
ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer
ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer : ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই West Bengal WBCHSE Class 11th Geography Bharater Jolobayu Question and Answer, Suggestion, Notes | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 11th Eleven XI Geography Examination – পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। একাদশ শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা তে এই সাজেশন বা কোশ্চেন (ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer) গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।
তোমরা যারা ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো।
রাজ্য (State) | পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) |
বোর্ড (Board) | WBCHSE, West Bengal |
শ্রেণী (Class) | একাদশ শ্রেণী (WB Class 11th) |
বিষয় (Subject) | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল (Class 11 Geography) |
ভারতের ভূগোল (Indian Geography) | ভারতের জলবায়ু (Bharater Jolobayu) |
[একাদশ শ্রেণীর সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নউত্তর Click Here]
ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal WBCHSE Class 11th Geography Bharater Jolobayu Question and Answer
সংক্ষিপ্ত | ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 11 Geography Bharater Jolobayu SAQ Question and Answer:
- জেট বায় কী?
Ans: ভূপৃষ্ঠ থেকে গড়ে 10-12 কিমি উচ্চতা দিয়ে এঁকেবেঁকে সর্পিল পথে প্রবাহিত অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন একপ্রকার অতি শীতল বায়ুপ্রবাহের নাম জেট বায়ু। গতিবেগ: এর গতিবেগ ঘণ্টায় বায়ুপ্রবাহের ন সর্বনিম্ন 90 কিমি থেকে সর্বোচ্চ প্রায় 500 কিমি। শ্রেণিবিভাগ: অবস্থান অনুসারে জেট বায়ুকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়- (i) মেরুদেশীয় জেট বায়ু, (ii) উপক্রান্তীয় জেট বায়ু এবং (iii) ক্রান্তীয় জেট বায়ু।
- লু বলতে কী বোঝ?
Ans: গ্রীষ্মকালে উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। সেই সময় ওই রাজ্যগুলির ওপর দিয়ে ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে পশ্চিম দিক থেকে যে উষ্ণ ও শুষ্ক বায়ু প্রবাহিত হয়, স্থানীয় ভাষায় তাকে লু বলে।
বৈশিষ্ট্য: (i) অত্যন্ত উষ্ণ (40°-50° সে) এই বায়ুর গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় 30-35 কিমি। (ii) দুপুর ও অপরাহ্নের দিকে এই বায়ুপ্রবাহের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।
- আঁধি কাকে বলে?
Ans: গ্রীষ্মকালে রাজস্থানের মরুভূমি অঞ্চল-সহ উত্তর-পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন অংশে যে প্রবল ধূলিঝড় হয়, তাকে আঁধি বলে। বৈশিষ্ট্য: (i) এই ঝড়ের প্রভাবে প্রবল ধুলো বাতাসে ওড়ে। (ii) এই ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় 50-60 কিমি।
- হিমালয় পর্বত ভারতের জলবায়ুকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে?
Ans: হিমালয় পর্বত পূর্ব-পশ্চিমে প্রসারিত বলে ভারতের জলবায়ুকে বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, যেমন- (i) বৃষ্টিপাতের ওপর প্রভাব: দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু হিমালয়ের দক্ষিণে বাধা পেয়ে সমগ্র উত্তর ভারতে বৃষ্টিপাত ঘটায় এবং (ii) বায়ুপ্রবাহে বাধা: মধ্য এশিয়ার তীব্র শীতল বায়ু হিমালয় পর্বতে প্রতিহত হয় বলে ভারতে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে ভারতীয় ভূখণ্ড তীব্র শীতের হাত থেকে রক্ষা পায়।
- ভারতীয় জলবায়ুর ওপর ENSO-র দুটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব লেখো।
Ans: ভারতীয় জলবায়ুর ওপর ENSO গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। যথা –
বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস: ওয়াকার চক্রের নিষ্ক্রিয় পর্যায়ে দক্ষিণি দোলনের ফলে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে নিম্নচাপ ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে উচ্চচাপ বিরাজ করে। এই বছরগুলিতে মৌসুমি ট্রাফটিও যথেষ্ট দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ভারতে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসে। স্বাভাবিকের তুলনায় এই বছরগুলিতে 65 শতাংশেরও কম বৃষ্টিপাত ঘটে।
খরা পরিস্থিতি সৃষ্টি: মৌসুমি ট্রাফ দুর্বল হয়ে যাওয়ার এই বছরগুলিতে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক অপেক্ষা অনেক কমে যাওয়ায় ভারতে খরা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সবচেয়ে বেশি খরার কবলে পড়ে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, রাজস্থান, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড ও বিহার। 1871 সালের পর বর্তমান সময়ে ঘটে যাওয়া 6টি বড়ো মাপের খরা এল নিনো বছরেই দেখতে পাওয়া যায়।
- বিশ্ব উষ্ণায়ন বা Global warming কী?
Ans: বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোঅক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লুরো কার্বন, নাইট্রাস অক্সাইড প্রভৃতি গ্রিন হাউস গ্যাসগুলির মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধির ফলে বিগত 100 বছরে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা প্রায় 0.5°সে-0.7° সে. বেড়েছে। অবস্থা যেভাবে এগোচ্ছে তাতে আগামী দিনে উষ্ণতা বৃদ্ধির হার আরও বাড়বে। গ্রিন হাউস গ্যাস দ্বারা দীর্ঘ তরঙ্গ হিসেবে পার্থিব রশ্মি বিকিরিত হতে না পারায় বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরের এই মাত্রাতিরিক্ত উষ্ণতা বৃদ্ধির ঘটনাকেই ‘বিশ্ব উষ্ণায়ন’ বলা হয়।
- মৌসুমি বায়ু কাকে বলে?
