ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer
ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer

ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর

Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer

ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer : ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই West Bengal WBBSE Class 8th History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer, Suggestion, Notes | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 8th Eight VIII History Examination – পশ্চিমবঙ্গ অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষা তে এই সাজেশন বা কোশ্চেন ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।

 তোমরা যারা ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো। 

রাজ্য (State) পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)
বোর্ড (Board) WBBSE
শ্রেণী (Class) অষ্টম শ্রেণী (WB Class 8)
বিষয় (Subject) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস (Class 8 History)
চতুর্থ অধ্যায় (Chapter 4) ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (Ouponibeshik Orthonitir Choritro)

[অষ্টম শ্রেণীর সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নউত্তর Click Here]

ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal WBBSE Class 8th History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer 

MCQ | ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro MCQ Question and Answer :

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 1]

  1. বাংলা, বিহার ও ওড়িশাতে কোন ভূমি বন্দোবস্ত চালু হয়েছিল –

(A) মহলওয়ারী ব্যবস্থা 

(B) রায়তোয়ারী ব্যবস্থা 

(C) পাঁচশালা বন্দোবস্ত 

(D) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত

Ans: (D) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হয়েছিল।

  1. ভারতে টেলিগ্রাফ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয় –

(A) 1859 খ্রিঃ 

(B) 1845 খ্রিঃ 

(C) 1851 খ্রিঃ 

(D) 1854 খ্রিঃ

Ans: (C) 1851 খ্রিঃ।

  1. নীল বিদ্রোহ কোথায় হয়েছিল –

(A) বাংলায় 

(B) বিহারে 

(C) দক্ষিণ ভারতে 

(D) দিল্লীতে

Ans: (A) বাংলায় হয়েছিল।

  1. রায়ত কি?

(A) শ্রমিক 

(B) কৃষক 

(C) জমিদার 

(D) পুলিশ

Ans: (B) কৃষক।

  1. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হয় –

(A) 1795 খ্রিঃ 

(B) 1793 খ্রিঃ 

(C) 1796 খ্রিঃ 

(D) 1791 খ্রিঃ

Ans: (B) 1793 খ্রিঃ।

  1. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন –

(A) হেস্টিংস 

(B) কর্নওয়ালিশ 

(C) ডালহৌসি 

(D) রিপন

Ans: (B) কর্নওয়ালিশ।

  1. মহলওয়ারী ব্যবস্থা চালু হয়েছিল –

(A) বাংলায় 

(B) উত্তর ভারতে 

(C) দক্ষিণ ভারতে 

(D) মধ্য ভারতে

Ans: (B) উত্তর ভারতে।

  1. ‘দাদন’ বলতে বোঝায় –

(A) অগ্রিম অর্থ 

(B) আবওয়াব 

(C) বেগার শ্রম 

(D) কোনোটাই নয়

Ans: (A) অগ্রিম অর্থ।

  1. ঔপনিবেশিক ভারতে প্রথম পাটের কারখানা চালু হয়েছিল –

(A) রিষড়ায় 

(B) কলকাতায় 

(C) বোম্বাইতে 

(D) মাদ্রাজে

Ans: (A) রিষড়ায়।

  1. দেশের সম্পদ দেশের বাইরে চলে যাওয়াকে বলে–

(A) সম্পদের বহির্গমন 

(B) অবশিল্পায়ন 

(C) বর্গাদারি ব্যবস্থা 

(D) কোনোটাই নয়

Ans: (B) অবশিল্পায়ন।

[আরোও দেখুন:- Class 8 History Suggestion Click here]

অতি সংক্ষিপ্ত | ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro VSAQ Question and Answer :

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 1]

  1. কৃষির বানিজ্যিকীকরণের নেতিবাচক প্রভাব কী ছিল ? 

Ans: দেশের বিভিন্ন প্রাপ্তের কৃষকরা বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিল ।

  1. ‘ কুলি কাহিনী ‘ নিবন্ধটি কার লেখা ?

Ans: রামকুমার বিদ্যারত্নের লেখা । 

  1. প্রজাস্বত্ব আইন বা Tenancy Act কবে পাস হয়? 

Ans: ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে প্রজাস্বত্ব আইন বা Tenancy Act পাস হয় । 

  1. কবে ব্রিটেনে সুতি কাপড় রপ্তানি বন্ধ হয় ? 

Ans: ১৭২০ সালে আইন করে ব্রিটেনে সুতিবস্ত্র বিক্রি বন্ধ করা হয় ।

  1. কোথায় প্রথম সুতির কাপড় তৈরির কারখানা চালু হয় ? 

Ans: বোম্বাইতে প্রথম সুতির কাপড় তৈরির কারখানা চালু হয় । 

  1. প্রথম পাটকল কোথায় চালু হয় ? 

Ans: ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে হুগলির রিষড়ায় প্রথম পাটের কারখানা চালু হয় । 

  1. বিংশ শতকের গোড়ায় কোন কোন শিল্প গড়ে উঠতে থাকে ? 

Ans: বিংশ শতকের গোড়ায় চামড়া , চিনি , লৌহ – ইস্পাত ও বিভিন্ন খনিজ শিল্প গড়ে উঠতে থাকে । 

  1. কবে ভারতে রেল প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল ? 

Ans: ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে ভারতে রেল প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল ।

  1. বাংলায় কৰে ভয়ঙ্কর দুর্ভ ও ন্তর দেখা যায় ? 

Ans: ১৭৬৯-৭০ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় ভয়ঙ্কর দুর্ভিক ও মন্তর দেখা যায় ।

  1. কবে, কে ইজারাদারি ব্যবস্থা চালু করেন ? 

Ans: ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস রাজস্ব আদায়ের জন্য ইজারদারি ব্যবস্থা চালু করেন । 

  1. কবে , কেন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হয় ? 

