
নানা রঙের দিন (নাটক) দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর
HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer
নানা রঙের দিন (নাটক) দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer : নানা রঙের দিন (নাটক) দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই West Bengal WBCHSE HS Class 12th Bengali Nana Ronger Din Question and Answer, Suggestion, Notes | দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – নানা রঙের দিন (নাটক) থেকে রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal HS Class 12th Twelve XII Bengali 4th Semest Examination – পশ্চিমবঙ্গ দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা চতুর্থ সেমিস্টার পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষা তে এই সাজেশন বা কোশ্চেন নানা রঙের দিন (নাটক) দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।
তোমরা যারা নানা রঙের দিন (নাটক) দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা এই প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়ো এবং নীচে দেওয়া লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নাও।
| রাজ্য (State) | পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) |
| বোর্ড (Board) | WBCHSE, West Bengal |
| শ্রেণী (Class) | দ্বাদশ শ্রেণী (WB HS Class 12th) |
| বিষয় (Subject) | দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা (HS Class 12 Bengali) |
| নাটক (Natok) | নানা রঙের দিন (Nana Ronger Din) |
| লেখক (Writer) | অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় (Ajitesh Bandopadhyay) |
[দ্বাদশ শ্রেণীর সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নউত্তর Click Here]
নানা রঙের দিন (নাটক) দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal WBCHSE HS Class 12th Bengali Nana Ronger Din Natok Question and Answer
রচনাধর্মী | নানা রঙের দিন (নাটক) দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | WB HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Natok Descriptive Question and Answer:
1. ‘আমিও তো মানুষ, কালীনাথ।”-প্রসঙ্গ উল্লেখ করো। বর্ষা কেন এরূপ মন্তব্য করেছেন?
Ans: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় যখন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মাঝরাতে শুন প্রেক্ষাগৃহের ফাঁকা মঞ্চে বিলাপ করছেন তখন সেখানে প্রম্পটর কালীনাথের আগমন ঘটে। হতাশ রজনীকান্তকে সে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু তাতে রজনীকান্তের বিলাপ আরখ তীব্রতর হয়ে ওঠে। একদিকে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের নিঃসঙ্গতা অন্যদিকে এক নাটা অভিনেতার সামাজিক অবস্থান-এই দুইতে মিলে তাঁর হতাশা গভীরতর হয়। রজনীকান্তের এই দুঃখ কালীনাথকে বিস্মিত করে, আর তার বিস্ময়ের উত্তরেই রজনীকান্ত এই মন্তব্যটি করেন।
ফুরিয়ে আসা অভিনয় জীবন। আটয়টি বছর বয়সে এসে রজনীকান্ড চট্টোপাধ্যায় ব্যক্তিগত এবং অভিনয় জীবন নিয়ে গভীর হতাশার শিকার হয়েছেন। এখনও তাঁর অভিনয় দর্শকদের প্রশংসা কুড়োলেও অভিনয়ের সোনালি দিনগুলি এখন অতীত। নিঃসঙ্গ জীবন। দীর্ঘ অভিনয়জীবনে রজনীকান্ত উপলখি করেছেন যে, অভিনেতার যাবতীয় কদর মঞ্চের উপরেই। তারপরে কেউ আর তাকে মনে রাখে না। কোনো অভিনেতার এই অবস্থায় একমাত্র আশ্রয় হতে পারে তার পরিবার। কিন্তু রজনীকান্তের সেটাও নেই। “মরবার সময় মুখে দু-ফোঁটা জল দেয় এমন কেউ নেই আমার।” দর্শক তার জন্য কিছু করবে না, স্ত্রী-সন্তান, সঙ্গীসাথি কেউই নেই তার। অথচ একদিন এই অভিনয়ের জন্যই তিনি পুলিশের চাকরি ছেড়েছিলেন, অভিনয় ছাড়তে পারবেন না বলেই তাঁর জীবনের একমাত্র প্রেম-সম্পর্কটিও ভেঙে গিয়েছিল। জীবনের শেষপ্রান্তে এসে এই একাকিত্ব এবং হতাশা রজনীকান্তের কাছে যেন অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
2. “থিয়েটারের দেয়ালে দেয়ালে অ্যারের গভীর কালো অক্ষরে লেখা, আমার জীবনের পঁয়তাল্লিশটা বছর”- এই জীবনের যে কাহিনি বক্তা উল্লেখ করেছেন তা নিজের ভাষায় লেখো।
Ans: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকটি মূলত কেন্দ্রীয় চরিত্র প্রবীণ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতির পথ বেয়ে জীবনকে উপলজির প্রয়াস। গভীর রাতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁর এই আত্মপোলব্ধির দোসর হয়েছেন প্রম্পটার কালীনাথ সেন। কালীনাথের সঙ্গে রজনীকান্তের দীর্ঘ সংলাপে উঠে এসেছে তাঁর ফেলে আসা জীবনের গল্প। যৌবনের রূপ, আদর্শ, প্রভাব-প্রতিপত্তি, প্রেম, নারী-সবই যেন ফ্ল্যাশব্যাকের মতো ভেসে উঠেছে তাঁর উত্তর চোখে। যৌবনে পুলিশ ইনস্পেকটরের চাকরি ছেড়ে নাটকের জগতে এসেছিলেন তিনি। তবে নাটকে এসে তাঁর নামডাক হয়েছিল যথেষ্টই। নাটকের সূত্রেই প্রেম এসেছিল তাঁর জীরনে। ধনী পরিবারের সুন্দরী মেয়ে তাঁর প্রেমে পড়লেও তা পরিণতি পায়নি। প্রেমিকার দেওয়া থিয়েটার ছাড়ার প্রস্তাব মেনে নিতে পারেননি রজনীকান্ত। থিয়েটার আর সম্পর্কের দ্বন্দ্বে সেদিন থিয়েটারকেই বেছে নিয়েছিলেন বৃজনীবাবু। কিন্তু পরবর্তীকালে তিনি উপলব্ধি করেছিলেন অভিনেতা জীবনের অর্থহীনতা। অভিনেতার যা কিছু মূলা তা শুধুমাত্র মঞ্চেই, সমাজজীবনে তাঁর কোনো গুরুত্বই নেই। তাঁর ব্যক্তিগত ও অভিনয় জীবনের নিঃসঙ্গতা আর হতাশাই থিয়েটারের দেয়ালে কালো অক্ষরে লেখা আছে বলে মনে করেন রজনীকান্তবাবু।.