Ans: পৃথিবীতে যত ধরনের সাময়িক বায়ু প্রবাহিত হয় তাদের মধ্যে মৌসুমি বায়ু সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে। মৌসুমি কথাটির উৎপত্তি আরবি শব্দ মৌসিম থেকে, যার অর্থ ঋতু। সুতরাং, ঋতু অনুসারে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, তাকেই বলে মৌসুমি বায়ু।
শ্রেণিবিভাগ: ভারতে দুটি বিপরীতধর্মী মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়- (i) গ্রীষ্মকালে আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এবং (ii) শীতকালে শুষ্ক উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়।
- ‘আশ্বিনের ঝড়’ কাকে বলে?
Ans: শরৎকালে অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বর মাসে যখন দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ভারত থেকে প্রত্যাগমন করে, তখন বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন ভারত মহাসাগরের ওপর শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়, যা উত্তরমুখী হয়ে বঙ্গোপসাগরীয় উপকূলের রাজ্যগুলির ওপর প্রবল ঝড়-বৃষ্টি-সহ আছড়ে পড়ে। একে বলে সাইক্লোন। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে প্রধানত আশ্বিন মাসে এই সাইক্লোন তথা ঘূর্ণিঝড়ের আবির্ভাব ঘটে, তাই এখানে এটি আশ্বিনের ঝড় নামে পরিচিত।
- খরা কাকে বলে?
Ans: স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টি হলে বা অনেকদিন ধরে বৃষ্টি না হলে যে অস্বাভাবিক শুষ্ক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাকে খরা বলে। বৃষ্টিপাত যদি স্বাভাবিক হারের চেয়ে 25% কম হয়, তাকে মৃদু খরা, 50% কম হলে মাঝারি খরা এবং 75% কম হলে, তাকে তীব্র খরা বলে। প্রভাব: খরার ফলে তীব্র জলাভাব দেখা দেয়। এর ফলে কৃষি, সেচ ও পানীয় জলের প্রাপ্যতার ওপর ভীষণভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
- মৌসুমি বিস্ফোরণের সংজ্ঞা দাও।
Ans: গ্রীষ্মকালের শেষের দিকে, বিশেষত মে মাসে উত্তর-পশ্চিম ভারতে (রাজস্থানের মরুভূমি ও সংলগ্ন অঞ্চলে) এক গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এই নিম্নচাপের আকর্ষণে সুদূর ভারত মহাসাগরের উচ্চচাপ এলাকা থেকে আর্দ্র বায়ু আরব সাগরীয় ও বঙ্গোপসাগরীয় শাখায় বিভক্ত হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ভারতে প্রবেশ করে। এই বায়ু দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু নামে পরিচিত। গ্রীষ্মের অসহ্য গরমের মধ্যে আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আকস্মিকভাবেই ভারতে প্রবেশ করে। আকাশ মেঘে ঢাকা পড়ে। শুরু হয় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টিপাত। এইভাবে ভারতে বর্ষাকালের সূচনা হয় বলে একে মৌসুমি বিস্ফোরণ (burst of monsoon) বলে।
রচনাধর্মী | ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer:
1. ভারতের জনজীবনে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব আলোচনা করো।
Ans: ভারতের জনজীবনে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব: ভারতের জনজীবনে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব বা গুরুত্ব অপরিসীম –
[1] ফসল উৎপাদন: ভারতের অধিকাংশ অধিবাসী কৃষিজীবী। দেশের অধিকাংশ কৃষিকাজ মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীল। যেমন-ধান, আখ, তুলো, চা, পাট প্রভৃতির উৎপাদন।
[2] কৃষিভিত্তিক শিল্পের উন্নতি: মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে পরোক্ষভাবে বিভিন্ন প্রকার কৃষিভিত্তিক শিল্পেরও উন্নতি হয়েছে। যেমন-কার্পাস বয়ন শিল্প, পাট শিল্প, চিনি শিল্প প্রভৃতি।
[3] জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন: দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সংঘটিত বৃষ্টিপাতের ওপর জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন অনেকাংশে নির্ভরশীল। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ভালো হলে জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন যেমন বাড়ে, তেমনই বৃষ্টিপাত কম হলে জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন হ্রাস পায়।
[4] সেচ ব্যবস্থার উন্নতি: কৃষিক্ষেত্রে জলসেচ করার সাফল্যও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সংঘটিত বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীল। বৃষ্টিপাত বেশি হলে প্লাবন খালগুলি থেকে দীর্ঘদিন জলসেচ করা সম্ভব। আবার, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে নিত্যবহ খালগুলি থেকে বিস্তীর্ণ অঞ্চলব্যাপী জলসেচ করা সম্ভব হয়।
[5] অরণ্য সৃষ্টি: মৌসুমি বৃষ্টিপাতের জন্যই পশ্চিমঘাট পার্বত্য অঞ্চল ও পূর্ব হিমালয় অঞ্চলে [5] অর্থনৈতিক দিক থেকে মূল্যবান চিরসবুজ অরণ্য এবং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের পাতাঝরা অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে।
2. ভারতকে বৈচিত্র্যময় জলবায়ুর দেশ বলে কেন?