Ans: ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হয় । 

  1. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের অন্যতম দুই উৎসাহী ব্যক্তির নাম লেখো ।

Ans: জন শোর ও ফিলিপ ফ্রান্সিস ছিলেন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনে দুই উৎসাহী ব্যক্তি । 

  1. ‘ জীবের শত্রু জীব ‘ একথা কে বলেছিলেন ? 

Ans: বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর সমালোচনায় একথা বলেছিলেন । 

  1. ‘ মহল ‘ কথাটির অর্থ কী ? 

Ans: ‘ মহল ‘ কথাটির অর্থ হলো কয়েকটি গ্রামের সমষ্টি । 

  1. মহলওয়ারি ব্যবস্থায় কাদের হাতে জমি কেন্দ্রীভূত হয়েছিল ? 

Ans: মহাজন ও ব্যবসায়ীদের হাতে ।

  1. রায়তওয়ারি ব্যবস্থায় খাজনার হার কত ছিল ?

Ans: ৪৫ থেকে ৫৫ শতাংশ খাজনার হার ছিল ।

  1. রায়তওয়ারি ব্যবস্থায় কাদের সঙ্গে কোম্পানির বন্দোবস্ত হয় ?

Ans: রায়তওয়ারি ব্যবস্থায় কোম্পানির সাথে রায়তদের বন্দোবস্ত হয় ।

  1. মহলওয়ারি ব্যবস্থায় কাদের সাথে কোম্পানির জমি বন্দোবস্ত হয়েছিল ?

Ans: মহলওয়ারি বন্দোবস্ত করা হয় গ্রাম সম্প্রদায়ের সাথে কোম্পানির ।

  1. কাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নীল চাষ করা হতো ? 

Ans: ইংল্যান্ডের কাপড়কলে নীলের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নীল চাষ করা হতো ।

  1. ভারতে কবে টেলিগ্রাফ যোগাযোগ শুরু হয় ? 

Ans: ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে ভারতে মাত্র কয়েক মাইল জুড়ে টেলিগ্রাফ যোগাযোগ চালু হয় ।

[আরোও দেখুন:- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নউত্তর Click Here]

সংক্ষিপ্ত | ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro SAQ Short Question and Answer :

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 2]

  1. অরণ্যবাসী বিভিন্ন জনগোষ্ঠী রেলপথ নির্মাণকে মেনে নিতে পারেনি কেন ? 

Ans: কারণ রেলপথ বসাতে গিয়ে তাদের জমি , জীবিকা ও সামাজিক মর্যাদাকে আঘাত করা হয়েছিল। 

  1. ভারত থেকে বছরে কী পরিমাণ সম্পদ ব্রিটেনে যেত?

Ans: ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে এক ব্রিটিশ আধিকারিকের বক্তব্য থেকে জানা যায় যে বছরে ২-৩ কোটি স্টার্লিং মূল্যের সম্পদ ব্রিটেনে যেত ।

  1. কবে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে টেলিগ্রাফ যোগাযোগের বিকাশ হয় ? 

Ans: ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে টেলিগ্রাফ যোগাযোগের বিকাশ হয় । 

  1. কী কারণে ও কৰে নীল বিদ্রোহ হয়েছিল ?

Ans: নীল চাষ শুরু হলে নীলচাষ করার জন্য চাষিদের দাদন নিতে বাধ্য করা হতো । তাদের উপর ইচ্ছামতো দমন পীড়ন চালানো হতো । তাই ১৮৫৯-৬০ খ্রিস্টাব্দে চাবিরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে ।

  1. ভারতে সম্পদ নির্গমনের জন্য ব্রিটিশ শাসন কীসের মতো কাজ করত ? 

Ans: ভারতে সম্পদ নির্গমনের জন্য ব্রিটিশ শাসন স্পঞ্জের মতো কাজ করত ।

  1. কবে ও কেন কার্পাস তুলোর চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল? 

Ans: ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের প্রভাবে কার্পাস তুলোর চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল । 

  1. কোন কোন শহর কেন জৌলুস হারিয়েছিল ?

Ans: মুর্শিদাবাদ , ঢাকা , সুরাট প্রভৃতি শহর জৌলুস হারিয়ে ফেলে । কারণ এখানকার কুটির শিল্পগুলি ধ্বংস হয়ে যায় ।

  1. ভারতে ঔপনিবেশিক প্রশাসনের শিল্পনীতি কীভাবে নির্ধারিত হতে থাকে ? 

Ans: ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের পর থেকেই ব্রিটেনের শিল্প চাহিদার কথা মাথায় রেখেই ভারতের ঔপনিবেশিক প্রশাসনের শিল্পনীতি নির্ধারিত হতে থাকে ।

  1. অর্থনীতির আধুনিকীকরণ বলতে কী বোঝ ? 

Ans: রেলপথ বানানো , রফতানির হার বাড়ানো ও কৃষিতে বানিজ্যিকীকরণের প্রক্রিয়াকে একসঙ্গে অর্থনীতির আধুনিকীকরণ বলে ব্যাখ্যা করা হয়ে থাকে। 

  1. কোথায় কোথায় বাগিচা শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল ?

Ans: আসাম , বাংলা , দক্ষিণ ভারত ও হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে চা বাগিচা শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল ।

সংক্ষিপ্ত ব্যাখামূলক | ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer :

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 3]

  1. সূর্যাস্ত আইন কী ? 

Ans: জমিদারদের কাছে চিরস্থায়ী ব্যবস্থা প্রথম দিকে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি করে । প্রাথমিকভাবে জমির মালিকানা জমিদারদের হাতে থাকলেও জমির প্রকৃত মালিকানা ছিল কোম্পানির হাতে । নির্দিষ্ট একটা তারিখের মধ্যে সূর্য ডোবার আগেই প্রাপ্য খাজনা কোম্পানিকে জমা দিতে হতো । না পারলে জমিদারি অন্যত্র বিক্রি করার অধিকার কোম্পানির ছিল । এই ব্যবস্থা সূর্যাস্ত আইন নামে পরিচিত ছিল । 

  1. চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রভাব নিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র কী সমালোচনা করেছিলেন ? 

