একাদশ শ্রেণী ইতিহাস - আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 History Question and Answer
একাদশ শ্রেণী ইতিহাস - আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 History Question and Answer

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর

আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) | Class 11 History Adim Manob Question and Answer

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর : আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) Class 11 History Adim Manob Question and Answer : একাদশ শ্রেণী ইতিহাস – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 History Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই একাদশ শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – WBCHSE Class 11 History Adim Manob Question and Answer, Suggestion, Notes – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short,  Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 11th Eleven XI History Examination – পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণী ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।

 তোমরা যারা আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) – একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 History Adim Manob Question and Answer Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো। 

আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) – পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 11th History Adim Manob Question and Answer

MCQ প্রশ্নোত্তর | একাদশ শ্রেণী ইতিহাস – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 History Adim Manob Question and Answer : 

  1. নব্যপ্রস্তর যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল— 

(A) কৃষিপদ্ধতির ব্যবহার 

(B) তামার ব্যবহার 

(C) লোহার ব্যবহার 

(D) আগুনের আবিষ্কার 

Ans: (A) কৃষিপদ্ধতির ব্যবহার

  1. রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে ওঠে— 

(A) মধ্যপ্রস্তর যুগে 

(B) নব্যপ্রস্তর যুগে 

(C) প্রাচীন প্রস্তর যুগে 

(D) তাম্র – প্রস্তর যুগে 

Ans: (B) নব্যপ্রস্তর যুগে

  1. পুরাতন প্রস্তর যুগে আদিম মানুষের ব্যবহৃত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হলো— 

(A) ধারালো অস্ত্র 

(B) পাথরের টুকরো 

(C) হাতকুঠার 

(D) কাটারি বা ছোরা 

Ans: (B) পাথরের টুকরো

  1. বর্তমান যুগ কোন যুগের অন্তর্গত ? 

(A) মায়োসিন 

(B) হোলোসিন 

(C) প্লেইস্টোসিন 

(D) প্লায়োসিন 

Ans: (B) হোলোসিন

  1. পিকিং মানবের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন— (A) এল উইন সাইম 

(B) জোহারসন 

(C) লুই লিকি 

(D) পেঁই ওয়েনচুং

Ans: (D) পেঁই ওয়েনচুং

  1. প্লেইস্টোসিন যুগ স্থায়ী হয়েছিল— 

(A) কুড়ি থেকে ত্রিশ লক্ষ বছর 

(B) দশ থেকে কুড়ি লক্ষ বছর 

(C) পাঁচ থেকে দশ লক্ষ বছর 

(D) চল্লিশ থেকে পঞ্চম লক্ষ বছর 

Ans: (B) দশ থেকে কুড়ি লক্ষ বছর

  1. হরপ্পা নগরটি ____ যুগের নগর সভ্যতা ।

(A) তাম্র প্রস্তর 

(B) তাম্র – ব্রোঞ্জ 

(C) লৌহ

(D) প্রস্তর

Ans: (B) তাম্র – ব্রোঞ্জ

  1. পৃথিবীতে সর্বপ্রথম ____ যুগের সূচনা হয় । (A) প্রোটেরোজোয়িক 

(B) মেসোজোয়িক 

(C) আর্কিওজোয়িক

(D) প্যালিওজয়িক

Ans: (C) আর্কিওজোয়িক

  1. জাভা মানবের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন 

(A) ইউজিন ডুবয়েস 

(B) জোহারসন 

(C) লিকি দম্পতি

(D) পেই ওয়েনচুং

Ans: (A) ইউজিন ডুবয়েস

  1. মেসোপটেমিয়ার বর্তমান নাম 

(A) আফগানিস্তান 

(B) ইরাক 

(C) ইরান 

(D) সিরিয়া 

Ans: (B) ইরাক

  1. ‘ অরিজিন অব দ্য স্পিসিস ‘ গ্রন্থের রচয়িতা (A) ক্লোচে 

(B) ই . এইচ . কার 

(C) চার্লস ডারউইন

(D) র্যাঙ্কে

Ans: (C) চার্লস ডারউইন

  1. আদিম মানুষের প্রথম আবির্ভাব ঘটে— 

(A) স্পেনে 

(B) আফ্রিকায় 

(C) ভারতে 

(D) পাকিস্তানে 

Ans: (B) আফ্রিকায়

  1. ‘ মেসোপটেমিয়া ’ নামটি দেন— 

(A) মিশরীয়গণ 

(B) রোমানরা 

(C) হেরোডোটাস

(D) প্লেটো

Ans: (B) রোমানরা

  1. সুমেরীয় লিপির পাঠোদ্ধার করেন— 

(A) রোলিসন 

(B) উইলিয়াম জোনস 

(C) শাঁ পোলিয়ে 

(D) লিকি দম্পতি

Ans: (A) রোলিসন

  1. ওন্ডু ভাই গিরিসংকট আবিষ্কার করেছেন— 

(A) ড . উইল ডুরান্ট 

(B) ড.লিকি 

(C) ড . ব্রেস্টভ 

(D) ড . ওয়েলস 

Ans: (B) ড.লিকি

  1. মহেঞ্জোদারো কথাটির অর্থ হলো— 

(A) বরফের স্তূপ 

(B) মাটির স্তূপ 

(C) মৃতের স্তূপ 

(D) লোহার স্তূপ 

Ans: (C) মৃতের স্তূপ

  1. হরপ্পার সামুদ্রিক বন্দরটি আবিষ্কৃত হয়েছে— 

(A) লোথালে

(B) কালিবঙ্গানে 

(C) আলমগিরপুরে 

(D) ধোলাভিরায় 

Ans: (A) লোথালে

  1. সুমেরীয় সমাজ বিভক্ত ছিল— 

(A) একটি শ্রেণিতে 

(B) দু’টি শ্রেণিতে 

(C) তিনটি শ্রেণিতে

(D) চারটি শ্রেণিতে

Ans: (C) তিনটি শ্রেণিতে

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | একাদশ শ্রেণী ইতিহাস – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 History Adim Manob Broad Question and Answer : 

  1. প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় মুদ্রার গুরুত্ব কী ? প্রাচীন ভারতীয় কিছু মুদ্রার উদাহরণ দাও ।

Ans: সূচনা : প্রাচীন বিশ্ব তথা ভারতবর্ষের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য ও প্রমাণসাপেক্ষ উপাদান মুদ্রার গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না । ঐতিহাসিকদের কাছে মুদ্রা ইতিহাস রচনার একপ্রকার দলিল হিসেবে কাজ করে । 

মুদ্রার গুরুত্ব : বংশ পরিচয় মুদ্রায় খোদিত রাজা ও রাজবংশের নাম থেকে সমকালীন রাজা এবং রাজবংশের পরিচয় তথা রাজত্বকাল সম্পর্কে জানা যায় । 

