বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer
বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer

বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) 

মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer

বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer : বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Geography Barimandal Question and Answer, Suggestion, Notes – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 10th Ten X Geography Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।

 তোমরা যারা বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো। 

শ্রেণী মাধ্যমিক দশম শ্রেণী (Madhyamik Class 10)
বিষয় মাধ্যমিক ভূগোল (Madhyamik Geography)
বিষয় বারিমন্ডল (Barimandal)
অধ্যায় তৃতীয় অধ্যায় (3rd Chapter)

বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th Geography Barimandal Question and Answer 

MCQ | বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer :

  1. সমুদ্রস্রোত উৎপত্তির প্রধান কারণ কী ? 

(A) সমুদ্রজলের উষ্ণতা

(B) বায়ুপ্রবাহ

(C) এল নিনোর প্রভাব

(D) পৃথিবীর আবর্তন

Ans: (B) বায়ুপ্রবাহ

  1. সমুদ্রে বিচ্ছিন্নভাবে ভাসমান বিশাল বরফের স্তূপকে বলে—

(A) শৈবাল সাগর

(B) মগ্নচড়া

(C) হিমপ্রাচীর

(D) হিমশৈল

Ans: (D) হিমশৈল

  1. সুস্পষ্ট হিমপ্রাচীর দেখা যায়— 

(A) আটলান্টিক মহাসাগর

(B) প্রশান্ত মহাসাগর

(C) সুমেরু মহাসাগরে

(D) ভারত মহাসাগর

Ans: (A) আটলান্টিক মহাসাগর

  1. অধিক লবণাক্ত জল প্রবাহিত হয় –

(A) পৃষ্ঠস্রোত ৰূপে

(B) অন্তঃস্রোত রূপে 

(C) বহিঃস্রোত রূপে 

(D) উল্লম্ব স্রোত রূপে

Ans: (B) অন্তঃস্রোত রূপে

  1. শৈবাল সাগর কোন মহাসাগরে দেখা যায় ?

(A) ভারত মহাসাগরে

(B) দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে

(C) আরব সাগরে

(D) উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে

Ans: (D) উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে

  1. আটলান্টিক মহাসাগরে দক্ষিণ আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল দিয়ে প্রবাহিত স্রোত হল – 

(A) ক্যানারি স্রোত

(B) সোমালি স্রোত

(C) বেঙ্গুয়েলা স্রোত 

(D) উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত 

Ans: (C) বেঙ্গুয়েলা স্রোত

  1. উস্ন স্রোত সাধারণত সৃষ্টি হয় –

(A) নিরক্ষীয় অঞ্চলে 

(B) ক্রান্তীয় অঞ্চলে

(C) উপক্রান্তীয় অঞ্চলে

(D) মেরুপ্রদেশীয় অঞ্চলে

Ans: (B) ক্রান্তীয় অঞ্চলে

  1. হিমপ্রাচীর কোন্ দুই স্রোতের সীমারেখা বরাবর সৃষ্টি হয় ? 

(A) ল্যাব্রাডর ও উপসাগরীয় স্রোত

(B) কুরোশিয়ো ও ওয়াশিয়ো স্রোত 

(C) ক্যানারি ও ইরমিঙ্গার স্রোত

Ans: (A) ল্যাব্রাডর ও উপসাগরীয় স্রোত

  1. পৃথিবীর বৃহত্তম মগ্নচড়া হল –

(A) রফল ব্যাংক

(B) গ্র্যান্ড ব্যাংক 

(C) ডগার ব্যাংক

(D) জর্জেস ব্যাংক

Ans: (B) গ্র্যান্ড ব্যাংক

  1. কোন্ স্রোতের প্রভাবে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ ও নরওয়ে উপকূল সারাবছর বরফমুক্ত থাকে ?

(A) উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত 

(B) কুরোশিয়ো স্রোত

(C) উত্তর আটলান্টিক স্রোত

(D) উত্তর নিরক্ষীয় স্রোত

Ans: (A) উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত

  1. ভারতমহাসাগরের সমুদ্রস্রোত নিয়ন্ত্রিত হয়—

(A) মৌসুমি বায়ুর দ্বারা

(B) পশ্চিমা বায়ুর দ্বারা 

(C) লা নিনা – এর দ্বারা 

(D) আয়ন বায়ু – র দ্বারা

Ans: (A) মৌসুমি বায়ুর দ্বারা

  1. মাদাগাস্কার ও মোজাম্বিক স্রোতের মিলিত শাখা হল  – 

(A) কাম্‌চাট্‌কা

(B) কুরোশিয়ো 

(C) পেরু স্রোত

(D) আগুলহাস

Ans: (D) আগুলহাস

  1. উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শীতল স্রোেত হল –

(A) ক্যানারি স্রোত

(B) কুরোশিয়ো স্রোত

(C) বেঙ্গুয়েলা স্রোত

(D) কামচটকা স্রোত 

Ans: (A) ক্যানারি স্রোত

  1. শীতল স্রোতের স্বাভাবিক উৎসস্থল হল –

(A) উষ্ণমণ্ডল

(B) নিরক্ষীয় অঞ্চল 

(C) মেরুপ্রদেশীয় অঞ্চল

(D) নাতিশীতোয় অঞ্চল

Ans: (C) মেরুপ্রদেশীয় অঞ্চল

  1. বেঙ্গুয়েলা স্রোত কোন্ মহাসাগরে বয়ে যায়— 

(A) ভারত মহাসাগর

(B) প্রশান্ত মহাসাগর

(C) আটলান্টিক মহাসাগর

(D) কুমেরু মহাসাগর

Ans: (C) আটলান্টিক মহাসাগর

  1. কোন্ মহাসাগরে ঋতুপরিবর্তনের সাথে সাথে সমুদ্রস্রোতের ১৮০ ° দিক পরিবর্তন ঘটে— 

(A) ভারত

(B) প্রশান্ত

(C) আটলান্টিক

(D) কুমেরু

Ans: (A) ভারত

  1. বৃহত্তম মগ্নচড়া কোথায় অবস্থিত –

(A) প্রশান্ত মহাসাগর

(B) দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর

(C) দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর 

(D) উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর

Ans: (D) উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর

  1. কোন্ সমুদ্রস্রোতটি তিনটি মহাসাগরে বয়ে যায় –

(A) নিরক্ষীয় স্রোত

(B) উপসাগরীয় স্রোত

(C) হামবোল্ড স্রোত

(D) মৌসুমি স্রোত

Ans: (A) নিরক্ষীয় স্রোত

  1. সমুদ্রস্রোতের দিক বিক্ষেপের কারণ –

(A) বায়ুপ্রবাহ

(B) কোরিওলিস বল

(C) সমুদ্রজলের লবণতা

(D) পৃথিবীর পরিক্রমণ

Ans: (B) কোরিওলিস বল

  1. মহাসমুদ্রের কোন্ স্থানটি মৎস্য আহরণে বিখ্যাত—

(A) উষ্ণস্রোত অঞ্চল

(B) শীতল স্রোত অঞ্চল

(C) উষ্ণ ও শীতল স্রোতের মিলন অঞ্চল

(D) নিরক্ষীয় প্রতিস্রোত অঞ্চল

Ans: (C) উষ্ণ ও শীতল স্রোতের মিলন অঞ্চল

[ আরোও দেখুন:- Madhyamik All Subjects Suggestion Click here ]

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer : 

  1. উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের একটি উষ্ণ স্রোতের নাম উল্লেখ করো ।

Ans: আলাস্কা স্রোত ।

  1. উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের একটি শীতল স্রোতের নাম উল্লেখ করো । 

Ans:  বেরিং স্রোত ।

  1. উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শীতল স্রোতের নাম উল্লেখ করো ।

Ans: ল্যাব্রাডর স্রোত । 

  1. উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের একটি উষ্ণ স্রোতের নাম উল্লেখ করো । 

Ans: উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত ।

  1. দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের একটি উষ্ণ স্রোতের নাম উল্লেখ করো ।

Ans: পূর্ব অস্ট্রেলীয় বা নিউ সাউথ ওয়েলস্ স্রোত ।

  1. দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের একটি উষ্ণ স্রোতের নাম । করো ।

Ans: ব্রাজিল স্রোত । 

  1. দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শীতল স্রোতের নাম বলো ।

Ans: বেঙ্গুয়েলা স্রোত ।

  1. দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের একটি শীতল স্রোতের নাম উল্লেখ করো ।

Ans: পেরু বা হামবোল্ড স্রোত ।

  1. মোট সমুদ্রস্রোতের প্রায় কত শতাংশ বহিঃস্রোত ?