Ans: বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে চিরস্থায়ী ব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন । তাঁর ভাষায় “ জীবের শত্রু জীব , মানুষের শত্রু মানুষ , বাঙালী কৃষকের শত্রু বাঙ্গালী ভূস্বামী । জমীদার নামক বড় মানুষ কৃষক নামক ছোটমানুষকে ভক্ষণ করে , কৃষকদের পুরো উদ্গ্রস্থ করেন না বটে কিন্তু যাহা করেন তাহা অপেক্ষা হৃদয়শোণিত পান করা দয়ার কাজ । ” এই “ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ” বঙ্গদেশের অধঃপাতের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত মাত্র – কস্মিনকালে ফিরিবে না । ইংরাজদিগের এ কলঙ্ক চিরস্থায়ী । 

3.বাংলার প্রজাদের দুরবস্থা সম্পর্কে অক্ষয়কুমার দত্তের সমালোচনা কী ছিল ? 

Ans: “ যে রক্ষক সেই ভক্ষক ” —এই প্রবাদ বাংলার ভূস্বামীদের ব্যবহারে দেখা যায় । ভূস্বামী নিজের সিংহাসনে বসলে প্রজারা এক দিনের জন্যও নিশ্চিন্তে থাকতে পারে না । কখন কী উৎপাত ঘটে এই ভেবে তারা দিনরাত শঙ্কিত থাকত ।

  1. ভূস্বামীর কি কেবল নিজের রাজস্ব নিয়ে পরিতৃপ্ত হবেন ? না ছলে বলে কৌশলে তাদের যথাসর্বস্ব গ্রহণ করবেন ?

 তাদের হতদরিদ্র অবস্থা , জীর্ণ শরীর , মলিন বসন কিছুতেই জমিদারের হৃদয়কে বিগলিত করতে পারে না । তাদের চোখে এক ফোঁটা জলও আনতে পারে না । তিনি নায্য – রাজস্ব ভিন্ন বাটা , আদায়ি রাজস্বের নিয়মাতিরিক্ত বৃদ্ধি , বাটার বৃদ্ধি , বৃদ্ধির বৃদ্ধি , আগমনি , পার্বণি , হিসাবানা প্রভৃতি অশেষ প্রকার উপলক্ষ্য করে ক্রমাগত প্রজা নিপীড়ন করতে থাকেন । এই ছিল বাংলার কৃষকদের সম্পর্কে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে অক্ষয়কুমার দত্তের সমালোচনা ।

  1. মহাজনি ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ ? 

Ans: ঔপনিবেশিক আমলে মহাজনদের সমাজে বিশেষ ভূমিকা দেখা দেয় । চড়া হারে ও নগদ অর্থে রাজস্ব মেটাতে প্রজাদের ঋণগ্রহণ করতে হতো । প্রজারা ছিল নিরক্ষর , এই সুযোগে মহাজনরা কারচুপি ও জালিয়াতি করে সুদ আদায় করে যেত । কোম্পানির আইন ছিল জমিদারদের জন্য ফলে আইনের সাহায্য নিয়ে মিথ্যা মামলা করে প্রজাদের সম্পদ তারা কেড়ে নিত । বিভিন্ন অঞ্চলে যে প্রজা বিদ্রোহ দেখা দিত তার আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিল মহাজন ও মহাজনি ব্যবস্থা। 

  1. বাগিচা শিল্প কী ? 

Ans: নীল চাষ ছাড়াও বিভিন্ন বাগিচা শিল্পে ইউরোপীয়দের আগ্রহ ছিল । মূলত তাদের উদ্যোগেই বাগিচা শিল্প গড়ে ওঠে । ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে আসাম , বাংলা , দক্ষিণ ভারত ও হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে চা বাগিচা শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল । বিদেশি কোম্পানিগুলিকে করের ছাড় ও নানা সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল । চা ও কফি রফতানি ক্ষেত্রে প্রধান হয়ে দাঁড়ায় । মালিক বিদেশি হওয়ায় মুনাফার অর্থ বিদেশে চলে যেত । আর বেতনের বেশির ভাগটাই পেত বিদেশি কর্মচারীরা । উৎপন্ন দ্রব্যগুলিও বিদেশের বাজারে বিক্রি করে তার অর্থ ব্রিটেনে নিয়ে যাওয়া হতো । 

  1. আসামের চা বাগান ও শ্রমিক অধিকার সম্পর্কে কী জানা যায় ? 

Ans: বাগিচা শিল্পের শ্রমিক হিসাবে স্থানীয় লোকেদের নিয়োগ করা হতো । সামান্য মজুরি ও চূড়ান্ত দুর্দশার মধ্যে শ্রমিকদের কাজ করতে হতো । ব্রাহ্মনেতা দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায় সর্বপ্রথম শ্রমিকদের অধিকারের পক্ষে সওয়াল করেন । আসামের চা বাগানগুলি ঘুরে ইউরোপীয় মালিকদের অত্যাচার ও শ্রমিকদের দুর্দশার কথা তিনি “ সঞ্জীবনী পত্রিকা ” তে প্রকাশ করেন । রামকুমার বিদ্যারত্নও ধারাবাহিকভাবে সঞ্জীবনী পত্রিকায় “ কুলি – কাহিনী ” নিবন্ধ লিখতে থাকেন । দ্বারকানাথ ও রামকুমারের উদ্যোগে দেশের মানুষও ঔপনিবেশিক শাসকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয় । ঔপনিবেশিক ভারতে শ্রমিকদের হয়ে লড়াই করার এটি একটি পুরোনো নজির । 

  1. ঔপনিবেশিক প্রশাসনের তরফে কৃষকদের জন্য কী আইন করা হয় ?

