একাদশ শ্রেণী ভূগোল - খনিজ ও শক্তি সম্পদ - বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় - পঞ্চম পরিচ্ছেদ) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Question and Answer
একাদশ শ্রেণী ভূগোল - খনিজ ও শক্তি সম্পদ - বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় - পঞ্চম পরিচ্ছেদ) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Question and Answer

একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) | Class 11 Geography Khonij o Sokti Question and Answer

একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর : খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) Class 11 Geography Khonij o Sokti Question and Answer : একাদশ শ্রেণী ভূগোল – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই একাদশ শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – WBCHSE Class 11 Geography Khonij o Sokti Question and Answer, Suggestion, Notes – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short,  Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 11th Eleven XI Geography Examination – পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণী ভূগোল পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।

 তোমরা যারা খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) – একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Khonij o Sokti Question and Answer Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো। 

খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) – পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 11th Geography Khonij o Sokti Question and Answer

MCQ প্রশ্নোত্তর | একাদশ শ্রেণী ভূগোল – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Khonij o Sokti MCQ Question and Answer : 

  1. ইরাকের বৃহত্তম তৈল খনিটি হলো— 

(A) কিরকুক 

(B) মুরি 

(C) হাওয়াই

(D) বসরা 

Ans: (A) কিরকুক

  1. ইউক্রেনের বৃহত্তম ম্যাঙ্গানিজ খনিটির নাম কী ? 

(A) ইটারেরা 

(B) নিকোপল 

(C) বাহিয়া 

(D) কোনোটিই নয় 

Ans: (B) নিকোপল

  1. তাপের সুপরিবাহী নীচের কোন ধাতুটি ? 

(A) অভ্র 

(B) ম্যাঙ্গানিজ 

(C) তামা 

(D) জিপসাম টিন 

Ans: (C) তামা

  1. দস্তার সঙ্গে তামা মিশিয়ে নীচের কোন ধাতুটি উৎপন্ন হয় ? 

(A) পিতল 

(B) অ্যালুমিনিয়াম 

(C) জার্মান সিলভার

(D) ব্রোঞ্জ

Ans: (C) জার্মান সিলভার

  1. কানাডায় হ্রদের তলদেশে যে আকরিক লোহা পাওয়া যায় সেটি কী ? 

(A) ম্যাগনেটাইট 

(B) সিডোরাইট 

(C) ব্রোঞ্জ 

(D) লিমোনাইট

Ans: (D) লিমোনাইট

  1. কয়লার উপজাত দ্রব্যটি হলো— 

(A) আলকাতরা 

(B) কেরোসিন 

(C) ডিজেল 

(D) গ্যাসোলিন 

Ans: (A) আলকাতরা

  1. নীচের কোথায় উন্নতমানের কয়লা পাওয়া যায় ? 

(A) গোদাবরী 

(B) ওয়ার্ধা 

(C) কৃস্না 

(D) নর্মদা উপত্যকায়

Ans: (B) ওয়ার্ধা

  1. নীচের কোনটি ব্রাজিলের সর্বশ্রেষ্ঠ লৌহ আকরিক খনি ? 

(A) নিকোপল 

(B) ইটারেরা 

(C) ডনবাস 

(D) কুরবমা 

Ans: (B) ইটারেরা

  1. পৃথিবীর বৃহত্তম তামার খনিটি কোথায় অবস্থিত ? 

(A) পেরুতে 

(B) ব্রাজিলে

(C) চিলিতে

(D) জাপানে 

Ans: (C) চিলিতে

  1. পৃথিবীর বৃহত্তম বক্সাইট খনির নাম কী ? 

(A) ডনবাস 

(B) নিকোপল

(C) কোডার্মা

(D) উইপা 

Ans: (D) উইপা

  1. ভারতের কোন রাজ্য লৌহ আকরিক উৎপাদনে প্রথম ?

(A) ওড়িশা 

(B) ঝাড়খণ্ড 

(C) কোডার্মা

(D) পশ্চিমবঙ্গ 

Ans: (A) ওড়িশা

  1. ভারতের বৃহত্তম অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদন কেন্দ্রটির নাম কী ? 

(A) ভিলাই

(B) কোরাপুট 

(C) জামশেদপুর

(D) মুরি

Ans: (B) কোরাপুট

  1. পৃথিবীর কোন দেশে সবচেয়ে বেশি কয়লা সঞ্চিত আছে ? 

(A) ভারতে 

(B) রাশিয়ায় 

(C) U.S.A- তে 

(D) জাপানে

Ans: (C) U.S.A- তে

  1. বিশ্বের কোন দেশে সবচেয়ে বেশি খনিজ তেলের সঞ্চয় রয়েছে ? 

(A) U.S.A- তে 

(B) ইরাকে 

(C) সুদানে

(D) সৌদি আরবে 

Ans: (D) সৌদি আরবে

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | একাদশ শ্রেণী ভূগোল – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Khonij o Sokti SAQ Short Question and Answer : 

  1. তরল সোনা কী ?

Ans: বর্তমান সভ্যতার একটি উল্লেখ্যযোগ উপকরণ হলো খনিজ তেল । এই খনিজ তেল কেবলমাত্র জ্বালানি হিসেবে নয় , জীবনধারণের বিভিন্ন প্রয়োজনে খনিজ তেল ব্যবহৃত হয় । বর্তমানে এর ব্যবহার ও গুরুত্ব এত বেশি হওয়ায় একে তরল সোনা বলা হয় । 

  1. খনিজ তেলের শ্রেণিবিভাগ করো । 

Ans: তিন প্রকার । যথা— 1( প্যারাফিনযুক্ত তেল ( পেট্রোল প্যারাফিন ) 2) অ্যাসফাল্ট – যুক্ত তেল 3) মিশ্র তেল । 

  1. সাগরসম্রাট ও সাগরবিকাশ কী ?

