মুন্সী প্রেমচন্দ জীবনী - Munshi Premchand Biography in Bengali
মুন্সী প্রেমচন্দ জীবনী - Munshi Premchand Biography in Bengali

মুন্সী প্রেমচন্দ জীবনী – Munshi Premchand Biography in Bengali

মুন্সী প্রেমচন্দ জীবনী – Munshi Premchand Biography in Bengali : মুন্সী প্রেমচন্দ ছিলেন একজন হিন্দী কথা সাহিত্যিক। বিখ্যাত গল্পকার ও ঔপন্যাসিক মুন্সী প্রেমচন্দের একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী। হিন্দী কথা সাহিত্যিক মুন্সী প্রেমচন্দের জীবনী সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হল। A short biography of the famous Novelist Munshi Premchand. A short information of Munshi Premchand Birth, Place, Biography in Bengali are given below.

মুন্সী প্রেমচন্দ কে ছিলেন? (Who is Munshi Premchand?)

মুন্সী প্রেমচন্দ হিন্দী কথাসহিত্যের এখনাে পর্যন্ত একজন গল্পকার ও ঔপন্যাসিক হিসাবে সর্বশ্রেষ্ঠ আসনের অধিকারী । তার ভাষা অত্যন্ত সহজ ও সরল কিন্তু লেখনী বলিষ্ঠ । কথাশিল্পী  হিসাবে প্রেমচন্দ তাঁর উপন্যাস এবং গল্পগুলিতে নির্ভীকচিত্তে সমাজের সকল অন্যায় – অত্যাচার , অনাচার , দুর্নীতি , ভণ্ডামি , কুসংস্কার , ধনী ও বিত্তবানদের চালিয়াতি , অনৈতিকতা , অসততা এবং সমাজের দুর্বল ও দরিদ্রশ্রেণীর লােকদের উপর তাদের শােষণের ব্যাপারটি অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে প্রাঞ্জল ভাষায় প্রকাশ করে দিয়েছেন । উন্মােচন করেছেন প্রতারক , ভণ্ডদের মুখােশ । 

হিন্দী কথা সাহিত্যিক মুন্সী প্রেমচন্দ সংক্ষিপ্ত জীবনী – Munshi Premchand Short Biography in Bengali

নাম (Name) মুন্সী প্রেমচন্দ (Munshi Premchand)
জন্ম (Birthday) ৩১ শে জুলাই ১৮৮০, (31th July 1880)
অভিভাবক (Guardian) / পিতা ও মাতা মুন্সী আজয়ীব রায় (বাবা)

অনন্দী দেবী (মা)

দাম্পত্যসঙ্গী (Spouse) শিবরাণি দেবি
পেশা (Career) লেখক, ঔপন্যাসিক
উল্লেখযোগ্য কর্ম গোদান, নির্মলা, বাজার-এ-হুস্ন, কর্মভূমি, শাতরাঞ্জ কে খিলাড়ি, গাবান, ঈদ্গাহ
মৃত্যু (Death) ৮ ই অক্টোবর ১৯৩৬ (8th October, 1936)

মুন্সী প্রেমচন্দের জন্ম (Munshi Premchand’s Birthday) :

মুন্সী প্রেমচন্দের জন্ম হয়েছিল এক অতি সাধারণ পরিবারে  ১৮৮০ সালের ৩১ শে জুলাই । বাবা ছিলেন ডাক বিভাগের কর্মী । সামান্য বেতন পেতেন । মা অসুস্থ ছিলেন । বাবার সাথে কোনদিনই সহজ হতে পারেন নি তিনি । 

মুন্সী প্রেমচন্দের শৈশব (Munshi Premchand’s Childhood) :

মুন্সী প্রেমচন্দের ছেলেবেলা সুখ – দুঃখের মধ্যেই কেটেছিল । আট বছর বয়সে মা মারা গেলেন । মায়ের শােক কাটতে না কাটতেই বাবা আবার বিয়ে করলেন । সৎ মায়ের সঙ্গে শিশু প্রেমচন্দের সম্পর্ক সুমধুর ছিল না । ছেলেবেলায় তার নাম ছিল ধনপত । ডাক নাম নবাব । প্রেমচন্দ নামটি পরবর্তীকালে সাহিত্য সৃষ্টির সময় গ্রহণ করেন । 