Ans: মোট সমুদ্রস্রোতের 10%

  1. পৃথিবীর বৃহত্তম মগ্নচড়া কোন্ মহাসাগরে অবস্থিত ?

Ans: পৃথিবীর বৃহত্তম মগ্নচড়া গ্র্যান্ড ব্যাংক [ ক্ষেত্রফল ৯৬,০০০ বর্গকিমি , গভীরতা ৯০ মিটার ] আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত ।

  1. মগ্নচড়ায় কোন্ মৎস্যখাদ্য সর্বাধিক পরিমাণে পাওয়া যায় ?

Ans: প্ল্যাংকটন । 

  1. কোন্ এককের সাহায্যে সমুদ্রস্রোতের মাধ্যমে জলপ্রবাহের পরিমাণ মাপা হয় ?

Ans: সেভেয়ার ড্রপ বা ভাদ্রুপ ।

  1. ঋতুপরিবর্তনে কোন্ মহাসাগরের সমুদ্রস্রোতের দিক পরিবর্তন ঘটে ?

Ans: ভারত মহাসাগর ।

  1. সমুদ্রজলে উষ্ণতার তারতম্যের প্রধান কারণ কী ? 

Ans: সূর্যরশ্মির পতনকোণের তারতম্য ।

  1. হিমপ্রাচীর কোন্ মহাসাগরে দেখা যায় ?

Ans: আটলান্টিক মহাসাগরে ।

  1. সমুদ্রজলের একই স্থানে ওঠানামা করাকে কী বলে ?

Ans: সমুদ্রতরঙ্গ ।

  1. নিউফাউন্ডল্যান্ডের কাছে ঘন কুয়াশা ও ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির কারণ কী ?

Ans: উপসাগরীয় স্রোত ও ল্যাব্রাডর স্রোতের মিলন । 

  1. সমুদ্রস্রোত উৎপত্তির মূল কারণ কোনটি ?

Ans: বায়ুপ্রবাহ ।

  1. কোন্ দুটি স্রোতের মিলনে জাপান উপকূলে কুয়াশা হয় ?

Ans: উষ্ণ কুরোশিয়ো ও শীতল ওয়াশিয়ো । 

সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর | বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer : 

  1. বারিমণ্ডল ( Hydrosphere ) কাকে বলে বা বারিমণ্ডল বলতে কী বোঝ ?

Ans: ভূপৃষ্ঠ এবং ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি অবস্থিত জলের সমস্ত উৎস ও ভাণ্ডারকে একত্রে বারিমণ্ডল বা Hydrosphere বলে ( ‘ বারি ‘ শব্দের অর্থ হল ‘ জল ‘ ) । বারিমণ্ডলের মোট জলের প্রায় ৯৭ % রয়েছে সাগর ও মহাসাগরে । অবশিষ্ট ৩ ভাগ জলের প্রায় ৭৫ % সজ্জিত রয়েছে বরফ রূপে । বাকি ২৫ % নদী , হ্রদ , পুকুর , খাল , বিল ও অন্যান্য জলাভূমিতে অবস্থান করছে । 

  1. সমুদ্রস্রোত ( Ocean currents ) কী ?

Ans: বায়ুপ্রবাহ , পৃথিবীর আবর্তন , সমুদ্রজলের উষ্ণতা , ঘনত্ব , লবণতা ইত্যাদির তারতম্যে সমুদ্রের বিশাল অঞ্চলজুড়ে নিয়মিতভাবে ও নির্দিষ্ট পথে সমুদ্রজলের একমুখী প্রবাহ হল সমুদ্রস্রোত । 

  1. সমুদ্রতরঙ্গ কী ?

Ans: সমুদ্রের ওপর বায়ুপ্রবাহে জলের ওপর যে পীড়নের সৃষ্টি হয় তার প্রভাবে জল অগভীর উপকূলের তটভূমিতে ঢেউ আকারে আছড়ে পড়ে । একেই বলে সমুদ্রতরঙ্গ ।

  1. কোরিওলিস বল কী ?

Ans: পৃথিবীর আবর্তনের প্রভাবে প্রবাহিত বায়ু , সমুদ্রস্রোতের ওপর যে বল কাজ করে তা হল কোরিওলিস বল । কোরিওলিস বল বায়ু ও সমুদ্রস্রোতের দিকের সাথে সমকোণে কাজ করে বলে বায়ু ও সমুদ্রস্রোত উত্তর গোলার্ধে ডান এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায় ।

  1. ফেরেল সূত্র কী ?

Ans: পৃথিবীর আবর্তনে সৃষ্ট কোরিওলিস বলের প্রভাবে বায়ুর মতো সমুদ্রস্রোতও উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয় । এটি হল ফেরেল সূত্র । 

  1. গায়র বা কুণ্ডলী কাকে বলে ?

Ans: সকল মহাসাগরের মাঝবরাবর কোরিওলিস বলের প্রভাবে সমুদ্রস্রোত বেঁকে গিয়ে ও মিলিত হয়ে জলাবর্ত বা চক্র সৃষ্টি করে । একেই গায়র বা কুণ্ডলী বলে ।

  1. শৈবাল সাগর ( Saragasso Sea ) কাকে বলে ?

Ans: উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে উষ্ণ উপসাগরীয় , শীতল ক্যানারি ও উষ্ণ উত্তর নিরক্ষীয় স্রোতের মিলনে যে জলাবর্ত সৃষ্টি হয় তার মধ্যবর্তী স্রোতহীন শৈবাল আগাছাপূর্ণ স্থানকে বলে । শৈবাল সাগর ।

  1. উষ্ণ ও শীতল স্রোতের মিলন অঞ্চলে কী কী আবহগত ঘটনা ঘটে ?

Ans: উষ্ণ ও শীতল স্রোতের মিলন অঞ্চলে ঘন কুয়াশা সৃষ্টি হয় এবং মাঝে মাঝে ঝড়বৃষ্টিসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সৃষ্টি করে ।

  1. মগ্নচড়া বা ব্যাংক কী ?

Ans: জলের সংস্পর্শে গলে যাওয়ায় নুড়ি , বালি , পলি সমুদ্রতলদেশে অধঃক্ষিপ্ত হয়ে যে গভীর অঞ্চল সৃষ্টি করে তাকে মাচড়া বলে । যেমন – উত্তর – পশ্চিম আটলান্টিকের গ্র্যান্ড ব্যাংক ।

  1. পৃথিবী বিখ্যাত কয়েকটি মগ্নচড়ার গুরুত্ব লেখো ।

Ans: পৃথিবী বিখ্যাত কয়েকটি মগ্নচড়া হল গ্র্যান্ড ব্যাংক ডগার্স ব্যাংক , রকফল ব্যাংক যেগুলি হল পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাণিজ্যিক মৎস্য আহরণ অঞ্চল ।

  1. প্ল্যাংকটন ( Plankton ) কী ?

Ans: সমুদ্রজলে ভাসমান অতিক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক জীবনে বলে প্ল্যাংকটন । প্ল্যাংকটন ২ প্রকারের হয়— ( 6 ) উদ্ভিদ প্ল্যাংকটন বা Phyto – plankton এবং ( ii ) প্রাণী প্ল্যাংকটন বা Zoo – plankion ) | সামুদ্রিক মাছেদের প্রধান খাদ্য হল এই প্ল্যাংকটন ।

  1. প্রশান্ত মহাসাগরের দুটি উষ্ণ ও দুটি শীতল স্রোতের নাম লেখো ।

Ans: প্রশান্ত মহাসাগরের দুটি উষু স্রোত হল— ( 1 ) কুরোশিরো বা জাপান স্রোত এবং ( ii ) উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্রোত । প্রশান্ত মহাসাগরের দুটি শীতল স্রোত হল – ( i ) ক্যালিফোর্নিয়া স্রোত ও ( ii ) পেরু স্রোত বা হামবোল্ড স্রোত ।

  1. ভারত মহাসাগরের দুটি উষ্ণ ও দুটি শীতল স্রোতের নাম লেখো ।

Ans: ভারত মহাসাগরের দুটি উষু স্রোত হল – ( i ) মোজাম্বিক স্রোত ও ( ii ) মাদাগাস্কার স্রোত । ভারত মহাসাগরের দুটি শীতল স্রোত হল- ( i ) কুমেরু স্রোত ও ( ii ) পশ্চিম অস্ট্রেলীয় স্রোত ।

  1. আটলান্টিক মহাসাগরের দুটি উষ্ণ ও দুটি শীতল স্রোতের নাম লেখো ।

Ans: আটলান্টিক মহাসাগরের দুটি উর স্রোত হল ( i ) ক্যানারি স্রোত ও ( ii ) ব্রাজিল স্রোত । আটলান্টিক মহাসাগরের দুটি শীতল স্রোত হল – ( i ) ল্যাব্রাডর স্রোত ও ( ii ) বেঙ্গুয়েলা স্রোত । 

জেনে রাখো ● জিওস্ট্রপিক স্রোত ( Geostrophic current ) উঘ্ন শীতল স্রোতের চক্রাকার জলাবর্ত অঞ্চলে জলতলের উচ্চতা পার্শ্ববর্তী অঞ্চল অপেক্ষা বেশি হয় , ফলে জলসমতা ফেরাতে হলে মৃত স্রোত পাশের অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় , একেই বলে জিওস্টুপিক স্রোত ।

  1. উপসাগরীয় স্রোত কাকে বলে ?

