বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer
বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer

বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) 

মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer

বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer : বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer, Suggestion, Notes – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 10th Ten X History Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।

 তোমরা যারা বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো। 

শ্রেণী মাধ্যমিক দশম শ্রেণী (Madhyamik Class 10)
বিষয় মাধ্যমিক ইতিহাস (Madhyamik History)
বিষয় বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ (Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan)
অধ্যায় সপ্তম অধ্যায় (7th Chapter)

বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer 

MCQ | বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer :

  1. বাংলার প্রথম মহিলা চিকিৎসক ছিলেন –

(A) কাদম্বিনী গাঙ্গুলি

(B) চন্দ্ৰমুখী বসু 

(C) স্বর্ণকুমারী দেবী 

(D) সরলাদেবী চৌধুরানি

Ans: (A) কাদম্বিনী গাঙ্গুলি

  1. বেথুন স্কুল প্রতিষ্ঠায় অন্যতম উদ্যোগী ছিলেন –

(A) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর 

(B) স্বামী বিবেকানন্দ

(C) রামমোহন রায় 

(D) কাদম্বিনী বসু 

Ans: (A) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

  1. নারীকল্যাণমূলক একটি প্রতিষ্ঠান ছিল –

(A) ভারতসভা 

(B) বামাবোধিনী সভা 

(C) জমিদার সভা

(D) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা

Ans: B) বামাবোধিনী সভা

  1. সতীদাহ প্রথা নিবারণ করা হয় –

(A) ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে 

(B) ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে

(C) ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে

(D) ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে  

Ans: (A) ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে

  1. বিধবা পুনর্বিবাহ আইন প্রণীত হয়— 

(A) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে 

(B) ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে 

(C) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে

(D) ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে 

Ans: (A) ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে 

  1. ‘ এজ অব কনসেন্ট ‘ বিল প্রকাশিত হয় –

(A) ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে 

(B) ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে 

(C) ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে

(D) ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে

Ans: (C) ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে

  1. ‘ ভারতমাতা ‘ ছবিটি আঁকেন— 

(A) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

(B) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

(C) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর

(D) নন্দলাল বসু

Ans: B) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  1. বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল – 

(A) ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে

(B) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে 

(C) ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে 

(D) ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে

Ans: (B) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে

  1. সর্বপ্রথম বয়কট আন্দোলনের ডাক দেন –

(A) কৃষ্ণকুমার মিত্র 

(B) অমরেন্দ্র দাস

(C) চিত্তরঞ্জন দাশ

(D) অরবিন্দ ঘোষ 

Ans: (A) কৃষ্ণকুমার মিত্র

  1. স্বদেশি আন্দোলনে বাংলার একজন মহিলা নেত্রী ছিলেন –

(A) পদ্মজা নাইডু 

(B) সরোজিনী নাইডু 

(C) অরুণা আসফ আলি 

(D) সরলাদেবী চৌধুরানি 

Ans: D) সরলাদেবী চৌধুরানি

[ আরোও দেখুন:- Madhyamik History Suggestion 2024 Click here ]

  1. সরলাদেবী দীর্ঘকাল ধরে যে পত্রিকা সম্পাদনা করেন – 

(A) বামাবোধিনী 

(B) সোমপ্রকাশ 

(C) ভারতী

(D) বঙ্গদর্শন

Ans: C) ভারতী

  1. ‘ সুপ্রভাত ‘ পত্রিকা সম্পাদনা করেন— 

(A) স্বর্ণকুমারী দেবী 

(B) কুমুদিনী মিত্র

(C) সরলাদেবী চৌধুরানি 

(D) লীলা নাগ ( রায় ) 

Ans: (B) কুমুদিনী মিত্র

  1. ‘ ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল ‘ প্রতিষ্ঠা করেন –

(A) বাসন্তী দেবী 

(B) উর্মিলা দেবী 

(C) সরলাদেবী চৌধুরানি 

(D) সুনীতি দেবী 

Ans: (C) সরলাদেবী চৌধুরানি

  1. দেশসেবিকা সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় –

(A) বাংলায়

(B) উড়িষ্যায় 

(C) দিল্লিতে 

(D) মহারাষ্ট্রে 

Ans: D) মহারাষ্ট্রে 

  1. গান্ধিজির ডান্ডি অভিযানে মোট স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন – 

(A) ৭৮ জন 

(B) ৭৯ জন

(C) ৮০ জন 

(D) ৮২ জন 

Ans: (B) ৭৯ জন

  1. আইন অমান্য আন্দোলনকালে ধরসনা লবণ গলা অভিযানের নেতৃত্ব দেন – 

(A) কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় 

(B) সরোজিনী নাইডু 

(C) দুর্গাবাই দেশমুখ 

(D) বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত 

Ans: (B) সরোজিনী নাইডু

  1. ওয়াডালা লবণ কারখানায় বিক্ষোভে যিনি নেতৃত্ব দেন – 

(A) সরোজিনী নাইডু 

(B) বাসন্তী দেবী

(C) কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় 

(D) কমলা নেহরু 

Ans: (C) কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়

  1. রাজকুমারী অমৃত কাউর যে স্থানে আইন অমান্য আন্দোলনের নেতৃত্বে দেন— 

(A) উত্তরপ্রদেশ 

(C) পাঞ্জাব

(C) উড়িষ্যা

(D) দিল্লি

Ans: C) পাঞ্জাব

  1. কস্তুরবা গান্ধি যে আন্দোলনে দক্ষতার সঙ্গে নেতৃত্ব দেন – 

(A) বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে 

(B) অসহযোগ আন্দোলনে 

(C) আইন অমান্য আন্দোলনে

(D) ভারত ছাড়ো আন্দোলনে 

Ans: (C) আইন অমান্য আন্দোলনে

  1. লবণ আইন অমান্যে গান্ধিজির সহযোগী ছিলেন— 

(A) বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত 

(B) সুহাসিনী দেবী 

(C) সরোজিনী নাইডু 

(D) ঊর্মিলা দেবী 

Ans: (C) সরোজিনী নাইডু 

  1. ভারতের ‘ দেবদাসী প্রথা বিলোপের জন্য বিল আনেন – 

(A) সরোজিনী নাইডু

(B) কমলা নেহরু 

(C) মুথুলক্ষ্মী রেড্ডি 

(D) বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত 

Ans: (C) মুথুলক্ষ্মী রেড্ডি

  1. আইন অমান্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন –

(A) বীণা দাশ 

(B) কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়

(C) কল্পনা দত্ত 

(D) রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন 

Ans: (B) কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়

  1. আইন অমান্য আন্দোলনে নাগাল্যান্ডে অগ্রণী ভূমিকা নেন –

(A) ভোগেশ্বরী ফুকোননী

(B) কনকলতা বড়ুয়া 

(C) রানি গুইডালো 

(D) অমৃত কাউর রানী

Ans: (C) রানি গুইডালো

  1. গুইডালো নাগাল্যান্ডে যে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন – 

(A) বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনে 

(B) অসহযোগ আন্দোলনে 

(C) আইন অমান্য আন্দোলনে

(D) ভারত ছাড়ো আন্দোলনে 

Ans: (C) আইন অমান্য আন্দোলনে

  1. ‘ ভয়েস অফ ফ্রিডম ‘ প্রতিষ্ঠিত হয় –

(A) বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকালে 

(B) অসহযোগ আন্দোলনকালে 

(C) আইন অমান্য আন্দোলনকালে 

(D) ভারতছাড়ো আন্দোলনকালে 

Ans: (D) ভারতছাড়ো আন্দোলনকালে

  1. ভারতছাড়ো আন্দোলনের সময় গোপনে কংগ্রেসের বেতার কেন্দ্র পরিচালনা করেন –

(A) সরোজিনী নাইডু 

(B) ঊষা মেহতা 

(C) সুচেতা কৃপালিনী 

(D) অরুণা আসফ আলি 

Ans: (B) ঊষা মেহতা

  1. মাতঙ্গিনী হাজরা ‘ ভারতছাড়ো ‘ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন যে স্থানে – 

(A) তমলুক 

(B) বরিশাল 

(C) সুতাহাটা

(D) পুরুলিয়া

Ans: (A) তমলুক 

  1. ‘ গান্ধিবুড়ি ‘ নামে পরিচিত ছিলেন— 

(A) কমলা চট্টোপাধ্যায় 

(B) মাতঙ্গিনী হাজরা 

(C) সরলাদেবী চৌধুরানি 

(D) কমলা দাশগুপ্ত 

Ans: (B) মাতঙ্গিনী হাজরা

  1. তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠিত হয় যাঁর উদ্যোগে – 

(A) সরোজিনী নাইডু

(B) সতীশচন্দ্র সামন্ত 

(C) মাতঙ্গিনী হাজরা 

(D) বীরেন্দ্রনাথ শাসমল 

Ans: (B) সতীশচন্দ্র সামন্ত

  1. ভারতছাড়ো আন্দোলনকালে ‘ ভগিনী সেনা ‘ যেখানে গঠিত হয় –

(A) মেদিনীপুর জেলায়

(B) মুম্বাইয়ে 

(C) কলকাতায়

(D) নাগপুরে

Ans: (A) মেদিনীপুর জেলায়

  1. ১৯৪২ – এর আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য নেতৃত্ব দেন—  

(A) অরুণা আসফ আলি 

(B) ঊষা মেহ্তা 

(C) মাতঙ্গিনী হাজরা 

(D) এঁদের সকলেই 

Ans: (D) এঁদের সকলেই

  1. ‘ ভারতে বিপ্লববাদের জননী ‘ বলা হয় – 

(A) সরোজিনী নাইডুকে 

(B) ভিখাজী রুস্তম কামাকে

(C) মাতঙ্গিনী হাজরাকে

(D) অরুণা আসফ আলিকে

Ans: (B) ভিখাজী রুস্তম কামাকে

  1. ‘ দীপালি সংঘ ‘ প্রতিষ্ঠিত হয –

(A) ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে 

(B) ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে 

(C) ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে

(D) ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে

Ans: (A) ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে

  1. দীপালি সংঘ ( ১৯২৩ খ্রি . ) প্রতিষ্ঠিত হয় –

(A) কলকাতায় 

(B) ঢাকায় 

(C) কৃষ্ণনগরে

(D) চট্টগ্রামে

Ans: (B) ঢাকায় 

  1. দীপালি সংঘ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন— 

(A) কল্পনা দত্ত 

(B) বাসন্তী দেবী

(C) লীলা নাগ ( রায় ) 

(D) বীণা দাস 

Ans: (C) লীলা নাগ ( রায় ) 

  1. লীলা রায় সম্পাদিত ‘ জয়শ্রী ‘ পত্রিকা প্রকাশিত হয়— 

(A) ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে 

(B) ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে

(C) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে 

(D) ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে 

Ans: (D) ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে

  1. দীপালি সংঘের মুখপত্র ছিল— 

(B) ভারতী

(B) বেণু

(C) সুপ্রভাত

(D) জয়শ্রী 

Ans: (D) জয়শ্রী 

  1. সরকারি স্কুল – কলেজ বর্জনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরক্ত বোধ করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য – 

(A) আশুতোষ মুখোপাধ্যায় 

(B) গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় 

(C) জেমস্ কোল্‌ভিল 

(D) শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় 

Ans: (A) আশুতোষ মুখোপাধ্যায়

  1. ‘ লিয়ন সার্কুলার ‘ ঘোষিত হয় ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের – 

(A) ২০ জুলাই 

(B) ১৬ আগস্ট 

(C) ১৬ অক্টোবর

(D) ১৬ নভেম্বর 

Ans: (C) ১৬ অক্টোবর

  1. ‘ বন্দে মাতরম্ ‘ মন্ত্র উচ্চারণ করার অপরাধে বেত্রাঘাতে জর্জরিত হন— 

(A) সূর্য সেন 

(B) অনন্ত সিংহ 

(C) গণেশ ঘোষ 

(D) সুশীল সেন 

Ans: (D) সুশীল সেন 

  1. অসহযোগ আন্দোলন প্রস্তাব গৃহীত হয় ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের— 

(A) করাচি অধিবেশনে 

(B) সুরাট অধিবেশনে 

(C) বোম্বাই অধিবেশনে 

(D) কলকাতা অধিবেশনে 

Ans: (D) কলকাতা অধিবেশনে

  1. অসহযোগ আন্দোলনকালে বাংলায় ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন –

(A) লালা লাজপত রায় 

(B) চিত্তরঞ্জন দাশ 

(C) অরবিন্দ ঘোষ 

(D) যতীন দাস 

Ans: (B) চিত্তরঞ্জন দাশ 

  1. অসহযোগ আন্দোলনকালে ‘ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়— 

(A) কলকাতায় 

(B) মাদ্রাজে 

(C) বোম্বাইয়ে

(D) দিল্লিতে

Ans: (D) দিল্লিতে

  1. ইয়ং ইন্ডিয়া ‘ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন –

(A) অরবিন্দ ঘোষ 

(B) বালগঙ্গাধর তিলক 

(C) জওহরলাল নেহরু 

(D) মহাত্মা গান্ধি 

Ans: (D) মহাত্মা গান্ধি

  1. গান্ধি – আরউইন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়— 

(A) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে 

(B) ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে

(C) ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে

(D) ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে

Ans: (C) ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে

  1. ‘ ভারত ছাড়ো ‘ আন্দোলনের কনিষ্ঠ শহিদ ছিলেন – 

(A) সতীশচন্দ্র সামন্ত 

(B) হেমু কালানি 

(C) অজয় মুখোপাধ্যায়

(D) সুশীল ধাড়া

Ans: (B) হেমু কালানি 

  1. ‘ ভারত ছাড়ো ‘ আন্দোলনে গান্ধিজি ধ্বনি তোলেন— 

(A) করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে 

(B) দিল্লি চলো 

(C) সাইমন গো ব্যাক 

(D) ইনক্লাব জিন্দাবাদ 

Ans: (A) করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে

  1. ভারত ছাড়ো আন্দোলনকালে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা লুঠ করা আজাদ ট্রেনে চড়ে উত্তরপ্রদেশের শেরপুর অঞ্চলে পৌঁছেছিলেন , সেটি হল – 

