বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer
বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer

বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) 

মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer

বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer : বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer, Suggestion, Notes – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 10th Ten X History Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।

 তোমরা যারা বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো। 

শ্রেণী মাধ্যমিক দশম শ্রেণী (Madhyamik Class 10)
বিষয় মাধ্যমিক ইতিহাস (Madhyamik History)
বিষয় বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথমভাগ পর্যন্ত) : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (Bikalpa Chinta o Udyog)
অধ্যায় পঞ্চম অধ্যায় (5th Chapter)

বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer 

MCQ | বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer :

  1. পৃথিবীর প্রাচীনতম গ্রন্থটি যেখানে মুদ্রিত হয়— 

(A) চিন

(B) আরব 

(C) জার্মানি 

(D) মেক্সিকো 

Ans: (A) চিন

  1. পৃথিবীর প্রাচীনতম মুদ্রিত গ্রন্থটির নাম কী ? 

(A) হীরক সূত্র 

(B) হীরক দ্যুতি 

(C) হীরক জ্যোতি 

(D) হীরক দীপ্তি 

Ans: (A) হীরক সূত্র

  1. পৃথিবীর প্রাচীনতম গ্রন্থটি কবে প্রকাশিত হয় ? 

(A) ৮০০ খ্রিস্টাব্দে

(B) ৮১০ খ্রিস্টাব্দে 

(C) ৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে 

(D) ৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে 

Ans: (D) ৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে

  1. বাংলায় ছাপাখানার কাজ শুরু হয় – 

(A) সপ্তদশ শতকে

(B) অষ্টাদশ শতকে 

(C) উনিশ শতকে

(D) বিশ শতকে 

Ans: (B) অষ্টাদশ শতকে

  1. ভারতে প্রথম ছাপাখানার প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব হল— 

(A) ফরাসিদের 

(B) ইংরেজদের

(C) পোর্তুগিজদের 

(D) ভারতীয়দের 

Ans: (C) পোর্তুগিজদের

  1. আ গ্রামার অব্ দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ ‘ গ্রন্থটি রচনা করেন— 

(A) উইলিয়ম জোনস্ 

(B) ব্রাসি হ্যালহেড 

(C) জোনাথান ডানকান 

(D) উইলিয়ম কেরি 

Ans: (B) ব্রাসি হ্যালহেড

  1. ‘ আ গ্রামার অব্ দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ ‘ গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় –

(A) ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে

(B) ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে 

(C) ১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে 

(D) ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে 

Ans: (D) ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে

  1. ‘ আ গ্রামার অব্ দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ ‘ গ্রন্থের বাংলা অক্ষরগুলির ছাঁচ তৈরি করেন—

(A) চার্লস উইলকিনস্ 

(B) চার্লস কটেজ

(C) চার্লস ফেয়ার 

(D) ব্রাসি হ্যালহেড 

Ans: (A) চার্লস উইলকিনস্

  1. ‘ আ গ্রামার অব্ দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ ‘ গ্রন্থটি মুদ্রিত বাংলা বইয়ের ক্ষেত্রে ছিল –

(A) প্রথম 

(B) তৃতীয় 

(C) দ্বিতীয় 

(D) চতুর্থ 

Ans: (A) প্রথম

  1. হ্যালহেডের বাংলা ব্যাকরণ যেখান থেকে ছাপা হয় –

(A) অ্যান্ড্রুজের ছাপাখানা থেকে 

(B) বিদ্যাসাগরের ছাপাখানা থেকে

(C) পঞ্চানন কর্মকারের ছাপাখানা থেকে

(D) উইলকিনসের ছাপাখানা থেকে 

Ans: (A) অ্যান্ড্রুজের ছাপাখানা থেকে

[ আরোও দেখুন:- Madhyamik History Suggestion 2024 Click here ]

  1. বাংলায় প্রথম যেখান থেকে মুদ্রনযন্ত্রে প্রথম ছাপা হয় – 

(A) হিকির প্রেস থেকে 

(B) ফেরিস কোম্পানির প্রেস থেকে

(C) হুগলির অ্যান্ড্রুজ প্রেস থেকে 

(D) ক্যালকাটা ক্রনিকল প্রেস থেকে 

Ans: (C) হুগলির অ্যান্ড্রুজ প্রেস থেকে

  1. ছেনিকাটা বাংলা হরফ নির্মাণে চার্লস উইলকিনস্‌কে যিনি সাহায্য করেছিলেন—

(A) পঞ্চানন কর্মকার 

(B) উইলিয়াম কেরি 

(C) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচাৰ্য্য 

(D) জন অ্যান্ডজ

Ans: (A) পঞ্চানন কর্মকার

  1. বাংলা হরফের প্রথম প্রযুক্তি বিশারদ ছিলেন— 

(A) চার্লস উইলকিনস্

(B) উইলিয়াম কেরি

(C) পঞ্চানন কর্মকার 

(D) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচাৰ্য্য 

Ans: (C) পঞ্চানন কর্মকার

  1. যাঁকে ‘ ছাপাখানার জনক ‘ বলা হয় –

(A) জোহানেস গুটেনবার্গকে

(B) জেমস অগাস্টাস হিকিকে

(C) চার্লস উইলকিনস্কে

(D) উইলিয়াম কেরিকে 

Ans: (A) জোহানেস গুটেনবার্গকে

  1. জন অ্যান্ড্রুজ সর্বপ্রথম ছাপাখানা গড়ে তোলেন –

(A) শ্রীরামপুরে 

(B) হুগলিতে 

(C) কলকাতায় 

(D) খিদিরপুরে 

Ans: (B) হুগলিতে

  1. প্রথম সচিত্র ভারতচন্দ্রের ‘ অন্নদামঙ্গল ‘ গ্রন্থটি প্রকাশ করেন—

(A) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

(B) রামচাঁদ রায় 

(C) মদনমোহন তর্কালংকার 

(D) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য 

Ans: (D) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য

  1. রামমোহন রায়ের ‘ কঠোপনিষৎ ‘ প্রকাশিত হয়—

(A) ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে 

(B) ১৮১০ খ্রিস্টাব্দে 

(C) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে 

(D) ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে 

Ans: (C) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে

  1. ‘ সম্বাদ কৌমুদী ‘ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন –

(A) ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় 

(B) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য 

(C) রামমোহন রায় 

(D) ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত 

Ans: (C) রামমোহন রায়

  1. মিরাৎ – উল – আখবর ‘ বইটি কোন ভাষায় রচিত ?

(A) আরবিক 

(B) ফারসি 

(C) হিন্দি

(D) উর্দু

Ans: (B) ফারসি

  1. ‘ শিশুশিক্ষা ‘ গ্রন্থটি রচনা করেন— 

(A) রামরাম বসু 

(B) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর 

(C) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার 

(D) মদনমোহন তর্কালঙ্কার

Ans: (D) মদনমোহন তর্কালঙ্কার

  1. ‘ বিদ্যাহারাবলী ‘ প্রকাশিত হয়— 

(A) ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে 

(B) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে 

(C) ১৮১০ খ্রিস্টাব্দে

(D) ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে

Ans: (D) ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে

  1. ‘ বিদ্যাহারাবলী ‘ গ্রন্থটি প্রণয়ন করেন— 

(A) উইলিয়ম কেরি 

(B) মার্শম্যান 

(C) ওয়ার্ড 

(D) ফেলিক্স কেরি 

Ans: (D) ফেলিক্স কেরি

  1. হিন্দুস্থানি প্রেস স্থাপনকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন— 

(A) জন গিলক্রিস্ট

(B) জন কেরি 

(C) জে . মার্শম্যান 

(D) উইলিয়াম উইলসন

Ans: (A) জন গিলক্রিস্ট

  1. হরেন্দ্র রায়ের ছাপাখানা ছিল কলকাতার – 

(A) শাঁখারিটোলায়

(B) মির্জাপুরে 

(C) বউবাজারে 

(D) আড়পুলি লেনে

Ans: (D) আড়পুলি লেনে

  1. হিন্দুস্থানি প্রেস স্থাপিত হয় – 

(A) ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে 

(B) ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে

(C) ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে 

(D) ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে 

Ans: (C) ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে

  1. বাংলায় ব্যাবসায়িক ছাপাখানার অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন— 

(A) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর 

(B) রামমোহন রায় 

(C) স্বামী বিবেকানন্দ 

(D) গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় 

Ans: (A) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

  1. যিনি ‘ বিদ্যাবণিক ‘ নামে পরিচিত—

(A) রামমোহন রায়

(B) ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত 

(C) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

(D) গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়

Ans: (C) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

  1. ‘ বর্ণপরিচয় ‘ প্রথম ভাগ প্রকাশিত হয়— 

(A) ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে 

(B) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে

(C) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে 

(D) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে

Ans: (A) ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে

  1. ‘ বেতাল পঞ্চবিংশতি ‘ ( ১৮৪৭ খ্রি . ) গ্রন্থটির লেখক হলেন — 

(A) বিশ্বনাথ দেব 

(B) মথুরনাথ মিশ্র 

(C) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর 

(D) রামকৃষ্ণ মল্লিক 

Ans: (C) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

  1. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ‘ স্থাপন করেন – 

(A) ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে 

(B) ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে 

(C) ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে 

(D) ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে 

Ans: (A) ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে

  1. বিদ্যাসাগরের প্রেস ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ‘ – এ ছাপানো প্রথম বইটি হলো – 

(A) বর্ণপরিচয় প্রথম ভাগ

(B) বর্ণপরিচয় দ্বিতীয় ভাগ

(C) ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল

(D) বেতাল পঞ্চবিংশতি

Ans: (C) ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল

  1. ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ‘ বাঙ্গালা শিক্ষাগ্রন্থ ‘ – এর লেখক ছিলেন –

(A) রামমোহন রায়

(B) রামজয় বিদ্যাসাগর

(C) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

(D) রাধাকান্ত দেব

Ans: D) রাধাকান্ত দেব

  1. ইউ . এন . রায় অ্যান্ড সঙ্গ ‘ নামক প্রকাশনা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন –

(A) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী 

(B) সুকুমার রায় 

(C) হেমচন্দ্র রায় 

(D) সত্যজিৎ রায় 

Ans: (A) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

  1. ইউ . এন . রায় অ্যান্ড সন্স ‘ ভূমিকা নিয়েছিল – 

(A) বাংলায় বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে 

(B) বাংলায় চিকিৎসাবিদ্যার প্রসারে 

(C) বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে 

(D) বাংলায় মুদ্রণ শিল্পের প্রসারে

Ans: (D) বাংলায় মুদ্রণ শিল্পের প্রসারে

  1. ভারতে ‘ হাফটোন ‘ প্রিন্টিং পদ্ধতি প্রবর্তন করেন— 

(A) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

(B) সুকুমার রায় 

(C) পঞ্চানন কর্মকার 

(D) চার্লস উইলকিনস্ 

Ans: (A) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

  1. হাফটোন ব্লকে নির্মিত উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর প্রথম বইটি হল –

(A) ছেলেদের রামায়ণ 

(B) টুনটুনির বই 

(C) সেকালের কথা

(D) ছেলেদের রামায়ণ 

Ans: (C) সেকালের কথা

  1. ‘ আবোল – তাবোল ‘ নামক মজার কবিতার বইটি যে ছাপাখানা থেকে প্রকাশিত হয় তা হল –

(A) রোজারিও কোম্পানি 

(B) ইউ . রায় অ্যান্ড সঙ্গ 

(C) ফেরিস অ্যান্ড কোম্পানি 

(D) ব্যাপটিস্ট মিশনারি প্রেস 

Ans: (B) ইউ . রায় অ্যান্ড সঙ্গ

  1. ছেলেদের রামায়ণ ‘ গ্রন্থটি রচনা করেন –

(A) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী 

(B) যোগীন্দ্রনাথ সরকার 

(C) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর 

(D) রাধাকান্ত দেব 

Ans: (A) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

  1. ইউ . রায় অ্যান্ড সঙ্গ স্থাপিত হয় –

(A) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে 

(B) ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে 

(C) ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে 

(D) ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে 

Ans: (D) ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে

  1. শিবপুর প্রযুক্তি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়—

(A) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে

(B) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে

(C) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে 

(D) ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে 

Ans: A) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে

  1. ‘ বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট ‘ প্রতিষ্ঠিত হয় – 

(A) হাওড়ায় 

(B) কলকাতায় 

(C) রিষড়ায়

(D) বহরমপুরে

Ans: (B) কলকাতায়

  1. ‘ জাতীয় শিক্ষা পরিষদ ‘ গঠিত হয় –

(A) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে 

(B) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে 

(C) ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে

(D) ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে 

Ans: B) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে

  1. জামসেদপুরে লৌহ আকরিকের সম্ভাবনার কথা প্রথম কে বলেন ? 