Ans: দাক্ষিণাত্যে ক্রমাগত কৃষক বিদ্রোহ ঘটতে থাকলে ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে ঔপনিবেশিক সরকার বাধ্য হয়ে Agricul turists Relief Act জারি করেন । এর উদ্দেশ্য ছিল চাষিদের ঋণের বোঝা কিছুটা কমানো । ধার শোধ না হলে চাষিদের গ্রেফতার বা আটক করা নিষিদ্ধ হয় । তার বদলে গ্রামে বিচার সভা বসিয়ে সাহুকার ও কৃষকদের মধ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ঋণশোধের ব্যবস্থা করা হয় । একইভাবে বাংলায় জমিদারদের অত্যাচার থেকে কৃষকদের রক্ষা করার জন্য ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে Tenancy Act ছিল । আইন মোতাবেক অস্থায়ী রায়তদের দখলিস্বত্ব দেওয়া হয় । সেখানে স্পষ্ট বলা হয় , আদালতের পরোয়ানা ছাড়া কোনো রায়তকে জমি থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না । খাজনা বাড়ানোর জন্য জমিদারকে নির্দিষ্ট কারণ দর্শাতে হবে । 

  1. অবশিল্পায়ন কী ?

Ans: ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের পর থেকেই কোম্পানির হাত থেকে ভারতের বাজারের একচেটিয়া অধিকার চলে যায় । ধীরে ধীরে বিভিন্ন ব্রিটিশ পণ্য ভারতে আমদানি করা হতে থাকে । ভারতীয় শিল্প ক্রমশ কঠিন থেকে কঠিনতর প্রতিযোগিতা ও বাধার সম্মুখীন হয় । দেশীয় শিল্পগুলি ক্রমশ ধ্বংস হতে থাকে , একে বলে অবশিল্পায়ন । বিপুল সংখ্যক মানুষ কর্মচ্যুত হন কারিগর ও শিল্পীরা জীবিকার জন্য চাষের কাজে যোগ দেয় । ফলে কৃষি অর্থনীতির উপর তীব্র চাপ পড়ে । যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে বিদেশি দ্রব্যে ভারতের বাজারগুলি ছেয়ে যায় । বিভিন্ন দেশীয় শিল্পের অবনমন ঘটে । অবশিল্পায়নে সরকার কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়নি ।

  1. ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন কাকে বলা হতো এবং কেন ? 

Ans: আঠারো শতকের শেষ দিকে থেকে পরবর্তী দেড় শতকে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ প্রশাসন ভারতের অর্থনীতিকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের স্বার্থে পরিচালিত করতে উদ্যোগী হয়েছিল । ১৮৫৭ সালে বিদ্রোহের পরে বলা হয় ব্রিটিশ শাসনের যাবতীয় ব্যয়ভার ভারত থেকে বহন করতে হবে । ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রয়োজনে যথেচ্ছভাবে ভারতীয় সম্পদ ব্যবহার করা যাবে । ভারতের বাজার ব্রিটিশ পণ্যের জন্য খুলে দেওয়া হয় । ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটেনের ল্যাঙ্কাশায়ারে তৈরি সুতির কাপড়ের ৮৫ শতাংশ ভারতে বিক্রি হতো । ভারতীয় রেলের ব্যবহৃত লোহা ও ইস্পাতের ১৭ শতাংশ আসত ব্রিটেন থেকে । ভারতের শিল্প ও বাণিজ্যের অভিমুখ ব্রিটেনের স্বার্থেই পরিচালিত হতো । তাই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মধ্যে ভারতকেই সবচেয়ে দামি রত্ন হিসাবে বর্ণনা করা হতো ।

  1. কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ বলতে কি বোঝ?

Ans: ব্রিটিশ কোম্পানির শাসনকালে কৃষি ছিল মূল অর্থনৈতিক ভিত্তি। মূলত ধান, গম, সবজি, ডাল ইত্যাদি বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী কৃষকরা বেঁচে থাকার তাগিদে উৎপাদন করতেন। কিন্তু ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব ও ব্রিটিশ কোম্পানির শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে কৃষি ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসে। ব্রিটেনে প্রয়োজনীয় শিল্পবিপ্লবের কাঁচামাল ভারতীয় উপনিবেশ থেকে খুব কম খরচে যোগান দেওয়ার উদ্দেশ্যে তুলো, পাট, চা, নীল ইত্যাদি বাণিজ্যিক ফসলের চাষ শুরু হয়। একে কৃষির বাণিজ্যিকিকরণ বলে।

  1. ‘দাক্ষিণাত্য হাঙ্গামা’ কেন হয়েছিল?

Ans: কৃষির বাণিজ্যিকিকরণের প্রভাবে দাক্ষিণাত্যের বিভিন্ন রাজ্যে তুলোর দাম হঠাৎ খুব কমে যায়। এই অবস্থায় উৎপাদিত দ্রব্যের দাম কমে যাওয়া এবং সাহুকার মহাজনেদের কৃষকদের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা এই উভয়ের চাপে চাষিরা বিদ্রোহে সামিল হয়। 1875 খ্রিঃ মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস অবধি চলা এই বিক্ষোভ ‘দাক্ষিণাত্য হাঙ্গামা’ নামে পরিচিত।

  1. অবশিল্পায়ন কী?

Ans: দেশের শিল্পাঞ্চলগুলি অসম প্রতিযোগিতা, কাঁচামাল ও মূলধনের অভাব, বিক্রির সঠিক বাজারের অভাব ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে টিকে থাকতে না পেরে বন্ধ হয়ে যায় এবং ঐ শিল্পের সাথে জড়িত মানুষ যখন কাজের প্রয়োজনে অন্য পেশায় সরে যায়, তখন তাকে অবশিল্পায়ন বলা হয়।

  1. সম্পদের বহির্গমন বলতে কী বোঝ?

