মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) | Madhyamik Geography Question and Answer
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর : ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) Madhyamik Geography Question and Answer : মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion, Notes – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 10th Ten X Geography Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।
তোমরা যারা ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Question and Answer Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো।
ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th Geography Question and Answer
বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Question and Answer :
- কারাকোরামের উত্তরে ভারত ও চিন সীমান্তে কোন পর্বত রয়েছে ?
(A) আগিল পর্বত
(B) আরাবল্লি পর্বত
(C) বিন্ধ্য পর্বত
(D) নাঙ্গা পর্বত
Ans: (A) আগিল পর্বত
- সিন্ধুনদ ও শিয়ক নদীর মাঝে কোন পর্বতশ্রেণি অবস্থিত ?
(A) নাঙ্গা পর্বত
(B) বিন্ধ্য পর্বত
(C) লাডাক পর্বতশ্রেণি
(D) আরাবল্লি পর্বতশ্রেণি
Ans: (C) লাডাক পর্বতশ্রেণি
- ভারতের উচ্চতম মালভূমির নাম কী ?
(A) সিয়াচেন
(B) জম্মু
(C) লাডাক
(D) আকসাই
Ans: (C) লাডাক
- লাডাক পর্বতশ্রেণির প্রধান গিরিপথ হলো—
(A) ডাফলা
(B) মিশমি
(C) শিবালিক
(D) খারদুংলা
Ans: (D) খারদুংলা
- হিমালয় শব্দের অর্থ হলো—
(A) বরফের বাসস্থান
(B) সর্বোচ্চ শৃঙ্গ
(C) পর্বত
(D) উচ্চভূমি
Ans: (A) বরফের বাসস্থান
- পূর্ব – পশ্চিমে হিমালয় পর্বত কত কিমি দীর্ঘ ?
(A) 2000 কিমি ।
(B) 2500 কিমি ।
(C) 3000 কিমি
(D) 4000 কিমি
Ans: (B) 2500 কিমি ।
- হিমালয় পর্বতমালার মোট ক্ষেত্রফল হলো—
(A) 4 লক্ষ বর্গ কিমি
(B) 6 লক্ষ বর্গ কিমি
(C) 5 লক্ষ বর্গ কিমি
(D) 7 লক্ষ বর্গ কিমি ।
Ans: (D) 7 লক্ষ বর্গ কিমি ।
- হিমালয়ের সর্বদক্ষিণে পশ্চিম থেকে পূর্বে সারি বেঁধে যে পর্বতগুলোর সৃষ্টি হয়েছে , তাদের কী বলে ?
(A) শিবালিক পর্বত
(B) নাঙ্গা পর্বত
(C) হিমাদ্রি হিমালয়
(D) টেথিস হিমালয়
Ans: (A) শিবালিক পর্বত
- ভারতের দক্ষিণতম পর্বতটি হলো—
(A) ধবলগিরি পর্বত
(B) নাঙ্গা পর্বত
(C) পালনি পর্বত
(D) আনাইমুদি
Ans: (C) পালনি পর্বত
- ভারতের বৃহত্তম মালভূমিটি হলো—
(A) লাডাক মালভূমি
(B) সিয়াচেন মালভূমি
(C) তিব্বত মালভূমি
(D) দাক্ষিণাত্য মালভূমি
Ans: (D) দাক্ষিণাত্য মালভূমি
- শিবালিক ও হিমাচলের মধ্যে কী অবস্থিত ? (A) তাল
(B) দুন উপত্যকা
(C) গুহা
(D) গিরিপথ
Ans: (B) দুন উপত্যকা
- ভারতের তথা এশিয়ার দীর্ঘতম সুড়ঙ্গের নাম কী ?
(A) জওহর টানেল
(B) ইন্দিরা টানেল
(C) জওহর টানেল
(D) রাজীব টানেল
Ans: (A) জওহর টানেল
- গাঙ্গেয় সমভূমি কয়টি অঞ্চলে বিভক্ত ?
(A) 3 টি ভাগে
(B) 5 টি ভাগে
(C) 7 টি ভাগে
(D) 9 টি ভাগে
Ans: (A) 3 টি ভাগে
- সরস্বতী নদীর শুষ্ক খাতকে কী বলে ?
(A) খান্দ
(B) খগগর
(C) বলসন
(D) রোহি
Ans: (B) খগগর
- পৃথিবীর মোট জলরাশির কত শতাংশ সমুদ্রে রয়েছে ?
(A) 90 %
(B) 92 %
(C) 97.5 %
(D) 99.5 %
Ans: (C) 97.5 %
- ভারতের দীর্ঘতম ও জাতীয় নদীর নাম কী ? (A) গোদাবরী
(B) যমুনা
(C) ব্ৰহ্মপুত্ৰ
- দুন উপত্যকায় হিমবাহ দ্বারা সৃষ্ট হ্রদগুলিকে কী বলে ?
(A) তাল
(B) দুন
(C) প্লায়া
(D) ধান্দ
Ans: (A) তাল
সত্য মিথ্যা নির্বাচন করো | মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Question and Answer :
- ভারত উত্তর – দক্ষিণে 3214 কিমি এবং পূর্ব – পশ্চিমে 2933 কিমি বিস্তৃত ।
Ans: সত্য
- ভারত পৃথিবীর সপ্তম ও এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম দেশ ।
Ans: সত্য
- ভারত – চিনের সীমারেখা ম্যাকমোহন রেখা দ্বারা পৃথক হয়েছে ।
Ans: সত্য
- মান্নার উপসাগর ও পক প্রণালী দ্বারা ভারত শ্রীলঙ্কা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে ।
Ans: সত্য
- উত্তর – পশ্চিম সীমান্তে আফগানিস্তান 40 কিমি ডুরান্ড লাইন এবং 3310 কিমি রেডক্লিফ লাইন দ্বারা পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে ।
Ans: সত্য
- 1956 সালের 1 নভেম্বর ভারত সরকার ভাষার ভিত্তিতে 14 টি অঙ্গরাজ্য ও 6 টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করে ।
Ans: সত্য
- কাঞ্চনজঙ্ঘা ( 8598 মি . ) ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ।
Ans: সত্য
- আরাবল্লি ভারতের প্রাচীনতম ভঙ্গিল পর্বত , এর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হলো গুরুশিখর ( 1722 মি . ) ।
Ans: সত্য
- ধুঁয়াধর জলপ্রপাত মার্বেল পাথর সমৃদ্ধ ।
Ans: সত্য
- পশ্চিম সাতপুরা অংশের স্থানীয় নাম রাজপিপলা পাহাড় ।
Ans: সত্য
- মধ্য সাতপুরা অংশটি মহাদেব ও গাউইলগড় পাহাড় নামে পরিচিত ।
Ans: সত্য
- পূর্ব সাতপুরা অংশটি মহাকাল উচ্চভূমি নামে পরিচিত নয় ।
Ans: মিথ্যা
- নীলগিরির দক্ষিণ – পশ্চিমাংশকে কুণ্ডা বলে ।
Ans: সত্য
- পৃথিবীর 34 টি জীববৈচিত্র্য তপ্তভূমির ( Hotspot ) অন্যতম পশ্চিমঘাট ।
Ans: সত্য
- আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ প্রায় 120 কিমি প্রশস্ত 10 % চ্যানেল দ্বারা বিচ্ছিন্ন ।
Ans: সত্য
- লাক্ষাদ্বীপে প্রায় 36 টি দ্বীপ রয়েছে ।
Ans: সত্য
- হিমালয় থকে উৎপন্ন নদীগুলি বরফগলা জলে পুষ্ট বলে সারাবছর জল থাকে ।
Ans: সত্য
- পাঞ্জাব গম বলয় ও পশ্চিমবঙ্গ ধান বলয় ভারতের শ্রেষ্ঠ কৃষিবলয় ।
Ans: সত্য।
এককথায় উত্তর দাও | মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Question and Answer :
- পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের নাম কী ?
Ans: ভারত ।
- অবস্থান অনুসারে ভারত কোথায় অবস্থিত ?
Ans: উত্তর গোলার্ধে এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণাংশে অবস্থিত ।
- ভারতের মোট ক্ষেত্রফল কত ?
Ans: 32 লক্ষ 87 হাজার 263 বর্গ কিমি ।
- ভারতের পশ্চিমতম স্থান কোনটি ?
Ans: গুজরাটের গুহার মেটার ।
- ভারতের পূর্বতম স্থান কোনটি ?
Ans: অরুণাচল প্রদেশের কিবিথু ।
- ভারতের পূর্ব সীমা থেকে পশ্চিম সীমা পর্যন্ত সময়ের পার্থক্য কত ?
Ans: 1 ঘণ্টা 56 মিনিট ।
- ভারতের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম স্থান কোনটি ?
Ans: তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী ।
- ভারতের কোন রাজ্য সর্বাধিক রাজ্যকে স্পর্শ করে রয়েছে ?