Ans: ভারতকে বৈচিত্র্যময় জলবায়ুর দেশ বলার কারণ: ভারত মৌসুমি জলবায়ুর দেশ হলেও আয়তনে সুবিশাল বলে দেশের বিভিন্ন অংশে জলবায়ুর বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়, যেমন-
[1] উষ্ণতার বৈচিত্র্য: ভারতের সর্বত্র উষ্ণতা এক রকম নয়। দেশের উপকূলভাগে মাঝারি ও সমভাবাপন্ন উষ্ণতা বিরাজ করলেও মধ্য ও উত্তর ভারতে শীত ও গ্রীষ্মের মধ্যে উষ্ণতার পার্থক্য খুবই বেশি অর্থাৎ চরমভাবাপন্ন জলবায়ু বিরাজ করে। আবার, গ্রীষ্মকালে যেমন রাজস্থানের থর মরুভূমিতে উষ্ণতা বেড়ে 50 °সে হয়ে যায়, তেমন লাডাকে শীতকালে তাপমাত্রা কমে গিয়ে – 45° সে. পর্যন্ত হয়। স্থানভেদে উষ্ণতার বিরাট পার্থক্য বৈচিত্র্যময় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য।
[2] উষ্ণতার প্রসরে বৈচিত্র্য: যেখানে দক্ষিণ ভারতে বার্ষিক উষ্ণতার প্রসর 4°-6° সে. সেখানে উত্তর ভারতে উষ্ণতার প্রসর প্রায় 20° – 25°সে।
[3] বৃষ্টিপাতের বৈচিত্র্য: মেঘালয় মালভূমির দক্ষিণ ঢালে যেমন অতিবর্ষণে পৃথিবীর সর্বাধিক বর্ষণসিক্ত অঞ্চল তৈরি হয়েছে, তেমন ভারতের উত্তর-পশ্চিমে রাজস্থানের পশ্চিমভাগে বৃষ্টিপাতের স্বল্পতার জন্য মরুভূমি সৃষ্টি হয়েছে।
[4] বায়ুপ্রবাহে বৈচিত্র্য: ভারতে সাধারণভাবে শীতকালে উত্তর-পূর্ব এবং বর্ষাকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হলেও ভারতের বিভিন্ন অংশে অনেক স্থানীয় এবং আকস্মিক বায়ুও প্রবাহিত হয়। যেমন-গ্রীষ্মে লু, আঁধি, আম্রবৃষ্টি, কালবৈশাখী, শরতে আশ্বিনের ঝড়, শীতে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ভারতের জলবায়ুকে বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে।
[5] ঋতুবৈচিত্র্য: শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শরৎ-এই চারটি ঋতু চক্রাকারে আবর্তিত হয়ে ভারতের জলবায়ুকে বৈচিত্র্যময় করেছে।
3. ভারতের জলবায়ুকে মৌসুমি জলবায়ু বলে কেন?
অথবা, ভারতকে মৌসুমি জলবায়ুর দেশ বলা হয় কেন?
Ans: ভারতের জলবায়ুকে মৌসুমি জলবায়ু বলার কারণ: মৌসুমি শব্দটির উৎপত্তি আরবি শব্দ মৌসিম থেকে, যার অর্থ ঋতু। তাই ঋতু অনুসারে প্রবাহিত বায়ুকে বলে মৌসুমি বায়ু। ভারতকে মৌসুমি জলবায়ুর দেশ বলা হয়, কারণ –
[1] আর্দ্র গ্রীষ্মকাল ও শুষ্ক শীতকাল: গ্রীষ্মকালে আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এবং শীতকালে শীতল ও শুষ্ক উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হওয়ার ফলে ভারতের জলবায়ুতে বিপরীতধর্মী দুটি প্রধান ঋতুর সৃষ্টি হয়-একটি আর্দ্র গ্রীষ্মকাল এবং অপরটি শুষ্ক শীতকাল।
[2] ঋতুপরিবর্তন: আর্দ্র গ্রীষ্মকাল ও শুষ্ক শীতকাল এই দুটি মৌসুমি বায়ুর চক্রাকারে পরিবর্তনই ভারতের জলবায়ুতে ঋতুচক্র সৃষ্টি করে, যেমন-(i) দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন-পূর্ব সময়কাল বা গ্রীষ্মকাল, (ii) দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমনকাল বা বর্ষাকাল, (iii) দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাগমনকাল বা শরৎকাল এবং (iv) উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর আগমনকাল বা শীতকাল।
[5] বৃষ্টিপাত: ভারতের বার্ষিক 67-75 শতাংশ বৃষ্টিপাত মৌসুমি বায়ুর প্রভাবের ফলেই সংঘটিত হয়। এইভাবে ভারতের জলবায়ুতে মৌসুমি জলবায়ুর অধিক প্রভাব থাকায় ভারতকে মৌসুমি জলবায়ুর দেশ বলে।
4. ভারতে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।
Ans: ভারতের মৌসুমি বৃষ্টিপাতের বৈশিষ্ট্যসমূহ: ভারতের মৌসুমি বৃষ্টিপাতের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
[1] অসম বণ্টন: ভারতের সর্বত্র বৃষ্টিপাত সমান নয়। পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশভূমি, পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢাল ও পশ্চিম উপকূলভূমি, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবল (বার্ষিক 200 সেমির বেশি) বৃষ্টিপাত হলেও রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব প্রভৃতি রাজ্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুবই কম (বার্ষিক 100 সেমি বা তারও কম)।
[2] ঋতুভিত্তিক বণ্টন: ভারতে সারাবছরই সমানভাবে বৃষ্টিপাত হয় না। বার্ষিক মোট বৃষ্টিপাতের প্রায় 75% বর্ষাকালে, 12% গ্রীষ্মকালে, প্রায় 9% শরৎকালে এবং 4% শীতকালে হয়ে থাকে।
[3] অনিশ্চয়তা: মৌসুমি বৃষ্টিপাত সারাবছর সমানভাবে হয় না এবং প্রতিবছর বৃষ্টিপাতের পরিমাণও সমান থাকে না। কখনও অতিবৃষ্টিতে বন্যা আবার কখনও কম বৃষ্টিতে খরা ভারতের বৃষ্টিপাতের বৈশিষ্ট্য।
[4] সাময়িক বিরতি: ভারতে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে একটানা বৃষ্টিপাত হলেও বায়ুচাপ বলয়ের স্থান পরিবর্তন ঘটলে বৃষ্টিপাতের সাময়িক বিরতি ঘটে।
5. বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলতে কী বোঝ? ভারতের কোথায় বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে?