Ans: ব্রিটিশরা যখন ভারতে আসে তখন তারা ছিলেন বণিক, মূলত ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লবে উৎপন্ন পণ্য বাজারজাত করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু 1757 সালে পলাশীর যুদ্ধে জিতে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভের পর থেকেই ব্রিটিশ কোম্পানি ভারতের বিরাট অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির স্বাদ পায়। একই সাথে তারা বুঝতে পারে, ভারতীয়দের মধ্যে জমে রয়েছে অশিক্ষা, কুসংস্কার, ভেদাভেদ এবং দূরদৃষ্টির অভাব ইত্যাদি। এইসবের সুযোগ নিয়ে ব্রিটিশরা নানা অজুহাতে যথেচ্ছ পরিমাণ অর্থ, বিভিন্ন মূল্যবান ধাতু, রত্ন ইত্যাদি সামগ্রী ব্রিটেনে প্রেরণ করে। এই ঘটনাকেই সম্পদের বহির্গমন বলা হয়।

  1. ‘সূর্যাস্ত আইন’ কাকে বলে?

Ans: চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত লর্ড কর্নওয়ালিশের আমলের অন্যতম কীর্তি হলেও, এতে কৃষক জমিদার উভয়ের কেউই বিশেষ উপকৃত হয়নি। জমির মালিকানা জমিদারদের ওপর ন্যাস্ত থাকলেও মূলত ব্রিটিশ কোম্পানি একটি নির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে দিত। সেই তারিখে সূর্যাস্তের মধ্যে সমস্ত জমির কর দিয়ে দিতে হত, সূর্যাস্তের মধ্যে দিতে না পারলে জমির মালিকানা চলে যেত। এই আইন ‘সূর্যাস্ত আইন’ নামে পরিচিত।

  1. সম্পদ বহির্গমন ও অবশিল্পায়নের ফলাফল আলোচনা করো । 

Ans: সম্পদের বহির্গমন ও অবশিল্পায়নের যৌথ ফলাফল হিসাবে ঔপনিবেশিক ভারতে সাধারণ মানুষের দারিদ্র্য বেড়েছিল । দুর্ভিক্ষের কারণে বহু লোক মারা গিয়েছিল । ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ভাগে উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পর্যায়ক্রমিক দুর্ভিক্ষের ফলে বহু লক্ষ মানুষ মারা যান । দুর্ভিক্ষগুলিতে সরকারি সাহায্যের পরিমাণও ছিল যৎসামান্য । ১৮৫৪ থেকে ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে প্রায় ২ কোটি ৮৯ লক্ষ মানুষ দুর্ভিক্ষে মারা গিয়েছিলেন । একটি সরকারী প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল ৪ কোটি ভারতবাসী আধপেটা খেয়ে দিন কাটায় । দারিদ্র্য দীর্ঘস্থায়ী হবার জন্য ঔপনিবেশিক নীতিকেই মূলত = দায়ী করা হয়েছিল । 

  1. কেন কৃষক সমাজে চূড়ান্ত সংকট দেখা যায় ? কে প্রশাসনকে নতুন করে গড়ে তোলার প্রয়াস নেন? 

Ans: ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে দুর্ভিক্ষ এবং ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে ভয়ঙ্কর মন্বন্তর দেখা দেয় । ফলে কোম্পানি নিজের রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত প্রশাসনিক কাঠামো নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করে । বাংলায় কোম্পানির নতুন শাসনকর্তা ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে রাজস্ব আদায় করতে গিয়ে কৃষকদের ঘাড়ে নতুন করে করের বোঝা চাপিয়ে দেন । তার ওপর ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ইজারাদারি ব্যবস্থা চালু করেন । তাতে সমস্যা আরো বেড়ে যায় এবং কৃষক সমাজ নতুন করে সংকট দেখা দেয় । ১৭৮৪ সালে লর্ড কর্নওয়ালিস রাজস্ব সংক্রান্ত প্রশাসন নতুন করে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন ।

  1. দাদন প্রথা বলতে কী বোঝায় ?

 Ans: ‘ দাদন ‘ কথাটির অর্থ অগ্রিম অর্থ প্রদান । পলাশির যুদ্ধের পর থেকেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের কর্মচারী ও গোমস্তাদের মাধ্যমে দেশীয় তাঁতিদের দাদন বা অগ্রিম অর্থ দিত । কোম্পানির দাদন নেওয়ার ফলে তাঁতিরা তাদের উৎপন্ন দ্রব্য কোম্পানি ছাড়া আর কোথাও বিক্রি করতে পারত না । ক্ষতি স্বীকার করেও কম দামে তারা উৎপন্ন বস্ত্র কোম্পানিকে বিক্রি করতে বাধ্য হতো । 

  1. আমিনি কমিশন কী ?

 Ans: ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস ভূমি – রাজস্ব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য ও সরকারকে সুপারিশ করার জন্য একটি কমিশন গঠন করেন । এই কমিশন আমিনি কমিশন নামে পরিচিত । এই কমিশন জমির উর্বরতা অনুযায়ী রাজস্বের হার নির্ধারণ , রাজস্ব আদায় করা , কৃষকদের উন্নতির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ প্রভৃতি কাজ করত । 

  1. মহলওয়ারি ব্যবস্থা কী ? এই ব্যবস্থার ফলাফল আলোচনা করো । 

Ans: উত্তর ও উত্তর পশ্চিম ভারতের বিস্তৃত এলাকার ভূমি রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ প্রশাসন মহলওয়ারি বন্দোবস্ত চালু করেছিল । এর জন্য সরকার মহলের জমিদার বা প্রধানের সঙ্গে চুক্তি করে । এই চুক্তির মধ্যে গোটা গ্রাম সমাজকে ধরা হয়েছিল । এই ব্যবস্থায় কৃষক সমাজের ক্ষেত্রেও বিশেষ সুরাহা হয়নি । নির্দিষ্ট সময় অন্তর রাজস্ব হার সংশোধন করা হতো । উঁচুহারে রাজস্ব আদায় করা হতো এবং বাড়তি রাজস্বের বোঝা মেটাতে গিয়ে ধার করা এবং সেই যার শোধ দিতে না পারায় অত্যাচার – এসবের মুখোমুখি হতে হতো কৃষকদের । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কৃষকদের জমিগুলি মহাজন ও ব্যবসায়ীদের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়েছিল ।

  1. অবশিল্পায়নের প্রভাব জনজীবনে কতটা পড়েছিল ? 