Ans: উত্তরপ্রদেশ ( আটটি রাজ্যকে স্পর্শ করেছে ) ।
- বর্তমানে ভারতে রাজ্যের সংখ্যা কত ?
Ans: 29 টি অঙ্গরাজ্য এবং 7 টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ।
- সর্বাধিক আন্তর্জাতিক সীমা স্পর্শ করেছে কোন কোন রাজ্য ?
Ans: তিনটি রাজ্য ( পশ্চিমবঙ্গ , অরুণাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর ) ।
- জাতীয় রাজধানী অঞ্চল ‘ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে কোন অঞ্চলকে ?
Ans: নতুন দিল্লিকে ।
- Seven Sisters of India কাকে বলা হয় ?
Ans: অসম , অরুণাচল প্রদেশ , নাগাল্যান্ড , মণিপুর , ত্রিপুরা , মেঘালয় ও মিজোরাম এই 7 টি রাজ্যকে বলা হয় Seven Sisters of India .
- দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তরে হিমালয় পর্যন্ত প্রসারিত একমাত্র রাজ্যের নাম কী ?
Ans: পশ্চিমবঙ্গ ।
- আয়তনে ভারতের বৃহত্তম রাজ্যের নাম কী ?
Ans: রাজস্থান ।
- কর্কটক্রান্তিরেখা কোন কোন রাজ্যের ওপর দিয়ে বিস্তৃত ?
Ans: গুজরাট , রাজস্থান , মধ্যপ্রদেশ , ছত্তিশগড় , ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ প্রভৃতি রাজ্য ।
- পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া কোন কোন রাজ্য বাংলাদেশ সীমান্তকে স্পর্শ করেছে ?
Ans: অসম , মেঘালয় ও ত্রিপুরা রাজ্য ।
- নেপাল ও ভুটানকে ভারতের কোন কোন রাজ্য স্পর্শ করেছে ?
Ans: উত্তরাখণ্ড , উত্তরপ্রদেশ , বিহার , সিকিম , পশ্চিমবঙ্গ , অসম , অরুণাচল প্রদেশ প্রভৃতি রাজ্য ৷
- 1953 খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে কার ওপর ভিত্তি করে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয় ?
Ans: ভাষার ভিত্তিতে ।
- 2000 সালে ভারতে কয়টি রাজ্য গঠিত হয় ?
Ans: তিনটি । 1 নভেম্বর — মধ্যপ্রদেশ ভেঙে ছত্তিশগড় , 7 নভেম্বর — উত্তরপ্রদেশ ভেঙে উত্তরাখণ্ড , 15 নভেম্বর বিহার ভেঙে ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠিত হয় ।
- 2 জনু 2014 কোন রাজ্য ভেঙে ভারতের নবীনতম রাজ্য গঠিত হয় ?
Ans: অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলেঙ্গানা রাজ্য । ( রাজধানী – হায়দরাবাদ )
- আয়তনে ভারতের ক্ষুদ্রতম রাজ্য কোনটি ?
Ans: গোয়া ।
- আয়তনে ভারতের বৃহত্তম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কোনটি ?
Ans: আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ।
- আয়তনে ভারতের ক্ষুদ্রতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কোনটি ?
Ans: লক্ষাদীপ ।
- হিমালয় পর্বতমালা কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ?
Ans: পশ্চিমে জম্মু – কাশ্মীরের নাঙ্গা পর্বত থেকে পূর্বে অরুণাচল প্রদেশের নামচাবারওয়া ( 7756 কিমি ) পর্যন্ত বিস্তৃত ।
- শিবালিক পর্বত জম্মুতে ‘ জম্মু পাহাড় ‘ , অরুণাচল প্রদেশে ‘ ডাফলা ’ , মিরি আবর , মিশমি , কিন্তু উত্তরাখণ্ডে কী নামে পরিচিত ?
Ans: ধ্যাং পর্বতশ্রেণি ।
- ভারতের স্থলভাগের সর্বনিম্ন স্থানের নাম কী ?
Ans: কেরালার কুট্টানাড়ু ।
- পামির মালভূমি ও সিন্ধুনদের মধ্যবর্তী অংশে কোন পর্বতশ্রেণি অবস্থিত ?
Ans: কারাকোরাম পর্বতশ্রেণি ।
- হিমাচল হিমালয়ের উত্তর – পশ্চিম থেকে পূর্বে যে পর্বতশ্রেণিটি বিস্তৃত রয়েছে , তাকে কী বলে ?
Ans: হিমাদ্রি হিমালয় ।
- কাশ্মীরে 100-200 মিটার উচ্চ হ্রদের চারপাশে যে ধাপযুক্ত উর্বর পলিস্তরের সৃষ্টি হয়েছে তাকে স্থানীয় ভাষায় কী বলে ?
Ans: ক্যারেওয়া ।
- শিবালিকের উত্তরে প্রায় 2000-5000 মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট পশ্চিম থেকে পূর্বে যে পর্বতশ্রেণিটি রয়েছে তাকে কী বলে ?
Ans: হিমাচল ।
- ভারতের উত্তরতম ও দক্ষিণতম বিন্দুর নাম কী ?
Ans: জম্মু ও কাশ্মীরের ইন্দিরা কল ( উত্তরতম ) এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ইন্দিরা পয়েন্ট ( দক্ষিণতম ) বিন্দু ।
- ভূপ্রাকৃতিক বৈচিত্র্য অনুসারে ভারতকে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ?
Ans: পাঁচটি ভাগে ( উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল , উত্তরের সমভূমি অঞ্চল , উপদ্বীপীয় : মি অঞ্চল , উপকূলীয় সমভূমি অঞ্চল ও দ্বীপপুঞ্জ ) ।
- মাউন্ট এভারেস্টকে নেপালি ও তিব্বতীয় ভাষায় কী বলা হয় ?
Ans: সাগরমাথা ( নেপালিরা ) ও চোমোলুংমা ( তিব্বতীয়রা ) ।
- ভূপ্রাকৃতিক তারতম্য অনুসারে মরু সমভূমিকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ?
Ans: পাঁচ ভাগে ( বাগর , রোহি , ক্ষুদ্র মরু , হামাদা , মরুস্থলী )
- ভারতের থর মরুভূমিতে চলমান বালিয়াড়িকে কী বলা হয় ?
Ans: থ্রিয়ান ( অর্থ চলমান ) ।
- উত্তরের বৃহৎ সমভূমি অঞ্চলের দক্ষিণে অবস্থিত মালভূমি অঞ্চলকে কী বলা হয় ?
Ans: দাক্ষিণাত্যের মালভূমি ।
- চম্বল অঞ্চলের এবড়োখেবড়ো ভূমি কী নামে পরিচিত ?
Ans: বিহড় নামে পরিচিত ।
- বানাবুদান পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী ?
Ans: মুলানগিরি ( 1923 মিটার ) ।
- পশ্চিমঘাটের দক্ষিণতম শৃঙ্গের নাম কী ?
Ans: আগস্ত্যকুটম ( 2044 মিটার ) ।
- কৃষ্ণা নদীর মোহনা থেকে কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ পর্যন্ত বিস্তৃত দক্ষিণাংশের উপকূলকে কী বলে ?
Ans: করমণ্ডল উপকূল ।
- তামিলনাড়ু উপকূলের বালিয়াড়িকে স্থানীয় ভাষায় কী বলে ?
Ans: থেড়িস ।
- ভারতের বৃহত্তম উপকূলের নাম কী ?
Ans: গুজরাট উপকূল ।
- কচ্ছরণ শব্দের অর্থ কী ?
Ans: ‘ কচ্ছ ‘ শব্দের অর্থ জলময় দেশ এবং ‘ রণ ‘ শব্দের অর্থ কর্দমাক্ত ও লবণাক্ত নিম্নভূমি ।
- গির ও গিরনার পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী ?
Ans: গোরক্ষনাথ ( 1197 মিটার ) ।
- ভারতের বৃহত্তম কয়ালের নাম কী ?
Ans: ভেম্বানাদ কয়াল ।
- আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দু’টি আগ্নেয়গিরির নাম করো ।
Ans: ব্যারন ( সুপ্ত ) ও নরকোণ্ডম ( মৃত ) ।
- আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী ?
Ans: স্যাডল পিক ( 738 মিটার ) ।
- কৃয়া নদীর উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে ? Ans: পশ্চিমঘাট পর্বতের মহাবালেশ্বর শৃঙ্গ থেকে ।
- কৃক্মা নদীর মোট দৈর্ঘ্য কত ?
Ans: 1400 কিমি ।
- ভারতের কত শতাংশ জমিতে খালের মাধ্যমে জলসেচ করা হয় ?
Ans: প্রায় 26 শতাংশ ।
- কূপ ও নলকূপের মাধ্যমে কত শতাংশ জমিতে জলসেচ করা হয়ে থাকে ?
Ans: প্রায় 53 শতাংশ ।
- জলাশয় সেচের মাধ্যমে ভারতের মোট কত শতাংশ জমিতে জলসেচ হয় ?