(A) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় 

(B) দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় 

(C) এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় 

(D) মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় 

Ans: (C) এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়

  1. ‘ ভারতে বিপ্লববাদের জনক ‘ নামে পরিচিত হলেন – 

(A) বাসুদেব বলবন্ত ফাদকে

(B) ক্ষুদিরাম বসু 

(C) সতীশচন্দ্র বসু 

(D) বারীন্দ্রকুমার ঘোষ

Ans: (A) বাসুদেব বলবন্ত ফাদকে

  1. অনুশীলন সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয় – 

(A) ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে 

(B) ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে 

(C) ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে 

(D) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে 

Ans: (C) ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে

  1. মেদিনীপুর সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয় –

(A) ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে 

(B) ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে 

(C) ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে

(D) ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে

Ans: (B) ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে 

  1. ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি হয় –

(A) ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে

(B) ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে 

(C) ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে 

(D) ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে 

Ans: (B) ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে

  1. যে মামলায় ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি হয় – 

(A) আসাম বোমার মামলা 

(C) মজফ্ফরপুর মামলা 

(C) লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা 

(D) মীরাট ষড়যন্ত্র মামলা

Ans: (C) মজফ্ফরপুর মামলা

  1. আলিপুর ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আসামী ছিলেন – 

(A) অরবিন্দ ঘোষ 

(B) ক্ষুদিরাম বসু 

(C) নরেন গোঁসাই 

(D) প্রফুল্ল চাকী 

Ans: (A) অরবিন্দ ঘোষ

  1. বুড়িলামের যুদ্ধে অংশ নেন – 

(A) প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার 

(B) বাঘাযতীন 

(C) ভগৎ সিং 

(D) সূর্য সেন 

Ans: (B) বাঘাযতীন

  1. ‘ নওজোয়ান ভারত ‘ সভা গঠন করেন— 

(A) লালা রাজপত রায় 

(B) রাজগুরু 

(C) অজিত সিং

(D) ভগৎ সিং

Ans: (D) ভগৎ সিং

  1. লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসি হয়— 

(A) লালা রাজপত রায়ের

(B) রাসবিহারী বসুর 

(C) ভগৎ সিং – এর 

(D) বসন্ত বিশ্বাসের 

Ans: (C) ভগৎ সিং – এর

  1. ‘ বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স ‘ যে নামে সংক্ষেপে পরিচিত – 

(A) বি ভি 

(B) বেঙ্গল

(C) বেভ

(D) ভলান্টিয়ার্স

Ans: (A) বি ভি 

  1. বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন —

(A) সুশীল সেন 

(B) অরবিন ্দ ঘোষ 

(C) হেমচন্দ্র ঘোষ 

(D) বারীন্দ্রকুমার ঘোষ 

Ans: (C) হেমচন্দ্র ঘোষ

  1. বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দল গঠিত হয় – 

(A) ঢাকায় 

(B) বহরমপুরে 

(C) মেদিনীপুরে

(D) কলকাতায়

Ans: (A) ঢাকায় 

  1. ব্রজমোহন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন— 

(A) অশ্বিনী কুমার দত্ত 

(B) চিত্তরঞ্জন দাশ 

(C) বিপিনচন্দ্র পাল

(D) সরলাবালা দেবী

Ans: A) অশ্বিনী কুমার দত্ত

  1. বঙ্গীয় প্রাদেশিক ছাত্র সমিতির অন্যতম সম্পাদক ছিলেন— 

(A) প্রমোদ ঘোষাল 

(B) প্রফুল্ল চাকী 

(C) ক্ষুদিরাম বসু 

(D) ভগৎ সিং

Ans: (A) প্রমোদ ঘোষাল

  1. বঙ্গীয় প্রাদেশিক ছাত্র সমিতির একজন সম্পাদক ছিলেন –

(A) যতীন দাশ

(B) ভগৎ সিং 

(C) প্রমোদ ঘোষাল 

(D) বটুকেশ্বর দত্ত 

Ans: (C) প্রমোদ ঘোষাল

  1. রবার্ট ডগলাসকে হত্যা করেন –

(A) ব্রজকিশোর রায় 

(B) রামকৃয় ঘোষ 

(C) প্রদ্যোত ভট্টাচার্য

(D) মৃগেন দত্ত

Ans: (C) প্রদ্যোত ভট্টাচার্য

  1. অলিন্দ যুদ্ধ হয়েছিল –

(A) ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে 

(B) ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে

(C) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে 

(D) ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে 

Ans: (C) ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে

[ আরোও দেখুন:- Madhyamik All Subjects Suggestion 2024 Click here ]

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer : 

  1. স্বদেশি আন্দোলনকালে স্বদেশভূমিকে কার সঙ্গে তুলনা করা হয় ? 

Ans: স্বদেশি আন্দোলনকালে স্বদেশভূমিকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করা হয় । 

  1. কোন্ উপন্যাসে স্বদেশভূমিকে দেশমাতা বলে অভিহিত করা হয় ? 

Ans: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘ আনন্দমঠ ‘ উপন্যাসে স্বদেশভূমিকে দেশমাতা বলে অভিহিত করা হয় । 

  1. ‘ ভারতমাতার ’ চিত্রটি কে অঙ্কন করেন ? 

Ans: অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ ভারতমাতার ’ চিত্রটি অঙ্কন করেন । 

  1. উনিশ শতকের নারী উন্নয়নের দুজন প্রধান প্রবক্তা কারা ছিলেন ? 

Ans: উনিশ শতকের নারী উন্নয়নের দুজন প্রধান প্রবক্তা রামমোহন রায় ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর । 

  1. দুটি নারী কল্যাণমূলক সমিতির নাম লেখো । 

Ans: দুটি নারী কল্যাণমূলক সমিতি হল ‘ ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল ’ ও দীপালি সংঘ ‘ । 

  1. নারী কল্যাণমূলক দুটি সরকারি আইনের নামোল্লেখ করো । 

Ans: নারী কল্যাণমূলক দুটি সরকারি আইন হল সতীদাহ প্রথা রদ আইন এবং বিধবাবিবাহ আইন । 

  1. সরলাদেবী চৌধুরানি কে ছিলেন ?

Ans: সরলাদেবী চৌধুরানি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাগনি , স্বর্ণকুমারী দেবীর কন্যা । 

  1. ‘ বীরাষ্টমী ব্রত ’ কে প্রবর্তন করেন ? 

Ans: ‘ বীরাষ্টমী ব্রত ’ প্রবর্তন করেন সরলাদেবী চৌধুরানি । 

  1. প্রতাপাদিত্য উৎসব কে প্রবর্তন করেন ? 

Ans: প্রতাপাদিত্য উৎসব প্রবর্তন করেন সরলাদেবী চৌধুরানি । 

  1. স্বদেশি আন্দোলনের সময় ‘ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ’ কে প্রতিষ্ঠা করেন ? 

Ans: স্বদেশি আন্দোলনের সময় ‘ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ’ প্রতিষ্ঠা করেন । সরলাদেবী চৌধুরানি । 

  1. বঙ্গভঙ্গ কবে কার্যকর হয় ?

Ans: বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হয় ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর । 

  1. কে বঙ্গভঙ্গ কার্যকরের দিন ‘ অরন্ধন ‘ পালনের আহ্বান জানান ? 

Ans: বঙ্গভঙ্গ কার্যকরের দিন ‘ অরন্ধন ’ পালনের আহ্বান জানান রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী । 

  1. কে স্বদেশি আন্দোলনকালে গোপনে বিপ্লবীদের অস্ত্র লুকিয়ে রাখতেন ও সরবরাহ করতেন ? 

Ans: ননীবালা দেবী স্বদেশি আন্দোলনকালে গোপনে বিপ্লবীদের অস্ত্র লুকিয়ে রাখতেন ও সরবরাহ করতেন । 

  1. ‘ ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল ‘ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ? 

Ans: ‘ ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল ’ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে । 

  1. বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা ‘ কে রচনা করেন ? 

Ans: ‘ বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা ’ রচনা করেন রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী । 

  1. স্বদেশি আন্দোলনকালে কোনো নারী দেশের জন্য দুঃসাহসিক কাজ করলে কী উপাধি পেতেন ? 

Ans: স্বদেশি আন্দোলনকালে কোনো নারী দেশের জন্য দুঃসাহসিক কাজ করলে ‘ বঙ্গলক্ষ্মী ‘ উপাধি পেতেন । 

  1. কোন্ কবি বঙ্গনারীকে রেশমি চুড়ি ছাড়ার পরামর্শ দেন ? 

Ans: কবি মুকুন্দ দাস বঙ্গনারীকে রেশমি চুড়ি ছাড়ার পরামর্শ দেন । 

  1. নারীকল্যাণমূলক দুটি পত্রিকার নাম লেখো । 

Ans: নারীকল্যাণমূলক দুটি পত্রিকা ‘ বামাবোধিনী পত্রিকা ‘ এবং ‘ জয়শ্রী পত্রিকা ‘ । 

  1. কুমুদিনী মিত্র কে ছিলেন ? 

Ans: কুমুদিনী মিত্র ছিলেন স্বদেশি আন্দোলনের নেতা কৃষ্ণকুমার মিত্রের কন্যা । 

  1. ‘ সুপ্রভাত ‘ পত্রিকাটি কে সম্পাদনা করেন ?

Ans: ‘ সুপ্রভাত ‘ পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন কুমুদিনী মিত্র । 

  1. ফেডারেশন হলের ভিত্তি করে স্থাপিত হয় ? 

Ans: ফেডারেশন হলের ভিত্তি স্থাপিত হয় ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর । 

  1. বঙ্গভঙ্গ কালে বিপ্লবীদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে কে গ্রেফতার হন ? 

Ans: বঙ্গভঙ্গ কালে বিপ্লবীদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে গ্রেফতার হন ননীবালা দেবী ।

  1. জাতীয় আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী দুজন নেত্রীর নাম লেখো ।

Ans: জাতীয় আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী দুজন নেত্রী সরোজিনী নাইডু ও মুথুলক্ষ্মী রেড্ডি । 

  1. ভারতের নাইটিঙ্গেল ‘ বা ‘ ভারতের বুলবুল ‘ নামে কে পরিচিত ? 

Ans: সরোজিনী নাইডু ‘ ভারতের নাইটিঙ্গেল ‘ নামে পরিচিত । 

  1. নারীরা ভোটাধিকার অর্জনের জন্য কবে আন্দোলন করেন ? 

Ans: নারীরা ভোটাধিকার অর্জনের জন্য আন্দোলন করেন ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ডিসেম্বর । 

  1. নারীর ভোটাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব কে দেন ? 

Ans: নারীর ভোটাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন সরোজিনী 

  1. ভারতের ‘ দেবদাসী প্রথা বিলোপের জন্য কে বিল আনেন ? 

Ans: ভারতের দেবদাসী প্রথা বিলোপের জন্য বিল আনেন মুথুলক্ষ্মী রেড্ডি । 

  1. মুথুলক্ষ্মী রেড্ডি কে ছিলেন ? 

Ans: মুথুলক্ষ্মী রেড্ডি ছিলেন পেশায় চিকিৎসক ও ভারতের প্রথম মহিলা আইনসভার সদস্যা । 

  1. ব্রিটিশ যুবরাজ বা প্রিন্স অব্ ওয়েলস্ – এর ভারতভ্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী একজন বিখ্যাত নারীর নাম লেখো । 

Ans: ব্রিটিশ যুবরাজ বা প্রিন্স অব্ ওয়েলস্ – এর ভারতভ্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী একজন বিখ্যাত নারী বাসন্তী দেবী ।

  1. অসহযোগ আন্দোলনকালে ব্রিটিশ শাসনকে কে ‘ শয়তানের শাসনের সঙ্গে তুলনা করেন ? 

Ans: অসহযোগ আন্দোলনকালে ব্রিটিশ শাসনকে শয়তানের শাসনের সঙ্গে তুলনা করেন মহাত্মা গান্ধি । 

  1. কারা আলি ভ্রাতৃদ্বয় ‘ নামে পরিচিত ছিলেন ? 

Ans: ‘ আলি ভ্রাতৃদ্বয় ‘ নামে পরিচিত ছিলেন মহম্মদ আলি ও শওকত আলি । 

  1. ‘ বি – আম্মা ‘ নামে কে পরিচিত ছিলেন । 

Ans: ‘ বি – আম্মা ‘ নামে পরিচিত ছিলেন আবাদি বানু বেগম । 

  1. আইন অমান্য আন্দোলনকালে কে ওয়াডালা লবণ কারখানা অভিযানের নেতৃত্ব দেন ? 