Ans: বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল: পর্বতের যে ঢালে আর্দ্র বায়ু বাধাপ্রাপ্ত হয় সেই ঢালে অর্থাৎ প্রতিবাত ঢালে বৃষ্টিপাত বেশি হয়। কিন্তু পর্বত অতিক্রম করে ওই বায়ু যখন বিপরীত ঢালে বা অনুবাত ঢালে পৌঁছোয়, তখন সেই বায়ুর মধ্যেকার জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যায়। এ ছাড়া, পর্বত অতিক্রম করে ওই বায়ু পর্বতের ঢাল বেয়ে নীচে নামে বলে তার উষ্ণতা ও জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা উভয়ই বৃদ্ধি পায়। এর ফলে অনুবাত ঢালে বৃষ্টিপাত বেশ কম হয়। এই অল্প বৃষ্টিপাতযুক্ত বা প্রায় বৃষ্টিহীন এলাকাকে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলে।
ভারতের বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল: দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আরব সাগরীয় শাখা পশ্চিম-ঘাটের পশ্চিমঢালে এসে প্রচুর শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায়। কিন্তু পশ্চিম-ঘাটের পূর্বঢালে অবস্থিত অঞ্চলসমূহে অর্থাৎ দাক্ষিণাত্যের অভ্যন্তরভাগে বৃষ্টিপাত খুব কম হওয়ায় ওই অঞ্চল বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল নামে পরিচিত।
একইভাবে, মেঘালয়ের খাসি পাহাড়ের দক্ষিণঢালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখা প্রতিহত হয় বলে চেরাপুঞ্জি এবং এর নিকটবর্তী মৌসিনরামে প্রচুর বৃষ্টিপাত (1187 সেমি) হয়। কিন্তু ‘ওই পাহাড়ের বিপরীত ঢালে বা উত্তরঢালে অবস্থিত শিলং-এ বৃষ্টিপাত (217 সেমি) খুবই কম হয়, অর্থাৎ এটি একটি বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল।
6. করমণ্ডল উপকূল তথা তামিলনাড়ুতে বছরে দু-বার বৃষ্টিপাত হয় কেন?
Ans: করমণ্ডল উপকূলে তথা তামিলনাডুতে বছরে দু-বার বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণ: করমণ্ডল উপকূল তথা তামিলনাড়ুর বিস্তীর্ণ অংশে বছরে দু-বার বৃষ্টিপাত হয়, কারণ –
[1] দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাব: প্রথমবার, জুন-সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বর্ষাকালে তামিলনাড়ু উপকূলে বৃষ্টিপাত হয়।
[2] প্রত্যবর্তনকারী মৌসুমি বায়ুর প্রভাব: দ্বিতীয়বার, প্রত্যাবর্তনকারী মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে শীতকালে তামিলনাড়ুর করমণ্ডল উপকূলে বৃষ্টিপাত হয়। কারণ, প্রত্যাবর্তনকারী মৌসুমি বায়ু যখন বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে ফিরে যায় তখন প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প শোষণ করে ও করমণ্ডল উপকূলে বৃষ্টিপাত ঘটায়। যেমন- তামিলনাড়ুর থাঞ্জাভুর ও সংলগ্ন জেলায় জুন-সেপ্টেম্বর মাসে 60 সেমি বৃষ্টিপাত হলেও অক্টোবর-নভেম্বরে প্রায় 140 সেমি বৃষ্টি হয়।
7. ভারতের কোথায় কোথায় অধিক বৃষ্টিপাত হয় এবং কেন?
