কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় - উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer
কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় - উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer

কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer

কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer : কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBCHSE Class 12 Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer, Suggestion, Notes – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 12th Twelve XII Bengali Examination – পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।

 তোমরা যারা কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো। 

শ্রেণী দ্বাদশ শ্রেণী (উচ্চমাধ্যমিক)
বিষয় উচ্চমাধ্যমিক বাংলা
গল্প কে বাঁচায় কে বাঁচে! (Ke Bachay Ke Bache)
লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal HS Class 12th Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer 

MCQ | কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer :

১ ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ‘ — গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল— 

(A) কল্লোল পত্রিকায় 

(B) বঙ্গশ্রী পত্রিকায়

(C) দেশ পত্রিকায় 

(D) ভৈরব পত্রিকায় 

Ans: (D) ভৈরব পত্রিকায়

  1. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম – 

(A) প্রবোধচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

(B) প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

(C) শ্যামাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় 

(D) অশোককুমার বন্দ্যোপাধ্যায় 

Ans: (B) প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

  1. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা প্রথম গল্পটি হল –

(A) সরীসৃপ 

(B) হারানের নাতজামাই 

(C) অতসী মামী 

(D) ছোটো বকুলপুরের যাত্রী

Ans: (C) অতসী মামী

  1. ‘ এতদিন শুধু শুনে আর পড়ে এসেছিল ‘ — যে ঘটনা শোনা বা পড়ার কথা বলা হয়েছে , সেটি হল – 

(A) কলেরার প্রাদুর্ভাবের কথা 

(B) অনাহারে মৃত্যুর কথা 

(C) রাজনৈতিক হানাহানির কথা 

(D) ভারত ছাড়ো আন্দোলনের কথা

Ans: (B) অনাহারে মৃত্যুর কথা

  1. ‘ ফুটপাথে হাঁটা তার বেশি প্রয়োজন হয় না ।’— কার প্রয়োজন হয় না ? 

(A) টুনুর মা 

(B) নিখিল 

(C) মৃত্যুঞ্জয় 

(D) টুনু

Ans: (C) মৃত্যুঞ্জয়

  1. মৃত্যুঞ্জয় সাধারণত অফিস যাতায়াত করে –

(A) বাসে চেপে 

(B) পায়ে হেঁটে 

(C) ট্রামে চেপে 

(D) ট্যাক্সি করে

Ans: (C) ট্রামে চেপে

  1. ‘ বাড়িটাও তার শহরের ‘ — মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িটা শহরের— 

(A) বস্তি এলাকায় 

(B) ঘনবসতিপূর্ণ কেন্দ্রস্থলে

(C) নিরিবিলি অঞ্চলে 

(D) শহরতলিতে 

Ans: (C) নিরিবিলি অঞ্চলে

  1. মৃত্যুঞ্জয়ের বাজার ও কেনাকাটা করে –

(A) নিখিল 

(B) টুনুর মা

(C) সে নিজে 

(D) চাকর ও ছোটো ভাই

Ans: (D) চাকর ও ছোটো ভাই

  1. কয়েক মিনিটে মৃত্যুঞ্জয়ের সুস্থ শরীরটা অসুস্থ হয়ে গেল ।’- কারণ –

(A) অফিসে কাজের প্রবল চাপ ছিল

(B) প্রচন্ড গরমের মধ্যে হেঁটে সে অফিসে এসেছিল

(C) প্রথমবার অনাহারে মৃত্যু দেখে সে প্রবল আঘাত পেয়েছিল ।

(D) বেশি খাবার খেয়ে ফেলায় তার বমি হচ্ছিল

Ans: (C) প্রথমবার অনাহারে মৃত্যু দেখে সে প্রবল আঘাত পেয়েছিল ।

  1. আপিস যাবার পথে মৃত্যুঞ্জয় প্রথম কী দেখল ? 

(A) ফুটপাথে মৃত্যু

(B) অনাহারে মৃত্যু 

(C) বস্তিবাসীর মৃত্যু 

(D) পাগলের মৃত্যু 

Ans: (B) অনাহারে মৃত্যু

  1. ‘ মৃতুঞ্জয় জলপান করেছিল’— 

(A) জলের বোতল থেকে 

(B) কাচের গ্লাসে

(C) স্টিলের গ্লাসে 

(D) কাঁসার গ্লাসে 

Ans: (B) কাচের গ্লাসে

  1. মনে আঘাত পেলে মৃত্যুঞ্জয়ের – 

(A) বমি হয় 

(B) রাগ হয়

(C) শরীরে তার প্রতিক্রিয়া হয়

(D) ঘুম পায়

Ans: (C) শরীরে তার প্রতিক্রিয়া হয়

  1. মৃত্যুঞ্জয় দুপুরে কী কী খেয়ে অফিসে এসেছিল ? 

(A) ভাত , ডাল , ভাজা , তরকারি , মাছ , দই

(B) ভাত , ডাল , ভাজা , তরকারি , মাংস , দই

(C) ভাত , ডাল , ভাজা , ডিমের তরকারি , মাছ , দই 

(D) ভাত , ডাল , ভাজা , মাছ , দই , মাছ

Ans: (B) ভাত , ডাল , ভাজা , তরকারি , মাংস , দই

  1. নিখিলের কীসে মন নেই ?

(A) কাজে

(B) সংসারে

(C) অফিসে

(D) খেলায়

Ans: (B) সংসারে

  1. নিখিল ও মৃত্যুঞ্জয় সমপদস্থ হলেও , মৃত্যুঞ্জয়ের মাইনে পঞ্চাশ টাকা বেশি হওয়ার কারণ –

(A) সে নিখিলের চেয়ে বড়ো 

(B) সে কাজেকর্মে দক্ষ 

(C) সে একটা বাড়তি দায়িত্ব পালন করে 

(D) সে কর্তৃপক্ষের পছন্দের পাত্র 

Ans: (C) সে একটা বাড়তি দায়িত্ব পালন করে

[আরোও দেখুন:- HS Bengali Suggestion 2024 Click here]

  1. মৃত্যুঞ্জয়ের বৈবাহিক জীবন— 

(A) আট বছরের

(B) সাত বছরের

(C) ছ – বছরের

(D) ন – বছরের

Ans: (C) ছ – বছরের

  1. নিখিল রোগা , তীক্ষ্ণবুদ্ধি এবং একটু –

(A) আলসে প্রকৃতির লোক 

(B) সাহসী প্রকৃতির লোক 

(C) ভীরু প্রকৃতির লোক 

(D) চালাক প্রকৃতির লোক

Ans: (A) আলসে প্রকৃতির লোক

  1. ‘ সে মাথা খুঁড়ছে সেই স্বচ্ছ সমস্যার অকারণ অর্থহীন অনুচিত কাঠিন্যে’- এখানে মৃত্যুঞ্জয়কে তুলনা করা হয়েছে 

– 

(A) মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির সঙ্গে 

(B) রাগী জ্ঞানশূন্য উদ্ভ্রান্ত মানুষের সঙ্গে

(C) অসুস্থ রুগির সঙ্গে 

(D) শার্শিতে আটকানো মৌমাছির সঙ্গে 

Ans: (D) শার্শিতে আটকানো মৌমাছির সঙ্গে

  1. মরে গেল । না খেয়ে মরে গেল ।’- বন্তা কে ? 

(A) টুনুর মা

(B) নিখিল 

(C) মৃত্যুঞ্জয় 

(D) টুনু

Ans: (C) মৃত্যুঞ্জয়

  1. ‘ আনমনে অর্ধ – ভাষণে যেন আর্তনাদ করে উঠল মৃত্যুঞ্জয় ।’ মৃত্যুন্বয়ের এই আর্তনাদের কারণ –

(A) অনাহারে একজনকে মরে যেতে দেখে সে দুঃখ পেয়েছে

(B) অনাহারে একজনকে মরে যেতে দেখে সে ভয় পেয়েছে 

(C) অনাহারে মৃত মানুষটিকে সে স্বপ্নে দেখেছে 

(D) অনাহারে মৃত মানুষটি ছিল তার অত্যন্ত পরিচিত 

Ans: (A) অনাহারে একজনকে মরে যেতে দেখে সে দুঃখ পেয়েছে

  1. ‘ মৃত্যুঞ্জয়ের ভিতরটা সে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে । – সহকর্মী নিখিলের এ কথা মনে হয়েছিল কারণ –

(A) মৃত্যুঞ্জয় আর্তনাদ করে উঠেছিল 

(B) মৃত্যুঞ্জয়ের মর্মাহত অবস্থা 

(C) মৃত্যুঞ্জয়কে সে আরও কয়েকটি প্রশ্ন করেছিল

(D) মৃত্যুঞ্জয়ের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো অবস্থা ছিল না 

Ans: (D) মৃত্যুঞ্জয়ের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো অবস্থা ছিল না

  1. ____ সাধারণ সহজবোধ্য ব্যাপারটা সে ধারণা করতে পারছে না ।’- ‘ সাধারণ সহজবোধ্য ব্যাপারটি ছিল –

(A) আকালের দিনে অনাহারে মৃত্যু 

(B) নিখিলের নির্বিকার অবস্থা

(C) মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি 

(D) ভয়াবহ সামাজিক অবক্ষয় 

Ans: (A) আকালের দিনে অনাহারে মৃত্যু

  1. ‘সেটা আশ্চর্য নয় ।’— বক্তা নিখিলের যা আশ্চর্য নয় বলে মনে হয়েছে , তা হল –

(A) সামাজিক দুরবস্থার ভয়াবহ ছবি

(B) মানুষের মৃত্যু হলে মর্মাহত হওয়া 

(C) অনাহারে মানুষের মৃত্যু 

(D) ফুটপাথে অনাহারক্লিষ্ট মানুষকে মরে যেতে দেখা 

Ans: (D) ফুটপাথে অনাহারক্লিষ্ট মানুষকে মরে যেতে দেখা

  1. সে এক সঙ্গে পাহাড়প্রমাণ মালমশলা ঢোকাবার চেষ্টা করছে তার ক্ষুদ্র ধারণাশক্তির থলিটিতে ।’- এমন বলার কারণ , মৃত্যুঞ্জয় –

(A) গভীরভাবে আতঙ্কিত হয়েছে 

(B) অনাহারে মৃত্যুর যাবতীয় কার্যকারণ বুঝতে চাইছে 

(C) শুধুই মৃত্যুযন্ত্রণার কথা ভাবছে 

(D) খিদের যন্ত্রণার কথা ভাবছে 

Ans: (B) অনাহারে মৃত্যুর যাবতীয় কার্যকারণ বুঝতে চাইছে

  1. ‘ এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কি ? ‘ — বক্তার মতে অপরাধটি ছিল –

(A) জেনেশুনেও চার বেলা পেট ভরে খাওয়া

(B) জেনেশুনেও চুপ করে থাকা

(C) যথাযথ সাহায্য না – করা 

(D) নিজের নির্বিকার বেঁচে থাকা

Ans: (A) জেনেশুনেও চার বেলা পেট ভরে খাওয়া

  1. ‘ যথেষ্ট রিলিফ ওয়ার্ক ‘ না – হওয়ার কারণ –

(A) টাকার অভাব 

(B) সদিচ্ছার অভাব 

(C) লোকের অভাব 

(D) পরিকল্পনার অভাব 

Ans: (C) লোকের অভাব

  1. ‘ ধিক্ । শত ধিক্ আমাকে ।’— বক্তা হলেন –

(A) নিখিল

(B) টুনুর মা 

(C) মৃত্যুঞ্জয়ের ভাই 

(D) মৃত্যুঞ্জয়

Ans: (D) মৃত্যুঞ্জয়

  1. নিখিলের মতে পৃথিবীতে সবচেয়ে ছোঁয়াচে হল –

(A) বেদনা

(B) আনন্দ 

(C) অবসাদ 

(D) দরদ 

Ans: (D) দরদ

  1. ‘ নিখিলের মনটাও খারাপ হয়ে যায় ।’— নিখিলের মন খারাপ হয়ে যায় , কারণ—

(A) মৃত্যুঞ্জয় অসুস্থ হয়ে পড়েছে

(B) মৃত্যুঞ্জয় পাগলামি করছে 

(C) মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীর অবস্থা শোচনীয় 

(D) দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতা , অনাহারে মৃত্যু দেখে মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করছে

Ans: (D) দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতা , অনাহারে মৃত্যু দেখে মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করছে

  1. ‘ অন্নের বদলে বরং সমিধে পরিণত হয়ে যাবে ।’— যা সমিধে পরিণত হবে , 

(A) দুর্ভিক্ষের আগুন 

(B) হৃদয়ের আগুন

(C) চিতার আগুন 

(D) ক্ষুধার আগুন

Ans: (D) ক্ষুধার আগুন

  1. ‘ কিন্তু সেটা হয় অনিয়ম ।’— এখানে ‘ অনিয়ম ‘ বলতে বোঝানো হয়েছে – 

(A) রূঢ় বাস্তবকে গ্রাহ্য করা 

(B) সংসার ছেড়ে রিলিফ ওয়ার্কে অংশ নেওয়া 

(C) রুঢ় বাস্তব নিয়মকে উলটে মধুর আধ্যাত্মিক নীতিতে রূপান্তরিত করা 

(D) রূঢ় বাস্তব কিংবা আধ্যাত্মিক আদর্শ উভয়কেই বর্জন করা 

Ans: (D) রূঢ় বাস্তব কিংবা আধ্যাত্মিক আদর্শ উভয়কেই বর্জন করা

  1. ‘ একস্থানে তীক্ষ্ণধার হা – হুতাশ করা মন্তব্য করা হয়েছে ।’— কোথায় এমন করা হয়েছে ? 

(A) পত্রিকায় 

(B) চিঠিতে 

(C) সংবাদপত্রে

(D) বইয়ে

Ans: (C) সংবাদপত্রে

  1. সংবাদপত্রে কতজনের মৃতদেহ ভালোভাবে সদ্‌গতির ব্যবস্থা হয়নি বলে নিন্দা করা হয়েছে –

(A) কুড়ি জনের 

(B) তিরিশ জনের 

(C) দশ জনের

(D) কুড়ি – তিরিশ জনের 

Ans: (A) কুড়ি জনের

  1. চোখ বুলিয়ে নজরে পড়ল’- নিখিলের নজরে পড়ল –

(A) ফুটপাথে অনাহারে মৃত মানুষের ছবি 

(B) গোটা কুড়ি মৃতদেহকে যথাযথভাবে সদ্‌গতির ব্যবস্থা না করার হা – হুতাশ 

(C) সরকারি রিলিফ ওয়ার্কের প্রশংসা 

(D) দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের দুরবস্থার কথা 

Ans: (B) গোটা কুড়ি মৃতদেহকে যথাযথভাবে সদ্‌গতির ব্যবস্থা না করার হা – হুতাশ

  1. ‘ মৃত্যুঞ্জয় একতাড়া নোট নিখিলের সামনে রাখল ।’ টাকাটা— 

(A) নিখিলকে ধার দেবে 

(B) রিলিফ ফান্ডে দেবে 

(C) নিখিলকে ঘুষ দেবে 

(D) অফিসের সকলকে ভূরিভোজ করাবে 

Ans: (B) রিলিফ ফান্ডে দেবে

  1. সেদিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ বিষণ্ণ – গম্ভীর হয়ে । আছে ।’— এখানে যে – দিনটির কথা বলা হয়েছে – 

(A) মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীর অসুস্থতার দিন

(B) নিখিলের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ার দিন 

(C) ফুটপাথে প্রথম অনাহারে মৃত্যু দেখার দিন

(D) অফিসের কাজে বদলি হওয়ার দিন

Ans: (C) ফুটপাথে প্রথম অনাহারে মৃত্যু দেখার দিন

  1. নিখিল মাসিক মাইনে থেকে মোট কত টাকা রিলিফ ফান্ডের জন্য রাখতে পারবে বলে ভেবেছে ? 