(A) প্রমথনাথ বসু 

(B) জগদীশচন্দ্র বসু

(C) প্রমথনাথ মিত্র

(D) আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়

Ans: (A) প্রমথনাথ বসু

  1. ভারতের প্রথম বাষ্পীয় ইঞ্জিন তৈরি করেন— 

(A) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(B) রাসবিহারী ঘোষ 

(C) গোলক চন্দ্ৰ 

(D) কালীকৃষ্ণ ঠাকুর 

Ans: (C) গোলক চন্দ্ৰ

  1. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়— 

(A) কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে

(B) বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকালে 

(C) প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে 

(D) অসহযোগ আন্দোলনকালে

Ans: B) বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকালে

  1. রেজিস্ট্রিকৃত জাতীয় শিক্ষা পরিষদের প্রথম সভাপতি ছিলেন –

(A) সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর 

(B) সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় 

(C) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(D) রাসবিহারী বসু 

Ans: (D) রাসবিহারী বসু

  1. বেঙ্গল ন্যাশানাল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ হলেন –

(A) রাজনারায়ণ বসু

(B) সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়

(C) অরবিন্দ ঘোষ 

(D) তারকনাথ পালিত 

Ans: C) অরবিন্দ ঘোষ

  1. শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয় –

(A) ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে 

(B) ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে 

(C) ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে

(D) ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে 

Ans: A) ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে

  1. শান্তিনিকেতনে ব্রষ্মচর্যাশ্রম ( ১৯০১ ) নামক একটি আবাসিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন— 

(A) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

(B) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর 

(C) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর 

(D) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

Ans: A) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  1. যে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৃতির প্রাঙ্গনে শিক্ষা দেওয়া হয়— 

(A) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় 

(B) কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় 

(C) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় 

(D) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় 

Ans: (D) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়

  1. শান্তিনিকেতনে যে দিনটি বৃক্ষরোপণ উৎসব ‘ হিসাবে পালিত হয়— 

(A) ১ বৈশাখ

(B) ২২ শ্রাবন 

(C) ২৫ বৈশাখ

(D) ৩০ আশ্বিন

Ans: B) ২২ শ্রাবন

  1. বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেন—

(A) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর 

(B) স্বামী বিবেকানন্দ 

(C) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

(D) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর 

Ans: (C) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  1. বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়— 

(A) ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে 

(B) ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে 

(C) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে 

(D) ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে 

Ans: (D) ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে

  1. ‘ বিশ্বভারতী ‘ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য কে ছিলেন ? 

(A) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

(B) রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

(C) সোমেন্দ্রনাথ ঠাকুর 

(D) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

Ans: (A) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  1. বাংলা ভাষায় প্রথম ছাপা বই হল –

(A) বর্ণপরিচয় 

(B) আ গ্রামার অফ দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ 

(C) মঙ্গল সমাচার মতিয়ের 

(D) অন্নদামঙ্গল 

Ans: (B) আ গ্রামার অফ দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ

[ আরোও দেখুন:- Madhyamik All Subjects Suggestion 2024 Click here ]

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer : 

  1. পৃথিবীর প্রাচীনতম গ্রন্থটি কী ? 

Ans: পৃথিবীর প্রাচীনতম গ্রন্থ হীরকসূত্র ।

  1. বাংলায় ছাপাখানার উদ্ভব কবে হয় ? 

Ans: বাংলায় ছাপাখানার উদ্ভব হয় ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে । 

  1. বাংলায় কোথায় প্রথম ছাপাখানা স্থাপিত হয় ? 

Ans: বাংলায় হুগলিতে প্রথম ছাপাখানা স্থাপিত হয় ? 

  1. ‘ আ গ্রামার অব্ দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ ‘ গ্রন্থটির রচয়িতা 

কে ? 

Ans: ‘ আ গ্রামার অব্ দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ ‘ গ্রন্থটির রচয়িতা ব্রাসি হ্যালহেড । 

  1. ‘ হ্যালহেড – এর গ্রন্থ ‘ আ গ্রামার অব্ দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ গ্রন্থের বাংলা হরফের ছাঁচ কে তৈরি করেন ? 

Ans: হ্যালহেড – এর গ্রন্থ ‘ আ গ্রামার অব্ দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গোয়েজ ’ গ্রন্থের বাংলা হরফের ছাঁচ তৈরি করেন চার্লস উইলকিনস্ । 

  1. ‘ বাংলার গুটেনবার্গ ’ নামে কে পরিচিত ? 

Ans: চার্লস উইলকিনস্ বাংলার গুটেনবার্গ নামে পরিচিত ৷ 

  1. বাংলার কোথায় প্রথম ছাপাখানার উদ্ভব হয় ? 

Ans: বাংলার প্রথম ছাপাখানার উদ্ভব হয় হুগলিতে । 

  1. হ্যালহেড – এর রচিত ব্যাকরণ গ্রন্থটি কোথায় মুদ্রিত হয় ?  

Ans: হ্যালহেড – এর রচিত ব্যাকরণ গ্রন্থটি মুদ্রিত হয় হুগলির জন এন্ড্রুজ – এর ছাপাখানায় । 

  1. বাংলায় ছাপাখানা উদ্ভবের পিছনে একজন বিখ্যাত পৃষ্ঠপোষকের নাম লেখো । 

Ans: বাংলায় ছাপাখানা উদ্ভবের পিছনে একজন বিখ্যাত পৃষ্ঠপোষক হলেন ওয়ারেন হেস্টিংস । 

  1. কোম্পানির প্রেস করে প্রতিষ্ঠিত হয় ? 

Ans: কোম্পানির প্রেস প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে । 

  1. কার উদ্যোগে কোম্পানির প্রেস প্রতিষ্ঠিত হয় ? 

Ans: চার্লস উইলকিনস্ – এর উদ্যোগে কোম্পানির প্রেস প্রতিষ্ঠিত ।

  1. কলকাতায় ছাপাখানার জন্য মুদ্রাক্ষর ঢালাই কারখানা কে প্রতিষ্ঠা করেন ? 

Ans: কলকাতায় ছাপাখানার জন্য মুদ্রাক্ষর ঢালাই কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন চার্লস উইলকিনস্ । 

  1. চার্লস উইলকিনস্ – এর একজন উল্লেখযোগ্য সহযোগীর নাম লেখো ।

Ans: চার্লস উইলকিনস্ – এর একজন উল্লেখযোগ্য সহযোগী পঞ্চানন কর্মকার । 

  1. পঞ্চানন কর্মকার কী জন্য বিখ্যাত ?

Ans: পঞ্চানন কর্মকার একজন বিখ্যাত মুদ্রাক্ষর ঢালাইকারী । 

  1. ভারতের প্রথম সংবাদপত্রের নাম কী ? 

Ans: ভারতের প্রথম সংবাদপত্রের নাম ‘ হিকি’জ বেঙ্গল গেজেট ‘ । 

  1. ‘ হিকি’জ বেঙ্গল গেজেট ’ করে প্রকাশিত হয় ? 

Ans: ‘ হিকি’জ বেঙ্গল গেজেট ‘ প্রকাশিত হয় ২৯ জানুয়ারি , ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে । 

  1. ‘ ফেরিস অ্যান্ড কোম্পানি ’ কী ? 

Ans: ‘ ফেরিস অ্যান্ড কোম্পানি ‘ উনিশ শতকের কলকাতার একটি বিখ্যাত ছাপাখানা । 

  1. শ্রীরামপুর মিশন প্রেস করে প্রতিষ্ঠিত হয় ? 

Ans: শ্রীরামপুর মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে । 

  1. শ্রীরামপুর মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠাকারীদের একজনের নাম লেখো । 

Ans: শ্রীরামপুর মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠাকারীদের মধ্যে একজনের নাম হল উইলিয়াম কেরি । 

  1. উইলিয়াম কেরি , মার্শম্যান , ওয়ার্ড এই তিনজন একত্রে কী নামে পরিচিত ? 

Ans: উইলিয়াম কেরি , মার্শম্যান , ওয়ার্ড এই তিনজন একত্রে ‘ শ্রীরামপুর এয়ী ’ নামে পরিচিত । 

  1. ‘ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ‘ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ।

Ans: ‘ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ‘ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ।

  1. কে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ? 

Ans: ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলি । 

  1. শর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কোথায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ? 

Ans: লর্ড ওয়েলেসলি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন । 

  1. ‘ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত একটি গ্রন্থের নাম লেখো ।

Ans: ‘ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত একটি গ্রন্থের নাম ‘ হিতোপদেশ ‘ । 

  1. কে ‘ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি ‘ প্রতিষ্ঠা করেন ? 

Ans: ‘ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি ’ প্রতিষ্ঠা করেন ডেভিড হেয়ার । 

  1. ‘ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি ‘ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?

Ans: ‘ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি ’ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮১৭ খ্রি .। 

  1. কোন্ প্রতিষ্ঠান বাংলায় ‘ পৃথিবীর মানচিত্র ছাপানোর উদ্যোগ নেয় ? 

Ans: ‘ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি ‘ বাংলায় পৃথিবীর মানচিত্র ছাপানোর উদ্যোগ নেয় । 

  1. কবে বাংলায় ‘ পৃথিবীর মানচিত্র ’ ছাপানো হয় ? 

Ans: ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় ‘ পৃথিবীর মানচিত্র ’ ছাপানো হয় । 

  1. ইপ্সরাজি ও বাঙ্গালি বোকেবিলরি ‘ কবে প্রকাশিত হয় ?

Ans: ইঙ্গরাজি ও বাঙ্গালি বোকেবিলরি ’ প্রকাশিত হয় ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে ।

  1. ইারাজি ও বাঙ্গালি বোকেবিলরি কোন প্রেস থেকে মুদ্রিত হয় ? 

Ans: ইঙ্গরাজি ও বাঙ্গালি বোকেবিলরি ‘ মুদ্রিত হয় ক্যালকাটা ক্রনিকল প্রেস থেকে ।

  1. বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র কোনটি ? 

Ans: বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র ‘ সমাচার দর্পণ ‘ । 

  1. ‘ ইন্ডিয়ান মিরর ‘ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন ? 

Ans: ‘ ইন্ডিয়ান মিরর ‘ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন কেশবচন্দ্র সেন ।

  1. ‘ বিবিধার্থ সংগ্রহ ‘ পত্রিকাটি কে সম্পাদনা করেন ? 

Ans: ‘ বিবিধার্থ সংগ্রহ ‘ পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন রাজেন্দ্রলাল মিত্র । 

  1. পিয়ারসনের ‘ বাক্যাবলী ‘ , ২ য় সংস্করণ করে প্রকাশিত হয় ? 

Ans: পিয়ারসনের ‘ বাক্যাবলী ‘ , ২ য় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে । 

  1. ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ‘ পদ্মাবলী ‘ নামক গ্রন্সের রচয়িতা কে ? 

Ans: ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ‘ পদ্মাবলী ‘ নামক গ্রন্থের রচয়িতা ।

  1. রাধাকান্ত দেব , তারিণী মিত্র , রামকমল সেন সম্পাদিত নীতিকথা ‘ — ১ ম ভাগ কবে প্রকাশিত হয় ? 

Ans: রাধাকান্ত দেব , তারিণী মিত্র , রামকমল সেন সম্পাদিত ‘ নীতিকথা ‘ — ১ ম ভাগ প্রকাশিত হয় ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে ।

  1. ‘ বেঙ্গলী স্পেলিং বুক ‘ ( ১৮১৮ খ্রি . ) গ্রন্থটির রচয়িতা কে ? 

Ans: বেঙ্গলী স্পেলিং বুক ‘ ( ১৮১৮ খ্রি . ) গ্রন্থটির রচয়িতা রাজা রাধাকান্ত দেব । 

  1. ছাপাখানার ব্যাবসায়িক উদ্যোগের ক্ষেত্রে প্রথম উদাহরণ কোনটি ? 