3. “ও কী বলল জানো?” ‘ও’ বলতে এখানে কার কথা বলা হয়েছে? সে কোন পরিস্থিতিতে কী কথা, কাকে বলেছিলেন?
Ans: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে ‘ও’ বলতে বক্কা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় তাঁর যৌবনের প্রেমিকার কথা বুঝিয়েছেন।
আটষট্টি বছরের বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ড চট্টোপাধ্যায় নাটকের অভিনয়ের শেষে অতিরিক্ত মদ্যপান করে গভীর রাতে শূন্য প্রেক্ষাগৃহের মঞ্চের উপরে এসে দাঁড়ান। সেই সময় প্রম্পটার কালীনাথের সঙ্গে কথা বলতে বলতে অতীতের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তাঁর মনে পড়ে ফেলে আসা অভিনয়ের সোনালি দিনগুলি ও প্রেমিকার কথা। ‘ইন্সপেক্টর অফ পুলিশ’ এর চাকরি ছেড়ে তিনি তখন প্রবেশ করেছেন থিয়েটারের জগতে। আলমগিরের ভূমিকায় ( রজনীকান্তের অভিনয় দেখে একটি মেয়ে তাঁর প্রেমে পড়ে। ধর্মী পরিবারের সেই মেয়েটি দেখতেও ছিল বেশ সুন্দর। মনটা ছিল তার সরল, কোনো ঘোরপ্যাঁচ তখনও সেই মনে স্থান করে নিতে পারেনি। রজনীকান্তবাবুর মতে, তার এই অমলিন নারীসত্তার মধ্যেই কোথাও লুকিয়ে ছিল আগুন। মেয়েটির টানা টানা কালো চোখে রজনীকান্ড দেখতে পেতেন অচেনা দিনের আলো। তার কালো চুলের ঢেউতে ছিল এক আশ্চর্য শক্তি। অভিনয় জগতে সেদিন। নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিশ্চিন্ত রজনীকান্ত একসময় সেই মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু সেই মেয়েটি শর্ত দেয় যে, একমাত্র থিয়েটার করা ছেড়ে দিলেই তাদের বিয়ে সম্ভব হবে। এখানে মেয়েটির দেওয়া সেই শর্তের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে।
4. “সেই রাত্রেই জীবনে প্রথম মোক্ষম বুঝলুম যে, যারা বলে ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প- তারা সব গাধা-গাধা।”-বক্তা কখন এবং কেন এরকম সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন নিজের ভাষায় আলোচনা করো।
Ans: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় জীবনের শুরুতে তাঁর অভিনয় দেখে একটি মেয়ের মধ্যে মুগ্ধতার সৃষ্টি হয়। প্রম্পটার কালীনাথ সেনের সঙ্গে অনেকটা স্বগতোক্তির ভঙ্গিতে কথা বলতে বলতে রজনীকান্তবাবুর মনে পড়ে যায় নিজের যৌবনের সেইসব কথা। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তিনি কালীনাথবাবুকে বলেন যে, ধনীবাড়ির এক সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে তাঁর ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হলে তিনি তাঁর প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু মেয়েটির শর্ত ছিল, থিয়েটার ছাড়লেই তার পক্ষে রজনীকান্তবাবুকে বিয়ে করা সম্ভব। মুহূর্তের মধ্যে তাঁর মনে এতদিনের অভিনয়ের মাধ্যমে অর্জন করা গর্ব, খ্যাতি, মোহ আর অহংকারের প্রাচীর যেন ভেঙে পড়ে। সেসময় প্রেমের সম্পর্কের পরিবর্তে তিনি অভিনয়কেই বেছে নেন। এরকম পরিস্থিতিতেই বস্তা উক্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন।
প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার রাতে একটি বাজে হাসির নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে রজনীকান্তবাবু অভিনেতার জীবনের সারসত্যটি উপলব্ধি করেন। তাঁর মনে হয় অভিনয়কে যাঁরা পবিত্র শিল্প বলেন, তাঁরা হয় গাধা না হয় মিথ্যা কথা বলেন। কারণ, অন্তরে সে-কথা তাঁরা বিশ্বাস করেন না। অভিনেতা শব্দটি জোকার, ক্লাউন কিংবা তাঁড়েরই নামান্তর মাত্র, যার কোনো সামাজিক সম্মান বা স্বীকৃতি নেই।