Ans: ১৮১৩ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত থেকে ভারতের বাজারে একচেটিয়া অধিকার চলে যায় । ফলে ভারতে ব্রিটিশ পণ্য দ্রব্য ছেয়ে যায় । ভারতীয়দের নানারকম বৈষম্য ও প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল । ফলে দেশীয় শিল্পগুলি ধ্বংসের মুখে পড়ে । এই ঘটনাই ‘ অবশিল্পায়ন ‘ বলে পরিচিত হয় । ব্রিটেনের তৈরি কাপড়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে ভারতীয় সুতি বস্ত্র পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় । লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবিকাহীন হয়ে পড়ে । কর্মচ্যুত মানুষেরা কৃষির উপর নির্ভর করলে কৃষি অর্থনীতির উপর চাপ বাড়তে থাকে । দেশীয় শিল্পের অবনমন শুরু হয় । অবশিল্পায়ন নিয়ে ঔপনিবেশিক সরকার কোনো ইতিবাচক ভূমিকা নেননি । অবশিল্পায়নের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে দেশীয় বুদ্ধিজীবিরা অনেকেই ঔপনিবেশিক শাসনের সমালোচনা করেছিলেন । এর ফলে কৃষি ও শিল্পের মধ্যে অর্থনীতির সামঞ্জস্য নষ্ট হয়ে পড়ে ।

  1. নীলবিদ্রোহ কেন ঘটেছিল ?

Ans: পূর্ব ভারতে নীলচাষের জন্য ব্রিটিশ সরকার প্রত্যক্ষ উদ্যোগ নিয়েছিল । ১৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি দশজন নীলকরকে অগ্রিম টাকা দিয়ে বাংলায় নীলচাষ শুরু করেন । ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত জমি কেনার বিষয়ে নীলকরদের অধিকার ছিল না । ফলে নীলকররা প্রথমে স্থানীয় কৃষকদের নীলচাষের জন্য রাজি করাতে চেষ্টা করে । তাতে কাজ না হলে জোর করে অগ্রিম টাকা বা দাদন দিয়ে চাষিদের নীলচাষ করতে বাধ্য করে । এর ফলে বাংলার বহু অঞ্চলে নীলকর ও কোম্পানির সঙ্গে কৃষকদের সংঘর্ষের পথ প্রস্তুত হতে থাকে । তাছাড়া ক্রমেই চাষিদের উপর নীলচাষ করার জন্য দমন পীড়ন চলতে থাকে । এরই ফলে ১৮৫৯-৬০ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় নীলবিদ্রোহ ঘটে । 

  1. অবাধ বাণিজ্য বলতে কী বোঝো ? অবাধ বাণিজ্য কীভাবে ভারতে শোষণ পরিস্থিতি তৈরি করায় সাহায্য করেছিল ?

Ans: যে বাণিজ্য নীতিতে সরকার বাণিজ্য কার্যে নূন্যতম অংশগ্রহণ করে তাকে অবাধ বাণিজ্য বলা হয় । ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের কোম্পানিগুলির মধ্যে ভারতে বাণিজ্য করতে পারত এক ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি । কিন্তু শিল্প বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ডের নানা কোম্পানির চাপে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ডের নানা কোম্পানির চাপে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যিক অধিকার লুপ্ত হয় । তার বদলে ভারতে ইংল্যান্ডের বহু কোম্পানি তাদের পণ্য নিয়ে প্রবেশ করে । এর ফলে ভারতীয় সম্পদ ইংল্যান্ডের অন্যান্য কোম্পানি দ্বারাও শোষিত হওয়া শুরু হয় । ফলে ভারত দ্রুত এক রিক্ত ও শোষিত রাষ্ট্রে পরিণত হয় ।

রচনাধর্মী বা বিশ্লেষণধর্মী | ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস বড় প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer : 

[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 5]

1. ঔপনিবেশিক আমলে কৃষি ব্যবস্থার কি কোনো উন্নতি হয়েছিল ? আলোচনা করো।

 Ans: এই প্রসঙ্গে বলা যায় কৃষিজ উৎপাদন ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটার জন্য ঔপনিবেশিক শাসকদের তেমন কোনো উদ্যোগ ছিল না । ভারতের কয়েকটি অঞ্চলে সেচ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানোর জন্য কয়েকটি খাল খনন করা হয়েছিল । ওইসব অঞ্চলগুলিতে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত না থাকায় ঔপনিবেশিক প্রশাসন খাল খননের ফলে জমির খাজনার হার বাড়িয়ে নিতে থাকে । তবে তার সুফল পেত ধনী চাষিরা । কারণ খালের জল ব্যবহারের জন্য উঁচু হারে কর দেওয়ার সামর্থ তাদেরই ছিল । বাস্তবে গরিব কৃষিজীবীরা ভাগচাবি হিসেবেই কাজ করত । তাছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে খাদ্যশস্য উৎপাদন বাড়েনি । ফলস্বরূপ ভারতে দুর্ভিক্ষ দেখা যায় । কৃষির উন্নতি যা হতো তা থেকে যেটুকু লাভ হতো তা যেত বিনিয়োগকারিদের হাতে । ফলে ভারতের বিভিন্ন স্থানে নীল বিদ্রোহ প্রভৃতি দেখা যায় ।

2. টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা কীভাবে ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থার বিস্তারের সহায়ক হয় ? 