(A) দশ টাকা 

(B) পনেরো টাকা 

(C) কুড়ি টাকা 

(D) পঁচিশ টাকা 

Ans: (B) পনেরো টাকা

  1. ‘ একটা কাজ করে দিতে হবে ভাই’— এখানে উল্লিখিত কাজটি ছিল—

(A) মানি অর্ডারে টাকা পাঠানো

(B) অফিসে কিছু বাড়তি দায়িত্ব পালন 

(C) সাংসারিক বিষয়ে বিশেষ উপকার 

(D) মাইনের পুরো টাকাটা কোনো রিলিফ ফান্ডে দিয়ে আসা 

Ans: (D) মাইনের পুরো টাকাটা কোনো রিলিফ ফান্ডে দিয়ে আসা

  1. নিখিল মাইনে থেকে টাকা পাঠাত— 

(A) দু – জায়গায় 

(B) চার জায়গায় 

(C) তিন জায়গায়

(D) পাঁচ জায়গায়

Ans: (C) তিন জায়গায়

  1. নিখিল পাঁচ টাকা করে সাহায্য কমিয়ে নেওয়ার কথা ভেবেছিল , কারণ—

(A) রিলিফ ফান্ডে দেবে বলে 

(B) আকালের সময় পেরিয়ে যাওয়ায় আর সাহায্যের প্রয়োজন নেই 

(C) অফিসে মন্দার কারণে নিখিলের মাইনে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল 

(D) মৃত্যুঞ্জয় সেখানে পুরো মাইনে পাঠাতে শুরু করেছিল 

Ans: (A) রিলিফ ফান্ডে দেবে বলে

  1. প্রতিমাসে ধার করছিস ।’- নিখিলের এমন কথা বলার কারণ –

(A) মৃত্যুঞ্জয় ছিল অমিতব্যয়ী 

(B) মৃত্যুয়ের অফিসে অনেক দেনা ছিল

(C) মৃত্যুঞ্জয়ের মাইনের টাকায় মাস চলত না

(D) মৃত্যুঞ্জয়ের অসুস্থতার কারণে অনেক খরচ হত 

Ans: (C) মৃত্যুঞ্জয়ের মাইনের টাকায় মাস চলত না

  1. মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে থাকে –

(A) দশজন লোক 

(B) সাতজন লোক 

(C) পাঁচজন লোক 

(D) ন – জন লোক 

Ans: (D) ন – জন লোক

  1. ‘ এক বেলা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি । কারণ – 

(A) মৃত্যুঞ্জয়ের সাংসারিক অভাব 

(B) মৃত্যুঞ্জয়ের সাংসারিক অসুস্থতা 

(C) আকালে পীড়িত মানুষদের খেতে দেওয়ার তাগিদ 

(D) মৃত্যুঞ্জয়ের সাংসারিক অশান্তি 

Ans: (C) আকালে পীড়িত মানুষদের খেতে দেওয়ার তাগিদ

  1. ‘ ভেতরে সে পুড়ছে সন্দেহ নেই ।’— এখানে ‘ পুড়ছে ‘ বলতে বোঝানো হয়েছে –

(A) মৃত্যুঞ্জয়ের ক্ষোভ ও যন্ত্রণাকে 

(B) আকালে পীড়িতদের কষ্টে মর্মজ্বালাকে 

(C) অপমানিত হৃদয়ের রাগকে

(D) বিচ্ছেদ ও বিরহের দহনকে

Ans: (B) আকালে পীড়িতদের কষ্টে মর্মজ্বালাকে

  1. ‘ আমি না খেলে উনিও খাবেন না ।’- কে খাবে না ? 

(A) মৃত্যুঞ্জয়

(B) নিখিল

(C) টুনুর মা

(D) টুনু

Ans: (C) টুনুর মা

  1. টুনুর মা – র যা স্বাস্থ্যের অবস্থা , তাতে একবেলা খেয়ে কতদিন টিকতে পারবে বলে নিখিলের মনে সংশয় জাগে –

(A) দশ – পনেরো দিন 

(B) পনেরো – কুড়ি দিন 

(C) কুড়ি – পঁচিশ দিন

(D) পঁচিশ – তিরিশ দিন

Ans: (B) পনেরো – কুড়ি দিন

  1. ‘ এ ভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না ।’— এমন বলার কারণ – 

(A) কয়েকজন মানুষের কৃপা – করুণায় খাদ্যাভাব মেটে না 

(B) এ অনেকটা একজনের বদলে আর একজনকে খাওয়ানো 

(C) সকলে সমান স্বার্থত্যাগী নয়

(D) আসলে এটাও এক ধরনের স্বার্থপরতা 

Ans: (B) এ অনেকটা একজনের বদলে আর একজনকে খাওয়ানো

  1. ভূরিভোজনটা অন্যায় , কিন্তু না খেয়ে মরাটা উচিত নয় । ভাই ।’— বক্তার নাম – 

(A) নিখিল 

(B) মৃত্যুঞ্জয় 

(C) টুনুর মা 

(D) মৃত্যুঞ্জয়ের ভাই 

Ans: (A) নিখিল

  1. ‘ আমি কেটে হেঁটে যতদূর সম্ভব খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি ।’ বক্তা হলেন – 

(A) মৃত্যুঞ্জয়

(B) নিখিলের স্ত্রী

(C) টুনুর মা

(D) নিখিল

Ans: (D) নিখিল

  1. ‘ ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা ।’- মৃত্যুঞ্জয়ের মতে পাশবিক স্বার্থপরতাটি হল –

(A) দুর্ভিক্ষের সীমাহীন যন্ত্রণায় মর্মাহত না – হওয়া 

(B) বেঁচে থাকার প্রয়োজনে যথাযথ খাবার খাওয়ার মানসিকতা 

(C) সরকারি রিলিফ ওয়ার্কের গুণগান 

(D) সংসারের প্রতি অত্যধিক মনোযোগ 

Ans: (B) বেঁচে থাকার প্রয়োজনে যথাযথ খাবার খাওয়ার মানসিকতা

  1. ‘ দশজনকে খুন করার চেয়ে নিজেকে না খাইয়ে মারা বড়ো পাপ ।’— নিখিল এ কথা বলেছে –

(A) সমাজধর্মের নিরিখে

(B) যুগধর্মের নিরিখে

(C) ধর্মতত্ত্বের নিরিখে

(D) নীতিধর্মের নিরিখে

Ans: (A) সমাজধর্মের নিরিখে

  1. “ কিন্তু যারা না খেয়ে মরছে তাদের যদি এই স্বার্থপরতা থাকত ? ‘ — এখানে নিখিল ‘ স্বার্থপরতা ‘ বলতে বোঝাতে চেয়েছে –

(A) আত্মকেন্দ্রিকতা 

(B) আত্মসর্বস্বতা 

(C) নিজের অধিকারবোধ সম্পর্কে সচেতনতা

(D) পরের অধিকারবোধ সম্পর্কে সচেতনতা

Ans: (C) নিজের অধিকারবোধ সম্পর্কে সচেতনতা

  1. বদ্ধ পাগল ।’— এখানে বক্তা হল –

(A) নিখিল

(B) মৃত্যুঞ্জয়

(C) টুনু

(D) টুনুর মা

Ans: (B) মৃত্যুঞ্জয়

  1. ‘ তা সে অন্ন __ 

(A) হাজার 

(B) একশো 

(C) লক্ষ

(D) বিশ

Ans: (A) হাজার

  1. মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির ছেলেমেয়েগুলির চিৎকার করে কাঁদার কারণ –

(A) টুনুর মায়ের কঠোর শাসন 

(B) মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে না – ফেরা

(C) অনাদর ও অবহেলা 

(D) অনাদর , অবহেলা ও খিদের জ্বালা 

Ans: (D) অনাদর , অবহেলা ও খিদের জ্বালা

  1. মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে সঙ্গে থাকার টুনুর মায়ের সাতর অনুরোধে নিখিল শর্ত দিয়েছিল –

(A) তাকে সুস্থ হয়ে ঘর সামলাতে হবে 

(B) তাকে সুস্থ হয়ে উঠতে হবে 

(C) তাকে ছেলেমেয়েদের আদরযত্ন করতে হবে 

(D) তাকে বিছানা থেকে উঠে দু – বেলা খেতে হবে 

Ans: (A) তাকে সুস্থ হয়ে ঘর সামলাতে হবে

  1. ‘ নিখিলকে বার বার আসতে হয় ।’– এর কারণ— 

(A) মৃত্যুঞ্জয়ের শারীরিক অসুস্থতা 

(B) টুনুর মায়ের শারীরিক অসুস্থতা 

(C) মৃত্যুঞ্জয় , টুনুর মা ও তাদের প্রতি নিখিলের দরদ এবং দায়বদ্ধতা 

(D) মৃত্যুঞ্জয়ের ছেলেমেয়ের প্রতি নিখিলের ভালোবাসা 

Ans: (C) মৃত্যুঞ্জয় , টুনুর মা ও তাদের প্রতি নিখিলের দরদ এবং দায়বদ্ধতা

  1. টুনুর মা নিখিলকে কী অনুরোধ জানিয়েছিল ? 

(A) একবেলার খাবার বিলিয়ে দিতে 

(B) মাইনের অর্থ দান করতে 

(C) আর্থিক সাহায্য করতে

(D) মৃতুঞ্জয়ের খেয়াল রাখতে 

Ans: (D) মৃতুঞ্জয়ের খেয়াল রাখতে

  1. মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীর ‘ কেবলি মনে পড়ে –

(A) সংসারের অভাবের কথা

(B) স্বামীর কথা 

(C) ফুটপাথের লোকগুলোর কথা 

(D) ছেলেমেয়েদের কথা

Ans: (C) ফুটপাথের লোকগুলোর কথা

  1. ‘ আচ্ছা , কিছুই কি করা যায় না ? —এখানে ‘ কি ‘ করার কথা বলা হয়েছে ? 

(A) মৃত্যুঞ্জয়কে সুস্থ করার কথা

(B) মৃত্যুঞ্জয়কে খুঁজে বের করার কথা 

(C) আকালে পীড়িত মানুষগুলোর অন্নসংস্থানের কথা

(D) মৃত্যুঞ্জয়ের নিয়মিত অফিস যাওয়ার কথা

Ans: (C) আকালে পীড়িত মানুষগুলোর অন্নসংস্থানের কথা

  1. ‘ দারুণ একটা হতাশা জেগেছে ওর মনে ।’— এই হতাশার কারণ –

(A) মন্বন্তর ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে 

(B) মৃত্যুঞ্জয়ের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটছে 

(C) টুনুর মায়ের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটছে 

(D) যথাসর্বস্ব দান করলেও আকালে পীড়িতদের ভালো করা যাবে না ।

Ans: (D) যথাসর্বস্ব দান করলেও আকালে পীড়িতদের ভালো করা যাবে না ।

  1. ‘ দারুণ একটা হতাশা জেগেছে ওর মনে ।’- কার মনে হতাশা জেগেছে ? 

(A) নিখিলের মনে 

(B) মৃত্যুঞ্জয়ের মনে 

(C) টুনুর মা – র মনে 

(D) দুর্ভিক্ষপীড়িতদের মনে

Ans: (C) টুনুর মা – র মনে

  1. ‘ একেবারে মুষড়ে যাচ্ছেন দিনকে দিন ।’— মৃত্যুঞ্জয়ের এই মুষড়ে যাওয়ার কারণ –

(A) অন্তর্মনের হতাশা 

(B) শারীরিক অসুস্থতা

(C) স্ত্রীর অসুস্থতা

(D) অফিসের অশান্তি

Ans: (A) অন্তর্মনের হতাশা

  1. “ নিখিল চেষ্টা করে তার ছুটির ব্যবস্থা করিয়ে দিয়েছে ।’— এর কারণ— 

(A) মৃত্যুঞ্জয় শারীরিকভাবে অসুস্থ 

(B) মৃত্যুঞ্জয় বাড়িতে থাকে না

(C) মৃত্যুঞ্জয় অফিসে যায় না 

(D) মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী অসুস্থ 

Ans: (C) মৃত্যুঞ্জয় অফিসে যায় না

  1. টুনুর মা ‘ নিখিলকে ডেকেছে যা বলে – 

(A) ঠাকুরপো 

(B) ভাসুরপো

(C) দেবরপো 

(D) বটঠাকুরপো 

Ans: (A) ঠাকুরপো

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer : 

  1. আজ চোখে পড়ল প্রথম ।’— কী প্রথম চোখে পড়ল ? 

Ans: অফিস যাওয়ার পথে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রথম , ১৩৫০ বঙ্গাব্দের আকালে পীড়িত এক মানুষের অনাহারে মৃত্যু চোখে পড়ল । 

  1. ফুটপাখে হাঁটা তার বেশি প্রয়োজন হয় না ।’- কেন ফুটপাথে হাঁটার প্রয়োজন হয় না । 

Ans: নিরিবিলি অঞ্চলের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয়ের পাড়ায় ফুটপাথ কম । ছোটো ভাই ও চাকর থাকায় তাকে দোকান – বাজারও করতে হয় না । বাড়ি থেকে বেরিয়েই সে অফিসের ট্রাম ধরে । তাই তার ফুটপাথে হাঁটার প্রয়োজন হয় না ।

  1. ‘ এতদিন শুধু শুনে আর পড়ে এসেছিল ‘ — কী শুনে আর পড়ে আসার কথা বলা হয়েছে ? 

Ans: ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের দুর্ভিক্ষপীড়িত কলকাতার ফুটপাথে অনাহারক্লিষ্ট মানুষের খিদের জ্বালায় মৃত্যুর কথা এতদিন মৃত্যুঞ্জয় শুনে আর পড়ে এসেছিল ।

  1. ‘ সন্দেহ নেই ।’— কোন্ বিষয়ে সন্দেহ নেই ? 

Ans: ফুটপাথে হাঁটাচলা করলে দুর্ভিক্ষের দিনে অনাহারে মৃত্যু দর্শন যে আগেই ঘটত , এ বিষয়ে মৃত্যুঞ্জয়ের মনে কোনো সন্দেহ নেই । 

  1. মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি শহরের কেমন জায়গায় অবস্থিত ছিল ? 

Ans: কলকাতা শহরের এক নিরিবিলি অঞ্চলে ছিল মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি । সে পাড়ায় খুব বেশি ফুটপাথও ছিল না । 

  1. বাড়ি থেকে কীভাবে অফিস যেত মৃত্যুঞ্জয় ? 