Ans: আইন অমান্য আন্দোলনকালে ওয়াডালা লবণ কারখানা অভিযানের নেতৃত্ব দেন কমলাদেরী চট্টোপাধ্যায় । 

  1. মহিলা রাষ্ট্রীয় সংঘ ( ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ) কে প্রতিষ্ঠা করেন । 

Ans: মহিলা রাষ্ট্রীয় সংঘ ( ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ) প্রতিষ্ঠা করেন লতিকা ঘোষ । 

  1. আইন অমান্য আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দুজন বিখ্যাত নারীর নাম লেখো । 

Ans: আইন অমান্য আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দুজন বিখ্যাত নারী বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত এবং কমলা দাশগুপ্ত প্রমুখ । 

  1. আইন অমান্য আন্দোলনে দুজন দলিত নেত্রীর নাম কী ? 

Ans: আইন অমান্য আন্দোলনের দুজন দলিত নেত্রী চম্পুবাঈ ও গোপিকা বাঙ্গ । 

  1. সাঁওতাল মহিলারা কীভাবে আইন অমান্য আন্দোলনে অংশ নেন ? 

Ans: সাঁওতাল মহিলারা সরকারি অরণ্য আইন অমান্য করে বনজ সম্পদগুলি একাধারে ধ্বংস করেন । 

  1. আগস্ট আন্দোলনের দুজন মহিলা নেত্রীর নাম লেখো ।

Ans: আগস্ট আন্দোলনের দুজন মহিলা নেত্রী সুচেতা কৃপালিনী ও অরুণা আসফ আলি । 

  1. দু’জন মুসলিম নেত্রীর নাম লেখো , যাঁরা ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নেন । 

Ans: ‘ ভারত ছাড়ো ‘ আন্দোলনে অংশ নেন রাজিয়া খাতুন ও হালিমা খাতুন । 

  1. ‘ ভারত ছাড়ো ‘ আন্দোলনের দুজন দলিত নেত্রীর নাম লেখো । 

Ans: ‘ ভারত ছাড়ো ‘ আন্দোলনের দুজন দলিত নেত্রী শাস্তাবাঈ ভালেরাও ও তারাবাঈ কাম্বলে । 

  1. ভারত ছাড়ো আন্দোলনকালে নারীদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে দুজন নেত্রীর নাম লেখো । 

Ans: ভারতছাড়ো আন্দোলনকালে নারীদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে দুজন নেত্রী অরুণা আসফ আলি ও সুচেতা কৃপালিনী । 

  1. ভয়েস অব ফ্রিডম ‘ কে , কোথায় প্রতিষ্ঠা করেন । 

Ans: ঊষা মেহতা বোম্বাই – এ ‘ ভয়েস অব ফ্রিডম ‘ প্রতিষ্ঠা করেন । 

  1. ‘ ভয়েস অব ফ্রিডম ‘ কোন্ আন্দোলনের সময় প্রতিষ্ঠিত হয় ? 

Ans: ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় ভয়েস অব ফ্রিডম ‘ প্রতিষ্ঠিত হয় । 

  1. সূর্যসেন প্রতিষ্ঠিত বিপ্লবী দলের নাম কী ? 

Ans: সূর্যসেন প্রতিষ্ঠিত বিপ্লবী দলের নাম ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান 

  1. দাস কাকে হত্যার চেষ্টা করেন । 

Ans: বীণা দাস বাংলার গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসনকে হত্যার চেষ্টা করেন । 

  1. বীণা দাস কে ছিলেন ?

Ans: বাংলার ছাত্রী সংঘের সদস্যা ও বিপ্লবী । 

  1. কোন মামলায় ভগৎ সিং – এর ফাঁসি হয় ?

Ans: লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসি হয় । 

  1. রশিদ আলি । 

Ans: রশিদ আলি ছিলেন ব্রিটিশ সেনাদলের হাতে বন্দি আজাদ হিন্দ বাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন । 

  1. কলকাতায় ‘ রশিদ আলি দিবস ‘ কবে পালিত হয় । 

Ans: কলকাতায় ‘ রশিদ আলি দিবস ‘ পালিত হয় ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি । 

  1. সত্যশোধক সমাজ ‘ কে প্রতিষ্ঠা করেন ? 

Ans: সত্যশোধক সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন জ্যোতিবা ফুলে । 

  1. শ্রী নারায়ণ গুরু কোন সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যাণের জন্য আন্দোলন শুরু করেন ?

Ans: শ্রী নারায়ণ গুরু দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যাণের জন্য আন্দোলন শুরু করেন । 

  1. দলিত মিশন সোসাইটি ‘ কে প্রতিষ্ঠা করেন ? 

Ans: দলিত মিশন সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন ভি . আর . শিন্দে । 

  1. সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা চুক্তি ( ১৯৩২ খ্রি . ) কে প্রবর্তন করেন ? 

Ans: সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা চুক্তি ( ১৯৩২ খ্রি . ) প্রবর্তন করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র‍্যামসে ম্যাকডোনাল্ড । 

  1. দলিতদের ‘ হরিজন ‘ নামে কে অভিহিত করেন ?

Ans: দলিতদের ‘ হরিজন ‘ নামে অভিহিত করেন মহাত্মা গান্ধি । 

  1. গান্ধির কাছে ‘ হরিজন ‘ কথার অর্থ কী ?

Ans: গান্ধির কাছে হরিজন কথার অর্থ ছিল ঈশ্বরের সন্তান । 

  1. বি আর আম্বেদকর কে ? 

Ans: দলিত আন্দোলনের বিখ্যাত নেতা বি আর আম্বেদকর । 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer : 

  1. বঙ্কিমচন্দ্রের রচনা ও অবনীন্দ্রনাথের ‘ ভারতমাতা’র মাধ্যমে ভারতের নারীসমাজের কোন্‌দিক ফুটে উঠেছিল ? 

Ans: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর রচিত ‘ আনন্দমঠ ‘ উপন্যাসে দেশকে দেশমাতারূপে উপস্থাপন করেন । তিনি তাঁর অন্যান্য কয়েকটি উপন্যাসে নারীমহিমাকেও তুলে ধরেন । অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর অঙ্কিত ‘ ভারতমাতা ‘ ছবিতে ভারতমাতাকে দেবী ও মানবীরূপে চিহ্নিত করে নারী মহিমাকে তুলে ধরেন । 

  1. বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনকালে নারীসমাজের অংশগ্রহণের ধরন কী ছিল ?

Ans: বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনকালে নারীসমাজের অংশগ্রহণের ধরনগুলি হল প্রথমত , প্রকাশ্য রাজনীতিতে অংশগ্রহণ না করেও ঘরের ভেতরে থেকেই নারীরা এই আন্দোলনে যোগ দেয় । দ্বিতীয়ত , বিদেশি বস্তু বর্জন ও পোড়ানো , দেশি কাপড়ের প্রচলন , অরন্ধন দিবস পালন প্রভৃতি কর্মসূচিতে নারীরা যোগ দেয় । তৃতীয়ত , বিপ্লবীদের আশ্রয়দান , গোপনে সংবাদ ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমেও নারীরা আন্দোলনে অংশ নেয় । 

  1. বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে সরলাদেবী চৌধুরানির ভূমিকা কীরূপ ছিল ? 

Ans: বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে সরলাদেবী চৌধুরানির ভূমিকা হল প্রথমত , নিজে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি ‘ ভারতী পত্রিকায় বিভিন্ন প্রবন্ধ প্রকাশের মাধ্যমে নারীশক্তিকে উজ্জীবিত করতে সচেষ্ট হন । দ্বিতীয়ত , ‘ বীরাষ্টমী ব্রত ’ , ‘ প্রতাপাদিত্য ব্রত ’ , ‘ উদয়াদিত্য ব্রত ’ প্রচলনের মাধ্যমে বাঙালি যুবকদের লাঠিখেলা , কুস্তি , তরবারি খেলা , শরীরচর্চায় উৎসাহ দান করেন । 

  1. ননীবালা দেবী বিখ্যাত কেন ? অথবা , স্বাধীনতা আন্দোলনে ননীবালা দেবী স্মরণীয় কেন ? 

Ans: অমরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মেজো পিসি ননীবালা দেবী বিখ্যাত , কারণ— প্রথমত , বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনকালে বিপ্লবীদের আশ্রয়দান ও গোপনে অস্ত্র সরবরাহ করার অপরাধে তাঁকে ব্রিটিশ সরকার আটক করে । দ্বিতীয়ত , তাঁর ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েও পুলিশ তাঁর কাছ থেকে বিপ্লবীদের কোনো গোপন তথ্য আদায় করতে পারেনি । তৃতীয়ত , এভাবে তিনি দেশভক্তির যে আদর্শ প্রতিষ্ঠা করেন তা পরবর্তীকালে বিপ্লবী আন্দোলনে উৎসাহ সঞ্চার করে । 

  1. ‘ অরন্ধন দিবস ‘ কে , কবে প্রবর্তন করেন । এর উদ্দেশ্য কী ছিল ? 

Ans: বৈজ্ঞানিক ও প্রাবন্ধিক রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী , ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর অরন্ধন দিবস পালনের প্রস্তাব দেন । এর উদ্দেশ্য ছিল প্রথমত , বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে তিনি বাংলার মহিলাদের রন্ধনকার্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো । দ্বিতীয়ত , অরন্ধন দিবস পালনের মাধ্যমে বঙ্গভঙ্গের বিষয়টি ‘ জাতীয় শোক ’ – এ পরিণত করতে চেয়েছিলেন । 

  1. বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা – য় কী বলা হয়েছিল ? 

Ans: বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা – য় বলা হয়েছিল প্রথমত , স্বদেশি আন্দোলনে নারীদের সমর্থন লাভের উদ্দেশ্য ‘ মা লক্ষ্মী ’ – কে রূপক হিসেবে ব্যবহার করে । বলা হয় , বঙ্গভঙ্গের কারণেই ‘ মা লক্ষ্মী ’ দেশত্যাগ করেছেন । দ্বিতীয়ত , রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা -য় লেখেন ‘ বাংলার লক্ষ্মীমন্ত মেয়েরাই বাংলার লক্ষ্মীকে ফিরিয়ে আনতে পারেন । 

  1. কোন্ দুটি উৎসবের অনুসরণে সরলাদেবী তাঁর স্বদেশি উৎসব দুটির পরিকল্পনা করেন ? 

Ans: সরলাদেবী চৌধুরানি ‘ বীরাষ্টমী ব্রত ’ ও ‘ প্রতাপাদিত্য উৎসব ‘ নামে দুটি স্বদেশি উৎসবের প্রচলন করেন । মহারাষ্ট্রের বালগঙ্গাধর তিলকের ‘ শিবাজি উৎসব ’ ও ‘ গণপতি উৎসব ’ – এর অনুসরণে সরলাদেবী তাঁর স্বদেশি উৎসব দুটির পরিকল্পনা করেন । 

  1. কে , কবে , কোথায় মিলন মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ? মিলন মন্দির স্থাপনের উদ্দেশ্য কী ছিল ? 

Ans: শীর্ষ স্থানীয় নেতা আনন্দমোহন বসু ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর কলকাতার আপার সার্কুলার রোডে মিলন মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন । হিন্দু – মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য স্থাপনের উদ্দেশ্যে মিলন মন্দির – এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন । 

  1. অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি কী ছিল ? 

Ans: ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনে ( আগস্ট ) অসহযোগ আন্দোলনের প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর মহাত্মা গান্ধি আন্দোলনকে সফল করতে দু’ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেন , যথা — ইতিবাচক ও নেতিবাচক কর্মসূচি । ইতিবাচক কর্মসূচির প্রধান প্রধান দিকগুলি ছিল— ( ১ ) চরকা ও তাঁত ব্যবহার করে দেশীয় সুতায় কাপড় বুনন ; ( ২ ) অস্পৃশ্যতা দুরীকরণ ; ( ৩ ) পঞ্চায়েতিরাজ প্রতিষ্ঠা ; ( ৪ ) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং ( ৫ ) এক কোটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন ও এক কোটি টাকার তিলক স্মৃতি তহবিল গঠন । নেতিবাচক কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল— ( ১ ) ব্রিটিশ সরকারের অফিস , আদালত বৰ্জন ; ( ২ ) সমস্ত সরকারি উপাধি , খেতাব ও অনুষ্ঠান বর্জন ; ( ৩ ) সরকারি স্কুল – কলেজ সহ কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভা বর্জন এবং ( ৪ ) বিদেশি বস্ত্র বর্জন ও মদ্যপান বর্জন । 

  1. কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় স্মরণীয় কেন ? 

Ans: কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় স্মরণীয় , কারণ প্রথমত , জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট নেত্রী ছিলেন কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় ( ১৯০৩-১৯৮৮ খ্রি . ) । দ্বিতীয়ত , আইন অমান্য আন্দোলনকালে তার নেতৃত্বে ১৫,০০ সত্যাগ্রহী ওয়াডাল লবণ কারখানায় লবণ সত্যাগ্রহ করেছিল । তৃতীয়ত , তিনি ছিলেন নিখিল ভারত মহিলা সম্মেলনের প্রথম সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীকালের সভানেত্রী ।

  1. আইন অমান্য আন্দোলনে বাংলার নারীদের কর্মসূচি কী ছিল ? 