Ans: ছাপাখানার ব্যাবসায়িক উদ্যোগের ক্ষেত্রে প্রথম উদাহরণ ‘ হিন্দুস্থানি প্রেস ‘ ( ১৮০২ খ্রি . ) প্রতিষ্ঠা । 

  1. খিদিরপুরের সংস্কৃত প্রেস ’ করে প্রতিষ্ঠিত হয় ? 

Ans: খিদিরপুরের সংস্কৃত প্রেস ’ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে । 

  1. কোন্ ছাপাখানা থেকে রামমোহন রায়ের ‘ কঠোপনিষৎ ‘ গ্রন্থটি মুদ্রিত হয় ? 

Ans: রামমোহন রায়ের ‘ কঠোপনিষৎ ‘ গ্রন্থটি ‘ বাঙ্গালি প্রেস ‘ থেকে মুদ্রিত হয় । 

  1. উনিশ শতকের একটি ছাপাখানার নাম লেখো । 

Ans: শাঁখারিটোলার মহেন্দ্রলাল প্রেস উনিশ শতকের একটি ছাপাখানা । 

  1. বিদ্যাসাগর ও মদনমোহন তর্কালঙ্কারের প্রতিষ্ঠিত ছাপাখানার নাম কী ? 

Ans: বিদ্যাসাগর ও মদনমোহন তর্কালঙ্কারের প্রতিষ্ঠিত ছাপাখানার নাম ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ‘ । 

  1. বিদ্যাসাগরের ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ‘ নামক ছাপাখানায় প্রথম মুদ্রিত বইয়ের নাম কী ? 

Ans: ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ‘ নামক ছাপাখানায় প্রথম মুদ্রিত বই ভারতচন্দ্রের ‘ ।

  1. শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে আনন্দের সঙ্গে পাঠগ্রহণের একটি বইয়ের নাম লেখো । 

Ans: শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে আনন্দের সঙ্গে পাঠগ্রহণের একটি বই হল লসন – এর রচিত ‘ পশ্বাবলী ‘ । 

  1. ‘ বর্ণপরিচয় ‘ নামক শিশুপাঠ্যগ্রন্থের রচয়িতা কে ? 

Ans: ‘ বর্ণপরিচয় ‘ নামক শিশুপাঠ্যগ্রন্থের রচয়িতা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ।

  1. ‘ বর্ণপরিচয় ‘ প্রথম ভাগ করে প্রকাশিত হয় ? 

Ans: ‘ বর্ণপরিচয় ’ প্রথম ভাগ প্রকাশিত হয় ১৩ এপ্রিল , ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে । 

  1. ‘ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ‘ কৰে প্রবর্তিত হয় ? 

Ans: বিশ্ববিদ্যালয় আইন ‘ প্রবর্তিত হয় ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে ।

  1. কে বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস ( ১৯০৪ খ্রি . ) করেন ? 

Ans: লর্ড কার্জন বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস করেন । 

  1. বিকল্প জাতীয়তা শিক্ষা ধারণার উদ্ভব কখন হয় ? 

Ans: বিকল্প জাতীয়তা শিক্ষা ধারণার উদ্ভব হয় ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে স্বদেশী আন্দোলনের সময় । 

  1. জাতীয় শিক্ষা পরিষদ কবে গঠিত হয় ? 

Ans: জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয় ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে । 

  1. বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ কে ছিলেন ? 

Ans: বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন অরবিন্দ ঘোষ । 

  1. বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট কোন্ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ? 

Ans: বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে । 

  1. বোলপুরে শান্তিনিকেতন আশ্রম কে প্রতিষ্ঠা করেন ? 

Ans: বোলপুরে শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর । 

  1. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্য আশ্রম করে । প্রতিষ্ঠা করেন ? 

Ans: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্য আশ্রম ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন । 

  1. ‘ বিশ্বভারতী ’ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? উত্তর ) ‘ বিশ্বভারতী ‘ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে । 
  2. বিশ্বভারতী কবে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয় ? 

Ans: বিশ্বভারতী ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয় ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer : 

  1. বাংলায় ছাপাখানার ইতিহাসের প্রস্তুতিপর্ব বা প্রেক্ষাপট কী ছিল ?

Ans: ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলা হরফে ছাপা হ্যালহেড – এর বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থের আগে প্রায় ১০০ বছর ধরে বিক্ষিপ্তভাবে ছাপার কাজে বাংলা হরফের খুব স্বল্প ব্যবহার হতে থাকে । এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ( ১ ) আতানাসিউস কির্থের রচিত ‘ চায়না ইলাস্ট্রেটা ‘ ( আমস্টারডাম , ১৬৬৭ ) এবং ( ২ ) হ্যালহেডের রচিত ‘ এ কোড অব জেন্টু লজ ‘ ( লন্ডন , ১৭৭৬ খ্রি . ) । এই মুদ্রণগুলি ছিল ব্লক মুদ্রণ , তা সচল ছিল না । 

  1. কবে ও কীভাবে বাংলার ছাপার অক্ষর ব্যবহৃত হয় ? 

অথবা , বাংলা ছাপাখানার ইতিহাসে ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দ গুরুত্বপূর্ণ কেন ? 

Ans: ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রাসি হ্যালহেড ইংরেজ কোম্পানির কর্মচারী বা ইংরেজদের বাংলা শিক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষায় ‘ A Grammar of the Bengal Language ‘ নামক একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন । এই গ্রন্থের মোট পৃষ্ঠার চারভাগের একভাগ অংশে তিনি উদাহরণরূপে কৃত্তিবাস , কাশী দাস ও ভারতচন্দ্রের রচনা থেকে উদ্ধৃত্তি তুলে ধরতে বাংলা হরফ ব্যবহার করেন । এইভাবে প্রথম বাংলা মুদ্রণ বা ছাপার কাজ শুরু হয় । 

  1. বাংলায় ছাপাখানা উদ্ভবের সহায়ক উপাদানগুলি কী ছিল ?

 অথবা , বাংলাদেশে ছাপাখানা প্রসারের কারণ কী ? 

Ans: বাংলায় ছাপাখানা উদ্ভবের সহায়ক উপাদানগুলি হল প্রথমত , ইংরেজ কোম্পানির শাসন প্রতিষ্ঠা ও রেগুলেটিং অ্যাক্ট ( ১৭৭৩ খ্রি . ) প্রবর্তনের ফলে বাংলায় বাংলা ভাষায় সরকারি কাজকর্ম ও সরকারি নির্দেশের প্রয়োজন দেখা দেয় । দ্বিতীয়ত , তৎকালীন গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলা ভাষায় মুদ্রণ বা ছাপার জন্য সরকারি ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দেন । তৃতীয়ত , চার্লস উইলকিনস্ বাংলা মুদ্রণের জন্য বাংলা হরফ নির্মাণ করেন । 

  1. ন্যাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড বিখ্যাত কেন ? 

Ans: ন্যাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড ( ১৭৫১-১৮৩০ খ্রি . ) বিখ্যাত , কারণ প্রথমত , তিনি ইংরেজ কোম্পানীর কর্মচারীরূপে ভারতে আসেন ও মুরশিদাবাদে কাশিমবাজারে যথাকালে তিনি বাংলা শেখেন এবং পরবর্তীকালে ১৩ জন পন্ডিতের সহযোগিতায় হিন্দু আইনশাস্ত্রের অনুবাদ রূপে লেখেন ‘ আ কোড অফ জেন্টু লজ ’ ( ১৭৭৬ খ্রি . ) । দ্বিতীয়ত , তিনি ইংরেজ কোম্পানীর ইংরেজ কর্মচারীদের বাংলা শিক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষায় ‘ আ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গলী ল্যাঙ্গোয়েজ ’ নামক গ্রন্থে বাংলা ভাষার অক্ষরে বেশ কিছু উদ্ধৃতি তুলে ধরেন । এভাবে বাংলা ছাপানোর কাজ শুরু করেন বলে তিনি খুব বিখ্যাত হয়ে আছেন । 

  1. কাকে , কেন ‘ বাংলার গুটেনবার্গ বলা হয় ? 

Ans: চার্লস উইলকিসকে ( ১৭৪৯-১৮৩৬ খ্রি . ) ‘ বাংলার প্লুটেনবার্গ ‘ বলা হয় , কারণ প্রথমত , তিনি ছিলেন একজন টাইপোগ্রাফার , প্রাচ্যবাদী ( ভাগবত গীতার প্রথম ইংরেজি অনুবাদক ) ও এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং পঞ্চানন কর্মকারের সহযোগিতায় প্রথম সচল বাংলা মুদ্রাক্ষর নির্মাতা । দ্বিতীয়ত , চার্লস উইলকিনস্ ছিলেন বাংলা হরফ বিশেষজ্ঞ , তিনি নিজ উদ্যোগেই বেশ কিছু বাংলা হরফ ঢালাই করেছিলেন এবং একারণেই তাঁর বন্ধু হ্যালহেড ও তৎকালীন গভর্ণর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসের অনুরোধে হ্যালহেডের ব্যাকরণের জন্য প্রথম বাংলা ছাপার হরফ প্রবর্তন করেন । তৃতীয়ত , বাংলা অক্ষরের বাঁক বা অনিয়মিত উচ্চতা বা ভিন্ন ভিন্ন ধরনের আকার ও বৈশিষ্ট্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা হরফে ছাঁচ নির্মাণ ও হরফ ঢালাই – এর জটিল এই কাজটি করেন উইলকিনস্ ।

  1. চার্লস উইলকিনস বিখ্যাত কেন ? 

Ans: প্রাচ্যবাদী পণ্ডিত চার্লস উইলকিনস্ বিখ্যাত , কারণ প্রথমত , তিনি পঞ্চানন কর্মকারের সহযোগিতায় বাংলা মুদ্রাক্ষর খোদাই এবং অক্ষর ঢালাই – এর কাজ করেন । দ্বিতীয়ত , তাঁর তৈরি বাংলা মুদ্রাক্ষরের সাহায্যেই হ্যালহেড তাঁর বাংলা গ্রামার বইটিতে উদাহরণরূপে বাংলা মুদ্রণের ব্যবস্থা করেন । তাই তিনি ‘ বাংলার গুটেনবার্গ ‘ নামে পরিচিত । 

  1. বাংলার ছাপাখানার বিকাশে পঞ্চানন কর্মকারের ভূমিকা কী ছিল ? 

Ans: পঞ্চানন কর্মকার বিখ্যাত ছিলেন , কারণ— প্রথমত , বাংলা মুদ্রাক্ষর তৈরির ক্ষেত্রে উইলকিনস্ত্রে সহযোগী ছিলেন হুগলি নিবাসী মুদ্রাক্ষর শিল্পী পঞ্চানন কর্মকার । দ্বিতীয়ত , তাঁর তৈরি মুদ্রাক্ষর হ্যালহেডের বাংলা ব্যাকরণে এবং পরবর্তীকালে ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে ‘ কর্নওয়ালিশ কোড ‘ – এর বাংলা সংস্করণেও ব্যবহৃত হয় । তৃতীয়ত , তাঁর প্রচেষ্টাতেই বাংলা হরফ নির্মাণ একটি স্থায়ী শিল্পে পরিণত হয় । 

  1. বাংলা ছাপার হরফের বিবর্তন চিহ্নিত করো । 

Ans: বাংলা ছাপার হরফের বিবর্তন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে প্রথমত , হ্যালহেড রচিত বাংলা গ্রামার বইয়ের হরফগুলি ছিল আকারে বেশ বড়ো ও উচ্চতায় ৪.৫ মি.মি .। দ্বিতীয়ত , ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তীকালে হরফের গঠন , স্পষ্টতা , আকার ও উচ্চতা হ্রাস করে হরফকে একটি আদর্শরূপদানের চেষ্টা শুরু হয় । তৃতীয়ত , উনিশ শতকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মুদ্রনের ক্ষেত্রে বাংলা হরফের মধ্যে শৃঙ্খলা আনতে স্বরবর্ণ , ব্যাল্গুনবর্ণ , স্বরযুক্ত ব্যাল্গুনবর্ণ এবং যুক্ত ব্যাল্গুন ও স্বরযুক্ত ব্যাঞ্জনবর্ণের জন্য পৃথক পৃথক হরফের পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন করেন । 

  1. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কীভাবে বাংলা মুদ্রণশিল্পে গতি এনেছিল । 

Ans: ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ যেভাবে বাংলা মুদ্রণ শিল্পে গতি এনেছিল তা হল প্রথমত , প্রশাসনিক প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠিত ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের সিভিলিয়ানদের ইংরেজির পাশাপাশি দেশীয় ভাষাতেও শিক্ষাদানের জন্য বাংলায় মুদ্রিত পাঠ্যপুস্তকের প্রয়োজন দেখা দেয় । দ্বিতীয়ত , ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ শ্রীরামপুর মিশনের ছাপাখানা সহ সংস্কৃত প্রেস , হিন্দুস্থানি প্রেস – এ বাংলা বই ছাপার বরাত ( Order ) দিলে বাংলা মুদ্রণ শিল্পে গতির সৃষ্টি হয় । 

  1. গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য বিখ্যাত কেন ? 