Ans: মৃত্যুগ্ধয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে দু – পা হেঁটে ট্রামে গিয়ে উঠত এবং একদম অফিসের দোরগোড়ায় গিয়ে নামত । 

  1. মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির দোকানবাজার করত কারা ? 

Ans: মৃত্যুঞ্জয়ের ছোটো ভাই ও চাকর তার বাড়ির দোকানবাজার ও কেনাকাটা করত । 

  1. ‘ কয়েক মিনিটে মৃত্যুঞ্জয়ের সুস্থ শরীরটা অসুস্থ হয়ে গেল ।’— কারণ কী ছিল ? 

Ans: ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের দুর্ভিক্ষপীড়িত কলকাতার ফুটপাথে প্রথমবার অনাহারে মৃত্যু দেখে মৃত্যুঞ্জয় অসুস্থ হয়ে পড়েছিল । 

  1. ‘ মনে আঘাত পেলে ’ মৃত্যুঞ্জয়ের কী হয় ? 

Ans: ‘ মনে আঘাত পেলে ’ মৃত্যুঞ্জয়ের শরীরে তার প্রতিক্রিয়া হয় । মানসিক কষ্ট থেকে শারীরিক অস্থিরতা তৈরি হয় । 

  1. ‘ তখন সে রীতিমতো কাবু হয়ে পড়েছে ‘ — সে কাবু হয়ে পড়েছিল কেন ? 

Ans: কলকাতার ফুটপাথে প্রথম অনাহারে মৃত্যু দেখে মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক বেদনাবোধের সঙ্গে চলতে থাকে শারীরিক কষ্টবোধ । ফলে সে কাবু হয়ে পড়ে । 

  1. ‘ একটু বসেই তাই উঠে গেল কলঘরে ‘ — কলঘরে উঠে যাওয়ার কারণ কী ছিল ? 

Ans: কলকাতার ফুটপাথে প্রথম অনাহারে মৃত্যু দেখে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিধ্বস্ত মৃত্যুঞ্জয় অফিসের কলঘরে গিয়ে বাড়ি থেকে খেয়ে আসা খাবারের সমস্তটা বমি করে দেয় । 

  1. ‘ নিখিল যখন খবর নিতে এল ’ – নিখিল এসে কী দেখল ?

Ans: নিখিল এসে দেখল , কলঘর থেকে ফিরে মৃত্যুঞ্জয় জল পান করে খালি গ্লাস নামিয়ে রেখে দেয়ালের দিকে শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল । 

  1. নিখিলের সমপদস্থ মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের তুলনায় কত টাকা মাইনে বেশি পায় এবং কেন ?

Ans: নিখিল ও মৃত্যুঞ্জয় সমপদস্থ হলেও মৃত্যুধ্বয়ের বেতন পঞ্চাশ টাকা বেশি । কারণ সে একটা বাড়তি দায়িত্ব পালন করে । 

  1. কে বাঁচায় , কে বাঁচে ‘ গল্পের নিখিলের চেহারা প্রকৃতি কেমন ছিল ? 

Ans: ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ‘ গল্পের নিখিল রোগা এবং একটু অলস প্রকৃতির হলেও অত্যস্ত তীক্ষ্ণবুদ্ধির মানুষ । 

  1. নিখিলের কীসে মন ছিল না ? 

Ans: নিখিলের নাকি সংসারে মন ছিল না । 

  1. নিখিল অবসর জীবনটা কীভাবে কাটাতে চায় ? 

Ans: নিখিল বই পড়ে আর একটা চিন্তাজগৎ গড়ে তুলে অবসর জীবনটা কাটাতে চায় । 

  1. মৃত্যুঞ্জয় ও নিখিলের বৈবাহিক জীবন কত কত বছরের ? 

Ans: মৃত্যুঞ্জয়ের বৈবাহিক জীবন ছ – বছরের এবং নিখিলের আট বছরের । 

  1. ‘ অন্য সকলের মতো মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে ’ — কী কারণে ‘ সে ’ মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করে ? 

Ans: মৃত্যুঞ্জয় ছিল নিরীহ , শান্ত , দরদি , সৎ , সরল ভালোমানুষ । কিন্তু এসব কারণে নয় , মৃত্যুঞ্জয় আদর্শবাদের কল্পনা – তাপস বলে নিখিল তাকে পছন্দ করত । 

  1. তাকে অবজ্ঞেয় করে দিত ।’— কাকে , কীভাবে অবজ্ঞেয় করে দিত ? 

Ans: মৃত্যুঞ্জয় দুর্বলচিত্ত , ভাবপ্রবণ ও আদর্শবাদী হলে তাকে খোঁচা দিয়ে ক্ষেপিয়ে তুলে তার মনের অন্ধকার দূর করে দেওয়া যেত । ফুটপাথে মৃত্যুজনিত বেদনাবোধকে মৃত্যুঞ্জয়ের কাছে অবজ্ঞেয় করে তোলা সম্ভব হত । 

  1. তখন ভাবে যে নিখিল না হয়ে মৃত্যুঞ্জয় হলে মন্দ ছিল না ‘ – নিখিল কখন এমন ভাবে ?

Ans: মৃত্যুঞ্জয়ের অন্তরের আশ্চর্য মানসিক শক্তির কাছে । মাঝেমধ্যেই নিখিল কাবু হয়ে পড়ে । তখন সে এমন ভাবে । 

  1. মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক ক্রিয়া – প্রতিক্রিয়া কেমন বলে নিখিলের মনে হয়েছে ? 

Ans: মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক ক্রিয়া – প্রতিক্রিয়া শ্লথ বা মন্থর , কিন্তু নিস্তেজ নয় । 

  1. ‘ মৃত্যুঞ্জয়ের রকম দেখেই নিখিল অনুমান করতে পারল ‘ – নিখিল কী অনুমান করতে পেরেছিল ? 

Ans: নিখিল অনুমান করতে পারল যে , বড়ো একটা সমস্যার সঙ্গে মৃত্যুঞ্জয়ের সংঘর্ষ হয়েছে । আর সংকটের তীব্রতায় সে শার্শিতে আটকানো মৌমাছির মতো মাথা খুঁড়ছে । 

  1. ‘ যেন আর্তনাদ করে উঠল মৃত্যুঞ্জয় ।’— মৃত্যুঞ্জয় কী বলে আর্তনাদ করে উঠল অথবা , ‘ কি হল হে তোমার ? ‘ — বস্তুা উত্তরে কী শুনেছিল ? 

Ans: “ মরে গেল । না খেয়ে মরে গেল । ” বলে আর্তনাদ করে উঠল মৃত্যুঞ্জয় । 

  1. ‘ আরও কয়েকটি প্রশ্ন করে নিখিলের মনে হল ‘ — নিখিলের কী মনে হয়েছিল ? 

Ans: নিখিলের আরও কয়েকটি প্রশ্ন করে মনে হয়েছিল যে মৃত্যুহুয়ের ভিতরটা সে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে । 

  1. ‘ সেটা আশ্চর্য নয় । কোন ব্যাপারটা আশ্চর্য নয় ? 

Ans: দুর্ভিক্ষের সময় কলকাতা শহরের ফুটপাথে অনাহারক্লিষ্ট মানুষের মৃত্যুর মতো সহজবোধ্য ব্যাপারটা মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস করতে পারছে না , এটা নিখিলের কাছে আশ্চর্যের ব্যাপার নয় । 

  1. অনাহারে মৃত্যুর রূপ দেখে মৃত্যুঞ্জয়ের মনে কী প্রশ্ন জেগেছিল ? 

Ans: ক্ষুধার যন্ত্রণা নাকি মৃত্যুযন্ত্রণা কোন্‌টা বেশি ভয়ংকর । 

  1. ‘ পাহাড়প্রমাণ মালমশলা ঢোকাবার চেষ্টা করছে ‘ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? 

Ans: পাহাড়প্রমাণ মালমশলা বলতে ফুটপাথের মৃত্যুর বীভৎসতা ক্ষুধা অথবা মৃত্যুর রূপ কিনা , না – খেয়ে মরা কী ও কেমন , না – খেয়ে মরতে কত কষ্ঠ হয় ও কেমন কষ্ট , ক্ষুধার যাতনা বেশি , না মৃত্যুযন্ত্রণা বেশি— এইসব ভাবনাকে বোঝানো হয়েছে ।

  1. ‘ এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কি ? ’ – মৃত্যুঞ্জয়ের এমন মন্তব্যের কারণ কী ছিল ? 

Ans: আকালে পীড়িত হতভাগ্য মানুষদের খিদের জ্বালাকে উপেক্ষা করে , চার বেলা পেট ভরে খাওয়াকে অপরাধ মনে করে মৃত্যুঞ্জয় এমন মন্তব্য করেছে । 

  1. ধিক্ । শত ধিক্ আমাকে ।’— নিজেকে ধিক্কার জানানোর কারণ কী ? 

Ans: দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের মৃত্যু নিজের চোখে দেখে মৃত্যুঞ্জয় ভাবে লোকবলের অভাবে যথেষ্ট ত্রাণকার্য হচ্ছে না অথচ সে চার বেলা খেয়ে পরে আত্মসুখী অলস জীবনযাপন করছে । তাই মৃত্যুঞ্জয় আত্মধিক্কার জানায় । 

  1. ‘ নিখিল চুপ করে থাকে ।’— কেন নিখিল চুপ করে থাকে ? 

Ans: আকালে পীড়িত হতভাগ্যদের কষ্টে মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করে । এই দেখে নিখিল চুপ করে থাকে ।

  1. ‘ নিখিলের মনটাও খারাপ হয়ে যায় ।’— এর কারণ কী ছিল ? 

Ans: অনাহারগ্রস্ত মানুষদের কথা ভেবে মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করে । সেই দরদের ছোঁয়া লেগে নিখিলেরও মন খারাপ হয়ে যায় ।

  1. ‘ এ আগুন নিভবে না ক্ষুধার ‘ — কী করলেও ক্ষুধার আগুন নিভবে না ? 

Ans: দেশের সমস্ত দরদ একত্রিত করে ঢাললেও ক্ষুধার্ত মানুষের ক্ষুধার আগুন নিভবে না । 

  1. ‘ কিন্তু সেটা হয় অনিয়ম ‘ — অনিয়মটি কী ? 

Ans: রুঢ় বাস্তবকে উলটে মধুর আধ্যাত্মিক নীতিতে রুপান্তরিত করার চেষ্টাই হল অনিয়ম । এখানে নিখিল সে – কথাই বলতে চেয়েছে । 

  1. ভিক্ষা দেওয়া সম্পর্কে নিখিলের কোন মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে ? 

Ans: ভিক্ষা হল করুণার দান । তা মানুষকে পরনির্ভরশীল করে তোলে । তাই ভিক্ষা দেওয়া যতই পুণ্যকর্ম বলে মনে করা হোক , নিখিল তাকে ‘ অস্বাভাবিক পাপ বলে মনে করে । 

  1. তীক্ষ্ণধার হা – হুতাশ করা মন্তব্য করা হয়েছে । কোথায় কেন এমন করা হয়েছে ? 

Ans: নিখিল সংবাদপত্র পড়তে গিয়ে দেখে গোটা কুড়ি মৃতদেহকে ভালোভাবে সদ্‌গতির ব্যবস্থা করা হয়নি বলে তীক্ষ্ণধার হা – হুতাশ করা মন্তব্য করা হয়েছে । 

  1. কিছু কিছু টাকা পাঠাতে হয় ‘ — কাকে , কোথায় টাকা পাঠাতে হয় ? 

Ans: নিখিলকে প্রতিমাসে তিন জায়গায় টাকা পাঠাতে হয় । 

  1. ‘ পাঁচ টাকা করে কমিয়ে দেবে কিনা । ‘ – নিখিলের এমন ভাবনার কারণ কী ছিল ? 

Ans: দুর্ভিক্ষের সময়ে কালোবাজারির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অত্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় নিখিল নিজের সাংসারিক প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে সাহায্যের পরিমাণ কমানোর কথা ভাবছিল । 

  1. ‘ সেদিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ বিষণ্ণ গম্ভীর হয়ে আছে ।’— কোন্ দিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ বিষণ্ণ গম্ভীর হয়ে আছে ? 

Ans: অফিসে আসার পথে ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য দেখার পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ বিষণ্ণ গম্ভীর হয়ে আছে । 

  1. ‘ নিখিলের সঙ্গেও বেশি কথা বলেনি ।’— কেন ? 

Ans: ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য দেখে আদর্শবাদী মৃত্যুঞ্জয় । হতভাগ্য মানুষগুলোকে যথাসর্বস্ব দিয়ে সাহায্য করতে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করেছিল । তাই সে নিখিলের সঙ্গে বেশি কথা বলেনি । 

  1. ‘ একটা কাজ করে দিতে হবে ভাই ।’— এখানে কী কাজ করার কথা বলা হয়েছে ? 

Ans: মৃত্যুঞ্জয় মাইনের পুরো টাকাটাই রিলিফ ফান্ডে দিতে চায় । নিখিলকে এই অনুরোধ জানিয়েই সে ‘ একটা কাজ করে দেওয়ার কথা বলে । 

  1. “ মাইনের টাকায় মাস চলে না ‘ — মৃত্যুঞ্জয়ের মাইনের টাকায় । মাস চলে না কেন ? 

Ans: মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবারটি বড়ো । স্ত্রী – ছেলে – মেয়ে ও ভাইকে নিয়ে তার সংসারে ন – জন লোক । তাই মাইনের টাকায় মৃত্যুঞ্জয়ের মাস চলে না ।। 

  1. ‘ আমায় কিছু একটা করতে হবে ভাই ‘ — কী করার কথা বলা হয়েছে ? 

Ans: শহরের ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যু দেখে মৃত্যুঞ্জয় অপরাধবোধে ভুগতে থাকে । সেই তাগিদেই সে নিরন্ন মানুষদের জন্য কিছু একটা করার কথা ভাবে । 

  1. অন্ন থাকতে বাংলায় না খেয়ে কেউ মরত না ।’ – কোন যুক্তিতে নিখিল এমন কথা বলেছে । 

Ans: আকালে পীড়িত মানুষদের অখাদ্য গ্রুয়েল দেওয়ার বদলে যদি তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা যেত , তাহলে অন্ন থাকতে বাংলায় কেউ না খেয়ে মরত না । 

  1. নিখিলের মতে ‘ জীবনধারণের অন্নে মানুষের দাবি না জন্মানোর কারণ কী ? 

Ans: নিখিলের মতে ভিক্ষা দেওয়ার মতো অস্বাভাবিক পাপকে আজও পুণ্য বলে বিবেচনা করা হয় বলেই , এখনও ‘ জীবনধারণের অন্নে মানুষের দাবি জন্মাচ্ছে না । 

  1. ‘ তুই পাগল নিখিল । বন্ধ পাগল ।’— মৃত্যুঞ্জয়ের এমন মনে হয়েছিল কেন ? 

Ans: অন্যকে ভিক্ষা দেওয়া পাপ কিংবা নিরন্ন মানুষদের স্বার্থপর করে তোলার সপক্ষে যুক্তি দেয় বলেই নিখিল সম্পর্কে মৃত্যুঞ্জয় এমন মন্তব্য করে । 

  1. তারপর দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়’ এখানে ‘ তারপর ‘ বলতে কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে ? 