Ans: পশ্চিমমুখী উত্তর নিরক্ষীয় স্রোতটি মেক্সিকো উপসাগরের মধ্য দিয়ে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের পূর্ব উপকূল দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে উত্তর – পশ্চিম ইউরোপের দিকে প্রবাহিত হয় । এই স্রোতের দক্ষিণ – পশ্চিম অংশকে উপসাগরীয় স্রোত বলে । 

  1. নিরক্ষীয় প্রতিস্রোত কী ?

Ans: উত্তর নিরক্ষীয় স্রোত ও দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোতের মধ্যভাগ দিয়ে একটি ক্ষীণ স্রোত পশ্চিম থেকে পূর্বে প্রবাহিত হয় । এই স্রোতকে নিরক্ষীয় প্রতিস্রোত বলা হয় । 

  1. ভারত মহাসাগরে সমুদ্রস্রোত ঋতুপরিবর্তনে বিপরীতমুখী কেন ? 

Ans: ভারত মহাসাগরের সমুদ্রস্রোতের ওপর মৌসুমি বায়ুর ও প্রভাব সর্বাধিক । ঋতুপরিবর্তনের সাথে সাথে মৌসুমি বায়ুর দিক ও গতি পরিবর্তন হয় বলে সমুদ্রস্রোতেরও দিক ও গতির পরিবর্তন ঘটে । গ্রীষ্ম ও শীত ঋতুতে এখানে পরস্পর বিপরীতমুখী স্রোত প্রবাহিত হয় ।

  1. হিমপ্রাচীর ( Cold wall ) কাকে বলে ?

Ans: দুটি ভিন্ন ঘনত্বের ভিন্ন ভৌতগুণবিশিষ্ট শীতল ও উষ্ণ স্রোত বিপরীত দিক থেকে চালিত হলে তাদের মধ্যবর্তী যে বিভাজনতল সৃষ্টি হয় , তাকে বলে হিমপ্রাচীর ।

  1. হিমশৈল ( Ice berg ) বলতে কী বোঝ ?

Ans: বিশালাকৃতি বরফের স্তূপ যখন সমুদ্রের জলে ভাসতে থাকে তখন তাকে হিমশৈল বলে ।

  1. হিমশৈলের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব লেখো ।

Ans: হিমশৈলের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব হল – ( i ) মিষ্টি জল দিয়ে তৈরি বিশালাকার বরফ স্তূপ । ( ii ) মাত্র ১/৯ ভাগ জলের উপরে থাকে । ( iii ) উচ্চ অক্ষাংশের সমুদ্রে ( গ্রিনল্যান্ড , অ্যান্টার্কটিকা ) এটিকে দেখা যায় । ( iv ) জাহাজ চলাচলে ভীষণ বিপদ ঘটায় ।

ব্যাখ্যামূলক উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর | বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer : 

  1. উষ্ণ স্রোত ও শীতল স্রোত বলতে কী বোঝ ?

Ans: ( 1 ) উষ্ণ স্রোত ( Warm Current ) সমুদ্রস্রোত যখন উষ্ণুমণ্ডল থেকে প্রবাহিত হয় তখন সেই স্রোতকে উষ্ণ স্রোত বলে । সাধারণত এই ধরনের স্রোত সমুদ্রজলের অপেক্ষাকৃত ওপরের অংশ দিয়ে বহিঃস্রোতরূপে প্রবাহিত হয় । যেমন — উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত , উষ্ণ নিরক্ষীয় স্রোত ইত্যাদি । ( ii ) শীতল ( Cold Current ) সমুদ্রস্রোত যখন শীতল মেরুপ্রদেশ থেকে প্রবাহিত হয় তখন সেই স্রোতকে শীতল স্রোত বলে । এ ছাড়া উষ্ণুমণ্ডল থেকে প্রবাহিত উর স্রোত যখন মেরুদ্বয়ের দিকে প্রবাহিত হয়ে আবার ঘুরে আসে তখন সেই সমুদ্রস্রোতকে শীতল স্রোতের আকারেই দেখতে পাওয়া যায় । শীতল সমুদ্রস্রোত সমুদ্রজলের অপেক্ষাকৃত নীচের অংশ দিয়ে অন্তঃস্রোত হিসেবে প্রবাহিত হয় । যেমন — শীতল বেরিং স্রোত , ল্যাব্রাডর স্রোত ইত্যাদি ।

  1. ‘ বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রস্রোতের মূল কারণ , অথচ বায়ুর গতিবেগের তুলনায় সমুদ্রস্রোতের গতিবেগ অনেক কম ।’— কারণ ব্যাখ্যা করো ।

Ans: বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির মূল কারণ । সমুদ্রের উপর দিয়ে প্রবাহিত বায়ু জলকণার সঙ্গে সংঘর্ষে জলকে তাড়িয়ে নিয়ে সমুদ্রস্রোতের উৎপত্তি ঘটায় । তবে সমুদ্রের উপর দিয়ে যে বায়ু বয়ে যায় তার মাত্র ২ % -৪ % শক্তি সমুদ্রস্রোতের উৎপত্তিতে সাহায্য করে । তাই দেখা যায় যেখানে বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিমি সেখানে সমুদ্রস্রোতের বেগ ১-২ কিমি / ঘণ্টা । সমুদ্রের উপর প্রবাহিত নিয়ত বায়ু সমুদ্রস্রোত উৎপত্তিতে সর্বাধিক সাহায্য করে । প্রধান তিনটি মহাসাগরেই আয়ন বায়ু , পশ্চিমা বায়ু ও মেরু বায়ু সমুদ্রস্রোতের উৎপত্তি ঘটায় । ভারতমহাসাগরে সমুদ্রস্রোতের ওপর ত মৌসুমি বায়ুর প্রভাব সর্বাধিক ।

  1. পৃষ্ঠস্রোত ও গভীর সমুদ্রস্রোত বলতে কী বোঝ ?

Ans: পৃষ্ঠস্রোত সমুদ্রতলের উপর দিয়ে প্রবাহিত স্রোত হল পৃষ্ঠস্রোত । বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে এই স্রোতের উৎপত্তি ঘটে । গভীর সমুদ্রস্রোত গভীর স্তর ( ২০০-১০০০ মিটার ) দিয়ে প্রবাহিত স্রোত হল গভীর সমুদ্রস্রোত । সমুদ্রজলের ঘনত্বের তারতম্য এই স্রোত সৃষ্টির মূল কারণ । প্রশ্ন ৪ উদাহরণসহ সমুদ্রস্রোতের ওপর কোরিওলিস বলের প্রভাব ব্যাখ্যা করো । উত্তর : পৃথিবী তার নিজের অক্ষের ওপর পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করার ফলে যে কোরিওলিস বলের ( Coriolis Force ) উৎপত্তি হয় এবং তার প্রভাবে সমুদ্রস্রোত সোজাপথে প্রবাহিত হতে পারে না । উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে প্রবাহিত হয় — এটি ফেরেল সূত্র নামে পরিচিত ।

  1. শৈবাল সাগরের উৎপত্তি কেন ঘটেছে ?

