিধা হল-এটি বাস্তব জীবনের আচরণ সম্পর্কে সঠিক এবং সরাসরি তথ্য সরবরাহ করে। এটি প্রাকৃতিক পরিবেশে আচরণে প্রকৃত রূপ দেখতে সহায়ক হয়। এর মাধ্যমে গবেষক পরিস্থিতির বিস্তারিত বিশ্লেষণ করতে পারেন। এটি অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে কম বিকৃত হয়।

  1. পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির অসুবিধা কী?

Ans: পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির প্রধান অসুবিধা হল, এটি সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল হতে পারে। এ ছাড়াও পর্যবেক্ষকের ব্যক্তিগত পক্ষপাতিত্ব আচরণ বিশ্লেষণে প্রভাব ফেলতে পারে। ব্যক্তিরা জানলে তাদের আচরণ পরিবর্তন হতে পারে, যা ফলাফলে প্রভাব ফেলে। তা ছাড়া এটি সবসময় পুনরাবৃত্তিযোগ্য নাও হতে পারে।

  1. প্রাকৃতিক পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণের মধ্যে পার্থক্য কী?

Ans: প্রাকৃতিক পর্যবেক্ষণ সাধারণত স্বাভাবিক পরিবেশে করা হয়, যেখানে ব্যক্তি স্বাধীনভাবে আচরণ করেন। অন্যদিকে, নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ গবেষণাগারে বা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে করা হয়, যেখানে গবেষক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রাকৃতিক পর্যবেক্ষণে আচরণ স্বাভাবিক থাকে, তবে নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণে গবেষকের নিয়ন্ত্রণে আচরণ নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। এই পার্থক্য তাদের উদ্দেশ্য ও ব্যবহার ক্ষেত্র নির্ধারণ করে।

  1. মনোবিজ্ঞানে পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির উদাহরণ দাও।

Ans: মনোবিজ্ঞানে পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির উদাহরণ হল-যখন একজন গবেষক একটি শিশুর খেলার সময় তার আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন। এর মাধ্যমে শিশুর সামাজিক মিথস্ক্রিয়া, আক্রমণাত্মকতা বা সহযোগিতার মতো আচরণ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এ ছাড়া, একজন শিক্ষকের শ্রেণিকক্ষে ছাত্রদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করাও একটি উদাহরণ। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিখন প্রক্রিয়া ও কৌশল মূল্যায়ন করা হয়।

  1. পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে তথ্য লিপিবদ্ধকরণ বা নোট গ্রহণের গুরুত্ব কী?

Ans: পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে তথ্য লিপিবদ্ধকরণ বা নোট গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি গবেষকের পর্যবেক্ষণের সময় দেখা তথ্য সংগ্রহে সহায়ক হয়। এটি পরবর্তীতে ডেটা বা তথ্য বিশ্লেষণের জন্য দরকারি হয়ে ওঠে। নোট গ্রহণের মাধ্যমে গবেষক পর্যবেক্ষণ করা ঘটনার বিস্তারিত তথ্য ধরে রাখতে পারেন। এটি গবেষণার স্বচ্ছতা ও সঠিকতা নিশ্চিত করে।

  1. পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে ভিডিয়ো রেকডিং-এর ভূমিকা কী?

Ans: ভিডিয়ো রেকডিং পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে অত্যন্ত কার্যকর, কারণ এটি গবেষকের জন্য পর্যবেক্ষণ পুনরাবৃত্তি এবং বিশ্লেষণ করার সুযোগ দেয়। এর মাধ্যমে ঘটনাগুলি পর্যালোচনা করা সহজ হয় এবং ছোটো ছোটো তথ্যও নজরে আসে। এটি সঠিক এবং বাস্তব ডেটা সংগ্রহে সহায়ক হয়। এ ছাড়াও এটি পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ায় সত্যতা নিশ্চিত করে।

  1. পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে যাচাইযোগ্যতা নিশ্চিত করা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

Ans: যাচাইযোগ্যতা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি গবেষণার ফলাফল সঠিক এবং বিশ্বাসযোগ্য কিনা তা নির্ধারণ করে। এটি একই পরিস্থিতিতে পর্যবেক্ষণ পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়। যদি একই ফলাফল পাওয়া যায়, তবে গবেষণার তথ্য বিভ্রান্ত বলে গণ্য করা হয়। যাচাইযোগ্যতা গবেষণার বৈজ্ঞানিকতা বাড়ায়।

  1. পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির বৈজ্ঞানিকতা কীভাবে বাড়ানো যায়?