সময়কাল : মুদ্রায় খোদিত সাল , তারিখ থেকে একদিকে যেমন বিভিন্ন প্রশাসক ও রাজার সিংহাসনে আরোহণকাল সম্পর্কে জানা যায় , তেমনি বিভিন্ন রাজবংশের পূর্ণ রাজত্বকালের সময়কাল সম্পর্কেও অবগত হওয়া যায় । 

রাজ্যসীমা : মুদ্রার প্রাপ্তিস্থান থেকে বিভিন্ন রাজা ও রাজবংশের রাজ্যসীমা সম্পর্কে আভাস পাওয়া যায় । 

ধর্মীয় বিশ্বাস : মুদ্রায় খোদিত বিভিন্ন মূর্তি তথা ধর্মীয় প্রতিকৃতি থেকে তৎকালীন মানুষের ধর্মীয় ভাবনার পরিচয় মেলে , যা প্রাচীন ইতিহাস রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । 

আর্থিক ভিত্তি : প্রাচীন কালের বিভিন্ন মুদ্রায় ব্যবহার করা ধাতু থেকে সমকালীন সময়ের আর্থিক অবস্থার ধারণা মেলে । যেমন— কুষাণ যুগের স্বর্ণমুদ্রা থেকে তৎকালীন সময়ে ভারতের আর্থিক সমৃদ্ধি সম্পর্কে জানা যায় । 

বাণিজ্যনীতি : এক অঞ্চলের মুদ্রা অন্য অঞ্চলে এবং এক দেশের মুদ্রা অন্য দেশের কোনো স্থানে পাওয়া গেলে মুদ্রার আদান – প্রদানের যেমন ধারণা মেলে , তেমনি একথাও বলা যায় যে ওই দেশ বা অঞ্চলগুলির মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগ হয়তো ছিল । 

শিল্পকলা ও ভাষা : বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাপ্ত মুদ্রার বাহ্যিক গঠন , আকৃতি , চিহ্ন এবং ব্যবহৃত লেখা দেখে সমকালীন সময়ের শিল্পকলা এবং আঞ্চলিক ভাষা সম্পর্কে জানা যায় । 

প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন মুদ্রা হলো : 

শক ও কুষাণদের মুদ্রা : শক , কুষাণ এবং পার্থিয়ান রাজাদের ইতিহাস রচনায় মুদ্রাই একমাত্র অবলম্বন । মুদ্রা ছাড়া এসমস্ত বিদেশি রাজবংশের ইতিহাস রচনা কোনোভাবেই সম্ভব হতো না । 

ব্যাকট্রীয় – গ্রিকদের মুদ্রা : ভারতের উত্তর – পশ্চিম সীমান্তে ব্যাকট্রীয় – গ্রিক রাজাদের আধিপত্যের কথা মুদ্রা থেকেই জানা যায় । মুদ্রা থেকে সেসময়ের তিরিশ জন ব্যাকট্রীয় রাজা – রানির খোঁজ মেলে । 

  1. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার পরিচয় দাও । ‘ মিশরকে নীলনদের দান ‘ বলা হয় কেন ? 

Ans: সূচনা : বিশ্ব ইতিহাসে একটি প্রাচীনতম উন্নত নদীকেন্দ্রিক সভ্যতা ছিল নীলনদকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মিশরীয় সভ্যতা । এই সভ্যতা আজও নিজস্বতার প্রমাণ দেয় । 

প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য হলো— 

সমাজ ব্যবস্থা : প্রাচীন মিশরে শ্রেণিবিভক্ত সমাজ ও বিভিন্ন বর্ণের মানুষের বসবাস লক্ষণীয় । যেমন রাজপরিবার , পুরোহিত শ্রেণি , মধ্যবিত্ত শ্রেণি , কারিগর শ্রেণি এবং নিম্নশ্রেণির কৃষক ও ভূমিদাসগণ । 

সমাজে নারীর অবস্থান : প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় নারীরা ছিল স্বাধীন এবং পুরুষের সমঅধিকারভুক্ত । তারা উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তিলাভের অধিকারী হতো। 

অর্থনীতি : প্রাচীন মিশরের অর্থনীতি ছিল মূলত কৃষিনির্ভর । তবে শিল্প – বাণিজ্যের দ্বারাও এই সভ্যতার মানুষের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি হয়েছিল । বাণিজ্যের ক্ষেত্রে জল ও স্থলপথে ইজিয়ান দ্বীপ , ক্রিট , সিরিয়া , ফিনিসিয়া প্রভৃতি দেশের সাথে মিশরীয় বণিকদের যোগাযোগ ছিল । 

সাহিত্যচর্চা : প্রাচীন মিশরীয়রা সাহিত্যচর্চায় ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করেছিল । এসময়ের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যগ্রন্থ ‘ Book of Deet ‘ , যেখানে জাদুবিদ্যা , ধর্মীয় শ্লোক , প্রার্থনা , ওষুধপত্র প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা ছিল । 

লিপি : লিপি স্থাপনার ক্ষেত্রে মিশরীয়দের অন্যতম কৃতিত্ব ছিল রোজেটা প্রস্তর এর ব্যবহার । পালেমু পাথর এবং রোজেটা পাথর ব্যবহার করে হায়ারোগ্লিফিক লিপি নির্মাণ ছিল সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য। 

স্থাপত্য – ভাস্কর্য : মিশরীয় স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন হলো অসংখ্য পিরামিড । পিরামিডগুলিতে ছিল সুনিপুণ কারুকার্য ও এগুলি উচ্চতায় ছিল । এছাড়া অন্যান্য স্থাপত্যের মধ্যে আবু সিম্বেল মন্দির এবং ফ্যারাও ও ক্রীতদাসদের মূর্তি উল্লেখযোগ্য । 

মিশরকে নীলনদের দান বলা হয় , কারণ — সর্বপ্রথম গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস মিশরকে নীলনদের দান বলেন যা অধিকাংশ ঐতিহাসিকের দ্বারা সমর্থনযোগ্য কারণ— 

উর্বর কৃষিক্ষেত্র : নীলনদের দুই কূলে উর্বর কৃষিজমিতে প্রতিবছর বন্যা হতো । একারণে জমি প্রচুর পলিসমৃদ্ধ হয় ফলে গম , যব , তিসি , ভুট্টা সহ বিভিন্ন ফসল প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হতো । 

উপত্যকা গঠন : নীলনদের দুই ধারে বন্যার ফলে প্রচুর পলি সঞ্চিত হয়ে উপত্যকা গড়ে উঠলে সভ্যতা উন্মেষের প্রেক্ষাপট তৈরি হয় । 