মুন্সী প্রেমচন্দের শিক্ষাজীবন (Education of Munshi Premchand):

সাত বছর বয়সে এক মৌলবীর পাঠশালায় ভর্তি হলেন প্রেমচন্দ । কিছুক্ষণ পড়াবার পর ছাত্রদের ছেড়ে দিতেন । মৌলবীর সাথে ছাত্রদের সম্পর্ক ছিল অর্থ উপার্জনের সম্পর্ক স্কুল পালিয়ে বেরিয়ে পড়তেন প্রেমচন্দ ।কিছুদিন পর বাবা স্কুলে ভর্তি করে দিলেন প্রেমচন্দকে । তার যখন পনেরাে বছর বয়স সে সময় তার বাবা ছেলের বিয়ে দিলেন । কিছুদিনের মধ্যে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লেন । বাড়িতে বৌ , সত্য আর দুটি সৎ ভাই । কোনও রােজগার ছিল না । বাবাকে সুস্থ করা গেল না । তিনি মারা গেলেন । সংসারের সব গুরু দায়িত্ব এসে পড়ল তার উপর । বাবার মৃত্যুর জন্য সেই বছর পরীক্ষায় বসতে পারলেন না । পরের বছর দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করলেন । আর্থিক অনটন ও অঙ্কের পরীক্ষায় ফেল করার জন্য কোনও কলেজেই ভর্তি হতে পারলেন না।এক উকিলের বাড়িতে ছেলে পড়াবার কাজ পেলেন । মাইনে পাঁচ টাকা । নিজে দু’টাকা রেখে বাড়িতে তিন টাকা পাঠাতেন । অর্ধেক দিন তার খাওয়া জুটত না । শীতকালেও কষ্ট পেতেন । 

পরে এক ছােট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তার পরিচয় হয় । তিনি তাকে আঠারাে টাকা বেতনের শিক্ষকের চাকরি নিজের স্কুলে দিলেন । স্কুলটি ছিল বারাণসী থেকে চল্লিশ মাইল দূরে চুনাৱে । এই শান্ত , নিরীহ মানুষটির মধ্যেই ছিল সাহস ও তেজ। পরে কুইনস কলেজের প্রিন্সিপাল মিঃ বেকনের সাহায্যে একটি সরকারী স্কুলে শিক্ষকতা পেয়ে গেলেন। 

মুন্সী প্রেমচন্দের স্বভাব :

প্রেমচন্দের সজ্ঞা ছিলেন রাগী আর বদমেজাজী । তাকে এড়িয়ে চলার জন্য বাবা বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকতেন । দিদির বিয়ের পর প্রেমচন্দ নিঃসঙ্গ হয়ে গেল । তার জীবনে একমাত্র আনন্দ ছিল বাবার বদলি জীবন । কৈশাের জীবনের এই ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে তিনি নানান রচনায় প্রকাশ করেছেন । 

বাবা সারাদিন কাজ কর্ম করতেন । আর প্রমচন্দ নিজের মত ঘুরে বেড়াতেন । বই পড়ার নেশা ছিল প্রেমচন্দের । উর্দু ভাষায় যেসব উপন্যাস প্রকাশিত হত তা পাবার সাথে সাথে পড়ে ফেলতেন । 

প্রেমচন্দের সাহিত্য জীবন :

প্রেমচন্দের সাহিত্য জীবনের সূচনা কিশাের বয়স থেকে । কুড়ি বছর বয়সে উর্দুতে একটি ছােট উপন্যাস লিখলেন — আসরার ঈ মাবিদ ( মন্দিরের রহস্য ) । উপন্যাসটি অসমাপ্ত ছিল । একটি ছােট পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়েছিল । 