Ans: আটলান্টিক মহাসাগরের দক্ষিণ – পশ্চিম , ( i ) উপসাগরীয় স্রোত , ( ii ) উত্তর নিরক্ষীয় স্রোত এবং ( iii ) ক্যানারি স্রোত পর্যায়ক্রমে CRATE MASS আবর্তিত হয়ে কয়েক হাজার বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত একটি বিশাল আয়তাকার অঞ্চলজুড়ে একটি ঘূর্ণস্রোত বা জলাবর্তের সৃষ্টি হয় । এই বিশাল জলাবর্তের মাঝখানে কোনোরকম জলপ্রবাহ থাকে না বলে স্রোতবিহীন এই অঞ্চলে নানারকম শৈবাল , আগাছা ও জলজ উদ্ভিদ জন্মায় । এইভাবেই শৈবাল সাগরের উৎপত্তি হয় ।

  1. উপকূলের আকৃতি সমুদ্রস্রোতকে কীরুপে প্রভাবিত করে উদাহরণসহ লেখো ।

Ans: উপকূলের আকৃতি ও বৈশিষ্ট্য সমুদ্রস্রোতের দিক পরিবর্তন ঘটায় , সমুদ্রস্রোতকে বিভিন্ন শাখায় ভাগ করে । আটলান্টিকে বেঙ্গুয়েলা স্রোত গিনি উপকূলে বাধা পেয়ে পশ্চিমে বাঁকে । দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোত ব্রাজিল অন্তরীপে বাধা পেয়ে দুটি শাখায় ভাগ হয় ।

  1. ঋতু পরিবর্তন ভারত মহাসাগরের সমুদ্রস্রোতকে কীভাবে প্রভাবিত করে ?

Ans: ঋতুপরিবর্তনের সাথে সাথে মৌসুমি বায়ুর দিক ও গতি পরিবর্তন হয় । এর ফলে সমুদ্রস্রোতেরও দিক ও গতি পরিবর্তন । ঘটে । তাই বলা যায় যে , ঋতুপরিবর্তন তথা মৌসুমি বায়ু ভারত মহাসাগরের সমুদ্রস্রোতকে প্রভাবিত করে ।

  1. উচ্চ অক্ষাংশে অবস্থান সত্তেও নরওয়ের হ্যামারফেস্ট বন্দর সারাবছর বরফমুক্ত কেন ?

Ans: নরওয়ে উচ্চ অক্ষাংশে অবস্থিত হওয়ার জন্য এই অঞ্চলটি অত্যন্ত শীতল হয় । তবে উষ্ণ উত্তর আটলান্টিক স্রোতের প্রভাবে জলবায়ু কিছুটা উষ্ণ থাকে । এই কারণেই উচ্চ অক্ষাংশে অবস্থান সত্ত্বেও নরওয়ের হ্যামারফেস্ট বন্দর সারাবছর বরফমুক্ত থাকে ।

  1. প্রশ্ন মগ্নচড়া সৃষ্টির কারণ কী ?

Ans: শীতল স্রোত যেখানে উষ্ণ স্রোতের সঙ্গে মিলিত হয় , সেখানে শীতল স্রোতের সঙ্গে ভেসে আসা হিমশৈলগুলি উদ্বু স্রোতের সংস্পর্শে গলে যায় এবং হিমশৈল বাহিত নুড়ি , কাঁকর , পলি সমুদ্রে অধঃক্ষিপ্ত হয় । বহুকাল ধরে এই অবক্ষেপণের ফলে অগভীর চড়া সৃষ্টি হয় ।

  1. মরুভূমি সৃষ্টিতে সমুদ্রস্রোতের প্রভাব উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো ।

Ans: ক্রান্তীয় মণ্ডলে মহাদেশের পশ্চিম দিক দিয়ে শীতল স্রোত বয়ে যায় । এই শীতল স্রোতের প্রভাবে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের জলবায়ু হয়েছে শুষ্ক প্রকৃতির বায়ু জলীয় বাষ্প অধীক সংগ্রহের কারণে সংশ্লিষ্ট মহাদেশের পশ্চিম অঞ্চলগুলিতে বৃষ্টি প্রায় হয় । না বললেই চলে । অনন্তকাল ধরে অনাবৃষ্টির কারণে অঞ্চলগুলি মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে । সাহারা মরুভূমির পাশ দিয়ে প্রবাহিত শীতল ক্যানারি স্রোত এই বিশাল জলাবর্তের মাঝখানে কোনোরকম জলপ্রবাহ থাকে না বলে স্রোতবিহীন এই অঞ্চলে নানারকম শৈবাল , আগাছা ও জলজ উদ্ভিদ জন্মায় । এইভাবেই শৈবাল সাগরের উৎপত্তি হয় ।

  1. উপকূলের আকৃতি সমুদ্রস্রোতকে কীরুপে প্রভাবিত করে উদাহরণসহ লেখো ।

Ans: উপকূলের আকৃতি ও বৈশিষ্ট্য সমুদ্রস্রোতের দিক পরিবর্তন ঘটায় , সমুদ্রস্রোতকে বিভিন্ন শাখায় ভাগ করে । আটলান্টিকে বেঙ্গুয়েলা স্রোত গিনি উপকূলে বাধা পেয়ে পশ্চিমে বাঁকে । দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোত ব্রাজিল অন্তরীপে বাধা পেয়ে দুটি শাখায় ভাগ হয় ।

  1. ঋতুপরিবর্তন ভারত মহাসাগরের সমুদ্রস্রোতকে কীভাবে প্রভাবিত করে ?

Ans: ঋতুপরিবর্তনের সাথে সাথে মৌসুমি বায়ুর দিক ও গতি পরিবর্তন হয় । এর ফলে সমুদ্রস্রোতেরও দিক ও গতি পরিবর্তন ঘটে । তাই বলা যায় যে , ঋতুপরিবর্তন তথা মৌসুমি বায়ু ভারত মহাসাগরের সমুদ্রস্রোতকে প্রভাবিত করে । 

  1. উচ্চ অক্ষাংশে অবস্থান সত্তেও নরওয়ের হ্যামারফেস্ট বন্দর সারাবছর বরফমুক্ত কেন ?

Ans: নরওয়ে উচ্চ অক্ষাংশে অবস্থিত হওয়ার জন্য এই অঞ্চলটি অত্যন্ত শীতল হয় । তবে উষ্ণ উত্তর আটলান্টিক স্রোতের প্রভাবে জলবায়ু কিছুটা উষ্ণ থাকে । এই কারণেই উচ্চ অক্ষাংশে অবস্থান সত্ত্বেও নরওয়ের হ্যামারফেস্ট বন্দর সারাবছর বরফমুক্ত থাকে ।

  1. মগ্নচড়া সৃষ্টির কারণ কী ? 

Ans: শীতল স্রোত যেখানে উষ্ণ স্রোতের সঙ্গে মিলিত হয় , সেখানে শীতল স্রোতের সঙ্গে ভেসে আসা হিমশৈলগুলি উষ্ণ স্রোতের সংস্পর্শে গলে যায় এবং হিমশৈল বাহিত নুড়ি , কাঁকর , পলি সমুদ্রে অধঃক্ষিপ্ত হয় । বহুকাল ধরে এই অবক্ষেপণের ফলে অগভীর চড়া সৃষ্টি হয় ।

  1. মরুভূমি সৃষ্টিতে সমুদ্রস্রোতের প্রভাব উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো ।

Ans: ক্রান্তীয় মণ্ডলে মহাদেশের পশ্চিম দিক দিয়ে শীতল স্রোত বয়ে যায় । এই শীতল স্রোতের প্রভাবে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের জলবায়ু হয়েছে শুষ্ক প্রকৃতির বায়ু জলীয় বাষ্প অধীক সংগ্রহের কারণে সংশ্লিষ্ট মহাদেশের পশ্চিম অঞ্চলগুলিতে বৃষ্টি প্রায় হয় । না বললেই চলে । অনন্তকাল ধরে অনাবৃষ্টির কারণে অঞ্চলগুলি মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে । সাহারা মরুভূমির পাশ দিয়ে প্রবাহিত শীতল ক্যানারি স্রোত সোনেরান মরুভূমির পাশ দিয়ে প্রবাহিত ক্যালিফোর্নিয়া স্রোত অস্ট্রেলিয়া মরুভূমির পাশ দিয়ে প্রবাহিত পশ্চিম অস্ট্রেলীয় স্রোত সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে মরুভূমি সৃষ্টিতে সাহায্য করেছে ।

  1. উষ্ণ ও শীতল স্রোতের মিলন অঞ্চলে ঘন কুয়াশা ও ঝড় ঝঞ্ঝার সৃষ্টি হয় । কারণ ব্যাখ্যা করো ।

Ans: মহাসাগরে উষ্ণ সমুদ্রস্রোতের উপর দিয়ে উদ্বু – আম বায়ু এবং শীতল স্রোতের উপর দিয়ে শীতল – শুদ্ধ বায়ু প্রবাহিত হয় । শীতল শুষ্ক বায়ুর ঢাল বরাবর উষ্ণ – আদ্র বায়ু ধীরে ধীরে উঠে গেলে উষ্ণ আদ্র বায়ু ঘনীভূত হয়ে কুয়াশার সৃষ্টি হয় । এই ধরনের কুয়াশাকে পরিবাহিত কুয়াশা ( Advection fog ) বলা হয় । যদি ওই অবস্থায় শুষ্ক শীতল বায়ুর উপর উষ্ণ – আর্দ্র বায়ু চক্রাকারে বু উপরে উঠে নাতিশীতোয় ঘূর্ণবাত সৃষ্টি করে তাহলে ঝড় , বৃষ্টি , তুষারঝড় ঘটে । তাই উষ্ণ ও শীতল স্রোত মিলন অঞ্চলে প্রায়শই ঘন কুয়াশ ও ঝড় – বাজার সৃষ্টি হয় । 

  1. নিউফাউন্ডল্যান্ড অঞ্চলে ঘন কুয়াশা সৃষ্টি হয় কেন ? 

