চার্লস ডিকেন্সের জীবনী - Charles Dickens Biography in Bengali
চার্লস ডিকেন্সের জীবনী - Charles Dickens Biography in Bengali

চার্লস ডিকেন্সের জীবনী

Charles Dickens Biography in Bengali

চার্লস ডিকেন্সের জীবনী – Charles Dickens Biography in Bengali : ভিক্টোরিয়ান যুগে ইউরোপের সাহিত্যে এক নতুন বিপ্লবের নাম চার্লস ডিকেন্স। চার্লস ডিকেন্স (Charles Dickens) একাধারে ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক, সম্পাদক, সচিত্র প্রতিবেদক এবং সমালোচক ছিলেন। তবে চার্লস ডিকেন্সকে ইতিহাস মনে রাখবে চার্লস ডিকেন্স (Charles Dickens) এর অসাধারণ লেখনীর জন্য। ‘অলিভার টুইস্ট’, ‘অ্যা ক্রিস্টমাস ক্যারল’, ‘নিকোলাস নিকলবি’, ‘ডেভিড কপারফিল্ড’, ‘অ্যা টেল অফ টু সিটিস’ এবং ‘গ্রেট এক্সপেকটেশন’- এর মতো কালজয়ী উপন্যাসের রচয়িতা ডিকেন্সকে ঊনবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

  বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্স এর একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী । চার্লস ডিকেন্স এর জীবনী – Charles Dickens Biography in Bengali বা চার্লস ডিকেন্স এর আত্মজীবনী বা (Charles Dickens Jivani Bangla. A short biography of Charles Dickens. Charles Dickens Birth, Place, Life Story, Life History, Biography in Bengali) চার্লস ডিকেন্স এর জীবন রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

চার্লস ডিকেন্স কে ছিলেন ? Who is Charles Dickens ?

চার্লস ডিকেন্স (Charles Dickens) ছিলেন ঊনবিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ ঔপন্যাসিক। চার্লস ডিকেন্সকে (Charles Dickens) ভিক্টোরিয়ান যুগের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক হিসেবে মনে করা হয়। ডিকেন্স জীবদ্দশাতেই তার পূর্বসূরি লেখকদের তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। মৃত্যুর পরও চার্লস ডিকেন্স (Charles Dickens) এর জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ণ থাকে। তার প্রধান কারণ হচ্ছে, ডিকেন্স ইংরেজি সাহিত্যে প্রবাদপ্রতিম বেশ কয়েকটি উপন্যাস ও চরিত্র সৃষ্টি করেছিলেন।

বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্সের জীবনী – Charles Dickens Biography in Bengali :

নাম (Name) চার্লস ডিকেন্স (Charles Dickens)
জন্ম (Birthday) ৭ ফেব্রুয়ারি ১৮১২ (7th February 1812)
জন্মস্থান (Birthplace) ইংল্যান্ড
অভিভাবক (Parents)/পিতামাতা জন ডিকেন্স ও এলিজাবেথ বারো
সমাধিস্থল পোয়েট’স কর্নার, ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে
পেশা (Occupation) লেখক
জাতীয়তা ব্রিটিশ
উলিখযোগ্য রচনাবলী স্কেচেস বাই বজ, দি ওল্ড কিউরিওসিটি শপ, অলিভার টুইস্ট, নিকোলাস নিকোলবি, বার্নাবি রাজ, আ ক্রিসমাস ক্যারোল, মার্টিন চাজলউইট, আ টেল অফ টু সিটিজ, ডেভিড কপারফিল্ড, গ্রেট এক্সপেক্টেশনস, ব্লেক হাউস, লিটল ডরিট, হার্ড টাইমস, আওয়ার মিউচুয়াল ফ্রেন্ড, দ্য পিকউইক পেপারস
দাম্পত্য সঙ্গী (Spouse) ক্যাথারিন ডিকেন্স
সন্তান  চার্লস ডিকেন্স জুনিয়র, মেরি ডিকেন্স, কেট পেরুগিনি, ওয়াল্টার ল্যান্ডর ডিকেন্স, ফ্র্যান্সিস ডিকেন্স, অ্যালফ্রেড ডি’অরসে টেনিসন ডিকেন্স, সিডনি স্মিথ হ্যালডিম্যান্ড ডিকেন্স, হেনরি ফিল্ডিং ডিকেন্স, ডোরা অ্যানি ডিকেন্স ও এডওয়ার্ড ডিকেন্স।
মৃত্যু (Death) ৯ জুন ১৮৭০ (9th June 1870)

চার্লস ডিকেন্সের জন্ম – Charles Dickens Birthday :

 ইংরেজী সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্স ১৮১২ সালের ৬ ই ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । চার্লস ডিকেন্স (Charles Dickens) এর পিতা নৌ বাহিনীতে একটা কেরানীর পদে চাকরি করতেন । 

চার্লস ডিকেন্সের শৈশবকাল – Charles Dickens Childhood :