Ans: মুম্বাই হাই হলো ভারতের বৃহত্তম খনিজ তেল অঞ্চল । এই অঞ্চলে সাগরসম্রাট ও সাগরবিকাশ নামে দু’টি ভাসমান জাহাজ সমুদ্রগর্ভ থেকে সবচেয়ে বেশি খনিজ তেল সংগ্রহ করে থাকে । 

  1. ভারতের তৈল শোধনাগারগুলির নাম লেখো ।

Ans: আসাম ( ডিগবয় , মরান , মসিমপুর ) , গুজরাট ( জামনগর , আঙ্কেলেশ্বর , কলোল ) , উত্তরপ্রদেশ ( মহুয়া ) , বিহার ( বাড়াউনি ) ওড়িশা ( প্যারাদ্বীপ ) , মহারাষ্ট্র ( ট্রম্বে ) ইত্যাদি । 

  1. OPEC কী ? 

Ans: Organisation of Petroleum Exporting Countries 1960 সালে 4 ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় । এর সদর দপ্তর ভিয়েনাতে অবস্থিত । পৃথিবীর মোট 11 টি দেশ এই সংস্থার সদস্য । এর মূল উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য নির্ধারণ , তেল সরবরাহ প্রভৃতি । এই সংস্থার সদস্য দেশগুলো হলো সৌদি আরব , ইরাক , ইরান , সংযুক্ত আরব আমিরশাহি , কুয়েত , কাতার , ভেনেজুয়েলা , নাইজেরিয়া , ইন্দোনেশিয়া , আলজেরিয়া , লিবিয়া ইত্যাদি দেশ । 

  1. OAPEC কী ? 

Ans: OAPEC হলো একটি পেট্রোল রপ্তানিকারী আরবদেশসমূহের সংস্থা । এটি 1968 সালে 9 জানুয়ারি গঠিত হয় । এই সংস্থার মুখ্য উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখা । এই সংস্থাটির সদস্য দেশগগুলি হলো সৌদি আরব , আলজেরিয়া , কুয়েত , সিরিয়া , লিবিয়া , কাতার , মিশর , বাহরিন , ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ইত্যাদি দেশ । 

  1. পারমাণবিক শক্তি কাকে বলে ? 

Ans:  ইউরেনিয়াম , থোরিয়াম , টাইটেনিয়াম প্রভৃতি তেজস্ক্রিয় পদার্থের পরমাণু বিভাজন করলে যে শক্তি নির্গত হয় , তাকে পারমাণবিক শক্তি বলে । 

  1. খনিজ তেল আমদানি ও রপ্তানিকারক দেশগুলোর নাম লেখো । 

Ans: আমদানিকারক দেশ : আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র , জাপান , জার্মানি , ফ্রান্স , ভারত , স্পেন , ইতালি , বেলজিয়াম , পোল্যান্ড প্রভৃতি দেশ । রপ্তানিকারক দেশ : সৌদি আরব , সংযুক্ত আরব আমিরশাহি , ইরাক , ইরান , কুয়েত , রাশিয়া , লিবিয়া , ভেনেজুয়েলা , মেক্সিকো , ইন্দোনেশিয়া । 

  1. ইউরেনিয়াম ও থোরিয়াম উৎপাদনকারী দেশগুলির নাম লেখো । 

Ans: ইউরেনিয়াম উৎপাদনকারী দেশ : আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র , কানাডা , কাজাকিস্তান , অস্ট্রেলিয়া , নাইজার , রাশিয়া , চিন , নামিবিয়া প্রভৃতি দেশ । থোরিয়াম উৎপাদনকারী দেশ ভারত , আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র , অস্ট্রেলিয়া , কানাডা , ব্রাজিল , ফ্রান্স , জাপান , রাশিয়া প্রভৃতি দেশ । 

  1. ভারতের দু’টি টার্সিয়ারি কয়লা খনি অঞ্চলের নাম করো ।

Ans: অসমের মাকুম ও মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি । 

  1. কয়লার শ্রেণিবিভাগ করো । 

Ans: চারভাগে ভাগ করা যায় । যথা— 1)  অ্যানথ্রাসাইট ( 85 % – 95 % কার্বন থাকে ) , 2)  বিটুমিনাস ( 50 % – 85 % কার্বন থাকে ) , 3)  লিগনাইট ( 35 % -50 % কার্বন থাকে ) , 4) পিট ( 35 % -এর কম কার্বন থাকে ) । 

  1. কয়েকটি অধাতব খনিজের নাম করো ।

Ans: কয়লা , চুনাপাথর , অভ্র , খনিজ তেল , প্রাকৃতিক গ্যাস , চুনাপাথর , মার্বেল , গ্রানাইট , জিপসাম , লবণ , গন্ধক , পটাশ , ফসফেট , ইউরেনিয়াম প্রভৃতি । 

  1. কয়েকটি ধাতব খনিজের নাম করো । 

Ans: আকরিক লোহা , ম্যাঙ্গানিজ , টাংস্টেন , নিকেল , তামা , সিসা , দস্তা , টিন , বক্সাইট , সোনা ইত্যাদি । 

  1. কয়েকটি জ্বালানি খনিজের নাম করো ।

Ans: কয়লা , খনিজ তেল , প্রাকৃতিক গ্যাস , ইরেনিয়াম , থোরিয়াম ইত্যাদি । 

  1. আকরিক লোহা ও ম্যাঙ্গানিজ উত্তোলনে কোন দেশ প্রথম ? 

Ans: চিন আকরিক লৌহ উত্তোলনে , দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাঙ্গানিজ উত্তোলনে প্রথম । 

  1. তামা ও অভ্র উত্তোলনে কোন দেশ প্রথম ? Ans: চিলি তামা উত্তোলনে এবং চিন অভ্র উত্তোলনে প্রথম । 
  2. ইউরেনিয়াম ও থোরিয়াম উত্তোলনে কোন দেশ প্রথম ?

Ans: কাজাকিস্তান ইউরেনিয়াম উত্তোলনে এবং ভারত থোরিয়াম উত্তোলনে প্রথম । 

  1. জলবিদ্যুৎ ও তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে কোন দেশ প্রথম ? 

Ans: চিন জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে এবং ভারত তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রথম । 

  1. পারমাণবিক শক্তি ও সৌরশক্তি উৎপাদনে কোন দেশ প্রথম ?

Ans: U.S.A. পারমাণবিক শক্তি এবং চিন সৌরশক্তি উৎপাদনে প্রথম । 

  1. দামোদর উপত্যকায় কোন যুগের কয়লা পাওয়া যায় ? 

Ans: গন্ডোয়ানা যুগের কয়লা । 

  1. ভারতের বৃহত্তম লিগনাইট কয়লাখনিটি কোথায় অবস্থিত ?

Ans: তামিলনাড়ুর আর্কট জেলার নেভেলিতে । 

  1. তামিলনাড়ুর কলপক্কম কীজন্য বিখ্যাত ?

Ans: পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে । 

  1. দূষণমুক্ত চিরাচরিত শক্তি কোনটি ? 

Ans: জলবিদ্যুৎ । 

  1. কোন পদ্ধতিতে লিগনাইট কয়লা থেকে গ্যাসোলিন বা পেট্রোল উৎপাদন করা হয় ?

Ans: হাইড্রোজেনেশন পদ্ধতিতে । 

  1. খনিজ সম্পদ কাকে বলে ?