মরুভূমি প্রতিরোধ : পূর্ব ও পশ্চিমে আরব ও সাহারা মরুভূমির অবস্থান সত্ত্বেও মিশরের মধ্য দিয়ে নীলনদ প্রবাহিত হওয়ায় মরুভূমি প্রসার লাভ করেনি । 

পশুপালন : নীলনদের দুইধারে তৃণভূমিতে পশুপালন ও খাদ্য জোগানের সুবিধা থাকায় এর তীরবর্তী অঞ্চলে সভ্যতার বিকাশ ঘটে । 

যোগাযোগ : নীলনদের জলপথে মিশরীয়দের পক্ষে যোগাযোগ রক্ষা ও পণ্যপরিবহণ সহজ হয় । 

নগর প্রতিষ্ঠা : অনুকূল জলবায়ু ও বাণিজ্যিক বিকাশের ফলে মিশরে বহু শহর ও নগর গড়ে ওঠে । 

মূল্যায়ন : মিশরে নীলনদ না থাকলে উপরিউক্ত কারণের সমন্বয়ে হয়তো কোনো দিন সভ্যতার বিকাশ ঘটত না । এজন্য ঐতিহাসিক হেরোডোটাস ‘ মিশরকে নীলনদের দান ‘ বলেন । 3. মেহেরগড় সভ্যতার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও । অথবা , মেহেরগড় সভ্যতার মানুষের জীবিকা কেমন ছিল ? এই সভ্যতার ধ্বংসের কারণ উল্লেখ করো । 

Ans: সূচনা : কেবলমাত্র ভারতবর্ষের ইতিহাসে নয় , সমগ্র বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম গ্রামকেন্দ্রিক সভ্যতা হলো মেহেরগড় সভ্যতা , যা ভারতবর্ষের প্রাচীনতম সভ্যতা । 1974-1975 খ্রিস্টাব্দে ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ জাঁ ফ্রাঁসোয়া জারিজ এই সভ্যতাটি আবিষ্কার করেন । প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে জানা যায় , সভ্যতাটি বালুচিস্তানের কাচ্চি সমভূমিতে অবস্থিত । 

প্রধান জীবিকা : মেহেরগড় সভ্যতার প্রধান জীবিকাগুলি হলো— 

পশুপালন : প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের প্রমাণ থেকে জানা যায় , মেহেরগড় সভ্যতার মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল পশুপালন । গোরু , মহিষ , ছাগল , কুকুর , ভেড়া , ষাঁড় সহ একাধিক গৃহপালিত পশুপালন করে মানুষ জীবিকা নির্বাহ করত । 

কৃষিকাজ : মেহেরগড় সভ্যতার মানুষ পশুপালন – এর সাথে কৃষিকাজেও দক্ষ ছিল । এর প্রমাণ মেলে জলাধার তৈরি করে জলসেচ ও শস্য মজুত করার জন্য শস্যাগার থেকে , উৎপাদিত ফসলের মধ্যে ছিল গম , যব , তুলা প্রভৃতি । 

শিকার : নদীনালা থেকে মৎস্য শিকার এবং অরণ্য থেকে জীবজন্তু শিকারে মেহেরগড়বাসী দক্ষ ছিল । তারা পশুর হাড় দিয়ে হাতিয়ারও তৈরি করত । 

বাণিজ্য : জল ও স্থলপথে মেহেরগড়বাসী মেসোপটেমিয়া , আফগানিস্তান , ইরান প্রভৃতি দেশে যেমন বহির্বাণিজ্য করত তেমনি অন্তর্দেশীয় বাণিজ্যেরও প্রমাণ মেলে । 

শিল্প : মেহেরগড় সভ্যতার মানুষেরা প্রাথমিক অবস্থায় শিল্পে নিপুণতা দেখাতে । সক্ষম না হলেও পরবর্তীতে মৃৎশিল্প , ধাতুশিল্প , অলংকার শিল্প , বয়নশিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রশংসার দাবি রাখে । ঐতিহাসিক ইরফান হাবিবের মতে মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্বে আগুনে পোড়া বীজের নিদর্শন মেলে যা প্রমাণ করে মেহেরগড়বাসী সুতিবস্ত্র বুনতে জানত । 

ধ্বংসের কারণ : 

নানা কারণে ভারতের অতিপ্রাচীন এই সভ্যতা একসময় ধ্বংসের মুখে পড়ে— 

প্রাকৃতিক বিপর্যয় : বন্যা বা ভূমিকম্প এই দু’টির যেকোনো একটি কারণে মেহেরগড় সভ্যতার ধ্বংস হয় বলে কোনো কোনো প্রত্নতত্ত্ববিদ মনে করেন । 

জলবায়ু পরিবর্তন : এটা অনুমিত হলেও সত্য যে হঠাৎ করে জলবায়ুর পরিবর্তনে এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ব্যাপক পরিমাণে কমে যায় এবং জমি মরুভূমিতে পরিণত হয় । একারণে কৃষিকাজ বিপন্ন হয় যা এই সভ্যতা ধ্বংসের অন্যতম কারণ । 

বাসভূমি পরিবর্তন : কিছু কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন এই সভ্যতার মানুষেরা নিশ্চিত খাদ্য সংগ্রহের জন্য অন্যত্র গমন করে যা এই সভ্যতার পতন ডেকে আনে । 

বহিঃশত্রুর আক্রমণ : আবার কিছু কিছু ঐতিহাসিকের মতে অতর্কিতভাবে কিছু বৈদেশিক জাতির আক্রমণে এই সভ্যতার ধ্বংস হয় । 

মূল্যায়ন : উপরিউক্ত আলোচনায় স্পষ্ট , যেকোনো একটি নির্দিষ্ট কারণে নয় বরং একাধিক কারণের সমন্বয়ে ধীরে ধীরে হরপ্পা সভ্যতা ও সংস্কৃতির সাথে মিশে যায় মেহেরগড় সভ্যতা । 

  1. হরপ্পা সভ্যতার নগরকেন্দ্রিকতার পরিচয় দাও । বা , দ্বিতীয় প্রাচীন নগরকেন্দ্রিক সভ্যতার পরিচয় দাও ।

Ans: সূচনা কেবলমাত্র প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে নয় , বিশ্বের ইতিহাসে হরপ্পা সভ্যতার নগর পরিকল্পনাটি একটি বিশিষ্ট পরিচয় বহন করে । 1922 খ্রিস্টাব্দে দয়ারাম সাহানি ও রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে এই সভ্যতার আবিষ্কার হয় । সভ্যতাটির ধ্বংসাবশেষ উন্নত নগর পরিকল্পনার প্রমাণ দেয় । 