Ans: 2 প্রায় 9 শতাংশ ।
- ওড়িশার মহানদীর ওপর কোন পরিকল্পনা অবস্থিত ?
Ans: হিরাকুঁদ পরিকল্পনা ( ভারতের দীর্ঘতম বাঁধ ) ।
- পাঞ্জাব , রাজস্থান , হরিয়ানার যৌথ উদ্যোগে কোন পরিকল্পনা গড়ে উঠেছে ?
Ans: ভাকরা – নাঙ্গাল পরিকল্পনা ( ভারতের বৃহত্তম বহুমুখী পরিকল্পনা ) ।
- উত্তরপ্রদেশের শোন নদীর উপর কোন পরিকল্পনা গড়ে উঠেছে ?
Ans: রিহান্দ পরিকল্পনা ।
- অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা নদীর উপর কোন পরিকল্পনা গড়ে উঠেছে ?
Ans: নাগার্জুন সাগর পরিকল্পনা ।
- ভারত তথা পৃথিবীর সর্বাধিক বৃষ্টিবহুল স্থানের নাম কী ?
Ans: মেঘালয়ের মৌসিনরাম ( বার্ষিক বৃষ্টির পরিমাণ 1350 সেমি ) ।
- গ্রীষ্মকালে পাঞ্জাব , হরিয়ানাতে যে ধূলিঝড় প্রবাহিত হয় তাকে কী বলে ?
Ans: আঁধি ।
- কর্ণাটকে আম্রবৃষ্টিতে কফি চাষের সুবিধা হয় বলে একে কী বলে ?
Ans: Cherry blossom .
- ভারতের শীতলতম স্থানের নাম কী ?
Ans: লাডাখের দ্রাস ( -40 ° c ) ।
- ভারতের আবহাওয়া অফিসের সদর দপ্তর কোথায় ?
Ans: নয়াদিল্লি ( মৌসম ভবন ) ।
- ক্যাকটাস উদ্ভিদ কাকে বলে ?
Ans: মরু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের অভাবজনিত কারণে উদ্ভিদের পাতা কাঁটায় রূপান্তরিত হয় বলে এই উদ্ভিদকে ক্যাকটাস উদ্ভিদ বলে ।
- শোলা ( Shola ) কী ?
Ans: কেরল , তামিলনাড়ু , কর্ণাটক রাজ্যে উপক্রান্তীয় চিরহরিৎ পার্বত্য অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে বলে একে দক্ষিণ ভারতের শোলা ( Shola ) বলে ।
- চিপকো আন্দোলন ( 1973 ) -এর নেতৃত্ব কে দেন ?
Ans: সুন্দরলাল বহুগুণা ও চণ্ডীপ্রসাদ ভাট ।
- নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃত্ব কে দেন ?
Ans: মেধা পাটকর , বাবা আমতে ও অরুন্ধতী রায় ।
- অ্যাপিকো আন্দোলন ( 1983 ) কোন রাজ্যে সংঘটিত হয় ?
Ans: কর্ণাটকে ( সিরসি অঞ্চলে ) ।
- উচ্চতা অনুসারে হিমালয় পর্বতকে উত্তর থেকে দক্ষিণে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয় ?
Ans: চারটি ভাগে ( শিবালিক , হিমাচল , হিমাদ্রি ও টেথিস )
- পিরপাঞ্জাল , ধাউলাধর , নাগচিব্বা ও মুসোরি পর্বতশ্রেণি কোথায় অবস্থিত ?
Ans: শিবালিক ও হিমাদ্রি হিমালয়ের মাঝে ।
- দৈর্ঘ্য বরাবর হিমালয় পর্বতমালাকে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ?
Ans: তিনটি ভাগে ( পশ্চিম , মধ্য ও পূর্ব হিমালয় ) ।
67.!কাশ্মীর উপত্যকা , কুলু ও কাংড়া উপত্যকা কোথায় অবস্থিত ?
Ans: পিরাপাপ্তাল ও জাস্কাল পর্বতের মাঝে ।
- পশ্চিমে শতদ্রু নদী ও পূর্বে কালীগণ্ডকী নদীর মাঝে কোন হিমালয় অবস্থিত ?
Ans: উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুন হিমালয় ।
- লুনি নদীর উত্তরাংশে বালুময় ক্ষুদ্র মরু অংশকে কী বলে ?
Ans: থালি ।
- দক্ষিণ ভারতের শস্যভাণ্ডার কাকে বলা হয় ?
Ans: কাবেরী নদীর ব – দ্বীপকে ।
- শিবালিক পর্বতমালা থেকে আগত ছোটো ছোটো নদী দ্বারা যে ক্ষয়প্রাপ্ত ভূমিভাগ সৃষ্টি হয় তাকে স্থানীয় ভাষায় কী বলে ?
Ans: চোস ।
- শিবালিকের পাদদেশে নদীবাহিত নুড়ি , কাকর , বালি , পলি দ্বারা গঠিত অংশকে কী বলা হয় ?
Ans: ভাবর ।
- মালাবার উপকূলীয় সমভূমি অঞ্চলের হ্রদগুলিকে কী বলা হয় ?
Ans: কয়াল ।
- ভারতের তথা এশিয়ার বৃহত্তম উপহ্রদের বা লেগুনের নাম কী ?
Ans: ওড়িশার চিল্কা উপহ্রদ
- ভারতের বৃহত্তম কয়ালের নাম কী ?
Ans: ভেম্বানাদ ।
- ভারতের বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ মৎস্য আহরণ ক্ষেত্রের নাম কী ?
Ans: ওড়িশার চিল্কা উপহ্রদ ।
- কৃপ ও নলকূপের মাধ্যমে সেচকাজ সবচেয়ে বেশি হয় কোন রাজ্যে ?
Ans: উত্তরপ্রদেশে ।
- পশ্চিমবঙ্গের দুঃখ বলা হয় কাকে ?
Ans: দামোদর নদকে
- কোন ঋতুকে দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমনকাল বলা হয় ?
Ans: বর্ষা ঋতুকে ।
- পৃথিবীর সর্বাধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলের নাম কী ?
Ans: মেঘালয়ের মৌসিনরাম ।
- কোন ঋতুকে মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাবর্তনকাল বলা হয় ?
Ans: শরৎ ঋতুকে ।
- মরু অঞ্চলে কী ধরনের মৃত্তিকা লক্ষ করা যায় ?
Ans: সিরোজেম জাতীয় মরু মৃত্তিকা ।
- পার্বত্য অঞ্চলে কী ধরনের মৃত্তিকা লক্ষ করা যায় ?
Ans: হিউমাসযুক্ত পড়সল মৃত্তিকা ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Question and Answer :
- দুন বলতে কী বোঝো ?
Ans: ‘ দুন ‘ কথার অর্থ হলো ‘ পার্বত্য অঞ্চলের উপত্যকা ’ । সংকীর্ণ পর্বতের মাঝে অবস্থিত নিম্নস্যানকে বলা হয় দুন । যেমন – দেরাদুন ।
- খাদার ও ভাঙ্গর কী ?
Ans: নবীন পলিগঠিত নিম্নভূমিকে বলা হয় খাদার । এইপ্রকার মৃত্তিকা খুবই উর্বর । উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবে এইপ্রকার মৃত্তিকা দেখা যায় । প্রাচীন পলিমৃত্তিকা দিয়ে গঠিত উচ্চভূমিকে বলা হয় ভাঙ্গর । এই মৃত্তিকা কৃষিকার্যের জন্য ততটা সহায়ক নয় ।
- বাগর ও রোহি অঞ্চল কাকে বলে ?
Ans: রাজস্থানের মরু অঞ্চলের পূর্বদিকে আরাবল্লি পর্বতের পাদদেশে অল্প বালুকাময় স্যানকে বাগর বলে । বাগর অঞ্চলের পশ্চিমে আরাবল্লি পর্বত থেকে উদ্ভূত ছোটো ছোটো নদীর দ্বারা সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্ট প্লাবনভূমিকে বলা হয় রোহি ।
- তরাই ও ডুয়ার্স কাকে বলে ?
Ans: পশ্চিমবঙ্গের হিমালয়ের পাদদেশীয় অঞ্চলের স্যাতস্যাতে ও অরণ্যময় সমভূমিকে তরাই বলে । তিস্তা নদীর পূর্বতীর থেকে শুরু করে তরাইয়ের অবশিষ্ট অংশকে বলা হয় ডুয়ার্স ।
- ডেকান ট্রাপ কাকে বলে ?
Ans: ডেকান শব্দের অর্থ দাক্ষিণাত্য এবং ট্রাপ শব্দের অর্থ সিঁড়ি । ভূঅভ্যন্তরের উত্তপ্ত ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠের উপরে ধীরে ধীরে সঞ্চিত হয়ে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে ধাপে ধাপে সিঁড়ির মতো নেমে গেছে । একে ডেকান ট্রাপ বলে ।
- মালনাদ ও ময়দান কাকে বলে ?