Ans: প্রকৃতিতে পাওয়া এমন বস্তু যার রাসায়নিক ও পারমাণবিক গঠন নির্দিষ্ট , অজৈব প্রক্রিয়া দ্বারা সৃষ্ট নানা ধরনের পদার্থের কার্যকারিতা ও উপযোগিতাকে বলা হয় খনিজ সম্পদ ।

বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নোত্তর | একাদশ শ্রেণী ভূগোল – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Khonij o Sokti Broad Question and Answer : 

  1. বায়ুশক্তির উৎপাদন পদ্ধতি ও বিশ্ববণ্টন সংক্ষেপে আলোচনা করো । 

Ans: প্রবহমাণ বায়ুর গতিবেগকে কাজে লাগিয়ে যে শক্তি আহরণ করা হয় , তাকে বায়ুশক্তি বলে । বায়ুশক্তির উপাদান ও বিশ্ববণ্টন নিম্নে আলোচনা করা হলো 

বায়ুশক্তি উৎপাদন পদ্ধতি : বহু প্রাচীন কাল থেকে বাতাসের গতিবেগকে কাজে লাগিয়ে বায়ুশক্তি উৎপাদন করা হয় । বাতাসের সাহায্যে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় । এই বিদ্যুৎ গৃহস্থালির আলো জ্বালাতে , পাখা , টিভি রেডিও প্রভৃতি চালাতে ব্যবহার করা হয় । 

বায়ুশক্তির বিশ্ববণ্টন : বায়ুশক্তি উৎপাদনে যে সমস্ত দেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে , সেগুলির নিম্নরূপ —  

  • 1) আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র : এই দেশ বায়ুশক্তি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এদেশে পৃথিবীর মোট বায়ুশক্তির 75 শতাংশ পাওয়া যায় । এদেশের উল্লেখযোগ্য বায়ুশক্তি কেন্দ্রগুলি হলো ক্যালিফোর্নিয়া , মিনসোটা , আইওয়া , নিউ ইয়র্ক প্রভৃতি । 
  • 2) ইউরোপ : এই দেশ বায়ুশক্তি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে । এই দেশের উল্লেখযোগ্য বায়ুশক্তি কেন্দ্রগুলি হলো ডেনমার্ক , নেদারল্যান্ড , ফ্রান্স , জার্মানি ও স্পেন । 
  • 3) জাপান : এই দেশ বায়ুশক্তি উৎপাদনে পৃথিবীতে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে । 
  • 4) ভারত : এই দেশ বায়ুশক্তির উৎপাদনে পৃথিবীতে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে । এই দেশের উল্লেখযোগ্য বায়ুশক্তি উৎপাদন কেন্দ্রগুলি হলো গুজরাট , তামিলনাড়ু , ওড়িশা , বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ । 
  1. সৌরশক্তি উৎপাদন পদ্ধতি ও বিশ্ববণ্টন সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো । 

Ans: সূর্যকিরণ থেকে যে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদিত হয় তাকে , সৌরশক্তি বলে । এই অফুরস্ত ও প্রবহমাণ সম্পদের পদ্ধতি ও বিশ্ববন্টন নিম্নে আলোচনা করা হলো : 

সৌরশক্তির উৎপাদন পদ্ধতি : এই চিরাচরিত শক্তি সাধারণত দু’টি পদ্ধতিতে হয় । যথা— 

  • 1) ফটোভল্টীয় কোষ : সূর্যকিরণ থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সিলিকন ধাতু দিয়ে সৌরকোষ তৈরি করা হয় । এই সৌরকোষগুলির ছাড়াই তৈরি হয় সৌরপেনেল । এই সৌরপ্যানেলের মাধ্যমে সৌর বা বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন করা হয় । 
  • 2) সৌর পুকুর : এই ধরনের কৃত্রিম জলাশয়ের মধ্যে আপতিত সূর্যরশ্মি থেকে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন করা হয়ে থাকে । 

সৌরশক্তির বিশ্ববণ্টন : সৌরশক্তি উৎপাদন ব্যবস্থা যে সমস্ত দেশে লক্ষ করা যায় , সেগুলি হলো নিম্নরূপ— 

  • 1) জাপান : সৌরশক্তি উৎপাদনে এই দেশ বিশ্বে শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করে আছে । জাপানে মোট উৎপাদিত সৌরশক্তি দ্বারা কলকারখানা , ঘরবাড়ি গরম রাখতে প্রভৃতি , ব্যবহার করা হয় । এই দেশে মোট উৎপাদিত সৌরশক্তির পরিমাণ প্রায় ঘণ্টায় 2 লক্ষ কিলোওয়াটের বেশি । 
  • 2) আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র : এই দেশ সৌরশক্তি উৎপাদনে পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে । এই দেশের মোট উৎপাদিত সৌরশক্তির পরিমাণ প্রায় ঘণ্টায় 1 লক্ষের বেশি কিলোওয়াট । 
  • 3) জার্মানি : এই দেশ সৌরশক্তি উৎপাদনে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে । এই দেশে মোট সৌরশক্তি উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ঘণ্টায় 70 হাজার কিলোওয়াট । 
  • 4) ভারত : এই দেশ সৌরশক্তি উৎপাদনে পৃথিবীর মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে । এই দেশের মোট উৎপাদিত সৌরশক্তির পরিমাণ ঘণ্টায় 50 হাজার কিলোওয়াট । এই দেশের যে – সমস্ত রাজ্যে সৌরশক্তি পাওয়া যায় , সেগুলি হলো পশ্চিমবঙ্গ , হিমাচল প্রদেশ , রাজস্থান , উত্তরাঞ্চল , লাক্ষাদ্বীপ প্রভৃতি । এই সমস্ত রাজ্যে সৌরশক্তির সাহায্যে রান্নার ব্যবস্থা , রাস্তাঘাট , ঘরবাড়ি গরম রাখা হয় । 
  1. জলবিদ্যুৎ শক্তি গড়ে ওঠার অনুকূল পরিবেশ আলোচনা করো ।

Ans: জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের অনুকূল ভৌগলিক পরিবেশ মূলত দু’টি , যথা— প্রাকৃতিক পরিবেশ ও অপ্রাকৃতিক পরিবেশ । 