 বেশ কয়েকজন ভাই – বোন তার । এ কারণে শৈশব থেকেই তাঁকে অর্থকষ্টের মুখ দেখতে হয়েছে । গরিব বাবার সন্তান হিসাবে সংগ্রাম করতে হয়েছে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে । চার্লস ডিকেন্স (Charles Dickens) এক অসাধারণ প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন , তাই শেষ পর্যন্ত দারিদ্রের রূঢ় অভিশাপ তাঁর জন্য শাপে বর হয়েই দেখা দিয়েছিলো । পরবর্তীকালে তিনি লেখনীকে জীবিকা হিসাবে গ্রহণ করেন । চার্লস ডিকেন্স (Charles Dickens) বালক বয়স থেকে অর্জন করা বিভিন্ন ও বিচিত্র অভিজ্ঞতাকে তাঁর লেখায় কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছিলেন । পরবর্তীকালে ইংরেজী সাহিত্যের তো বটেই , বিশ্ব সাহিত্যের বরণীয়দের মধ্যে নিজের একটা উঁচু ও স্থায়ী আসন করে নিতে পেরেছেন তাঁর ঐ বহুমুখী অভিজ্ঞতার কারণেই ।

চার্লস ডিকেন্সের কর্মজীবন – Charles Dickens Work Life :

 প্রথম জীবনে চার্লস ডিকেন্স একজন আইনজীবির ফার্মে চাকরি গ্রহণ করেন । সেখানে কাজের ফাঁকে ফাঁকে নানা পড়াশোনার সাথে সাথে শর্টহ্যান্ড ও টাইপ করাও শিখে ফেলেন । এর ফলশ্রুতিতে চার্লস ডিকেন্স (Charles Dickens) পরবর্তীতে পার্লামেন্টে রিপোর্টার – এর কাজ করতে সক্ষম হন ।

চার্লস ডিকেন্সের রচনা – Charles Dickens Composition : 

 ১৮৩৭-৩৯ সালে চার্লস ডিকেন্স একটা সাময়িকীতে ধারাবাহিকভাবে ব্যঙ্গ – রসাত্মক রচনা লেখেন । সেই রচনার শিরোনাম দেন ‘ পিকউইক পেপারস ‘ । ঐ ব্যঙ্গ – রসাত্মক রচনাবলীই ডিকেন্সকে অপ্রত্যাশিত জনপ্রিয়তা এনে দেয় । সেই জনপ্রিয়তায় এরপর আর কখনো ভাঁটা পড়েনি । 

 চার্লস ডিকেন্স ছিলেন একজন উঁচু মাপের মনস্তাত্ত্বিক । মানুষের চরিত্রের বিচিত্র রূপায়ণে একমাত্র শেক্সপীয়ার ছাড়া ইংরেজি সাহিত্যে আর কেউ তাঁকে এ – যাবত তার প্রতিপক্ষ হতে পারেননি ।

চার্লস ডিকেন্সের উপন্যাসের বিবরণ :

 চার্লস ডিকেন্স – এর উপন্যাসগুলো ছিল খুবই উন্নতমানের । সেগুলো শুধু ইংরেজি সাহিত্যের নয় , বরং বিশ্বসাহিত্যের অঙ্গনেও এক অমূল্য সম্পদ হিসাবে বিবেচিত ।

 তাঁর রচিত উপন্যাসগুলোতে আছে অপূর্ব হাস্যরস , খুঁটিনাটি সব বিবরণ , বাস্তব জীবন্ত ও ঘরোয়া সংলাপ এবং সর্বোপরি বৈচিত্র্যপূর্ণ নানা ধরনের চরিত্র সকল ।

 চরিত্র চিত্রণে তার ছিলো অসাধারণ দক্ষতা । মিঃ বামবল এবং ওয়াকফোড হুয়ার্স মনে হয় ঐ রকম দুটি চরিত্র । ভিক্টোরিয়া আমলের সমাজের বিভিন্ন স্তরের কাহিনী , বিশেষ করে তাঁর নিজের জীবনের অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে দরিদ্র শ্রেণীর জীবনের বাস্তব চিত্র তিনি তাঁর উপন্যাসে ফুটিয়ে তুলেছেন পরম মমতায় ।

[আরও দেখুন, আলবার্ট আইনস্টাইন জীবনী – Albert Einstein Biography in Bengali]

চার্লস ডিকেন্সের উপন্যাস – Charles Dickens Novels :

 চার্লস ডিকেন্স – এরও আত্মজৈবনিক স্মৃতিচারণের ছবি ফুটে উঠেছে তার দুটো উপন্যাসে । একটা হলো ‘ অলিভার টুইস্ট ’ অন্যটি ‘ ডেভিড কপারফিল্ড ‘ । এছাড়া তাঁর জীবনের প্রথম দিককার সেরা উপন্যাসগুলো হচ্ছে ওল্ড কিউরি সিটি শপ , নিকোলাস নিকলবে , ইত্যাদি । 