Ans: ‘ মালনাদ ’ শব্দের অর্থ হলো উঁচু – নীচু ভূমি । অর্থাৎ কর্নাটক মালভূমির পশ্চিমাংশে যে উঁচু – নীচু ঢেউ খেলানো ভূমিভাগ রয়েছে , তাকে বলা হয় মালনাদ ।
‘ ময়দান ’ শব্দের অর্থ হলো অনুচ্চ ভূমিভাগ । অর্থাৎ কর্নাটক মালভূমির পূর্বে মৃদু ঢেউ খেলানো সমপ্ৰায়ভূমিকে বলা হয় ময়দান ৷
- কয়াল কী ?
Ans: ভূআলোড়নের প্রভাবে কেরলের মালাবার উপকূলে ভূউত্থান ও নিমজ্জনের ফলে অসংখ্য জলাভূমি বা উপহ্রদের সৃষ্টি হয়েছে , এগুলিকে কেরলের স্থানীয় ভাষায় বলা হয় কয়াল । যেমন — ভেম্বানাদ ( বৃহত্তম ) , অষ্টমুদি ইত্যাদি ।
- বরেন্দ্রভূমি কাকে বলে ?
Ans: তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চলের গঙ্গা নদীর বাম তীরের সমভূমিকে বলা হয় বরেন্দ্র ভূমি । অনেকের মতে , সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো অগভীর হ্রদে হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চল থেকে বয়ে আনা পলি সঞ্চয়ের ফলে এই অঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে ।
- বহুমুখী নদী পরিকল্পনা কাকে বলে ?
Ans: যে পরিকল্পনার সাহায্যে নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে নদীর জলকে সমাজকল্যাণের বিভিন্ন উদ্দেশ্যে যথা – বন্যা নিয়ন্ত্রণ , জলসেচ , জলবিদ্যুৎ উৎপাদন , মৎস্য চাষ , পানীয় জলের জোগান প্রভৃতির উন্নয়নে ব্যবহার করা হয় , তাকে বহুমুখী নদী পরিকল্পনা বলে ।
- ভারতকে মৌসুমি বায়ুর দেশ বলা হয় কেন ?
Ans: ভারত ক্রান্তীয় – উপক্রান্তীয় অঞ্চলের অন্তর্গত এক সুবিশাল বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ । সামগ্রিকভাবে ভারতবর্ষের জলবায়ু মৌসুমি বায়ু দ্বারা প্রভাবিত । যথা — উত্তর – পূর্ব ও দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দ্বারা ভারতের জলবায়ু নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে । তাই ভারতকে মৌসুমি বায়ুর দেশ বলা হয় ।
- ভারতের কোন কোন অঞ্চলে বছরে দু’বার বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে ?
Ans: ভারতের দক্ষিণ – পূর্বে অবস্থিত করমণ্ডল উপকূলে গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এবং শীতকালে উত্তর – পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে ।
- পশ্চিমি ঝঞ্ঝা কাকে বলে ?
Ans: শীতকালে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু পশ্চিম দিক থেকে কাশ্মীর , পাঞ্জাব , হিমাচল প্রদেশ , উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশে প্রবেশ করে বেশ কয়েকদিন প্রচুর ঝড়ঝঞ্ঝা ও তুষারপাত ঘটায় , একেই পশ্চিমি ঝঞ্ঝা বলে ।
- কচ্ছের রণ অঞ্চল কাকে বলে ?
Ans: ‘ রণ ‘ শব্দের অর্থ জলময় দেশ । গুজরাটের কচ্ছ উপদ্বীপের উত্তর ও পূর্বের অগভীর লবণাক্ত জলাভূমিকে বলা হয় কচ্ছের রণ । কচ্ছের রণের উত্তর অংশকে বলার বৃহ রণ এবং দক্ষিণ অংশকে বলা হয় ক্ষুদ্র রণ ।
- মরুস্থলী কাকে বলে ?
Ans: ‘ মরুস্থলী ‘ শব্দের অর্থ মৃতের দেশ । ভারতের আরাবল্লি পর্বতের পশ্চিম দিকে অবস্থিত রাজস্থানের থর মরুভূমি অঞ্চলে প্রায় সমতল বালুকাময় অঞ্চলকে মরুস্থলী বা মৃতের দেশ বলা হয় ।
- মৌসুমি বিস্ফোরণ কাকে বলে ?
Ans: উত্তর – পশ্চিম ভারতে মে – জুন মাসে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আরব সাগর থেকে বয়ে আনে । এই জলীয় বাষ্পের ফলে ঘন মেঘ , বজ্র – ঝড় মুষলধারে হঠাৎ প্রচণ্ড আকারে বৃষ্টিপাত ঘটায় , একে মৌসুমি বিস্ফোরণ বলে ।
- আশ্বিনের ঝড় কাকে বলে ?
Ans: অক্টোবর – নভেম্বর মাসে মকরক্রান্তীয় অঞ্চলে সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় । ফলে প্রত্যাবর্তনকারী মৌসুমি বায়ু ও দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সংঘর্ষে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয় । আশ্বিন মাসে এই ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয় বলে একে আশ্বিনের ঝড় বলে ।
- অন্তর্বাহিনী নদী কাকে বলে ?
Ans: যখন কোনো নদী দেশের অভ্যন্তরের কোনো পাহাড় , পর্বত বা কোনো উচ্চভূমি থেকে উৎপত্তি লাভ করে সেই দেশের কোনো হ্রদ বা জলাশয়ে এসে মিলিত হয় , তখন তাকে অন্তর্বাহিনী নদী বলে । যেমন — লুনি , রূপনগর নদী ।
- সামাজিক বনসৃজন কাকে বলে ?
Ans: গ্রামীণ জনসাধারণের আর্থ – সামাজিক অবস্থার উন্নতির উদ্দেশ্যে পরিবেশের সুস্থতা , জীবজগতের ভারসাম্য রক্ষা , সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে রাস্তার দু’ধারে , নদীর তীরবর্তী এলাকায় , রেললাইনের ফাঁকা জমিতে , পতিত জমিতে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগকে বলা হয় সামাজিক বনসৃজন ।
- কৃষি বনসৃজন কাকে বলে ?
Ans: কৃষক তার নিজের জমিতে ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি কাঠ , ফলমূল , জৈব সার , ওষুধ প্রভৃতি পাওয়ার জন্য কৃষিজমির চারিদিকে অব্যবহৃত বা পতিত জমিতে গাছ লাগিয়ে যে বনভূমি গড়ে তোলে তাকে , কৃষি বনসৃজন বলে ।
- বৃষ্টির জল সংরক্ষণ বলতে কী বোঝো ?
Ans: বাড়ির ছাদে পড়া বৃষ্টির জলকে জলাধারে সঞ্চিত করে , পুকুর ও নালা খুঁড়ে বৃষ্টির জল ধরে রেখে , খোলা জায়গায় গর্ত করে বৃষ্টির জল ধরে রেখে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যবহার করাকে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ বলে ।
- আঁধি কাকে বলে ?
Ans: এপ্রিল – মে মাসে গ্রীষ্মকালে রাজস্থানের থর মরুভূমি অঞ্চলে বিকালের দিকে যে প্রবল ধূলিঝড়ের সৃষ্টি হয় তাকে স্থানীয় ভাষায় আঁধি বলে ।
- আম্রবৃষ্টি কাকে বলে ?
Ans: গ্রীষ্মকালে স্থানীয় নিম্নচাপের প্রভাবে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে বিকালের দিকে যে ঝড় বৃষ্টি হয় তাকে আম্রবৃষ্টি বলে ।
- মৌসুমি বৃষ্টিচ্ছেদ কাকে বলে ?
Ans: জুলাই – আগস্ট মাসে বর্ষাকালে মৌসুমি বৃষ্টি একটানা না হয়ে ধাপে ধাপে হয়ে থাকে । মাঝখানে বেশ কিছুদিন বৃষ্টির বিরতি লক্ষ করা যায় , তাকে মৌসুমি বৃষ্টিচ্ছেদ বলে ।
- নালি ও প্রণালী ক্ষয় কী ?
Ans: বৃষ্টির জলের দ্বারা মৃত্তিকার উপরিস্তরে ক্ষয়ের ফলে সরু লম্বা নালার সৃষ্টি হলে , নালি ক্ষয় বলে । এই নালি ক্ষয়গুলি পরস্পর যুক্ত হলে তাকে প্রণালী ক্ষয় বলে ।
- মৃত্তিকা সংরক্ষণ কাকে বলে ?
Ans: মৃত্তিকার ক্ষয়রোধ করে ভূমির উর্বরাশক্তি পুনরায় ফিরিয়ে আনতে , জমির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয় , তাকে মৃত্তিকা সংরক্ষণ বলে ।
- ঝুমচাষ কাকে বলে ?