Ans: গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য বিখ্যাত ছিলেন , কারণ প্রথমত , তিনি প্রথম জীবনে ছিলেন শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেসের একজন কর্মী ( কম্পোজিটর ) । দ্বিতীয়ত , মতানৈক্যের কারণে তিনি শ্রীরামপুর প্রেস ত্যাগ করে কলকাতায় এসে অন্যের ছাপাখানা থেকে বেশ কিছু বই ছাপিয়ে প্রকাশ করেছিলেন । তৃতীয়ত , হরচন্দ্র রায়ের সঙ্গে যৌথভাবে কলকাতার চোরবাগান স্ট্রিটে ‘ বাঙ্গাল গেজেটি প্রেস ‘ স্থাপন করেন ( ১৮১৮ খ্রি . ) এবং ‘ বাঙ্গাল গেজেটি ’ নামক সংবাদপত্র প্রকাশ করেন ( ১৮১৮ খ্রি . ) । 

  1. ‘ শ্রীরামপুর ত্রয়ী ’ বিখ্যাত কেন ? 

অথবা , শ্রীরামপুর ত্রয়ী কারা ? 

Ans: শ্রীরামপুর মিশনের উইলিয়াম কেরি , জে . মার্শম্যান এবং উইলিয়াম ওয়ার্ড একত্রে ‘ শ্রীরামপুর এয়ী ’ নামে পরিচিত । এঁরা ছিলেন খুব বিখ্যাত , কারণ প্রথমত , এঁদের উদ্যোগে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটে । দ্বিতীয়ত , এঁরা ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠা করলে বাংলায় মুদ্রণ শিল্পেরও বিকাশ ঘটে । মার্শম্যান কোন্ দুটি পত্রিকা করে বের করেন ? উত্তর ) মার্শম্যান ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে ‘ দিগ্‌দর্শন ’ নামক মাসিক পত্রিকা এবং ‘ সমাচার দর্পণ ‘ নামে সাপ্তাহিক পত্রিকা বের করেন । 

  1. ছাপা বই শিক্ষার প্রসারে কী ভূমিকা নিয়েছিল ? 

অথবা , ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষা বিস্তারের দুটি সম্বন্ধ লেখো । 

Ans: ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষা বিস্তারের দুটি সম্বন্ধ হল প্রথমত , বাংলায় ছাপাখানার উদ্ভবের আগে জ্ঞান বা শিক্ষাজগৎ ছিল হাতে লেখা পুথি বা মুখস্থবিদ্যার উপর নির্ভরশীল , কিন্তু ছাপা বইয়ের ফলে মুষ্টিমেয় ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ জ্ঞান অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এবং স্কুল – কলেজ শিক্ষাসহ গণ শিক্ষার প্রসার ঘটে । দ্বিতীয়ত , ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ , শ্রীরামপুর মিশন , স্কুল বুক সোসাইটির উদ্যোগে বাংলায় পাঠ্যপুস্তক রচনা ও পরিবেশনার কাজও শুরু হয় । 

  1. ছাপাখানা কীভাবে গণশিক্ষার প্রসারে সাহায্য করে ?

Ans: ছাপাখানার ফলে গণশিক্ষারও প্রসার ঘটে প্রথমত , কৃত্তিবাসী রামায়ণ , কাশীদাসী মহাভারত প্রভৃতি ধর্মগ্রন্থ । দ্বিতীয়ত , বিচিত্র ধর্মী বিষয়ের ওপর রচিত গ্রন্থ । তৃতীয়ত , ‘ সমাচারদর্পণ ‘ ও ‘ সংবাদ প্রভাকর ‘ – এর মতো বাংলাভাষায় প্রকাশিত পত্রপত্রিকা মানুষের মধ্যে জ্ঞানের ও শিক্ষার প্রসার ঘটায় । 

  1. ‘ হিকি’জ বেঙ্গল গেজেট ‘ কী ? 

অথবা হিকির বেঙ্গাল গেজেট কী ? 

Ans: ছাপাখানার উদ্ভব বাংলায় সংবাদপত্রের যুগের সূচনা করেছিল এবং এরই পরিণতি ছিল জেমস অগাস্টাস হিকি কর্তৃক ‘ হিকি’জ বেঙ্গল গেজেট প্রকাশ । এটি— প্রথমত , এটি ছিল চার পাতার সাপ্তাহিক পত্রিকা যার প্রথম দশটি সংখ্যা কোম্পানির প্রেস থেকে ছাপা হয়েছিল । দ্বিতীয়টি , এটি ছিল জেমস অগাস্টাস হিকির দ্বারা সম্পাদিত সাপ্তাহিক সংবাদপত্র । 

  1. হিকির ছাপাখানা বিখ্যাত কেন ? 

Ans: কলকাতা ব্যক্তিগত মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত জেমস অগাস্টাস হিকির ছাপাখানা ( ১৭৮০ খ্রি . ) ছিল বিখ্যাত , কারণ— প্রথমত , হিকির কথায় তিনি ছিলেন সম্মানীয় ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সামরিক প্রাক্তন ( late ) মুদ্রাকর , কারণ তাঁর ছাপাখানায় কোম্পানির সামরিক বিল ও বাণিজ্যিক বাট্টা সংক্রান্ত কাগজপত্র ছাপানো হত । দ্বিতীয়ত , ভারতের প্রথম সংবাদপত্র ‘ হিকিজ গেজেট ‘ ( চার পাতার সাপ্তাহিক পত্রিকা ) এর প্রথম দশটি সংখ্যা ‘ কোম্পানীর প্রেস ’ – এ ছাপানো হলেও পরে তিনি নিজের এই ছাপাখানা থেকেই এই পত্রিকা প্রকাশ করেন । তৃতীয়ত , এই ছাপাখানাকে কেন্দ্র করেই ব্যবসায়ী – মুদ্রণকারী হিকি ‘ সাংবাদিক – হিকি’তে পরিণত ( trader printer turned journalist ) হয় । 

  1. ছাপাখানার প্রসারে স্কুল বুক সোসাইটি বিখ্যাত কেনো ? 

Ans: ছাপাখানার প্রসারে স্কুল বুক সোসাইটি বিখ্যাত , কারণ— প্রথমত , ডেভিড হেয়ারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ( ১৮১৭ খ্রি . ) স্কুল বুক সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল অল্প খরচে শিশু ও শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা । দ্বিতীয়ত , ডেভিড হেয়ার আমৃত্যু স্কুল বুক সোসাইটির মাধ্যমে বাংলা পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজে ব্রতী ছিলেন । তৃতীয়ত , এই সোসাইটি নিজের ছাপাখানার পাশাপাশি শ্রীরামপুর মিশন প্রেস সহ অন্যান্য প্রেসেও বই ছাপানোর ব্যবস্থা করেছিল । 

  1. ব্যাবসায়িক ভিত্তিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার কারণ কী ছিল ? 

Ans: ব্যাবসায়িক ভিত্তিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার কারণগুলি হল প্রথমত , শিক্ষাবিস্তার , ধর্ম ও সমাজ সংস্কারের প্রয়োজনে বাংলা ভাষায় পাঠ্যপুস্তক ও প্রচারপুস্তিকার চাহিদা বৃদ্ধি পায় । দ্বিতীয়ত , শিক্ষাবিস্তার , ধর্ম ও সমাজ সংস্কারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি জীবিকার্জনের ব্যবস্থা ও শিক্ষাদরদি হয়ে ওঠাও ছিল অন্যতম কারণ । উদাহরণরূপে মদনমোহন তর্কালংকার ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কথা বলা যায় । 

  1. মদনমোহন তর্কালংকার কেন বিখ্যাত ? 

Ans: মদনমোহন তর্কালংকার ( ১৮১৭-১৮৫৮ খ্রি . ) বিখ্যাত ছিলেন , কারণ— প্রথমত , তিনি ছিলেন বাঙালি কবি ও সংস্কৃত পণ্ডিত এবং সংস্কৃত কলেজে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সহপাঠী ও সংস্কৃত কলেজের সাহিত্যের অধ্যাপক । দ্বিতীয়ত , তাঁর রচিত ‘ শিশুশিক্ষা ‘ ( ১৮৪৯-৫০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ) প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ ছিল শিশুপাঠ্যগ্রন্থ যা বাংলা ছাপাখানার ইতিহাসে নবযুগের সূচনা করেছিল । তৃতীয়ত , ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে বন্ধু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে তিনি যৌথভাবে ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ’ নামক ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । 

  1. ছাপাখানার ইতিহাসে বিদ্যাসাগরের নাম স্মরণীয় কেন ?

Ans: ছাপাখানার ইতিহাসে বিদ্যাসাগরের ( ১৮২০-১৮৯০ খ্রি . ) নাম স্মরণীয় , কারণ প্রথমত , সংস্কৃত পন্ডিত ও সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ এবং শিক্ষাদরদি ও মানবতাবাদী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন ১৮৫০ – এর দশকে বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি । দ্বিতীয়ত , বন্ধু মদনমোহন তর্কালংকারের সঙ্গে তিনি যৌথভাবে ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটে ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ‘ নামে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন । তৃতীয়ত , পরবর্তীকালে তিনি সংস্কৃত যন্ত্রের একক মালিক হন । এবং এখান থেকে ‘ বর্ণপরিচয় ‘ প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ প্রকাশ করে শিশুশিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন । 

  1. ‘সংস্কৃত যন্ত্র বিখ্যাত কেন ? 

Ans: ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ’ বিখ্যাত ছিল , কারণ— প্রথমত , ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে পণ্ডিত মদনমোহন তর্কালঙ্কার ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এই দুই শিক্ষাদরদি ও মানবতাবাদী কলকাতার ৬২ নং আমহার্স্ট স্ট্রিটে যৌথভাবে ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ’ নামক ছাপাখানাটি প্রতিষ্ঠা করেন । পরবর্তীকালে বিদ্যাসাগর এই ছাপাখানার একক মালিকানা স্বত্ব লাভ করেন এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এই প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ‘ বিদ্যাবণিক ’ – এ উন্নীত হন । দ্বিতীয়ত , উনিশ শতকে ছাপাখানার ইতিহাসে বিখ্যাত এই ছাপাখানা থেকে ভারতচন্দ্রের ‘ অন্নদামঙ্গল’সহ বিদ্যাসাগরের রচিত বিভিন্ন গ্রন্থ ( যেমন – বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয় ১ ম ও ২ য় ভাগ ) প্রকাশিত হয় । 

  1. প্রকাশনা জগতে ‘ বর্ণপরিচয় ‘ – এর গুরুত্ব কী ? 

Ans: প্রকাশনা জগতে ‘ বর্ণপরিচয় ‘ – এর গুরুত্বগুলি হল প্রথমত , ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ‘ বর্ণপরিচয় ছিল একটি শিশুপাঠ্যপুস্তক যা আজও জনপ্রিয় । দ্বিতীয়ত , এখানে বাংলা স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ নির্দিষ্ট করা হয় । তৃতীয়ত , এই বইয়ে ব্যবহৃত বাংলা হরফ প্রকাশনা জগতে একটি আদর্শ হরফ ব্যবস্থার প্রবর্তন করে । 

  1. বাংলার মুদ্রণের ইতিহাসে বটতলা প্রকাশনার গুরুত্ব কী ?