Ans: আইন অমান্য আন্দোলনকালে বাংলার নারীদের কর্মসূচির বিভিন্ন দিক হল— প্রথমত , মেদিনীপুরের ঘাটাল , কাথি , তমলুক প্রভৃতি স্থানের নারীরা সরকারি আইন অমান্য করে লবণ প্রস্তুত ও তা বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে । দ্বিতীয়ত , জাতীয়তাবাদী ভাবধারার প্রসার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার পাশাপাশি নারীশিক্ষার প্রসার , গ্রামীণ শিল্পের বিকাশ ও অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ কর্মসূচির ওপরেও নারীরা গুরুত্ব আরোপ করে । 

  1. ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণের প্রকৃতি কী ছিল ? 

Ans: ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি— প্রথমত , পরিকল্পিত ও কর্মসূচিভিত্তিক ছিল না , তথাপি স্কুল – কলেজের ছাত্রীসহ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত নারীরা প্রকাশ্য ও গোপনে আন্দোলন পরিচালনা করেছিল । দ্বিতীয়ত , ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূচনায় গান্ধিসহ কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে গ্রেপ্তার করার ফলে বাংলা , বোম্বাই , আসাম , পাঞ্জাব , উত্তরপ্রদেশ , গুজরাট , কর্ণাটকে অংশগ্রহণকারী নারীদের অধিকাংশই ছিল কংগ্রেস দলের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত । তৃতীয়ত , এই আন্দোলনে নারীদের যোগদান ছিল স্বতঃস্ফূর্ত । 

  1. ভগিনী সেনা কী ? 

Ans: ভারত ছাড়ো আন্দোলনকালে বাংলার মেদিনীপুরে ‘ তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি গ্রামীণ মহিলারা ব্রিটিশ – বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রাম চালানোর জন্য নারীসংগঠন প্রতিষ্ঠা করে । এইরূপ সংগঠন ভগিনী সেনা নামে পরিচিত । ভগিনী সেনার অনেক নারী জেলবন্দি হন ও ৮৪ জনেরও বেশি নারী ধর্ষিতা হন । 

  1. মাতঙ্গিনী হাজরা ইতিহাসে স্মরণীয় কেন ? 

Ans: মাতঙ্গিনী হাজরা ইতিহাসে স্মরণীয় , কারণ প্রথমত , ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় তমলুক থানা ও কোর্ট চতুর দখল অভিযানের উদ্দেশ্যে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে চারটি মিছিল এসেছিল , সেই মিছিলের একটির নেতৃত্বে ছিলেন ৭৩ বছরের বৃদ্ধা মাতঙ্গিনী হাজরা । দ্বিতীয়ত , অভিযানকালে তিনি কোর্ট চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন , পুলিশের গুলিতে জখম হন ও মারা যান । তৃতীয়ত , তাঁর এই সাহসিক অভিযানের কারণে তিনি ‘ গান্ধিবুড়ি ’ নামে পরিচিত । 

  1. ঊষা মেহতা কী কারণে বিখ্যাত ?

Ans: ঊষা মেহতা ( ১৯২০-২০০০ খ্রি . ) বিখ্যাত ছিলেন , কারণ প্রথমত , তিনি ছিলেন একজন গান্ধিবাদী স্বাধীনতা সংগ্রামী । দ্বিতীয়ত , কথিত আছে তিনি সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন এবং ভারত ছাড়ো আন্দোলনকালে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন । তৃতীয়ত , তিনি বোম্বাইয়ে ‘ ভয়েস অফ ফ্রিডম ‘ নামক একটি গোপন রেডিয়ো কেন্দ্র গড়ে তুলে গান্ধিজির ‘ করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে ‘ আদর্শ সহ জাতীয় আদর্শ প্রচার করেন । 

  1. শান্তাবাঈ ভালেরাও ও তারাবাঈ কাম্বলে বিখ্যাত কেন ? 

Ans: শান্তাবাঈ ভালেরাও ও তারাবাঈ কাম্বলে বিখ্যাত কারণ— প্রথমত , এঁরা দুজনই ছিলেন দলিত এবং এঁরা দুজনেই ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগদান করেন । দ্বিতীয়ত , ভারত ছাড়ো আন্দোলনকালে পলাতক কয়েকজন পুরুষ আন্দোলনকারীকে তারাবাঈ গোপনে নিজের বাড়ীতে আশ্রয় দেন । অন্যদিকে শান্তাবাঈ আন্দোলনকারীদের মধ্যে গোপন খবর ও চিঠিপত্র স্থান থেকে স্থানান্তরে পৌঁছে দিতেন । 

  1. দীপালি সংঘ কেন প্রতিষ্ঠিত হয় ?

Ans: বিপ্লবী লীলা রায় ( নাগ ) কর্তৃক ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত ‘ দীপালি সংঘ ‘ – এর উদ্দেশ্য ছিল প্রথমত , নারীশিক্ষার প্রসারসাধন ও সমাজসেবামূলক কাজের প্রসারসাধন করা ( এ জন্য ‘ দীপালি সংঘ ‘ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ১২ টি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ‘ দীপালি স্কুল ‘ , ‘ নারীশিক্ষা মন্দির ‘ প্রতিষ্ঠা করেছিল ) । দ্বিতীয়ত , বিপ্লবী আন্দোলনের জন্য নারীদের প্রস্তুত করা । তৃতীয়ত , নারীদের লাঠিখেলা , শরীরচর্চা ও অস্ত্র চালানো , অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় ও বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার শিক্ষা দেওয়া । 

  1. ‘ অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি ‘ কেন স্থাপিত হয় ? 

Ans: বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনকালে কার্লাইল সার্কুলার , পেডলার সার্কুলার – এর বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজে ভীষণ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় । এরই সুত্র ধরে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ৪ নভেম্বর সিটি কলেজের ছাত্র শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু ‘ অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন । এর উদ্দেশ্য ছিল সরকারি আদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কৃত ও শাস্তিক্তপ্রাপ্ত ছাত্রদের বিকল্প শিক্ষার ব্যবস্থা করা । 

  1. বাংলা সাহিত্য ও সংবাদপত্র কীভাবে ছাত্র আন্দোলনকে প্রভাবিত করে । 

Ans: বাংলার ছাত্র আন্দোলনে সাহিত্য ও সংবাদপত্রের ভূমিকা ছিল যথেষ্ট ইতিবাচক , যেমন— প্রথমত , হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের ‘ হিন্দু প্যাট্রিয়ট ‘ পত্রিকা , বঙ্কিমচন্দ্রের ‘ বন্দে মাতরম ‘ মন্ত্র , রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেশাত্মবোধক কবিতা , দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের নাটক বাংলার ছাত্রসমাজকে আন্দোলনে অনুপ্রাণিত করে । দ্বিতীয়ত , বিংশ শতকে চরমপন্থীদের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ( যেমন , ‘ যুগান্তর ‘ ) শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ছাত্র আন্দোলনকে বিপ্লবী আন্দোলনের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল । ৩৮ সুশীল সেন কে ছিলেন ? প্রশ্ন উত্তর ) সুশীল সেন ( ১৮৯২-১৯১৫ খ্রি . ) ছিলেন কিশোর বিপ্লবী ; তিনি বিখ্যাত ছিলেন , কারণ— প্রথমত , বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনকালে ব্রিটিশ পণ্যের পিকেটিং ও ‘ বন্দে মাতরম ‘ মন্ত্র উচ্চারণ করার অপরাধে মেদিনীপুরের ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড কর্তৃক বেত্রাঘাতে জর্জরিত হন । দ্বিতীয়ত , কলকাতার জাতীয় কলেজে পড়াশোনা করে জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হন এবং ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে আলিপুর বোমার মামলায় অভিযুক্ত হন । তৃতীয়ত , তিনি বৈপ্লবিক কাজকর্মে যুক্ত হয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন । 

  1. বাংলার ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য কী ছিল ? 

Ans: বাংলার ছাত্র আন্দোলনের বৈশিষ্ট্যগুলি হল প্রথমত , আবেগ ও দেশপ্রেমের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং জাতীয় নেতাদের আহ্বানে ছাত্ররা জাতীয় আন্দোলনে যোগদান করেছিল এবং প্রথমে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ছাত্র আন্দোলন থেকে হিংসাত্মক ও বিপ্লবী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল । দ্বিতীয়ত , বাংলার ছাত্র আন্দোলন ছিল ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক , কারণ- তিলক পরিচালিত উৎসবগুলিকে সাম্প্রদায়িক বলে মনে করায় ছাত্ররা সেই আন্দোলনগুলিতে যোগ দেননি । তৃতীয়ত , ১৯২০ – এর দশকে এবং ১৯৩০ – এর দশকে সাম্যবাদী মতাদর্শ দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্ররা রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি আর্থসামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও সচেষ্ট হয়েছিল । 

  1. অসহযোগ আন্দোলনে ছাত্রদের কর্মসূচি কী ছিল ? 

Ans: অসহযোগ আন্দোলনকালে ছাত্ররা প্রথমত , স্থানীয় নেতাদের উদ্যোগে বয়কট কর্মসূচিকে সফল করতে উত্তরপ্রদেশ , বিহার , উড়িষ্যা ও আসামে ছাত্ররা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিদেশি দ্রব্য বয়কট করে । দ্বিতীয়ত , ছাত্রদের অনেকে কংগ্রেস 3 খিলাফৎ স্বেচ্ছাসেবকরূপে চাঁদা সংগ্রহ , গঠনমূলক কাজ ও চরকা ব্যবহারের কর্মসূচি প্রচার করে । তৃতীয়ত , বিকল্প জাতীয় শিক্ষার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষায়তনগুলিতে ছাত্ররা যোগদানের কর্মসূচিও গ্রহণ করে । 

  1. আইন অমান্য আন্দোলনে ছাত্রদের অংশগ্রহণের ধরন কেমন ছিল ? 

Ans: আইন অমান্য আন্দোলনে ছাত্রদের অংশগ্রহণের ধরন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে প্রথমত , এই আন্দোলনে ছাত্রদের যোগদানের মাত্রা ছিল কম , তথাপি যুক্তপ্রদেশ , বাংলা , মধ্যপ্রদেশ , গুজরাট , আসামে ছাত্ররা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল । দ্বিতীয়ত , ছাত্ররা গান্ধির ডান্ডি অভিযান শুরুর দিনটি পালনের পাশাপাশি এই আন্দোলনপর্বে আইন অমান্য , স্কুল – কলেজ বয়কট , মিটিং ও পিকেটিং – এ অংশ নেয় । 

  1. ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ছাত্ররা কীভাবে অংশগ্রহণ করেছিল ? 

Ans: ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ছাত্রদের অংশগ্রহণ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে প্রথমত , এই আন্দোলনে ছাত্রসমাজ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছিল , কারণ কংগ্রেসের অনুসন্ধান এক কমিটির রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে , এই আন্দোলনে সারা দেশে সব বয়সের এবং সমস্ত শ্রেণির ছাত্ররা অংশগ্রহণ করেছিল । দ্বিতীয়ত , এক্ষেত্রে বিহার , উত্তরপ্রদেশ , বাংলা , উড়িষ্যা , মহারাষ্ট্র , দক্ষিণ ভারতের ত্রিবাঙ্কুর ও কোচিনের বিভিন্ন অংশে ছাত্র আন্দোলনের তীব্রতা লক্ষ করা যায় । তৃতীয়ত , ছাত্ররা এই আন্দোলনপর্বে খাজনা বন্ধ , রেললাইন উপড়ে ফেলা , এবং সেতু , পোস্ট অফিস ও রেল স্টেশন ধ্বংস করার কাজে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল । 

  1. ভাইকম সত্যাগ্রহ কী ? 

Ans: কেরালার ভাইকম নামক গ্রামের বড়ো মন্দিরটিতে তথাকথিত দলিত এজাভা ও পুলায়াদের প্রবেশাধিকার ছিল না । তাই দলিত নেতা শ্রীনারায়ণ গুরু ও কেরালা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি ( K.P.C.C ) – র কেশব মেননের নেতৃত্বে ভাইকম মন্দিরে এজাভা ও পুলায়াদের প্রবেশাধিকারের দাবিতে ‘ সত্যাগ্রহ ‘ শুরু হয় । যা ভাইকম সত্যাগ্রহ ( ১৯২৪ খ্রি . ) নামে পরিচিত । 

  1. জ বি আর আম্বেদকর বিখ্যাত কেন ? 

Ans: ড . বি আর আম্বেদকর বিখ্যাত , কারণ প্রথমত , মহারাষ্ট্রের ‘ মাহার ‘ নামক তথাকথিত অস্পৃশ্য বা দলিত পরিবারে জন্মগ্রহণকারী বি আর আম্বেদকর ১৯২০ – র দশকে মাহারদের অধিকার ( পৃথক প্রতিনিধিত্ব , জলাধার ব্যবহার ও মন্দিরে প্রবেশের অধিকার এবং বাধ্যতামূলক পরিশ্রম রদ ) প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু করেন । দ্বিতীয়ত , তিনি মাহারসহ অন্যান্য দলিতদের সামাজিক , অর্থনৈতিক দাবি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে উদ্যোগী হন ও অস্পৃশ্যতা সমর্থনকারী হিন্দুগ্রন্থ ‘ মনুস্মৃতি ‘ পুড়িয়ে দেন ( ১৯২৭ খ্রি . ) । তৃতীয়ত , দলিতদের অধিকার অর্জনের জন্য তিনি দলিত শ্রেণির প্রতিনিধিরূপে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেন । মহাত্মা গান্ধির সঙ্গে পুনা চুক্তি সম্পাদন করেন এবং ‘ সর্বভারতীয় তফশিলি জাতি ফেডারেশন ‘ প্রতিষ্ঠা করেন ( ১৯৪২ খ্রি . ) । 

  1. ‘ হরিজন সেবক সংঘ ‘ কী ? 