অঙ্কুল বিভাজন : হরপ্পা সভ্যতায় অঞ্চল বিভাজন ছিল স্পষ্ট । কারণ নগরের একদিকে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা দুর্গ ছিল যেখানে শাসক শ্রেণির বসবাস ছিল এবং অপরদিকে ছোটো ঘরবাড়ি বা বস্তি ছিল যেখানে গরিব শ্রেণির বসবাস ছিল বলে অনুমান করা যায় । 

ঘরবাড়ি : পোড়া বা পাকা ইটের তৈরি একতল বা দ্বিতল বাড়ির সন্ধান এই সভ্যতায় মেলে । কুয়ো , জনাগার , শোবার ঘর , রান্নাঘর প্রভৃতি বেশিরভাগ বাড়িতেই 

রাস্তাঘাট : নগরের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত সোজা ও প্রশস্ত রাজপথ ছিল । যেগুলি প্রায় 9-74 ” পর্যন্ত চওড়া ছিল । 

উন্নত পয়ঃপ্রণালী : সোজা রাস্তার দু’ধারে ছিল উন্নত পয়ঃপ্রণালী । কিছুদুর অস্তর এগুলি ঢাকনা দিয়ে ঢাকা থাকত । 

ডাস্টবিনের ব্যবহার : হরপ্পা সভ্যতায় বসবাসকারীরা অপ্রয়োজনীয় নোংরা ও আবর্জনার হাত থেকে রক্ষার জন্য ডাস্টবিনের ব্যবহার করত । 

ম্যানহোলের ব্যবস্থা : নগর অঞ্চলের পয়ঃপ্রণালীর সাথে একাধিক ম্যানহোল যুক্ত ছিল । এগুলির ওপর ঢাকনা বসানো থাকত এবং ঢাকনা খুলে নিয়মিত পরিষ্কার করা হতো । ঐতিহাসিক রামশরণ শর্মার মতে , “ পৃথিবীর প্রাচীনতম অপর কোনো সভ্যতায় এধরনের পরিচ্ছন্নতার নজির মেলেনি । ” 

রাস্তার আলো : প্রত্নতত্ত্ববিদদের অনুমান হরপ্পা সভ্যতার মানুষেরা রাস্তার দুধারে আলোর ব্যবস্থা করেছিল । 

স্নানাগার : হরপ্পা সভ্যতার মহেঞ্জোদারো কেন্দ্রে 180 × 8 ‘ একটি বাঁধানো স্নানাগার আবিষ্কৃত হয়েছিল । সেখানে নামা ওঠার সিঁড়ি ও ঋতুভেদে জল ঠান্ডা ও গরম করার ব্যবস্থা ছিল । এছাড়াও স্নানাগারের পাশে ছোটো অলিন্দযুক্ত ঘরগুলি পোশাক পরিবর্তনের কাজে ব্যবহৃত হতো । 

শস্যাগার : হরপ্পা সভ্যতার অপর বৈশিষ্ট্য সুবিশাল শস্যাগার । 200×150 বর্গ ফুট উঁচু একটি ঢিবির ওপর এই শস্যাগারটি অবস্থিত ছিল । A.L. Basam এই শস্যাগারটিকে রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্কের সাথে তুলনা করেন । 

পৌরশাসন : এই সভ্যতার উন্নত নগর পরিকল্পনা দেখে ঐতিহাসিকরা মনে করেন এক উন্নত পৌরশাসন ব্যবস্থা ছিল । Dr. S. Saraswati- এর মতে , এখানে একই প্রকৃতির শক্তিশালী ও কেন্দ্রীভূত শাসন ব্যবস্থা ছিল । 

মন্তব্য : প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা হিসেবে হরপ্পার নগরজীবন ছিল বর্তমান আধুনিক সভ্যতার ন্যায় উন্নত যা সমগ্র পৃথিবীতে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করে । 

  1. হরপ্পা সভ্যতার পতনের কারণগুলি লেখো । অথবা , হরপ্পা বা সিন্ধু সভ্যতার অবসান কীভাবে হয় ? 

Ans: সূচনা : 1921 খ্রিস্টাব্দে আবিষ্কৃত ভারতের দ্বিতীয় নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা ছিল হরপ্পা সভ্যতা । কোনো একটি নির্দিষ্ট কারণে নয় , একাধিক কারণের সমন্বয়ে এই সভ্যতার অবলুপ্তি ঘটে , যদিও এই সভ্যতার পতনের কারণ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ বর্তমান । 

হরপ্পা সভ্যতার পতনের কারণগুলি হলো— 

ভূপ্রকৃতির পরিবর্তন : বেশিরভাগ ঐতিহাসিক ভূপ্রকৃতির পরিবর্তনকে এই সভ্যতার পতনের জন্য দায়ী করেছেন । কারণ প্রকৃতির পরিবর্তনে এই সময় বৃষ্টিপাত হ্রাস পেলে সিন্ধু অঞ্চল প্রায় মরুভূমিতে পরিণত হয় ও কৃষি উৎপাদন অত্যন্ত কমে যাওয়ায় খাদ্যাভাব তীব্র হয় । 

নাগরিক অবক্ষয় : এই সভ্যতার নাগরিক জীবনের অবক্ষয় তার পতনের পথকে প্রশস্থ করেছিল । 

রক্ষণশীলতা : হরপ্পা সভ্যতার মানুষের রক্ষণশীল মানসিকতা এই সভ্যতার পতনের অন্যতম কারণ । তারা কোনো নতুন বিষয় শিখতে চাইত না । ফলে কৃষিক্ষেত্র এবং হাতিয়ার তৈরিতে পিছিয়ে ছিল । 

ভূমিকম্প : খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত ক্ষতবিক্ষত নরকঙ্কালগুলি থেকে এই ধারণা করা যায় যে ভূমিকম্পের ফলে এই সভ্যতার বিনাশ ঘটেছিল । 

বন্যা : কিছু ঐতিহাসিকের মতে , সিন্ধুনদের প্রবল বন্যার ফলেই এই সভ্যতার পতন ঘটেছিল । এম . আর সাহানি – এর মতে , “ প্লাবন সিন্ধু সংস্কৃতিকে ভাসিয়ে দিয়েছিল । ” 

সিন্ধুনদের গতি পরিবর্তন : সিধুনদ গতি পরিবর্তন করলে মহেঞ্জোদারো এবং তার পার্শ্ববর্তী স্থানগুলিতে জলের অভাবে কৃষিব্যবস্থা ভেঙে পড়ে । ফলে সেখানকার অধিবাসীরা নগর ত্যাগ করতে বাধ্য হয় । 

জলবায়ু পরিবর্তন : এক সময় হরপ্পা সভ্যতায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হতো । তাই এলাকাটি ছিল বনজঙ্গলে ভরা । নগর সভ্যতা প্রসারের ফলে সমগ্র এলাকা বনশূন্য হয়ে পড়ে ও ধীরে ধীরে সমগ্র এলাকাটিকে গ্রাস করে ফেলে মরুভূমি ও সমগ্র এলাকাটি জনমানবশূন্য হয় । 