Ans: পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির বৈজ্ঞানিকতা বাড়ানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ করা উচিত। গবেষণার প্রাথমিক উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে নির্বাচন করতে হবে এবং পর্যবেক্ষককে পক্ষপাতমুক্ত থাকতে হবে। পর্যবেক্ষণকৃত তথ্য সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। এই পর্যবেক্ষণগুলি গবেষণার মান বৃদ্ধি করে।

  1. পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে আচরণ শ্রেণিবদ্ধ করার গুরুত্ব কী?

Ans: পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে আচরণ শ্রেণিবদ্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি পর্যবেক্ষণকৃত আচরণের সহজ বিশ্লেষণ এবং তুলনা করতে সহায়ক হয়। শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে গবেষক স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেন কোন্ পরিস্থিতিতে কোন্ ধরনের আচরণ দেখা যায়। এটি গবেষণার ফলাফল আরও নির্ভুল ও সঠিক করে তোলে। এর ফলে আচরণগত প্যাটার্নগুলি সঠিকভাবে চিহ্নিত করা যায়।

  1. পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে তথ্যের ব্যাখ্যা করার সময় কোন্ বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে?

Ans: পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে তথ্য ব্যাখ্যার সময় গবেষককে অবশ্যই পক্ষপাতমুক্ত থাকতে হবে এবং বিভিন্ন প্রেক্ষাপট ও পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে। গবেষককে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে তথ্যের যাচাইযোগ্যতা পরীক্ষা করতে হবে। এর মাধ্যমে গবেষণার তথ্য আরও বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভুল হয়।

  1. মনোবিজ্ঞানে পরীক্ষণের পদ্ধতি কী?

Ans: মনোবিজ্ঞানে পরীক্ষণের পদ্ধতি হল এমন একটি গবেষণা পদ্ধতি, যেখানে গবেষক নির্দিষ্ট ভেরিয়েবলের (চলের) প্রভাব পরীক্ষা করার জন্য নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে পরীক্ষা করেন। এই পদ্ধতিতে গবেষক স্বাধীন ভেরিয়েবল (চল) নিয়ন্ত্রণ করেন এবং ভেরিয়েবলের (চলের) উপর তার কীরূপ প্রভাব তা পর্যবেক্ষণ করেন। এটি বিজ্ঞানসম্মত এবং নির্ভুল উত্তর পাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। মনোবিজ্ঞানে পরীক্ষণের মাধ্যমে কারণ ও প্রভাবের সম্পর্ক নির্ধারণ করা হয়।

  1. পরীক্ষণের মাধ্যমে ডেটা সংগ্রহ কীভাবে করা হয়?

Ans: পরীক্ষণের মাধ্যমে ডেটা সংগ্রহ করতে গবেষক একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী পরীক্ষা পরিচালনা করেন। তিনি স্বাধীন ভেরিয়েবলের পরিবর্তন করে দেখেন যে, তার প্রভাব নির্ভরশীল ভেরিয়েবলের উপর কেমন হয়। পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত ডেটা লিপিবদ্ধ করা হয়। এই পদ্ধতিতে গবেষণা তথ্য সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা হয়।

  1. নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষণ কী?

Ans: নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষণ হল এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে গবেষক নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে পরীক্ষা পরিচালনা করেন। এতে গবেষক স্বাধীন ভেরিয়েবল নিয়ন্ত্রণ করেন এবং তার প্রভাব নির্ভরশীল ভেরিয়েবলের উপর পরীক্ষা করেন। পরীক্ষণের সময় পরিবেশ এবং অন্যান্য ভেরিয়েবলগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। এর ফলে পরীক্ষার ফলাফল আরও নির্ভুল এবং বিশ্বাসযোগ্য হয়।

  1. স্বাধীন ভেরিয়েবল (চল) এবং নির্ভরশীল ভেরিয়েবল কী?