Ans: উনিশ শতকে ছাপাখানা জগতে ১৮৪০-১৮৭০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালে কলকাতার চোরবাগান , শোভাবাজার , দর্জিপাড়া , জোড়াসাঁকো প্রভৃতি স্থান জুড়ে যেসব প্রকাশনা চলত তা বটতলার প্রকাশনা নামে পরিচিত । এর দিকগুলি হল প্রথমত , সস্তায় বিচিত্র বিষয় ও বিচিত্র রকমের ধর্মকথা ও অশ্লীল কথাযুক্ত বাংলা বই ছাপা ছিল এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য । দ্বিতীয়ত , এই প্রকাশনার ক্ষেত্রে বিখ্যাত প্রকাশক ছিলেন । বিশ্বম্ভর দেব ও ভবাণীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এঁদের প্রকাশিত পৌরাণিক ঐতিহাসিক গ্রন্থ সমকালীন বাবুসমাজ সহ শিক্ষিত মানুষের জ্ঞান পিপাসা মেটাতে সাহায্য করেছিল । 

  1. ছাপাখানা প্রবর্তনের গুরুত্ব কী ? 

Ans: বাংলায় ছাপাখানা প্রবর্তনের ফলে প্রথমত , বাংলা ভাষায় জ্ঞানের এবং শিক্ষার বিস্তার ঘটে । দ্বিতীয়ত , ছাপাখানা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে কলকাতা কেন্দ্রিক নতুন নতুন পেশার উদ্ভব ঘটে । তৃতীয়ত , বাংলার সমাজ ও ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে বিভিন্নধর্মী পত্রপত্রিকা ও সাহিত্যের বিকাশ হয় । 

  1. ছাপাখানা জগতে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী বিখ্যাত কেন ? 

Ans: বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক ও চিত্রকর উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ( ১৮৬৩-১৯১৫ খ্রি . ) ছাপাখানা জগতে বিখ্যাত ছিলেন , কারণ প্রথমত , তাঁর রচিত ‘ ছেলেদের রামায়ণ ‘ গ্রন্থটির মুদ্রণ তাঁর পছন্দ না হওয়ায় তিনি ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে একটি ছাপাখানা ও প্রকাশনা সংস্থা খুলেছিলেন যা পরবর্তীকালে ইউ এন রায় অ্যান্ড সঙ্গ ‘ নামে পরিচিত হয় ( ১৮৯৫ খ্রি . ) । দ্বিতীয়ত , তিনি ছাপাখানার জন্য বিভিন্ন নতুন ও উন্নত পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন । যেমন , হাফটোন ব্লক প্রিন্টিং , রে – টিন্ট সিস্টেম । 

  1. বাংলার ছাপাখানার বিকাশে সুকুমার রায়ের ভূমিকা কী ছিল ? 

Ans: বাংলার ছাপাখানার বিকাশে সুকুমার রায়ের ভূমিকা হল প্রথমত , তিনি ছিলেন বিখ্যাত মুদ্রাকর উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর সন্তান এবং ইউ এন রায় অ্যান্ড সঙ্গ ‘ প্রকাশনা সংস্থার উত্তরাধিকারী । দ্বিতীয়ত , তিনি পিতা উপেন্দ্রকিশোরের অনুপ্রেরণায় ফটোগ্রাফি ও প্রিন্টিং টেকনোলজিতে উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ গুরু প্রসন্ন ঘোষ স্কলারশিপ ‘ লাভ করে লন্ডনে যান । তৃতীয়ত , দেশে প্রত্যাবর্তন করে সুকুমার রায় তাঁদের প্রকাশনা সংস্থার ও নিজের রচিত সাহিত্য কীর্তি প্রকাশের ব্যবস্থা করে । অনবদ্য কীর্তি অর্জন করেন ।

  1. ইউ এন রায় অ্যান্ড সঙ্গ ?

Ans: উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন যা পরবর্তীকালে ‘ ইউ এন রায় অ্যান্ড সঙ্গ ‘ নামে পরিচিত হয় ( ১৮৯৫ খ্রি . ) । প্রথমত , বিদেশি সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এখানে হাফটোন ব্লকে ছাপা হত ; দ্বিতীয়ত , তিন – চার রকম রং ব্যবহার করে ছোটোদের জন্য মজার বই প্রকাশ করা ছিল এই প্রকাশনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য , তৃতীয়ত , এই প্রকাশনা থেকেই ছোটোদের পত্রিকা ‘ সন্দেশ ‘ প্রকাশিত ( ১৯১৩ খ্রি . ) হয়েছিল ।

  1. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর একটি পত্রিকা ও একটি গ্রন্থের নাম লেখো । 

Ans: উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর একটি পত্রিকার নাম ‘ সন্দেশ ‘ ( ১৯১৩ খ্রি . ) এবং একটি গ্রন্থের নাম হল – ‘ ছেলেদের রামায়ণ ‘ / ‘ ছেলেদের মহাভারত ‘ / ‘ টুনটুনির বই ‘ । 

  1. ব্রিটিশ শাসনপর্বে কীভাবে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার প্রাথমিক বিকাশ ঘটে ? 

Ans: ব্রিটিশ শাসনপর্বে যেভাবে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার প্রাথমিক বিকাশ ঘটে তা হল প্রথমত , বিভিন্ন ধরনের জরিপ , সমীক্ষা ও মানচিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও কারিগরি ব্যবস্থার বিকাশ ঘটে । দ্বিতীয়ত , অষ্টাদশ শতকে এশিয়াটিক সোসাইটি ও বোটানিক্যাল গার্ডেন এবং উনিশ শতকে অ্যাগ্রো- হর্টিকালচারাল সোসাইটি ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার প্রাথমিক বিকাশ ঘটে । তৃতীয়ত , ডিরোজিও গোষ্ঠীর কয়েকজন সদস্য রাধানাথ শিকদার , প্রমথনাথ বসু , অক্ষয়কুমার দত্ত , বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের উদ্যোগে বিজ্ঞানচর্চার বিকাশ ঘটেছিল । 

  1. ব্রিটিশ শাসনপর্বে সার্ভে বা জরিপ ব্যবস্থার গুরুত্ব কী ?

Ans: ব্রিটিশ শাসনপর্বে সার্ভে বা জরিপ ব্যবস্থার গুরুত্বগুলি হল প্রথমত , ব্রিটিশ শাসনপর্বে ফ্রাঙ্কল্যান্ড ও হগ্‌ ক্যামেরন ২৪ পরগনার জমি জরিপ করেন এবং ১৭৭০ – র দশকে জেমস রেনেল বাংলার নদীপথগুলি জরিপ করে মোট ১৬ টি মানচিত্র তৈরি করেন । দ্বিতীয়ত , জরিপ ও মানচিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে এদেশের প্রাকৃতিক , বনজ ও জলজ সম্পদ চিহ্নিত করে এদেশকে শোষণের ব্যবস্থা করা হয় ।

  1. বোটানিক্যাল গার্ডেন কে . কেন তৈরি করেন ? 

Ans: শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন তৈরি করেন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সামরিক বাহিনীর অফিসার কর্ণেল রবার্ট কিন্তু ( ২ নভেম্বর ১৭৮৭ খ্রি . ) । এটি তৈরির কারণগুলি হল প্রথমত , সেগুন কাঠ ও মশলার জন্য নতুন চারাগাছ রোপনঃ দ্বিতীয়ত , ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে এই গার্ডেনের নতুন সুপারিনটেন্ডেন্ট উইলিয়াম রক্সবার্গ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির চারাগাছ রোপন করে ভেষজ গার্ডেনে পরিণত করেন । তৃতীয়ত , ভারতের বিখ্যাত উদ্ভিদ ও প্রাণী বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর নামানুসারে ভারত সরকার বর্তমানে এই গার্ডেনের নামকরণ করেছেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন ( ২৫ জুন , ২০০৯ খ্রি . ) । 

  1. রাধানাথ শিকদার কোন বিষয়ে খ্যাতিলাভ করেন ?

Ans: রাধানাথ শিকাদর যে বিষয়ে খ্যাতিলাভ করেন , তা হল প্রথমত , তিনি ছিলেন নব্যবঙ্গগোষ্ঠীর একজন সদস্য ও নিজ উদ্যোগে বিজ্ঞানচর্চার পথিকৃত । দ্বিতীয়ত , তিনি ট্রিগোনোমেট্রিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার কাজে নিযুক্ত হন ও হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের সর্বোচ্চতা পরিমাপ করেন , কিন্তু তাঁর পরিবর্তে জরিপ বিভাগের প্রধান জর্জ এভারেস্ট – এর কৃতিত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় । তৃতীয়ত , রাধানাথ শিকদার পরবর্তীকালে জরিপ ও আবহাওয়া বিভাগের প্রধান কম্পিউটার বা গণক ও সুপারিন্টেন্ডেন্ট হন । 

  1. শিবচন্দ্র নন্দী কেন বিখ্যাত ছিলেন ? 

Ans: শিবচন্দ্র নন্দী বিখ্যাত ছিলেন , কারণ— প্রথমত , প্রথাগত শিক্ষালাভ না করলেও শিবচন্দ্র নন্দী নিজের চেষ্টায় পাশ্চাত্য শিক্ষা অর্জন করেন এবং ইংরেজদের অধীনে আলিপুর টাঁকশালে কেরানির চাকরি গ্রহণ করেন । দ্বিতীয়ত , ভারতে টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা প্রবর্তিত হওয়ার সময় শিবচন্দ্র ইংরেজদের এ ব্যাপারে সাহায্য করেন ও একাজে দক্ষতা অর্জন করেন । পরে ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে তিনি নিজেই কলকাতা থেকে ডায়মন্ডহারবার পর্যন্ত অঞ্চলে টেলিগ্রাফ সংযোগ করেন । 

  1. স্যার রাজেন্দ্রনাথ মুখার্জি কোন্ দুটি কাজের জন্য বিখ্যাত ? 

Ans: স্যার রাজেন্দ্রনাথ মুখার্জি যে দুটি কাজের জন্য বিখ্যাত তা হল প্রথমত , ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল নির্মাণের রূপকাররুপে এবং দ্বিতীয়ত , রামকৃয় মিশন মন্দির নির্মাণের রূপকাররূপে । 

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer : 

1. শ্রীরামপুর মিশন প্রেস কীভাবে ছাপাখানার বিস্তারে সাহায্য করেছিল তা ব্যাখ্যা করো । এ প্রসঙ্গে ছাপাখানার বিস্তারে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অবদানকে চিহ্নিত করো ।

Ans: প্রথম অংশ ছাপাখানার বিস্তার শ্রীরামপুর মিশন : বাংলায় ছাপাখানা ব্যবস্থার বিকাশের ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস । 

মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠা : খ্রিস্টান মিশনারি উইলিয়াম কেরি বাংলা ভাষায় বাইবেল ছাপানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও ( ১৭৯৮ খ্রি . ) তা প্রচুর ব্যয়সাপেক্ষ হওয়ায় নিজেই ছাপাখানা প্রবর্তন করে ছাপানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেন । ইতিমধ্যে শ্রীরামপুর মিশন প্রতিষ্ঠিত হলে ( ১৮০০ খ্রি . ) কেরি এখানেই শ্রীরামপুর মিশন প্রেস স্থাপন করেন । ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যেই এই ছাপাখানা স্বয়ংসম্পূর্ণ ছাপাখানায় পরিণত হয় । 

মিশন প্রেসের উৎপাদন : শ্রীরামপুর মিশন প্রেসের ছাপা বইগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –

 ‘ ধৰ্ম্ম পুস্তক ‘ : প্রাথমিক পর্বে কেরির সহযোগী অভিজ্ঞ ও দক্ষ মুদ্রাকর ওয়ার্ড এবং পঞ্চানন কর্মকার কলকাতা থেকে সংগৃহীত হরফ এবং কিছু পাটনাই ও বিদেশি কাগজ সহযোগে ছাপার কাজ শুরু করেন ।

 নিউ টেস্টামেন্টের প্রথম অধ্যায়টির বাংলা অনুবাদ করে কেরি ১০৭ পৃষ্ঠা বিশিষ্ট ‘ মঙ্গল সমাচার মাতিউর রচিত নামে প্রকাশ করেন । ১৮০১ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারিতে আটশোরও বেশি পৃষ্ঠাযুক্ত ‘ ধৰ্ম্মপুস্তক ‘ বা বাংলা বাইবেল প্রকাশ করেন । 