অন্তর্বিপ্লব : সিন্ধু সভ্যতার পতনের কারণ হিসেবে কিছু ঐতিহাসিক এই সভ্যতার অস্তবিপ্লব বা গৃহযুদ্ধকেই দায়ী করেছিলেন । 

বহিশত্রুর আক্রমণ : দীর্ঘকাল ধরে বয়ে চলা এই সভ্যতা শেষ পর্বে যখন দুর্বল হয়ে পড়েছিল তখন শক্তিশালী আর্যদের আক্রমণ হয় বলে অনেকে মনে করেন । সিন্ধু সভ্যতায় প্রাপ্ত নরকঙ্কালের খুলিতে ভারী অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় । তাই অধিকাংশ ঐতিহাসিক আর্য জাতির আক্রমণকে হরপ্পা সভ্যতার পতনের জন্য দায়ী করেছেন । 

মূল্যায়ন : উপরিউক্ত আলোচনায় স্পষ্ট কোনো একদিনে বা কোনো বিশেষ কারণে হরপ্পা সভ্যতার পতন ঘটেনি । আর অধুনা উপগ্রহের মাধ্যমে ভূত্বকের ছবি তুলে এই সভ্যতার বিলুপ্তির কারণ সম্পর্কে জানা যায় । 

  1. চারটি নদীকেন্দ্রিক সভ্যতার নাম লেখো । এই সভ্যতাগুলি নদীতীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল কেন ? 

Ans: নদীকেন্দ্রিক সভ্যতা : আদিম মানুষের আকৃতিগত পরিবর্তন হবার সাথে সাথে বিভিন্ন সভ্যতার বিকাশ ঘটতে থাকে । আগুন জ্বালাবার কৌশল আয়ত্ত করার পর তাদের সমাজজীবন গড়ে ওঠে এবং তারা কৃষিজীবীতে পরিণত হয় । তাম্র প্রস্তর যুগের মানুষ কোনো না কোনো নদীর তীরে তাদের সভ্যতা গড়ে তুলেছিল । যেমন— বেলুচিস্তানের বোলান নদীর তীরে মেহেরগড় সভ্যতা , সিন্ধুনদের তীরে সিন্ধু সভ্যতা , মেসোপটেমিয়াতে সুমেরীয় সভ্যতা , আফ্রিকার নীলনদের তীরে মিশরীয় সভ্যতার উন্মেষ ঘটেছিল । 

নদীমাতৃক সভ্যতা গড়ে ওঠার কারণ : নদীমাতৃক এই সভ্যতাগুলি গড়ে ওঠার পেছনে কয়েকটি কারণ ছিল । এই কারণগুলি হলো— 

( ক ) বসবাসের সুবিধা : নদীতীরবর্তী সমভূমি অঞ্চল বসবাসের পক্ষে ও গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে আদর্শ হওয়ায় ধীরে ধীরে জনবসতি গড়ে ওঠে , যা ক্রমে শহরে পরিণত হয় । গড়ে ওঠে নদীকেন্দ্রিক সভ্যতা । 

( খ ) কৃষিকাজের সুবিধা : নদীর তীরবর্তী অঞ্চলগুলি প্রতি বছর বন্যার ফলে পলিমাটি সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে , যা কৃষিকাজের পক্ষে খুবই উপযোগী । এছাড়া নদী থেকে খাল কেটে জল এনে সারাবছর জলসেচের সুবিধা থাকায় মানুষ সেখানেই বসতি গড়ে তোলে । এই জনবসতি সভ্যতার সূচনা করে । 

( গ ) পশুপালনের সুবিধা : কৃষিকাজের পাশাপাশি মানুষের অন্যতম প্রধান জীবিকা ছিল পশুপালন । নদীতীরবর্তী অঞ্চলের ঘাস গৃহপালিত পশুর খাদ্যের জোগান মেটায় । এই সুবিধার ফলে নদীতীরবর্তী অঞ্চলে মানুষ বসবাস শুরু করে এবং এভাবে ধীরে ধীরে ওই অঞ্চলের মানুষকে সভ্যতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে । 

( ঘ ) যাতায়াতে সুবিধা : প্রাচীন কালে মানুষ নদীপথের মাধ্যমেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করত । তাছাড়া নদীপথই ছিল বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মধ্যে যোগাযোগের জন্য নিরাপদ ও সহজ পথ । তাই অনেকে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাস করতে শুরু করে । ফলে ওই অঞ্চলে গড়ে ওঠে সভ্যতা । 

( ঙ ) ব্যাবসাবাণিজ্যের সহায়ক : নদীপথে জিনিসপত্র এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার সুবিধা নদীতীরবর্তী অঞ্চলের মানুষকে ব্যাবসাবাণিজ্যে উৎসাহী করে তুলেছিল । নৌকা ছিল সেই সময়ের প্রধান পরিবহণ মাধ্যম । তাই ব্যাবসাবাণিজ্যের মতো জীবিকার সহজ উপায় নদীতীরবর্তী অঞ্চলে মানুষকে বসতি গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিল । 

( চ ) পানীয় জলের সুবিধা : প্রাচীন কালে মানুষ নদীর জলকেই পানীয় জল রূপে ব্যবহার করত । আর এই নদীর জল ছিল পানীয় জলের অফুরন্ত ভাণ্ডার । তাছাড়া নদীর মাছ ও অন্যান্য জীবজন্তু খাদ্য হিসাবে তারা গ্রহণ করত । পানীয় জল ও খাদ্যের এই প্রাচুর্য থাকায় মানুষ নদীতীরবর্তী অঞ্চলে বসতি গড়ে তুলেছিল যা ক্রমে সভ্যতায় উন্নীত হয় । 

  1. সিন্ধু সভ্যতাকে হরপ্পা সভ্যতা বলা হয় কেন ? এই সভ্যতার মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনের বর্ণনা দাও ।