Ans: অফিসে মাইনের দিন বন্ধু ও সহকর্মী নিখিলের সঙ্গে স্পষ্ট মতবিরোধের পরদিন থেকেই ক্রমশ মৃত্যুঞ্জয় কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল । 

  1. ‘ তারপর দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়’— মৃত্যুঞ্জয় কেমন হয়ে যেতে শুরু করল ? 

Ans: নিখিলের সঙ্গে মতবিরোধের পর থেকে ক্রমে মৃত্যুঞ্জয় দেরি করে অফিসে আসতে লাগল , অন্যমনস্ক হয়ে পড়ল , কাজকর্ম । 

  1. ফেলে শহরের ফুটপাথ ধরে হেঁটে বেড়াতে লাগল । মৃত্যুঞ্জয় তাদের লক্ষ করে ’ — কাদের লক্ষ করে ? 

Ans: ডাস্টবিনের ধারে , গাছের নীচে , খোলা ফুটপাথে , অনেক রাতে বন্ধ দোকানের সামনের রোয়াকে কিংবা ভোর চারটে থেকে লাইন দিয়ে বসে থাকা দুর্ভিক্ষপীড়িত , অনাহারক্লিষ্ট মানুষগুলোকে মৃত্যুঞ্জয় লক্ষ করে । 

  1. আকালে পীড়িতরা ভোর চারটে থেকে লাইন দিত কেন ? 

Ans: আকালে পীড়িতরা সরকারি লঙ্গরখানায় অখাদ্য গ্রুয়েলের আশায় ভোর চারটে থেকে লাইন দিত । 

  1. ‘ প্রথম প্রথম সে এইসব নরনারীর যতজনের সঙ্গে সম্ভব । আলাপ করত ’ — এমন আলাপের কারণ কী ছিল ?

Ans: মৃত্যুঞ্জয় দুর্ভিক্ষপীড়িতদের বক্তব্য ও কাহিনি শোনার জন্য প্রথম প্রথম তাদের সঙ্গে আলাপ করত । 

  1. ‘ এখন সেটা বন্ধ করে দিয়েছে ‘ — কী বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে ? অথবা , সকলে এককথাই বলে ।’— সকলে কী কথা বলে ? 

Ans: মৃত্যুঞ্জয় দুর্ভিক্ষপীড়িত ফুটপাথবাসীর একই দুঃখ ও দুর্ভাগ্যের কাহিনি শুনে শুনে ক্লান্ত ও হতাশ হয়ে এখন তা শোনা বন্ধ করে দিয়েছে । 

  1. ‘ কারো বুকে নালিশ নেই , প্রতিবাদ নেই ‘ — কেন ? 

Ans: দুর্ভিক্ষপীড়িত নিরন্ন হতভাগ্যের দল ভাগ্যের হাতে নিজেদের সঁপে দিয়ে সব মুখবুজে মেনে নেওয়ায় , তাদের কোনো নালিশ কিংবা প্রতিবাদ নেই । 

  1. ভাষা ও বলার ভঙ্গি পর্যন্ত তাদের এক ধাঁচের ’ – যাদের কথা বলা হয়েছে তাদের ভাষা ও বলার ভঙ্গি কেমন ? 

Ans: গ্রাম্য মানুষের গ্রামীণ আঞ্চলিক ভাষাগত উচ্চারণ আর অনাহারক্লিষ্ট মানুষের অর্ধচেতন ঝিমানো সুরে একই দুঃখ ও হতভাগ্যের কাহিনি প্যানপ্যানানির মতো বা একঘেয়ে শোনায় । 

  1. ‘ অখাদ্য জুয়েল ‘ – য়ে কী ? 

Ans: গ্লুয়েল হল দুর্ভিক্ষের সময় সরকারি লঙ্গরখানা থেকে বিতরিত এক ধরনের যব জাতীয় তরল খাবার । 

  1. ‘ মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শোচনীয় । ‘ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? 

Ans: মৃত্যুঞ্জয় অফিসে না গিয়ে ফুটপাথবাসী নিরন্ন মানুষের সঙ্গে দিন কাটায় । তার স্ত্রী অর্ধাহারে শয্যাশায়ী । ছেলেমেয়েরা অবহেলায় , খিদেয় কাঁদে । তাই তার বাড়ির অবস্থা শোচনীয় । 

  1. টুনুর মাকে মিথ্যা করে বলে যে মৃত্যুঞ্জয় আসছে ‘ — মিথ্যা বলার কারণ কী ? 

Ans: এই বিরাট শহরে আগন্তুক মানুষের ভিড়ে মৃত্যুঞ্জয়কে খুঁজে পাওয়া অসম্ভব । তাই অসুস্থ টুনুর মাকে আশ্বস্ত করতে বাধ্য হয়ে তাকে মিথ্যা কথা বলা হয় । 

  1. দুর্ভিক্ষপীড়িতদের সাহায্য করতে করতে মৃত্যুঞ্জয় গৃহত্যাগ করলে তাঁর বাড়ির লোকের কী কী প্রতিক্রিয়া হয় ?

Ans: অনাহারে শয্যাশায়ী মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী তথা টুনুর মা বাড়ির সকলকে স্বামীর খোঁজে বারবার বাইরে পাঠায় । শহরের আগন্তুক মানুষের ভিড়ে মৃত্যুঞ্জয়কে খুঁজে না পেয়ে তারা টুনুর মাকে মিথ্যে সান্ত্বনা জানায় । কিন্তু নিজেরা গম্ভীর এবং কাদো কাঁদো মুখে প্রতীক্ষায় থাকে । অনাদরে , অবহেলায় , অনাহারে ছেলেমেয়েগুলি চেঁচিয়ে কাঁদে । 

  1. ‘ নিখিলকে বার বার আসতে হয় ।’— কেন ? 

Ans: মৃত্যুঞ্জয়ের অনুপস্থিতিতে বাড়ির বেহাল ও শোচনীয় অবস্থা দেখে দরদ ও ভালোবাসার তাগিদে নিখিল সেখানে বার বার আসে । 

  1. টুনুর মাকে নিখিল কী বোঝানোর চেষ্টা করে ? 

Ans: টুনুর মাকে দ্রুত সুস্থ হয়ে সংসারের হাল ধরার পরামর্শ দেয় নিখিল । 

  1. টুনুর মা নিখিলকে কী অনুরোধ জানিয়েছিল ? 

Ans: টুনুর মায়ের সকাতর অনুরোধ ছিল যাতে নিখিল , মৃত্যুঞ্জয়কে নজরে রাখে । 

  1. উঠতে পারলে আমিই তো ওর সঙ্গে ঘুরতাম ঠাকুরপো ‘ টুনুর মা এরকম কথা বলে কেন ? 

Ans: মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে থেকে থেকে টুনুর মা – ও অনেকটা ওর মতো হয়ে গেছে বলেই এরকম কথা বলে । 

  1. ‘ আমারও মনে হচ্ছে যেন পাগল হয়ে যাব ।’— এমন ভাবনার কারণ কী ? 

Ans: নিরন্ন ফুটপাথবাসী মানুষগুলোর অসহায় যন্ত্রণা উপলব্ধি – করে মৃত্যুঞ্জয় তার মানসিক ভারসাম্য হারাতে বসেছিল । টুনুর মায়েরও একই অবস্থা হবে , এটাই তার আশঙ্কা । 

  1. ছেলেমেয়েগুলির জন্য সত্যি আমার ভাবনা হয় না । ” —তাহলে কীসের ভাবনা হয় ? 

Ans: টুনুর মায়ের তার নিজের ছেলেমেয়েদের বদলে কেবলই মনে পড়ে ফুটপাথবাসী নিরন্ন লোকগুলোর কথা । 

  1. ‘ আচ্ছা , কিছুই কি করা যায় না ? ‘ — এই ভাবনা কেন ? 

Ans: অনাহারক্লিষ্ট মানুষের মৃত্যু দেখে সাহায্যের আশায় স্বামী মৃত্যুঞ্জয় তো ঘর ছেড়ে দিয়েছে । তার যোগ্য সহধর্মিনী হিসেবে টুনুর । মাও নিখিলকে প্রশ্ন করে আশ্বস্ত হতে চায় সত্যিই এই বিপদগ্রস্ত মানুষগুলির জন্য কিছু করা যায় কিনা । 

  1. ‘ দারুণ একটা হতাশা জেগেছে ওর মনে ।’— হতাশার কারণ কী ? 

Ans: মৃত্যুঞ্জয়ের মনে হয়েছে , নিজের যথাসর্বস্ব দান করলেও কিছুতেই দুর্ভিক্ষপীড়িত নিরন্ন মানুষগুলোর কিছুই ভালো করা যাবে না । এটাই তার হতাশার কারণ । 

  1. ‘ একেবারে মুষড়ে যাচ্ছেন দিনকে দিন ।’— এখানে ‘ মুষড়ে যাওয়া বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? 

Ans: অনাহারগ্রস্ত বুভুক্ষু মানুষদের প্রতিকারহীন দুরবস্থা দেখে মৃত্যুঞ্জয় ভিতর থেকে ভেঙে পড়ছিল । এই সীমাহীন হতাশায় সে ক্রমে মুষড়ে যায় । 

  1. “ নিখিল শোনে আর তার মুখ কালি হয়ে যায় ।’— ‘ মুখ কালি ‘ হওয়ার কারণ কী ছিল ? 

Ans: সহকর্মী ও বন্ধু মৃত্যুঞ্জয়ের হতাশ ও মুষড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক অব স্থার কথা শুনে দুঃখে নিখিলের ‘ মুখ কালি হয়ে যায় ‘ । 

  1. ‘ মৃত্যুঞ্জয় আপিসে যায় না ‘ — কোথায় যায় ? 

Ans: মৃত্যুঞ্জয় অফিসে না – গিয়ে দুর্ভিক্ষপীড়িত নিরন্ন মানুষদের সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে বেড়ায় । 

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer : 

1. ‘ সেদিন আপিস যাবার পথে মৃত্যুঞ্জয় প্রথম মৃত্যু দেখল– অনাহারে মৃত্যু । — এই ‘ দেখা ‘ – র ফলে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল ? 

Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে নামক ছোটোগল্পটি ১৩৫০ বঙ্গাব্দের ( ১৯৪৩-৪৪ খ্রিস্টাব্দ ) ভয়াবহ মন্বন্তরের পটভূমিকায় লেখা । 

  গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় একদিন অফিস যাওয়ার পথে শহরের ফুটপাথে অনাহারক্লিষ্ট একজন মানুষকে মারা যেতে দেখে । দুর্ভিক্ষের কলকাতায় এমন ঘটনায় কোনো অস্বাভাবিকতা ছিল না । এ কিন্তু সৎ , সরল ও আদর্শবাদী মৃত্যুঞ্জয় ঘটনার আকস্মিকতায় সম্পূর্ণ ‘ কাবু হয়ে পড়ে । এর আগে সে অনাহারে মৃত্যুর কথা শুনে বা পড়ে থাকলেও দেখেনি । তাই স্রেফ না – খেতে পেয়ে একজনকে মারা যেতে দেখে মৃত্যুঞ্জয় শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে । অফিসে পৌঁছেই সে কলঘরে গিয়ে বাড়ি থেকে খেয়ে আসা সমস্ত খাবার বমি করে দেয় । কাচের গ্লাস থেকে জল খেয়ে শূন্য দৃষ্টিতে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকে । তীক্ষ্ণবুদ্ধি নিখিল বুঝে যায় , কোনো এক গভীর সমস্যার সঙ্গে মৃত্যুঞ্জয়ের সংঘর্ষ হয়েছে । সমস্যার নিরর্থক কঠোরতায় সে যেন শার্শিতে আটকে পড়া মৌমাছির মতো মাথা খুঁড়ছে । নিখিলের প্রশ্নের উত্তরে গভীরভাবে অন্যমনস্ক মৃত্যুঞ্জয়ের কণ্ঠস্বরে নিরন্ন মানুষের মৃত্যুর যন্ত্রণাবিদ্ধ আর্তনাদ ভেসে আসে । এর থেকেই আহত , অস্থির ও আত্মযন্ত্রণায় বিধ্বস্ত এক = 1 } আদর্শবাদী মানুষের ছবি আমাদের কাছে ফুটে ওঠে । অনাহারে মৃত্যু দর্শন ও মানসিক প্রতিক্রিয়া

2. অন্য সকলের মতো মৃত্যুওয়কে সেও খুব পছন্দ করে । এখানে কার কথা বলা হয়েছে ? মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করার কী কারণ ছিল । 

Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে গল্প থেকে গৃহীত উদ্ধৃতিটিতে মৃত্যুঞ্জয়ের সহকর্মী ও বন্ধু নিখিলের কথা বলা হয়েছে ।

  চল্লিশের দশকের মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক দর্শন ও সমাজভাবনার আদর্শ প্রতিরূপ মৃত্যুায় চরিত্রটি । মৃত্যুঞ্জয় একজন শান্ত – নিরীহ , সৎ , সরল , বিবেকবান মানুষ । শহুরে মানুষের মতো সে আত্মসুখী নয় । কিন্তু শুধু এই কারণেই নিখিল তাকে পছন্দ করে । না । মানবসভ্যতার পচা বা পরিত্যন্ত ঐতিহ্য ও আদর্শবাদকে মৃত্যুঞ্জয় চর্চা করত । এ কারণেও নিখিল তাকে পছন্দ করে । ব্যতিক্রমী চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় মৃত্যুঞ্জয় দুর্বল মনের ভাবপ্রবণ ও আদর্শবাদী হলে সামান্য খোঁচা দিয়ে তার মনের অন্ধকার দূর করা যেত । কিন্তু সে শিথিল বা নিস্তেজ মনের অধিকারী ছিল না । তার হৃদয়ে শক্তির একটা উৎস ছিল । অব্যয়কে শব্দরূপ দেওয়া সম্ভব নয় , তবু আত্মসচেতন ও অমিত সেই অব্যয়কে যদি শব্দরূপ দেওয়ার চেষ্টা শক্তির অধিকারী করা হয় তাহলে অকারণে শক্তিক্ষয় হবে । ফুটপাথের মৃত্যুর ঘটনাকে কোনোভাবে পরিবর্তন করা যাবে না , তবু মৃত্যুঞ্জয় সেই ঘটনা নিয়ে অকারণে ভেবে চলেছে । এ কারণেই নিখিল মাঝেমধ্যে সম্পূর্ণ কাবু হয়ে যেত মৃত্যুঞ্জয়ের কাছে । এমনকি তার প্রতি মৃদু হিংসা পোষণ করে ভাবত , হয়তো মৃত্যুঞ্জয় হলেও মন্দ হত না । নিখিলের অন্তর্মনে লালিত এইসব চিন্তাভাবনা থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি তার দরদ ও ভালোবাসাই প্রকাশ পায় । 

3. ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ‘ একটি সার্থক ছোটোগল্প আলোচনা করো । 

