উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) | HS History Question and Answer
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) HS History Question and Answer : উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS History Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – WBCHSE Class 12 History Question and Answer, Suggestion, Notes – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 12th Twelve XII History Examination – পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।
তোমরা যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | HS History Question and Answer Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | HS Class 12th History Question and Answer
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS History Question and Answer :
- ব্রিটিশ ভারতের শেষ ভাইসরয় ছিলেন—
(A) মাউন্টব্যাটেন
(B) এটলি
(C) ক্যানিং
(D) হেস্টিংস ।
Ans: (A) মাউন্টব্যাটেন
- আজাদ হিন্দ বাহিনী সর্বপ্রথম ভারতের যে শহরটি দখল করে সেটি হলো
(A) কোহিমা
(B) নাগপুর
(C) গৌহাটি
(D) দিশপুর ।
Ans: (A) কোহিমা
- গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে—
(A) কলকাতায়
(B) দিল্লিতে
(C) বোম্বাইয়ে
(D) মাদ্রাজে ৷
Ans: (B) দিল্লিতে
- ভারতের ‘ লৌহমানব ‘ হিসেবে পরিচিত—
(A) মহাত্মা গান্ধি
(B) আবুল কালাম আজাদ
(C) বি . ভি . প্যাটেল
(D) সুভাষচন্দ্র বসু ।
Ans: (C) বি . ভি . প্যাটেল
- জাপান কত খ্রিস্টাব্দে পার্ল হারবার আক্রমণ করে ?
(A) ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ।
Ans: (A) ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে
- সুভাষচন্দ্র বসু ফ্রি – ইন্ডিয়া সেন্টার গঠন করেন—
(A) জার্মানিতে
(B) জাপানে
(C) ভারতে
(D) আন্দামানে ।
Ans: (A) জার্মানিতে
- মন্ত্রী মিশন ভারতে আসে –
(A) ১৯৪২ .
(B) ১৯৪৪ খ্রি .
(C) ১৯৪৫
(D) ১৯৪৬ খ্রি .।
Ans: (D) ১৯৪৬ খ্রি .।
- গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে—
(A) কলকাতায়
(B) দিল্লিতে
(C) বোম্বাইয়ে
(D) ইন্দোরে ।
Ans: (B) দিল্লিতে
- ‘ রশিদ আলি দিবস ‘ পালিত হয়–
(A) ২ জানুয়ারি
(B) ১২ ফ্রেব্রুয়ারি
(C) ১৬ মার্চ
(D) ২২ মে ।
Ans: (B) ১২ ফ্রেব্রুয়ারি
- ক্লিপস মিশন ভারতে আসে—
(A) ১৯৪২
(B) ১৯৪৫
(C) ১৯৪৬
(D) ১৯৪৭ খ্রিঃ ।
Ans: (A) ১৯৪২
- রোম – বার্লিন – টোকিও অক্ষচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়—
(A) ১৯৩৫
(B) ১৯৩৬
(C) ১৯৩৯
(D) ১৯৩৭ খ্রিঃ ।
Ans: (D) ১৯৩৭ খ্রিঃ ।
- আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন –
(A) রাসবিহারী বসু
(B) সুভাষচন্দ্র বসু
(C) জওহরলাল নেহরু
(D) কেউই নন ।
Ans: (A) রাসবিহারী বসু
- ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের পার্ল হারবারের ঘটনার ফলে— ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছিল ।
(A) ইংল্যান্ড
(B) ফ্রান্স
(C) রাশিয়া
(D) জাপান ।
Ans: (D) জাপান ।
- স্বাধীন ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি হলেন—
(A) ম্যান্ডেলা
(B) ড . সুকর্ণ
(C) সুহার্তো
(D) হাব্বিবি ।
Ans: (B) ড . সুকর্ণ
- ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে পার্ল হারবারের ঘটনার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছিল—
(A) রাশিয়া
(B) চিন
(C) ফ্রান্স
(D) জাপানের ।
Ans: (D) জাপানের ।
- তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের সর্বাধিনায়ক ছিলেন—
(A) অজয় মুখোপাধ্যায়
(B) মাতঙ্গিনি হাজরা
(C) চৈতু পাণ্ডে
(D) সতীশচন্দ্ৰ সামন্ত ।
Ans: (D) সতীশচন্দ্ৰ সামন্ত ।
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS History Question and Answer :
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতের বড়োেলাট কে ছিলেন ?