Ans: সিন্ধু সভ্যতার ‘ হরপ্পা সভ্যতা ‘ নামকরণ : প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার মাধ্যমে ভারতবর্ষের দ্বিতীয় প্রাচীন সভ্যতার প্রথম নিদর্শন আবিষ্কৃত হয় 1921 খ্রিস্টাব্দে সিন্ধুনদ এবং তার উপত্যকা অঞ্চলে । প্রাথমিক পর্যায়ে হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো নামক কেন্দ্রে এই সভ্যতার একাধিক মূল্যবান উপাদান আবিষ্কৃত হয় । প্রথম পর্যায়ে সিন্ধুনদের অববাহিকা অঞ্চলে এই সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গিয়েছিল বলেই সমকালীন ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের অধিকর্তা স্যার জন মার্শাল এর নামকরণ করেন সিন্ধু সভ্যতা । কিন্তু পরবর্তীতে আবিষ্কৃত উপাদানের পরিমাণ , তার সত্যতা ও গুণগত নির্ভরযোগ্যতার নিরিখে দেখা যায় । হরপ্পা নামক কেন্দ্রের প্রাচীনত্ব ও নির্ভরযোগ্যতা অনেক বেশি । আর হরপ্পা নামক কেন্দ্রটি এই প্রাচীন সভ্যতার প্রায় কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত । তাই ঐতিহাসিকেরা এই সভ্যতার নামকরণ করেন হরপ্পা সভ্যতা । 

হরপ্পা সভ্যতার সামাজিক জীবন : এই সভ্যতার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত উপাদানের প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা করে জানা যায় — এখানকার মানুষের সামাজিক জীবন ছিল এইরকম— 

  • 1) মাতৃতান্ত্রিক অবস্থান : এই সভ্যতায় প্রাপ্ত নারীমূর্তিগুলি দেখে প্রত্নতাত্ত্বিকগণের অনুমান এই সভ্যতা ছিল একটি মাতৃতান্ত্রিক সভ্যতা । অর্থাৎ সমাজে নারী বা মায়ের কর্তৃত্বই ছিল প্রধান । 
  • 2) শ্রেণিবিভক্ত সমাজ : এই সভ্যতার ঘরবাড়ির বৈশিষ্ট্য লক্ষ করলে দেখা যায় যে এই সভ্যতায় ছিল শ্রেণিবিভক্ত সমাজ ব্যবস্থা । সমাজে উচ্চবিত্ত শ্রেণির বিশেষ প্রভাব ছিল । তারা ছিল প্রধানত পুরোহিত । সভ্যতার মূল কেন্দ্রে ছিল এদের বসবাস । দ্বিতীয় শ্রেণি হিসাবে ছিল মধ্যবিত্ত শ্রেণি । যেমন — বুর্জোয়া , বণিক , কারিগর , যোদ্ধা প্রমুখ । অধ্যাপক এ.এল. ব্যাসাম – এর মতে , হরপ্পার সমাজে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের সংখ্যা ছিল সুমের ও মিশরের থেকে অনেক বেশি । 

তৃতীয় শ্রেণি বলতে যারা নগর থেকে কিছু দূরে ছোটো ছোটো ঝুপড়িতে বসবাস করত তাদেরকেই বোঝানো হয় । অর্থাৎ দাস , ভৃত্য , শ্রমিক ও কৃষক শ্রেণির মানুষ। 

বিনোদন : এই সভ্যতার মানুষেরা কর্মজীবনের পাশাপাশি বিনোদনে বিশ্বাসী ছিল । যেমন — পাশা খেলা , পশুশিকার , ষাঁড়ের লড়াই , নাচ , গান , পাখির লড়াই প্রভৃতি ছিল তাদের বিনোদনের উপাদান । 

খাদ্য ও পোশাক পরিচ্ছদ : এই সভ্যতার মানুষের প্রদান খাদ্য ছিল দুধ , ডিম , মাংস , গম , ফলমূল প্রভৃতি । এখানকার মানুষেরা দু’খণ্ড বিশিষ্ট ধুতি ও পশমের পোশাক পরিধান করত । 

হরপ্পা সভ্যতার অর্থনৈতিক জীবন : এই সভ্যতার মানুষের অর্থনৈতিক জীবন ছিল এইরকম— 

  • 1) পশুপালন : হরপ্পা সভ্যতার মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল পশুপালন । তাদের গৃহপালিত পশুর মধ্যে ছিল গোরু , ছাগল , মহিষ , ভেড়া , কুকুর প্রভৃতি । তবে গোরু ও মহিষকে তারা কৃষিকাজে ও পণ্য পরিবহণের কাজে ব্যবহার করত । 
  • 2) কৃষিকাজ : হরপ্পাবাসীরা পশুপালনের সাথে সাথে কৃষিকাজেও পারদর্শী ছিল । উপত্যকা অঞ্চলে গম , যব , ধান , রাই , তিল প্রভৃতি ফসল চাষ করত । 
  • 3) বাণিজ্য : হরপ্পা সভ্যতার বণিকরা স্থলপথে ও জলপথে অন্তর্বাণিজ্য ও বহির্বাণিজ্য করত । এইসময়ে বণিক শ্রেণি ‘ পণি ‘ নামে পরিচিত ছিল । লোথাল নামক কেন্দ্রটি ছিল অন্যতম বাণিজ্য বন্দর । 
  • 4) শিল্প : এই সভ্যতার নাগরিকরা মৃৎশিল্প , বয়নশিল্প , ধাতুশিল্পে পারদর্শী ছিল । শিল্পব্যবস্থা এই সভ্যতার আর্থিক ভিত্তিকে বহুগুণে মজবুত করেছিল । 
  1. নব্যপ্রস্তর যুগের মানুষের জীবনযাত্রার পরিচয় দাও । 

Ans: সূচনা : খ্রিস্টপূর্ব 10000 থেকে খ্রিস্টপূর্ব 5000 পর্যন্ত ছিল নব্যপ্রস্তর যুগের সময়কাল । সময়কালের নিরিখে মধ্যপ্রস্তর যুগের পরবর্তী সময় ছিল নব্যপ্রস্তর যুগ । এই পর্বে সমসাময়িক মানুষের জীবনযাত্রার মানের আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল। এইসময়ে খাদ্যসংগ্রাহক মানুষ খাদ্য উৎপাদক শ্রেণিতে পরিণত হয়েছিল ।

নব্যপ্রস্তর যুগের মানুষের জীবনযাত্রা : এই পর্বের মানুষের জীবনযাত্রার বিভিন্ন দিক ছিল নিম্নরূপ — 

ব্যবহারিক হাতিয়ার : এই পর্বে মানুষ কোদাল , গাইতি , কাস্তে , কুড়ুল , শিল – নোড়া , হাতুড়ি , ধারালো অস্ত্র আবিষ্কার করে এবং ধীরে ধীরে তা তার নিত্যদিনের ব্যবহারিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছিল । 

বসবাসের স্থল : নব্যপ্রস্তর যুগের মানুষেরা যাযাবর জীবনযাপনের পরিবর্তে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে । আর এই জন্য তারা গাছের ডালপালা , লতা , ঘাস দিয়ে ঘরবাড়ি প্রস্তুত করতে শুরু করে । 