Ans: ঔপনিবেশিক শাসনের রাজনৈতিক ও সামরিক প্রয়োজন টেলিগ্রাফ প্রযুক্তির ব্যবহারকে জরুরি করে তোলে । টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা বিকাশের পিছনে ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্বার্থ ছিল । উপমহাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের সমস্ত জরুরি তথ্য ও সংবাদ অতি দ্রুত শাসনকেন্দ্রে পৌঁছাতে টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা ছিল বেশি নির্ভরযোগ্য । ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে ভারতে মাত্র কয়েক মাইল জুড়ে টেলিগ্রাফ যোগাযোগ চালু হয় । ১৮৫৬ তে ভারতীয় উপমহাদেশে ৪৬ টি টেলিগ্রাফ কেন্দ্র তৈরি হয়ে গিয়েছিল । যা ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ১৭ হাজার ৫০০ মাইল এবং ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকে ৫২ হাজার ৯০০ মাইল জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল । ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় ইঙ্গ – বার্মা যুদ্ধে রেঙ্গুনের পরাজয়ের খবর টেলিগ্রাফের মাধ্যমে গর্ড ডালহৌসি কলকাতায় বসেই পেয়েছিলেন । বলা হতো টেলিগ্রাফই ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ থেকে ব্রিটিশ শাসনকে রক্ষা করেছিল । দুরদুরান্ত থেকে বিদ্রোহের সামান্যতম সম্ভাবনার কথাও টেলিগ্রাফের মাধ্যমে প্রশাসনের কেন্দ্রগুলিকে পৌঁছে যেত । ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে টেলিগ্রাফ যোগাযোগের বিকাশ ঘটে । এর ফলে প্রশাসনিক , অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে ভারতবর্ষের উপর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত আরও সুদৃঢ় হয় । 

3. ‘ সম্পদের বহিগমন ‘ কাকে বলে ? এর বিবরণ দাও । 

Ans: উপনিবেশ হিসেবে পলাশির যুগের পরবর্তী পর্যায়ে ব্রিটিশ কোম্পানি ভারতের সম্পদকে নানাভাবে ব্রিটেনে স্থানান্তরিত করা হতো । এইভাবে দেশের সম্পদ বিদেশে চালনা হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ‘ সম্পদের বর্হিগমন ‘ বলা হয় । ভারতে ব্রিটিশ শাসনের একটি লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য ছিল সম্পদের বহির্গমন । দেশের জনগণের থেকে রাজস্ব আদায় করে ।দেশের শাসনবয়ে চালানোর প্রথা সুলতানি ও মুঘল আমলেও ছিল । কিন্তু এর জন্য দেশীয় কৃষি বা বাণিজ্য নষ্ট হয়নি । এর কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে সুলতানি ও মুঘল শাসকরা ভারতীয় উপমহাদেশে স্থায়ীভাবে থেকে এই দেশেরই জন্য আনুগত্য প্রকাশ করতেন । অপরদিকে ব্রিটিশ ইস্ট – ইন্ডিয়া কোম্পানি বরাবরই ব্রিটেনের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে কাজ করত । তাদের যাবতীয় উদ্দেশ্য ছিল ভারতের অর্থনীতিকে ব্রিটেনের প্রয়োজনে ব্যবহার করা । এর জন্য ভারতের অর্থ ও সম্পদ ব্রিটেনে স্থানান্তরিত করা হতো । বাস্তবে ভারতের সম্পদ বর্হিগমনের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ শাসন ‘ স্পঞ্জের মতো ভারত থেকে সম্পদ শুষে ব্রিটেনে পাঠিয়ে দিত । দেখা গেছে ঊনবিংশ শতক শেষ হওয়ার সময়ে ভারতীয় জাতীয় আয়ের ৬ শতাংশ এবং জাতীয় সঞ্চয়ের এক তৃতীয়াংশ সম্পদ নির্গত হয়ে যেত । পরিসংখ্যান অনুযায়ী ঐ কালপর্বে ব্রিটেনের জাতীয় আয়ের ২ শতাংশই ছিল ভারত থেকে নির্গত সম্পদ । 

4. চিরস্থায়ী বন্দোবস্তু সম্পর্কে যা জানো লেখো ।

Ans: ইজারাদারি ব্যবস্থা ব্যর্থ হলে দশশালা ব্যবস্থা চালু করা হয় । কর্নওয়ালিস তাকেই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত রূপ দেন । এর ফলে জমিদারি থেকে কোম্পানির কত আয় হবে তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল । কর্নওয়ালিস আশা করেছিলেন জমিদারি সম্পর্কে নিশ্চিত হলে জমিদাররা নিজেদের লাভের হার বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য হয়ত চাষের উন্নতির দিকে নজর দেবে । কৃষকদের কল্যানের দিকেও নজর দেবে । কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি । পাশাপাশি জমিতে অধিকার স্থায়ী করার মাধ্যমে জমিদারদের কোম্পানির অনুগত গোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তোলার কথা ভাবা হয় । সেই কারণে ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানি জমিদারদের সঙ্গে খাজনা আদায় বিষয়ক চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে । এর ফলে কৃষকরা তাদের দখলি স্বত্ব হারিয়েছিল । অনেক জমিদারগণও নির্দিষ্ট দিনে সূর্যাস্তের আগে খাজনা দিতে না পেরে জমিদারি হারিয়েছিলেন । ফলে নতুন নতুন জমিদার এসেছিলেন । তাঁরা বেশিরভাগই শহরে বাস করতেন । গোমস্তা , নায়েব প্রভৃতি জমিদারের কর্মচারীরা অত্যাচার করত ফলে কৃষকদের দুঃখ কষ্টের পরিসীমা ছিল না । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে জমিদারদের সমৃদ্ধি বাড়লেও কৃষকের অবস্থার কোনো উন্নতিই হয়নি ।

5. রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত সম্পর্কে যা জানো লেখো । 