Ans: ভারতের উত্তর – পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীরা পর্বতের ঢালে বনজঙ্গল পুড়িয়ে চাষাবাদ করে । পরবর্তীতে জমি অনুর্বর হয়ে পড়লে অন্য স্থানে একইভাবে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে । একে স্থানান্তর কৃষি বা উত্তর – পূর্ব ভারতে ঝুমচাষ বলে ।
- শস্যাবর্তন বলতে কী বোঝো ?
Ans: একই জমিতে এক বা একাধিক ফসল উৎপাদনের ফলে জমির উর্বরাশক্তি হ্রাস পায় । মৃত্তিকার গুণগত মান সঠিক রাখার জন্য বছরের বিভিন্ন সময়ে ফসলের চক্রাকারে চাষাবাদকে শস্যাবর্তন বলা হয় ।
- নর্মদা ও তাপ্তি নদীতে কেন ব – দ্বীপ সৃষ্টি হয়নি ?
Ans: নর্মদা ও তাপ্তি নদী গ্রস্ত উপত্যকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় মোহনায় ঢাল এত বেশি যে সেখানে কোনোক্রমেই পলি সঞ্চিত হয় না । ফলে নর্মদা ও তাপ্তি নদীতে ব – দ্বীপ সৃষ্টি হয়নি ।
- মৌসিনরাম – চেরাপঞ্জি অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি হয় কেন ?
Ans: মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে প্রচুর জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের মেঘালয় মালভূমিতে এসে বাধাপ্রাপ্ত হয় । এর ফলে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায় ।
- মরু অঞ্চলের মৃত্তিকা লবণাক্ত কেন ?
Ans: সাধারণত মরুভূমি অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুবই সামান্য কিন্তু বাষ্পীভবনের মাত্রা অধিক । অধিক বাষ্পীভবনের ফলে ভূঅভ্যন্তরের লবণ ক্রমাগত ভূপৃষ্ঠের উপরে উঠে এসে সঞ্চিত হওয়ায় মরু অঞ্চলের মৃত্তিকা লবণাক্ত হয় ৷
- গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান কী ?
Ans: কলকারখানা , বড়ো শহর ও নগরের আবর্জনা , কৃষিক্ষেত্র থেকে বিষাক্ত কীটনাশক , রাসায়নিক সার ধুয়ে এসে গঙ্গার জলে মিশে গঙ্গাকে দূষিত করেছে । গঙ্গার দূষণ রোধ করা জন্য 1985 সালে Central Ganga Authority স্থাপন করে পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান নামের কার্যকরী পরিকল্পনাটি গৃহীত হয় ।
- সামাজিক বনসৃজনের উদ্দেশ্য কী ?
Ans: 1) পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা । 2) শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সরবরাহ অব্যাহত রাখে । 3) পতিত জমি পুনরুদ্ধার ও ভূমিক্ষয় রোধ করা । 4) গ্রামাঞ্চলে জ্বালানি কাঠ , পশুখাদ্য প্রভৃতির জোগান বাড়ানো ।
- কৃষি বনসৃজনের উদ্দেশ্য কী ?
Ans: 1) কৃষিজমিতে খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ করা 2) অব্যবহৃত ও পতিত জমিকে চাষযোগ্য করে অতিরিক্ত কর্মসংস্থান লাভ করা । 3) কৃষিজমিতে ভূমিক্ষয় রোধ করা 4) মানুষের প্রয়োজনীয় জ্বালানির চাহিদা পূরণ করা ।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Question and Answer :
- উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলের গুরুত্ব লেখো ।
Ans: 1. প্রতিরক্ষা : ভারতের উত্তরে হিমালয় পর্বত প্রাচীরের মতো দণ্ডায়মান হওয়ায় বহিঃশত্রুর হাত থেকে অনেকাংশে রক্ষা করে । ও
- নদীর উৎসস্থল : ভারতের প্রধান প্রধান নদী যথা — গঙ্গা , সিন্ধু , ব্রহ্মপুত্র প্রভৃতি নদী হিমালয় পর্বত থেকে উৎপন্ন হওয়ায় সারাবছর জল থাকে যা পানীয় জল , সেচের কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।
পর্যটন শিল্প :
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ হওয়ায় হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে যা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।
- উত্তরের সমভূমির গুরুত্ব লেখো ।
Ans: উন্নত কৃষিকাজ : এই সমভূমি অঞ্চলে ঊর্বর মৃত্তিকা , মনোরোম জলবায়ু , জলসেচের সুবিধা থাকায় ব্যাপক পরিমাণে কৃষিকাজ হয়ে থাকে , তাই এই সমভূমি অঞ্চলকে ভারতের শস্যভাণ্ডার বলা হয় ।
ঘন জনবসতি : প্রাকৃতিক , সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এই অঞ্চল পরিপূর্ণ হওয়ায় ঘন জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে ।
শিল্পের বিকাশ : এই সমভূমি অঞ্চলে উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা , সমতল ভূপ্রকৃতি , পানীয় জলের সুবিধা , বিদ্যুতের সুবিধা থাকায় শিল্পের দ্রুত বিকাশ ঘটেছে ।
- মানবজীবনে হ্রদ , জলাশয় ও খালের গুরুত্ব কী ?
Ans: 1) হ্রদের জল সেচকাজে ব্যবহার করা হয় এবং পর্যটন ও বিনোদন ক্ষেত্র , মৎস্য আহরণ ক্ষেত্র হিসেবে হ্রদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । 2) অতিরিক্ত জলকে জলাশয়ে ধরে রেখে বন্যা প্রতিহত করা হয় , যা বাস্তুতন্ত্র তৈরি ও জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে । 3) খালের জলকে সেচের কাজে ব্যবহার করা হয় , খালের মাধ্যমে কৃষিজাত ও শিল্পজাত পণ্য পরিবহণ করা হয় । খালে মাছ চাষ করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করে ।
- দক্ষিণ ভারতের বেশিরভাগ নদী পূর্ববাহিনী কিন্তু নর্মদা ও তাপ্তি পশ্চিমবাহিনী কেন ?
Ans: টার্সিয়ারি যুগে হিমালয়ের উত্থানকালে উপদ্বীপীয় মালভূমি পূর্বদিকে হেলে পড়ায় ভূমির ঢাল অনুযায়ী নদীগুলি পূর্বদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয় । ঠিক ওইসময় ভারতের মাঝ R বরাবর গ্রস্ত উপত্যকার সৃষ্টি হয় যাদের ঢাল মূলত পশ্চিম দিকে । ওই গ্রস্ত উপত্যকার মধ্য দিয়ে প্রধানত নর্মদা ও তাপ্তি নদী পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছে ।
- রাজস্থানে মরুভূমি সৃষ্টির কারণ কী ?