যানবাহনের ব্যবহার : নব্যপ্রস্তর যুগের মানুষেরা যানবাহনের জন্য চাকাযুক্ত গাড়ির ব্যবস্থা করে যা সমসাময়িক পর্বে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বহুগুণে উন্নত করেছিল । জলপথে যাতায়াতের জন্য এইসময়ে পালতোলা নৌকাও আবিষ্কার হয়েছিল । 

জীবন – জীবিকা : নব্যপ্রস্তর যুগের মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল কৃষি ও পশুপালন । এইসময়ে মানুষ কৃষিকাজের কৌশল আবিষ্কার করে , চাষাবাদ শুরু করে । এছাড়া তারা এইসময়ে পশুপালনও শুরু করে । তবে কৃষিকাজের প্রয়োজনেই তারা এইসময়ে পশুপালনের প্রয়োজন অনুভব করেছিল একথা বলাই যায় । 

আগুন আবিষ্কার : নব্যপ্রস্তর যুগের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল আগুন আবিষ্কার । এইসময়ে মানুষ প্রথম কৃত্রিম আগুন তৈরির কৌশল আবিষ্কার করে । তারা আগুনে পোড়ানো মৃৎপাত্র তৈরির কৌশলও আবিষ্কার করে । 

চাকা আবিষ্কার : নব্যপ্রস্তর যুগের সাফল্যের অন্যতম ছিল ঢাকার আবিষ্কার । এইসময়ে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছিল । কাঠের চাকার তৈরি গাড়ি এই যুগের এক অনন্য আবিষ্কার । 

রাষ্ট্রব্যবস্থার সূচনা : নব্যপ্রস্তর যুগে মানুষ প্রথম যাযাবর জীবন বাদ দিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে । এই স্থায়ী বসবাস থেকে বিভিন্ন গোষ্ঠীর উদ্ভব হয় । আর এই গোষ্ঠী থেকেই নেতা পদটির উদ্ভব হয় , যা রাষ্ট্রনৈতিক ব্যবস্থার সূচনা করেছিল । আর এইভাবে ধীরে ধীরে প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে ওঠে । 

নব্যপ্রস্তর যুগের আর্থিক জীবন : নব্যপ্রস্তর যুগের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রধান ভিত্তি ছিল কৃষি ও পশুপালন ৷ 

ধর্মীয় বিশ্বাস : নব্যপ্রস্তর যুগের মানুষ বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তিকে বিশ্বাস করত । তবে পাথর কেটে মূর্তি নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল এই যুগেই । 

  1. নদীকেন্দ্রিক প্রাচীন সুমেরীয় সভ্যতার পরিচয় দাও । 

Ans: সূচনা : টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস এই দুই নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে যে ছোট্ট দেশটি ছিল প্রাচীন গ্রিকরা তার নাম দিয়েছিল মেসোপটেমিয়া । মেসোপটেমিয়া বলতে যে অঞ্চলকে বোঝাত তার উত্তরদিকে ছিল আসিরিয়া এবং দক্ষিণদিকে ছিল ব্যাবিলনিয়া । এই ব্যাবিলনিয়ার উত্তর অংশের নাম ছিল আক্কাদ আর দক্ষিণ অংশের নাম ছিল সুমের । এই সুমেরকে কেন্দ্র করে প্রাচীনকালে যে সভ্যতা গড়ে উঠেছিল তার নাম ছিল সুমেরীয় সভ্যতা । 

প্রাচীন সুমেরীয় সভ্যতার নানা দিক— 

নগরজীবন : 

নগর পরিকল্পনা : সুমেরীয় সভ্যতায় একাধিক নগর ও জনপদ গড়ে উঠেছিল । খননকাজের দ্বারা প্রাপ্ত এই অঞ্চলের বাড়ি , মন্দির এবং রাস্তাঘাটগুলির ধ্বংসাবশেষ এ সুষ্ঠু পরিকল্পনার ছাপ মেলে । 

শাসন পরিচালনা : সুমেরীয় নগরগুলিতে রাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রচলন ছিল । অনেক ক্ষেত্রে পুরোহিত শ্রেণি সুমেরীয় নগরগুলির শাসন পরিচালনা করত । প্রশাসন পরিচালনায় সাহায্যের লক্ষ্যে অভিজাতদের নিয়ে গঠন করা হয়েছিল এক কাউন্সিল । 

সমাজকাঠামো : প্রাচীন সুমেরীয় সমাজকাঠামো তিনভাগে বিভক্ত ছিল । 

উচ্চশ্রেণি : সমাজে উচ্চশ্রেণিভুক্ত ছিল পুরোহিত , অভিজাত , বণিক , শিল্পপতি এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীগণ । 

মধ্যশ্রেণি : এই শ্রেণিভুক্ত ছিল চিকিৎসক এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীগণ । 

নিম্নশ্রেণি : দাস ও সাধারণ শ্রমিকরা ছিল এই শ্রেণিভুক্ত । প্রাচীন সুমেরীয় সমাজে যুদ্ধবন্দিরাই দাস হিসেবে বিবেচিত হতো । 

অর্থনৈতিক কাঠামো : সুমেরের অর্থনৈতিক কাঠামো নির্ভরশীল ছিল কৃষি , পশুপালন , ব্যাবসাবাণিজ্যের ওপর । 

কৃষি : ( i ) উৎপাদিত ফসল : সুমেরবাসীর প্রধান জীবিকা ছিল কৃষিকাজ । ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদীর মধ্যবর্তী উর্বর অঞ্চলে প্রচুর কৃষিজ ফসল ফলত । ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদীর জল থেকে কৃষকরা সেচের চাহিদা মেটাত । তাদের প্রধান কয়েকটি কৃষিজাত ফসল ছিল গম , যব প্রভৃতি । সুমেরে বিভিন্ন শাকসবজি আর খেজুরও যথেষ্ট পরিমাণে উৎপাদিত হতো । 

( ii ) খেজুরের গুরুত্ব : খেজুর গাছ থেকে সুমেরবাসীর বিভিন্ন চাহিদা মিটত বলে তারা খেজুর গাছকে জীবনবৃক্ষ বা প্রাণবৃক্ষ বলত ।

পশুপালন : সুমেরবাসীর অপর একটি জীবিকা ছিল পশুপালন । সুমেরবাসীর প্রধান কয়েকটি গৃহপালিত পশু ছিল গোরু , ছাগল , ভেড়া । এই গৃহপালিত পশুগুলি থেকে তারা দুধ , মাংস , চামড়া ও পশম পেত । উন্নতমানের ভেড়ার পশম দিয়ে তারা দামি পশমি কাপড় বানাত । 