Ans: ছোটোগল্পের কিছু বৈশিষ্ট্য আছে । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটোগল্পের সুনির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা বলেছেন । প্রাত্যহিক জীবনে ঘটে যাওয়া খণ্ড – ক্ষুদ্র ঘটনা ছোটোগল্পের বিষয় হয়ে ওঠে । ছোটোগল্পের ঘটনায় বর্ণনার বাহুল্য থাকবে না । ছোটোগল্প হঠাৎ শুরু হয় এবং ঘটনাপ্রবাহ । পাঠককে দ্রুত পরিণতির দিকে টেনে নিয়ে যায় । আদর্শ ছোটোগল্পে পাঠক প্রতিমুহূর্তে কৌতূহলী থাকে । ছোটোগল্প শুরু হয়ে একটা চূড়ান্ত উৎকর্ষে পৌঁছায় এবং ধীরে ধীরে একটা পরিণতিতে শেষ হয় । আদর্শ ছোটোগল্প শেষ হয়েও শেষ হয় না , পাঠক চিত্তে ভাবনার আলোচনা করো । রেশ রেখে যায় । 

   মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ‘ গল্পটিতে ছোটোগল্পের বৈশিষ্ট্যগুলি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে । গল্পটা হঠাৎ শুরু হয়েছে । ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যু দেখে মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক ও শারীরিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয় । মৃত্যুঞ্জয় ধীরে ছোটোগল্প হিসেবে সার্থকতা বিচার ধীরে তার কর্মস্থল এবং শেষে সংসার ত্যাগ করে । নিখিলের সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয় । এটাই গল্পের climax অর্থাৎ চূড়ান্ত উৎকর্ষের শিখর । তারপর মৃত্যুঞ্জয় একসময় ফুটপাথবাসীদের সঙ্গে মিশে যায় । এটাই গল্পের পরিণতি । গল্প শেষ হলেও পাঠক চিত্তে প্রশ্ন থেকে যায় । এরপর কী হল মৃত্যুঞ্জয়ের , কী হল তার সংসারের ন – জন সদস্যের । গল্পে শব্দচয়নে লেখক যথেষ্ট সাবধানী হয়েছেন । মৃত্যু প্রয়ের মনের পরিবর্তনের স্বরূপ লেখক দক্ষতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন । ছোটো পরিসরে বৃহত্তরকে প্রকাশ করাই ছোটোগল্পের বৈশিষ্ট্য । পাঠ্য ছোটোগল্পটি সব শর্ত পুরণ করেই একটি আদর্শ ছোটোগল্প হয়ে উঠেছে ।

4. কে বাঁচায় , কে বাঁচে গল্পটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো । 

Ans: ‘ নামকরণের তাৎপর্য অংশটি দ্যাখো ।

5. ‘ শার্শিতে আটকানো মৌমাছির মতো সে মাথা খুঁড়ছে সেই স্বচ্ছ সমস্যার অকারণ অর্থহীন অনুচিত । কাঠিনো ।’— এখানে ‘ মৌমাছি ‘ – র সঙ্গে কার তুলনা করা হয়েছে । প্রশ্নোদ্ভূত অংশটির তাৎপর্য আলোচনা করো । 

Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়কে এখানে শার্শিতে আটকানো মৌমাছির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে । 

   শান্ত ও নিরীহ মানুষ মৃত্যুঞ্জয় একদিন দুর্ভিক্ষপীড়িত কলকাতা শহরের ফুটপাথ দিয়ে অফিস যাওয়ার পথে একজনকে স্রেফ না – খেতে পেয়ে ফুটপাথে মরে যেতে দেখল । অনাহারে মৃত্যুর সেই বীভৎস দৃশ্য দেখে আদর্শবাদী ও আবেগপ্রবণ মৃত্যুঞ্জয় মুহূর্তে অসুস্থ হয়ে পড়ল । সে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে অফিসের কলঘরে গিয়ে বমি করল । তারপর ফিরে এক প্রশ্নোদৃত অংশের গ্লাস জল খেয়ে শূন্যদৃষ্টিতে দেয়ালের দিকে তাৎপর্য তাকিয়ে রইল । মন্বন্তরগ্রস্ত কলকাতার ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যুর মতো সহজলভ্য ঘটনায় সে ভিতরে ভিতরে অপরাধবোধে অস্থির হয়ে উঠল । সে নিরন্ন মানুষের মৃত্যুর যাবতীয় কার্যকারণ খুঁজতে চেষ্টা করল । ক্ষুধা না মৃত্যুযন্ত্রণা কোন্‌টা বেশি কষ্টকর — এইসব ভাবতে ভাবতে রুঢ় বাস্তবের বিভিন্ন প্রশ্নচিহ্নের সামনে যেন সে অবশেষে বিভ্রান্ত ও হতাশ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল । মৃত্যুঞ্জয়ের মনের এই তোলপাড় অবস্থাকে ফুটিয়ে তুলতেই , নিখিল শার্শিতে আটকানো মৌমাছির প্রসঙ্গ টেনে এনেছে । 

6. ‘ নিখিল ভাবছিল বন্ধুকে বুঝিয়ে বলবে , এ ভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না । কোন প্রসঙ্গে নিখিলের এই ভাবনা ? এই ভাবনার মাধ্যমে নিখিলের চরিত্রের কোন্ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে ?

Ans: কে বাঁচায় , কে বাঁচে গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয় কলকাতা শহরের ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যু দেখে গভীর বিবেক যন্ত্রণায় তাড়িত হয়ে নিরন্ন মানুষদের বিলিয়ে দেওয়ার জন্য এক বেলা খাওয়া ছাড়ে , মাইনের পুরো টাকাটা রিলিফ ফান্ডে দেওয়ার জন্য নিখিলের হাতে তুলে দেয় । মৃত্যুঞ্জয়ের এই অবাস্তব কৃষ্ণসাধনের কথা শুনে নিখিলের মনে আলোচ্য → আবেগপ্রবণ ও আদর্শবাদী মৃত্যুপ্তদের আত্মত্যাগের ঘটনায় নিখিল স্তম্ভিত হয় । সেও সাধ্যমত্যে অন্যকে সাহায্য করে । আকালের কারণে খাওয়ায় যথাসম্ভব কাটছাঁট করলেও সে বাস্তব পৃথিবীকে কখনও ভোলে না । সে বন্ধু মৃত্যুঞ্চায়ের স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা এবং পারিবারিক দায়দায়িত্বের কথা ভেবে তাকে নিরস্ত করার চেষ্টা করে । কারণ নিখিল জানে দুর্ভিক্ষের বিপুল চাহিদার কাছে মৃত্যুঞ্জয়ের একক প্রচেষ্টার কোনো মূল্য নেই । তা ছাড়া নিখিলের মতে , সমাজধর্মের দিক থেকে বিচার করলেও দশ জনকে খুন করার চেয়ে নিজেকে না খাইয়ে মারা অনেক বড়ো পাপ । তাই শতসহস্র নিরন্ন মানুষের হাহাকারে ভূরিভোজনটা অন্যায় কিন্তু নিজে না খেয়ে মরা অনুচিত । এভাবেই বাস্তববাদী , যুক্তিপ্রিয় মানবিক ও বন্ধুবৎসল এক মানুষের চরিত্রবৈশিষ্ট্য নিখিলের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় । 

7. ” দরদের চেয়ে ছোঁয়াচে কিছুই নেই এ জগতে / -কোন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে ? এমন বলার কারণ কী ?

Ans: কে বাঁচায় , কে বাঁচে গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় কলকাতা শহরের ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যু দেখে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে । অফিসের কলঘরে গিয়ে সে বমি করে দেয় । বন্ধু ও সহকর্মী নিখিল এসে মৃত্যুঞ্জয়ের শূন্যদৃষ্টি দেখে টের পায় , সে এক কঠিন সংকটের মধ্যে পড়েছে । দুর্ভিক্ষপীড়িত কলকাতার বুকে অনাহারে মৃত্যুর ঘটনায় আবেগপ্রবণ ও আদর্শবাদী মৃত্যুঞ্জয় অপরাধবোধে ভুগতে থাকে । নিরন্ন – বুভুক্ষু মানুষের হাহাকারকে অবজ্ঞা করে নিজের ভালো – মন্দ খেয়ে , স্বাভাবিক জীবন কাটানোকে মৃত্যুঞ্জয় ধিক্কার দেয় । তার চোখ ছলছল করে ওঠে । এই দৃশ্য দেখে নিখিলেরও মনটা খারাপ হয়ে যায় । মৃত্যুঞ্জয়ের মনের যন্ত্রণা ও অস্থিরতা তাকেও স্পর্শ করে । সত্য ফুটিয়ে তুলতেই প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটি উদ্ধৃতাংশের প্রসঙ্গ 

নিরীহ , সরল ও আদর্শবাদী মৃত্যুঞ্জয় অনাহারে মৃত্যু দেখে মর্মাহত হয় । তার মনে হতে থাকে সব জেনেশুনেও চার বেলা পেটপুরে খেয়ে নিষ্ক্রিয় , নির্বিকার এই স্বাভাবিক জীবনযাপনের অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কী দুঃখে অনুশোচনায় মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করে উঠলে বাস্তববাদী ও মানবিক নিখিলেরও একই অনুভূতিতে মনটা খারাপ হয়ে যায় । এ কারণেই উপরিউক্ত মন্তব্যটি করা হয়েছে । 

8. ‘ শহরের আদি অন্তহীন ফুটপাথ ধরে সে ঘুরে ঘুরে বেড়ায় । — এই মন্তব্যটির আলোকে ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে গল্প অবলম্বনে মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্রবিশ্লেষণ করো ।

Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ‘ গল্পটি মন্বন্তর এবং মন্বন্তরজনিত পরিস্থিতির নিরিখে , এক মধ্যবিত্ত আদর্শবাদী মানুষের রূপান্তরের কাহিনি । গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয় এক নিরীহ – নির্বিবাদী সাধারণ চাকুরিজীবী । একদিন অফিস যাওয়ার পথে সে শহরের ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য দেখে ফেলে । ঘটনার আকস্মিকতায় মৃত্যুঞ্জয় শারীরিক G মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে । নৈতিকতা আর আদর্শবোধের প্রতিভূ মৃত্যুঞ্জয় রুমে নিজেকে অপরাধী ভাবতে থাকে , এতদিন চার বেলা পেটপুরে খাওয়ার জন্য গভীরভাবে অনুতপ্ত হয় । ফলে বিলিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এক বেলা খাওয়া ছাড়ে এবং রিলিফ ওয়ার্কে দেওয়ার জন্য মাইনের পুরো টাকাটাই নিখিলের হাতে তুলে দেয় । যদিও ক্রমশ সে টের পায় যথাসর্বস্ব দান করলেও বুভুক্ষু মানুষগুলির কিছুমাত্র ভালো করা যাবে না । এরপর মৃত্যুঞ্জয় অফিস যাওয়া বন্ধ করে হতভাগ্য ফুটপাথবাসীদের সঙ্গে ঘুরতে ঘুরতে তাদেরই একজন হয়ে যায় । এর থেকেই বোঝা যায় অনাহারগ্রস্ত মানুষগুলিকে উদ্বুদ্ধ উজ্জীবিত করে তাদের ভাগ্য বদলাতে না পারলেও , সে সর্বস্ব ত্যাগ করে যেন তাদেরই একজন অর্থাৎ নিপীড়িত মানবতার প্রতীক হয়ে ওঠে । 

9. চরিত্র বিশ্লেষণ উদ্ধৃতাংশে মৃত্যুঞ্জয়ের ‘ কিন্তু যারা না খেয়ে মরছে তাদের যদি এই স্বার্থপরতা থাকত ? ‘ — ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে গল্পের আলোচ্য উদ্ধৃতিটির আলোকে নিখিল চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো । 

Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়ের অফিসের সহকর্মী ও বন্ধু ছিল নিখিল । তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন রোগা এই মানুষটি ছিল সামান্য আলসে । সে বই পড়ে আর নিজের মধ্যে একটা চিন্তাজগৎ গড়ে তুলে অবসর জীবনটা কাটিয়ে দিতে চায় । নিখিল বাস্তববাদী ও যুক্তিপ্রিয় মানুষ । সে আকালের কারণে । খাওয়ায় কাটছাঁট করে অন্যের প্রয়োজনে অর্থসাহায্য পাঠায় । কিন্তু ।মৃত্যুঞ্জয়ের অবাস্তব সর্বত্যাগী কৃচ্ছ্রসাধনের সঙ্গে সহমত হতে পারে না । বরং তাকে সে নিরস্ত করার চেষ্টা করে । এভাবে মাইনের । পুরো টাকা দিয়ে একজনের বদলে আর একজনকে খাইয়ে দেশের লোককে যে বাঁচানো যায় না — এ সত্য নিখিল জানে । মৃত্যুঞ্জয়ের অসুস্থ স্ত্রী ও সংসারের কথা চিন্তা করে সমাজধর্মের নিরিখে তাকে বোঝায় , ‘ নিজেকে না খাইয়ে মারা বড়ো পাপ ‘ । কারণ সে নিরন্ন – বুভুক্ষু মানুষদের স্বার্থপর তথা নিজ অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলায় বিশ্বাসী । এভাবে একজনের আত্মত্যাগে ক্ষুধার বৃহত্তর দাবি যে পূরণ হয় না , এ বিষয়ে নিখিল নিঃসংশয় । তবু সে ফুটপাথে কিংবা মৃত্যুঞ্জয়ের শয্যাশায়ী স্ত্রীর কাছে বারবার ছুটে যায় । তাদের জীবনের মূলস্রোতে ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে চলে । এর থেকে বাস্তববাদী , বন্ধুবৎসল ও মানবীয় বৈশিষ্ট্যে পূর্ণ এক রক্তমাংসের চরিত্র নিখিলের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় । 

10. নিখিল ও মৃত্যুঞ্জয় চরিত্রের তুলনামুলক উদ্ধৃতির আলোকে নিখিলের চরিত্রবিশ্লেষণ আলোচনা করো । 

Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যভাবনা তিরিশের দশকে ফ্রয়েডীয় মনোবিকলন তত্ত্ব দ্বারা প্রভাবিত । আবার , চল্লিশের দশকে মার্কসীয় দর্শন দ্বারা চালিত । নিখিল চরিত্রটি তিরিশের দশকের মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় । আর মৃত্যুঞ্জয় চল্লিশের দশকের । একই অফিসে সমপদস্থ , মাইনে একই , শুধু একটা বাড়তি দায়িত্বের জন্য মৃত্যুদ্বয় পঞ্চাশ টাকা বেশি পায় । নিখিল রোগা , আলসে কিন্তু তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন । সংসারে তার মন নেই । অবসর জীবনে বই পড়ে একটা চিন্তার জগৎ গড়ে তুলতে চায় সে । মৃত্যুঞ্জয় সৎ , সরল , শাস্ত – নিরীহ এবং আদর্শবাদী । যে আদর্শবাদকে মানবসভ্যতার সবচেয়ে প্রাচীন ও পচা ঐতিহ্য বলে তুলনা করা হয়েছে । তবে , মৃত্যুঞ্জয় শুধু আবেগপ্রবণ কল্পনাবিলাসী দুর্বলচিত্তের মানুষ নয় , তার মানসিক ক্রিয়া – প্রতিক্রিয়া ধীর , স্থির । বাস্তব সমস্যা তার মনে টানাপোড়েন সৃষ্টি করে । অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা প্রথমবার নিজের চোখের সামনে দেখে তার শারীরিক ও মানসিক টানাপোড়েনের সূত্রপাত । গ্রাম থেকে শহরে খাবারের সন্ধানে এসে দলে দলে মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে । আর মৃত্যুঞ্জয় চার বেলা পেট ভরে খাচ্ছে— এই অপরাধে সে নিজেকে দায়ী করে — ‘ এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কী ? ‘ অন্যদিকে নিখিল মনে করে পৃথিবীর সমস্ত দরদ পুঞ্জীভূত করে ঢাললেও এই ক্ষুধার আগুন নিভবে না । ভিক্ষা দেওয়াটা পুণ্য বলে মনে করা হলেও , আদতে তা ‘ অস্বাভাবিক পাপ ‘ । কারণ , তাতে মানুষ পরনির্ভরশীল হয়ে উঠবে । ‘ জীবনধারণের প্রশ্নে মানুষের দাবি জন্মাবে কীসে ?? মৃত্যুঞ্জয় মাসমাইনের সমস্ত টাকা রিলিফ ফান্ডে দিয়ে দেয় । নিখিল প্রতি মাসে তিন জায়গায় পাঠানো সাহায্য পাঁচ টাকা করে কমিয়ে তা রিলিফ ফান্ডে দেওয়ার কথা ভেবেছে । ভূরিভোজন বাদ দিয়েছে , তবে নিজের বেঁচে থাকার জন্য যেটুকু খাওয়া প্রয়োজন তা সে গ্রহণ করবে । কারণ , নীতিধর্ম এবং সমাজধর্মের বিচারে দশজনকে খুন করার চেয়ে নিজেকে না – খাইয়ে মারা বড়ো অপরাধ । অন্যদিকে মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের মতো এত যুক্তি , বুদ্ধি , কথার মারপ্যাঁচে বিশ্বাসী নয় । বাস্তববোধ ও আত্মরক্ষার এই তত্ত্বকথা তার কাছে অর্থহীন মনে হয় । তাই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কেবল মানবতার খাতিরেই সে নিজেকে তাদের মধ্যে বিলীন করে দেয় ।

11. উঠতে পারলে আমিই তো ওর সঙ্গে ঘুরতাম ঠাকুরপো । আলোচ্য উদ্ধৃতাংশের আলোকে মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী তথা টুনুর মায়ের চরিত্রবিশ্লেষণ করো । 

Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ‘ গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী , টুনুর মা একটি সহযোগী চরিত্র হলেও আপন বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল । মন্বন্তরপীড়িত কলকাতা শহরে ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যু দেখে , মৃত্যুঞ্জয়ের বেদনা – অনুশোচনা আর উদ্ধৃতাংশে মৃত্যুঝয়ের নিরন্ন মানুষের প্রয়োজনে আত্মত্যাগের স্ত্রী তথা টুনুর মা – এর সংকল্পকে , সেও হৃদয়ে ধারণ করে । সে তার চরিত্রবিশ্লেষণ আবেগপ্রবণ ও আদর্শবাদী স্বামীকে শুধু ভালোবাসেই না , তার অন্তরের নৈতিকতাবোধকে সোচ্চারে সম্মান ও সমর্থন করে । তাই অসুস্থ শরীরে টুনুর মাও মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে এক বেলা খাওয়া ছেড়ে আকালে পীড়িতদের মধ্যে বিলিয়ে দেয় । এক্ষেত্রে স্বামীর শত অনুরোধও তাকে টলাতে পারে না । রুণ শয্যাশায়ী অবস্থায় বাড়ির সবাইকে বারবার মৃত্যুঞ্জয়ের খোঁজ করতে পাঠায় । এমনকি নিখিলকেও মৃত্যুঞ্জয়ের খবর রাখতে বলে । অসুস্থ শরীর নিয়েও কয়েকবার নিরন্ন মানুষগুলির দুর্দশার সঙ্গী হতে সে স্বামীর সঙ্গে গিয়েছে । নিজের ছেলেমেয়েদের কান্নার বদলে তার কেবলই মনে পড়ে ফুটপাথের ওই মানুষগুলির কথা । অর্থাৎ সংবেদনশীলতা ও পরার্থপরতা টুনুর মায়েরও বৈশিষ্ট্য । আর স্ত্রীর এই দরদি – সমব্যথী মন ছিল বলেই মৃত্যুঞ্জয়ও মানবিকতার আদর্শে আত্মত্যাগ করতে পেরেছিল । এভাবেই কে বাঁচায় , কে বাঁচে ‘ গল্পে মৃত্যুঞ্জয় ও তার স্ত্রী ক্রমে একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছে । 

12. টুনু – র মা চরিত্রটি কে বাঁচায় , কে বাঁচে ‘ গল্প অবলম্বনে আলোচনা করো ।

Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ‘ গল্পে উপস্থিত চরিত্র তিনটি । প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় , অন্যতম প্রধান চরিত্র মৃত্যুশ্বয়ের সহকর্মী নিখিল এবং অন্যতম সহযোগী চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী ‘ টুনু – র মা ’ । চরিত্রটি মানবতায় , সহানুভূতিতে , কর্তব্যবোধে , পতিব্রতায় ক্ষুদ্র পরিসরে পাঠকের মনে স্থান করে নেয় । ন – জন সদস্যের পরিবারে টুনুর মার সাংসারিক কর্তব্যবোধ যেমন অনুমেয় , তেমনি মৃত্যুঞ্জয় দুর্ভিক্ষপীড়িতদের সাহায্যের জন্য একবেলা খাওয়া ছেড়ে দিলে টুনুর মাও তার স্বামীর অনুগামিনী খাওয়ার বিলিয়ে দেয় । অপুষ্টিকর দুর্বল শরীর তাঁর মানবিকতা বোধের উদয়ে বাধা সৃষ্টি করতে পারে না । নিখিলের সঙ্গে তার ছ – বছরের বিবাহিত জীবনে সে সর্ব অর্থেই স্বামীর অনুগামী , সমব্যথী । টুনুর মা অনাহারে অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে । কিন্তু মৃত্যুঞ্জয় বাড়ি ফিরে না আসায় তার খোঁজে বারবার তাগিদ দিয়ে বাড়ির ছেলে – বুড়ো সকলকে পাঠায় । তাঁর কর্তব্যপরায়ণতা মাতৃসত্তা শুধুমাত্র নিজের সন্তানদের জন্য জাগরিত নয় । তাই অনাহারে , অবহেলায় বাড়ির ছেলেমেয়েগুলি চেঁচিয়ে কাঁদতে থাকলেও ফুটপাতের অনাহারক্লিষ্ট মানুষগুলির জন্য তাঁর বেশি চিন্তা হয় । টুনুর মা নিখিলকে অনুরোধ জানায় মৃত্যুঞ্জয়ের দিকে নজর রাখতে , একইসঙ্গে বলে সুস্থ থাকলে সে নিজেও তার স্বামীর সঙ্গে ঘুরত । অপ্রতুল ত্রাণ ব্যবস্থা বিপুলসংখ্যক অভুক্ত মানুষকে বাঁচানোর জন্য যে যথেষ্ট নয় , তা সে জানে । তবু , নিখিলকে উদ্দেশ্য করে বলতে শোনা যায় — ‘ আচ্ছা , কিছুই কি করা যায় না মৃত্যুঞ্জয় যে ভাবনাতে প্রায় অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়েছে , সেই অসহায়তা টুনুর মায়ের মধ্যে কাজ করে । নীতি , আদর্শগত দিক থেকে এই ‘ অনাম্নী অঙ্গনা ’ মৃত্যুঞ্জয়ের যোগ্য পত্নীই শুধু নয় , তার চেয়ে কোনো অংশে কম যায় না । 

13. ‘ মৃত্যুঞ্চয়ের বাড়ির অবস্থা শোচনীয় / -মৃত্যু কে ? তার বাড়ির অবস্থা শোচনীয় কেন ?

Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে গঙ্গের কেন্দ্রীয় চরিত্র হল মৃত্যুঞ্জয় । 

   পাঠ্য গল্পটির পটভূমিকায় রয়েছে ১৩৫০ বঙ্গাব্দের মন্বন্তরপীড়িত কলকাতা শহর । একদিন অফিস যাওয়ার সময় মৃত্যুঞ্জয় ফুটপাথে অনাহারক্লিষ্ট একজন মানুষকে মারা যেতে দেখে । সৎ , সরল ও আদর্শবাদী মৃত্যুঞ্জয় এই মৃত্যুদৃশ্য দেখে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে । বিবেকের জ্বালায় সে প্রায়শ্চিত্তের পথ খুঁজতে থাকে , গ্লানি থেকে । মুক্তি পেতে এক বেলা অভুক্ত থাকে । এমনকি মাইনের পুরো টাকাটা পর্যন্ত রিলিফ ওয়ার্কের উদ্দেশ্যে তুলে দেয় । কিন্তু নিরন্ন মানুষের বিপুল দাবির কাছে এ সব কিছুই তার তুচ্ছ বলে মনে হয় । মৃত্যুঞ্জয় কাজে ভুল করে , চুপচাপ বসে থাকে , শেষে একদিন অফিসে আসা বন্ধ করে দেয় । বাড়িতে না থেকে ফুটপাথে , গাছতলায় কিংবা ডাস্টবিনের ধারে অনাহারক্লিষ্ট মানুষগুলির সঙ্গে । সঙ্গে ঘুরে বেড়ায় । সে নিজের এতদিনকার অস্তিত্বের কথা ভুলে গিয়ে যেন গ্রাম থেকে আসা প্রায় উলঙ্গ , মন্বন্তরপীড়িত , অনাহারী ভিক্ষুকে পরিণত হয় । মৃত্যুগুয়ের অবিবেচনাপ্রসূত , আবেগসর্বস্ব , হঠকারী এই একতরফা সিদ্ধান্তের কারণেই তার বাড়ির অবস্থা শোচনীয় হয়ে ওঠে ।

14. ‘ মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শোচনীয়।— মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শোচনীয় কেন ? এই শোচনীয় অবস্থার পরিচয় দাও । 

Ans: প্রথম অংশের উত্তরের জন্য ১৩ নং প্রশ্নের উত্তরের দ্বিতীয় অংশটি দ্যাখো । মৃত্যুঞ্জয়ের অবিবেচকের ন্যায় হঠকারিতায় তার স্ত্রী অর্থাৎ টুনুর মা বিছানা নেয় । সেই অসুস্থ শরীরেও স্বামীর প্রতি দরদি – সমব্যথী মন ছিল বলে স্বামীর দুশ্চিন্তায় বাড়ির ছেলে – বুড়ো সকলকে বারবার মৃত্যুঞ্জয়ের খোঁজ করতে পাঠায় । বিরাট শহরে আগন্তুকের ভিড়ে মিশে যাওয়া মৃত্যুঞ্জয়কে খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়ে তারা টুনুর মাকে মিথ্যে সান্ত্বনা দেয় । ছেলেমেয়েরা খিদের জ্বালায় চিৎকার করে কাঁদে । মৃত্যুঞ্জয়ের সংসারের এই ভগ্নদশাই লেখক নিখিলের জবানীতে ফুটিয়ে তুলেছেন । 

15. ‘ তার অভিজ্ঞতার কাছে কথার মারপ্যাঁচে অর্থহীন হয়ে গেছে । কার অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে । এমন বলার কারণ কী বলে তোমার মনে হয় ? 

Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ‘ গল্পের মুখ্য চরিত্র মৃত্যুঋয়ের অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে । ← দুর্ভিক্ষপীড়িত কলকাতা শহরের ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যু দেখে । আবেগপ্রবণ ও আদর্শবাদী মৃত্যুঞ্জয় মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে । এতদিন চার বেলা পেট পুরে খাওয়া কিংবা নিষ্ক্রিয় থাকায় সে অনুশোচনায় দগ্ধ হয় । প্রায়শ্চিত্তের পথ খুঁজতে সে এক বেলা খাওয়া ছাড়ে , মাইনের পুরো টাকাটা নিখিলের হাতে । উচ্চতা বক্তব্যের কারণ তুলে দেয় । কিন্তু কেবলই তার মনে হতে থাকে এসব কিছুই যথেষ্ট নয় । রুমে সে অফি যাওয়া বন্ধ করে ফুটপাথে – গাছের তলায় লঙ্গরখানায় গিয়ে নির মানুষগুলির সঙ্গে কথা বলে , খিদের যন্ত্রণায় আচ্ছন্ন মানুষগুলির একই কাহিনি শুনে ক্লান্ত হয় । নালিশ কিংবা প্রতিবাদহীন এই নিরন্ন মানুষগুলির প্রতিকারহীন যন্ত্রণায় মৃত্যুঞ্জয় ভিতর থেকে মুষড়ে পড়ে । আসলে মন্বন্তরক্লিষ্ট কলকাতার ভয়াবহ বাস্তবতা তাকে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত করে ছাড়ে । নিখিল তাকে নানাভাবে বোঝায় । কিন্তু মৃত্যুঋয়ের চোখ দেখলেই বোঝা যায় নিরাপদ জীবনের জ্ঞানগর্ভ কথা তার ফুটপাথের বাস্তব অভিজ্ঞতাকে স্পর্শ করতে পারে না । নিখিলের যাবতীয় কথার মারপ্যাঁচ মৃত্যুভয়ের হৃদয়ে অর্থহীন সাব্যস্ত হয় । 

16. ‘ মানবসভ্যতার সবচেয়ে প্রাচীন ও সবচেয়ে পচা ঐতিহ্য আদর্শবাদের কল্পনা – তাপস বলে । কোন প্রসঙ্গে এমন ভাবনা ? এমন ভাবনা কতদুর সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছিল তা গল্প অবলম্বনে লেখো । 

 অথবা , ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ’ গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয়ের চিন্তাভাবনা তার পরিণতির জন্য কতটা দায়ী বলে তুমি মনে কর , তা গল্প অনুসরণে আলোচনা করো । 

Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ‘ গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয় এক সাধারণ মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবী । অফিসে সে ও নিখিল সমপদস্থ । সহকর্মী , বুদ্ধিদীপ্ত নিখিল তাকে বেশ পছন্দ করে ; এমনকি সামান্য একটু অবজ্ঞার সঙ্গে ভালোইবাসে । এর একমাত্র কারণ মৃত্যুঞ্জয়ের হৃদয়ের মধ্যে লালিত আশ্চর্য আদর্শবোধ । এই বিরল শক্তির কারণে সে মাঝেমধ্যে নিখিলকেও সম্পূর্ণ কাবু করে ছাড়ে । এ কথা বোঝাতেই নিখিলের এমন অকপট স্বীকারোক্তি । 

   গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয় বর্তমান পৃথিবী থেকে প্রায় হারিয়ে যেতে বসা ঐতিহ্য আদর্শবাদের এক বিরল প্রতিনিধি । তাই মন্বন্তরক্লিষ্ট কলকাতার ফুটপাথে ঘটে চলা অনাহারে মৃত্যুর ঘটনায় সে মরমে আঘাত পায় । মৃত্যুঞ্জয় নিজের ভালোমন্দ খেয়ে নির্বিকারভাবে বেঁচে থাকার স্বাভাবিক জীবন নিয়ে অপরাধবোধে প্রশ্নোত মন্তব্যের সত্যতা বিচার ভুগতে থাকে , রিলিফের প্রয়োজনে সে নিজের পুরো মাইনেটুকু সহকর্মী নিখিলের হাতে তুলে দেয় । কিন্তু দুর্ভিক্ষের বৃহত্তর দাবির কাছে এসব কিছুই তুচ্ছ – সামান্য মনে করে মৃত্যুঞ্জয় ক্রমে অফিস ও ঘর ছাড়ে । ফুটপাথে , গাছের তলায় , লঙ্গরখানায় নিরন্ন মানুষগুলিকে লক্ষ করতে করতে একদিন তাদের একজন হয়ে যায় । এভাবে পরিবার – সমাজ – সংসার সব ত্যাগ করে মৃত্যুঞ্জয় মানবীয় আদর্শের এক অনন্য প্রতীক হয়ে ওঠে । মার্কসীয় দর্শন প্রভাবিত চল্লিশ শতকের মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেণিশোষণের বিরুদ্ধে শ্রেণিসংগ্রামের পরিচয় হয়ে উঠেছে মৃত্যুঞ্জয় চরিত্রটি । মধ্যবিত্ত নাগরিক জীবনের চেনা আত্মমুখী গণ্ডি অতিক্রম করে মৃত্যুঞ্জয় হয়ে উঠতে পেরেছে ব্যতিক্রমী । 

17. ‘ বুঢ় বাস্তব নিয়মকে উল্টে মধুর আধ্যাত্মিক নীতি করা যায় , কিন্তু সেটা হয় অনিয়ম।’বুঢ় বাস্তব নিয়ম ‘ বলতে নিখিল কী বুঝিয়েছে । উদ্ধৃত বক্তব্যের নিরিখে নিখিলের আদর্শবাদের পরিচয় দাও ।

Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ‘ গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয়ের সহকর্মী নিখিল ছিল যুক্তিপ্রিয় বাস্তববাদী মানুষ । দুর্ভিক্ষপীড়িত কলকাতার ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা তার কাছে কষ্টকর হলেও অস্বাভাবিক নয় । তাই অনাহারে মৃত্যু দেখে বিপর্যস্ত মৃত্যুঞ্জয়কে সে বলে , দেশের সমস্ত সহানুভূতি ও দরদ একত্রে ঢাললেও দেশের মানুষের খিদের আগুন নিভবে না । তার কাছে ভিক্ষা দেওয়া পাপ । সে মানুষের জীবনধারণের অন্নের স্বাভাবিক দাবি বা অধিকারকেই এ জগতের ‘ রূঢ় বাস্তব নিয়ম ‘ বলে মনে করে । 

   রিলিফের প্রচলিত ধারণাকে নিখিল একজনের বদলে আর একজনকে খাওয়ানো বলে মনে করে । এর ফলে চোখের সামনে যারা আছে তাদের কয়েকজনকে বাঁচানো গেলেও চোখের আড়ালে থাকা বিপুলসংখ্যক মানুষ না খেতে পেয়েই মারা যায় । তার বিশ্বাস দুর্ভিক্ষের সময়ে ভূরিভোজনটা অন্যায় কিন্তু একেবারে না – খেয়ে মরাটা অনুচিত । সমাজধর্মের দিক থেকে দশজনকে খুন করার চেয়ে নিজেকে না খাইয়ে মারা বড়ো পাপ বলে নিখিল মনে করে । সে তাই অনাহারগ্রস্ত মানুষগুলিকে স্বার্থপর তথা নিখিলের আদর্শবাদ অধিকার সচেতন করে তোলার পক্ষপাতী । যদি তারা এই স্বার্থপরতা দেখত , তাহলে অন্ন থাকতে বাংলায় কেউ না – খেয়ে মরত না । মন্বন্তরজনিত অনাহার প্রসঙ্গে নিখিল এসমস্ত কথাই বলেছিল । নির্মোহ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ও ফ্রয়েডীয় মনোবিকলন তত্ত্ব দ্বারা প্রভাবিত তিরিশের দশকের মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তনের ফসল নিখিল চরিত্র । একইসঙ্গে সে শিক্ষিত , চিন্তাশীল , যুক্তিবাদী নাগরিক মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রতিনিধি । সে তাত্ত্বিক কিন্তু মানুষের দুঃখে তার মনখারাপ হলেও প্রাণ খুলে কাঁদতে পারে না । 

18. দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয় / -মৃত্যুঞ্জয় কেমন হয়ে যেতে লাগল ? তার এমন হয়ে যাওয়ার কারণ কী ?

Ans: মার্কসীয় সাহিত্য দর্শন প্রভাবিত মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের মন্বন্তরের প্রেক্ষাপটে লেখা ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় । দুর্ভিক্ষের করাল গ্রাসে গ্রাম উজাড় করে দলে দলে মানুষ এসে ভিড় জমিয়েছে শহরের ফুটপাতে । প্রয়োজনের তুলনায় রিলিফের ব্যবস্থা ও লঙ্গরখানার আয়োজন অতিসামান্য । তাই মানুষের মৃত্যুর মিছিল ‘ শুরু হল । এমনিই এক অনাহারে মৃত্যুর ঘটনার বীভৎসতা দেখে মৃত্যুঞ্জয় সব খাবার বমি করে তুলে দেয় । নিজেকে অপরাধী বলে ভাবতে শুরু করে । একবেলার খাবার নিরন্নদের বিলিয়ে দেয় । ধীরে ধীরে দুর্ভিক্ষে অকাল মৃত্যুতে মৃত্যুদ্বয়ের মানসিক পরিবর্তন মাসমাইনের সমস্ত টাকা রিলিফ ফান্ডে দান করে । আমায় কিছু একটা করতে হবে ভাই এই সংকল্প থেকে সে ডাস্টবিনের ধারে , গাছের নীচে , ফুটপাথে , লঙ্গরখানায় সারাদিন ঘুরে বেড়ায় । অফিসে আসা , বাড়িতে ফেরা বন্ধ করে দেয় । অসহায় মানুষের জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করেও কিছু করতে না পারার হতাশায় সে মুষড়ে পড়ে । পরিবর্তনের কারণ মৃত্যুঞ্জয় সৎ , সরল , দরদি একজন মানবতাবাদী মানুষ । নীতি ও আদর্শবোধে বিশ্বাসী । তবে , প্রত্যেকটি ঘটনার প্রতিক্রিয়া একটু মন্থর গতিতে তার মধ্যে কাজ করে । তাই , অনাহারে মৃত্যুর ঘটনার কথা লোকমুখে শুনলেও কিংবা সংবাদপত্রে পড়লেও তার ভয়ংকর রূপ না – দেখার আগে পর্যন্ত সে স্বাভাবিক ছিল । কিন্তু প্রথমবার নির্মম যন্ত্রণাপূর্ণ মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে সে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারে না । শহুরে মধ্যবিত্ত মানুষের প্রতিনিধি হলেও সে নিখিলের মতো যুক্তি আর বাস্তববোধের পরিচয় দিয়ে মানবিক কর্তব্য থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখে না , বরং তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের একজন হয়ে ওঠে । 

19. ‘ এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কী ? —কে , কোন অপরাধের প্রায়শ্চিতের কথা বলেছেন ? বক্তা নিজেকে অপরাধী মনে করেছেন কেন ? 

Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে গল্পের কেন্দ্রিক চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় এ কথা বলেছে । ১৩৫০ বঙ্গাব্দের মন্বন্তরের প্রেক্ষাপটে লেখা গল্পটিতে শহুরে মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবী মৃত্যুঞ্জয় প্রথম অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য দেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে । বাড়ি থেকে খেয়ে আসা সব খাওয়ার বমি করে দেয় । তার মনের মধ্যে অনুতাপ , অনুশোচনাবোধ জেগে ওঠে । গ্রাম থেকে আসা কোন অপরাধ দলে দলে অভুক্ত মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে , আর সে চার বেলা পেটভরে খাচ্ছে । লোকের অভাবে প্রয়োজনমতো ত্রাণ কাজ হচ্ছে না । আর মৃত্যুঞ্জয় কীকরে সময় কাটাবে ভেবে পেত না । মানুষের বিপদের দিনে নিজের এই আত্মসুখী মানসিকতাকে তার অপরাধ বলে মনে হয়েছে । মৃত্যুঞ্জয় সৎ , সরল , আদর্শবাদী মানুষ । সে নিরীহ , শান্ত ও দরদি । প্রকৃত অর্থেই সে ভালোমনের মানুষ । সে দুর্বলচিত্ত ভাবপ্রবণ , আদর্শবাদী মানুষ শুধু নয় , কোনো বিষয়ে তাঁর মানসিক ক্রিয়া – প্রতিক্রিয়া তৈরি হলে তা ধীরগতিতে প্রকাশিত হয় । তবে নিস্তেজ হয়ে পড়ে না । তাই অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা শুনেছে এবং পড়েছে । কিন্তু নিজের চোখে সেই ভয়ংকর মৃত্যুযন্ত্রণা দেখার পর তাঁর মনের মধ্যে খারাপ লাগার ক্রিয়া – প্রতিক্রিয়া ঘটতে থাকে । কবি প্রেমেন্দ্র মিত্রের ভাষায় — যেন মানুষ নয় , মানুষের ব্যঙ্গচিত্র । ‘ মানবতাবাদী মৃত্যুঞ্জয় মানুষের সেই বীভৎস পরিণতি দেখে নিজের শহুরে সুখী জীবনযাপনের মানসিকতার জন্য নিজেকে অপরাধী বলে মনে করে । 

20. ‘ ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা ‘ –কে , কোন বিষয়কে পাশবিক স্বার্থপরতা বলে বোঝাতে চেয়েছেন ? তার এমন ভাবার কারণ কী ছিল ? 

Ans: ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ভয়াবহ মন্বস্তরের পটভূমিকায় রচিত ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ‘ গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা প্রথমবার নিজের চোখে দেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে । এক বেলা করে খেয়ে বাকি খাবার নিরন্ন মানুষকে বিলিয়ে দেয় । মাসমাইনের সমস্ত টাকা রিলিফ ফান্ডে দান করে । আবেগপ্রবণ সহকর্মীর এই সিদ্ধান্তকে পাশবিক স্বার্থপরতা যুক্তি দিয়ে খন্ডন করার চেষ্টা করে নিখিল । সে কেটে – ছেঁটে যতদূর সম্ভব নিজের খাবার বাহুল্য কমিয়ে দিয়েছে । কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য যেটুকু খাবার একজন মানুষের প্রয়োজন , তার অধিকার সে ছেড়ে দিতে রাজি নয় । তাই সে বলে নীতিধর্মের জন্য শুধু নয় , সমাজধর্মের দিক দিয়েও দশ জনকে খুন করার থেকে । নিজেকে অভুক্ত রেখে মারা বড়ো পাপ কাজ । নিখিলের এই আত্মরক্ষার তত্ত্বকথাকে ‘ পাশবিক স্বার্থপরতা ‘ বলে মৃত্যুঞ্জয় মনে করেছে । 

   মার্কসীয় সাহিত্য দর্শন প্রভাবিত মৃত্যুঞ্জয় চরিত্রটি মধ্যবিত্ত নাগরিক শ্রেণির প্রতীক । সে সৎ , সরল ও আদর্শবাদী । তাই জৈবিক প্রবৃত্তির দাবি তার কাছে অগ্রাধিকার পায় না । নিখিলের বক্তব্যে আত্মস্বার্থ রক্ষার যুক্তি আছে , আর মৃত্যুঞ্জয় শ্রেণিস্বার্থ রক্ষার কথা । ভাবে । পশু নিজের খাওয়ার জন্য সন্তানের খাবারে ভাগ বসায় , কিন্তু মানবসমাজে তা গ্রহণযোগ্য নয় । মানুষের মানমর্যাদাবোধ যেমন আছে , চিন্তা – চেতনার শক্তি যেমন আছে , তেমনি সে সহানুভূতি , করুণা , দয়া , স্নেহ , মমত্ব দেখাতেও জানে । মৃত্যুঞ্জয়ের মতো ভাবনা শহুরে মধ্যবিত্ত জীবনে বিরল হয়ে যাচ্ছে বলেই বোধ হয় মৃত্যুঞ্জয়ের আদর্শবাদকে ‘ মানবসভ্যতার সবচেয়ে প্রাচীন ও সবচেয়ে পচা ঐতিহ্য ’ বলে গল্পকার উল্লেখ করেছেন । মৃত্যুঞ্জয় চরিত্রের মধ্য দিয়ে । মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের শুভবুদ্ধির জয়গান গেয়েছেন ।

21. ‘ কারো বুকে নালিশ নেই , কারো মনে প্রতিবাদ নেই । — কাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে । তাদের সম্পর্কে কার , কেন , কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল ? 

Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ‘ গল্পে ১৩৫০ বঙ্গাব্দের মন্বন্তরপীড়িত গ্রাম থেকে দলে দলে শহরে আসা নিরন্ন , অভুক্ত , পীড়িত নারী – পুরুষ , শিশুদের সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে । মানবতাবাদী , সৎ , সরল ও আদর্শবান মধ্যবিত্ত শহুরে চাকুরিজীবী যুবক মৃত্যুঞ্জয় । গল্পের এই কেন্দ্রীয় চরিত্র একদিন নিজের চোখে । অনাহারে মৃত্যুর বীভৎসতা দেখে নিজের দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের যথাসর্বস্ব বিলিয়ে দিতে থাকে । চার বেলার সম্পর্কে মৃত্যুজ্বয়ের পরিবর্তে এক বেলা খেতে শুরু করে । অভিজ্ঞতা মাসমাইনের সমস্তটা রিলিফ ফান্ডে দান করে । ঘর , সংসার , অফিস ত্যাগ করে শহরের আদি – অন্তহীন ফুটপাথ ধরে ঘুরে বেড়ায় । ডাস্টবিনের ধারে , পাড়ায় পাড়ায় লঙ্গরখানায় , গাছের নীচে , খোলা ফুটপাথে যেদিকে চোখ যায় ‘ আগন্তুক মানুষের জন্মালে মৃত্যুঞ্জয় দুঃখী নারী – পুরুষের সঙ্গে পরিচিত হয়ে যায় । এইসব অন্নপ্রার্থী মানুষেরা গ্রামীণ আঞ্চলিক উচ্চারণে প্রত্যেকে তাদের হতভাগ্যের কাহিনি শোনায় । নেশায় আচ্ছন্ন অর্ধচেতন মানুষের মতো ক্লান্ত ঝিম ধরা সেই স্বর । খিদের তাড়নায় তারা মৃত্যুমুখী । তাই তাদের সকলের পরিচয় এক , সকলের করুণ কাহিনির শুরু ও শেষ একই । অনাবৃষ্টি , শাসক ইংরেজের অত্যাচার , আড়তদার , মজুতদারদের মুনাফার লোভ তাদের জীবনকে মুহূর্তে বদলে দিয়েছে । তারা অসহায় হতদরিদ্র গ্রাম্য মানুষ । সমস্ত ঘটনার ভিতরকার খবর হয়তো তারা জানে না , বোঝে না । কিন্তু জীবনের নির্মম পরিণতিকে মেনে নিয়ে বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে । 