অল্পদিনেই’কল্পনা আর রােমান্স – এর পরিবর্তে তার লেখায় ফুটে উঠতে থাকে সৃজনশীল সাহিত্য । মানুষের বাস্তব জীবনের সুখ – দুঃখ আশা – আকাঙ্খ ফুটে উঠেছে তার লেখায় প্রতি ছন্দে ছন্দে । তার জীবনের শৈশব , কৈশাের , যৌবন ছিল কঠোর সংগ্রামের । চরম দারিদ্র আর অভাবের মধ্যে প্রত্যক্ষ করেছেন জীবনের কঠিন রূপ । সমাজের উপর তলার মানুষদের চেয়ে নিচু তলার মানুষরাই তাকে বেশি আকৃষ্ট করত । সেই তার রচনায় যে বাস্তবতার প্রকাশ দেখা যায় , ভারতীয় সাহিত্যে অন্য কারাে রচনায় তা দেখা যায় না । 

বিশ্বসাহিত্যে ম্যাক্সিম গাের্কির সাথে তাকে তুলনা করা যায় । 

মুন্সী প্রেমচন্দের উপন্যাস : 

১৯০৭ সালে এক বাল্য বিধবার জীবন কাহিনি নিয়ে লেখা উপন্যাস – ‘ প্রেমা ’ রচনা করলেন । ছােটগল্প ছাড়া দুটি উপন্যাস লিখেছিলেন । বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দ মঠ অনুসরণে জছবা – ঈ – ঈশার ( বরদান ) । অন্যটি বাজার ঈ — হুসন ’ ছিল পতিতা বৃত্তি কিভাবে সমাজকে কলুষিত করে তারই জীবন্ত ছবি । 

মুন্সী প্রেমচন্দের কতকগুলি স্মরণযােগ্য উপন্যাস হলাে — গােদান , কয়াকল্প , নির্মলা , প্রতিজ্ঞা , সেবাসদন , প্রেম – আশ্রম , রাঙ্গভূমি , কর্মভূমি এবং মানসসরােবর । মানসসরােবর বৃহদায়তন উপন্যাস । মােট আট খণ্ডে প্রকাশিত হয় । 

মুন্সী প্রেমচন্দের ছােট গল্প :

মুন্সী প্রেমচন্দের ছােট গল্প  বিখ্যাত ছােট গল্প সংকলন ‘ মজ -ঈ – ও তান ’ ( মাতৃভূমির কথা ) । ইংরেজ সরকারের অত্যাচার -অবিচারের বিরুদ্ধে তার সমস্ত অভিব্যক্তি মূর্ত হয়ে ফুটে উঠেছে এই রচনায় । এর একটি বিখ্যাত গল্প হল ‘ অমূল্য রত্ন । 

এই বই প্রকাশের সাথে সাথে ইংরেজ সরকারের নজর পড়ল তার এই বই – এর উপর । তার এই বইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল । তিনি সুস্বাস্থের অধিকারী ছিলেন না । তিনি গভীরভাবে সাহিত্য রচনার কাজে মনােনিবেশ করতে থাকেন । সারাদিন স্কুলে পড়াতেন । বিকেল বেলায় বাড়ি ফিরে সন্ধ্যে বেলায় একটু বিশ্রাম নিয়ে লিখতে বসতেন । সংসারের প্রতি কর্তব্যচ্যুত হন নি । সমস্ত কাজে ছিল শৃঙ্খলাবােধ । 

মুন্সী প্রেমচন্দের বিবাহ (Marrige Life of Munshi Premchand) :

১৯০৬ সালে শিবরানি নামে এক বাল্য বিধবাকে বিবাহ করেন । প্রথম বিয়ে তার জীবনে সুখের হয়নি । সাহিত্য তার কাছে কোনও বিলাসিতা ছিল না , এটি ছিল তার সংগ্রামের হাতিয়ার । কলমই ছিল তার তলােয়ার । নিজের প্রতি ছিল তার গভীর আত্মবিশ্বাস । সমাজেরই একজন হিসাবে নিজেকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখেন নি প্রেমচন্দ । সেই সময়কার রাজনৈতিক , সামাজিক সংকট , আন্দোলনের উপর কয়েকটি উল্লেখযােগ্য প্রবন্ধ রচনা করেন । 

মুন্সী প্রেমচন্দের পত্রিকা :