  1. A) প্রাকৃতিক পরিবেশ : জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নিম্নলিখিত অনুকুল প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রয়োজন— 
  • 1)বন্ধুর ভূপ্রকৃতি : জলস্রোত না হলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভবপর নয় । কারণ প্রচণ্ড স্রোতের বেগে টারবাইনের চাকা ঘুরিয়ে ডাইনামোর সাহায্যে জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করা হয় । বন্ধুর ভূপ্রকৃতি যুক্ত অঞ্চলের উপরে প্রবাহিত নদী খরস্রোেত হয় বলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয় । 
  • 2) পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত : জলবিদ্যুৎ উৎপাদক নদীগুলোতে সারাবছর পর্যপ্ত জলের প্রয়োজন । যেখানে সারাবছর বৃষ্টিপাত হয় না , সেখানে কৃত্রিম জলাশয় সৃষ্টি করে বৃষ্টির জল ধরে রেখে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা সাধারণত করা হয় । জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য শুধুমাত্র নদী খরস্রোতা হলেও চলবে না , সারাবছর জলপ্রবাহ থাকা একান্ত প্রয়োজন । এরজন্য প্রয়োজন সারাবছর নিয়মিত পর্যান্ত বৃষ্টিপাত । 
  • 3) পলিমুক্ত জলপ্রবাহ : নদীতে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পলিমুক্ত পরিষ্কার জল একান্ত প্রয়োজন । জলে পলির পরিমাণ বেশি হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যায় । একারণে পলিমুক্ত জলপ্রবাহ জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে একান্ত প্রয়োজন । 
  • 4) বরফমুক্ততা : অত্যধিক শীতল জলবায়ু অঞ্চলে তাপমাত্রা হীমাঙ্কের নীচে নেমে গেলে জল বরফে পরিণত হয়ে যায় । তখন জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভবপর হয় না । এইজন্য জলস্রোতে বরফমুক্ততা জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের তার একটি অনুকুল পরিবেশ । 
  • 5) বনভূমির অবস্থান : বনভূমি একদিকে যেমন বৃষ্টিপাত ঘটাতে সাহায্য করে , তেমনি ভূমিক্ষয়ও রোধ করে । ফলে নদীর জলকে পলিমুক্ত রাখে । 
  1. B) অর্থনৈতিক পরিবেশ : জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অর্থনৈতিক পরিবেশ নিম্নে আলোচনা করা হলো 
  • 1) মূলধনের জোগান : জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের প্রাথমিক ব্যয় খুব বেশি । কারণ নদীতে বাঁধ নির্মাণ , উন্নত যন্ত্রপাতির জন্য প্রচুর হারে অর্থের প্রয়োজন হয় । তাই জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে মূলধনের জোগান একান্ত প্রয়োজন । 
  • 2) উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা : জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে পার্বত্য অঞ্চলে খরস্রোতা নদীর গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন খুব কঠিন কাজ , তাই নদীর গতিপথে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদনের জন্য উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা ও কারিগরির একান্ত প্রয়োজন । 
  • 3) বহুমুখী নদী পরিকল্পনা : বহুমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে নদীতে বাঁধ ও জলাধার নির্মাণ করে একই সঙ্গে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও স্থায়ী সেচ ব্যবস্থা গড়ে তোলার সাথে সাথে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা হয়ে থাকে । 
  1. ভূতাপীয় শক্তি উৎপাদন পদ্ধতি ও বিশ্ববণ্টন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো । 

Ans: ভূপৃষ্ঠ শীতল ও কঠিন হলেও ভূগর্ভ এখনও উত্তপ্ত ও তরল অবস্থায় থেকে গেছে । ভূগর্ভের উয়তাকে কাজে লাগিয়ে যে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করা হয়ে থাকে , তাকে ভূতাপীয় শক্তি বলে । ভূতাপীয় শক্তি উৎপাদন ও বিশ্ববণ্টন বিষয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো 

ভূতাপীয় শক্তি উৎপাদন পদ্ধতি : ভূঅভ্যন্তরভাগের উত্তাপ প্রায় 4 হাজার ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড । ভূতাপীয় শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি বড়ো ও ছোটো মাপের সমকেন্দ্রিক দু’টি নল উয় প্রস্রবণের মুখ দিয়ে ভূঅভ্যন্তরভাগে প্রবেশ করানো হয় । ভূগর্ভের প্রচণ্ড উত্তাপে ভূঅভ্যন্তরভাগের জল বাষ্পে পরিণত হয়ে ছোটো নলের মুখ দিয়ে সবেগে উপরের দিকে বেরিয়ে আসে । সেই বাষ্পের চাপে টারবাইন ঘুরিয়ে মূলত ভূতাপীয় শক্তি বা বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করা হয়ে থাকে । 

ভূতাপীয় শস্তির বিশ্ববণ্টন : ভূতাপীয় শক্তি উৎপাদনে যে সমস্ত দেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে , সেগুলো নিম্নরূপ — 

  • 1) আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র : এই দেশ ভূতাপীয় শক্তি উৎপাদনে পৃথিবীর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে প্রায় ঘণ্টায় 17 হাজার কিলোওয়াট ) । এই দেশের উল্লেখযোগ্য । ভূতাপীয় কেন্দ্রগুলি হলো গাইজার , সোডালেক , হানিলেক প্রভৃতি । 
  • 2) ফিলিপিন্স : এই দেশ ভূতাপীয় শক্তি উৎপাদনে পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে প্রায় ঘণ্টায় 10 হাজার কিগাওয়াট ) । এই দেশের উল্লেখযোগ্য ভূতাপীয় কেন্দ্রগুলি হলো — ব্যাকম্যান , মাউন্ট ল্যাবো , টঙ্গোনান্য , ক্যাবালিয়ান প্রভৃতি । 
  • 3) মেক্সিকো : ভূতাপীয় শক্তি উৎপাদনে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে পৃথিবীর মধ্যে এই দেশ । এই দেশের ভূতাপীয় কেন্দ্রগুলি হলো সিয়েরো প্রাইটো , ভারজিন্স , ল্যাপ্রাইম ভারা প্রভৃতি । 
  • 4) ইন্দোনেশিয়া : এই দেশ ভূতাপীয় শক্তি উৎপাদনে পৃথিবীর মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে । এই দেশের উল্লেখযোগ্য । ভূতাপীয় কেন্দ্রগুলি হলো কামোেজান , ডিয়েং , স্যালাক , সিবায়াক , লাহেংডং প্রভৃতি । 
  • 5) জাপান : এই দেশ ভূতাপীয় শক্তি উৎপাদনে পৃথিবীর মধ্যে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে । এই দেশের উল্লেখযোগ্য ভূতাপীয় কেন্দ্রগুলি হলো অনুমা , ওটাকে , তাকেনাও প্রভৃতি । 
  1. পৃথিবীর বা বিশ্বের প্রধান প্রধান ম্যাঙ্গানিজ উত্তোলক দেশগুলির পরিচয় দাও । 

Ans: 