Ans: মহাত্মা গান্ধি ‘ সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা ’ প্রবর্তন ও পুনাচুক্তির পর তথাকথিত অস্পৃশ্য সম্প্রদায় বা ‘ হরিজনদের উন্নতির জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ‘ হরিজন সেবক সংঘ ‘ ( ৩০ সেপ্টেম্বর , ১৯৩২ খ্রি . ) । প্রথমত , এটি ছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং এর প্রধান কর্মস্থল ছিল দিল্লির কিংসওয়ে ক্যাম্প । দ্বিতীয়ত , অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ ও অস্পৃশ্য বা হরিজনদের আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ রাস্তাঘাট ও জলাধারের উন্নয়ন এবং মন্দিরে প্রবেশাধিকার প্রতিষ্ঠা করাই ছিল এর মূল উদ্দেশ্য । তৃতীয়ত , দেশজুড়ে বেশ কিছু বিদ্যালয় ও হস্টেল পরিচালনা করত এই সংঘ । 

  1. সেলফ রেসপেক্ট আন্দোলন কী ? অথবা , আত্মমর্যাদা আন্দোলন বলতে কী বোঝ ? 

Ans: ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেস নেতা ই ভি রামস্বামী নাইকার হিন্দুধর্ম ও ব্রাহ্মণ্যতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান এবং দলিত শ্রেণির জন্য সামাজিক সমতা ও সম – অধিকার দাবি করেন । তিনি মূলত তামিলনাড়ুতে গড়ে ওঠা এই আন্দোলনের নাম দেন ‘ আত্ম – মর্যাদা আন্দোলন ‘ বা ‘ সেলফ রেসপেক্ট আন্দোলন ‘ । এই আন্দোলন ক্রমশ উগ্ররূপ ধারণ করে ।

  1. ‘ সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা কী ? অথবা , সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি কাকে বলে ? 

Ans: সাইমন কমিশনের রিপোর্ট ও ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকের ভিত্তিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র‍্যামসে ম্যাক্‌ডোনাল্ড ‘ সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা ’ নীতি ঘোষণা করেন ( ১৬ আগস্ট , ১৯৩২ খ্রি . ) । এর দ্বারা ভারতের হিন্দুসমাজকে বর্ণহিন্দু ও অনুন্নত শ্রেণির হিন্দু— এই দুইভাগে ভাগ করা হয় । কয়েকটি ক্ষেত্রে অনুন্নত শ্রেণির জন্য পৃথক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয় । 

  1. ‘ পুনা চুক্তি ’ কী ? 

Ans: ‘ সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা ‘ নীতির বিরুদ্ধে মহাত্মা গান্ধি যারবেদা জেলে অনশন শুরু করলে গান্ধিজির জীবন সংকট দেখা দেয় । এই পরিস্থিতিতে দলিত সম্প্রদায়ের নেতা বি . আর . আম্বেদকর গান্ধিজির সঙ্গে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেন , যা ‘ পুনা চুক্তি ’ নামে পরিচিত । এই চুক্তি অনুসারে বর্ণহিন্দু ও অনুন্নত হিন্দুভুক্ত দলিতদের একসঙ্গে ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয় এবং আইনসভায় দলিতদের জন্য বেশ কয়েকটি আসন সংরক্ষণ করা হয় । 

  1. শ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর বিখ্যাত কেন ? 

Ans: শ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর বিখ্যাত , কারণ— প্রথমত , পূর্ব বাংলায় নমঃশূদ্র আন্দোলনের প্রধানতম সংগঠক ছিলেন হরিচাঁদ ঠাকুর । দ্বিতীয়ত , তিনি ব্রাহ্মণ জমিদার ও পুরোহিত শ্রেণির অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন এবং নমঃশূদ্রদের মধ্যে আত্মমর্যাদা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হন । তৃতীয়ত , মানবতাবাদী হরিচাঁদ তাঁর শিষ্যদের ‘ মতুয়া ’ নামে ডাকতেন এবং মতুয়াদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার , অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করা ও সংঘবদ্ধতার ওপর জোর দেন । 

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer : 

1. উনিশ – বিশ শতকের নারী জাগরণের পটভূমি আলোচনা করো । 

Ans: ঔপনিবেশিক ভারতে উনিশ শতকের সমাজ সংস্কার আন্দোলনে নারী সমাজের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয় ।। এইভাবেই নারীশিশু হত্যা বন্ধ হয় , সতীদাহ প্রথা রদ হয় এবং বিধবা পুনর্বিবাহ আইন সিদ্ধ হয় । তবে সরকারি আইনের পাশাপাশি ভারতীয় শাস্ত্রকেও বৈধতার রক্ষাকবচ হিসেবে রাখা হয় । কিন্তু নারী জাতি মর্যাদার জন্য সংস্কার কার্যক্রমে নারী জাতির নিজস্ব ভূমিকা ছিল না । 

নারী জাগরণের পটভূমি : উনিশ শতকে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তার , নারী শিক্ষার প্রসার ও নারীকল্যাণ সাধনের প্রচেষ্টা প্রাথমিকভাবে নারী জাগরণের পটভূমি তৈরি করেছিল । এই পটভূ মির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিক হল— 

নতুন নারীর আবির্ভাব : ঔপনিবেশিক পর্বের আগে হিন্দু বা মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মহিলারা সামাজিক অনুশাসনে আবদ্ধ ছিল । তবে নারী সমস্যাকে কেন্দ্র করে নারী শিক্ষার প্রশ্নটি যখন বড়ো হয়ে ওঠে তখন পুরুষদের পাশাপাশি কতিপয় শিক্ষিত নারীও সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন । এইসব শিক্ষিত নারীরা ‘ ভদ্রমহিলা ’ নামে পরিচিত হন । 

ভারতীয় পুরুষ সংস্কারক : রাধাকান্ত দেব , ডেভিড হেয়ারের স্কুল বুক সোসাইটি ; পরে কেশবচন্দ্র সেন ও ব্রাহ্ম সমাজ , পশ্চিম ভারতে মহাদেব গোবিন্দ রানাডে ও প্রার্থনা সমাজ , উত্তর ভারতে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী ও আর্যসমাজ নারী শিক্ষার প্রসার ও আধুনিকীকরণে সচেষ্ট হন । প্রকৃতপক্ষে ব্রাক্ম সমাজ ছিল উনিশ শতকের নারী প্রগতির ধারক ও বাহক । 

পূর্ণায়ত নারী উদ্যোগ : বিদেশি ও শিক্ষিত ভারতীয় যে সমস্ত নারীরা যাঁরা নারী প্রগতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছিলেন , তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মাদ্রাজের অ্যানি বেসান্ত ও তাঁর থিওসফিকাল সোসাইটি , পশ্চিম ভারতে পণ্ডিতা রমাবাই , মাদ্রাজে ভগিনী শুভলক্ষ্মী ও বাংলার বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন , কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় , চন্দ্রমুখী বসু । 

বঙ্কিমচন্দ্র ও অবনীন্দ্রনাথের উদ্যোগ : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর রচিত ‘ আনন্দমঠ ‘ উপন্যাসে দেশকে দেশমাতারূপে উপস্থাপন করেন । তিনি তাঁর অন্যান্য কয়েকটি উপন্যাসে নারীমহিমাকেও তুলে ধরেন । অন্যদিকে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক অঙ্কিত ‘ ভারতমাতা ’ ছবিতে ভারতমাতাকে দেবী ও মানবীরূপে চিহ্নিত করে নারী মহিমাকে তুলে ধরেন । 

রাজনৈতিক চেতনা : উনিশ শতকের শেষ ও বিশ শতকের শুরুতে নারীশিক্ষার হার ক্রমশই বাড়তে থাকে । কিছু ধনী পরিবার , ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠী নারীশিক্ষা উদ্যোগে শামিল হন । নারীরা শিক্ষিত হওয়ার ফলে তাঁদের রাজনৈতিক চেতনাও বাড়ে এবং স্বাধীনতা আন্দোলনেও তাঁরা অংশ নেন । 

পত্রপত্রিকার ভূমিকা : উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ‘ বামাবোধিনী পত্রিকা ‘ , নারীশিক্ষা ও নারীদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনা স্যারে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল । আবার বিংশ শতকে কৃষ্ণকুমার মিত্রের কন্যা কুমুদিনী মিত্রের ‘ সুপ্রভাত ‘ , মীরা দাশগুপ্তার সম্পাদিত ‘ বেণু ‘ পত্রিকা এবং সরলাদেবী চৌধুরানির ‘ ভারতী ‘ পত্রিকা নারী জাগরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল । 

উপসংহার : উপরোক্ত বিভিন্ন সহায়ক উপাদানের প্রভাবে ভারতের নারী সমাজে শিক্ষার প্রসার ও জাতীয়তাবাদের প্রসার ঘটেছিল । শেষপর্যন্ত বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনকালে নারীরা নিজস্ব পরিসরে অন্দরমহলের বাইরে সভাসমিতি , মিটিং – মিছিল এবং জাতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ।

2. স্বদেশি আন্দোলনে বাংলার নারীসমাজের কী ভূমিকা ছিল ? 

Ans: ভূমিকা : উনিশ শতকের শেষভাগ থেকেই সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজদের ভারতের মাটি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা সকলের মধ্যেই দানা বেঁধে ওঠে । সর্বভারতীয় স্তরে যেমন ছিলেন বালগঙ্গাধর তিলক , অরবিন্দ ঘোষ প্রমুখ তেমনি ভারতের রাজধানী হিসেবে বাংলার ভূমিকাও সেখানে কম ছিল না । পুরুষশাসিত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বাংলার নারীরাও এগিয়ে আসেন । 

সাহিত্যচর্চা : রবীন্দ্রনাথের ভাগনি সরলাদেবী চৌধুরানি , ১৮৯৭ থেকে ১৮৯৯ পর্যন্ত ‘ ভারতী ‘ পত্রিকা সম্পাদনা করে ছিলেন । ঠাকুরবাড়ির পরিশীলিত ও অভিজাত পরিবেশে তাঁর বাল্য ও কৈশোর অতিবাহিত হয় । ‘ ভারতী ‘ পত্রিকার মাধ্যমে তিনি বাংলার মেয়েদের মনে ইংরেজ বিরোধী প্রতিবাদী চেতনা সৃষ্টি করেন । এর ফলে বাংলার অন্দরমহলে জাতীয়তাবোধ ও সাহসিকতাও জন্ম নেয় । অনুরূপভাবে , স্বদেশি আন্দোলনের অন্যতম পুরোহিত কৃষ্ণকুমার মিত্রের কন্যা কুমুদিনী মিত্র তাঁর ‘ সুপ্রভাত ‘ পত্রিকার মাধ্যমে দেশপ্রেমের আদর্শ প্রচার করেন । মীরা দাশগুপ্তা ছিলেন ‘ বেণু ‘ পত্রিকার সম্পাদিকা , যিনি পরবর্তীকালে বিপ্লবী দলে যোগ দেন । 

অন্যান্য কর্মকাণ্ড : স্বদেশি আন্দোলনের সময়ে বাংলার মহিলারা রাখিবন্ধন উৎসব , অরন্ধন ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে যোগ দেন । সরলাদেবী সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি লাঠি খেলা , ছোরা খেলা প্রভৃতি নানারকম শরীরচর্চাতেও উৎসাহ দেন । বিদেশি পণ্য বর্জন করে স্বদেশি পণ্য বিক্রির প্রয়াসে তিনি ‘ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ‘ গড়ে তোলেন । এই ‘ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ’ পরে ‘ স্বদেশি স্টোর্স ‘ – এ পরিণত হয় । বাংলার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষাত্র , তেজ , বীরত্ব , সাহসিকতা ও দেশপ্রেম জাগ্রত করার জন্য তিনি ‘ বীরাষ্টমী ব্রত ’ ও ‘ প্রতাপাদিত্য উৎসব ’ – এর প্রচলন ঘটান । 

মূল্যায়ন : লক্ষণীয় যে , বাংলার অভিজাত থেকে সাধারণ ঘরের মহিলারা যেভাবে স্বদেশ ভাবনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন , সেভাবে কিন্তু তাঁরা জাতীয় মর্যাদা কখনোই পাননি । 

3. বাভা – বিরোধী আন্দোলনকালে সরলাদেবী চৌধুরানির ভূমিকা কী ছিল ? 