5. “অভিনেতা মানে একটা চাকর-একটা জোকার, একটা ক্লাউন। লোকেরা সারাদিন খেটেখুটে এলে তাদের আনন্দ দেওয়াই হল নাটক-ওয়ালাদের একমাত্র কর্তব্য”- বক্তার কথার তাৎপর্য আলোচনা করো।
Ans: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় অভিনয় জীবনের শেষপ্রান্তে এসে অভিনেতার সামাজিক অবস্থান নিয়ে গভীর হতাশার শিকার হয়েছেন। একদিন পুলিশের চাকরি ছেড়ে অভিনয়কে সর্বস্ব করে নিয়েছিলেন তিনি। অনেক খ্যাতিও হয়েছিল তাঁর। কিন্তু এই খ্যাতি বা কদর সবই ততক্ষণের জন্য যতক্ষণ একজন অভিনেতা মঞ্চের উপরে থাকেন। সমাজ অভিনেতাকে আপন করে নেয় না। তাই যে অভিনয়সূত্রেই তাঁর জীবনে একমাত্র প্রেম সম্পর্কটি এসেছিল তা পরিণতি পায়নি। কারণ রজনীকান্তকে থিয়েটার ছেড়ে দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছিল। এখান থেকেই তাঁর উপলব্ধি হয় যে, “যারা বলে “নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’ তারা সব গাধা”- তাঁরা মিথ্যে কথা বলেন। অভিনেতাদের একমাত্র কাজ সারাদিনের পরিশ্রান্ত মানুষদের আনন্দ দেওয়া। অর্থাৎ “একটা ভাঁড় কি মোসায়েবের যা কাজ তাই।” জনসাধারণ অভিনয়ের প্রশংসা করে হাততালি দেবে, কিন্তু স্টেজ থেকে নামলেই একজন অভিনেতার পরিচয় সে ‘থিয়েটারওয়ালা’, ‘নকলনবীশ’ কিংবা ‘অস্পৃশ্য ভাঁড়’। দর্শক অভিনেতার সঙ্গে আলাপে আগ্রহী হবে, হয়তো চা-সিগারেটও খাওয়াবে, কিন্তু সে-সবই বাইরের দুনিয়ায় এই পরিচয়সূত্রে নিজেকে জাহির করার জন্য। কোনো সামাজিক সম্মান অভিনেতার জন্য নেই। থিয়েটার অভিনেতার সঙ্গে কোনো বৈবাহিক সম্পর্কও কেউ স্থাপন করবে না। নিজের জীবন থেকে এই উপলব্ধিই রজনীকান্তের হয়েছিল।
6. “এই পবিত্রতার নামাবলিটা সেদিন হঠাৎই ফাঁস হয়ে গেল আমার সামনে হঠাৎ।”- বক্তার এই মন্তব্যের কারণ আলোচনা করো।
Ans: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুবাদ নাটক ‘নানা রঙের দিন’-এ দেখা যায়, দর্শকশূন্য অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে নাট্যাভিনয় শেষ হয়ে যাওয়ার পরে মঞ্চে একা অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় তাঁর অতীত জীবনের স্মৃতিচারণ করে চলেছেন।
অতীতের কথা মনে করতে গিয়ে রজনীকান্ত যেমন তাঁর অভিনয় জীবনের রঙিন দিনগুলিকে মনে করেছেন, ঠিক তেমনই ব্যক্তিগত জীবনের গ্লানিও তাঁর স্মৃতিতে উঠে এসেছে। স্ত্রী-পুত্র আত্মীয়স্বজনহীন নিঃসঙ্গ রজনীকান্তের মনে পড়েছে তাঁর একমাত্র প্রেমের কথা। মেয়েটি অভিনয় দেখে রজনীকান্তের প্রেমে পড়লেও একমাত্র থিয়েটার ছাড়ার শর্তেই বিয়েতে রাজি হবে বলে জানায়। কিন্তু অভিনেতা হিসেবে রজনীকান্ত তখন খ্যাতির শীর্ষে, তাঁর মনে তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রবল উচ্চাশা। ফলে একান্তই শিল্পীসত্তর টানে তাঁকে সেই সম্পর্ক ভাঙতে হয়। অভিনয়ের সঙ্গে বাক্তিগত ও সামাজিক জীবনের এই দ্বন্দ্ব রজনীকান্তের মনে তীব্র যন্ত্রণার সৃষ্টি করে। তিনি উপলব্ধি করেন, দর্শকদের আনন্দ দেওয়াই অভিনেতন্ত্র একমাত্র কাজ। যাবতীয় হাততালি বা প্রশংসা সবই শুধু মরে অভিনয়ের জন্য। কিন্তু মঞ্চের বাইরে সমাজজীবনে অভিনেতার কোনো সামাজিক স্বীকৃতি নেই। তার সঙ্গে পারিবারিক বা ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে কেউই আগ্রহী হয় না।
7. প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ। এই অপমৃত্যু কীভাবে ঘটে বলে বক্তা মনে করেন?