স্কুলের চাকরি ছেড়ে দিয়ে একটি পত্রিকায় সম্পাদকের চাকরি পেলেন । তাকে সাহায্য করার মত বিশেষ কেউ ছিল না । কাজের চাপ এত বেশি ছিল যে লেখার মত শারিরিক শক্তি থাকত না । বাধ্য হয়ে চাকরি ছেড়ে দিলেন । বারাণসীতে তার একটি ছােট প্রকাশনা সংস্থা ছিল । প্রথমে হংস ’ পরে জাগরণ ’ নামে দুটি পত্রিকা প্রকাশ করেন । কিছুদিনের মধ্যেই অর্থের অভাব অনুভব করলেন । 

এত সমস্যার মধ্যেও লেখক প্রেমচন্দ নিজেকে হারিয়ে ফেলে নি । রাতে সমস্ত দৈনন্দিন সমস্যা ভুলে তার মধ্যে জেগে উঠত এক লেখক সত্তা । সমস্ত রাত ধরে তিনি লিখতেন । প্রেমচন্দ লেখালিখি ছাড়াও মর্যাদা এবং ‘ জাগরণ ’ নামক জাতীয় সাময়িক পত্রিকা সম্পাদনা করেন । এছাড়া তিনি হংস ’ নামে নিজেও একটি সাময়িক পত্রিকা বের করেছিলেন । 

প্রেমচন্দকে যশ , খ্যাতি প্রভাবিত করতে পারে নি । তিনি নিজেকে কখনাে বিখ্যাত হিসাবে প্রচার করতে চান নি । সরলতা ছিল তার চরিত্রের একটি বড় গুণ । এই কারনে তিনি সাহিত্যিক হিসাবে নন , ব্যক্তি হিসাবেও মানুষের কাছ থেকে পেয়েছেন শ্রদ্ধার আসন। 

কর্মভূমি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তিনি হিন্দি সাহিত্যের সবচেয়ে বিখ্যাত লেখক হয়ে উঠলেন । প্রথমে উর্দু ভাষায় রচনা করলেও পরে হিন্দিকেই সাহিত্য সাধনার মাধ্যম করেন । বৃহত্তর সমাজের নির্যাতিত মানুষইর্তার কাছে ছিল একান্ত আপন জন । সাধারণ মানুষের প্রতি তার গভীর ভালবাসাই তাকে করে তুলেছিল বাস্তববাদী । তার চিন্তা ভাবনায় সাম্যবাদী আদর্শের প্রকাশ ঘটেছে । তিনি পরে প্রগতিশীল লেখক শিল্পী সংঘের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন এবং এই সংঘের প্রথম অধিবেশন লক্ষ্মেীতে বসেছিল । 

মুন্সী প্রেমচন্দের বিখ্যাত ছােট গল্প :

মুন্সী প্রেমচন্দ হিন্দি ছােট গল্পকে ক্ষুদ্রতার গন্ডি অতিক্রম করে পৌছে দিয়েছেন বিশ্বসাহিত্যের আঙিনায় । তার বিখ্যাত ছােট গল্পগুলি হল , নিমকের দারােগা , দুধের দাম , পিসনহারীর কুঁয়া , সতরঞ্জ কি খিলাড়ি , কফন , সদগতি । 

কফন গল্পের মধ্যে এক সর্বহারা বৃদ্ধের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জেহাদ ফেটে পড়েছে । কফন গল্পটি শুধু হিন্দি সাহিত্যে নয় , বিশ্বসাহিত্যের এক অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্প । 

মুন্সী প্রেমচন্দের এক বছরের চাকরি (Job Life of Munshi Premchand) :

এক সময় বােম্বের চলচ্চিত্র জগতের মােহন ভাবগানির কাছ থেকে চিত্রনাট্য লেখার জন্য একটি চাকরি পেলেন । অর্থের প্রয়ােজনে চাকরি নিতে বাধ্য হলেন । তাও মাত্র এক বছরের জন্য । বম্বে গিয়ে সম্মান অর্থ পেলেও সেখানকার পরিবেশ তাঁর ভাল লাগল না । সেখানকার কৃত্রিম আড়ম্বর তাকে ব্যথিত করেছিল । বােম্বের সিনেমা জগতের প্রযােজকরা তাকে আরাে এক বছরের জন্য রেখে দিতে চাইল । কিন্তু তিনি তা উপেক্ষা করে ১৯৩৫ সালের ৪ এপ্রিল বম্বে ত্যাগ করলেন । নিজের গ্রামে ফিরে এলেন । 