Ans: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় ভারতের বড়োেলাট ছিলেন লর্ড লিনলিথগো ।
- ভিয়েতমিন বলতে কী বোঝো ?
Ans: ১৯৪১ সালে ভিয়েতনামের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে হো – চি – মিন গড়ে তোলেন ভিয়েতমিন ।
- আভাস্তি কী ?
Ans: একটি সমাজতান্ত্রিক পত্রিকার নাম ।
- ফুয়েরার এবং ইল – দু – চে কাকে বলা হয় ? Ans: যথাক্রমে হিটলার ও মুসোলিনি ।
- ভারত ছাড়ো প্রস্তাব কবে অনুমোদিত হয় ?
Ans: ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ৪ আগস্ট ।
- ডাচ – ইন্দোনেশীয় চুক্তিতে ‘ লিঙ্গজ্যোতি ’ কারা মধ্যস্থতা করে ?
Ans: ১৯৪৬ সালে ডাচ – ইন্দোনেশীয় চুক্তিতে ব্রিটিশরা মধ্যস্থতা করে ।
- ভারতে কোথায় আজাদ হিন্দ বাহিনী পতাকা উত্তোলন করে ?
Ans: পূর্ব ভারতে কোহিমায় ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে আজাদ হিন্দ বাহিনী ( ১৯৪৫ ) ।
- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের তাৎপর্য এককথায় লেখো ।
Ans: স্বতঃস্ফূর্ত এই গণ – আন্দোলনে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের ভিত প্রতিষ্ঠিত হয় ও কংগ্রেস হৃত মর্যাদা ফিরে পায় ।
- তাম্রলিপ্ত সরকার কোথায় , কার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা হয় ? / সর্বাধিনায়ক কে ?
Ans: মেদিনীপুরের তমলুকে সতীশচন্দ্র সামন্তের নেতৃত্বে ।
- ক্যাবিনেট মিশন / মন্ত্রী মিশনের সদস্যদের নাম কী ?
Ans: স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস , পেথিক লরেন্স , এ . ভি . আলেকজান্ডার ।
- জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত ?
Ans: সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে ।
- ওয়াভেল পরিকল্পনা বলতে কী বোঝো ?
Ans: ১৯৪৫ সালের ১৪ জুন কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের কাছে তৎকালীন বড়োলাট ওয়াভেল একটি প্রস্তাব পেশ করেন । এটিই ওয়াভেল পরিকল্পনা ।
- হরিপুরা কংগ্রেসে কে কংগ্রেসের সভাপতি হন ?
Ans: ১৯৩৮ সালে হরিপুরা কংগ্রেসে জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হন সুভাষচন্দ্র বসু ।
- ক্রিপস প্রস্তাব বলতে কী বোঝো ?
Ans: ১৯৪২ সালে ব্রিটিশ মন্ত্রীসভার সদস্য স্ট্যাফোর্ড ক্রিপসের নেতৃত্বাধীন একটি কমিশন এদেশে আসে । স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব সংবলিত যে একগুচ্ছ প্রস্তাব কমিশন পেশ করে সেটাই ক্রিপস প্রস্তাব নামে পরিচিত ।
- মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা বলতে কী বোঝো ?
Ans: মাউন্টব্যাটেনের উপদেষ্টা লর্ড ইসমে কর্তৃক ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রেরিত ভারত ভাগ পরিকল্পনার ভিত্তিতে ভারতীয় স্বাধীনতা আইন পাশ হয় । এটাকেই বলে মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা ।
- কাদের মধ্যে হয়েছিল রোম – বার্লিন – টোকিও চুক্তি ?