Ans: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের উল্লিখিত অংশটির বস্তা হলেন বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়।
গভীর রাতে মঞ্চের উপরে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় শুন অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহের দিকে তাকিয়ে জীবনের ফেলে আস দিনগুলিকে মনে করেছেন। তীব্র হতাশা এবং কষ্টবোধে ভুগেছেন তিনি। নিজের যৌবনে পুলিশ ইনস্পেকটরের চাকরি ছেড়ে নাটকের জগতে এসেছিলেন তিনি। নাটকের কারণেই তাঁর নামডাক হয়েছিল। ধনী মানুষের একমাত্র মেয়ের সঙ্গে জীবনের একমাত্র প্রেম সম্পর্কটিও হয়েছিল এই অভিনয়ের সুত্রেই। কিন্তু সেই সম্পর্ক ভেঙেও গিয়েছিল এই অভিনয়কে ছাড়তে না পারার জন্যই। অয়। তখন থেকেই রজনীকান্ত উপলব্ধি করেছিলেন অভিনেতার জীবনের। অর্থহীনতাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিনেতা হিসেবে তাঁর কদরও কমল। গলার কাজ নষ্ট হল, চরিত্রকে বোঝার এবং ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতাও নষ্ট হয়ে গেল। আর এ কারণেই হতাশ রজনীকান্তের মনে হল থিয়েটারের দেওয়ালে কেউ অদযশ্য কালে হাতে যেন লিখে দিয়ে গেছে তাঁর প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ।
8. “কী সহজে এক-একটা চরিত্র বুঝতে পারতাম-কী আশ্চর্য সব নতুন রঙের চরিত্রগুলো চেহারা পেত…”- বক্তার এ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
Ans: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে বৃদ্ধ অভিনেত রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় স্মৃতির পথ ধরে তাঁর অতীতের অভিনয় জীবনকে মনে করেছেন। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় শূন্য প্রেক্ষাগৃহে মর্গে ওপরে দাঁড়িয়ে একের পর এক তাঁর অতীতের অভিনয়ের চরিজে সংলাপগুলি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বলার মধ্য দিয়ে এক ধরনে লুকোনো গর্ব আর অহংকার ধরা পড়েছে তাঁর কথায়। ‘রিজিয়া নাটকে বক্তিয়ারের চরিত্রে অভিনয় তাঁর স্মৃতিকে নাড়া দেয় জীবনের ভয় দেখাও সম্রাজ্ঞী। বক্তিয়ার মরিতে প্রস্তুত সদা।” প্রশ্নটার কালীনাথকে সামনে রেখে রজনীকান্ত, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকের ঔরঙ্গজেবের চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন- “যা করেছি ধর্মের জন্য। যদি অন্য উপায়ে সম্ভব হত। উঃ কী অন্ধকার। কে দায়ী? আমি। এ বিচার। ও কী শব্দ? না. বাতাসের শব্দ।”-পরিবারের সবাইকে খুন করে সিংহাসনে বসা ঔরঙ্গজেবের চরিত্রে যে প্রবল জন্ম সৃষ্টি হয়েছে, তা অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলে রজনীকান্ত ফিরে গেছেন তাঁর সোনালি অতীতে। বৃদ্ধ বয়সের ফুরিয়ে যাওয়ার যন্ত্রণা ভুলে নিজের অভিনয় প্রতিভার অবশেষকে যেন খুঁজে পান রজনীকান্ত।” আমার প্রতিভা এখনও মরেনি, শরীরে যদি রক্ত থাকে, তাহলে সে রক্তে মিশে আছে প্রতিভা।” স্মৃতির পথ ধরে এভাবেই বেঁচে থাকার রসদ খোঁজেন বর্তমানে নেহাতই নগণ্য দিলদারের চরিত্রাভিনেতা রজনীকান্ত।
9. “আমার প্রতিভা এখনও মরেনি, শরীরে যদি রক্ত থাকে, তাহলে সে রক্তে মিশে আছে প্রতিভা।”-মন্তব্যটির প্রেক্ষাপট আলোচনা করো।
Ans: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় তাঁর বয়সের ভাবে হতাশার শিকার হয়েছেন। আর সে কারণেই স্মৃতির পথ ধরে তিনি ফিরে যেতে চেয়েছেন অতীতে তাঁর অভিনয়ের স্বর্ণযুগে। কখনও ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরঙ্গজেবের চরিত্রে, কখনও রিজিয়া’র বক্তিয়ার চরিত্রে নিজের অভিনয়ের কথা মনে পড়েছে তাঁর। আর বৃদ্ধ বয়সে উত্তর দর্শকশূন্য অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে মনের উপরে দাঁড়িয়ে সেইসব চরিত্রের সংলাপ উচ্চারণ করেছেন তিনি। এরকমভাবেই তাঁর মনে গড়েছে ‘সাজাহান’ নাটকের