এবার হাত দিলেন তার গােদান উপন্যাসে । এটি তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা । উপন্যাসটি শেষ হয় ১৯৩৬ সালে। 

মুন্সী প্রেমচন্দের মৃত্যু (Death of Munshi Premchand) :

আত্মজীবনীমূলক একটি উপন্যাস রচনার কাজে হাত দেন মঙ্গল সূত্র ’ এই উপন্যাসটি সমাপ্ত করে যেতে পারেন নি প্রেমচন্দ । তার পূর্বেই তার মৃত্যুবরণ করতে হয় । মুন্সী প্রেমচন্দ ১৯৩৬ সালে ৮ ই অক্টোবর ৫৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

উপসংহার :

পরিচিত বহু মানুষের অহঙ্কার , অর্থের গর্ব তাকে ব্যথিত করত । তিনি দেখেছিলেন মানুষের লােভ লালসার প্রসার । তাই জীবনের অন্তিম পর্যায়ে এসে ঘটেছিল এক নব চেতনায় উত্তরণ ।

মুন্সী প্রেমচন্দ জীবনী – Munshi Premchand Biography in Bengali FAQ :

1.মুন্সী প্রেমচন্দের জন্ম কবে?

Ans: ১৮৮০ সালের ৩১ শে জুলাই।

  1. মুন্সী প্রেমচন্দের বাবার পেশা কি ছিল?

Ans: বাবা ছিলেন ডাক বিভাগের কর্মী ।

  1. মুন্সী প্রেমচন্দের ছেলেবেলায় কি নাম ছিল?

Ans: মুন্সী প্রেমচন্দের ছেলেবেলায় নাম ছিল ধনপত । 

  1. মুন্সী প্রেমচন্দের ডাক নাম কি ছিল?

Ans: মুন্সী প্রেমচন্দের ডাক নাম ছিল নবাব।

  1. বিশ্বসাহিত্যে মুন্সী প্রেমচন্দকে কার সাথে তুলনা করা যায়?

Ans: বিশ্বসাহিত্যে ম্যাক্সিম গাের্কির সাথে তাকে তুলনা করা যায় । 

  1. মুন্সী প্রেমচন্দের বিখ্যাত ছােট গল্পগুলি কি কি?

Ans: মুন্সী প্রেমচন্দের বিখ্যাত ছােট গল্পগুলি হল , নিমকের দারােগা , দুধের দাম , পিসনহারীর কুঁয়া , সতরঞ্জ কি খিলাড়ি , কফন , সদগতি । 

  1. মুন্সী প্রেমচন্দের কার সাথে বিবাহ হয়?

Ans: ১৯০৬ সালে শিবরানি নামে এক বাল্য বিধবাকে বিবাহ করেন ।

  1. মুন্সী প্রেমচন্দের কতকগুলি স্মরণযােগ্য উপন্যাস কি কি?

Ans: মুন্সী প্রেমচন্দের কতকগুলি স্মরণযােগ্য উপন্যাস হলাে — গােদান , কয়াকল্প , নির্মলা , প্রতিজ্ঞা , সেবাসদন , প্রেম – আশ্রম , রাঙ্গভূমি , কর্মভূমি এবং মানসসরােবর ।

  1. মুন্সী প্রেমচন্দের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনার নাম কি?

Ans: গােদান উপন্যাস এটি তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা । উপন্যাসটি শেষ হয় ১৯৩৬ সালে। 

  1. মুন্সী প্রেমচন্দ কবে মৃত্যুবরণ করেন?

Ans: মুন্সী প্রেমচন্দ ১৯৩৬ সালে ৮ ই অক্টোবর ৫৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

মুন্সী প্রেমচন্দ জীবনী – Munshi Premchand Biography in Bengali 

      অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” আদি কবি মুন্সী প্রেমচন্দ জীবনী – Munshi Premchand Biography in Bengali  ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে  তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।