Ans: ভারতের অধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চল: ভারতে প্রধানত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের জন্য বৃষ্টিপাত হয়। এই বৃষ্টিপাত দেশের সর্বত্র সমানভাবে বণ্টিত নয়। বৃষ্টিপাতের বার্ষিক বণ্টন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দেশের দুটি অঞ্চলে বেশি বৃষ্টিপাত হয়, যথা – [1] পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢাল ও পশ্চিম উপকূল এবং [2] পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারত।
[1] পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিমঢাল (প্রতিবাত ঢাল) ও পশ্চিম উপকূল: আরব সাগরের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর যে শাখা ভারতে প্রবেশ করে তা পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিমঢালে প্রথম সরাসরি বাধা পায়। ফলে পশ্চিমঘাটের পশ্চিমঢাল ও পশ্চিম উপকূলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
[2] পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারত: সমগ্র অঞ্চলটি পূর্বাচল ও পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখা পূর্বাচল ও পূর্ব হিমালয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায় (অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশ এই অঞ্চলের অন্তর্গত)।
8. ভারতে বন্যার কারণগুলি আলোচনা করো।
Ans: ভারতে বন্যার কারণসমূহ: ভারতে বন্যা হয় বিভিন্ন কারণে, যেমন-
[1] খামখেয়ালি দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর অনিশ্চিত আচরণ: (i) কখনও একটানা কয়েক ঘণ্টা মুশলধারে বৃষ্টি হলে বন্যা হয়। (ii) দীর্ঘক্ষণ ধরে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হলেও বন্যা হয়। (iii) যদি নির্দিষ্ট সময়ের আগে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন ঘটে এবং তার প্রত্যাগমনেও বিলম্ব হয়, তাহলে বর্ষাকাল দীর্ঘায়িত হয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়।
[2] অগভীর নদীখাত: নদীগর্ভে পলি জমে নদীর ধারণ ও বহন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার ফলে মাঝারি মাপের বৃষ্টিপাতেও নদীতে বন্যা সৃষ্টি হতে পারে।
[3] জলাধার থেকে জল ছাড়া: জলাধার থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলে বন্যা হতে পারে।
[4] ঘূর্ণিঝড়: প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস হলে উপকূলবর্তী অঞ্চলে বন্যা হয়।
9. ভারতের জলবায়ুর নিয়ন্ত্রকগুলির ভূমিকা আলোচনা করো।
Ans: ভারতের জলবায়ুর নিয়ন্ত্রকসমূহ: যেসব উপাদান ভারতের জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে সেগুলি হল-
[1] অবস্থান ও অক্ষাংশগত বিস্তৃতি: ভূপৃষ্ঠের তাপমণ্ডল অনুসারে ভারতের বেশিরভাগ স্থান উষ্ণমণ্ডলে অবস্থিত। এজন্য ভারতের জলবায়ু প্রধানত উষ্ণ ও আর্দ্র প্রকৃতির। আবার, অক্ষাংশগত বিস্তৃতি বিচার করলে দেখা যায়, ভারত নিরক্ষরেখার উত্তরে ৪°4′ উত্তর থেকে 37°6′ উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত এবং কর্কটক্রান্তিরেখা (23°30′ উত্তর অক্ষরেখা) ভারতের প্রায় মাঝখান দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে। তাই অক্ষাংশ অনুসারে ভারতের দক্ষিণাংশ ক্রান্তীয় ও উত্তরাংশ উপক্রান্তীয় ও নাতিশীতোর অঞ্চলের অন্তর্গত, অর্থাৎ দক্ষিণাংশের তুলনায় উত্তরাংশের উষ্ণতা কম।
[2] হিমালয় পর্বতের অবস্থান: উত্তরে হিমালয় পর্বতমালা প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে থেকে আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুকে বাধা দেয় বলে বর্ষাকালে উত্তর ভারতে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়। আবার, শীতকালে মধ্য এশিয়ার কনকনে ঠান্ডা বায়ুপ্রবাহকে এই হিমালয় পবর্তমালা প্রতিহত করে বলে উত্তর ভারত তীব্র ঠান্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা পায়।
[3] ভূপ্রকৃতি: উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে অধিক উচ্চতার জন্য গ্রীষ্মকাল মনোরম কিন্তু উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ ভারতের সমভূমি অঞ্চলের গ্রীষ্মকাল খুবই কষ্টদায়ক।
[4] সমুদ্র সান্নিধ্য: তিনদিক সমুদ্রবেষ্টিত হওয়ায় দক্ষিণ ভারতের জলবায়ু অনেকটা সমভাবাপন্ন। কিন্তু সমুদ্র থেকে অনেক দূরে অবস্থিত বলে উত্তর ভারতের অভ্যন্তরভাগে শীত ও গ্রীষ্মের মধ্যে উষ্ণতার পার্থক্য খুব বেশি, অর্থাৎ জলবায়ু চরমভাবাপন্ন।
[5] মৌসুমি বায়ু: আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এবং শুষ্ক উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু-প্রধানত এই দুটি মৌসুমি বায়ু ভারতের জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে। আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবেই ভারতে বর্ষাকালের আগমন ঘটে, সারা দেশে বৃষ্টিপাত হয়। আবার, শীতল ও শুষ্ক উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের বেশিরভাগ অংশের তাপমাত্রা হ্রাস পায়, শীতল ও শুষ্ক অবস্থা বিরাজ করে। এ ছাড়া, এই দুই মৌসুমি বায়ুর আগমন ও প্রত্যাগমনের ওপর ভিত্তি করেই ভারতের জলবায়ুকে চারটি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে।
10. ভারতের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি কী?