সেই দৃশ্যের কথা যেখানে সবাইকে হত্যা করে ঔরঙ্গজেব সিংহাসন গেয়েছেন। মধ্যরাতে একা প্রবল আযুদ্বন্দ্ব আর যন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত ঔরঙ্গজেবের সংলাপ উঠে আসে রজনীকান্তের মুখে। আর সেই সংলাপ উচ্চারণ করেই তাঁর মনে হয়েছে বয়সকে হার মানিয়ে তাঁর অভিনয়ের প্রতিভা এখনও স্বমহিমায় আছে। প্রকৃত শিল্পসত্তা কখনোই চাপা পড়ে থাকে না বা বয়সের কাছে হার মানে না-অভিনেতা রজনীকান্তের এই বক্তব্য যথার্থতা পেয়েছে। অতীতে প্রতিভার চরম বিকাশে তিনি নাট্যমঞ্চে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। রক্তে মিশে থাকা অভিনয় প্রতিভার জন্যই পুলিশের চাকরি রজনীকান্তের ভালো লাগেনি। নিজের শিল্পীসত্তার টানেই তিনি থিয়েটারে যোগ দেন। আর তাঁর এই প্রতিভা বৃদ্ধ বয়সেও একইরকম আছে বলেই মনে করেন রজনীকান্তবাবু।
10. আচ্ছা পাগলের পাল্লায় পড়া গেছে যা হোক।”-‘পাগল’ বলতে এখানে কার কথা বলা হয়েছে? কোন পরিস্থিতিতে এই মন্তব্য করেছিলেন?
Ans: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুবাদ নাটক ‘নানা রঙের দিন’-এ ‘পাগল’ বলতে রামব্রিজের কথা বলা হয়েছে।
আলোচ্য নাটকে গভীর রাতে অভিনয়ের শেষে শূন্য প্রেক্ষাগৃহে মঞ্চের ওপরে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বুদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর হাতে ছিল একটা জ্বলন্ত মোমবাতি, পরনে ছিল দিলদারের পোশাক। রজনীকান্তের স্বগতোক্তি থেকে জানা যায় যে, অতিরিক্ত মদ্যপানের জন্য সেদিন অভিনয়ের পর তিনি গ্রিনরুমেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। নিঝুম, অন্ধকার রাতে কেবল নিজের গলাটাই ঘুরেফিরে কানে আসে রজনীকান্তের। তাই তিনি একটু ভয়ও পেয়ে যান। আগের রাতেও ঠিক একই ঘটনা ঘটলেও রামব্রিজ এসে তাঁকে ঘুম থেকে তুলে ট্যাক্সি ডেকে বাড়ি পৌঁছোনোর ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। এই কাজের জন্য সন্ধেবেলাতে রজনীকান্ত তাকে নগদ তিন টাকা বকশিশও দেন। আর এর ফলেই ঘটে বিপত্তি। রজনীকান্তের থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে রামব্রিজ প্রচুর পরিমাণে ধেনো মদ খেয়েছে। তাই সে-ও আজ নেশার ঘোরে আচ্ছন্ন এবং অজ্ঞান হয়ে কোথাও পড়ে আছে। তাই অনেক ডাকার পরও রামব্রিজের দেখা না পাওয়ায় গভীর রাতে রজনীকান্তের পক্ষে বাড়ি যাওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। আর এই পরিস্থিতিতেই রজনীকান্ত আলোচ্য মন্তব্যটি করেছিলেন।
11. মুখের ভেতরটা যেন অডিটোরিয়াম-ইন্টারভ্যালে সব দর্শকরা হাঁটাহাঁটি লাগিয়ে দিয়েছে”-মন্তব্যটির প্রেক্ষাপট আলোচনা করো।
Ans: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুবাদ -নাটক নোনা রঙের দিন’-এ এক পেশাদারি থিয়েটারের ফাঁকা মঞ্চে অন্ধকার রাতে শুন্য প্রেক্ষাগৃহে দেখা যায় আটষট্টি বছরের বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়কে। রজনীকান্তের পরনে দিলদারের পোশাক, হাতে। জ্বলন্ত মোমবাতি। রজনীকান্তের কথা থেকে জানা যায়, অভিনয়ের পরে অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে নেশার ঘোরে তিনি গ্রিনবুমে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঘুম থেকে জেগে উঠে তিনি দেখেন শাজাহান-জাহানারা সহ বাকি সব চরিত্রাভিনেতা চলে গিয়েছে। গভীর রাতে মঞ্চে তিনি একা রয়েছেন। নিঝুম রাতের শূন্য প্রেক্ষাগৃহে ট্যাক্সি ডেকে দেওয়ার জন্য রামব্রিজকে ডেকেও সাড়া পান না তিনি। তাঁর মনে পড়ে যায় আগের রাতে তাঁকে বাড়ি যাবার ব্যবস্থা করে। দেওয়ার জন্য রামব্রিজকে তিনি তিন টাকা বকশিশ দিয়েছেন। সেই টাকাতেই ‘রামধেনো’ কিনে তাঁকে দেড় বোতল খাইয়ে গেছে রামব্রিজ এবং সে নিজেও হয়তো কোথাও নেশার ঘোরে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে আছে। অসহায় প্রবীণ রজনীকান্তের মনে হয় অতিরিক্ত মদ্যপানে তাঁর বুকের ভেতরটা থরথর করে কাঁপছে আর শারীরিক কষ্ট হচ্ছে। থিয়েটারে নিবেদিতপ্রাণ রজনীকান্তের অবচেতন মনেও কাজ করে চলে থিয়েটারের দৃশ্যপট। তাই মুখের ভিতরটা শুকিয়ে আসার যে কষ্ট তিনি অনুভব করেছেন, তার সঙ্গে তুলনা করেছেন অডিটোরিয়ামে ইন্টারভ্যাল চলাকালীন দর্শকদের হাঁটাহাঁটির মতো বিশৃঙ্খলার দৃশ্যকে।