  •   1) দক্ষিণ আফ্রিকা : পৃথিবীতে ম্যাঙ্গানিজ উত্তোলনে প্রথম স্থান অধিকার করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ( প্রায় 21 লক্ষ টন 2005 সালে ) । এখানকার প্রধান ম্যাঙ্গানিজ উত্তোলক কেন্দ্রগুলি হলো পোস্টমাসবার্গ , ফ্রগার্সডপ , ক্লিমবার্লি প্রভৃতি । 
  •   2. ব্রাজিল : পৃথিবীর মধ্যে ব্রাজিল ম্যাঙ্গানিজ উত্তোলনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে । প্রায় 15.92 লক্ষ টন 2005 সালে ) । এখানকার প্রধান ম্যাঙ্গানিজ উত্তোলক কেন্দ্রগুলি হলো আমাপা , মিনাস গেরাইস , আউরো প্রেতো , ল্যাফাইটি প্রভৃতি । 
  •   3. অস্ট্রেলিয়া : পৃথিবীর মধ্যে ম্যাঙ্গানিজ উত্তোলনে অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে ( প্রায় 1450 লক্ষ টন 2005 সালে ) । এখানকার ম্যাঙ্গানিজ উত্তেলক প্রধান কেন্দ্রগুলি হলো নিউ সাউথ ওয়েলস , পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া , উত্তর পূর্ব কুইন্সল্যান্ড প্রভৃতি । 
  •   4. গ্যাবন : পৃথিবীর মধ্যে ম্যাঙ্গানিজ উত্তোলনে গ্যাবন চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে ( প্রায় 12.90 লক্ষ টন 2005 সালে ) । এখানকার প্রধান ম্যাঙ্গানিজ উত্তোলক কেন্দ্রগুলি হলো ওগুই , মাইন্দা , গ্যাবনে ফ্রান্সেভিল প্রভৃতি । 
  •   5. চিন : পৃথিবীর মধ্যে ম্যাঙ্গানিজ উত্তেলনে চিন পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে । ( প্রায় 11:00 লক্ষ টন 2005 সালে ) । এখানকার প্রধান ম্যাঙ্গানিজ উত্তোলক কেন্দ্রগুলি হলো সিয়াংটং , কোয়েইপিং , লোপিং , চিনচাড , ল্যাইবিন , হুনান প্রভৃতি ।
  1. ভারতের লৌহ আকরিক উত্তোলক অঞ্চলগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও । 

৩ র্ লৌহ আকরিক উত্তোলনে ভারত পৃথিবীতে চতুর্থ স্থান অধিকার করে আছে । ভারতের যে সমস্ত অঞ্চলে লৌহ আকরিক উত্তোলন করা হয় , সেই সমস্ত অঞ্চলগুলি হলো – 

  •   1. কর্নাটক : ভারতের লৌহ আকরিক উত্তোলনে কর্নাটক প্রথম স্থান অধিকার করেছে । ডোনাই , ম্যালাই , র্যামুনদুর্গ , কুমারস্বামী , টুমকুর , চিত্রদুর্গ প্রভৃতি জায়গায় লৌহআকরিক পাওয়া যায় । 
  •   2. ছত্তিশগড় : লৌহ আকরিক উত্তোলনে ছত্তিশগড় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে । ছত্তিশগড় রাজ্যের দুর্গ জেলার দাল্লিরাজহারা , বাস্তার জেলার রাওঘাট বাইলাডিলা প্রভৃতি জায়গায় লৌহ আকরিক পাওয়া যায় । 
  •   3. ওড়িশা : লৌহ আকরিক উত্তোলনে ওড়িশা ভারতের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে । ময়ূরভঞ্জ জেলার সুলাইপাত , গোরুমহিষানি , বাদামপাহাড় কিরিবুরু , বোনাই পাহাড় এবং কেওনঝাড় জেলার বাগিয়াকুৱু , প্রভৃতি জায়গায় লৌহ আকরিক পাওয়া যায় । 
  •   4. গোয়া : লৌহ আকরিক উত্তোলনে গোয়া ভারতের মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করে আছে । মাপুসা পিরনা , বিচোলিম , সাতারি , সাংপুয়েম , সিরিগাঁও প্রভৃতি জায়গায় লৌহ আকরিক পাওয়া যায় । 
  •   5. অন্যান্য রাজ্য : ভারতের উপরিউক্ত রাজ্য ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ , মহারাষ্ট্র , রাজস্থান , বিহার , তামিলনাড়ু রাজ্যেও অল্প পরিমাণে লৌহ আকরিক পাওয়া যায় । 
  1. খনিজ তেলের ব্যবহার ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব লেখো । 

Ans: খনিজ তেলের ব্যবহার ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব নিম্নরূপ— 

  • 1. পরিবহণ : পৃথিবীতে উৎপাদিত খনিজ তেলের অধিকাংশই পরিবহণের ক্ষেত্রে কাজে লাগে । পেট্রোল ও ডিজেল এর সাহায্যে মোটর গাড়ি , বাস , লরি , প্রভৃতি চালানো হয় । এছাড়াও গ্যাসলিনের সাহায্যে বিমান চালানো হয় । 
  • 2. শক্তি উৎপাদন : কয়লা ব্যতীত শক্তির অন্যতম উৎস হলো খনিজ তেল । বর্তমানে বিভিন্ন কলকারখানার চুল্লিতে ও কয়লার পরিবর্তে জ্বালানি হিসাবে খনিজ তেল ব্যবহৃত হয় । খনিজ তেলের সাহায্যে উৎপন্ন তাপবিদ্যুৎ শক্তি বিভিন্ন কলকারখানায় পণ্যদ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় । কেরোসিন ও ডিজেলের সাহায্যে যে স্বল্প পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় , তা গৃহস্থালির প্রয়োজন মেটায় । 
  • 3. তাপশক্তি উৎপাদনে ও আলো জ্বালাতে : খনিজ তেল থেকে উৎপন্ন বিউটেন ও প্রোপেন ইত্যাদি গ্যাস আলো জ্বালাতে , তাপশক্তি উৎপাদনে ও রান্নার কাজে লাগে । এছাড়াও শীত প্রধান দেশগুলোতে ঘর গরম রাখার জন্য খনিজ তেল ব্যবহার করা হয় । 
  • 4. পেট্রোরাসায়নিক শিল্পে : পেট্রোরাসায়নিক শিল্পের অধিকাংশ কাচামাল খনিজ তেলের উপজাত দ্রব্য থেকে পাওয়া যায় । সার , কীটনাশক , কৃত্রিম তত্ত্ব ডিটারজেন্ট , কৃত্রিম রবার , ভেসোলিন , রং , প্লাস্টিক , পলেস্টার ইত্যাদি খনিজ তেলের উপজাত দ্রব্য থেকে পাওয়া যায় । 
  1. জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি লেখো । 