ব্যাবসাবাণিজ্য : কৃষি ছাড়া সুমেরীয় অর্থনীতির আর একটি উৎস ছিল বাণিজ্য । সুমেরীয় বণিকগণ বিক্রেতা নিয়োগের মাধ্যমে দুরবর্তী অঞ্চলগুলির সঙ্গে বাণিজ্য চালাত । বিক্রেতাগণ কমিশনের বিনিময়ে বণিকদের থেকে দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে বিক্রয় করত । প্যালেস্টাইন , ফিনিশিয়া , ক্রিট ও ইজিয়ান দ্বীপপুঞ্জ , এশিয়া মাইনর , প্রাচীন ভারত এবং প্রাচীন মিশরের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে সুমেরীয়দের বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল । 

সাহিত্য : 

গিলগামেশ মহাকাব্য : খ্রিস্টপূর্ব 2000 অব্দ নাগাদ সুমেরে গিলগামেশ মহাকাব্যটি রচিত হয়েছিল । এটি ছিল বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সাহিত্য । এতে রাজা গিলগামেশের বীরত্ব , সাফল্য ও ব্যর্থতার কাহিনি রয়েছে । 

সুমেরীয় সাহিত্যের মধ্যে পুরাণগুলি ছিল অন্যতম । 

লিপি : পণ্ডিতদের অনুমান সুমেরীয়রাই সর্বপ্রথম লিখন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিল । এক্ষেত্রে তাদের লিপি ছিল দু’রকম । একটি ছিল চিত্রলিপি এবং অপরটি কিউনিফর্ম লিপি । 

বিজ্ঞান : ধর্মীয় উৎসবগুলির সময়কাল বের করতে গিয়ে সুমেরীয়রাই জ্যোতির্বিজ্ঞানের উদ্ভাবন ঘটায় । তারা তারকা জলঘড়ি ও চন্দ্রপঞ্জিকা আবিষ্কার করে । চন্দ্রের আবর্তন প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে তারা বছরকে মাসে ভাগ করতে শেখে । 

আইন : প্রাচীন সুমেরে অপরাধ , সম্পত্তি , বাণিজ্য , ঋণ , চুক্তি প্রভৃতি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন রচিত হয়েছিল । 

শিল্পকলা : সুমেরীয়রা মৃৎশিল্প , ধাতু বা অলংকার শিল্প , বস্ত্রশিল্পে পারদর্শী ছিল । এছাড়াও তারা রোদে শুকানো ইট দিয়ে স্থাপত্যকীর্তি নির্মাণে পারদর্শিতা দেখিয়েছিল । ধাতব দ্রব্য , খোদাই করা মূর্তি প্রভৃতি ভাস্কর্যে সুমেরীয় শিল্পকলা প্রতিফলিত হয়েছে ।

 একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 11 Class 11th History Question and Answer / Suggestion / Notes Book

আরোও কিছু প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :-

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here

Class 11 Suggestion 2024 | একাদশ শ্রেণীর সাজেশন ২০২৪

আরোও দেখুন:-

Class 11 Bengali Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 English Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Geography Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 History Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Political Science Suggestion 2024 Click Here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Education Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Philosophy Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Sociology Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 Sanskrit Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 11 All Subjects Suggestion 2024 Click here

Info : West Bengal Class 11 History Qustion and Answer | WBCHSE Higher Secondary Eleven XI (Class 11th) History Suggestion 

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস সাজেশন – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর   

” একাদশ শ্রেণী ইতিহাস –  আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর  “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক একাদশ শ্রেণী পরীক্ষা (West Bengal Class Eleven XI  / WB Class 11  / WBCHSE / Class 11  Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 11 Exam / Class 11 Class 11th / WB Class 11 / Class 11 Pariksha  ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে একাদশ শ্রেণী ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( একাদশ শ্রেণী ইতিহাস সাজেশন / একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ও উত্তর । Class 11 History Suggestion / Class 11 History Question and Answer / Class 11 History Suggestion / Class 11 Pariksha History Suggestion  / History Class 11 Exam Guide  / MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer  / Class 11 History Suggestion  FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস একাদশ শ্রেণী ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 11 History Suggestion / West Bengal Eleven XI Question and Answer, Suggestion / WBCHSE Class 11th History Suggestion  / Class 11 History Question and Answer  / Class 11 History Suggestion  / Class 11 Pariksha Suggestion  / Class 11 History Exam Guide  / Class 11 History Suggestion 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015 / Class 11 History Suggestion  MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer. / Class 11 History Suggestion  FREE PDF Download) সফল হবে।

আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর  

আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর | আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) Class 11 History Question and Answer Suggestion  একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর।

আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণী ইতিহাস 

আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) Class 11 History Question and Answer Suggestion  একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর।

আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | একাদশ শ্রেণির ইতিহাস 

আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) Class 11 History Question and Answer Suggestion  একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

একাদশ শ্রেণি ইতিহাস  – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | Higher Secondary History  

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস (Higher Secondary History) – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর | আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) | Higher Secondary History Suggestion  একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর।

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  | একাদশ শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | Class 11 History Question and Answer Question and Answer, Suggestion 

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) | একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) | পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) | একাদশ শ্রেণী ইতিহাস সহায়ক – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর । Class 11 History Question and Answer, Suggestion | Class 11 History Question and Answer Suggestion  | Class 11 History Question and Answer Notes  | West Bengal Class 11 Class 11th History Question and Answer Suggestion. 

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর   – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE Class 11 History Question and Answer, Suggestion 

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  | আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) । Class 11 History Suggestion.

WBCHSE Class 11th History Suggestion  | একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর   – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়)

WBCHSE Class 11 History Suggestion একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  । আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) | Class 11 History Suggestion  একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।

Class 11 History Question and Answer Suggestions  | একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) | একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর 

Class 11 History Question and Answer  একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  Class 11 History Question and Answer একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন ও উত্তর – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর  । 

WB Class 11 History Suggestion  | একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর   – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর 

Class 11 History Question and Answer Suggestion একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Class 11 History Question and Answer Suggestion  একাদশ শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 11  History Suggestion  Download WBCHSE Class 11th History short question suggestion  . Class 11 History Suggestion   download Class 11th Question Paper  History. WB Class 11  History suggestion and important question and answer. Class 11 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ একাদশ শ্রেণির ইতিহাস পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। একাদশ শ্রেণী ইতিহাস পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the Class 11 History Question and Answer Question and Answer by Bhugol Shiksha .com

Class 11 History Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 11  History Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class Eleven XI History Suggestion | West Bengal Board WBCHSE Class 11 Exam 

Class 11 History Question and Answer, Suggestion Download PDF: WBCHSE Class 11 Eleven XI History Suggestion  is provided here. Class 11 History Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below. 

একাদশ শ্রেণী ইতিহাস – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 History Question and Answer 

        অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” একাদশ শ্রেণী ইতিহাস – আদিম মানব থেকে প্রারম্ভিক সভ্যতাসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 History Question and Answer  ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে  তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।