 অন্যান্য বই : শ্রীরামপুর মিশন প্রেসে রামরাম বসুর রচিত হরকরা ‘ ও ‘ জ্ঞনোদয় ‘ নামক দুটি গ্রন্থ ( আগস্ট সেপ্টেম্বরে , ১৮০০ খ্রি . ) মুদ্রিত হয় । ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই প্রেসে মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের ‘ বত্রিশ সিংহাসন ‘ ( ১৮০২ খ্রি . ) , 8 খণ্ডে কাশীরাম দাসের ‘ মহাভারত ‘ ( ১৮০১-০৩ ) ও পাঁচ খণ্ডে কীর্তিবাসের ‘ রামায়ণ ‘ ( ১৮০২-০৩ ) প্রভৃতি সহ ৪০ টি বিভিন্ন ভাষায় ২,১২,০০০ কপি বই মুদ্রিত হয় । 

 পাঠ্যপুস্তক : শ্রীরামপুর মিশন প্রেসে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তকও মুদ্রিত হয়েছিল । এই সব পুস্তকের রচয়িতা ছিলেন মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার , রামরাম বসু , চণ্ডীচরণ মুন্সী , হরপ্রসাদ রায় প্রমুখ । উপরের আলোচনা থেকে দেখা যায় যে , ধর্মীয় উদ্দেশ্যে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস স্থাপিত হলেও তার উৎপাদনে ধর্মনিরপেক্ষ বিষয়ও ছিল । 

 দ্বিতীয় অংশ : ছাপাখানার বিস্তারে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ : প্রশাসনিক প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠিত ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের সিভিলিয়ানদের ইংরেজির পাশাপাশি দেশীয় ভাষাতেও শিক্ষাদান করা হত । তাই এরকম শিক্ষাদানের জন্য বাংলায় মুদ্রিত পাঠ্যপুস্তকের প্রয়োজনীয়তা থেকেই ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ শ্রীরামপুর মিশনের ছাপাখানা সহ সংস্কৃত প্রেস , হিন্দুস্থানি প্রেস – এ গ্রন্থ ছাপারও বরাত ( Order ) দিত । এভাবেই বাংলা মুদ্রণ শিল্পে গতির সৃষ্টি হয় । 

2. চার্লস উইলকিনস্ ও পঞ্চানন কর্মকার বিখ্যাত কেন ? স্কুল বুক সোসাইটির উদ্যোগে শিক্ষার বিস্তারকে তুমি কীভাবে ব্যাখ্যা করবে ? 

Ans: প্রথম অংশ : চার্লস উইলকিনস্ ও পঞ্চানন কর্মকার : প্রাচ্যবাদী পণ্ডিত চার্লস উইলকিনস্ পঞ্চানন কর্মকারের সহযোগিতায় বাংলা মুদ্রাক্ষর খোদাই এবং অক্ষর ঢালাইয়ের কাজ করেন । তাঁর তৈরি বাংলা মুদ্রাক্ষরের সাহায্যেই হ্যালহেড তাঁর বাংলা গ্রামার বইটিতে উদাহরণরূপে বাংলা মুদ্রণের ব্যবস্থা করেন । তাই তিনি ‘ বাংলার গুটেনবার্গ ” নামে পরিচিত । 

বাংলা মুদ্রাক্ষর তৈরির ক্ষেত্রে উইলকিনসের সহযোগী ছিলেন হুগলি নিবাসী শিল্পী পঞ্চানন কর্মকার । তাঁর তৈরি মুদ্রাক্ষর হ্যালহেডের বাংলা ব্যাকরণে ব্যবহৃত হয় । পরবর্তীকালে ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে ‘ কর্নওয়ালিস্ কোড ‘ – এর বাংলা সংস্করণেও তাঁর তৈরি উন্নত বাংলা মুদ্রাক্ষর ব্যবহার করা হয় । তাঁর প্রচেষ্টাতেই বাংলা হরফ নির্মাণ একটি স্থায়ী শিল্পে পরিণত হয় । 

দ্বিতীয় অংশ : স্কুল বুক সোসাইটির উদ্যোগে শিক্ষার বিস্তার : উনিশ শতকে খ্রিস্টান মিশনারি ও ব্যক্তিগত এবং সরকারি উদ্যোে শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি ছাপাখানা থেকে উৎপাদিত গ্রন্থসমূহের মাধ্যমেও শিক্ষার বিস্তার ঘটে । ডেভিড হেয়ারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘ স্কুল বুক সোসাইটি’র ( ১৮১৭ খ্রি . ) উদ্দেশ্য ছিল বাংলা ভাষায় স্কুল পাঠ্য পুস্তক ছাপানো এবং শিক্ষার্থীদের কাছে তা সরবরাহ করা । এর বিভিন্ন দিকগুলি হল –

 নিজস্ব ছাপাখানা : স্কুল বুক সোসাইটি শিক্ষার বিস্তারের উদ্দেশ্যে কলকাতার সার্কুলার রোডে নিজস্ব ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ছাড়া ও শ্রীরামপুর মিশন প্রেস সহ অন্যান্য প্রেসেও বই ছাপানোর ব্যবস্থা করেছিল ।

 বাংলা ভাষার প্রাধান্য : এই সোসাইটি অন্যান্য ভাষার পুস্তকের পাশাপাশি বাংলা ভাষাতে পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করে । এই সোসাইটি প্রথম চার বছরে ( ১৮১৭-২১ খ্রি . ) বাংলা ভাষাতে ১৯ টি বইয়ের ৭৯,৭৫০ টি কপি মুদ্রণ ও বিপননের ব্যবস্থা করে । 

 মুদ্রণের মানোন্নয়ন : বাংলা ভাষার উন্নতিসাধন এবং বাংলা মুদ্রণের মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে এই সোসাইটির উদ্যোগ ছিল প্রশ্নাতীত । বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে ইংরেজি প্রথানুযায়ী যতিচিহ্নের ব্যবহারের পাশাপাশি বাংলা গ্রন্থের মুদ্রণে ছবি , মানচিত্র , নকশার ব্যবহার শুরু করে ।

 জ্ঞানচর্চার প্রসার : বাংলার ছাপাখানার ইতিহাসে স্কুল বুক সোসাইটির উদ্যোগে বাংলায় ইতিহাস , ভূগোল , জ্যোতির্বিদ্যা পদার্থবিদ্যা , অভিধান , ব্যাকরণ প্রভৃতি বিষয়ে বিশুদ্ধ জ্ঞানের চর্চা শুরু হয় । বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকের প্রবর্তনের ফলে শিক্ষক ও ছাত্রসমাজের কাছে পাশ্চাত্যের জ্ঞানজগতের দরজা উন্মোচিত হয় । 

3. উনিশ শতকের প্রথম তিন দশকে বাংলার মিশনারি প্রেসগুলির মুদ্রণ ব্যবস্থা বিশ্লেষণ করো । এই পর্বের অন্যান্য ছাপাখানাগুলির বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করো ।

Ans: প্রথম অংশ : উনিশ শতকের প্রথমদিকে বাংলার মিশনারি প্রেসসমূহ : উনিশ শতকের শুরুতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি খ্রিস্টান মিশনারিদের উদ্যোগেও বাংলায় ছাপাখানার বিস্তার ঘটেছিল ; যেমন – 

কলকাতার ব্যাপটিস্ট মিশন : শ্রীরামপুর মিশনের নবীন গোষ্ঠী এই মিশন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ইউ কেরি , উইলিয়াম পিয়ার্স । প্রমুখ কলকাতার সার্কুলার রোডে ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেস প্রতিষ্ঠা করেন ( ১৮১৮ খ্রি . ) । এই প্রেস স্কুল বুক সোসাইটির বরাত মতো যেমন বই ছেপেছিল , তেমনি তারা বাংলা মুদ্রণের উন্নতির জন্যও চেষ্টা করেছিল । 

চার্চ মিশন প্রেস : আমহার্স্ট স্ট্রিটের চার্চ মিশন প্রেসে ছাপা উল্লেখযোগ্য বই হল ইংল্যান্ডে ও ঐর্লন্ডে সংস্থাপিত মণ্ডলীর সাধারণ প্রার্থনা ‘ ( ১৮২২ খ্রি . ) । এই বইয়ে ফুলস্টপ সহ বিভিন্ন ইংরেজি যতি – চিহ্নও ব্যবহৃত হয়েছিল । 

বিশপস্ কলেজ প্রেস : শিবপুরের বিশপস্ কলেজ প্রেস ছিল আর – একটি উল্লেখযোগ্য প্রেস । ধর্মীয় পুস্তকের পাশাপাশি এখানে ছাপা বিভিন্ন ধরনের বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বই হল মর্টনের বাংলা ইংরেজি অভিধান ( ১৮২৮ খ্রি . ) । 

দ্বিতীয় অংশ : এই পর্বের অন্যান্য ছাপাখানা : উনিশ শতকের শুরুতে ছাপাখানার জগতে খ্রিস্টান মিশনারিদের পাশাপাশি বেশ কিছু ব্যক্তিগত উদ্যোগও চোখে পড়ে । 

ছাপাখানা : ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের আগে প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত ছাপাখানাগুলি হল— পটলডাঙার সংস্কৃত যন্ত্র , আড়পুলি লেনে হরেন্দ্র রায়ের ছাপাখানা , শোভাবাজারের বিশ্বনাথ দেবের ছাপাখানা , বাঙালি প্রেস প্রভৃতি । এ ছাড়া বউবাজারের লেবেল্ডর সাহেবের ছাপাখানা , শ্রীরামপুরের নীলমণি হালদারের ছাপাখানা ছিল বিখ্যাত । 

প্রকাশনা : এই সমস্ত ছাপাখানা থেকে বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল । হিন্দুস্থানি প্রেস থেকে ‘ ঔষধসার সংগ্রহ ‘ ( ১৮১৯ খ্রি . ) , বাঙ্গালি প্রেস থেকে রামমোহন রায়ের ‘ কঠোপনিষৎ ‘ ( ১৮১৭ খ্রি . ) , হরচন্দ্র রায়ের আড়পুলি লেনের প্রেস থেকে বিভিন্নরকম ধর্মীয় বিশ্বনাথ দেবের প্রেস থেকে রাধাকান্ত দেবের ‘ বাঙ্গালা শিক্ষাগ্রন্থ ‘ ( ১৮২১ খ্রি . ) প্রকাশিত হয় । লিথোগ্রাফের প্রবর্তন ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছাপাখানার বিস্তারের একটি দিক ছিল ‘ লিথোগ্রাফিক ছাপা’র প্রবর্তন । এই ধরনের ছাপা ব্যবস্থায় ছবি , নকশা , মানচিত্র আঁকা সম্ভব হয় । 

প্রকাশনার মানোন্নয়ন : ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত ছাপাখানাগুলিতে মুদ্রণ কৌশল ও মুদ্রণের মানোন্নয়ন ঘটানো এবং প্রকাশনায় শোভনতা বৃদ্ধির দিকেও নজর দেওয়া হয় । এভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে ওঠা ছাপাখানাগুলি মুদ্রণের ক্ষেত্রে বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্যসাধন করে এবং বাংলার মুদ্রণ ব্যবস্থা ক্রমশই আধুনিক হয়ে ওঠার পথে যাত্রা শুরু করে । 

4. বাংলার ছাপাখানা ও মুদ্রণের ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগরের অবদান ব্যাখ্যা করো । ছাপাখানার ফলাফল বা প্রভাবগুলিকে তুমি কীভাবে ব্যাখ্যা করবে ? 