Ans: ভারতের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য: ভারতের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
[1] ঋতুপরিবর্তন: ভারতের জলবায়ু প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ঋতুপরিবর্তন। শীতকাল, গ্রীষ্মকাল, বর্ষাকাল এবং শরৎকাল-এই চারটি ঋতু ভারতের জলবায়ুতে চক্রাকারে আবর্তিত হয়।
[2] বিপরীতধর্মী বায়ুপ্রবাহ: ভারতে শীতকালে যেদিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হয়, গ্রীষ্মকালে ঠিক তার বিপরীত দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হয়।
[3] আর্দ্র গ্রীষ্মকাল ও শুষ্ক শীতকাল: মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারতে গ্রীষ্মকাল আর্দ্র ও শীতকাল শুষ্ক। শুধু তামিলনাডুর উপকূলবর্তী অঞ্চলে এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে শীতকালে অল্প বৃষ্টিপাত হয়।
[4] শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত: দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমঘাট পর্বতশ্রেণির পশ্চিমঢালে, পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত হয়।
[5] অনিয়মিত মৌসুমি বৃষ্টিপাত: মৌসুমি বায়ুর খামখেয়ালি প্রকৃতির জন্য প্রতিবছর দেশের সর্বত্র সমানভাবে বৃষ্টিপাত হয় না।
[6] উত্তর ভারতের জলবায়ু চরমভাবাপন্ন: উত্তর ভারতের জলবায়ু চরমভাবাপন্ন প্রকৃতির কিন্তু দক্ষিণ ভারতের তিনদিক সমুদ্রবেষ্টিত থাকায় আর্দ্র সমুদ্রবায়ুর প্রভাবে ওই অঞ্চলের জলবায়ু সাধারণভাবে সমভাবাপন্ন হয়।
11. ভারতে জলবায়ুর বৈচিত্র্যের কারণ কী?
Ans: ভারতে জলবায়ুর বৈচিত্র্যের কারণ: ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানের জলবায়ুর মধ্যে বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়। এই বৈচিত্র্যের কারণগুলি হল-
[1] বিস্তৃত অক্ষাংশ জুড়ে অবস্থান: ভারতের মূল ভূখণ্ড দক্ষিণে প্রায় ৪° উত্তর থেকে উত্তরে প্রায় 37° উত্তর পর্যন্ত বিস্তৃত বলে দেশের দক্ষিণাংশে উষ্ণ-আর্দ্র নিরক্ষীয় জলবায়ু, মধ্যাংশে ক্রান্তীয় এবং উত্তরাংশে উপক্রান্তীয় ও নাতিশীতোয় জলবায়ু পরিলক্ষিত হয়।
[2] পর্বতের অবস্থান: (i) উত্তরে হিমালয় পর্বতমালা সুউচ্চ প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে থাকায় আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাধাপ্রাপ্ত হয়ে সমগ্র উত্তর ভারতে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায়। অন্যদিকে, শীতকালে দক্ষিণ ভারতের তুলনায় উত্তর ভারতে শীতের তীব্রতা সামান্য বেশি থাকে। যদি হিমালয় পর্বতমালা ভারতের উত্তরে অবস্থান না করত তবে মধ্য এশিয়ার শীতল বায়ুপুঞ্জের প্রভাবে সমগ্র উত্তর ভারতে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ ঘটত। (ii) দাক্ষিণাত্য মালভূমির পূর্ব ও পশ্চিম সীমায় যথাক্রমে পূর্বঘাট ও পশ্চিমঘাট পর্বতশ্রেণি প্রায় উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত থাকায় আর্দ্র বায়ু এইসব পর্বতমালায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলে যতটা পরিমাণ বৃষ্টিপাত ঘটায়, দাক্ষিণাত্যের অভ্যন্তরভাগে ততটা হয় না, সেই- অঞ্চলে কিছুটা শুষ্ক অবস্থা বিরাজ করে। (iii) আরাবল্লি পর্বতের অবস্থান দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুকে প্রতিহত করতে না পারায় খর মরু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ যথেষ্ট কম।
[3] ভূমির উচ্চতা: প্রায় একই অক্ষাংশে অবস্থিত হলেও আগ্রার থেকে দার্জিলিঙের জলবায়ু অনেক আলাদা। এর কারণ দার্জিলিঙের উচ্চতা অনেক বেশি (প্রতি কিমি উচ্চতা বৃদ্ধিতে 6.5 °সে হারে উষ্ণতা কমে)। একই কারণে পশ্চিমঘাট পর্বত বা হিমালয়ের উচ্চ অংশের জলবায়ুও দেশের অনান্য অংশের তুলনায় আলাদা হয়।
[4] দক্ষিণ ভারতের উপদ্বীপীয় গঠন: ভূগাঠনিক দিক দিয়ে দক্ষিণ ভারত ত্রিভুজাকৃতি হওয়ায় পূর্বে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে আরব সাগরের সামুদ্রিক বায়ুর প্রভাবে দক্ষিণ ভারতের জলবায়ু উত্তর ভারতের তুলনায় অনেকটাই সমভাবাপন্ন।
[5] সমুদ্র থেকে দূরত্ব: সামুদ্রিক প্রভাবে জলবায়ু সমভাবাপন্ন হয়। কিন্তু সমুদ্র থেকে বেশি দূরত্বের জন্য উত্তর ভারতের দিল্লি বা আগ্রা বা কানপুরে শীতকাল ও গ্রীষ্মকাল অনেক বেশি তীব্র অর্থাৎ, ওইসব স্থানের জলবায়ু হয়েছে চরমভাবাপন্ন প্রকৃতির।
12. ভারতে মৌসুমি জলবায়ুর প্রকৃতি লেখো।
Ans: ভারতে মৌসুমি জলবায়ুর প্রকৃতি: ভারত মৌসুমি জলবায়ুর দেশ। এই মৌসুমি জলবায়ুর প্রকৃতি হল –
[1] ঋতুপরিবর্তন: ভারতে মৌসুমি জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য ঋতুপরিবর্তন। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শরৎ-এই চারটি ঋতু ভারতের জলবায়ুতে চক্রাকারে আবর্তিত হয়।
[2] বিপরীতধর্মী মৌসুমি বায়ু: ভারতের জলবায়ুতে ঋতুপরিবর্তন হয় দুটি বিপরীতধর্মী মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে-একটি শীতকালীন উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু এবং অন্যটি গ্রীষ্মকালীন দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু।
[3] বিপরীতমুখী বায়ুপ্রবাহ: ভারতে শীতকালে যেদিক থেকে বায়ু- প্রবাহিত হয় গ্রীষ্মকালে ঠিক তার বিপরীত দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হয়।
[4] চারমাসব্যাপী বর্ষাকাল: ভারতে জুন থেকে সেপ্টেম্বর-এই চার মাস আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমনকাল এবং এই চারমাসই ভারতে বর্ষাকাল।
[5] শুষ্ক শীতকাল: উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু শুষ্ক ও শীতল বলে এই বায়ুর আগমনকালীন তিন মাসে (ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি) ভারতে তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং সমগ্র দেশে শীতকাল বিরাজ করে। উত্তর-পশ্চিম ভারতের কিছু অংশ এবং করমণ্ডল উপকূল ছাড়া তখন দেশের প্রায় সর্বত্র আবহাওয়া শুষ্ক থাকে।
[6] বৃষ্টিপাতের অসম বণ্টন: মৌসুমি বায়ুর অনিয়মিত ও অনিশ্চিত প্রকৃতির জন্য ভারতের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও বণ্টন অসম।
13. ভারতের গ্রীষ্মকালীন ঋতুর পরিচয় দাও।