Ans: স্বাধীন ভেরিয়েবল (চল) হল গবেষক যে ভেরিয়েবলটি পরিবর্তন করেন বা নিয়ন্ত্রণ করেন এবং নির্ভরশীল ভেরিয়েবল হল সেই ভেরিয়েবল (চল) যা স্বাধীন ভেরিয়েবলের কারণে পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, একজন গবেষক যদি ঘুমের পরিমাণ (স্বাধীন ভেরিয়েবল) পরিবর্তন করে এবং কর্মক্ষমতা (নির্ভরশীল ভেরিয়েবল) পরিমাপ করেন তবে কর্মক্ষমতা হল নির্ভরশীল ভেরিয়েবল। এর মাধ্যমে কারণ-প্রভাব সম্পর্ক বোঝা যায়।

  1. পরীক্ষণের প্রধান সুবিধা কী?

Ans: পরীক্ষণের প্রধান সুবিধা হল-এটি কারণ-প্রভাব সম্পর্ক নির্ধারণে সহায়ক হয়। গবেষক একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নির্দিষ্ট ভেরিয়েবলগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং তাদের প্রভাব পরীক্ষা করতে পারেন। এর মাধ্যমে সঠিক এবং বৈজ্ঞানিক ফলাফল পাওয়া যায়। এ ছাড়াও পরীক্ষণ পুনরায় করা যায়, যা গবেষণার যাচাইযোগ্যতা নিশ্চিত করে।

  1. পরীক্ষণের প্রধান অসুবিধা কী?

Ans: পরীক্ষণের প্রধান অসুবিধা হল-এটি অনেক সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল হতে পারে। এ ছাড়াও, পরীক্ষার সময় নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে প্রাকৃতিক পরিস্থিতির প্রতিফলন লাভ করতে পারে। এতে প্রাপ্ত ফলাফল সবসময় বাস্তব জীবনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। গবেষকের ব্যক্তিগত পক্ষপাতও পরীক্ষার ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে।

  1. পরীক্ষণের মাধ্যমে কারণ-প্রভাব সম্পর্ক কীভাবে নির্ধারণ করা হয়?

Ans: পরীক্ষণের মাধ্যমে কারণ-প্রভাব সম্পর্ক নির্ধারণ করার জন্য গবেষক স্বাধীন ভেরিয়েবল নিয়ন্ত্রণ করেন এবং তার প্রভাব নির্ভরশীল ভেরিয়েবলের উপর পরীক্ষা করেন। যদি নির্ভরশীল ভেরিয়েবলের পরিবর্তন স্বাধীন ভেরিয়েবলের কারণে ঘটে, তবে এটি কারণ-প্রভাব সম্পর্ক নির্দেশ করে। পরীক্ষার মাধ্যমে এই সম্পর্ক বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়।

  1. পরীক্ষণের নমুনা কীভাবে নির্বাচন করা হয়?

Ans: পরীক্ষণের নমুনা নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যেখানে গবেষক গবেষণার জন্য একটি প্রতিনিধিত্বমূলক নমুনা বেছে নেন। নমুনা অবশ্যই গবেষণার বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। সাধারণত র‍্যান্ডাম স্যাম্পলিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যাতে পক্ষপাতিত্ব কম থাকে। নমুনা যত ভালোভাবে নির্বাচিত হবে, গবেষণার ফলাফল তত নির্ভুল হবে।

  1. পরীক্ষণে প্লেসবো প্রভাব কী?