Ans: আরাবল্লির প্রতিকূল অবস্থান : আরাবল্লি পর্বত দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর গতিপথের সঙ্গে সমান্তরালভাবে অবস্থান করায় বায়ু বাধা না পেয়ে সোজা সামনের দিকে এগিয়ে যায় , ফলে বৃষ্টিপাত ঘটায় না ।
জলীয় বাষ্পের অভাব : দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ু গুজরাট উপকূলে বৃষ্টিপাত ঘটানোর পর সামনে দিকে এগিয়ে গেলে প্রায় বাষ্পহীন হয়ে পড়ে , ফলে মরুভূমি সৃষ্টি হয়েছে ।
- পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় কৃষিউন্নতির তিনটি কারণ সংক্ষেপে আলোচনা করো ।
Ans: পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় কৃষির উন্নতির তিনটি কারণ হলো—
- জলবায়ু : পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যে বাৎসরিক গড় উয়তা 15 ° -25 ° সেন্টিগ্রেড হওয়ায় ধান , গম , কার্পাস ইত্যাদি চাষের পক্ষে তা অত্যন্ত উপযোগী ।
- উর্বর মৃত্তিকা ও সমতল ভূপ্রকৃতি : এই দুই রাজ্যের মৃত্তিকা উর্বর দোআঁশ প্রকৃতির এবং ভূপ্রকৃতি প্রায় সমতল প্রকৃতির হওয়ায় কৃষিতে তা অত্যন্ত উপযোগী ।
- উন্নত সার ও বীজ : উন্নতমানের সার ও বীজের ব্যবহার হওয়ায় এই দুই রাজ্যে হেক্টর প্রতি ফসল উৎপাদনের পরিমাণ সর্বাধিক ।
- ভারতের নগরায়ণের তিনটি সমস্যা লেখো ।
Ans: 1. অপরিকল্পিত নগরায়ণ : ভারতের শহর বা নগরগুলি প্রথম থেকেই অনিয়ন্ত্রিত ও অপরিকল্পিত হওয়ায় নগরে যানজট , আবাসন , শিক্ষা স্বাস্থ্য , বিদ্যুতের সমস্যা বৃদ্ধি
- মানুষের শহর বা নগরমুখী প্রবণতা : বিভিন্ন সুযোগসুবিধার লক্ষ্যে , যথা সুস্বাচ্ছন্দ্য , বিনোদন প্রভৃতির আকাঙ্ক্ষায় মানুষ শহর বা নগরমুখী হওয়ায় দ্রুত হারে সমস্যা বাড়ছে ।
- বসতির সমস্যা : জনসংখ্যা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরে বা নগরে বসতি স্থাপনে সমস্যা দেখা দিচ্ছে ।
- ভারতের অরণ্য সংরক্ষণের তিনটি প্রধান উপায় সংক্ষেপে লেখো ।
Ans: 1. অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃক্ষচ্ছেদন রোেধ : যথেচ্ছভাবে বৃক্ষচ্ছেদন না করে প্রয়োজনীয় ও বয়স্ক গাছ চিহ্নিত করে ছেদন করলে এবং তার পরিবর্তে সেখানে নতুন গাছ লাগিয়ে বৃক্ষের ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব ।
- বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি : বিকল্প জ্বালানি এবং অরণ্য সংলগ্ন মানুষদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে অরণ্য বিনাশ রোধ করা সম্ভব ।
- পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ : পৃথকভাবে তৃণভূমি তৈরি করে বনাঞ্চলে পশুচারণ C নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ফলে অরণ্য অনেকাংশে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে ।
- ভারতের জনজীবনে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব সংক্ষেপে লেখো । বহুমুখী নদী পরিকল্পনা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো ।
Ans: মৌসুমি বায়ুর প্রভাব : ভারতের জনজীবন মৌসুমি বায়ুর দ্বারা প্রভাবিত হয় । এর প্রভাবগুলি হলো— 1. কৃষিতে প্রভাব : তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের তারতম্য অনুযায়ী ভারতে নানা প্রকার কৃষিপদ্ধতি চালু রয়েছে । এগুলি হলো আর্দ্র কৃষি , শুষ্ক কৃষি , সেচন কৃষি ।
- খাদ্যাভ্যাসে প্রভাব : মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে পূর্ব ও উত্তর – পূর্ব ভারতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি । ফলে এখানে ধান উৎপাদন বেশি হয় এবং এখানকার বাসিন্দাদের প্রধান খাদ্য ভাত । অন্যদিকে , উত্তর – পশ্চিম ভারতে বৃষ্টিপাত কম হয় বলে সেখানে গমের ফলন বেশি এবং বাসিন্দাদের প্রধান খাদ্য রুটি ।
- শিল্পে প্রভাব : মৌসুমি বায়ু ও বৃষ্টিপাতের তারতম্যের জন্য সারাদেশে একই কৃষিজাত শিল্পের প্রসার ঘটেনি । পূর্ব ভারতে বৃষ্টিপাত অধিক বলে পাটশিল্প , পশ্চিম ভারতে মাঝারি বৃষ্টিপাতের কারণে কার্পাস শিল্প এবং উত্তর – পূর্ব ভারতে চা শিল্পের প্রসার ঘটেছে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের জন্য ।
- বনভূমিতে প্রভাব : বৃষ্টিপাতের তারতম্য অনুযায়ী স্বাভাবিক উদ্ভিদ স্থানভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে । ফলে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব পড়েছে পশুপালন ও কাঠশিল্পেও।
বহুমুখী নদী পরিকল্পনা :
সংজ্ঞা : কোনো নদীতে বাঁধ দিয়ে একইসঙ্গে একাধিক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করলে তাকে বহুমুখী নদীউপত্যকা পরিকল্পনা বলা হয় ।
এর উদ্দেশ্য : 1. জলসেচ : জল ধরে রেখে শুখা মরসুমে জলসেচ করে চাষাবাদ করা যায় ।
- বন্যা নিয়ন্ত্রণ : নদীবাঁধ বন্যা নিয়ন্ত্রণে খুবই সহায়তা করে ।
- নদীর নাব্যতা বজায় রাখা : বাঁধ তৈরি হওয়ায় সারাবছর ধরে নদীতে জল সরবরাহ বজায় রাখা থাকে ।
- বিদ্যুৎ উৎপাদন : জলাধারে প্রবহমাণ জলে টারবাইনের চাকা ঘুরিয়ে সহজেই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় ।
- পূর্ব হিমালয়ের ভূপ্রকৃতির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ।
Ans: এই পর্বতশ্রেণি পশ্চিমে সিঙ্গালিলা পর্বতশ্রেণি থেকে অরুণাচল প্রদেশের নামবারোয়া পর্যন্ত বিস্তৃত । ভূপ্রকৃতির তারতম্য অনুযায়ী একে চারটি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা— 1. দার্জিলিং ও সিকিম হিমালয় : নেপালের পূর্বে সিঙ্গালিলা থেকে পশ্চিমে ডাকিয়াল পর্যন্ত বিস্তৃত । ভারত ও নেপাল সীমান্তে রয়েছে সিঙ্গালিলা শৈলশিরা । এখানে অনেকগুলো পর্বতশৃঙ্গ লক্ষ করা যায় । যথা — সান্দাকফু ( ৩৬৩০ মি . ) , কাঞ্চনজঙ্ঘা ( ৮৫৯৮ মি . ) ইত্যাদি ।
- ভুটান হিমালয় : [ বহির্দেশে অবস্থিত হওয়ায় আলোচ্য বিষয় নয় । ]
- অরুণাচল হিমালয় : অসমের অধিকাংশ অঞ্চল ও সমগ্র অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে এই হিমালয় অবস্থিত । এখানে বেশ কয়েকটি গিরিপথ অবস্থিত । যেমন — জেলেপলা , বুমলা , তলংলা প্রভৃতি । কাংটো ( ৭০৬০ মি . ) অরুণাচলের উচ্চতম শৃঙ্গ ।
- গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান কী ?
Ans: জল সংরক্ষণের গুরুত্ব ও পদ্ধতি সংক্ষেপে লেখো । পুণ্যতোয়া গঙ্গা নদী বর্তমানে ব্যাপক দূষণের শিকার । গাঙ্গেয় অববাহিকায় সমীক্ষা করে গঙ্গাদূষণ রোধের জন্য ‘ গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান ’ গঠিত হয়েছে । কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের অধীনে ১৯৮৫ সালে ‘ সেন্ট্রাল গঙ্গা অথরিটি ‘ নামে একটি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার তত্ত্বাবধানে ‘ গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান ‘ নামের কার্যকরী পরিকল্পনাটি গৃহীত হয় । এই পরিকল্পনায় প্রথম পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গ , বিহার ও উত্তরপ্রদেশের ২৭ টি প্রথম শ্রেণির শহরকে গঙ্গাদুষণের জন্য দায়ী করা হয়েছে । কলকাতা , পাটনা , বারাণসী , কানপুর ও এলাহাবাদের মতো শহরগুলি গঙ্গাদূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী । উল্লিখিত শহরগুলিতে পরিকল্পনা অনুযায়ী নিকাশি ব্যবস্থা চালু ও জনসচেতনতা বাড়ানো সম্ভব হলে গঙ্গাদূষণ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে ।
প্রসঙ্গত , বড়ো বড়ো শহরের গৃহস্থালির নোংরা – আবর্জনা , কারখানার বর্জ্য পদার্থ ইত্যাদি গঙ্গাজলকে ক্রমাগত দূষিত করছে । এছাড়া গঙ্গাজলের অপব্যবহারও ব্যাপকহারে চলছে । সবমিলিয়ে গঙ্গানদী বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে দূষিত নদী ।
জল সংরক্ষণের গুরুত্ব ও পদ্ধতি :
- গুরুত্ব : 1) পানীয় জলের চাহিদা বজায় রাখা । 2) কৃষিজমিতে জলের চাহিদা পূরণ করা । 3) শিল্প ও বিভিন্ন বাণিজ্য ক্ষেত্রে জলের জোগান বজায় রাখা ।
পদ্ধতি : জলসম্পদের সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি । নীচে জল সংরক্ষণের পদ্ধতিগুলি আলোচিত হলো :
- জলের অপচয় না করা : রোজকার জীবনে নানা কাজে প্রয়োজন অনুযায়ী জলের ব্যবহার করা উচিত । অযথা জলের অপচয় না করলে যেকোনো স্থানে জল সংরক্ষণ করা যায় ।
- জলসেচের সুষ্ঠু ব্যবহার : জল সংরক্ষণে বিন্দু বিন্দু পদ্ধতি ও স্প্রিংকেল পদ্ধতিতে জলসেচ করলে ৩০ শতাংশ জল বাঁচানো সম্ভব ।
- বৃষ্টির জল ধরে রাখা : পাহাড় বা সমতলে চাহিদা অনুযায়ী জলাধার বা ভূগর্ভস্থ জলাধার নির্মাণ করে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ ও প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায় ।
- ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণ : বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া অধিক পরিমাণে ভূগর্ভস্থ জল পাম্প , কূপ বা নলকূপের সাহায্যে তুলে আনা উচিত নয় । এভাবে ভূগর্ভস্থ জলের অপব্যবহার কমানো বা সেই ব্যবহার হ্রাস করেও জল সংরক্ষণ করা যায় ৷
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Question and Answer :
- প্রস্থ বরাবর হিমালয়ের ভূপ্রকৃতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও ।
Ans: উচ্চতা অনুসারে হিমালয় পর্বতকে উত্তর থেকে দক্ষিণে অর্থাৎ প্রস্থ বরাবর ভাগে ভাগ করা যায় । যথা –
টেথিস বা ট্রান্স হিমালয় : আজ থেকে প্রায় 7-12 কোটি বছর পূর্বে প্রবল ভূআলোড়নের ফলে উপদ্বীপীয় ও ইউরোপীয় পাত পরস্পরের দিকে অগ্রসর হওয়ার মহিখাতে সঞ্চিত হওয়া পলি ভাজ খেয়ে এই হিমালয়ের উৎপত্তি হয়েছে । ভারতে এর দৈর্ঘ্য 1000 কিমি , প্রস্থ 40 225 কিমি এবং উচ্চতা 3000 00 মিটার । জাস্কর পর্বতশ্রেণি এই অংশ দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে । এর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হলো লিওপারগেল ( 7420 মি . ) ।
হিমাদ্রি বা হিমগিরি বা উচ্চ হিমালয় : আজ থেকে বহু কোটি বছর পূর্বে টেথিস সাগরে সঞ্চিত পলি ভাজ খেয়ে উপরে উঠে বর্তমানে হিমাদ্রি হিমালয় রূপে অবস্থান করছে । এর দৈর্ঘ্য 2400 কিমি , প্রস্থ গড়ে প্রায় 25 কিমি এবং উচ্চতা গড়ে প্রায় 6100 মিটার এখানকার উল্লেখযোগ্য পর্বতশৃঙ্গগুলি হলো মাউন্ট এভারেস্ট , কাঞ্চনজঙ্ঘা ইত্যাদি । এখানকার উল্লেখযোগ্য গিরিপথগুলি হলো নাথুলা , জোজিলা , বুর্জিলা ইত্যাদি ।
হিমাচল হিমালয় বা মধ্য হিমালয় : লাডাকের দক্ষিণে অবস্থিত উত্তরে হিমাদ্রি ও দক্ষিণে শিবালিক পর্বতের মধ্যবর্তী অংশগুলোকে বলা হয় হিমাচল হিমালয় । এর প্রস্থ গড়ে 60-80 কিমি , উচ্চতা গড়ে 3500-4500 মি .। এর প্রধান পর্বতগুলি হলো পিরপাঞ্জাল , ধওলাধর , নাগটিক্কা এবং কয়েকটি প্রধান উপত্যকা হলো কুলু , কাংড়া , কাশ্মীর প্রভৃতি ।
শিবালিক হিমালয় : ভূআন্দোলন ও টেথিস সাগরের পলি ভাজ খেয়ে হিমালয় পর্বতমালার দক্ষিণে শিবালিক হিমালয়ের সৃষ্টি হয়েছে । এর প্রস্থ 10-15 কিমি এবং এর গড় উচ্চতা 600-1200 মিটার । শিবালিক ও হিমাচল হিমালয়ের মাঝে অবস্থিত উপত্যকাগুলিকে স্থানীয় ভাষায় দুন বলা হয় । যেমন— দেরাদুন , পাটলি দুন ইত্যাদি ।
- দৈর্ঘ্য বরাবর হিমালয়ের ভূপ্রকৃতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও ।
Ans: হিমালয় পর্বতমালাকে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা →
পশ্চিম হিমালয় : জম্মু ও কাশ্মীরের নাঙ্গা পর্বত থেকে নেপাল সীমান্তের কালী নদী পর্যন্ত এই পর্বত বিস্তৃত । পশ্চিম হিমালয়কে তিন ভাগে ভাগ করা যায় । যথা—
- কাশ্মীর হিমালয় : জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে এই হিমালয় বিস্তৃত । পিরপাঞ্ছাল ও কারাকোরাম পর্বতের মাঝে কাশ্মীর উপত্যকা অবস্থিত ।
- পাঞ্জাব ও হিমাচল হিমালয় : পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশের প্রায় 56 . হাজার বর্গ কিমি স্থান জুড়ে এই হিমালয়ের বিস্তার ।
- কুমায়ুন হিমালয় : উত্তরাখণ্ড রাজ্যের প্রায় 46 হাজার বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে এই হিমালয়ের বিস্তার । এখানকার উল্লেখযোগ্য পর্বতশৃঙ্গ হলো নন্দাদেবী ( 7817 মি . ) , কামেট ( 7756 মি . ) ইত্যাদি ।
মধ্য হিমালয় : মধ্য হিমালয় সমগ্র নেপাল দেশটির অন্তর্ভুক্ত । মাউন্ট এভারেস্ট ( 8848 মি . ) , মাকালু , ধবলগিরি , অন্নপূর্ণা প্রভৃতি শৃঙ্গ এখানে অবস্থিত । সুতরাং এই হিমালয় ভারতের অন্তর্ভুক্ত নয় ।
পূর্ব হিমালয় : এই পর্বতশ্রেণি পশ্চিমে সিঙ্গালিলা থেকে অরুণাচল প্রদেশের নামচাবারোয়া পর্যন্ত বিস্তৃত । ভূপ্রকৃতির তারতম্য অনুযায়ী একে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা —
দার্জিলিং ও সিকিম হিমালয় : নেপালের পূর্বে সিঙ্গালিলা থেকে পশ্চিমে ভঙ্গকিয়াল পর্যন্ত বিস্তৃত । পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং কালিমপং জেলা ও সিকিম রাজ্য এই হিমালয়ের অন্তর্গত । এখানকার উল্লেখযোগ্য শৃঙ্গগুলি হলো কাঞ্চনজঙ্ঘা ( 8598 মি . ) , সান্দাকফু ( 3630 মি . ) ইত্যাদি । অরুণাচল ভুটান হিমালয় : বহির্দেশে অবস্থান করায় আলোচ্য বিষয় নয় । অসমের অধিকাংশ অঞ্চল ও সমগ্র অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে এই হিমালয় অবস্থিত । এখানকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হলো নামচাবারওয়া ( 7756 মি . ) । এখানে বেশ কয়েকটি গিরিপথ লক্ষ করা যায় । যথা— জেলেপলা , বুমলা , প্রভৃতি ।
- ভারতের মৃত্তিকার শ্রেণিবিভাগ করে তাদের বৈশিষ্ট্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ।
Ans: উৎপত্তি , বৈশিষ্ট্য ও জলবায়ুর তারতম্যের বিচারে ভারতের মৃত্তিকাকে প্রধানত ছয় ভাগে ভাগ করা যায় । যথা—
পাললিক মৃত্তিকা : দাক্ষিণাত্য মালভূমি , পশ্চিম ও পূর্বঘাট পর্বতের ন ক্ষয়িত বালি , পলি , কাদা সঞ্চিত হয়ে এবং উপকূলের সমুদ্রতরঙ্গের দ্বারা সতি বালি , পলি , কাদা প্রভৃতি সম্ভিত হয়ে পাললিক মুক্তিকা সৃষ্টি হয়েছে ।
বৈশিষ্ট্য : 1) এই মুক্তিকার জলধারণ ক্ষমতা বেশিও 2) এই মৃত্তিকা সূক্ষ্ম পলি ও খনিজ কণার সমন্বয়ে গঠিত । 3) মৃত্তিকার স্তরগুলি খুব সুস্পষ্ট । 4) মৃত্তিকা সুগভীর হয় ।
কৃমৃত্তিকা : স্বল্প বৃষ্টিপাতের প্রভাবে , উচ্চ উয়তায় অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ব্যাসল্ট জাতীয় আগ্নেয় শিলা দ্বারা গঠিত হয়েছে ।
বৈশিষ্ট : 1) এই মৃত্তিকার রং কালো । 2) এই মুক্তিকার জলধারণ ক্ষমতা বেশি 3) এই মৃত্তিকা খুবই উর্বর । এই মৃত্তিকা সূক্ষ্ম কণাযুক্ত ।
লোহিত মৃত্তিকা : অধিক উন্নতা ও আর্দ্রতাজনিত কারণে আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলা থেকে গভীর আবহবিকারের মাধ্যমে এই শিলার উৎপত্তি হয়েছে ।
বৈশিষ্ট্য : 1) এই মৃত্তিকা ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইড , কোয়ার্টজ জাতীয় খনিজ সমৃদ্ধ । 2) এই মৃত্তিকার রং লাল বাদামি বা হালকা বাদামি হয় । 3) এই মৃত্তিকা আম্লিক প্রকৃতির ।
ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা : প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে সিলিকা ও সেসকুই অক্সাইড অপসারিত হয়ে লোহা , অ্যালুমিনিয়াম ও হাইড্রোক্সাইড পড়ে থেকে এই মুক্তিকার সৃষ্টি হয়েছে ।
বৈশিষ্ট্য : এই মৃত্তিকার রং লাল বাদামি বা হালকা বাদামি । ঔ এই মুক্তিকায় লোহা , বক্সাইড , ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি খনিজ থাকে । এই মৃত্তিকা আম্লিক প্রকৃতির । এর pH মান 5.5 – এর কম ।
মরু মত্তিকা : ভারতের শুষ্ক ও মরু অঞ্চলের বালুকাময় মৃত্তিকা মরু মুক্তিকা নামে পরিচিত । ভারতের মোট ক্ষেত্রফলের 4 % অঞ্চল জুড়ে এই মুক্তিকা দেখা যায় ।
বৈশিষ্ট্য : এই মৃত্তিকা বালুকণাযুক্ত হওয়ায় এর জলধারণ ক্ষমতা কম । ও এই মুক্তিকার রং ধূসর বাদামি , হালকা হলুদ প্রকৃতির হয় । এই মৃত্তিকা অনুর্বর প্রকৃতির ও pH এর মান 7.69.21 ●
পার্বত্য মৃত্তিকা : পর্বতের পাদদেশীয় অঞ্চলে উদ্ভিদের ডালপালা পচে গিয়ে হিউমাস সমৃদ্ধ হয়ে এই মুক্তিকার সৃষ্টি হয়েছে ।
বৈশিষ্ট্য : 1) এই মুক্তিকার রং ধূসর , ছাই , কালো ধরনের । 2) এই মৃত্তিকায় বালি ও কর্দমের পরিমাণ বেশি । 3) এই মৃত্তিকা অনুর্বর প্রকৃতির হওয়ায় কৃষিকাজ তেমন হয় না ।
- ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদের শ্রেণিবিভাগ করে তাদের বৈশিষ্ট্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ।
Ans: ভারতের বিভিন্ন অংশের জলবায়ু ভূপ্রকৃতি ও মৃত্তিকার তারতম্যের ভিত্তিতে স্বাভাবিক উদ্ভিদকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয় । যথা—
ক্রান্তীয় চিরহরিং উদ্ভিদ : ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ , পশ্চিমঘাট ও পূর্বঘাট পর্বতমালা , অরুণাচল প্রদেশ , মিজোরাম , নাগাল্যান্ড , ত্রিপুরা , পশ্চিমবঙ্গ , বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বৃহৎ অঞ্চল জুড়ে এই অরণ্য গড়ে উঠেছে ।
বৈশিষ্ট্য : 1) এই অরণ্যের বৃক্ষগুলির পাতা একসঙ্গে না ঝরায় চিরসবুজ প্রকৃতির হয় । 2) গাছগুলির উচ্চতা খুব বেশি , কাণ্ডগুলি শক্ত প্রকৃতির । 3) শাল , সেগুন , পলাশ , অর্জুন , চন্দন , বাঁশ প্রভৃতি উদ্ভিদ জন্মায় ।
ক্রান্তীয় পর্ণমোচী উদ্ভিদ : বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত 100-200 সেমি এবং 20-30 সে . যুক্ত অঞ্চলে এই অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে । অসমের সমভূমি , ছোটোনাগপুর মালভূমি , পশ্চিমবঙ্গের সমভূমি ওড়িশা , অন্ধ্রপ্রদেশ , কর্নাটক , মহারাষ্ট্র প্রভৃতি অঞ্চলে ক্রান্তীয় আর্দ্র ও শুষ্ক পর্ণমোচী অরণ্য লক্ষ করা যায় ।