Ans: জাপান – ইতালি – জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪০ সালে রোম – বার্লিন – টোকিও চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS History Question and Answer :
- নৌ – বিদ্রোহের কারণ ও গুরুত্ব লেখো ।
Ans: সূচনা : ১৯৪৬ খ্রিঃ ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া ভারতীয় নৌবাহিনীর বিদ্রোহ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা । এই বিদ্রোহের পশ্চাতে অন্যতম উল্লেখযোগ্য কারণগুলি ছিল –
নিম্নমানের খাদ্য সরবরাহ : দীর্ঘদিন ধরে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ভারতের নৌ – সেনাদের অতি নিম্নমানের খাদ্য সরবরাহ করা হতো । এর বিরুদ্ধে নৌ – সেনাদের প্রতিবাদে সরকার কর্ণপাত না করায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ ধূমায়িত হয়ে উঠেছিল ।
বেতন বৈষম্য : সমযোগ্যতা সত্ত্বেও ভারতীয় নৌ – কর্মচারীদের ব্রিটিশ কর্মচারীদের মতো বেতন দেওয়া হতো না । বেতনের ক্ষেত্রে এই বৈষম্য ভারতীয় নৌসেনাদের ক্ষুব্ধ করে তোলে ।
পদোন্নতির সুযোগ না থাকা : ভারতীয় নৌ – কর্মচারীদের কোনোদিনই পদোন্নতি হতো না । অফিসাররা ছিলেন সকলেই শ্বেতাঙ্গ । এছাড়া ভারতীয় নৌসেনাদের চাকরির মেয়াদ শেষে পুনর্বাসনেরও ব্যবস্থা ছিল না । সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে এই স্বল্পতা ভারতীয় নৌসেনাদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভের সঞ্চার করে ।
ব্রিটিশ কর্মচারীদের দুর্ব্যবহার : জাতি বিদ্বেষগত কারণে ব্রিটিশ কর্মচারীদের দেশীয় নৌকর্মচারীদের উপর দুর্ব্যবহারও নৌ – বিদ্রোহের অপর একটি কারণ ।
দক্ষিণ এশিয়ার মুক্তি সংগ্রাম : নৌসেনারা ইন্দোনেশিয়ায় প্রেরিত ভারতীয় নাবিকদের প্রত্যাবর্তন – এর দাবি জানায় । এই স্থানে কর্মসেনাদের এই দাবি না মানায় তারা বিদ্রোহের পথে পা বাড়ায় ।
I.N.A সেনাদের বিচার : আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেনাপতিদের লালকেল্লায় বিচার তদানীন্তন ভারতীয় সেনাদের মনে দারুণ ক্ষোভের সঞ্চার করে যার চরম অভিব্যক্তি ঘটে নৌ – বিদ্রোহের মাধ্যমে ।
বিদ্রোহের সূচনা : ১৯৪৬ খ্রিঃ ১৮ ফেব্রুঃ বোম্বাই – এর নৌ – প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘ তলোয়ার ’ জাহাজের ১৫০০ জন নাবিক অখাদ্য আহার গ্রহণে অস্বীকার করে । ঐদিনই জাহাজের যত্রতত্র ‘ জয়হিন্দ ’ , ‘ ইনক্লাব জিন্দাবাদ ’ , ‘ বন্দেমাতরম ’ , ‘ ইংরেজ ভারত ছাড়ো ‘ ইত্যাদি লেখার অপরাধে বলাই দত্তকে গ্রেপ্তার করা হলে নৌ – বিদ্রোহের সূত্রপাত হয় ।
গুরুত্ব : ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের অস্তিমলগ্নে সংঘটিত নৌ – বিদ্রোহের গুরুত্ব অপরিসীম । ডঃ সুমিত সরকার – এর মতে— “ নৌসেনাদের অভ্যুত্থান আজাদ হিন্দ ফৌজের মুক্তিযুদ্ধের থেকেও ছিল অধিক গুরুত্বপূর্ণ । ”
- ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সংকট : নৌবিদ্রোহের দ্বারা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত্তি টলে যায় এবং ইংরেজরা অনুধাবন করেন ভারতীয় নৌসেনাদের উপর ভরসা করে বেশিদিন রাজত্ব চালানো সম্ভব নয় ।
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি : নৌ – বিদ্রোহের দ্বারা হিন্দু – মুসলিম নৌসেনা ও সাধারণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ লড়াই – এ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয় ।
- বীরোচিত সংগ্রাম : নৌ – বিদ্রোহের তীব্রতা ও বিস্তার লক্ষ করে সুমিত সরকার সহ অন্যান্য ঐতিহাসিকদের মতে , নৌ – বিদ্রোহ ছিল বীরোচিত সংগ্রাম যা ব্রিটিশদের ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার সংকেত দিয়েছিল ।
- ক্ষমতা হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত : গবেষক রজনীপাম দত্তের মতে নৌ – বিদ্রোহের ফলে আতঙ্কিত হয়ে ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী মিশন প্রেরণ করেছিল ।
মূল্যা : ভারতের স্বাধীনতা লাভের প্রাক্কালে নৌ – বিদ্রোহ ছিল শেষ উল্লেখযোগ্য সংগ্রাম । রজনীপাম দত্তের মতে “ নৌ নাবিকদের অভ্যুত্থান , সাধারণ মানুষের সমর্থন এবং বোম্বাই – এর শ্রমিক শ্রেণির নায়কোচিত সিদ্ধান্ত ভারতের নবযুগের সংকেত দিয়েছিল যা ছিল ভারতীয় ইতিহাসে এক বৃহত্তম দিক চিহ্ন । ”
- ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান পর্যালোচনা করো ।
Ans: সূচনা : ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের শেষ পর্বে একদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং অন্যদিকে ভারত ছাড়ো আন্দোলন চলাকালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজের ভূমিকা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যমণ্ডিত
- জাতীয় রাজনীতিতে সুভাষচন্দ্র : অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে নেতাজি জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে নিজেকে সংযুক্ত করেন । তাঁর জনপ্রিয়তার কারণে 1937 এবং 1938 খ্রিস্টাব্দে পরপর দু’বার তাঁকে কংগ্রেস সভাপতি মনোনীত এবং নির্বাচিত করা হয় ।
- সুভাষচন্দ্রের দেশত্যাগ : তার বিশ্বাস ছিল শান্তিপূর্ণ আলাপ – আলোচনার মাধ্যমে ইংরেজরা কোনো দিনই ভারতকে স্বাধীনতা দেবে না । তাই তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে বৈদেশিক সাহায্য নিয়ে ভারতকে স্বাধীন করার প্রয়াস চালান । এই জন্যে বিশ্বযুদ্ধকালে 1940 খ্রিস্টাব্দে ভারত রক্ষা আইনে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় যদিও ব্রিটিশের কড়া প্রহরা এড়িয়ে জিয়াউদ্দিনের ছদ্মবেশে দেশত্যাগ করে তিনি বেরিয়ে পড়েন ।
- বৈদেশিক সাহায্য লাভের প্রচেষ্টা : ভারত থেকে কাবুল হয়ে বার্লিনে যাওয়ার পথে নেতাজি মস্কোতে কিছুদিন অবস্থান করেন । মস্কোয় তিনি রুশ নেতাদের কাছে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্যে সাহায্য প্রার্থনা করেন ।
এরপর জার্মানির বার্লিনে পৌঁছে প্রায় 20 জন প্রবাসী ভারতীয়কে নিয়ে গড়ে তোলেন ‘ Free India Centre ‘ । এর কিছুদিন পরেই সেখানে ভারতীয় যুদ্ধবন্দিদের নিয়ে গঠন করেন ‘ Indialigion ‘ । এরপর তিনি হিটলারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী রিবনট্রপ – এর কাছে ভারতীয় মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে সাহায্য প্রার্থনা করেন । এছাড়া তিনি ব্রিটিশ বিরোধী জাপানের কাছ থেকে সাহায্যের আশ্বাস লাভ করার জন্যে জাপানি প্রধানমন্ত্রী তোজোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ।
আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠা : 1943 খ্রিস্টাব্দে 21 অক্টোবর নেতাজি আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করার কথা ঘোষণা করেন যার লক্ষ্য ছিল ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসনের উৎখাত করা । © I.N.A- এর নেতৃত্ব গ্রহণ জাপানে ব্যাংককে রাসবিহারী বসুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা INDIAN NATIONAL ARMY ‘ বা ‘ আজাদ হিন্দ ফৌজ ’ – এর পরিচালনার মূল দায়িত্ব 1943 খ্রিস্টাব্দে নেতাজি সুভাষচন্দ্রকে দেওয়া হয় । আজাদ হিন্দ বাহিনীর নেতৃত্ব গ্রহণের পর তিনি গান্ধি বিগ্রেড , আজাদ বিগ্রেড , নেহেরু বিগ্রেডে বিভক্ত করে আজাদ হিন্দ বাহিনীকে পুনর্গঠন করেন ।
ভারত অভিযান : 1943 খ্রিস্টাব্দে 23 অক্টোবর আজাদ হিন্দ সরকার ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে ব্রিটেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে । এরপর আজাদ হিন্দের সেনারা তাইপিং থেকে যাত্রা শুরু করে পাহাড় , পর্বত , নদী টপকে 406 মাইল পায়ে হেঁটে ভারত সীমান্তের দিকে পাড়ি দেন । অবশেষে কোহিমা পর্যন্ত এসে ভারতের মাটিতে তিরঙ্গা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে নেতাজি 1946 খ্রিস্টাব্দে 6 এপ্রিল ‘ দিল্লি চলো ‘ – এর ডাক দেন । এছাড়া তিনি ঘোষণা করেন— “ তোমরা আমাকে রক্ত দাও , আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব । ”
মূল্যায়ন : নেতাজি চরম আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ভারতবাসীর স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন তাই গান্ধিজি আজাদ হিন্দ বাহিনীর মূল্যায়নের বলেছিলেন— “ যদি আজাদ হিন্দ ফৌজ তাদের আশু লক্ষ্যে পৌছাতে পারেনি তবুও তারা এমন কিছু করেছে যে জন্যে তারা গর্ববোধ করতে পারে । ”