Ans: প্রথম অংশ : মুদ্রণ ব্যবস্থায় বিদ্যাসাগরের অবদান : বিদ্যাসাগর ছিলেন উনিশ শতকের একজন উল্লেখযোগ্য গ্রন্থকার , মুদ্রক ও প্রকাশক । প্রাকৃ – আধুনিক যুগের ছাপাখানার ইতিহাসে বিদ্যাসাগরের অবদানের বিভিন্ন দিক হল – 

গ্রন্থকার রূপে : বিদ্যাসাগর নিজে ছিলেন একজন গ্রন্থকার । তিনি তাঁর লেখা ‘ বেতাল পঞ্চবিংশতি ‘ গ্রন্থটি রোজারিও কোম্পানির ছাপাখানায় ছাপানোর ব্যবস্থা করেন ( ১৮৪৭ খ্রি . ) । পরবর্তীকালে তিনি নিজের রচিত অনেক বই নিজের ছাপাখানাতেই মুদ্রণের ব্যবস্থা করেন । 

মুদ্রাকর রূপে বিদ্যাসাগর : ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যাসাগর তাঁর বন্ধু মদনমোহন তর্কালঙ্কারের সঙ্গে যৌথভাবে ৬২ নং আমহার্স্ট স্ট্রিটে ‘ সংস্কৃত যন্ত্র ‘ নামক একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীকালে তিনি এই ছাপাখানার একক মালিক হন । 

প্রকাশক : সংস্কৃত যন্ত্র ছাপাখানা থেকে বিদ্যাসাগর তাঁর নিজের ও অন্যান্য লেখকের লেখা বই ছাপান । তাঁর রচিত ও প্রকাশিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘ বর্ণপরিচয় ‘ প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ ( যথাক্রমে ১৩ এপ্রিল ও ১৪ জুন , ১৮৫৫ খ্রি . ) । 

পুস্তক বিক্রেতা : উনিশ শতকে বটতলা ও চিনাবাজার এলাকায় বইবাজার গড়ে উঠলেও হিন্দু কলেজ ও সংস্কৃত কলেজ অঞ্চলে বইয়ের দোকান না থাকায় বিদ্যাসাগর এই অঞ্চলে ‘ সংস্কৃত প্রেস ডিপজিটরি ‘ নামে একটি বইয়ের দোকান খোলেন । 

দ্বিতীয় অংশ : বাংলায় ছাপাখানা প্রবর্তনের প্রভাব : ছাপাখানা প্রবর্তনের ফলে বাংলায় দেখা দেয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিপ্লব । 

এগুলি হল > বিদ্যার একচেটিয়া অধিকার নষ্ট : ছাপাখানা প্রবর্তনের আগে বাংলায় ব্রাহ্মণ পণ্ডিত পুরোহিতরাই ছিলেন শাস্ত্রবিদ্যা ও জ্ঞানদানের একচেটিয়া অধিকারী । ছাপাখানার প্রবর্তন হলে ব্রাহ্মণ পণ্ডিত পুরোহিতদের এই অধিকার নষ্ট হয়ে যায় এবং শিক্ষার প্রসার ঘটায় জনগণ ক্রমশই জ্ঞানের অধিকারী হয়ে ওঠে । 

সমাজসংস্কার : সমাজ ও ধর্ম সংস্কারের প্রয়োজনে ভারতের প্রাচীন শাস্ত্রগুলির মুদ্রণ বা বাংলায় অনুবাদ – মুদ্রণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় । আবার বাংলা ভাষায় সংবাদপত্র , প্রচারপত্র বা পুস্তিকার মাধ্যমে সমাজ সংস্কারের পক্ষে মতামত গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয় । 

বিভিন্ন পেশা : ছাপাখানাকে কেন্দ্র করে বই লেখা ও বই ছাপা , বই প্রকাশ , বই ব্যাবসা , বই বাঁধাই – এর মতো বিভিন্ন পেশার উদ্ভব ঘটে । এভাবে মুদ্রণ ব্যবস্থা বাংলার আর্থ – সামাজিক জীবনের ওপরেও প্রভাব বিস্তার করে । 

5. ভারতে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে দেশীয় উদ্যোগে কীভাবে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স ও কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় তা ব্যাখ্যা করো । 

Ans: ভূমিকা : উনিশ শতকে সরকারি উদ্যোগে বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার বিকাশ ঘটলেও তা ছিল অপ্রতুল ; তাই বাঙালি তথা ভারতীয়রা নিজ উদ্যোগে বিজ্ঞানচর্চার প্রতিষ্ঠান স্থাপনে অগ্রসর হয় । এমনই দুটি প্রতিষ্ঠান হল ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স ‘ ( ১৮৭৬ খ্রি . ) এবং ‘ কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ ( ১৯১৪ খ্রি . ) । 

‘ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স ‘ প্রতিষ্ঠা : পাশ্চাত্য বিজ্ঞানের ভক্ত ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার এদেশে অনুরূপ বিজ্ঞানচর্চা ও তার প্রসার ঘটাতে চেয়েছিলেন । তিনি লন্ডনের রয়্যাল ইন্সটিটিউট ও ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্স – এর অনুকরণে একটি গবেষণাগার প্রতিষ্ঠার কথা প্রচার করেন । অবশেষে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দান ও তাঁর জীবনের সঞ্চিত অর্থের সাহায্যে ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার বৌবাজার স্ট্রিটে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স । 

 উদ্দেশ্য : ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল দ্বিবিধ – ( ১ ) বিজ্ঞানের প্রসার সাধন ও প্রকৃত গবেষণার মাধ্যমে প্রায়োগিক বিজ্ঞানের পরিধির বিস্তার এবং ( ২ ) সম্পূর্ণরূপে নিজেদের উদ্যোগে ও তত্ত্বাবধানে স্বাধীনভাবে গবেষণা করা । 

 গুরুত্ব : ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স প্রতিষ্ঠার ফলে ( ১ ) ভারত তথা বাংলা বিজ্ঞান গবেষণার জন্য একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান লাভ করে । ( ২ ) এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই আধুনিক বিজ্ঞানচর্চা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ।

 কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠা : কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠা আকস্মিক ছিল না , তা ছিল একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া— 

 তারকনাথ পালিতের উদ্যোগ : বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহী তারকনাথ পালিত দেশীয় ব্যক্তিদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার উন্নতি ও বিস্তার ঘটানোর উদ্দেশ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে জমি ও টাকা দান করেন ( জুন , ১৯১২ খ্রি . ) ।

 আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টা : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য আশুতোষ মুখোপাধ্যায় সরকারের কাছে এই জমির উপর ল্যাবরেটরি সহ একটি আবাসিক বিজ্ঞান কলেজ স্থাপনের প্রস্তাব দেন । কিন্তু সরকার এই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন । 

 রাসবিহারী ঘোষের উদ্যোগ সরকার কর্তৃক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলে রাসবিহারী ঘোষ উপরোক্ত প্রস্তাবিত বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ১০ লাখ টাকা দান করেন যার ভিত্তিতেই প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ ।

 পঠন – পাঠন : কলকাতা বিজ্ঞান কলেজের প্রতিষ্ঠাকালে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এই কলেজকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গ বলে ঘোষণা করেন । এই কলেজের প্রথম এমএসসি ব্যাচের ছাত্রদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছাত্র ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বোস , মেঘনাদ সাহা , জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখার্জি । আবার কলেজের অধ্যাপকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন বিজ্ঞানী প্রফুল্লচন্দ্র রায় , সি ভি রামন , গণেশ প্রসাদ আগারকার । 

6. ভারতের বিজ্ঞান আন্দোলনে মহেন্দ্রলাল সরকারের অবদান কী ? 

Ans: ভূমিকা : উনিশ শতকে সরকারি উদ্যোগে ভারতে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভারতীয় ছিলেন ডা . মহেন্দ্রলাল সরকার । 

পরিচয় : ডা . মহেন্দ্রলাল সরকার ছিলেন ভারতের দ্বিতীয় এম.ডি এবং প্রথম হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক । প্রথমে তিনি অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার প্রতি আকৃষ্ট হলেও পরে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতির দিকে ঝুঁকে পড়েন । তিনি পরে ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানচর্চার জন্য একটি গবেষণাগার ( IACS ) স্থাপন করে । ভারতে বিজ্ঞানচর্চার পথিকৃত নামে পরিচিত হন । 

বিজ্ঞানচর্চা ও প্রতিষ্ঠান : পাশ্চাত্য বিজ্ঞানের ভক্ত ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার এদেশে অনুরূপ বিজ্ঞানচর্চা ও তার প্রসার ঘটাতে চেয়েছিলেন । তিনি লন্ডনের রয়্যাল ইন্সটিটিউট ও ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্স – এর অনুকরণে একটি গবেষণাগার প্রতিষ্ঠার কথা প্রচার করেন । অবশেষে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দান ও তাঁর জীবনের সঞ্চিত অর্থের সাহায্যে ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার বৌবাজার স্ট্রিটে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স । ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স । প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল দ্বিবিধ- ( ১ ) বিজ্ঞানের প্রসার সাধন ও প্রকৃত গবেষণার মাধ্যমে প্রায়োগিক বিজ্ঞানের পরিধির বিস্তার এবং ( ২ ) সম্পূর্ণরূপে নিজেদের উদ্যোগে ও তত্ত্বাবধানে স্বাধীনভাবে গবেষণা করা । 

বিজ্ঞানচর্চার বিকাশ : উনিশ শতকে ডাস্তার মহেন্দ্রলাল সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় , যেমন প্রথমত , এটিই ছিল ভারতের প্রথম বৈজ্ঞানিক সংগঠন এবং এই প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনভাবে বিজ্ঞানচর্চা ও গবেষণা করা হত । দ্বিতীয়ত , বিজ্ঞানচর্চার পাশাপাশি বিজ্ঞান বিষয়ক ( পদার্থবিদ্যা , রসায়ন , প্রাণীবিদ্যা , উদ্ভিদবিদ্যা , শারীরবিদ্যা , ভূমিবিদ্যা , গণিত ) আলোচনা সভার মাধ্যমে শ্রোতাদের বিজ্ঞান বিষয়ে ওয়াকিবহাল করা হত । 

মূল্যায়ন : ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স প্রতিষ্ঠার ফলে ( ১ ) ভারত তথা বাংলা বিজ্ঞান গবেষণার জন্য একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান লাভ করে । ( ২ ) এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই আধুনিক বিজ্ঞানচর্চা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে । 

7. জগদীশচন্দ্র বসুর বিজ্ঞান গবেষণা উল্লেখ করে ‘ বসু বিজ্ঞান মন্দির ’ প্রতিষ্ঠা ব্যাখ্যা করো । 

Ans: ভূমিকা : উনিশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে বাঙালির বিজ্ঞান সাধনা ও বিজ্ঞান গবেষণার সূচনা হয় এবং এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য গবেষক ছিলেন জগদীশচন্দ্র বসু ( ১৮৫৮-১৯৩৭ খ্রি . ) । 

শিক্ষালাভ : জগদীশচন্দ্র বসু কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স । কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যায় বি এ পাস করেন ( ১৮৭৯ খ্রি . ) । পরবর্তীকালে তিনি কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন , পদার্থ বিদ্যা ও উদ্ভিদ বিদ্যার ট্রাইপস ডিগ্রি ( অনার্সসহ ডিগ্রি পরীক্ষা ) লাভ করেন এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি এসসি পাস করে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন । 

কর্মজীবন ও বিজ্ঞান গবেষণা : ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপকরূপে যোগদান করেন ( ১৮৮৫ খ্রি . ) । এই কলেজে অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি কলেজের মাত্র ২৪ বর্গফুট ঘরেই বিজ্ঞান গবেষণাও করতে থাকেন । তাঁর গবেষণার তিনটি পর্যায় ছিল — প্রথম পর্যায়ে ‘ তড়িৎ – চুম্বকীয় তরঙ্গ ‘ সম্পর্কে গবেষণা করেন ও ‘ বেতার যন্ত্র আবিষ্কার করেন । দ্বিতীয় পর্যায়ে তিনি জীবনের উৎপত্তি সংক্রান্ত গবেষণা করেন এবং তৃতীয় পর্যায়ে উদ্ভিদ ও প্রাণী সংক্রান্ত গবেষণা করেন । তিনি উদ্ভিদের স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপ ও বৃদ্ধি মাপার জন্য ‘ ক্রেস্কোগ্রাফ ‘ নামক একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেন । 

বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা : জগদীশচন্দ্র বসু তাঁর তড়িৎ – চুম্বকীয় তরঙ্গ সংক্রান্ত গবেষণায় উদ্ভূত নতুন তত্ত্ব ও তথ্যের কথা ইংল্যান্ডের রয়্যাল ইন্সটিটিউশনে বক্তৃতার মাধ্যমে প্রকাশ করেন । এরপর তিনি ইংল্যান্ড , ফ্রান্স , জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন । এই সময়েই রয়্যাল সোসাইটির বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা ভারত সরকারের কাছে জগদীশচন্দ্র বসুর গবেষণার জন্য একটি উন্নতমানের গবেষণাগার প্রতিষ্ঠার অনুরোধ জানান । কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি । প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অবসর গ্রহণের পর জগদীশচন্দ্র বসু তাঁর বাড়িতেই ছোটো গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করে গবেষণার কাজ শুরু করেন । এর পাশাপাশি তিনি তাঁর নিজের ও দেশের স্বার্থে একটি বৃহৎ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হন । শেষপর্যন্ত তাঁর নিজস্ব অর্থ ও সংগৃহীত ১১ লাখ টাকা অনুদানের অর্থে কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন ‘ বসু বিজ্ঞান মন্দির ‘ ( ২৩ নভেম্বর , ১৯১৭ ) । 