Ans: নিউফাউন্ডল্যান্ড অঞ্চলে উত্তর দিক থেকে শীতল ল্যাব্রাডর এবং দক্ষিণ দিক থেকে উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত আসে এবং পাশাপাশি বয়ে যায় । দক্ষিণ দিক থেকে উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে বায়ুমণ্ডলে প্রবাহিত উষ্ণ – আর্দ্র বায়ুপুঞ্জ উত্তর দিকে থেকে শীতল ল্যাব্রাডর স্রোতের প্রভাবে প্রবাহিত শীতল বায়ুপুঞ্জের উপরে ধীরে ধীরে উঠে ঘনীভূত হয় এবং কুয়াশা সৃষ্টি করে । তাই নিউফাউন্ডল্যান্ড অঞ্চলে ঘন কুয়াশার সৃষ্টি হয় ।

  1. এল নিনো ও লা নিনার ওপর সমুদ্রস্রোতের প্রভাব লেখো ।

Ans: জলবায়ু পরিবর্তনে সমুদ্রস্রোতের প্রভাব স্পষ্ট বোঝা যায় । প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো ও লা নিনা আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে । এল নিনো বছরে পেরু , ইকুয়েডর উপকূলে উত্তরদিক থেকে গরম জলের স্রোত ( লা নিনা স্রোত ) এসে ঢোকে । ফলে পেরু , ইকুয়েডরে প্রবল বৃষ্টি , পশ্চিমে অস্ট্রেলিয়ায় অনাবৃষ্টি দেখা দেয় । লা নিনা বছরে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা এবং পেরু , ইকুয়েডরে অনাবৃষ্টিতে খরা দেখা দেয় । প্রশান্ত মহাসাগরে গড়ে ২-৭ বছর অন্তর জলবায়ুর এই পরিবর্তনে সমুদ্রস্রোত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ।

  1. গ্রিনল্যান্ড ও নরওয়ে একই অক্ষাংশে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও নরওয়ে অপেক্ষা গ্রিনল্যান্ড উপকূল শীতল কেন ?

Ans: গ্রিনল্যান্ড ও নরওয়ে একই অক্ষাংশে অবস্থিত । গ্রিনল্যান্ডের দুই উপকূল দিয়ে সারাবছরই উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে উত্তর মেরু থেকে আগত শীতল ল্যাব্রাডর স্রোত প্রবাহিত হয় । অপরদিকে নরওয়ের দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত বাহিত হয় । শীতল ল্যাব্রাডর স্রোতের প্রভাবে গ্রিনল্যান্ড উপকূল সারাবছর শীতল থাকে এবং উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে নরওয়ে উপকূল সারাবছর তুলনামূলক উষ্ণ থাকে ।

  1. মগ্নচড়ার গুরুত্ব কী ? অথবা , মগ্নচড়া অঞ্চল মৎস্য আহরণে উষ্ণত কেন ?

Ans: বাণিজ্যিক দিক থেকে মগ্নচড়াগুলির গুরুত্ব অপরিসীম যেমন— ( 1 ) অগভীর মগ্নচড়াতে সূর্যালোক তলদেশ পর্যন্ত পৌঁছোতে পারে বলে প্ল্যাংকটন জন্মায় । ( ii ) হিমশৈলে অবস্থিত কিছু সূক্ষ্ম খনিজ প্ল্যাংকটনের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে বলে , মগ্নচড়াগুলি মাছেদের প্রধান খাদ্য প্ল্যাংকটনে সমৃদ্ধ । ( iii ) নাতিশীতোয় জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় মৎস্য আহরণ ও সংরক্ষণের সুবিধা হয় ।

  1. গ্র্যান্ড ব্যাংক অঞ্চলে প্রচুর মাছ ধরা পড়ে কেন ?

Ans: গ্র্যান্ড ব্যাংক অঞ্চল উত্তর দিক থেকে আগত শীতল এবং দক্ষিণ দিক থেকে আগত উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের মিলন অঞ্চল । উষ্ণ ও শীতল স্রোতের মিলন অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে মাছের প্রয়োজনীয় খাদ্য প্ল্যাংকটন জন্মায় । তা ছাড়া ল্যাব্রাডর স্রোতের সাথে আগত হিমশৈল গলে গিয়ে এবং সমুদ্রজলের ঊর্ধ্বমুখী আবর্তে মাছের প্রয়োজনীয় খাদ্যেরও জোগান বাড়ে । তাই এই অঞ্চলে প্রচুর মাঝের সমাবেশ ঘটে । এই অঞ্চল পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত বাণিজ্যিক মৎস্য আহরণ ক্ষেত্র ।

  1. উদাহরণসহ জলবায়ুর ওপর উষ্ণ স্রোতের প্রভাব লেখো ।

Ans: কোনো অঞ্চলের উপকূলের জলবায়ুর ওপর উষ্ণ স্রোত ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে । যেমন ( i ) উচ্চ অক্ষাংশীয় অঞ্চলে উষ্ণ সমুদ্রস্রোত প্রবাহিত হওয়ার ফলে শীতল অঞ্চলের উষ্ণতা বেড়ে যায় । উদাহরণ – নরওয়ে উপকূল অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত উষ্ণ উত্তর আটলান্টিক স্রোতের প্রভাবে নরওয়ের উষ্ণতা বেড়ে যায় । ( ii ) উষ্ণ সমুদ্রস্রোতের ফলে উষ্ণমণ্ডল ও হিমমণ্ডলের সমুদ্র জলরাশির মধ্যে উষ্ণতার সমতা বজায় থাকে । ( iii ) উষু স্রোতের সাথে বয়ে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ আর্দ্র বায়ুর প্রভাবে জলভাগে বৃষ্টিপাত হয় । 

উদাহরণ — ইংল্যান্ডের পশ্চিম উপকূলে বৃষ্টিপাত হয় । ( iv ) কোনো কোনো স্থানে উয় স্রোত ও শীতল স্রোতের মিলনে কুয়াশা ও ঝড় – এর সৃষ্টি হয় । উদাহরণ – জাপান উপকূলে হয় । উদাহরণসহ জলবায়ুর ওপর শীতল স্রোতের প্রভাব লেখো । উত্তর : জলবায়ুর ওপর শীতল স্রোতের প্রভাবগুলি হল ( i ) শীতল স্রোত – এর ফলে উষ্ণুমণ্ডলে বায়ুর উষ্ণতা হ্রাস পায় । উদাহরণ — কানাডার পূর্ব উপকূলের ওপর দিয়ে ল্যাব্রাডর স্রোত প্রবাহিত হওয়ার ফলে ওই অঞ্চলের উষ্ণতা হ্রাস পায় । ( ii ) উষ্ম নিরক্ষীয় ও শীতল মেরু বা মেরুপ্রদেশীয় অঞ্চলে উষ্ণ ও শীতল বায়ু মিলিত হলে উষ্ণতার সমতা রক্ষা করে । ( iii ) শীতল স্রোতের ওপর দিয়ে শুষ্ক বায়ু প্রবাহিত হলে উপকূল অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের বদলে তুষারপাত হয় । ( iv ) উয় স্রোত ও শীতল স্রোেত মিলিত হয়ে উপকূল অঞ্চলে প্রবল ঝড় – ঝঞ্ঝা ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি হয় । উদাহরণ নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূলে এই রকম দুর্যোগের সৃষ্টি হয় ।