- ক্রিপস মিশনের প্রস্তাবগুলি আলোচনা করো । ক্রিপস এই মিশনের ব্যর্থতার কারণগুলি উল্লেখ করো ।
Ans: পটভূমি : ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে বিশ্ব – রাজনীতিতে জটিলতা বাড়ে । জাপান অক্ষশক্তির পক্ষে যোগ দিলে যুদ্ধ পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে । এমতাবস্থায় ভারতে জাপানি আক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দেয় । পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল ভারতীয়দের স্বায়ত্তশাসন এবং স্বাধীনতার দাবি নিয়ে দু’পক্ষের আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন । ব্রিটিশ মন্ত্রীসভার সদস্য , আইনজ্ঞ স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপসের নেতৃত্বে একটি কমিশন ভারতে আসে , এটাই ‘ ক্রিপস মিশন ‘ নামে পরিচিত ।
সূচনা : ১৯৪২ – এর ২৯ মার্চ একগুচ্ছ প্রস্তাব নিয়ে ক্রিপস ভারতে আসেন । ভারতের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আলোচনার পর ক্রিপস ভারতীয়দের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন দীর্ঘমেয়াদি সুযোগসুবিধা সমন্বিত একটি খসড়া পেশ করেন । এটাই ‘ ক্রিপস প্রস্তাব ‘ নামে পরিচিত ।
ক্লিপস মিশনের প্রস্তাবসমূহ : প্রস্তাবগুলি ছিল— 1. কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভাগুলিকে ভারতীয় নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়োগের কথা বলা হয় ।
- প্রাদেশিক আইনসভার নিম্নকক্ষ এবং দেশীয় রাজ্যের সদস্যরা দেশীয় রাজা কর্তৃক নির্বাচিত হবেন ।
- বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ভারতের সংবিধান রচনার জন্য ভারতীয়দের নিয়ে একটি সংবিধানসভা গঠিত হবে ।
- ভারতকে কানাডার মতো ডোমিনিয়ন স্টেট্স – এর মর্যাদা দেওয়া হবে ।
- সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য পৃথক সংবিধান প্রবর্তন করা হবে ।
- সংবিধান অপছন্দ হলে সেই প্রদেশ ভারতীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব সংবিধান তৈরি করতে পারবে ।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতকে নিরাপত্তা দেবে ইংরেজ সরকার ।
- সংবিধান রচনার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভারতের নিরাপত্তার দায়িত্ব ব্রিটিশ সরকার বহন করবে।
প্রতিক্রিয়া : ক্রিপস প্রস্তাব ভারতীয় নেতৃবৃন্দের মনঃপুত হয়নি । দেশভাগের সম্ভাবনাকে প্রশ্রয় দেওয়ায় কংগ্রেস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে । কারণ : 1. এতে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার কথা বলা হয়নি ।
- প্রদেশগুলির বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবি মেনে নেওয়ার অর্থ পরোক্ষে জিন্নার দাবি মেনে নেওয়া ।
- মনোনীত সদস্যরা সংবিধান সভায় আসবেন — এই প্রস্তাব কংগ্রেসের পছন্দ হয়নি ।
- ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ভারতীয়দের কোনো অধিকার ছিল না ।
- প্রস্তাবে অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের কোনো কথা বলা হয়নি ।
ব্যর্থতার কারণ :
বিভিন্ন কারণে কংগ্রেস , মুসলিম লিগ , হিন্দু মহাসভা প্রভৃতি দল ক্রিপস প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ।
১. অখণ্ড ভারতকে খণ্ডিত করার প্রস্তাব থাকায় হিন্দু মহাসভা আপত্তি জানায় ।
২. প্রস্তাবে ভারতকে পূর্ণ স্বাধীনতা দানের কথা বলা হয়নি ।
৩. মুসলিম লিগের পৃথক রাষ্ট্রের দাবির বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল না ।
৪. ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়া হয়নি ।
৫. বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলির দাবিকে উসকে দেওয়া হয়েছিল ।
৬. দেশীয় রাজ্যগুলিতে জনমত উপেক্ষা করে রাজন্যবর্গের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ।
- মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা কী ? এই পরিকল্পনার ফল কী হয়েছিল ? এই পরিকল্পনার বিষয়ে ভারতীয় নেতৃবৃন্দের কী মনোভাব ছিল ?