Ans: ভারতে গ্রীষ্মকাল: ভারতে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত হল গ্রীষ্মকাল। [1] মার্চের শেষভাগ থেকেই দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্য তির্যকভাবে কিরণ দিতে থাকায় উষ্ণতা হ্রাস পেতে থাকে এবং উত্তর গোলার্ধে সূর্যরশ্মির লম্ব পতনের প্রভাবে ভারতে তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। [2] মে মাসে সূর্য উত্তরে ক্রমশ কর্কটক্রান্তিরেখার কাছে সরে আসে, ফলে উত্তর গোলার্ধে উষ্ণতা আরও বেড়ে যায়। মে মাসে মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাতের গড় তাপমাত্রা 38°সে-40°সে হয়। রাজস্থানের মরু অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে হয় প্রায় 48°সে। [3] উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রচণ্ড উষ্ণতার জন্য দিনেরবেলা গরম বাতাস লু প্রবাহিত হয়। [4] গ্রীষ্মকালে দেশের বিভিন্ন অংশে কতকগুলি স্থানীয় নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হওয়ার কারণে অপরাহ্ন বা বিকালের দিকে ঝোড়ো বাতাস ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ সামান্য বৃষ্টিপাত হয়। এই ঝড়কে পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখী, বিহার ও উত্তরপ্রদেশে আঁধি, অসমে বরদৈছিলা, কেরলে আম্রবৃষ্টি এবং কর্ণাটকে চেরি ব্লসম বলে। [5] এই ধরনের ঝড়-বৃষ্টি হলে তখন তাপমাত্রা 7°সে-৪°সে পর্যন্ত হ্রাস পায়।
14. ভারতে মৌসুমি বায়ুর আগমন কাল বা বর্ষাকালের বৈশিষ্ট্য লেখো।
Ans: ভারতে বর্ষাকাল বা মৌসুমি বায়ুর আগমনকাল: ভারতে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়কাল হল বর্ষাকাল। গ্রীষ্মকালে ভারতীয় উপদ্বীপ অঞ্চলে, বিশেষত উত্তর-পশ্চিম ভারতে যে গভীর নিম্নচাপ বলয়ের সৃষ্টি হয়, তার আকর্ষণে সুদূর ভারত মহাসাগর থেকে আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে ভারতে প্রবেশ করে, যথা [1] আরব সাগরীয় শাখা এবং [2] বঙ্গোপসাগরীয় শাখা।
[1] আরব সাগরীয় শাখা: (i) দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর এই শাখাটি আরব সাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পশ্চিমঢালে সরাসরি বাধা পায় ও পশ্চিম উপকূলে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। (ii) পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বঢালে অবস্থিত দাক্ষিণাত্যের অভ্যন্তরভাগে জলীয় বাষ্পের অভাবে বৃষ্টিপাত কম হয় বলে এই অঞ্চলটিকে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলে।
[2] বঙ্গোপসাগরীয় শাখা: (i) দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর এই শাখাটি বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে। এই বায়ুপ্রবাহ পূর্ব হিমালয় ও পূর্ব ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে প্রথম বাধা পায় বলে ওই অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। (ii) মেঘালয়ের খাসি পাহাড়ের দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত মৌসিনরামে পৃথিবীর সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হয়- বার্ষিক প্রায় 1187 সেমি। (iii) পূর্ব হিমালয়ে বাধা পেয়ে বৃষ্টিপাত ঘটানোর পর এই বায়ু ক্রমশ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে প্রবাহিত হয়ে বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায়।
Class 11 First (1st) Unit Test Question and Answer :
- Class 11 Bengali 1st Semester Question Click here
- Class 11 English 1st Semester Question Click here
- Class 11 Geography 1st Semester Question Click here
- Class 11 History 1st Semester Question Click here
- Class 11 Education 1st Semester Question Click here
- Class 11 Political Science 1st Semester Question Click here
- Class 11 Philosophy 1st Semester Question Click here
- Class 11 Sociology 1st Semester Question Click here
- Class 11 Sanskrit 1st Semester Question Click here
- Class 11 All Subjects First Semester Question Click here
Class 11 Second (2nd) Unit Test Question and Answer :
- Class 11 Bengali 2nd Semester Question Click here
- Class 11 English 2nd Semester Question Click here
- Class 11 Geography 2nd Semester Question Click here
- Class 11 History 2nd Semester Question Click here
- Class 11 Education 2nd Semester Question Click here
- Class 11 Political Science 2nd Semester Question Click here
- Class 11 Philosophy 2nd Semester Question Click here
- Class 11 Sociology 2nd Semester Question Click here
- Class 11 Sanskrit 2nd Semester Question Click here
- Class 11 All Subjects 2nd Semester Question Click here
Class 11 Suggestion 2025 – একাদশ শ্রেণীর সাজেশন ২০২৫
আরোও দেখুন:-
Class 11 Bengali Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 English Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Geography Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 History Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Political Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Education Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Philosophy Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Sociology Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 Sanskrit Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Class 11 All Subjects Suggestion 2025 Click here
◆ একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার প্রস্তুতি, বিনামূল্যে নোটস, সাজেশন, PDF ও সমস্ত আপডেটের জন্য আমাদের WhatsApp Group এ Join হয়ে যাও।
Class 11 WhatsApp Groups | Click Here to Join |
একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 11th Geography Question and Answer / Suggestion / Notes Book
আরোও দেখুন :-
একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here
FILE INFO : ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer with FREE PDF Download Link
PDF File Name | ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer PDF |
Prepared by | Experienced Teachers |