  1. জলবায়ুর ওপর পেরুস্রোত ও বেঙ্গুয়েলা স্রোতের প্রভাব লেখো ।

Ans: জলবায়ুর ওপর পেরুস্রোতের প্রভাব শীতল কুমেরু স্রোেত দক্ষিণ আমেরিকার হর্ণ অন্তরীপে বাধা পেয়ে দুটি শাখায় ভাগ হয় । এরই একটি শাখা চিলি ও পেরুর ওপর দিয়ে প্রথমে পেরু স্রোত নামে প্রবাহিত হয় । এই স্রোতের প্রভাবে চিলি ও পেরু উপকূলের জলবায়ু নাতিশীতোয় থাকে । জলবায়ুর ওপর শীতল বেঙ্গুয়েলা স্রোতের প্রভাব : শীতল কুমেরু স্রোতের দ্বিতীয় শাখা আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল দিয়ে বেঙ্গুয়েলা স্রোত নামে উত্তরে বাহিত হয়ে দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোতের সাথে মিলিত হয় । এই স্রোতের প্রভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলে জলবায়ু নাতিশীতোয় থাকে । 

জেনে রাখো ● সমুদ্রের জলের গভীরে যে স্তরের নীচে সমুদ্রের লবণতা ও ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় , তাকে বলে পিকনোক্লাইনস্তর । ১৫১৩ খ্রিস্টাব্দে স্পেনীয় জুয়ান পনসে ডি লিওন Juan Ponce | de Leon প্রথম উপসাগরীয় স্রোত আবিষ্কার করেন । গভীর সমুদ্রে বেশি ঘনত্বের স্থান থেকে কম ঘনত্বের স্থানে সমুদ্রস্রোতের প্রবাহকে বলে ডাউনওলেলিং স্রোত । o উষ্ণতা , লবণতা অনুসারে সমুদ্রজলের ঘনত্ব বাড়ে – কমে । ঘনত্বের তারতম্যে যে স্রোত সৃষ্টি হয় , তাকে বলে থার্মোহ্যালাইন স্রোত ।

  1. কী কী কারণে সমুদ্রস্রোতের দিক পরিবর্তন ঘটে ?

Ans: সমুদ্রস্রোতের দিক পরিবর্তনের কারণগুলি হল : ( i ) উপকূলের আকৃতি : উপকূলের আকৃতি ও বৈশিষ্ট্য সমুদ্রস্রোতের দিক পরিবর্তন ঘটায় , সমুদ্রস্রোতকে বিভিন্ন শাখায় ভাগ করে । আটলান্টিকে বেঙ্গুয়েলা স্রোত গিনি উপকূলে বাধা পেয়ে পশ্চিমে বাঁকে , দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোত ব্রাজিল অন্তরীপে বাধা পেয়ে দুটি শাখায় ভাগ হয় । ( ii ) ঋতুপরিবর্তন : ঋতুপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রস্রোতের দিক ও গতি উভয়েরই পরিবর্তন ঘটে । ভারতমহাসাগরে গ্রীষ্মকালে মৌসুমি বায়ুর আগমনের সময় সমুদ্রস্রোত দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবাহিত হয় । শীতকালে মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাগমনে সমুদ্রস্রোত উত্তর থেকে দক্ষিণে বয়ে যায় । এখানে ঋতুপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রস্রোতের ১৮০ ° পরিবর্তন ঘটে ।

  1. আটলান্টিক মহাসাগর সংলগ্ন মহাদেশগুলির জলবায়ুর ওপর সমুদ্রস্রোতের প্রভাব লেখো ।

Ans: আটলান্টিক মহাসাগরের বিভিন্ন প্রকার সমুদ্রস্রোত জলবায়ুকে বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রণ করে । ( i ) নিউফাউন্ডল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের নিকট উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত ও শীতল ল্যাব্রাডর স্রোতের মিলনে সৃষ্ট ঘূর্ণবাতের প্রভাবে প্রায়শই ঘন কুয়াশা ও ঝড় ঝঞ্ঝার সৃষ্টি হয় । ( ii ) উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ ও নরওয়ে । উপকূল সারাবছর বরফমুক্ত থাকে । ফলে এই অঞ্চলের বন্দরগুলি শীতকালেও সক্রিয় । ( iii ) শীতল বেঙ্গুয়েলা স্রোতের প্রভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়া উপকূলের জলবায়ু সারাবছর নাতিশীতোয় হয়েছে । ( iv ) শীতল ক্যানারি স্রোতের প্রভাবে পোের্তুগাল ও মরক্কো উপকূলের উষ্ণতা সারাবছর কম থাকে । 

জেনে রাখো ● পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা দ্রুতগামী সমুদ্রস্রোত হল । উপসাগরীয় স্রোত । ● পৃথিবীর বৃহত্তম স্রোতের নাম হল আন্টার্কটিক উপমেরু স্রোত ।

  1. ওয়াশিয়ো ও কুরোশিয়ো স্রোত কী ?

Ans: ওয়াশিও স্রোত : শীতল সুমেরু সাগর থেকে একটি শীতল স্রোত বেরিং প্রণালী দিয়ে বেরিং সাগরে প্রবেশ করে । এই বেরিং স্রোত যখন আরও দক্ষিণে জাপান উপকূল দিয়ে প্রবাহিত হয় । তখন তাকে ওয়াশিয়ো স্রোত বলে । এটি উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের একটি শীতল স্রোত । • কুরোশিয়ো স্রোত : উত্তর ও দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোতের মিলিত প্রবাহ তাইওয়ান ও জাপান উপকূল দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় । এর নাম হয় কুরোশিয়ো স্রোত বা জাপান স্রোত । এটি উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে প্রবাহিত এক উয় সমুদ্রস্রোত । এই কুরোশিয়ো ও ওয়াশিয়ো স্রোতের মিলনেই জাপান উপকূলে ঘনকুয়াশা ও ঝড় – ঝঞ্ঝার সৃষ্টি হয় ।

  1. সমুদ্রে পরিচলন স্রোত কাকে বলে ?

Ans: নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর সূর্যের লম্বকিরণের কারণে জল বেশি উষ্ণ হয় । বাষ্পীভবনে জল হালকা হয়ে বাষ্পীভূত হয় । ফলে উষু বায়ুপ্রবাহের মতো সমুদ্রের পৃষ্ঠদেশে উষ্ণ স্রোত প্রবাহিত হয় । আবার মেরু অঞ্চলের ঠান্ডা জল ভারী বলে নীচের দিকে নেমে নিরক্ষীয় অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় । এইভাবে জলের ঊর্ধ্ব ও নিম্নমুখী প্রবাহ সৃষ্টি হয় , একে বলে পরিচলন স্রোত ।

  1. নিরক্ষীয় প্রতিস্রোত কী ?

Ans: পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বে প্রতিনিয়ত আবর্তন করে । | এর ফলে পৃথিবীর মাঝবরাবর পশ্চিম থেকে পূর্বাভিমুখী একটি স্রোত । সৃষ্টি হয় । সাধারণত নিয়তবায়ুর গতি অনুসরণ করে নিরক্ষরেখার উত্তর নিরক্ষীয় ও দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোত সৃষ্টি হয় । এদের গতিপদ পূর্ব থেকে পশ্চিমে । এই দুই স্রোতের বিপরীত গতিপথ অনুসর করায় নাম হয়েছে নিরক্ষীয় প্রতিস্রোত । জুলাই মাসে এর প্রভাব বেশি হয় , ডিসেম্বর মাসে প্রভাব কমে যায় ।

  1. সমুদ্রস্রোতের নামকরণ কীভাবে করা হয় ?

Ans: সমুদ্রস্রোত স্থলভাগের যে অংশের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয় সাধারণত তার নাম অনুসারে স্রোতের নামকরণ হয় , যেমন : ব্রাজিল স্রোত , সোমালি স্রোত । নিরক্ষরেখার উত্তর – দক্ষিণে প্রবাহিত স্রোত নিরক্ষীয় স্রোত নামে পরিচিত । ভারতমহাসাগরে গ্রীষ্মে ও শীতে প্রবাহিত বিপরীত মৌসুমি বায়ুর গতি অনুসরণ করে স্রোতের নামকরণ করা হয় । উৎসস্থল অনুসারেও সমুদ্রস্রোতের নামকরণ হয় , যেমন— কুমেরু স্রোত , সুমেরু স্রোত ।

  1. বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রস্রোতকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ?