Ans: জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধা : 

(1) খনিজ তেল , কয়লা , ইউরেনিয়াম প্রভৃতির ব্যবহার সীমিত কিন্তু জল হলো একটি প্রবহমাণ সম্পদ এর ভাণ্ডার অফুরস্ত । যতদিন জলপ্রবাহ থাকবে , ততদিন জলবিদ্যুৎ শক্তি সম্ভবপর হবে , তাই জলবিদ্যুৎকে প্রবাহমাণ সম্পদ বলে । 

(2) জলবিদ্যুৎ শক্তিকেন্দ্র স্থাপনে প্রাথমিক ব্যয় অন্যান্য উৎসগুলোর তুলনায় বেশি হলেও এর আবর্তন ব্যয় অনেক কম । 

(3) জলবিদ্যুৎ শক্তির দ্বারা পরিবেশ কম দূষিত হয় । 

(4) জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনে খুব বেশি শ্রমিক প্রয়োজন হয় না । 

জলবিদ্যু উৎপাদনের অসুবিধা : 

(1) কেবলমাত্র খরস্রোতা নদীর নিকটে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে হয় । কিন্তু কয়লা , খনিজ ইত্যাদি উত্তোলন করে অন্যত্র বহন করে বিদ্যুৎশক্তি উৎপন্ন করা যায় । 

(2) জলবিদ্যুৎ শক্তিকে অন্যান্য শক্তির মতো সঞ্চয় করে রাখা যায় না । 

(3) অন্যান্য খনিজ সম্পদের মতো জলবিদ্যুৎ শক্তিতে কোনো উপজাত দ্রব্য পাওয়া যায় না ।

(4) জলবিদ্যুৎ শক্তির কেন্দ্র স্থাপনে প্রাথমিক যে মূলধনের প্রয়োজন হয় , তা অন্যান্য ক্ষেত্রে তুলনামূলক কম হয় । 

  1. পারমাণবিক বা আণবিক শক্তির ব্যবহারগুলি লেখো । 

Ans: পারমাণবিক বা আণবিক শক্তির ব্যবহার নিম্নরূপ — 

(1) বিদ্যুৎ উৎপাদন : শিল্প ক্ষেত্রে , কৃষি ক্ষেত্রে , যানবাহন চালাতে ব্যবহৃত হয় । 

(2) পানীয় জল উৎপাদন : সমুদ্রের জল থেকে লবণ বাদ দিয়ে এই জলকে পানীয় জল হিসাবে উপযোগী করে তোলা হয় । 

(3) রোগ নিরাময় : ক্যান্সার রোগ নিরাময়ের জন্য রেডিয়াম ব্যবহৃত হয় । 

(4) নির্মাণগত ত্রুটি নিরূপণ : ইস্পাত ও বিভিন্ন শঙ্কর ধাতুর ত্রুটি নিরাময়ে রেডিয়াম ব্যবহৃত হয় । 

(5) অন্যান্য উৎপাদন : লবণ , চিনামাটি , প্রভৃতি উৎপাদনে ইউরেনিয়াম ব্যবহার হয় । 

  1. লৌহ আকরিকের অর্থনৈতিক গুরুত্ব লেখো । অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহারগুলি আলোচনা করো ।

Ans: আকরিক লোহার ব্যবহার বর্তমানে যথেষ্ট থাকায় এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম । কারণ— 

(1) বর্তমানে খনি থেকে যে লৌহ আকরিক উত্তোলন করা হয় , তাকে পরিশোধন করে কাঁচা লোহা পাওয়া যায় । 

(2) পৃথিবীর সমস্ত যানবাহন ও তার ইঞ্জিন তৈরি করতে লৌহ – আকরিকের গুরুত্ব অপরিসীম । 

(3) আধুনিক যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন সাজসরঞ্জাম তৈরিতে আকরিক লোহার গুরুত্ব উল্লেখযোগ্য ৷ 

(4) কামান , বন্দুক , ট্যাঙ্ক প্রভৃতি তৈরিতে লোহার গুরুত্ব অপরিহার্য । 

(5) ঘরবাড়ি নির্মাণে , বিভিন্ন উপাদান তৈরিতে আকরিক লোহার গুরুত্ব অনস্বীকার্য । 

অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহার :

অ্যালুমিনিয়ামের গুরুত্ব বর্তমান যুগে বৃদ্ধি পেয়েছে । এর ব্যবহারগুলি নিম্নরূপ— 

(1) ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে ব্যবহার : অ্যালুমিনিয়াম তাপ ও বিদ্যুতের সুপরিবাহী বলে বর্তমানকালে ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে এর ব্যবহার অত্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে । 

(2) বৈদ্যুতিক শিল্পে ব্যবহার : অ্যালুমিনিয়াম বিদ্যুতের সুপরিবাহী বলে বর্তমানে বিদ্যুৎ পরিবহণে অ্যালুমিনিয়াম তারের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি । 

(3) যানবাহন শিল্পে ব্যবহার : অ্যালুমিনিয়াম কম শক্ত বলে মোটর গাড়ি , রেলগাড়ি প্রভৃতি নির্মাণে ব্যবহৃত হয় । 

(4) রং শিল্পে ব্যবহার : অ্যালুমিনিয়ামে সহজে মরিচা ধরে না বলে বর্তমানে রং শিল্পে এর ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে । 

(5) গৃহস্থালির সরঞ্জাম নির্মাণে : গৃহস্থালির নানা প্রকার সরঞ্জাম যথা — বালতি , বাসনপত্র , কেটলি , কড়াই প্রভৃতি নির্মাণে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হয় । 

  1. ভারতের বক্সাইট উত্তোলক অঞ্চলগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ বা পরিচয় দাও । 

Ans: ভারত বক্সাইট উত্তোলনে পৃথিবীর মধ্যে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে আছে । ভারতের যে – সমস্ত রাজ্যে বক্সাইট উত্তোলন করা হয় , সেগুলি হলো নিম্নরূপ — 

(1) ওড়িশা : বক্সাইট উত্তোলনে ভারতের মধ্যে ওড়িশা প্রথম স্থান অধিকার করে আছে । কালাহান্ডি , কোরাপুট সম্বলপুর প্রভৃতি জায়গায় বক্সাইট পাওয়া যায় । 

(2) গুজরাট : বক্সাইট উত্তোলনে ভারতের মধ্যে গুজরাট দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আছে । জামনগর ও ভাবনগর , জুনাগড় , আম্রেলি , কোইরা ও কচ্ছ প্রভৃতি জায়গায় পাওয়া যায় । 