মূল্যায়ন : জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন একজন সফল বাঙালি বৈজ্ঞানিক এবং উদ্যোগপতি । তাঁর প্রতিষ্ঠিত বসু বিজ্ঞান মন্দির হয়ে ওঠে আধুনিক ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার ।

8. জগদীশচন্দ্র বসু ও প্রফুচন্দ্র রায় কেন বিজ্ঞান গবেষণার পথিকৃৎ । 

Ans: উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ ও বিংশ শতকের সূচনায় বাঙালীর বিজ্ঞান সাধনা ও বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে দুইজন বিখ্যাত পথিকৃৎ ছিলেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ( ১৮৫৮-১৯৩৭ খ্রি . ) ও আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ( ১৮৬১–১৯৪৪ খ্রি . ) । 

জগদীশচন্দ্র বসু : জগদীশচন্দ্র বসু কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ , কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যথাক্রমে , পদার্থবিদ্যা বি এ ; ট্রাইপস ডিগ্রি ও বি এসসি পাশ করেন । 

অধ্যাপনা ও গবেষণা : ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপকরূপে যোগদান করেন ( ১৮৮৫ খ্রি . ) । এই কলেজে অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি কলেজের মাত্র ২৪ বর্গফুট ঘরেই বিজ্ঞান গবেষণাও করতে থাকেন । তাঁর গবেষণার তিনটি পর্যায় ছিল — প্রথম পর্যায়ে ‘ তড়িৎ – চুম্বকীয় তরঙ্গ ’ সম্পর্কে গবেষণা করেন ও ‘ বেতার যন্ত্র আবিষ্কার করেন । দ্বিতীয় পর্যায়ে তিনি জীবনের উৎপত্তি সংক্রান্ত গবেষণা করেন এবং তৃতীয় পর্যায়ে উদ্ভিদ ও প্রাণী সংক্রান্ত গবেষণা করেন । তিনি উদ্ভিদের স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপ ও বৃদ্ধি মাপার জন্য ‘ ক্রেস্কোগ্রাফ ‘ নামক একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেন । প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অবসর গ্রহণের পর জগদীশচন্দ্র বসু তাঁর বাড়িতেই ছোটো গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করে গবেষণার কাজ শুরু করেন । এর পাশাপাশি তিনি তাঁর নিজের ও দেশের স্বার্থে একটি বৃহৎ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হন । শেষপর্যন্ত তাঁর নিজস্ব অর্থ ও সংগৃহীত ১১ লাখ টাকা অনুদানের অর্থে কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন ‘ বসু বিজ্ঞান মন্দির ‘ ( ২৩ নভেম্বর , ১৯১৭ ) । প্রফুল্লচন্দ্র রায় : বর্তমান বাংলাদেশের খুলনা জেলার একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন প্রফুল্লচন্দ্র রায় । তিনি তাঁর গ্রামের স্কুল , কলকাতার হেয়ার স্কুল ও মেট্রোপলিটান কলেজে পড়াশুনা করেন এবং ইংল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় বি এসসি ডিগ্রি ও উচ্চতর গবেষণা শেষ করে ( ১৮৬৭ খ্রি . ) দেশে ফিরে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন ( ১৮৮৯ খ্রি . ) । 

অধ্যাপনা ও গবেষণা : কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে রসায়ন শাস্ত্রের অধ্যাপনার পাশাপাশি প্রথমত , রসায়ন শাস্ত্রের ওপর গবেষণা শুরু করেন । তিনি ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে ‘ মারকুরিয়াস নাইট্রেট’ এর রাসায়নিক গঠন , বিভিন্ন ধাতু সংক্রান্ত গবেষণা করেন । 

দ্বিতীয়ত , প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অবসর গ্রহণের ( ১৯১৬ খ্রি . ) পর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান কলেজে রসায়ন শাস্ত্রে অধ্যাপনা শুরু করেন । এখানে স্বর্ণ , প্ল্যাটিনাম , ইরিডিয়াম ও অর্গানিক সালফেটের ওপর গবেষণা করেন এবং এগুলি ইন্ডিয়ান কেমিক্যাল সোসাইটি ‘ – র জার্নালে প্রকাশিত হয় । তাঁর ছাত্রদের মধ্যে প্রিয়দারঞ্জন রায় , জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ , জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখার্জি প্রমুখ রসায়নশাস্ত্রে গবেষণায় কৃতিত্ব দেখান । 

তৃতীয়ত , প্রফুল্লচন্দ্র রায় ভারতে রাসায়নিক দ্রব্য ও ওষুধ প্রস্তুতের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ‘ বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কাস লিমিটেড ‘ নামক কারখানা এবং রচনা করেন ‘ ভারতের রসায়ন শাস্ত্রের ইতিহাস ‘ ( History of Hindu Chemistry ) নামক গ্রন্থ ।

9. জাতীয় শিক্ষা পরিষদের প্রতিষ্ঠা ও কার্যাবলি ব্যাখ্যা করো । বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? 

অথবা , বাংলায় জাতীয় শিক্ষা আন্দোলন ও কারিগরি শিক্ষার সূচনা উল্লেখ করো ।

Ans: প্রথম অংশ : জাতীয় শিক্ষা পরিষদের প্রতিষ্ঠা ও কার্যাবলি : বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনকালে জাতীয় শিক্ষা ধারণার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ ( ১৯০৬ খ্রি . ) । 

প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য : জাতীয় শিক্ষা পরিষদ ( ১৯০৬ খ্রি . ) প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি হল – ( ১ ) ব্রিটিশ প্রবর্তিত শিক্ষানীতির বিরোধিতা করা ; এবং ( ২ ) দেশের প্রয়োজনে স্বদেশি ধাঁচে এক বিকল্প শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা । এই শিক্ষাব্যবস্থার দুটি দিক ছিল যথা — সাধারণ বিজ্ঞান ও কলাবিদ্যা শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা । 

কার্যাবলি : জাতীয় শিক্ষা পরিষদের কার্যাবলির বিভিন্ন দিক ন্যাশনাল কলেজ : সাধারণ বিজ্ঞান ও কলাবিদ্যা শিক্ষার জন্য জাতীয় শিক্ষা পরিষদ বউবাজারে বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজ ও স্কুল প্রতিষ্ঠা করে । বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন জাতীয়তাবাদী চরমপন্থী নেতা অরবিন্দ ঘোষ । 

বিদ্যালয় : জাতীয় শিক্ষা পরিষদের অধীনে ও উৎসাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে ( রংপুর , ঢাকা , দিনাজপুর , ময়মনসিংহ , কুমিল্লা প্রভৃতি ) জাতীয় বিদ্যালয় গড়ে ওঠে ।

ব্যর্থতার কারণ : জাতীয় শিক্ষা পরিষদ ভারতে প্রথমবার জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে সচেষ্ট হলেও শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হয় । জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ব্যর্থতার কারণগুলি হল ( ১ ) বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে অর্থ সংকট ; ( ২ ) বেতনের স্বল্পতার কারণে শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান ত্যাগ ; ( ৩ ) চাকরির বাজারে প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত ডিগ্রি বা সার্টিফিকেটের গুরুত্বহীনতা ; ( ৪ ) তৎকালীন চরমপন্থী নেতাদের এই পরিষদকে অস্বীকার । 

দ্বিতীয় অংশ : বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা : উনিশ শতকে সরকারি উদ্যোগে ভারতে কারিগরি শিক্ষার বিকাশ ছিল সীমিত । বিশ শতকে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ স্থাপিত হলে কারিগরি শিক্ষা প্রসারের উদ্যোগ সূচিত হয় । প্রতিষ্ঠা : বিজ্ঞান ও কলাবিদ্যা না কারিগরি শিক্ষার ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে — এ প্রসঙ্গে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের কর্মকর্তাদের মধ্যে মতভেদ দেখা দেয় । এই পরিষদদের সদস্য তারকনাথ পালিতের উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হয় বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট ( জুলাই , ১৯০৬ খ্রি . ) । 

পঠনপাঠন : বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের পাঠ্যক্রম ছিল কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্রিক । এখানে তিন বছরের ইন্টারমিডিয়েট ও চার বছরের সেকেন্ডারি বা মাধ্যমিক শিক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয় । সমকালীন শিক্ষক বিনয়কুমার সরকার উপহাস করে এই প্রতিষ্ঠানকে ‘ মিস্তিরি তৈরির কারখানা ‘ বলে অভিহিত করেন ।

মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Madhyamik Class 10th History Question and Answer / Suggestion / Notes Book

আরোও দেখুন :-

মাধ্যমিক ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here

Madhyamik Suggestion 2024 | মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৪

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Bengali Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik English Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Geography Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik History Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Life Science Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Mathematics Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Physical Science Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Suggestion 2024 Click here

 

Info : বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর

 Madhyamik History Suggestion  | West Bengal WBBSE Class Ten X (Class 10th) History Qustion and Answer Suggestion   

” বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর  “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা (West Bengal Class Ten X  / WB Class 10  / WBBSE / Class 10  Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 10 Exam / Class 10 Class 10th / WB Class 10 / Class 10 Pariksha  ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন / মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ও উত্তর । Madhyamik History Suggestion / Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer / Class 10 History Suggestion / Class 10 Pariksha History Suggestion  / History Class 10 Exam Guide  / MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer  / Madhyamik History Suggestion  FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Madhyamik History Suggestion / West Bengal Ten X Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 10th History Suggestion  / Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer  / Class 10 History Suggestion  / Class 10 Pariksha Suggestion  / Madhyamik History Exam Guide  / Madhyamik History Suggestion 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035 / Madhyamik History Suggestion  MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer. / Madhyamik History Suggestion  FREE PDF Download) সফল হবে।

FILE INFO : বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer with FREE PDF Download Link

PDF File Name বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer PDF
Prepared by Experienced Teachers
Price FREE
Download Link 1 Click Here To Download
Download Link 2 Click Here To Download

বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) অধ্যায় থেকে আরোও প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :

Update

[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now]

বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর  

বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer Suggestion  মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর।

বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | মাধ্যমিক ইতিহাস 

বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer Suggestion  মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর।

বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস 

বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer Suggestion  মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর – দশম শ্রেণি ইতিহাস | Madhyamik Class 10 History Bikalpa Chinta o Udyog 

দশম শ্রেণি ইতিহাস (Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog) – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) | Madhyamik  History Bikalpa Chinta o Udyog Suggestion  দশম শ্রেণি ইতিহাস  – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর।

মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  | দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer Question and Answer, Suggestion 

মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) | পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) | মাধ্যমিক ইতিহাস সহায়ক – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer, Suggestion | Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer Suggestion  | Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer Notes  | West Bengal Madhyamik Class 10th History Question and Answer Suggestion. 

মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর   – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10 History Question and Answer, Suggestion 

মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  | বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) । Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer Suggestion.

WBBSE Class 10th History Bikalpa Chinta o Udyog Suggestion  | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর   – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) 

WBBSE Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Suggestion মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  । বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) | Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Suggestion  মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।

Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer Suggestions  | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর 

Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer  মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন ও উত্তর – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর  । 

WB Class 10 History Bikalpa Chinta o Udyog Suggestion  | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর   – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর 

Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer Suggestion  মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 10  History Suggestion  Download WBBSE Class 10th History short question suggestion  . Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Suggestion   download Class 10th Question Paper  History. WB Class 10  History suggestion and important question and answer. Class 10 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer Question and Answer by Bhugol Shiksha .com

Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10  History Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class Ten X History Bikalpa Chinta o Udyog Suggestion | West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Exam 

Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Ten X History Suggestion  is provided here. Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below. 

বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer 

        অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ (পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bikalpa Chinta o Udyog Question and Answer  ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে  তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।