Ans: পরীক্ষণে প্লেসবো প্রভাব হল একটি ঘটনা, যেখানে পরীক্ষার বিষয়টি কোনো সক্রিয় চিকিৎসা না পেলেও বিশ্বাসের কারণে উন্নতি অনুভব করে। গবেষক কখনো-কখনো একটি গ্রুপকে প্লেসবো (যেমন-সেলাইন) দেওয়া, যা প্রকৃত ওষুধ নয় কিন্তু অংশগ্রহণকারীরা তা জানেন না। এটি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণে সহায়ক হয়।

রচনাধর্মী | মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Descriptive Question and Answer:

1. মনোবিজ্ঞানে পরীক্ষণ পদ্ধতি বলতে কী বোঝো? এর বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব আলোচনা করো।

Ans: পরীক্ষণ পদ্ধতি (Experimental Method) হল এমন একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার পদ্ধতি, যেখানে গবেষক কোনো নির্দিষ্ট চলকের প্রভাব অন্য চলকের ওপর কেমন হয় তা যাচাই করেন। এই পদ্ধতিতে গবেষক নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় পরীক্ষা পরিচালনা করেন, যাতে ফলাফল সঠিক ও নির্ভুল হয়।

বৈশিষ্ট্য:

  1. এখানে গবেষক স্বাধীন ও নির্ভর চলক নির্ধারণ করেন।
  2. নিয়ন্ত্রণ গ্রুপ ও পরীক্ষণ গ্রুপ তৈরি করা হয়।
  3. পরীক্ষার পুনরাবৃত্তি সম্ভব।
  4. ফলাফল সাধারণত পরিসংখ্যানের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা হয়।

গুরুত্ব:

  • পরীক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে কারণ ও ফলাফলের সম্পর্ক নির্ধারণ করা যায়।
  • এটি মনোবিজ্ঞানের সবচেয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণাপদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত।
  • পরীক্ষণ পদ্ধতি নতুন তত্ত্ব প্রমাণ ও যাচাই করতে সাহায্য করে।
  • গবেষককে নির্ভুল ও পুনরাবৃত্তিযোগ্য ফলাফল পেতে সহায়তা করে।

উপসংহার:
সুতরাং বলা যায়, পরীক্ষণ পদ্ধতি মনোবিজ্ঞানের গবেষণাকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি প্রদান করে এবং মানব আচরণের কারণ নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

2. সমীক্ষা বা সার্ভে পদ্ধতি কী? এর ধাপ, সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা আলোচনা করো।

Ans: সমীক্ষা বা সার্ভে পদ্ধতি এমন একটি গবেষণার উপায়, যার মাধ্যমে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে প্রশ্নের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত প্রশ্নাবলি (Questionnaire) বা সাক্ষাৎকার (Interview) ব্যবহার করে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

ধাপ:

  1. গবেষণার উদ্দেশ্য নির্ধারণ
  2. প্রশ্নাবলি প্রস্তুত করা
  3. নমুনা (Sample) নির্বাচন
  4. তথ্য সংগ্রহ
  5. তথ্য বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন তৈরি

সুবিধা:

  • স্বল্প সময়ে বৃহৎ পরিসরে তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
  • খরচ তুলনামূলকভাবে কম।
  • বিভিন্ন মতামত ও অভিজ্ঞতা জানা যায়।

সীমাবদ্ধতা:

  • উত্তরদাতারা অনেক সময় সঠিক তথ্য দেন না।
  • প্রশ্নের ভাষা অস্পষ্ট হলে পক্ষপাত দেখা দিতে পারে।
  • তথ্য সবসময় গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে না।

উপসংহার:
সার্ভে পদ্ধতি যদিও সবসময় সম্পূর্ণ নির্ভুল নয়, তবুও সামাজিক ও মানসিক প্রবণতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত কার্যকর গবেষণাপদ্ধতি।

3. কেসস্টাডি পদ্ধতি কী? এর বৈশিষ্ট্য, সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা আলোচনা করো।

Ans: কেসস্টাডি পদ্ধতি হল একটি গভীর ও বিশদ গবেষণাপদ্ধতি, যেখানে একটি ব্যক্তি, একটি গোষ্ঠী বা একটি নির্দিষ্ট ঘটনার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হয়। এটি একটি মানসিক, আচরণগত বা সামাজিক ঘটনার দীর্ঘমেয়াদি অধ্যয়ন।

বৈশিষ্ট্য:

  1. একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ওপর কেন্দ্রীভূত।
  2. তথ্য সংগ্রহের জন্য সাক্ষাৎকার, পর্যবেক্ষণ, ডকুমেন্ট বিশ্লেষণ ইত্যাদি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
  3. দীর্ঘ সময় ধরে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
  4. গুণগত তথ্য (Qualitative Data) বিশ্লেষণ করা হয়।

সুবিধা:

  • বিস্তারিত ও গভীর তথ্য পাওয়া যায়।
  • ব্যক্তিগত সমস্যার কারণ বিশ্লেষণ সম্ভব হয়।
  • অস্বাভাবিক বা বিরল ঘটনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর।

সীমাবদ্ধতা:

  • ফলাফল সাধারণীকরণ করা যায় না।
  • গবেষকের পক্ষপাতের সম্ভাবনা থাকে।
  • সময় ও শ্রমসাধ্য।

উপসংহার:
কেসস্টাডি পদ্ধতি মানব আচরণের জটিল দিক বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে অমূল্য হলেও এর ফলাফল সাধারণীকরণের সীমাবদ্ধতা থাকায় এটি পরিপূরক গবেষণাপদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

4. কোরিলেশন বা অনুষঙ্গ পদ্ধতি কী? এর প্রকার, সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা আলোচনা করো।

Ans: কোরিলেশন পদ্ধতি হল একটি পরিসংখ্যানভিত্তিক পদ্ধতি, যার মাধ্যমে দুটি বা একাধিক চলকের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ করা হয়। এটি জানায়, একটি পরিবর্তনের সঙ্গে অন্যটির সম্পর্ক আছে কি না এবং থাকলে কতটা।

প্রকার:

  1. ইতিবাচক কোরিলেশন: একটির বৃদ্ধি অন্যটির বৃদ্ধি ঘটায়।
  2. নেতিবাচক কোরিলেশন: একটির বৃদ্ধি অন্যটির হ্রাস ঘটায়।
  3. শূন্য কোরিলেশন: কোনো সম্পর্ক নেই।

সুবিধা:

  • সম্পর্কের দিক ও মাত্রা নির্ধারণ করা যায়।
  • বৃহৎ পরিসরের তথ্য দ্রুত বিশ্লেষণ করা যায়।
  • পূর্বাভাস দিতে সহায়ক হয়।

সীমাবদ্ধতা:

  • এটি কারণ-ফল সম্পর্ক প্রমাণ করতে পারে না।
  • বাহ্যিক কারণের প্রভাব থাকতে পারে।

উপসংহার:
কোরিলেশন পদ্ধতি সম্পর্ক নির্ধারণে কার্যকর হলেও এটি কারণ নির্ধারণে অক্ষম। তবুও এটি মনোবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞানের গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

5. পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি কী? এর বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব আলোচনা করো।

Ans: পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি (Observation Method) হল এমন একটি গবেষণার উপায়, যেখানে গবেষক কোনো ব্যক্তির আচরণ বা ঘটনার সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে তথ্য সংগ্রহ করেন।

বৈশিষ্ট্য:

  1. এখানে গবেষক নিজে উপস্থিত থেকে আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন।
  2. আচরণ প্রাকৃতিক বা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে দেখা হয়।
  3. কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়াই তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
  4. পর্যবেক্ষণ হতে পারে অংশগ্রহণমূলক বা অ-অংশগ্রহণমূলক।

গুরুত্ব:

  • বাস্তব ও প্রাকৃতিক আচরণের তথ্য পাওয়া যায়।
  • এটি প্রাথমিক গবেষণার ভিত্তি তৈরি করে।
  • অন্যান্য গবেষণাপদ্ধতির যাচাইয়ে সহায়ক হয়।

উপসংহার:
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি মানব আচরণের প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহে সবচেয়ে প্রাচীন ও প্রাসঙ্গিক পদ্ধতি, যা মনোবিজ্ঞানের গবেষণার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

“More updates in a few days.”