(3) ঝাড়খণ্ড : বক্সাইট উত্তোলনে ভারতের মধ্যে ঝাড়খণ্ড তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে । রাঁচি জেলার লোহার ডাগা , জরদা পাহাড় , মাতুয়াপাট , পালামৌ জেলার নেতারহাট , জামিরাপাট প্রভৃতি জায়গায় বক্সাইট পাওয়া যায় । 

(4) মহারাষ্ট্র : বক্সাইট উত্তোলনে মহারাষ্ট্র ভারতের মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে । কোলাবা , শোলাপুর , রত্নগিরি , থানে ও টঙ্গর পাহাড়ে বক্সাইট পাওয়া যায় । 

(5) অন্যান্য রাজ্য : ভারতের উপরোক্ত রাজ্যগুলি ছাড়াও তামিলনাড়ু , মধ্যপ্রদেশ , গোয়া , কর্নাটক , কেরালা প্রভৃতি জায়গায় বক্সাইট অল্প পরিমাণে পাওয়া যায় । 

  1. বায়ুশক্তির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি সংক্ষেপে লেখো । 

Ans: বায়ুশক্তির সুবিধা : 

(1) এই শক্তি অবাধ ও প্রবহমাণ সম্পদ , তাই এই শক্তি নিঃশেষিত হবার আশঙ্কা নেই । 

(2) এই শক্তি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির খরচ খুবই কম । 

(3) এই শক্তি উৎপাদনে পরিবেশ দূষিত হয় না । 

(4) বাতাসের শক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তরিত করে তা নানা কাজে ব্যবহার করা হয় ।

বায়ুশক্তির অসুবিধা : 

(1) বাতাসের গতিবেগের ওপর বায়ুশক্তি নির্ভর , সুতরাং বাতাস যখন শাস্ত থাকে , তখন বায়ুশক্তি কার্যকরী থাকে না । 

(2) এই শক্তিকে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে রাখা যায় না । 

(3) বাতাসের গতিবেগ যত তীব্র থাকে , তত বেশি কার্যকরী হয় । ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র বাতাসের গতিবেগ সমান নয় , তাই সব জায়গায় বায়ুশক্তিকে কাজে লাগানো যায় না । 

(4) বর্ষাকালে যখন বেশি বৃষ্টিপাত হয় , তখন বাতাসের গতিবেগ থাকে না , তখন বায়ুশক্তি কার্যকরী হয় না । 

  1. কয়লার অর্থনৈতিক গুরুত্ব আলোচনা করো ।

Ans: বর্তমান যুগে কয়লার ব্যবহার এত বেশি গুরুত্ব পেয়েছে যে কয়লাকে কালো হিরা বলা হয় । এই কয়লার অর্থনৈতিক গুরুত্বগুলো নিম্নরূপ — 

(1) বাষ্পশক্তি উৎপাদন : কয়লা পুড়িয়ে মূলত যে তাপশক্তি উৎপন্ন করা হয় , তার দ্বারা জলকে বাস্পে পরিণত করে বাষ্পশক্তি উৎপন্ন করা হয় । উক্ত সাহায্যে বিভিন্ন কলকারখানা , রেল ইঞ্জিন , জাহাজ প্রভৃতি চালানো হয় ।

(2) তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন : কয়লা পুড়িয়ে মূলত তাপবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন হয় । এছাড়াও বিভিন্ন শিল্পে , কলকারখানায় ও গৃহস্থালির কাজে এই বিদ্যুৎশক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে । 

(3) গৃহস্থালির জ্বালানি উৎপাদন : বর্তমান যুগে কয়লাকে পুড়িয়ে যে শক্তি উৎপন্ন করা হয় , তার দ্বারা ঘরবাড়ি ও গৃহস্থালির বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয় । 

(4) রাসায়নিক শিল্পে ব্যবহার : কয়লা থেকে যে উপজাত দ্রব্য পাওয়া যায় , সেগুলির দ্বারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় । যেমন — অ্যামোনিয়া থেকে রাসায়নিক সার , কোল্টার থেকে ন্যাপলিন , অ্যানথ্রাসিন প্রভৃতি বিস্ফোরক দ্রব্য । 

(5) অন্যান্য ব্যবহার : রাস্তা পাকা করার সময় পিচ গলাতে কয়লা ব্যবহৃত হয় ৷ কয়লা দিয়ে ইট , টালি , খোলা প্রভৃতি পোড়াতে কয়লা ব্যবহৃত হয় । এছাড়াও বিভিন্ন শিল্পে কাঁচামাল হিসাবে , শীতপ্রধান দেশে ঘর গরম রাখতে কয়লা ব্যবহৃত হয় । 

  1. জলবিদ্যুৎ শক্তি গড়ে ওঠার অনুকূল পরিবেশ আলোচনা করো । 

Ans: জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের অনুকূল ভৌগোলিক পরিবেশ মূলত দু’টি , যথা— প্রাকৃতিক পরিবেশ ও অর্থনৈতিক পরিবেশ । 

  1. A) প্রাকৃতিক পরিবেশ : জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নিম্নলিখিত অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রয়োজন— 

(1) বন্ধুর ভূপ্রকৃতি : জলস্রোত না হলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভবপর নয় । কারণ প্রচণ্ড স্রোতের বেগে টারবাইনের চাকা ঘুরিয়ে ডাইনামোর সাহায্যে জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করা হয় । বন্ধুর ভূপ্রকৃতি যুক্ত অঞ্চলের উপরে প্রবাহিত নদী খরস্রোত হয় বলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয় । 

(2) পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত : জলবিদ্যুৎ উৎপাদক নদীগুলোতে সারাবছর পর্যপ্ত জলের প্রয়োজন । যেখানে সারাবছর বৃষ্টিপাত হয় না , সেখানে কৃত্রিম জলাশয় সৃষ্টি করে বৃষ্টির জল ধরে রেখে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা সাধারণত করা হয় । জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য শুধুমাত্র নদী খরস্রোতা হলেও চলবে না , সারাবছর জলপ্রবাহ থাকা একান্ত প্রয়োজন । এরজন্য প্রয়োজন সারাবছর নিয়মিত পর্যান্ত বৃষ্টিপাত । 

(3) পলিমুক্ত জলপ্রবাহ : নদীতে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পলিমুক্ত পরিষ্কার জল একান্ত প্রয়োজন । জলে পলির পরিমাণ বেশি হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যায় । একারণে পলিমুক্ত জলপ্রবাহ জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে একান্ত প্রয়োজন । 