Price | FREE |
Download Link | Click Here To Download |
Download PDF | Click Here To Download |
ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) অধ্যায় থেকে আরোও প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :
Update
[আরও দেখুন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন রচনা – Rabindranath Tagore Biography in Bengali]
[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now]
Info : ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর
Class 11 Geography Suggestion | West Bengal WBCHSE Class Eleven XI (Class 11th) Geography Question and Answer Suggestion
” ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Eleven XI / WB Class 11 / WBCHSE / Class 11 Exam / West Bengal Council of Higher Secondary Education – WB Class 11 Exam / Class 11th / WB Class 11 / Class 11 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে একাদশ শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন / একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ও উত্তর । Class-11 Geography Suggestion / Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer / Class 11 Geography Suggestion / Class-11 Pariksha Geography Suggestion / Geography Class 11 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / Class 11 Geography Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস একাদশ শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 11 Geography Suggestion / West Bengal Eleven XI Question and Answer, Suggestion / WBCHSE Class 11th Geography Suggestion / Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer / Class 11 Geography Suggestion / Class 11 Pariksha Suggestion / Class 11 Geography Exam Guide / Class 11 Geography Suggestion 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030 / Class 11 Geography Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Class-11 Geography Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।
ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর
ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর।
ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল
ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) MCQ প্রশ্ন উত্তর।
ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণির ভূগোল
ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।
ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) MCQ প্রশ্ন উত্তর – একাদশ শ্রেণি ভূগোল | Class 11 Geography Bharater Jolobayu
একাদশ শ্রেণি ভূগোল (Class 11 Geography Bharater Jolobayu) – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) | Class 11 Geography Bharater Jolobayu Suggestion একাদশ শ্রেণি ভূগোল – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) প্রশ্ন উত্তর।
একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) প্রশ্ন উত্তর | Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer Question and Answer, Suggestion
একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) | পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল সহায়ক – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর । Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer, Suggestion | Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer Suggestion | Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer Notes | West Bengal Class 11th Geography Question and Answer Suggestion.
একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE Class 11 Geography Question and Answer, Suggestion
একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) । Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer Suggestion.
WBCHSE Class 11th Geography Bharater Jolobayu Suggestion | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল)
WBCHSE Class 11 Geography Bharater Jolobayu Suggestion একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) | Class 11 Geography Bharater Jolobayu Suggestion একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।
Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer Suggestions | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ।
WB Class 11 Geography Bharater Jolobayu Suggestion | একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর
Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।
West Bengal Class 11 Geography Suggestion Download WBCHSE Class 11th Geography short question suggestion . Class 11 Geography Bharater Jolobayu Suggestion download Class 11th Question Paper Geography. WB Class 11 Geography suggestion and important question and answer. Class 11 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। একাদশ শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।
Get the Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer by Bhugol Shiksha .com
Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 11 Geography Suggestion with 100% Common in the Examination .
Class Eleven XI Geography Bharater Jolobayu Suggestion | West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) Class 11 Exam
Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) Class 11 Eleven XI Geography Suggestion is provided here. Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free here.
ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” ভারতের জলবায়ু (ভারতের ভূগোল) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Geography Bharater Jolobayu Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।