12. “জীবনে ভোর নেই, সকাল নেই, দুপুর নেই, সন্ধেও ফুরিয়েছে এখন শুধু মাঝবাত্তিরের অপেক্ষা” এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বক্তার যে মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে তা আলোচনা করো।
Ans: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুবাদ নাটক ‘নানা রঙের দিন’-এ প্রধান চরিত্র বৃন্দ্য অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থিয়েটার শেষে ফাঁকা মঞ্চের উপরে দাঁড়িয়ে নিজের মুখোমুখি হয়েছেন। জীবনের আটষট্টিটা বছর পার করে যৌবনে অভিনয়ের সোনালি দিনগুলির কথাই তাঁর বারেবারে মনে পড়ে। জীবনের শ্রেষ্ঠতম মুহূর্তগুলিকে পেছনে ফেলে আসার যন্ত্রণা অভিনেতা রজনীকান্তকে কষ্ট দেয়। তিনি উপলব্ধি করেন যে, নিশ্চিত মৃত্যুব দিকে এগিয়ে চলেছেন তিনি। এভাবে জীবন-সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে অভিনেতা রজনীকান্ত চূড়ান্ত হতাশার মুখোমুখি হয়েছেন। এই হতাশা শুধু তাঁর ব্যক্তিজীবনেরই নয়, অভিনয় জীবনেরও। অভিনেতা হিসেবে যখন অতীতই শুধু সম্বল, জীবনের সব স্বপ্নগুলো ক্রমশ মুছে যেতে চলেছে মৃত্যুর অন্ধকারে নেশার ঝোঁকে সেই নির্মম বাস্তবেরই যেন মুখোমুখি হয়েছেন রজনীকান্ড। বৃদ্ধ বয়সে যখন সবাই নিশ্চিন্ত জীবনযাপন করতে চান, মাপজোখ করে খাওয়াদাওয়া করেন, নাম-সংকীর্তন আর ভগবানে আশ্রয় খোঁজেন, তখন রজনীকান্তের ভিতরে যে অস্থিরতা তা যেন শিল্পীসত্তার জীর্ণ হৃদয়ের যন্ত্রণা। ভালো কাজের ইচ্ছে থাকলেও সুযোগ আর বেশিদিন তাঁর কাছে নেই-সেই আক্ষেপ আর আশঙ্কাই রজনীকান্তকে হতাশ করে তুলেছে।.
13. “আমি লাস্ট সিনে প্লে করব না ভাই…”-কে, কোন প্রসঙ্গে মন্তব্যটি করেছেন আলোচনা করো।
Ans: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুবাদ নাটক ‘নানা রঙের দিন’-এ বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় মধ্যরাতে ফাঁকা মধ্যে মদ্যপান। করে নিজেই নিজেকে উদ্দেশ করে আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।
নেশাগ্রস্ত রজনীকান্ত তাঁর বৃদ্ধাবস্থায় উপলব্ধি করেন যে, তাঁর আন্তরসত্তা যেন জেগে উঠেছে। সে তাঁকে শরীরের দিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছে। অন্যদিকে, বাইরের মানুষটা অর্থাৎ তাঁর বাহ্যিক সত্তা অনুভব করে যে, প্রতিদিন অর্ধেক শিশি কলপ লাগিয়ে বয়সকে হয়তো কিছুটা আড়াল করা যায়, কিন্তু সময়ের সঙ্গে যা চলে যায় তা আর কখনও ফেরে না। এইভাবে রজনীকান্তের দুটি সত্তার অন্তর্ষন্দ্বের মধ্যে তিনি দেখতে পান বয়সের সঙ্গে মৃত্যুর দিকে তাঁর স্পষ্ট এগিয়ে চলা জীবনে ভোর নেই, সকাল নেই, দুপুর নেই, সন্ধেও ফুরিয়েছে এখন শুধু মাঝরাত্তিরের অপেক্ষা”। অথচ মৃত্যুর প্রান্তে দাঁড়িয়েও তাঁর ভিতরের শিল্পীসত্তা মরতে চায় না। তাই জীবনের শেষ দৃশ্যের অভিনয় করতে তিনি রাজি নন। অথচ বাইরের মানুষটা বুঝতে পারে যে, জীবনের অভিম পর্যায়ে শ্মশানঘাটের দৃশ্যের অভিনয়ে থাকবে পরিচিত বন্ধুবান্ধবেরা আর উইংসে উপস্থিত হবে পরপারের দূত। এটি নিয়তির অব্যর্থ বিধান, তাই না চাইলেও জীবনের শেষ দৃশ্যে অভিনয় করতেই হবে। তাঁকে। মৃত্যুর নিশ্চিত হাতছানিতে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়েই অভিনেতা রজনীকান্ড চট্টোপাধ্যায় আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।
14. “আমি রোজ লুকিয়ে লুকিয়ে গ্রিনরুমে ঘুমোই চাটুজ্জে মশাই-কেউ জানে না” – বক্তা কে? তিনি কেন গ্রিনরুমে ঘুমান?