Ans: দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম ভারতে কোম্পানির শাসন চালু হওয়ার পর ভূমি – রাজস্ব আদায়ের বিষয় নিয়ে কোম্পানি নতুন করে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করে । সে সময় মাদ্রাজ অঞ্চলে কোনো বড়ো মাপের জমিদার না থাকায় ব্রিটিশ কোম্পানি ভূমি – রাজস্ব বন্দোবস্তু সরাসরি কৃষকের সঙ্গেই করতে চেয়েছিল । মনে করা হয়েছিল যে কৃষক বা রায়তকে জমির মালিক , হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া হলে তাদের উপর জমিদারের অত্যাচারকে এড়ানো যাবে । এই কারণে মাম্রাজ ও বোম্বাইতে চালু হয় রারতওয়ারি বন্দোবস্ত । এই বন্দোবস্ত চিরস্থায়ী করা হয়নি , তবে এই বন্দোবস্তের শর্ত ছিল রায়তকে ঠিক সময়ে ভূমি – রাজস্ব জমা দিতে হবে । ঔপনিবেশিক প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছিলেন যে রায়তকে খাজনা দিতে হবে । অনেক অংশেই এই খাজনার হার ছিল উঁচু । এমনকি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হলেও খাজনার হারে রদবদল হতো না । বাস্তবে জমিতে কৃষকের কোনো মালিকানা প্রতিষ্ঠা পায়নি । রায়তওয়ারি বন্দোবস্তের ফলে কৃষক সমাজ স্থানীয় জমিদারদের বদলে ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রের অধীনে চলে যেতে থাকে । 

6. রেলপথ নির্মাণ কীভাবে ভারতীয়দের ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতি অসন্তোষের কারণ হয়ে উঠেছিল ?

Ans: রেলপথ নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ সরকারের স্বার্থরক্ষা । এই প্রকল্পের ফলে ব্রিটেনের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছিল । রেলপথ বানানোর জন্য সমস্ত সরঞ্জাম , লোহা এমনকি কয়লাও কিছুদিন ব্রিটেন থেকে আনা হতো । রেলপথ নির্মাণ সংক্রান্ত সাধারণ প্রযুক্তিগুলি ভারতীয়দের শেখানো হতো । অপরদিকে এর উন্নত প্রযুক্তির শিক্ষা থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয়দের সরিয়ে রাখা হয়েছিল । এজন্য বিদেশ থেকে দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে আসা হতো । এছাড়া রেলপথ বসাতে গিয়ে স্বাভাবিক জলনিকাশি ব্যবস্থার ক্ষতি হয় ফলে নানারকম ‘ সংক্রামক ব্যাধি রেলপথের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে । রেলপথ নির্মাণ করতে গিয়ে অনেক গাছ ও জঙ্গল কাটা পড়ায় পরিবেশ . দূষিত হয় । তাছাড়া অরণ্যবাসী বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর জমি , জীবিকা ও সামাজিক মর্যাদায় আঘাত করে এই রেলপথ নির্মাণ । ফলে রেলপথ নির্মাণ ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতি একটি অসন্তোষের কারণ হয়ে ওঠে ।

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 8th History Question and Answer / Suggestion / Notes Book

আরোও দেখুন :-

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here

Class 8 Suggestion 2024 – অষ্টম শ্রেণীর সাজেশন ২০২৪ 

আরোও দেখুন:-

Class 8 Bengali Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 8 English Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 8 Geography Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 8 History Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 8 Mathematics Suggestion 2024 Click here

আরোও দেখুন:-

Class 8 Science Suggestion 2024 Click here

ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) থেকে আরোও প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :

Update

[আমাদের Android Mobile App ডাউনলোড করুন Download Now]

[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now]

Info : ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর

 Class 8 History Suggestion | West Bengal WBBSE Class Eight VIII (Class 8th) History Question and Answer Suggestion 

” ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক অষ্টম শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Eight VIII / WB Class 8 / WBBSE / Class 8 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 8 Exam / Class 8th / WB Class 8 / Class 8 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস সাজেশন / অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ও উত্তর । Class 8 History Suggestion / Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer / Class 8 History Suggestion / Class 8 Pariksha History Suggestion / History Class 8 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / Class 8 History Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 8 History Suggestion / West Bengal Eight VIII Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 8th History Suggestion / Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer / Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Suggestion / Class 8 Pariksha Suggestion / Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Exam Guide / Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Suggestion 2024, 2025, 2026, 2027, 2023, 2021, 2020, 2018, 2017, 2016, 2015, 2028, 2028, 2030 / Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।

ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর 

ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer Suggestion অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর।

ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস 

ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer Suggestion অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর।

ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস 

ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer Suggestion অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর – অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস | Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro 

অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস (Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro) – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) | Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Suggestion অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর।

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer, Suggestion 

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) | ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস সহায়ক – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর । Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer, Suggestion | Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer Suggestion | Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer Notes | West Bengal Class 8th History Question and Answer Suggestion. 

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 8 History Question and Answer, Suggestion 

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) । Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer Suggestion.

WBBSE Class 8th History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Suggestion | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়)

WBBSE Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Suggestion অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) | Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Suggestion অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।

Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer Suggestions | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর 

Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর । 

WB Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Suggestion | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর 

Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer Suggestion অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer Suggestion অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 8 History Suggestion Download WBBSE Class 8th History short question suggestion . Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Suggestion download Class 8th Question Paper History. WB Class 8 History suggestion and important question and answer. Class 8 Suggestion pdf.ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer Question and Answer by Bhugol Shiksha .com

Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 8 History Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class Eight VIII History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Suggestion | West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 8 Exam 

Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 8 Eight VIII History Suggestion is provided here. Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free here. 

FILE INFO : ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer with FREE PDF Download Link

PDF File Name ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer PDF
Prepared by Experienced Teachers
Price FREE
Download Link 1 Click Here To Download
Download Link 2 Click Here To Download

ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer 

  অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র (চতুর্থ অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | Class 8 History Ouponibeshik Orthonitir Choritro Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।