22. ‘ ভূরিভোজনটা অন্যায় , কিন্তু না খেয়ে মরাটা উচিত নয় ভাই । — বস্তুা কে ? এই বক্তব্যের মধ্যে বক্তার চরিত্রের কোন্ দিক আভাসিত হয়েছে ? ‘

Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র নিখিল এ কথা বলেছে । বৈজ্ঞানিক নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে জগৎ ও জীবনকে বিচার করা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাসাহিত্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য । নিখিল চরিত্রের সৃষ্টি বাস্তববাদী ও যুক্তিবাদী মানসিকতার পরিচয়বাহী । নিখিল ও মৃত্যুঞ্জয় একই অফিসে সমপদস্থ , সমবেতনের কর্মচারী । মৃত্যুঞ্ঝয় শান্ত , নিরীহ ও আদর্শবাদী । নিখিল আলসে প্রকৃতির হলেও তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন । তাই সহকর্মী বন্ধু মৃত্যুঞ্জয় অনাহারে মৃত্যুর ভয়ংকর রূপ নিজের চোখে দেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে নিখিল তাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করতে থাকে । মৃত্যুঞ্জয় চার বেলা খাওয়ার জন্য অপরাধবোধে ভোগে , এক বেলার খাওয়া ছেড়ে দেয় , মাসমাইনের সমস্ত টাকা রিলিফ ফান্ডে দান করে । নিখিল যুক্তি দিয়ে বাস্তব সত্যকে তুলে ধরে । যে – রিলিফ চলছে তা চোখের সামনে যারা মরছে তাদের কয়েকজনকে বাঁচানোর চেষ্টা করা মাত্র । কারণ , আড়ালে যারা মরছে , বাস্তববাদী তাদের খবর কে বা রাখে । বিপুল নিরন্ন মানুষের খাবার জোগানের ব্যবস্থা যে অপ্রতুল । নিখিল বাস্তববাদী । নিখিল তাই বলে অমানবিক নয় । ভুরিভোজন করা সে ছেড়ে দিয়েছে । শুধু নিজের প্রাণধারণের জন্য যেটুকু মানবিক গুণসম্পন্ন খাবার প্রয়োজন , ততটুকু সে গ্রহণ করছে । তার নিজের সাধ্য ও সামর্থ্য মতো সে জনসেবা করতে রাজি । নিখিল আত্মপ্রত্যয়ী । তাই যতই নির্মম শোনাক না কেন , দেশের সমস্ত লোক মারা গেলেও যদি নিজের খাবারটুকু সংগ্রহ করার ক্ষমতা তার থাকে , সে কাউকে না – দিয়ে নিজেকে বাঁচাবে । নিজের অধিকার সম্পর্কে সে সচেতন । তাই নীতিধর্ম যুক্তিবাদী ও বন্ধুবৎসল শুধু নয় , সম্রাজধর্মের দিক থেকেও সে মনে করে দশ জন খুন করার চেয়ে নিজেকে না খাইয়ে মারা বড়ো অপরাধ । নিখিল রক্তমাংসের এক চেনা চরিত্র । আবার সহকর্মীর প্রতি তাঁর বন্ধুবৎসল মনোভাব আছে বলেই মৃত্যুঞ্জয়কে এত যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চায় । তাই , নিখিলকে শুধু স্বার্থপর মানুষ ভাবাও ঠিক হবে না । 

23. ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে গঙ্ক অনুসরণে মৃত্যু চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো । 

Ans: লেখক হিসেবে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজের কাছে এক দায়বদ্ধ শিল্পী । মার্কসীয় সাহিত্য , দর্শন প্রভাবিত সেই দায়বদ্ধতার মানবিক শৈল্পিক নির্মাণ মৃত্যুঞ্জয় চরিত্র । শান্ত , নিরীহ , মধ্যবিত্ত শহুরে চাকুরিজীবী মৃত্যুগুয়ের চরিত্রের প্রধান তিনটি বৈশিষ্ট্য হল — সরলতা , সততা , মানবতা । অনাহারক্লিষ্ট মানুষের মৃত্যুযন্ত্রণা তাকে বেশি কষ্ট দেয় । আদর্শবান ব্যক্তি মৃত্যুঞ্জয় মানবসভ্যতার সবচেয়ে প্রাচীন ও পচা ঐতিহ্য ‘ আদর্শবাদের কল্পনা তাপস । নাগরিক মানুষের মতো নিজেরটুকু নিয়ে সে ব্যস্ত ও সন্তুষ্ট নয় । মন্বন্তরের পরিবেশে মৃত্যু যেখানে নিত্যনৈমিত্তিক সাধারণ ঘটনা , সেই ঘটনাই মৃত্যুঞ্জয়ের মনে রেখাপাত করে । সে নিজেকে চার বেলা অন্নগ্রহণের জন্য অপরাধী বলে ভেবে পাপক্ষালনের পথ খোঁজে । 

   অনুভূতিপ্রকা ও সংবেদনশীল সহকর্মী বন্ধু নিখিলের জিজ্ঞাসা ও উসকানিতে কোনো বিষয় নিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ের মনে ভাবনা জেগে উঠলে দুর্বলচিত্ত ও ভাবপ্রবণ সেইভাবে ডুবে যায় । তবে , তার মানসিক প্রতিক্রিয়া মন্থর গতিতে প্রকাশিত হয় । আবার , ভাবপ্রবণ বলেই মাসমাইনের সমস্ত টাকা , এক বেলার খাবার বিলিয়ে দিয়েও সে আশ্বস্ত হয় না । লোকের অভাবে ‘ রিলিফ ওয়ার্ক ’ হচ্ছে না বলে নিজেই ঘর , সংসার , অফিস ত্যাগ করে আগন্তুক মানুষের জালে ‘ মিশে যায় । T পরিবারের ন – জনের দায়িত্ব সে বহন করেছে । কিন্তু লক্ষ লক্ষ নিরন্ন মানুষের জন্য নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে অসহায়তা ও অন্তর্দন্দু দিয়েও তাদের রক্ষা করতে না পারার হতাশায় সে দিনকে দিন মুষড়ে পড়ে । তার নাগরিক ভদ্র মানুষের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায় । ধূলিমলিন সিল্কের জামা , ধুতির বদলে ছেঁড়া ন্যাকড়া , মুখ ভর্তি দাড়ি , শরীরে ধুলোবালি মেখে সেও কাড়াকাড়ি মারামারি করে লঙ্গরখানার খিচুড়ি খায় । সে অপ্রকৃতিস্থ হয়ে ওঠে — ‘ গাঁ থেকে এইছি । খেতে পাইনে বাবা । আমায় খেতে দাও । ‘ আত্মসন্ধানের এই জিজ্ঞাসা দিয়ে গল্পকার তাকে মন্বন্তরপীড়িত মানুষের প্রতিনিধি করে তুলেছেন । 

24. গা থেকে এইছি । খেতে পাইনে বাবা । আমায় খেতে দাও । — মৃত্যুঋয়ের শেষ সংলাপে তৎকালীন সমাজ বাস্তবতার যে ছবি আছে , তা গল্প অনুসরণে আলোচনা করো । 

Ans: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ‘ গল্পটি ১৩৫০ বঙ্গাব্দের ( ১৯৪৩-৪৪ খ্রি . ) মন্বন্তর ও মন্বন্তরজনিত সমস্যার সার্থক শিল্পরূপ । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ , ইংরেজ সরকারের ঔপনিবেশিক শোষণ এবং আড়তদার কালোবাজারিদের চক্রান্তে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ , গ্রামবাংলার মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে । এই বিপর্যয় ও হাহাকারকে ফুটিয়ে তুলতেই গল্পকার মানিকের কাহিনি শুরু হয় , গ্রাম ছেড়ে খাবারের প্রয়োজনে শহরে আসা এক অনাহারক্লিষ্টের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে । অনাহারে মৃতের বীভৎস যন্ত্রণা মৃত্যুঞ্জয়ের জীবনকে ভিতরে – বাইরে ওলট – পালট করে দেয় । সে অপরাধবোধে ও বিবেকযন্ত্রণায় এক বেলা খাওয়া ছাড়ে । নিজের মাইনের পুরো টাকা রিলিফের জন্য দেয় । মৃত্যুঞ্জয় একসময় অফিস যাওয়া ছেড়ে দিয়ে গাছতলায় , ফুটপাথে , বন্ধ দোকানের রোয়াকে , লঙ্গরখানায় ঘুরতে থাকে । গল্পের টানাপোড়েনের একদিকে আদর্শবাদী ও সংবেদনশীল মৃত্যুঞ্জয়ের কিছু করতে না পারার হতাশা আর অন্যদিকে বাস্তববাদী নিখিলের তাকে নিরস্ত করার প্রয়াস । আসলে মন্বন্তরের বৃহত্তর সামাজিক দাবির নিরিখে এক ব্যক্তির অসহায় আত্মত্যাগ যেন এক অনিবার্য পরিণতির ঐতিহাসিক দিক্‌নির্দেশ । এভাবেই লেখক দুর্ভিক্ষপীড়িত পরিস্থিতি আর সাধারণ মানুষের ত্যাগ – যন্ত্রণা – মনুষ্যত্ব ও মহত্ত্বের আখ্যানকে লিপিবদ্ধ করেছেন । 

25. ‘ দারুণ একটা হতাশা জেগেছে ওর মনে ‘ – কার সম্পর্কে কার এ উবলব্ধি ? উদ্দিষ্ট ব্যক্তির হতাশার চিত্রটি বিবৃত করো । 

Ans: মার্কসীয় সাহিত্য দর্শনে প্রভাবিত লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যার সম্পর্কে উপলব্ধি কে বাঁচায় , কে বাঁচে ‘ গল্পের কেন্দ্রিক চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় সম্পর্কে তার স্ত্রীর এই উপলব্ধি করেছে । 

   ১৩৫০ বঙ্গাব্দের মন্বন্তরের করাল গ্রাসে গ্রাম উজাড় করে দলে দলে মানুষ এসে ভিড় জমিয়েছে শহরের ফুটপাথে । প্রয়োজনের তুলনায় রিলিফের ব্যবস্থা ও লঙ্গরখানার আয়োজন অতিসামান্য । শহরের রাস্তায় শুরু হয়েছে ‘ মৃত্যুর মিছিল ‘ । শহুরে মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবী মৃত্যুঞ্জয় এমনই এক অনাহারে মৃত্যুর ঘটনার বীভৎসতা দেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে — বমি করে তুলে দেয় সব খাবার । তার মনের মধ্যে অনুতাপ ও অনুশোচনা বোধ জেগে ওঠে । নিজেকে অপরাধী বলে ভাবতে শুরু করে । বিবেকযন্ত্রণায় তাড়িত হয়ে একবেলা খাওয়া ছাড়ে । নিজের মাইনের পুরো টাকাটা রিলিফের জন্য দিয়ে দেয় । সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েও এই নিরন্ন মানুষদের রক্ষা করতে না – পারার হতাশায় মৃত্যুঞ্জয় দিনকে – দিন মুষড়ে পড়ে — নাগরিক ভদ্র মানুষের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায় । একসময় অফিস ছেড়ে দিয়ে ধূলিমলিন সিল্কের জামা – ধুতির বদলে ছেঁড়া ন্যাকড়া , মুখ ভর্তি দাড়ি ও শরীরে ধুলোবালি মেখে মৃত্যুঞ্জয় গাছতলায় , ফুটপাথে , বন্ধ দোকানের রোয়াকে , লঙ্গরখানায় ঘুরতে থাকে ; কাড়াকাড়ি – মারামারি করে লঙ্গরখানায় খিচুড়ি খায় — সে অপ্রকৃতিস্থ হয়ে ওঠে — ‘ গাঁ থেকে এইছি । খেতে পাইনে বাবা । আমায় খেতে দাও । ‘

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal HS Class 12th Bengali Question and Answer / Suggestion / Notes Book

আরোও দেখুন :-

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here

HS Suggestion 2024 | উচ্চ মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৪

আরোও দেখুন:-

HS Bengali Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS English Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Geography Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS History Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Political Science Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Philosophy Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Sanskrit Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Education Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Sociology Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Physics Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Chemistry Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Mathematics Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

HS Biology Suggestion 2024 Click here

কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় অধ্যায় থেকে আরোও প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :

Update

[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now]

Info : কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর

 HS Bengali Suggestion  | West Bengal WBCHSE Class Twelve XII (Class 12th) Bengali Qustion and Answer Suggestion   

” কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উত্তর  “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (West Bengal Class Twelve XII  / WB Class 12  / WBCHSE / Class 12  Exam / West Bengal Council of Higher Secondary Education – WB Class 12 Exam / Class 12 Class 12th / WB Class 12 / Class 12 Pariksha  ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন / উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ও উত্তর । HS Bengali Suggestion / HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer / Class 12 Bengali Suggestion / Class 12 Pariksha Bengali Suggestion  / Bengali Class 12 Exam Guide  / MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer  / HS Bengali Suggestion  FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (HS Bengali Suggestion / West Bengal Twelve XII Ke Bachay Ke Bache Question and Answer, Suggestion / WBCHSE Class 12th Bengali Ke Bachay Ke Bache Suggestion  / HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer  / Class 12 Bengali Suggestion  / Class 12 Pariksha Suggestion  / HS Bengali Exam Guide  / HS Bengali Suggestion 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015, 2028, 2029, 2030 / HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Suggestion  MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer. / HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Suggestion  FREE PDF Download) সফল হবে।

FILE INFO : কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer with FREE PDF Download Link

PDF File Name কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer PDF
Prepared by Experienced Teachers
Price FREE
Download Link 1 Click Here To Download
Download Link 2 Click Here To Download

কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর  

কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – প্রশ্ন ও উত্তর | কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর।

কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা 

কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন উত্তর।

কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা 

কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন উত্তর – দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা | HS Class 12 Bengali Ke Bachay Ke Bache 

দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা (HS Bengali Ke Bachay Ke Bache) – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – প্রশ্ন ও উত্তর | কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | HS  Bengali Ke Bachay Ke Bache Suggestion  দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা  – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  | দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer Question and Answer, Suggestion 

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সহায়ক – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – প্রশ্ন ও উত্তর । HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer, Suggestion | HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer Suggestion  | HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer Notes  | West Bengal HS Class 12th Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer Suggestion. 

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর   – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE Class 12 Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer, Suggestion 

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  | কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় । WBCHSE Class 12 Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer Suggestion.

WBCHSE Class 12th Bengali Ke Bachay Ke Bache Suggestion  | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর   – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

WBCHSE HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  । কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।

HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer Suggestions  | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর 

HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন ও উত্তর – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর  । 

WB Class 12 Bengali Ke Bachay Ke Bache Suggestion  | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর   – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর 

HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer Suggestion  উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 12  Bengali Suggestion  Download WBCHSE Class 12th Bengali short question suggestion  . HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Suggestion   download Class 12th Question Paper  Bengali. WB Class 12  Bengali suggestion and important question and answer. Class 12 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer Question and Answer by Bhugol Shiksha .com

HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 12  Bengali Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class Twelve XII Bengali Ke Bachay Ke Bache Suggestion | West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) Class 12 Exam 

HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) Class 12 Twelve XII Bengali Suggestion  is provided here. HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below. 

কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer 

        অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” কে বাঁচায় কে বাঁচে! (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Ke Bachay Ke Bache Question and Answer  ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে  তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।