Ans: প্রশ্নোদৃত উক্তিটি অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিনা নাটকের অংশ। উদ্ধৃতিটির বস্তা হলেন থিয়েটারের প্রম্পটার কালীনাথ সেন।
প্রায় ষাট বছর বয়সি বৃদ্ধ কালীনাথ সেন ময়লা পাজামা পরে, কালো চাদর গায়ে দিয়ে, এলোমেলো চুল নিয়ে গভীর রাতে মঞ্চে প্রবেশ করেছিলেন। নেশাগ্রস্ত রজনীকান্ত তাঁকে দেখে অবাক হয়ে গেলে কালীনাথ প্রশ্নোদৃত উক্তিটি করেন। এরপরই হতদরিদ্র প্রম্পটার কালীনাথ রজনীকান্ডকে গ্রিনরুমে ঘুমোনোর কারণটা বলেন কালীনাথ নেহাতই হাঘরে, তার শোওয়ার কোনো জায়গা নেই। একারণেই তিনি রাতে থিয়েটার-হলের গ্রিনরুমেই ঘুমান। কালীনাথের এই গোপন আস্তানার কথা কেউ জানে না স্বাভাবিকভাবেই। এ কথা থিয়েটার-মালিকের কানে গেলে কালীনায় ‘একেবারে বেঘোরে মারা পড়বেন। বৃদ্ধ কালীনাথ তাই রজনীকান্তকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করেন এ কথাটা মালিকের কানে না তুলতে।
15. “ধু-ধু করা দুপুরে জ্বলন্ড মাঠে বাতাস যেমন একা-যেমন সঙ্গীহীন-তেমনি -কে, কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন আলোচনা করো।
Ans: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন।
নাটকের অভিনয় শেষে প্রেক্ষাগৃহ যখন নিস্তপ্ন ও জনশূন্য, তখন মঞ্চের উপরে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় যেন নিজেরই মুখোমুখি হয়েছেন। নিজের বৃদ্ধবয়স, অভিনয়ের সোনালি দিনগুলির সময় ক্রমশ পিছনে চলে যাওয়া এসব অভিনেতা রজনীকান্তকে চঞ্চল করে তুলেছে। মনের যন্ত্রণাকে ভুলে থাকার জন্যই নেশার ঘোরে ডুবে যান তিনি। আটষট্টি বছরের রজনীকান্তবাবু এক নিদারুণ একাকিত্বের মুখোমুখি হন, যে একাকিত্বের দোসর অভিনেতার যন্ত্রণা। তিনি উপলব্ধি করেন, যতক্ষণ একজন অভিনেত মঞ্চে অভিনয় করেন ততক্ষণই তাঁর কদর। তার বাইরে অভিনেতার খোঁজ কেউই রাখে না। গভীর রাতে মাতাল অবস্থায় মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়কে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাই কেউই থাকে না। ব্যক্তিগত জীবনে নিঃসঙ্গ রজনীকান্ত উপলগি করেন যে, আদর করে কথা বলার মতো এই বিশাল পৃথিবীতে তাঁর নিজের কেউই নেই। মরার সময় দু-ফোঁটা জল দেওয়ার জনাও কেউ নেই তাঁর। এই একাকিত্বের তীব্র হতাশা আর নিরাশ্রয়তার বোধ থেকে যে যন্ত্রণা সৃষ্টি হয় রজনীকান্তের মনে, তার উল্লেন প্রসঙ্গেই তিনি ধু-ধু করা দুপুরে জ্বলন্ত মাঠে একা, নিঃসঙ্গ বাতাসের সঙ্গে নিজের তুলনা করেছেন।
HS Class 12 3rd Semester (Third Unit Test) Question and Answer :
- HS Class 12 Bengali 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 English 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 Geography 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 History 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 Education 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 Political Science 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 Philosophy 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 Sociology 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 Sanskrit 3rd Semester Question Click here
- HS Class 12 All Subjects First Semester Question Click here
HS Class 12 4th Semester (Forth Unit Test) Question and Answer :
- HS Class 12 Bengali 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 English 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 Geography 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 History 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 Education 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 Political Science 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 Philosophy 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 Sociology 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 Sanskrit 4th Semester Question Click here
- HS Class 12 All Subjects 4th Semester Question Click here
Higher Secondary All Subject Suggestion – উচ্চমাধ্যমিক সমস্ত বিষয়ের সাজেশন
আরোও দেখুন:-
HS Bengali Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 English Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 Geography Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 History Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 Political Science Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 Education Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 Philosophy Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 Sociology Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 Sanskrit Suggestion Click here
আরোও দেখুন:-
Class 12 All Subjects Suggestion Click here
◆ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি, বিনামূল্যে নোটস, সাজেশন, PDF ও সমস্ত আপডেটের জন্য আমাদের WhatsApp Group এ Join হয়ে যাও।
| Class 12 WhatsApp Groups | Click Here to Join |
দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal HS Class 12th Bengali Question and Answer / Suggestion / Notes Book
আরোও দেখুন :-
দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here
FILE INFO : নানা রঙের দিন (নাটক) দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer with FREE PDF Download Link
| PDF File Name | নানা রঙের দিন (নাটক) দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer PDF |
| Prepared by | Experienced Teachers |
| Price | FREE |
| Download Link | Click Here To Download |
| Download PDF | Click Here To Download |
নানা রঙের দিন (নাটক) অধ্যায় থেকে আরোও বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :
Update
[আরও দেখুন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন রচনা – Rabindranath Tagore Biography in Bengali]
[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now]
Info : নানা রঙের দিন (নাটক) দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর
HS Class 12 Bengali Suggestion | West Bengal WBCHSE Class Twelve XII (HS Class 12th) Bengali Question and Answer Suggestion