Ans: বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রস্রোতের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক । বায়ুপ্রবাহের প্রভাবেই সমুদ্রের উপরের অংশের জল একস্থান থেকে অন্যস্থানে বাহিত হয় । এইভাবেই সমুদ্রস্রোত সৃষ্টি হয় । তাই বলা যায় , বিভিন্ন প্রকার নিয়ত বায়ু ( আয়ন বায়ু , পশ্চিমা বায়ু , মেরু বায়ু ) প্রভাবে সকল মহাসমুদ্রে সমুদ্রস্রোতের উৎপত্তি ঘটে ।

  1. সমুদ্রস্রোতের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো ।

Ans: সমুদ্রস্রোতের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলি হল ( i ) সমুদ্রস্রোত একটি নির্দিষ্ট দিকে সারাবছরব্যাপী প্রবাহিত হয় । ( iii ) সমুদ্রস্রোত ফেরেলের সূত্র অনুসারে উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে ও দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয় । ( iii ) সমুদ্রস্রোতের গতিবেগ সমুদ্রের গভীরতার ওপর নির্ভরশীল । ( iv ) সমুদ্রস্রোতের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫—১০ কিমি । ( v ) গভীর সমুদ্রে সমুদ্রস্রোতের বেগ হয় ঘণ্টায় ৩-৫ কিমি এবং অগভীর সমুদ্রে এর বেগ হয় ঘণ্টায় । ৭–৯ কিমি । ( vi ) সমুদ্রস্রোত যে দিকে বয়ে যায় , সেই দিকের প্রবাহপথ অনুযায়ী নাম রাখা হয় । ( vii ) উষ্ণ ও শীতল স্রোতের মিলনস্থলে ঘন কুয়াশা ও ঝড় – ঝঞ্ঝার সৃষ্টি হয় ।

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer : 

1. সমুদ্রস্রোত উৎপত্তির কারণ লেখো ।

Ans: সমুদ্রস্রোত সৃষ্টি , প্রবাহ ও গতিপ্রকৃতি নানা কারণে নিয়ন্ত্রিত হয় । সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির প্রধান প্রধান কারণগুলি হল 

( i ) পৃথিবীর আবর্তন ( Earth’s Rotation ) : পৃথিবী তার নিজের অক্ষের ওপর পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করার ফলে যে কোরিওলিস বলের ( Coriolis Force ) উৎপত্তি হয় , তার প্রভাবে সমুদ্রস্রোত সোজাপথে প্রবাহিত হতে পারে না । ফেরেলের সূত্র অনুসরণ করে সমুদ্রস্রোত উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে ও দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয় । LAVALAVA

 ( ii ) বায়ুপ্রবাহ ( Winds ) : আধুনিক বৈজ্ঞানিকদের মতে , বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রস্রোতের প্রধান কারণ । নিয়ত বায়ুপ্রবাহ এবং সমুদ্রস্রোতের গতি লক্ষ করলে দেখা যায় যে , প্রবল নিয়ত বায়ুপ্রবাহ নির্দিষ্ট পথে প্রবাহিত হওয়ার সময় সমুদ্রস্রোতকেও নিজের প্রবাহপথের দিকে টেনে নিয়ে যায় । যেমন- ( ক ) যেসব স্থানে আয়ন বায়ু প্রবাহিত হয় সেইসব স্থানে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে সমুদ্রস্রোত আসে । ( খ ) যেসব স্থানে পশ্চিমা বায়ু প্রবাহিত হয় সেইসব স্থানে পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে সমুদ্রস্রোত আসে । ( গ ) মেরু অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহ এবং সমুদ্রস্রোত একই দিকে প্রবাহিত হয় ।

 ( iii ) সমুদ্রজলের উদ্ধৃতা , লবণতা ও ঘনত্ব ( Ocean Temper ature and Salinity ) : সূর্যরশ্মি ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র সমানভাবে পড়ে না । নিরক্ষীয় অঞ্চলে লম্ব সূর্যকিরণে সমুদ্রের জল অধিক উষ্ণ ও কম ঘনত্বের জল প্রসারিত ও হালকা হয়ে নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে বহিঃস্রোতরূপে ( Surface current ) শীতল মেরু অঞ্চলের দিকে এবং মেরু অঞ্চলে তির্যক সূর্যকিরণে সমুদ্রের জল শীতল , ঘন ও ভারী হয়ে অন্তঃস্রোতরূপে ( under current ) নিরক্ষীয় অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় । আবার , সমুদ্রে অধিক লবণাক্ত জলের ঘনত্ব বেশি হওয়ায় তা কম লবণাক্ত জলের দিকে অন্তঃস্রোতরূপে এবং কম লবণাক্ত জল হালকা হওয়ায় বহিঃস্রোতরূপে বেশি লবণাক্ত জলের দিকে প্রবাহিত হয় । 

( iv ) বরফের গলন ( Melting of ice ) : দুই মেরুসংলগ্ন সমুদ্রজলে বিপুল পরিমাণে বরফ গলে মেশে । ফলে সমুদ্রে মিষ্টি জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ও লবণতা হ্রাস পায় । ফলে জল সমুদ্রস্রোত রূপে নিম্নঅক্ষাংশে বয়ে যায় ।

 ( v ) উপকূলের আকৃতি ( Shape of Coast line ) : সমুদ্রস্রোতের প্রবাহপথে মহাদেশীয় উপকূল ভাগ বা দ্বীপসমূহের অবস্থানের ফলে সমুদ্রস্রোতের দিক পরিবর্তিত হয় । যেমন দক্ষিণে নিরক্ষীয় স্রোত ব্রাজিলিয়ান উপকূলে বাধা পেয়ে দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে যায় । 

( vi ) ঋতুভেদ ( Seasonal Variations ) : ঋতুভেদে মহাসমুদ্রের জলে উষ্ণতা ও লবণতার তারতম্য ঘটে বলে সমুদ্রস্রোতের পরিবর্তন ঘটে । শীত ও গ্রীষ্মে সম্পূর্ণ আলাদা দিক থেকে প্রবাহিত মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারত মহাসাগরে স্রোতের দিক পরিবর্তন ঘটে ।

2. উদাহরণসহ সমুদ্রস্রোতের প্রভাব ব্যাখ্যা করো ।

Ans: পৃথিবীব্যাপী সমুদ্রস্রোতের প্রভাব : সমুদ্রস্রোত জলবায়ু , মাছ আহরণ , জাহাজ চলাচল প্রভৃতির ওপর প্রভাব ফেলে । 

১. জলবায়ুর ওপর প্রভাব : ( i ) উষ্ণতায় প্রভাব : শীতল অঞ্চলের ওপর দিয়ে উষু স্রোত বয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে উষ্ণতা বাড়ে । উত্তর আটলান্টিক ড্রিফটের কারণেই উত্তর – পশ্চিম ইউরোপের উষ্ণতা শীতকালে বেশ বেশি হ হয় বলেই নরওয়ের হ্যামারফেস্ট বন্দর দিয়ে সারাবছর জাহাজ চলাচল করে । অপরদিকে উষু অঞ্চলের ওপর দিয়ে শীতল স্রোত বয়ে গেলে উষ্ণতা কমে । বেঙ্গুয়েলা স্রোতের প্রভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়া উপকূলের উষ্ণতা সারাবছর কম । 

( ii ) বৃষ্টিপাত , তুষারপাত : উয় স্রোতের উপর দিয়ে প্রবাহিত বায়ু বেশি জলীয় বাষ্প গ্রহণ করে বলে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ে । ই উত্তর আটলান্টিক ড্রিফট – এর প্রভাবে উত্তর – পশ্চিম ইউরোপে এই কারণে বেশি বৃষ্টি হয় । শীতল স্রোত প্রবাহিত অঞ্চলে উষ্ণতা অনেকটা কমে গেলে তুষারপাত হয় । ল্যাব্রাডর স্রোতের প্রভাবে সহায়িকা , নিউফাউন্ডল্যান্ড অঞ্চলে তুষারপাত ঘটে । অনেকক্ষেত্রে শীতল স্রোত প্রবাহিত অঞ্চলে বৃষ্টি কম হয় ।

 ( iii ) মরুভূমি সৃষ্টি : ক্রান্তীয় মণ্ডলে উপকূলের পাশ দিয়ে শীতল স্রোত বয়ে গেলে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় থাকে না । দীর্ঘকাল ধরে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট অঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হয় । সাহারার পশ্চিমপ্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত শীতল ক্যানারি । স্রোত মরুভূমি সৃষ্টিতে সাহায্য করেছে ।