Class 11 First (1st) Unit Test Question and Answer :

Class 11 Second (2nd) Unit Test Question and Answer :

Class 11 Suggestion – একাদশ শ্রেণীর সাজেশন

আরোও দেখুন:-

Class 11 Bengali Suggestion Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 English Suggestion Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Geography Suggestion Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 History Suggestion Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Political Science Suggestion Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Education Suggestion Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Philosophy Suggestion Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Sociology Suggestion Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Sanskrit Suggestion Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 All Subjects Suggestion Click here

◆ একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার প্রস্তুতি, বিনামূল্যে নোটস, সাজেশন, PDF ও সমস্ত আপডেটের জন্য আমাদের WhatsApp Group এ Join হয়ে যাও।

Class 11 WhatsApp Groups Click Here to Join

একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 11th Education Question and Answer / Suggestion / Notes Book

আরোও দেখুন :-

একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here

FILE INFO : মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer with FREE PDF Download Link

PDF File Name মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer PDF
Prepared by Experienced Teachers
Price FREE
Download Link  Click Here To Download
Download PDF Click Here To Download

মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – অধ্যায় থেকে আরোও প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :

  • মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর Click here

[আরও দেখুন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন রচনা – Rabindranath Tagore Biography in Bengali]

[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now]

Info : মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর

 Class 11 Education Suggestion | West Bengal WBCHSE Class Eleven XI (Class 11th) Education Question and Answer Suggestion 

” মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Eleven XI / WB Class 11 / WBCHSE / Class 11 Exam / West Bengal Council of Higher Secondary Education – WB Class 11 Exam / Class 11th / WB Class 11 / Class 11 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন / একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান প্রশ্ও উত্তর । Class-11 Education Suggestion / Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer / Class 11 Education Suggestion / Class-11 Pariksha Education Suggestion / Education Class 11 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / Class 11 Education Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 11 Education Suggestion / West Bengal Eleven XI Question and Answer, Suggestion / WBCHSE Class 11th Education Suggestion / Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer / Class 11 Education Suggestion / Class 11 Pariksha Suggestion / Class 11 Education Exam Guide / Class 11 Education Suggestion 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030 / Class 11 Education Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Class-11 Education Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।

মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – প্রশ্ন ও উত্তর 

মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – প্রশ্ন ও উত্তর | মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – প্রশ্ন ও উত্তর।

মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান 

মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – MCQ প্রশ্ন উত্তর।

মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান 

মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – MCQ প্রশ্ন উত্তর – একাদশ শ্রেণি শিক্ষাবিজ্ঞান | Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti 

একাদশ শ্রেণি শিক্ষাবিজ্ঞান (Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti) – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – প্রশ্ন ও উত্তর | মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – | Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Suggestion একাদশ শ্রেণি শিক্ষাবিজ্ঞান – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – প্রশ্ন উত্তর।

একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – প্রশ্ন উত্তর | Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer Question and Answer, Suggestion 

একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – | একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – | পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – | একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান সহায়ক – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – প্রশ্ন ও উত্তর । Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer, Suggestion | Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer Suggestion | Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer Notes | West Bengal Class 11th Education Question and Answer Suggestion.

একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE Class 11 Education Question and Answer, Suggestion 

একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – । Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer Suggestion.

WBCHSE Class 11th Education Monobigyan Onusandhan Podoti Suggestion | একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি –

WBCHSE Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Suggestion একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – | Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Suggestion একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।

Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer Suggestions | একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – | একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর 

Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ।

WB Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Suggestion | একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর 

Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 11 Education Suggestion Download WBCHSE Class 11th Education short question suggestion . Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Suggestion download Class 11th Question Paper Education. WB Class 11 Education suggestion and important question and answer. Class 11 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer by Bhugol Shiksha .com

Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 11 Education Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class Eleven XI Education Monobigyan Onusandhan Podoti Suggestion | West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) Class 11 Exam 

Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) Class 11 Eleven XI Education Suggestion is provided here. Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free here.

মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer 

অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” মনোবিজ্ঞানে অনুসন্ধানের পদ্ধতি – একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবিজ্ঞান বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Education Monobigyan Onusandhan Podoti Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।

WhatsApp Channel Follow Now
Telegram Channel Follow Now