বৈশিষ্ট্য : 1) শীতকালে অধিকাংশ উদ্ভিদের পাতা ঝরে যায় ও আর্দ্র পর্ণমোচী বৃক্ষগুলি শাখাপ্রশাখাযুক্ত , উচ্চতা মাঝারি ধরনের , উদ্ভিদের ঘনত্বও কম ও শিমুল , বট , নিম , পলাশ , কুল ইত্যাদি ।
ক্রান্তীয় মরু উদ্ভিদ : প্রচণ্ড উয়তা যুক্ত যেখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাত 25 সেমির কম , উয়তা 35 ° -45 ° সে . যুক্ত অঞ্চলে এই অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে ।
বৈশিষ্ট্য : 1) ক্রান্তীয় মরু উদ্ভিদগুলি কাঁটাযুক্ত ঝোপঝাড় ও গুল্ম জাতীয় হয় 2) এই জাতীয় উদ্ভিদের মূল মাটির অনেক গভীরে প্রবেশ করে ও 3) ফণীমনসা , ক্যাকটাস , খেজুর , বাবলা , কাঁটাজাতীয় উদ্ভিদ প্রভৃতি জন্মায় ।
পার্বত্য উদ্ভিদ : সাধারণত ভারতের উত্তরে অবস্থিত হিমালয় পর্বতমালায় উচ্চতা ও বৃষ্টিপাতের তারতম্যে বৈচিত্র্যপূর্ণ উদ্ভিদ জন্মায় ।
বৈশিষ্ট্য : 1) এই জাতীয় উদ্ভিদের কাঠ খুব শক্ত ও ভারী 2) সরলবর্গীয় উদ্ভিদের কাঠ নরম প্রকৃতির এবং পাতাগুলি সূচালো প্রকৃতির হয় । 3) পাইন , ফার , স্পুস , ম্যাপল , বার্চ , শাল , সেগুন , মেহগনি ইত্যাদি ।
ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ : ভারতের সমুদ্র উপকূলভাগে লবণাক্ত মৃত্তিকায় এই জাতীয় উদ্ভিদ জন্মায় । পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য ) । এ জাতীয় উদ্ভিদ দেখা যায় ।
বৈশিষ্ট্য : 1) এই জাতীয় উদ্ভিদ চির হরিৎ প্রকৃতির 2) এই জাতীয় উদ্ভিদের শাখামূল মাটির উপরে বেরিয়ে আসে । 3) সুন্দরি গরান , গেওয়া , হেতাল , হোগলা , গোলপাতা ইত্যাদি ।
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Madhyamik Class 10th Geography Question and Answer / Suggestion / Notes Book
আরোও দেখুন :-
মাধ্যমিক ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here
Madhyamik Suggestion 2025 | মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৫
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Bengali Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik English Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Geography Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik History Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Life Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Mathematics Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Physical Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik All Subjects Suggestion 2025 Click here
ভারতের ভূ প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Bharater Bhu Prakitik Vibhag Question and Answer
Info : Madhyamik Geography Suggestion | West Bengal WBBSE Class Ten X (Class 10th) Geography Qustion and Answer Suggestion
মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর
” মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা (West Bengal Class Ten X / WB Class 10 / WBBSE / Class 10 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 10 Exam / Class 10 Class 10th / WB Class 10 / Class 10 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন / মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ও উত্তর । Madhyamik Geography Suggestion / Madhyamik Geography Question and Answer / Class 10 Geography Suggestion / Class 10 Pariksha Geography Suggestion / Geography Class 10 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / Madhyamik Geography Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Madhyamik Geography Suggestion / West Bengal Ten X Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 10th Geography Suggestion / Madhyamik Geography Question and Answer / Class 10 Geography Suggestion / Class 10 Pariksha Suggestion / Madhyamik Geography Exam Guide / Madhyamik Geography Suggestion 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015 / Madhyamik Geography Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Madhyamik Geography Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।
ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর
ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর | ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) Madhyamik Geography Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর।
ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | মাধ্যমিক ভূগোল
ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) Madhyamik Geography Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর।
ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ভূগোল
ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) Madhyamik Geography Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।
দশম শ্রেণি ভূগোল – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik Geography
মাধ্যমিক ভূগোল (Madhyamik Geography) – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর | ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) | Madhyamik Geography Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর।
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik Geography Question and Answer Question and Answer, Suggestion
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) | পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) | মাধ্যমিক ভূগোল সহায়ক – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Geography Question and Answer, Suggestion | Madhyamik Geography Question and Answer Suggestion | Madhyamik Geography Question and Answer Notes | West Bengal Madhyamik Class 10th Geography Question and Answer Suggestion.
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) । Madhyamik Geography Suggestion.
WBBSE Class 10th Geography Suggestion | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়)
WBBSE Madhyamik Geography Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) | Madhyamik Geography Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।
Madhyamik Geography Question and Answer Suggestions | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik Geography Question and Answer মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর Madhyamik Geography Question and Answer মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ।
WB Class 10 Geography Suggestion | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik Geography Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Geography Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।
West Bengal Class 10 Geography Suggestion Download WBBSE Class 10th Geography short question suggestion . Madhyamik Geography Suggestion download Class 10th Question Paper Geography. WB Class 10 Geography suggestion and important question and answer. Class 10 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।
Get the Madhyamik Geography Question and Answer Question and Answer by Bhugol Shiksha .com
Madhyamik Geography Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10 Geography Suggestion with 100% Common in the Examination .
Class Ten X Geography Suggestion | West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Exam
Madhyamik Geography Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Ten X Geography Suggestion is provided here. Madhyamik Geography Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below.
মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Question and Answer
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগ (ভারত – পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।