” নানা রঙের দিন (নাটক) দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Twelve XII / WB HS Class 12 / WBCHSE / HS Class 12 Exam / West Bengal Council of Higher Secondary Education – WB HS Class 12 Exam / HS Class 12th / WB HS Class 12 / HS Class 12 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর ( দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন / দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ও উত্তর । Class-11 Bengali Suggestion / HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer / HS Class 12 Bengali Suggestion / Class-11 Pariksha Bengali Suggestion / Bengali HS Class 12 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / HS Class 12 Bengali Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর (HS Class 12 Bengali Suggestion / West Bengal Twelve XII Question and Answer, Suggestion / WBCHSE HS Class 12th Bengali Suggestion / HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer / HS Class 12 Bengali Suggestion / HS Class 12 Pariksha Suggestion / HS Class 12 Bengali Exam Guide / HS Class 12 Bengali Suggestion 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030 / HS Class 12 Bengali Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Class-11 Bengali Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।
নানা রঙের দিন (নাটক) বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর
নানা রঙের দিন (নাটক) বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | নানা রঙের দিন (নাটক) HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer Suggestion দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – নানা রঙের দিন (নাটক) বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।
নানা রঙের দিন (নাটক) SAQ সংক্ষিপ্ত বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা
নানা রঙের দিন (নাটক) SAQ সংক্ষিপ্ত বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | নানা রঙের দিন (নাটক) HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer Suggestion দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – নানা রঙের দিন (নাটক) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – নানা রঙের দিন (নাটক) প্রশ্ন উত্তর | HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer Question and Answer, Suggestion
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – নানা রঙের দিন (নাটক) | দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – নানা রঙের দিন (নাটক) | পশ্চিমবঙ্গ দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – নানা রঙের দিন (নাটক) | দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা সহায়ক – নানা রঙের দিন (নাটক) বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর । HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer, Suggestion | HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer Suggestion | HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer Notes | West Bengal HS Class 12th Bengali Question and Answer Suggestion.
দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – নানা রঙের দিন (নাটক) প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE HS Class 12 Bengali Question and Answer, Suggestion
দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – নানা রঙের দিন (নাটক) প্রশ্ন উত্তর বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | নানা রঙের দিন (নাটক) । HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer Suggestion.
WBCHSE HS Class 12th Bengali Nana Ronger Din Suggestion | দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – নানা রঙের দিন (নাটক)
WBCHSE HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Suggestion দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – নানা রঙের দিন (নাটক) প্রশ্ন উত্তর বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর । নানা রঙের দিন (নাটক) | HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Suggestion দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – নানা রঙের দিন (নাটক) প্রশ্ন উত্তর বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর ।
HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din 4th Semester Question and Answer Suggestions | দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – নানা রঙের দিন (নাটক) | দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর
HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din 4th Semester Question and Answer দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – নানা রঙের দিন (নাটক) দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – নানা রঙের দিন (নাটক) সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর ।
WB HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Suggestion | দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – নানা রঙের দিন (নাটক) সাজেশন
HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer Suggestion দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর – নানা রঙের দিন (নাটক) সাজেশন । HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer Suggestion দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।
West Bengal HS Class 12 Bengali Suggestion Download WBCHSE HS Class 12th Bengali short question suggestion . HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Suggestion download HS Class 12th Question Paper Bengali. WB HS Class 12 Bengali suggestion and important question and answer. HS Class 12 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর।
Get the HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer by Bhugol Shiksha .com
HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB HS Class 12 Bengali Suggestion with 100% Common in the Examination .
Class Twelve XII Bengali Nana Ronger Din Suggestion | West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) HS Class 12 Exam
HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) HS Class 12 Twelve XII Bengali Suggestion is provided here. HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free here.
নানা রঙের দিন (নাটক) দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” নানা রঙের দিন (নাটক) দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12 Bengali Nana Ronger Din Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।





