 ( iv ) কুয়াশা , ঝড় – ঝঞ্ঝা : যেখানে উষ্ণ ও শীতল স্রোত মিলিত হয় সেখানে বৈপরীত্য উষ্ণতার প্রভাবে পরিচলনজনিত কুয়াশা , ঝড় , ঝঞ্ঝার উৎপত্তি ঘটে । নিউফাউন্ডল্যান্ড অঞ্চলে শীতল ল্যাব্রাডর ও উষু উপসাগরীয় স্রোতের মিলনে প্রায়শই ঘন কুয়াশা ও ঝড়ের সৃষ্টি হয় । 

২. জলবায়ুর পরিবর্তনে প্রভাব : জলবায়ু পরিবর্তনে সমুদ্রস্রোতের প্রভাব স্পষ্ট বোঝা যায় প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো ও লা নিনা আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে । এল নিনো বছরে পেরু , ইকুয়েডর উপকূলে উত্তরদিক থেকে গরম জলের স্রোত ( লা নিনা স্রোত ) এসে ঢোকে । ফলে পেরু , ইকুয়েডরে প্রবল বৃষ্টি , পশ্চিমে অস্ট্রেলিয়ায় অনাবৃষ্টি দেখা দেয় । লা নিনা বছরে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা এবং পেরু , ইকুয়েডরে অনাবৃষ্টিতে খরা দেখা দেয় । প্রশান্ত মহাসাগরে গড়ে ২–৭ বছর অন্তর জলবায়ুর এই পরিবর্তনে সমুদ্রস্রোত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় । 

৩. মগ্নচড়ার সৃষ্টি ও বাণিজ্যিক গুরুত্ব : যেখানে উষ্ণ ও শীতল সমুদ্রস্রোত মেশে সেখানে শীতল স্রোতে বয়ে আসা হিমশৈল গলে যায় । হিমশৈলের সঙ্গে থাকা পদার্থ ( বালি , পলি ) ক্রমাগত অধঃক্ষিপ্ত হয়ে অগভীর অঞ্চল তৈরি করে । এটি হল মগ্নচড়া বা ব্যাংক । গ্র্যান্ড ব্যাংক , ডগার্স ব্যাংক , রকফল ব্যাংক হল পৃথিবী বিখ্যাত মগ্নচড়া । মগ্নচড়ার বাণিজ্যিক গুরুত্ব : মগ্নচড়াগুলি পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাণিজ্যিক মৎস্য আহরণ অঞ্চল । 

4. মানুষের অর্থনৈতিক পরিবেশের ওপর সমুদ্রস্রোতের প্রভাব বা গুরুত্ব আলোচনা করো ।

Ans: মানুষের অর্থনৈতিক পরিবেশের ওপর সমুদ্রস্রোতের প্রভাব হল 

( i ) মগ্নচড়ার সৃষ্টি ও মৎস্য আহরণ : বিভিন্ন মহাসাগরের শীতল স্রোতের সঙ্গে বড়ো বড়ো হিমশৈল ভেসে আসে । উষ্ণ স্রোতের সংস্পর্শে আসায় হিমশৈলগুলি গলতে শুরু করে , ফলে হিমশৈলের সাথে বয়ে আনা নুড়ি , পাথর , কাঁকর , বালি ইত্যাদি পদার্থ থিতিয়ে পড়ে সমুদ্রের অগভীর মহিসোপান অঞ্চলে জমা হয়ে মগ্নচড়ার সৃষ্টি করে । যেমন — গ্র্যান্ড ব্যাংক , ডগার্স ব্যাংক ইত্যাদি । 

মগ্নচড়াগুলিতে প্ল্যাংকটন নামে একপ্রকার আণুবীক্ষণিক জীব জন্মায় যা মাছের প্রধান খাদ্য । মগ্নচড়াগুলিতে অনুকূল তাপমাত্রা এবং খাদ্যের অফুরন্ত জোগান থাকায় মৎস্য আহরণের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে । 

( ii ) জাহাজ চলাচল ও বরফমুক্ত বন্দর : উষ্ণ স্রোতের প্রভাবে উচ্চ অক্ষাংশের সমুদ্র শীতকালেও বরফমুক্ত থাকে । উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে উত্তর সাগর ও সংলগ্ন হ্যামারফেস্ট বন্দর বরফমুক্ত থাকে বলে জাহাজ চলাচলের সুবিধা হয় । 

( iii ) হিমশৈলের সমস্যা : শীতল সমুদ্রস্রোতে ভেসে আসা হিমশৈল জাহাজ চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করে ।

মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Madhyamik Class 10th Geography Question and Answer / Suggestion / Notes Book

আরোও দেখুন :-

মাধ্যমিক ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here

Madhyamik Suggestion 2025 | মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৫

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Bengali Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik English Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Geography Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik History Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Life Science Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Mathematics Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik Physical Science Suggestion 2025 Click here

আরোও দেখুন:-

Madhyamik All Subjects Suggestion 2025 Click here

Info : বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর

 Madhyamik Geography Suggestion  | West Bengal WBBSE Class Ten X (Class 10th) Geography Qustion and Answer Suggestion   

” বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন উত্তর  “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা (West Bengal Class Ten X  / WB Class 10  / WBBSE / Class 10  Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 10 Exam / Class 10 Class 10th / WB Class 10 / Class 10 Pariksha  ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন / মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ও উত্তর । Madhyamik Geography Suggestion / Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer / Class 10 Geography Suggestion / Class 10 Pariksha Geography Suggestion  / Geography Class 10 Exam Guide  / MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer  / Madhyamik Geography Suggestion  FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Madhyamik Geography Suggestion / West Bengal Ten X Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 10th Geography Suggestion  / Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer  / Class 10 Geography Suggestion  / Class 10 Pariksha Suggestion  / Madhyamik Geography Exam Guide  / Madhyamik Geography Suggestion 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035 / Madhyamik Geography Suggestion  MCQ , Short , Descriptive  Type Question and Answer. / Madhyamik Geography Suggestion  FREE PDF Download) সফল হবে।

FILE INFO : বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer with FREE PDF Download Link

PDF File Name বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer PDF
Prepared by Experienced Teachers
Price FREE
Download Link 1 Click Here To Download
Download Link 2 Click Here To Download

বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) অধ্যায় থেকে আরোও প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :

বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়)
1 বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography Barimandal MCQ Click Here
2 বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) SAQ প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Geography Barimandal Short Question and Answer Click Here
3 বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer Click Here
4 দশম শ্রেণী ভূগোল | বারিমন্ডল – প্রশ্ন উত্তর সাজেশন | WBBSE Class 10th Geography Suggestion Click Here
Madhyamik Geography (মাধ্যমিক ভূগোল) Click Here

[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now]

বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর  

বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer Suggestion  মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর।

বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | মাধ্যমিক ভূগোল 

বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer Suggestion  মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর।

বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ভূগোল 

বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer Suggestion  মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর – দশম শ্রেণি ভূগোল | Madhyamik Class 10 Geography Barimandal 

দশম শ্রেণি ভূগোল (Madhyamik Geography Barimandal) – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) | Madhyamik  Geography Barimandal Suggestion  দশম শ্রেণি ভূগোল  – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর।

মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  | দশম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer Question and Answer, Suggestion 

মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) | পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) | মাধ্যমিক ভূগোল সহায়ক – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer, Suggestion | Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer Suggestion  | Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer Notes  | West Bengal Madhyamik Class 10th Geography Question and Answer Suggestion. 

মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর   – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion 

মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  | বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) । Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer Suggestion.

WBBSE Class 10th Geography Barimandal Suggestion  | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর   – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) 

WBBSE Madhyamik Geography Barimandal Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর  । বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) | Madhyamik Geography Barimandal Suggestion  মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।

Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer Suggestions  | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর 

Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer  মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন ও উত্তর – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর  । 

WB Class 10 Geography Barimandal Suggestion  | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর   – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর 

Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer Suggestion  মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।

West Bengal Class 10  Geography Suggestion  Download WBBSE Class 10th Geography short question suggestion  . Madhyamik Geography Barimandal Suggestion   download Class 10th Question Paper  Geography. WB Class 10  Geography suggestion and important question and answer. Class 10 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer Question and Answer by Bhugol Shiksha .com

Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10  Geography Suggestion with 100% Common in the Examination .

Class Ten X Geography Barimandal Suggestion | West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Exam 

Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Ten X Geography Suggestion  is provided here. Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below. 

বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer 

        অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” বারিমন্ডল (তৃতীয় অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Barimandal Question and Answer  ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে  তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।