 জীবনের শেষ বারো বছরে তার মাত্র তিনটি উপন্যাস বের হয় । একটি হলো ফরাসী বিপ্লবের উপর রচিত একটি রোমান্টিক উপন্যাস ‘ এ টেল অব টু সিটিজ ’ । আর দুটি হলো ‘ গ্রেট এক্সপেকটেশান্‌স এবং ‘ আওয়ার মিউচুয়াল ফ্রেন্ড ‘ । 

চার্লস ডিকেন্সের বিবাহ জীবন – Charles Dickens Marriage Life :

 চার্লস ডিকেন্স ১৮৩৬ সালে ২৪ বছর বয়সে এক পত্রিকা – সম্পাদকের কন্যা ক্যাথারিন হোগার্থকে বিয়ে করেন । তবে ১৮৫৮ সালে তাঁদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় ৷

[আরও দেখুন, উইলিয়াম শেকসপিয়র এর জীবনী – William Shakespeare Biography in Bengali]

চার্লস ডিকেন্সের বই – Charles Dickens Books :

 ১৮৪২ সালে তিনি প্রথম আমেরিকা সফরে যান । পরের বছর বের হয় তার বইএ ক্রিস্টমাস ক্যারল । চার্লস ডিকেন্স তার এই বইটির মাধ্যমে ক্রিস্টমাস উৎসবের দিনটিকে এমন আকর্ষণীয় বিশেষ দিন হিসাবে চিত্রিত করেছেন যে , যুগে যুগে ক্রিস্টমাস উৎসবের সময় সারা বিশ্বের খ্রীষ্টানরা তাঁর নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে থাকেন । 

চার্লস ডিকেন্সের মৃত্যু – Charles Dickens Death :

 চার্লস ডিকেন্স ১৮৭০ সালের জুন মাসে ৫৮ বছর বয়সে আকস্মিকভাবে মারা যান । তাকে লন্ডনের ওয়েস্ট মিনিস্টার এ্যাবেতে সমাহিত করা হয় ।

চার্লস ডিকেন্সের জীবনী – Charles Dickens Biography in Bengali FAQ :

  1. চার্লস ডিকেন্সের জন্ম কবে হয় ?

Ans: চার্লস ডিকেন্সের জন্ম হয় ৭ ফেব্রুয়ারি ১৮১২ সালে ।

  1. চার্লস ডিকেন্সের কে ছিলেন ?

Ans: চার্লস ডিকেন্সের ছিলেন একজন বিখ্যাত লেখক ।

  1. চার্লস ডিকেন্সের পিতার নাম কী ?

Ans: চার্লস ডিকেন্সের পিতার নাম জন জিকেন্স ।

  1. চার্লস ডিকেন্সের মাতার নাম কী ?

Ans: চার্লস ডিকেন্সের মাতার নাম এলিজাবেথ বারো ।

  1. চার্লস ডিকেন্সের উল্লেখযোগ্য রচনাবলী কী কী ?

Ans: চার্লস ডিকেন্সের উল্লেখযোগ্য রচনাবলী – চার্লস ডিকেন্স জুনিয়র, মেরি ডিকেন্স, কেট পেরুগিনি, ওয়াল্টার ল্যান্ডর ডিকেন্স, ফ্র্যান্সিস ডিকেন্স, অ্যালফ্রেড ডি’অরসে টেনিসন ডিকেন্স, সিডনি স্মিথ হ্যালডিম্যান্ড ডিকেন্স, হেনরি ফিল্ডিং ডিকেন্স, ডোরা অ্যানি ডিকেন্স ও এডওয়ার্ড ডিকেন্স ।

  1. চার্লস ডিকেন্সের স্ত্রীর নাম কী ?

Ans: চার্লস ডিকেন্সের স্ত্রীর নাম ক্যাথারিন ডিকেন্স ।

  1. চার্লস ডিকেন্সের মৃত্যু কবে হয় ?

Ans: চার্লস ডিকেন্সের মৃত্যু হয় ৯ জুন ১৮৭০ সালে ।

[আরও দেখুন, আর্কিমিডিস এর জীবনী – Archimedes Biography in Bengali

আরও দেখুন, কার্ল মার্কস এর জীবনী – Karl Marx Biography in Bengali

আরও দেখুন, জেমস ওয়াট এর জীবনী – James Watt Biography in Bengali

আরও দেখুন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জীবনী – Ishwar Chandra Vidyasagar Biography in Bengali

আরও দেখুন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী – Rabindranath Tagore Biography in Bengali]

চার্লস ডিকেন্স এর জীবনী – Charles Dickens Biography in Bengali

   অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” চার্লস ডিকেন্স এর জীবনী – Charles Dickens Biography in Bengali  ” পােস্টটি পড়ার জন্য। চার্লস ডিকেন্স এর জীবনী – Charles Dickens Biography in Bengali পড়ে কেমন লাগলো কমেন্টে জানাও। আশা করি এই চার্লস ডিকেন্স এর জীবনী – Charles Dickens Biography in Bengali পোস্টটি থেকে উপকৃত হবে। এই ভাবেই BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে  তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।