Ans: অসহাযোগ আন্দোলনে নারীসমাজের যোগদানের প্রকৃতিকে তুমি কীভাবে চিহ্নিত করবে ? ( উত্তর ) প্রথম অংশ – বিরোধী আন্দোলনে সরলাদেবী চৌধুরানি সরলাদেবী চৌধুরানি বঙ্গভঙ্গের আগে ও বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনের সময়ে নারীজাগরণ ও জাতিজাগরণের ক্ষেত্রে ছিলেন এক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব । তাঁর কৃতিত্বের বিভিন্ন দিকগুলি হল –  

প্রতাপাদিত্য উৎসব : বঙ্গভঙ্গ বাস্তবায়নের পর তিনি ১ বৈশাখ তারিখে ‘ প্রতাপাদিত্য উৎসব ’ – এর প্রচলন করেন । মোগল শাসন – বিরোধী বাঙালি বীর প্রতাপাদিত্যের জীবনী পাঠ , কুস্তি ও তলোয়ার , বক্সিং ও লাঠি চালনা ছিল এই উৎসবের অঙ্গ । 

জাতীয়তার আদর্শ প্রচার : বঙ্গভঙ্গের আগেই ‘ ভারতী ’ নামক পত্রিকায় তাঁর লেখনীর মাধ্যমে জাতীয়তার আদর্শ প্রচারের পাশাপাশি তিনি ইংরেজদের হাতে নিগৃহীত ভারতীয়দের তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ জানানোর ঘটনাও তুলে ধরেন । 

নারী সংগঠন প্রতিষ্ঠা : ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের এলাহাবাদ অধিবেশনকালে ( ১৯১০ খ্রি . ) তিনি একটি নিখিল ভারত মহিলা সম্মেলন আহ্বান করেন । এই সম্মেলনের উদ্যোগেই প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ ভারত – স্ত্রী – মহামণ্ডল ’ নামক নারী সংগঠন । দ্বিতীয় অংশ , অসহযোগ আন্দোলনে 

নারীসমাজ : অসহযোগ আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণের 

দিকগুলি হল বয়কট ও স্বদেশি : মহাত্মা গান্ধি প্রাথমিকভাবে নারীদের সীমিত কর্মসূচিতে অর্থাৎ বিদেশি দ্রব্য বয়কট ও স্বদেশি দ্রব্য গ্রহণের জন্য যোগ দিতে আহ্বান জানালে । তাঁর আহ্বানে ভারতের হাজার হাজার নারী যোগদান করে । দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরোজিনী নাইডু , কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় প্রমুখর নেতৃত্বে নারীরা পিকেটিং – এ অংশগ্রহণ করেন । 

বিক্ষোভ কর্মসূচি : ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর – এ ‘ প্রিন্স অব্ ওয়েলস ’ বা ইংল্যান্ডের যুবরাজ ভারত সফরে এলে বোম্বাই ও কলকাতা শহরে নারী বিক্ষোভের সৃষ্টি হয় । কংগ্রেস নেতা চিত্তরঞ্জন দাশের স্ত্রী বাসন্তী দেবী ও তাঁর বোন ঊর্মিলা দেবী প্রকাশ্য রাজপথে যুবরাজ বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলে তাঁদের জেলবন্দি করা হয় । 

গঠনমূলক কর্মসূচি শহরের বেশ কয়েকজন নেত্রী গ্রামে গিয়ে অসহযোগ আন্দোলনকে সফল করার জন্য প্রচার চালান । এ ছাড়া বিভিন্ন গঠনমূলক কর্মসূচি , যেমন – চরকায় সুতো কাটা ও কাপড় বোনার জন্য উৎসাহিত করা হয় । 

নারী সংগঠন অসহযোগ আন্দোলনের পুর্বেই সরোজিনী নাইডুর নেতৃত্বে ‘ ভারতীয় মহিলা সমিতি ‘ ( ১৯১৭ খ্রি . ) গড়ে উঠেছিল । অনুরূপভাবে অসহযোগ আন্দোলনকালে কলকাতায় ‘ কর্মমন্দির ‘ , বাসন্তী দেবীর প্রতিষ্ঠিত ‘ নারী ‘ ও ( ১৯২১ খ্রি . ) ‘ নারী – সত্যাগ্রহ সমিতির ‘ মাধ্যমে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের নারীরা সভাসমিতি , পিকেটিং – এ অংশগ্রহণ করে । 

মূল্যায়ন : অসহযোগ আন্দোলনের কয়েকটি সীমাবদ্ধতা ছিল , যেমন- প্রথমত , নারীর অংশগ্রহণ ছিল সীমিত । দ্বিতীয়ত , এই আন্দোলনে মুসলমান নারীদের যোগদান ছিল অত্যন্ত অল্প । তবে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের মধ্যে গঠনমূলক কাজের প্রসার ঘটে । 

4. অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে নারীর ভূমিকা কী ছিল ? 

Ans: ভূমিকা : ভারতের রাজনীতিতে গান্ধিজির আবির্ভাবের সমকালেই ভারতীয় নারীদের জাতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ দ্রুত বাড়তে থাকে । প্রকৃতপক্ষে বলা যায় অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে ( ১৯২০-২২ খ্রি . ) গান্ধিজির নেতৃত্বে নারীর রাজনৈতিক জাগরণ ঘটে । 

নারীর ভূমিকা : গান্ধিজি তাঁর আন্দোলনের সঙ্গে দেশের শিক্ষা , সমাজ ও অর্থনীতি বিষয়ে নিজের ভাবনাচিন্তাকেও যুক্ত করেছিলেন । ফলে জাতি – বর্ণ – ধর্ম – নির্বিশেষে দেশের সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মহিলারাও অহিংস অসহযোগ ও সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগ দিতে কোনো দ্বিধা করেননি , যেমন – 

মিটিং মিছিল : সারা দেশের নারী সমাজ , তাঁদের চিরাচরিত পর্দা প্রথাকে ত্যাগ করে দলে দলে মিটিং মিছিলে যোগ দেন । 

বিদেশি দ্রব্য বর্জন : তাঁরা দেশি দ্রব্য ও বিদেশি মদের দোকানেও অবরোধ তৈরি করেন । বিদেশি বস্তু বর্জনের আহ্বানে অনেক উচ্চবিত্ত মহিলারা যোগদান করেন । 

জাতীয় তহবিল : ভারতীয় নারীদের অনেকেই তাদের মূল্যবান অলংকার জাতীয় তহবিলে দান করেছেন । 8 সভাসমিতি গঠন : জাতীয় নেতা চিত্তরঞ্জন দাশের পত্নী বাসন্তী দেবী কলকাতায় ‘ নারী সত্যাগ্রহ সমিতি ‘ ও ‘ কর্মমন্দির ‘ প্রতিষ্ঠা করেন । 

বিক্ষোভ প্রদর্শন : চিত্তরঞ্জন দাশের স্ত্রী বাসন্তী দেবী এবং চিত্তরঞ্জনের বোন ঊর্মিলা দেবী প্রিন্স অব্ ওয়েলস – এর কলকাতায় আসার দিন রাস্তায় খাদি কাপড় বিক্রি করেন এবং বিদেশি দ্রব্য বর্জনের ধ্বনি তোলেন । এর ফলে তাঁরাই সম্ভবত প্রথম সরকারি আইন অমান্য করে কারাবরণ করেন । 

গঠনমূলক কর্মসূচি : আন্দোলনে নারীদের যোগদান শহরকেন্দ্রিক হলেও শহরের বেশ কয়েকজন নেত্রী গ্রামে গিয়ে গ্রামের নারীদের গঠনমূলক কর্মসূচি ( যেমন , চরকায় সুতা কাটা ও কাপড় বোনা ) -র বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করেন । 

নেতৃত্ব : সরোজিনী নাইডু , কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় , মতিলাল নেহরুর স্ত্রী স্বরূপ রানি , জওহরলাল নেহরুর স্ত্রী কমলা নেহরু , জওহরলালের দুই বোন বিজয়লক্ষ্মী ও কুয়া এবং নেহরু পরিবারের দুই নিকট আত্মীয়া রামেশ্বরী ও উমা নেহরু , অন্য মহিলাদের সঙ্গে সমানভাবেই সত্যাগ্রহ আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেন । 

মুসলিম নারীদের যোগদান : মুসলিম নারীদের মধ্যে আবিদা বানু বেগম এবং লখনউ অঞ্চলে আবদুল কাদির বিভিন্নভাবে অসহযোগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন । তবে মনে রাখতে হবে , বিভিন্ন আন্দোলনের শরিক পুরুষদের পরিবারেই এই প্রবণতা দেখা গিয়েছিল । 

5. জাতীয় আন্দোলনে সরোজিনী নাইডু বিখ্যাত কেন ? 

Ans: আইন অমান্য আন্দোলনের সময় নারী সমাজের ভূমিকাকে তুমি কীভাবে ব্যাখ্যা করবে ? 

প্রথম অংশ : জাতীয় আন্দোলনে সরোজিনী নাইডু : বিশ শতকে ভারতের জাতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নারীদের মধ্যে অগ্রগণ্য ছিলেন সরোজিনী নাইডু । তিনি বিভিন্ন কারণে বিখ্যাত , যেমন— 

মহিলা সমিতি গঠন : ১৯১৫-১৯১৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তিনি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল পরিভ্রমণ করেন এবং সামাজিক উন্নতি , নারীশক্তির উজ্জীবন ও জাতীয়তাবাদী আদর্শ সম্পর্কে বক্তৃতা দেন । ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘ ভারতীয় মহিলা সমিতি ‘ ( WIA ) প্রতিষ্ঠা করেন । 

জাতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ : তিনি বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় থেকেই জাতীয় আন্দোলনে যোগদান করেন । 

প্রথমত , অসহযোগ আন্দোলনকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন না করলেও ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে কানপুরে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হন । তিনি ছিলেন প্রথম ভারতীয় মহিলা সভাপতি । 

দ্বিতীয়ত , আইন অমান্য আন্দোলনকালে তিনি গান্ধিজির ডান্ডি অভিযানে অংশ নেন ও ধরসানা লবণগোলা অভিযান করেন । 

তৃতীয়ত , ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে তিনি জেলবন্দি হন । 

গভর্নররূপে : তিনি স্বাধীন ভারতে ১৯৪৭-১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত আগ্রার সংযুক্ত প্রদেশ ও অযোধ্যার গভর্নররূপে শাসনভার পরিচালনা করেন । দ্বিতীয় অংশ , আইন অমান্য 

আন্দোলনে নারীসমাজ : অসহযোগ আন্দোলনের আইন অমান্য আন্দোলনের সময় ( ১৯৩০-৩৪ খ্রি . ) তুলনামূলকভাবে নারীর যোগদান ছিল বেশি । গান্ধিজি লবণকে আইন অমান্যের বিষয়ে পরিণত করে নারীদের কাছে এই আন্দোলন আকর্ষণীয় করে তুলতে চেয়েছিলেন । 

সরোজিনী নাইডু যোগদান : আইন অমান্য আন্দোলনে নারীদের যোগদানের উল্লেখযোগ্য দিক হল 

লবণ আইন ভঙ্গ : ডান্ডিতে মহাত্মা গান্ধির লবণ আইন অমান্য কালে অনেক নারী যোগদান করেন ও লবণ আইন ভঙ্গ করেন এবং এরপর ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে হাজার হাজার নারী লবণ আইন ভঙ্গ শুরু করে দেয় । সরোজিনী নাইডুর নেতৃত্বে ‘ ধরসানা লবণ গোলা অভিযান ‘ সম্পন্ন হয় । 

 বিক্ষোভ কর্মসূচি : বিদেশি বস্ত্র ও মদের দোকানের সামনে পিকেটিং – এ সম্ভ্রান্ত পরিবারের নারীরাও অংশ নেয় । এর পাশাপাশি বোম্বাই , এলাহাবাদ , লাহোর , দিল্লি প্রভৃতি শহরে নারীরা প্রকাশ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেয় । 

কৃষক – নারীদের অংশগ্রহণ : আইন অমান্য আন্দোলনে মেদিনীপুরের ঘাটাল , কাঁথি , তমলুক প্রভৃতি স্থানের কৃষক নারীরা পুলিশের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে লবণ প্রস্তুত ও বিক্রয় করে । 

নারী সংগঠনের যোগদান : এই আন্দোলনে বোম্বাইয়ের ‘ দেশ সেবিকা সংঘ ’ , বাংলার ‘ মহিলা রাষ্ট্রীয় সংঘ ’ , কলকাতার ‘ ছাত্রী সংঘ প্রভৃতি বিভিন্ন নারী সংগঠন যোগ দিয়েছিল । 

মূল্যায়ন : আইন অমান্য আন্দোলনকালে ভারতের নারীসমাজের যোগদানের প্রকৃতি ভারতজুড়ে একইরকম ছিল না । ঐতিহাসিক শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছেন যে , অংশগ্রহণের দিক থেকে বোম্বাইয়ের আন্দোলন ছিল সবচাইতে সংগঠিত , বাংলার আন্দোলন ছিল উগ্র এবং মাদ্রাজের নারীদের অংশগ্রহণ ছিল সীমিত । 

6. আইন অমান্য আন্দোলন ও ভারতের নারীসমাজ সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধ লেখো । 

Ans: ভূমিকা : আইন অমান্য আন্দোলনের সময় সাধারণ মধ্যবিত্ত , এমনকি কৃষক পরিবারের মহিলারাও অংশগ্রহণ করেছিলেন । আর তাঁদের এই অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত । 

নারীদের যোগদান : আইন অমান্য আন্দোলনে নারীদের যোগদানের বিষয়টি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে ডান্ডি 

অভিযানে অংশগ্রহণ : গান্ধিজি নানা কারণে ডান্ডি অভিযানে নারীদের নিতে চাননি , কিন্তু নারীরা এই অভিযানে যোগ দেওয়ার জন্য যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য উত্থাপিত করলে , গান্ধি কয়েক জনকে ‘ ডান্ডি অভিযানের অন্তর্ভুক্ত করেন । 