Ans: পটভূমি : হিন্দু – মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং কংগ্রেস ও লিগের পারস্পরিক দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে ভারতে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি লর্ড ওয়াভেলের স্থলে লর্ড মাউন্টব্যাটেনকে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নেন । তিনি ঘোষণা করেন , ১৯৪৮ – এর জুন মাসের মধ্যে ব্রিটিশ সরকার ভারতের কোনো রাজনৈতিক দলের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে ভারত ত্যাগ করবে ।
মাউন্টব্যাটেন প্রস্তাব / পরিকল্পনা : ১৯৪৭ সালের ৩ জুন লর্ড মাউন্টব্যাটেন এদেশে আসেন । সাম্প্রদায়িক সমস্যা সমাধানে কংগ্রেসকে তিনি দেশভাগের নীতিতে সায় দিতে বলেন । এর আগে ১৯৪৭ – এর ২২ মার্চ দাঙ্গাবিধ্বস্ত ভারতে এসে মাউন্টব্যাটেন ভারতীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ১৩৩ টি বৈঠক করেন । তিনি বুঝতে পারেন যে ভারত বিভাগ ছাড়া সমস্যার সমাধান অসম্ভব । ৩ জুন প্রধান উপদেষ্টা ভি পি মেনন – এর সহযোগিতায় ভারত বিভাগের খসড়া তৈরি করেন তিনি । ওইদিনই এক সাংবাদিক সম্মেলনে মাউন্টব্যাটেন জানান , ভারত ও পাকিস্তান দু’টি পৃথক রাষ্ট্র হবে । ১৯৪৭ – এর ১৫ আগস্টের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে বলেও তিনি জানিয়ে দেন । এই ঘোষণাপত্রটি ‘ মাউন্টব্যাটেন প্রস্তাব ’ নামে বিখ্যাত ।
মাউন্টব্যাটেন প্রস্তাব : প্রস্তাবে বলা হয়—
- বাংলা ও পাঞ্জাব ভাগ করার সময় কোন কোন অঞ্চল ডোমিনিয়নভুক্ত হবে তা ঠিক করবে সিরিল র্যাডক্লিফের নেতৃত্বাধীন ‘ বর্ডার কমিশন ‘ । 2. দেশীয় রাজ্যগুলি সার্বভৌমত্ব পাবে , প্রয়োজনে যেকোনো সময় ডোমিনিয়নে যোগ দিতে পারবে ।
3.কোন ডোমিনিয়নে আসাম , শ্রীহট্ট এবং উত্তর – পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত হবে তা গণভোটে স্থির করা হবে ।
- সংখ্যালঘু প্রধান সিন্ধু , ব্রিটিশ বেলুচিস্তান , উত্তর – পশ্চিম সীমান্ত , পশ্চিম পাঞ্জাব এবং পূর্ব বাংলাকে নিয়ে পাকিস্তানের জন্ম হবে ।
5 পাকিস্তান ও ভারতবর্ষ নামে দু’টি স্বাধীন ডোমিনিয়ন গড়ে উঠবে ।
- প্রত্যেক ডোমিনিয়নের গণপরিষদ নিজস্ব সংবিধান তৈরি করতে পারবে । মাউন্টব্যাটেনের প্রস্তাবে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল । এগুলি হলো—
আজাদের মত : মৌলানা আবুল কালাম আজাদ দেশভাগের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন , “ দেশভাগ হলো এক দৈব দুর্বিপাক । ” তাঁর মতে , ভারতভাগ হলো কংগ্রেসের রাজনৈতিক পরাজয়ের নিদর্শন ।
প্যাটেল ও রাজেন্দ্র প্রসাদের অভিমত : বল্লভভাই প্যাটেল মনে করেন ভারত ভাগ কংগ্রেসের পরাজয় বা নতি স্বীকার নয় , তৎকালীন পরিস্থিতিতে দেশভাগই ছিল সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ । ড : রাজেন্দ্র প্রসাদও মনে করেন , গৃহযুদ্ধের চেয়ে দেশভাগ ভালো । আধুনিক ঐতিহাসিকদের অনেকেই ভারত ভাগ প্রশ্নে কংগ্রেসের অবস্থানকে ‘ বাস্তবসম্মত ’ মনে করেন ।
- ভারত ছাড়ো আন্দোলন কেন ব্যর্থ হলো ? এই আন্দোলনের গুরুত্ব আলোচনা করো ।
অথবা , আগস্ট আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণগুলি সংক্ষেপে লেখো । এর গুরুত্ব কি ছিল ?
Ans: ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ : বিভিন্ন কারণে শেষ পর্যন্ত ভারত ছাড়ো আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছিল । যথা—
ক. উপযুক্ত নেতৃত্বের অনুপস্থিতি : ভারত ছাড়ো আন্দোলন গান্ধিজির একক নেতৃত্বের উপর নির্ভরশীল ছিল । কিন্তু আন্দোলন শুরু হওয়ার পরই গান্ধিজি সহ কংগ্রেস শীর্ষ নেতাদের কারারুদ্ধ করা হয়েছিল । গান্ধিজির অবর্তমানে আন্দোলনকে টেনে নিয়ে যাওয়ার মতো ব্যক্তিত্ব সেসময় দেশে ছিল না ।
খ. তীব্র দমন নীতি : এই আন্দোলন দমনের জন্য ব্রিটিশ সরকার তীব্র দমননীতি অনুসরণ করেছিল । দৈহিক নির্যাতন , গ্রেফতার , ঘর পুড়িয়ে দেওয়া , গুলি চালানো— কোনো কিছুই বাদ দেওয়া হয়নি । :
গ. অন্যান্য দলের বিরোধিতা : কমিউনিস্ট দল ভারত ছাড়ো আন্দোলন মেনে নেয়নি । আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা ব্রিটিশকে মদত দেয় । মুসলিম লিগ – সহ অন্য দলগুলিও কংগ্রেসের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি ।