(4) বরফমুক্ততা : অত্যধিক শীতল জলবায়ু অঞ্চলে তপমাত্রা হীমাঙ্কের নীচে নেমে গেলে জল বরফে পরিণত হয়ে যায় । তখন জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভবপর হয় না । এইজন্য জলস্রোতে বরফমুক্ততা জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের তার একটি অনুকূল পরিবেশ । 

(5) বনভূমির অবস্থান : বনভূমি একদিকে যেমন বৃষ্টিপাত ঘটাতে সাহায্য করে , তেমনি ভূমিক্ষয়ও রোধ করে । ফলে নদীর জলকে পলিমুক্ত রাখে ।  

  1. B) অর্থনৈতিক পরিবেশ : জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অর্থনৈতিক পরিবেশ নিম্নে আলোচনা করা হলো— 

(1) মূলধনের জোগান : জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের প্রাথমিক ব্যয় খুব বেশি । কারণ নদীতে বাঁধ নির্মাণ , উন্নত যন্ত্রপাতির জন্য প্রচুর হারে অর্থের প্রয়োজন হয় । তাই জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে মূলধনের জোগান একান্ত প্রয়োজন । 

(2) উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা : জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে পার্বত্য অঞ্চলে খরস্রোতা নদীর গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন খুব কঠিন কাজ , তাই নদীর গতিপথে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদনের জন্য উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা ও কারিগরির একান্ত প্রয়োজন । 

(3) বহুমুখী নদী পরিকল্পনা : বহুমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে নদীতে বাঁধ ও জলাধার নির্মাণ করে একই সঙ্গে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও স্থায়ী সেচ ব্যবস্থা গড়ে তোলার সাথে সাথে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা হয়ে থাকে ।

 একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 11 Class 11th Geography Question and Answer / Suggestion / Notes Book

আরোও কিছু প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :-

একাদশ শ্রেণী ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here

Class 11 Suggestion 2024 | একাদশ শ্রেণীর সাজেশন ২০২৪

আরোও দেখুন:-

Class 11 Bengali Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 English Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Geography Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 History Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Political Science Suggestion 2024 Click Here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Education Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Philosophy Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Sociology Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Sanskrit Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 All Subjects Suggestion 2024 Click here

Info : West Bengal Class 11 Geography Qustion and Answer | WBCHSE Higher Secondary Eleven XI (Class 11th) Geography Suggestion 

একাদশ শ্রেণী ভূগোল সাজেশন – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) প্রশ্ন ও উত্তর   

” একাদশ শ্রেণী ভূগোল –  খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) – প্রশ্ন উত্তর  “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক একাদশ শ্রেণী পরীক্ষা (West Bengal Class Eleven XI  / WB Class 11  / WBCHSE / Class 11  Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 11 Exam / Class 11 Class 11th / WB Class 11 / Class 11 Pariksha  ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে একাদশ শ্রেণী ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( একাদশ শ্রেণী ভূগোল সাজেশন / একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ও উত্তর । Class 11 Geography Suggestion / Class 11 Geography Question and Answer / Class 11 Geography Suggestion / Class 11 Pariksha Geography Suggestion  / Geography Class 11 Exam Guide  / MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer  / Class 11 Geography Suggestion  FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস একাদশ শ্রেণী ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 11 Geography Suggestion / West Bengal Eleven XI Question and Answer, Suggestion / WBCHSE Class 11th Geography Suggestion  / Class 11 Geography Question and Answer  / Class 11 Geography Suggestion  / Class 11 Pariksha Suggestion  / Class 11 Geography Exam Guide  / Class 11 Geography Suggestion 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015 / Class 11 Geography Suggestion  MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer. / Class 11 Geography Suggestion  FREE PDF Download) সফল হবে।

খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) প্রশ্ন ও উত্তর  

খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) – প্রশ্ন ও উত্তর | খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) Class 11 Geography Question and Answer Suggestion  একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) প্রশ্ন ও উত্তর।

খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণী ভূগোল 

খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) Class 11 Geography Question and Answer Suggestion  একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) MCQ প্রশ্ন উত্তর।

খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণির ভূগোল 

খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) Class 11 Geography Question and Answer Suggestion  একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

একাদশ শ্রেণি ভূগোল  – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) MCQ প্রশ্ন উত্তর | Higher Secondary Geography  

একাদশ শ্রেণী ভূগোল (Higher Secondary Geography) – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) – প্রশ্ন ও উত্তর | খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) | Higher Secondary Geography Suggestion  একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) প্রশ্ন উত্তর।

একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  | একাদশ শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) প্রশ্ন উত্তর | Class 11 Geography Question and Answer Question and Answer, Suggestion 

একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) | একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) | পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) | একাদশ শ্রেণী ভূগোল সহায়ক – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) – প্রশ্ন ও উত্তর । Class 11 Geography Question and Answer, Suggestion | Class 11 Geography Question and Answer Suggestion  | Class 11 Geography Question and Answer Notes  | West Bengal Class 11 Class 11th Geography Question and Answer Suggestion. 

একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর   – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE Class 11 Geography Question and Answer, Suggestion 

একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  | খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) । Class 11 Geography Suggestion.

WBCHSE Class 11th Geography Suggestion  | একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর   – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ)

WBCHSE Class 11 Geography Suggestion একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  । খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) | Class 11 Geography Suggestion  একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।

Class 11 Geography Question and Answer Suggestions  | একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) | একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর 

Class 11 Geography Question and Answer  একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  Class 11 Geography Question and Answer একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন ও উত্তর – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর  । 

WB Class 11 Geography Suggestion  | একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর   – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর 

Class 11 Geography Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Class 11 Geography Question and Answer Suggestion  একাদশ শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 11  Geography Suggestion  Download WBCHSE Class 11th Geography short question suggestion  . Class 11 Geography Suggestion   download Class 11th Question Paper  Geography. WB Class 11  Geography suggestion and important question and answer. Class 11 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির ভূগোল পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। একাদশ শ্রেণী ভূগোল পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the Class 11 Geography Question and Answer Question and Answer by Bhugol Shiksha .com

Class 11 Geography Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 11  Geography Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class Eleven XI Geography Suggestion | West Bengal Board WBCHSE Class 11 Exam 

Class 11 Geography Question and Answer, Suggestion Download PDF: WBCHSE Class 11 Eleven XI Geography Suggestion  is provided here. Class 11 Geography Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below. 

একাদশ শ্রেণী ভূগোল – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Question and Answer 

        অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” একাদশ শ্রেণী ভূগোল – খনিজ ও শক্তি সম্পদ – বিশ্বসম্পদের ব্যাবহার (ষষ্ঠ অধ্যায় – পঞ্চম পরিচ্ছেদ) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Question and Answer  ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে  তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।