জাতীয় আন্দোলন : ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৬ এপ্রিল লবণ আইন অমান্য করার অপরাধে গান্ধিজি গ্রেফতার হলে সারা দেশে যে হরতালের ডাক দেওয়া হয় , তাতে সমস্ত স্তরের নারীরা ও পুরষরা দলে দলে যোগ দেন । আইন অমান্য আন্দোলন এর ফলে জাতীয় চেহারা পায় । নারীদের লবণ সত্যাগ্রহ সাধারণ ঘরের কৃষক মহিলারা দেশি লবণ বিক্রি করে , কারাবরণ করেন । পর্দানশিন নারীরাও যে লবণ সত্যাগ্রহে অংশ নিয়েছিলেন কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের লেখা থেকে তা জানা যায় । 

লবণগোলা অভিযান : গান্ধিজির বিশেষ নির্দেশে সরোজিনী নাইডু ধরসানা লবণ গুদাম অবরোধ করতে গেলে রাস্তার মাঝখানে পুলিশ মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় । ওয়াডালা লবণগোলা অভিযানে কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়কেও একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় । বহু নারী স্বেচ্ছাসেবী সংঘও এই সময় আন্দোলনে যোগ দিয়ে অত্যাচার ও কারাযন্ত্রণা ভোগ করেন । 

দলিতদের অংশগ্রহণ : ‘ দলিত ‘ – দের পক্ষ থেকে চম্পুভাই , গোপিকা বাঙ্গ , শকুন্তলা ভালেরাও , ধূলিবেন সোলাংকি , সোনাল সোলাংকি প্রমুখ বহু নির্ভীক মহিলা কংগ্রেসের ডাকে আন্দোলনে যোগ দিয়ে কৃচ্ছ্রসাধন করেন । জওহরলাল নেহরু তাঁর Discovery of India এইসব মহিলাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন । 

বিক্ষোভ কর্মসূচি : বিদেশি বস্ত্র ও মদের দোকানের সামনে পিকেটিং – এ সম্ভ্রান্ত পরিবারের নারীরাও অংশ নেয় । এর পাশাপাশি বোম্বাই , এলাহাবাদ , লাহোর , দিল্লি প্রভৃতি শহরে নারীরা প্রকাশ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেয় । 

কৃষক – নারীদের অংশগ্রহণ : আইন অমান্য আন্দোলনে মেদিনীপুরের ঘাটাল , কাঁথি , তমলুক প্রভৃতি স্থানের কৃষক নারীরা পুলিশের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে লবণ প্রস্তুত ও বিক্রয় করে । 

নারী সংগঠনের যোগদান : এই আন্দোলনে বোম্বাইয়ের ‘ দেশ সেবিকা সংঘ ’ , বাংলার ‘ মহিলা রাষ্ট্রীয় সংঘ ‘ , কলকাতার ‘ ছাত্রী সংঘ ‘ প্রভৃতি বিভিন্ন নারী সংগঠন যোগ দিয়েছিল । 

মূল্যায়ন : আইন অমান্য আন্দোলনকালে ভারতের নারীসমাজের যোগদানের প্রকৃতি ভারতজুড়ে একইরকম ছিল না । ঐতিহাসিক শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছেন যে , অংশগ্রহণের দিক থেকে বোম্বাইয়ের আন্দোলন ছিল সবচাইতে সংগঠিত , বাংলার আন্দোলন ছিল উগ্র এবং মাদ্রাজের নারীদের অংশগ্রহণ ছিল সীমিত । 

7. ‘ ভারত ছাড়ো ‘ আন্দোলনে নারী উদ্যোগ বর্ণনা করো । 

Ans: প্রথম অংশ : ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নারী : জাতীয় আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে , অর্থাৎ ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট আন্দোলনে হাজার হাজার নারী পুরুষদের সঙ্গে প্রায় সমান তালে , পায়ে পা মিলিয়ে তাঁরা পুলিশের বুলেটের সামনে রুখে দাঁড়িয়েছেন ; আবার কারাযন্ত্রণাও ভোগ করেছেন । অনেক নারী আবার বাড়ির সযত্ন আশ্রয়ে রেখে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিরাপত্তা দিয়েছেন । 

নারীর যোগদান : ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নারীদের যোগদান আইন অমান্য আন্দোলনের মতো পরিকল্পিত ও কর্মসূচিভিত্তিক না হলেও নারীরা যেভাবে যোগদান করে তা হল – 

মধ্যবিত্ত নারীর যোগদান : এই আন্দোলনে স্কুল – কলেজের ছাত্রী – সহ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত নারীরা প্রকাশ্য ও গোপন দু’ধরনের আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল , যেমন — ঊষা মেহতা বোম্বাইয়ে গোপন রেডিয়ো কেন্দ্র গড়ে তুলে গান্ধির করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে ‘ আদর্শ সহ জাতীয় আদর্শ প্রচার করতেন । নারীদের সংগঠন নারীদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে অরুণা আসফ আলি ও সুচেতা কৃপালিনীর ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । অরুণা আসফ আলি গোপনে জাতীয় আন্দোলন গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন এবং ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ৯ আগস্ট বোম্বাই এর আগস্ট ক্রান্তি ময়দানে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করেন । 

ভগিনী সেনা : ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় বাংলার মেদিনীপুরে ‘ তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার ‘ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি গ্রামীণ মহিলারা ব্রিটিশ বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রাম চালানোর জন্য নারী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে । এইরূপ সংগঠন ‘ ভগিনী সেনা ‘ নামে পরিচিত । ভগিনী সেনার অনেক নারী জেলবন্দি হন ও ৮৪ জনেরও বেশি নারী ধর্ষিতা হন । 

দলিত নারীদের অংশগ্রহণ : দলিত নারীরাও ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দেন , দলিত শান্তাবাঈ ভালেরাও এবং তারাবাঈ কাম্বলে এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ । মহারাষ্ট্রের তারাবাঈ ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময়ে কয়েকজন পলাতক পুরুষ সংগ্রামীকে গোপনে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন বহুদিন । শান্তাবাঈ ভালেরাও গোপন খবর ও চিঠিপত্র সর্বদাই স্থান থেকে স্থানান্তরে পৌঁছে দিয়ে সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন । জীবনের শেষ পর্বে ডাকঘর ও পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অপরাধে তিনি কারাদণ্ড ভোগ করেছেন বোম্বাইয়ের আর্থার জেলে । 

রাজনৈতিক দল ও নারী : ভারত ছাড়ো আন্দোলনে বাংলা , বোম্বাই , আসাম , পাঞ্জাব , উত্তরপ্রদেশ , গুজরাট , কর্ণাটকে অংশগ্রহণকারী নারীদের অধিকাংশই কংগ্রেস দলের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত ছিল । তুলনামূলকভাবে কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টি এই সময় আন্দোলনের নেতৃত্বে এগিয়ে এসেছিল । তবে এই আন্দোলনে বামপন্থী মনোভাবাপন্ন ও কমিউনিস্ট দলের নারী সদস্যদের যোগদান ছিল সীমিত । দ্বিতীয় অংশ , মাতঙ্গিনী হাজরার ভূমিকা : ভারত ছাড়ো আন্দোলনকালে বাংলায় আত্মোৎসর্গের সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত রেখেছেন মেদিনীপুরের মাতঙ্গিনী হাজরা । 

প্রথমত , নিঃসন্তান ও বালবিধবা এই কৃষকরমণী বহুকাল কংগ্রেসি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বিবিধ প্রকার কর্মসূচিতে নিজেকে শামিল করেছিলেন । 

দ্বিতীয়ত , বহু সমাজ সেবামূলক কাজেও এই বীরাঙ্গনার উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল । 

তৃতীয়ত , ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ২৯ অক্টোবর মাতঙ্গিনী ৭২ বছর বয়সে একটি স্বেচ্ছাসেবী দলের নেতৃত্ব দিয়ে তমলুকের থানা অধিকার করতে যান । পুলিশের নির্বিচার গুলির সামনে দাঁড়িয়ে তিনি প্রাণবিসর্জন দেন কিন্তু শেষনিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত ভারতের জাতীয় পতাকা তাঁর হস্তচ্যুত হয়নি ।

9. জাতীয় আন্দোলনে নারীদের যোগদান আলোচনা করো । এই আন্দোলনে নারীদের অবদান কি স্বতঃস্ফূর্ত ছিল ? অথবা , গান্ধিজির ডাকে বিভিন্ন আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণের ইতিহাস নথিবদ্ধ করো ।

Ans: প্রথম অংশ : প্রথমদিকে পাশ্চাত্য শিক্ষিত নারীরা মূলত নারীমুক্তি আন্দোলনের শরিক হয়েছিল এবং বিভিন্নধর্মী রচনা প্রকাশ ও নারী সংগঠন স্থাপনের মাধ্যমে নারী শক্তিকে সংহত করতে সচেষ্ট হয়েছিল । এভাবে সংহত ও জাগরিত নারীশক্তি বিশ শতকে ভারতের জাতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে । 

জাতীয় আন্দোলনে নারী : বিশ শতকের জাতীয় আন্দোলনগুলিতে নারীদের যোগদান পর্যালোচনা করলে দেখা যায় বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলন : বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলনকালে নারীসমাজের অংশগ্রহণের ধরনগুলি হল ( ১ ) ঘরের অভ্যন্তরে থেকেই নারীরা এই আন্দোলনে যোগ দেয় ; ( ২ ) বিদেশি বস্ত্র বর্জন ও পোড়ানো , দেশি কাপড়ের প্রচলন , অরন্ধন দিবস পালন প্রভৃতি কর্মসূচিতে নারীরা যোগ দেয় ; ( ৩ ) বিপ্লবীদের আশ্রয়দান , গোপনে সংবাদ ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমেও নারীরা আন্দোলনে অংশ নেয় । অসহযোগ আন্দোলন : গান্ধিজি পরিচালিত জাতীয় আন্দোলনগুলিতে নারীসমাজের অংশগ্রহণ অনেক বৃদ্ধি পায় । 

১৯২০-১৯২১ খ্রিস্টাব্দে অসহযোগ আন্দোলনের সময় ( ১ ) গান্ধিজি প্রাথমিকভাবে মহিলাদের সীমিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার নির্দেশ দেন । এই কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিদেশি দ্রব্য বয়কট ও স্বদেশি দ্রব্য গ্রহণ । ( ২ ) ভারতীয় নারীরা এই সময় আরও সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে উদ্যোগী হয়ে ওঠেন । দেশের বহু প্রান্তে তারা পিকেটিং – এ অংশগ্রহণ করেন । ( ৩ ) ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে হাজার হাজার মহিলা প্রিপ অব্ ওয়েলস্ – এর ভারত ভ্রমণের বিরুদ্ধে বোম্বাই ও কলকাতা শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন । ( ৪ ) এই সময় মহিলা নেত্রীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে অসহযোগ আন্দোলনকে সফল করার জন্য প্রচার চালান । 

আইন অমান্য আন্দোলন : ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের আইন অমান্য আন্দোলনে মহিলারা অনেক বেশি মাত্রায় অংশগ্রহণ করেন । আন্দোলন শুরু হওয়ার পর গান্ধিজি একটি বিশেষ আহবানের মাধ্যমে ভারতীয় নারীসমাজকে আন্দোলনে যোগদান করার জন্য উৎসাহিত করেন ( ইয়ং ইন্ডিয়া , ১০ এপ্রিল ১৯৩০ খ্রি . ) । 

ফলে ( ১ ) দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজার নারী আন্দোলনের ডাকে সাড়া দেন । লবণ আইন ভাঙা থেকে শুরু করে বিলিতি কাপড় ও মদের দোকানের সামনে পিকেটিং – এই সমস্ত কর্মসূচিতে তারা সক্রিয়ভাবে যোগদান করেন । ( ২ ) বোম্বাই , এলাহাবাদ , লাহোর , দিল্লি প্রভৃতি শহরে মহিলারা প্রকাশ্যে বিক্ষোভ জানান । বিভিন্ন বিক্ষোভ সমাবেশে সম্ভ্রান্ত পরিবারের নারীরা বিপুল সংখ্যায় যোগদান করেন । তাদের এই স্বতঃস্ফূর্ত যোগদানে শুধুমাত্র ইংরেজ সরকারই নয় , রক্ষণশীল পুরুষ সমাজও স্তম্ভিত হয়ে যায় । ( ৩ ) এমনকি এই আন্দোলনে কৃষক পরিবারের নারীদের সক্রিয় যোগদানও উল্লেখ করার মতো । 

ভারত ছাড়ো আন্দোলন : ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারতছাড়ো আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জাতীয় সংগ্রামে নারীর ভূমিকা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে– ( ১ ) এই সময় স্কুল – কলেজের ছাত্রীরাও আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ; ( ২ ) নারীদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে অরুণা আসফ আলি ও সুচেতা কৃপালিনীর ভূমিকা বিশেষ উল্লেখযোগ্য ; ( ৩ ) অরুণা আসফ আলি গোপনে জাতীয় আন্দোলন গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন ; ( ৪ ) উষা মেহতা গোপনে কংগ্রেসের বেতার কেন্দ্র পরিচালনা করেন ; ( ৫ ) আবার এই আন্দোলনে অসীম বীরত্ব ও সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য মেদিনীপুরের মাতঙ্গিনী হাজরা ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে আছেন । অরুণা আসফ আলি 

বিপ্লবী আন্দোলন : সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে নারীরা যোগদান করেছিল । এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার , কল্পনা দত্ত , শান্তি ঘোষ , সুনীতি চৌধুরী , বীণা দাস প্রমুখ । দ্বিতীয় অংশ , ভারতের জাতীয় সংগ্রামে নারীদের অংশগ্রহণ পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে প্রথমত , প্রাথমিকভাবে নারীদের ভূমিকা ছিল পুরুষদের সহযোগীতা করা , কারণ তারা আন্দোলনের স্বতন্ত্র কোনো ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারেনি । দ্বিতীয়ত , আন্দোলনের কর্মসূচি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও নারীদের বিশেষ কোনো ভূমিকা ছিল না । তৃতীয়ত , জাতীয় কংগ্রেস আন্দোলনে নারীসমাজের যোগদানকে অনুমোদন করলেও আন্দোলন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের মতামত তেমন করে গ্রহণ করা হয়নি । চতুর্থত , সরলাদেবী চৌধুরানি হতাশ হয়ে লিখেছিলেন , কংগ্রেস নারীদের কেবল “ আইন লঙ্ঘনকারী হিসেবেই চেয়েছিলেন , আইন প্রণেতা হিসেবে নয় । 

10. ” নারী বিপ্লববাদে প্রীতিলতা ওয়ান্দেদার ও কল্পনা দত্তর ভূমিকা কী ছিল ?