গ. অসময়ে সূচনা : ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে সুভাষচন্দ্র জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি থাকাকালীন এই আন্দোলন শুরু করার পক্ষপাতী ছিলেন । আর গান্ধিজি আন্দোলনের ডাক দেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্বে । সেসময় ইংল্যান্ড যুদ্ধে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল ।
ভারত ছাড়ো আন্দোলনের গুরুত্ব : যেসব কারণে আগস্ট আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ তা হলো :
ক. স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্ব : ভারত ছাড়ো আন্দোলন ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায় । ব্রিটিশ শাসনকে যে কোনোভাবে দেশ থেকে বিতাড়িত করার সংকল্প এই আন্দোলনে স্পষ্ট হয় ।
খ. জাতীয় বিপ্লব : ৪২ – এর আন্দোলন প্রসঙ্গে নেহরু বলেছেন , “ নেতা নেই , সংগঠন নেই , উদ্যোগ নেই অথচ একটা অসহায় জাতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আর কোনো উপায় না পেয়ে বিদ্রোহী হয়ে উঠল— এ দৃশ্য বিস্ময়ের । ”
গ. ব্রিটিশ শাসনের মৃত্যুঘণ্টা : ভারত ছাড়ো আন্দোলন প্রকৃত অর্থেই ছিল গণবিদ্রোহ । ঐতিহাসিকদের মতে , এই আন্দোলন ব্রিটিশ সরকারকে বুঝিয়ে দিয়েছিল ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান খুব বেশি দূরে নেই । বলা হয় , এই আন্দোলন ব্রিটিশের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছিল ।
ঘ. জাতীয় ঐক্যবোধ : এই আন্দোলনের ফলে অভূতপূর্ব গণজাগরণ ও জাতীয় ঐক্যবোধ গড়ে ওঠে । এর পরিণতিতে ব্রিটিশ শাসনের ভিত নড়ে গিয়েছিল । কার্যত আন্দোলনের চাপেই ১৯৪৭ সালে ইংরেজরা ভারত ছাড়তে বাধ্য হয় ।
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal HS Class 12th History Question and Answer / Suggestion / Notes Book
আরোও কিছু প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :-
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here
HS Suggestion 2025 | উচ্চ মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৫
আরোও দেখুন:-
HS Bengali Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS English Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS History Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Geography Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Political Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Philosophy Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Sanskrit Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Education Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Sociology Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Physics Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Biology Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Chemistry Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Mathematics Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS Computer Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
HS All Subjects Suggestion 2025 Click here
Info : Higher Secondary History Suggestion | West Bengal WBCHSE Class Twelve XII (Class 12th) History Qustion and Answer
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর
” উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (West Bengal Class Twelve XII / WB Class 12 / WBCHSE / Class 12 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 12 Exam / Class 12 Class 12th / WB Class 12 / Class 12 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন / উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ও উত্তর । HS History Suggestion / HS History Question and Answer / Class 12 History Suggestion / Class 12 Pariksha History Suggestion / History Class 12 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / HS History Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (HS History Suggestion / West Bengal Twelve XII Question and Answer, Suggestion / WBCHSE Class 12th History Suggestion / HS History Question and Answer / Class 12 History Suggestion / Class 12 Pariksha Suggestion / HS History Exam Guide / HS History Suggestion 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015 / HS History Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / HS History Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) HS History Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) HS History Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) HS History Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।
দ্বাদশ শ্রেণি ইতিহাস – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | Higher Secondary History
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস (Higher Secondary History) – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) | Higher Secondary History Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর।
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | HS History Question and Answer Question and Answer, Suggestion
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) | পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস সহায়ক – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর । HS History Question and Answer, Suggestion | HS History Question and Answer Suggestion | HS History Question and Answer Notes | West Bengal HS Class 12th History Question and Answer Suggestion.
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE Class 12 History Question and Answer, Suggestion
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) । HS History Suggestion.
WBCHSE Class 12th History Suggestion | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়)
WBCHSE HS History Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) | HS History Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।
HS History Question and Answer Suggestions | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর
HS History Question and Answer উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর HS History Question and Answer উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ।
WB Class 12 History Suggestion | উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর
HS History Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । HS History Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর।
West Bengal Class 12 History Suggestion Download WBCHSE Class 12th History short question suggestion . HS History Suggestion download Class 12th Question Paper History. WB Class 12 History suggestion and important question and answer. Class 12 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।
Get the HS History Question and Answer Question and Answer by Bhugol Shiksha .com
HS History Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 12 History Suggestion with 100% Common in the Examination .
Class Twelve XII History Suggestion | West Bengal Board WBCHSE Class 12 Exam
HS History Question and Answer, Suggestion Download PDF: WBCHSE Class 12 Twelve XII History Suggestion is provided here. HS History Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below.
উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS History Question and Answer
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশ সমুহ (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | HS History Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।