Ans: প্রথম অংশ : ভূমিকা : বাংলা তথা ভারতবর্ষের প্রথম মহিলা শহিদ ছিলেন বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার । প্রীতিলতা চট্টগ্রাম খাস্তগীর স্কুলে তাঁর ছাত্রীজীবন শুরু করেন এবং এই সময়েই তাঁর মনে বিপ্লবী চেতনার উদ্ভব ঘটে । তাঁর শিক্ষিকাদের পাঠদান তাঁর চেতনাকে প্রভাবিত করেছিল তাঁর ভূমিকা হল নিম্নরূপ – 

দীপালি সংঘের সদস্যা : তিনি ঢাকার নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ ও দীপালি সংঘের প্রতিষ্ঠাতা লীলা নাগের সংস্পর্শে আসেন ও দীপালি সংঘের সদস্যা হন । ২ বৈপ্লবিক কাজকর্মের দায়িত্ব : তিনি চট্টগ্রামের সূর্যসেনের সঙ্গে পরিচিত হন এবং ‘ মাস্টারদা ‘ তাঁকে কলকাতায় বৈপ্লবিক কাজকর্ম পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেন । 

পাহাড়তলি ক্লাব আক্রমণ : প্রীতিলতা বিপ্লবী কার্যক্রমে ব্যর্থ হলে সূর্যসেন দ্বিতীয়বারের জন্য পাহাড়তলির ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণের রণকৌশল নির্ধারণ করে দেন । এই অভিযানে প্রীতিলতাই নেতৃত্ব দেন । প্রীতিলতার অভিযানে ( ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দ , সময় রাত ১০ টা ৪৫ মিনিট ) ছিলেন মোট ১৫ জন বিপ্লবী এবং তাঁদের আক্রমণে পাহাড়তলি ক্লাবে উপস্থিত ৪০ জন ইউরোপীয়র মধ্যে ১ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয় । 

আত্মত্যাগ : পুলিশের সাথে গুলি বিনিময়ে আহত প্রীতিলতা নিজের বন্দুক অপরের হাতে তুলে দিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন ও আত্মত্যাগের নজির স্থাপন করেন । 

দ্বিতীয় অংশ : বাংলার বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাসে একজন বিখ্যাত নারী ছিলেন কল্পনা দত্ত ( ১৯১২-১৯৯৫ খ্রি . ) । কল্পনা দত্তকে তাঁর বিপ্লবী চেতনার কারণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ অগ্নিকন্যা হিসেবে সম্ভাষিত করেন । 

পরিচিতি : তিনি ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দের ২৭ জুলাই চট্টগ্রামের অন্তর্গত শ্রীরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । কল্পনার বাবা বিনোদবিহারী সরকারি কর্মচারী হওয়ায় তাঁর পরিবারে স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণের কোনো অনুকূল পরিবেশ ছিল না । তাঁর পূর্বসুরী বিপ্লবীদের জীবনী , সমকালীন সাহিত্য তাঁকে বিপ্লবী মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করে । 

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড : কল্পনা দত্ত যেভাবে বিপ্লবী আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তা হল কাগজপত্র ও অস্ত্রসংরক্ষণ : বেথুন কলেজে পড়ার সময়ে বিপ্লবী পূর্ণেন্দু দস্তিদারের মাধ্যমে তাঁর সূর্যসেনের সঙ্গে যোগাযোগ হয় । প্রথমে তিনি দলের কাগজপত্র ও অস্ত্র গোপনে রাখার দায়িত্ব পান । 

ডিনামাইট ষড়যন্ত্র : কল্পনা দত্ত চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন ও জালালাবাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক গণেশ ঘোষ ও অনন্ত সিংহকে ইংরেজ জেল থেকে মুক্ত করার দায়িত্ব পান । তাঁকে মাটির তলায় রাখা ডিনামাইটের সঙ্গে বৈদ্যুতিক সংযোগের দায়িত্ব দেওয়া হলেও পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় কল্পনা ধরা পড়েন । 

মূল্যায়ন : ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে জেল থেকে মুক্তি লাভ করে কল্পনা দত্ত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন । এভাবে তিনি বৈপ্লবিক ও সাম্যবাদী আন্দোলনে হয়ে উঠেছিলেন অনন্য । 

11. সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা বিশ্লেষণ ( মাধ্যমিক , ২০১৭ ) করো । 

Ans: ভূমিকা : উনিশ শতকের শেষার্ধ ও বিশ শতকের প্রথমার্ধে বহির্ভারতে রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের ঘটনা ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে নারী শক্তির গুরুত্বকে বৃদ্ধি করে । রাজনীতিতে নারী – পুরুষের সমানাধিকারের তত্ত্বও ক্রমশই জনপ্রিয় ওঠে । 

প্রেক্ষাপট : বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পর থেকেই সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণের প্রেক্ষাপট রচিত হয় । স্বদেশি আন্দোলনের অন্যতম নেতা কৃষ্ণকুমার মিত্রের কন্যা কুমুদিনী মিত্র তাঁর ‘ সুপ্রভাত ‘ পত্রিকার মাধ্যমে দেশপ্রেমের আদর্শ প্রচার করে এবং এই পত্রিকা শহরের মধ্যবিত্ত নারীদের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে । এ ছাড়া মীরা দাশগুপ্তার সম্পাদিত ‘ বেণু ‘ পত্রিকাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল । 

বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা : গ্র বঙ্গভঙ্গ – বিরোধী আন্দোলন পর্ব : এই আন্দোলনের সময় বাংলার কয়েকজন নারী বিপ্লবীদের আশ্রয়দান , গোপনে সংবাদ প্রেরণ ও অস্ত্র সরবরাহের দায়িত্ব পালন করেন । এ প্রসঙ্গে ননীবালা দেবীর কথা বলা যায় । এ ছাড়া সরলাদেবী চৌধুরানির প্রতিষ্ঠিত ‘ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ‘ ও ‘ বীরাঙ্গনা ব্রত ‘ স্বদেশি চেতনার বিকাশে সাহায্য করেছিল । 

দীপালি সংঘ : বিপ্লবী লীলা রায় ( নাগ ) কর্তৃক ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত দীপালি সংঘের ( ১৯২০ খ্রিস্টাব্দ ) উদ্যোগে নারীদের লাঠিখেলা , শরীরচর্চা , অস্ত্র চালানো , অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় ও বৈপ্লবিক আন্দোলনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত । এই সংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন ছাত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার । 

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ( ১৯১১-৩২ খ্রি . ) চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের নায়ক মাস্টারদা সূর্য সেনের সহযোগী ছিলেন । তাঁর নেতৃত্বে একদল বিপ্লবী চট্টগ্রামের পাহাড়তলি ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করে ক্লাব বিপর্যস্ত করে । দেয় এবং পটাশিয়াম সায়ানাইড বিষপান করে আত্মহত্যা করেন । 

কল্পনা দত্ত : চট্টগ্রামের বিখ্যাত বিপ্লবী নারী কল্পনা দত্ত বিপ্লবী দলের গোপন কাগজপত্র ও অস্ত্রশস্ত্র লুকিয়ে রাখার দায়িত্ব পেয়েছিলেন । তা ছাড়া তিনি বন্দি বিপ্লবী নেতাদের মুক্ত করার জন্য ‘ ডিনামাইট ষড়যন্ত্র ‘ করেছিলেন । তিনি জেলবন্দি হন ও ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে জেল থেকে ছাড়া পান । ৫ শান্তি ও সুনীতি : কুমিল্লার দুইজন ছাত্রী শাস্তি ঘোষ ও সুনীতি চৌধুরী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সি . জি . ভি . স্টিভেনকে গুলি করে হত্যা করেন । আবার উজ্জ্বলা মজুমদার দার্জিলিং – এ গভর্নর অ্যান্ডারসনকে হত্যার চেষ্টা করলে ধরা পড়েন ও জেলবন্দি হন । 

বীণা দাস : আধা বৈপ্লবিক সংগঠন ‘ ছাত্রী সংঘ ’ – এর সদস্য তথা কলেজ ছাত্রী বীণা দাস কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সময় সেনেট হলে গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসনকে হত্যার জন্য গুলি করেন ( ৬ ফেব্রুয়ারি , ১৯৩২ খ্রি . ) । জ্যাকসন অল্পের জন্য বেঁচে যান এবং জ্যাকসনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে বীণা দাসের নয় বছর কারাদণ্ড হয় । 

লক্ষ্মী সায়গল : আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী বাহিনী ঝাঁসি ব্রিগেডের দায়িত্বপ্রাপ্ত লক্ষ্মী স্বামীনাথন বা লক্ষ্মী সায়গলের বৈপ্লবিক কাজকর্মও খুব উল্লেখযোগ্য ছিল । 

লক্ষ্মী সায়গল পর্যালোচনা : সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের যোগদান ছিল সীমিত । বৈপ্লবিক প্রচেষ্টায় পুরুষ বিপ্লবীদের তুলনায় নারী বিপ্লবীদের দায়িত্ব কম দেওয়া হত । তাছাড়া এই রূপ সশস্ত্র আন্দোলন মূলত বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ ছিল ।

মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Madhyamik Class 10th History Question and Answer / Suggestion / Notes Book

আরোও দেখুন :-

মাধ্যমিক ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here

Madhyamik Suggestion 2025 | মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৫

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Bengali Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik English Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Geography Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik History Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Life Science Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Mathematics Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Physical Science Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik All Subjects Suggestion 2025 Click here

Info : বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর

 Madhyamik History Suggestion  | West Bengal WBBSE Class Ten X (Class 10th) History Qustion and Answer Suggestion   

” বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর  “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা (West Bengal Class Ten X  / WB Class 10  / WBBSE / Class 10  Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 10 Exam / Class 10 Class 10th / WB Class 10 / Class 10 Pariksha  ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন / মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ও উত্তর । Madhyamik History Suggestion / Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer / Class 10 History Suggestion / Class 10 Pariksha History Suggestion  / History Class 10 Exam Guide  / MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer  / Madhyamik History Suggestion  FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Madhyamik History Suggestion / West Bengal Ten X Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 10th History Suggestion  / Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer  / Class 10 History Suggestion  / Class 10 Pariksha Suggestion  / Madhyamik History Exam Guide  / Madhyamik History Suggestion 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035 / Madhyamik History Suggestion  MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer. / Madhyamik History Suggestion  FREE PDF Download) সফল হবে।

FILE INFO : বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer with FREE PDF Download Link

PDF File Name বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer PDF
Prepared by Experienced Teachers
Price FREE
Download Link 1 Click Here To Download
Download Link 2 Click Here To Download

বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) অধ্যায় থেকে আরোও প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :

Update

[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now]

বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর  

বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer Suggestion  মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর।

বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | মাধ্যমিক ইতিহাস 

বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer Suggestion  মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর।

বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস 

বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer Suggestion  মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর – দশম শ্রেণি ইতিহাস | Madhyamik Class 10 History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan 

দশম শ্রেণি ইতিহাস (Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan) – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) | Madhyamik  History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Suggestion  দশম শ্রেণি ইতিহাস  – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর।

মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  | দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer Question and Answer, Suggestion 

মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) | পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) | মাধ্যমিক ইতিহাস সহায়ক – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer, Suggestion | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer Suggestion  | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer Notes  | West Bengal Madhyamik Class 10th History Question and Answer Suggestion. 

মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর   – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10 History Question and Answer, Suggestion 

মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  | বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) । Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer Suggestion.

WBBSE Class 10th History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Suggestion  | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর   – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) 

WBBSE Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Suggestion মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  । বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Suggestion  মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।

Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer Suggestions  | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর 

Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer  মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর  । 

WB Class 10 History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Suggestion  | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর   – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর 

Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer Suggestion  মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 10  History Suggestion  Download WBBSE Class 10th History short question suggestion  . Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Suggestion   download Class 10th Question Paper  History. WB Class 10  History suggestion and important question and answer. Class 10 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer Question and Answer by Bhugol Shiksha .com

Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10  History Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class Ten X History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Suggestion | West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Exam 

Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Ten X History Suggestion  is provided here. Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below. 

বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer 

        অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন (সপ্তম অধ্যায়) মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Bis Sataker Bharote Nari Chatro Andalan Question and Answer  ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে  তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।