হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়)
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer
হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer : হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Geography Himobaho Question and Answer, Suggestion, Notes – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 10th Ten X Geography Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।
তোমরা যারা হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer খুঁজে চলেছ, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারো।
শ্রেণী | মাধ্যমিক দশম শ্রেণী (Madhyamik Class 10) |
বিষয় | মাধ্যমিক ভূগোল (Madhyamik Geography) |
বিষয় | হিমবাহ (Himobaho) |
অধ্যায় | বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায় (1st Chapter) |
হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th Geography Himobaho Question and Answer
MCQ | হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer :
- পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাদেশীয় হিমবাহ হল—
(A) আলাস্কার হুবার্ড
(B) গ্রিনল্যান্ডের কওয়ারায়াক
(C) আলাস্কার মালাসপিনা
(D) অ্যান্টার্কটিকার ল্যাম্বার্ট
Ans: (D) অ্যান্টার্কটিকার ল্যাম্বার্ট
- পৃথিবীর দ্রুততম হিমবাহ হল—
(A) অ্যান্টার্কটিকার ল্যাম্বার্ট
(B) গ্রিনল্যান্ডের ইয়াকভশান
(C) ভারতের সিয়াচেন
(D) আলাস্কার হুবার্ড
Ans: (B) গ্রিনল্যান্ডের ইয়াকভশান
- পৃথিবীর মন্থরতম হিমবাহ হল –
(A) কুমেরুর মেসার্ভ
(B) আলাস্কার হুবার্ড
(C) কুমেরুর ল্যাম্বার্ট
(D) গ্রিনল্যান্ডের কওয়ারায়াক
Ans: (A) কুমেরুর মেসার্ভ
- পৃথিবীর বৃহত্তম উপত্যকা হিমবাহ হল –
(A) আলাস্কার হুবার্ড
(B) ভারতের সিয়াচেন
(C) ইউরোপের অ্যালিস
(D) কুমেরুর ল্যাম্বার্ট
Ans: (A) আলাস্কার হুবার্ড
- পৃথিবীর বৃহত্তম পাদদেশীয় হিমবাহ হল –
(A) আলাস্কার হুবার্ড
(B) আলাস্কার মালাসপিনা
(C) গ্রিনল্যান্ডের পিটারম্যান
(D) গ্রিনল্যান্ডের স্টরস্টম
Ans: (B) আলাস্কার মালাসপিনা
- ভারতের দীর্ঘতম হিমবাহ হল –
(A) গঙ্গোত্রী
(B) সিয়াচেন
(C) বিয়াফো
(D) জেমু
Ans: (B) সিয়াচেন
- পৃথিবীর অন্যতম উপকূলীয় হিমবাহ হল –
(A) অ্যান্টার্কটিকার ল্যাম্বার্ট
(B) কুমেরুর রস
(C) গ্রিনল্যান্ডের পিটারম্যান
(D) আলাস্কার মালাসপিনা
Ans: (B) কুমেরুর রস
- নিরক্ষীয় অঞ্চলে হিমরেখার গড় উচ্চতা –
(A) ৩৯৬০ মিটার
(B) ৫৪৩০ মিটার
(C) ২৭০০ মিটার
(D) ৫৫৫০ মিটার
Ans: (D) ৫৫৫০ মিটার
- সমুদ্রজলে ভাসমান বরফস্তূপকে কী বলে ?
(A) হিমবাহ
(B) হিমশৈল
(C) হিমরেখা
(D) কোনোটাই নয়
Ans: (B) হিমশৈল
- ইউরোপের দীর্ঘতম উপত্যকা হিমবাহের নাম
(A) ল্যাম্বার্ট
(B) অ্যালিস
(C) মালাসপিনা
(D) হুবার্ড
Ans: (B) অ্যালিস
- Glacier শব্দের উৎস শব্দ কৌ লাতিন শব্দ থেকে ‘ Glacies ‘ শব্দটি এসেছে—
(A) ফরাসি শব্দ থেকে
(B) পোর্তুগিজ শব্দ থেকে
(C) গ্রিক শব্দ থেকে
(D) লাতিন শব্দ থেকে
Ans: (D) লাতিন শব্দ থেকে
- হিমশৈলের মোট আয়তনের মধ্যে জলে ভাসমান থাকে –
(A) ১/৯ ভাগ
(B) ১/৮ ভাগ
(C) ১/৭ ভাগ
(D) ১/১০ ভাগ
Ans: (A) ১/৯ ভাগ
- হিমবাহ বলতে বোঝায় –
(A) পাদদেশীয় হিমবাহকে
(B) মহাদেশীয় হিমবাহকে
(C) উপত্যকা হিমবাহকে
(D) উপকূলীয় হিমবাহকে
Ans: (D) উপকূলীয় হিমবাহকে
- হিমবাহ ও পর্বতগাত্রের মাঝে সংকীর্ণ ফাঁককে কী বলে ?
(A) ক্রেভাস
(B) র্যান্ডক্ল্যাফট্
(C) এরিটি
(D) রসে মতানে
Ans: (B) র্যান্ডক্ল্যাফট্
- করির মধ্যে দেয়ালে আগে জমে থাকা বরফ ও হিমবাহের মধ্যে ফাঁক হল –
(A) ক্রেভাস
(B) সার্ক
(C) বার্গসুন্ড
(D) হিমদ্রোণী
Ans: (C) বার্গসুন্ড
- আউটওয়াশ প্পেন গঠিত হয় –
(A) হিমবাহের সঞ্চয়
(B) জলধারা ও হিমবাহের মিলিত কার্য
(C) হিমবাহের ক্ষয় ও সঞ্চয়কার্যের মাধ্যমে
(D) হিমবাহের ক্ষয়
Ans: (B) জলধারা ও হিমবাহের মিলিত কার্য
- হিমবাহ থেকে নিঃসৃত জলস্রোতের মাধ্যমে হিমবাহ উপত্যকায় যে সমস্ত পলি সঞ্চিত হয় , তাকে বলে –
(A) গ্রাবরেখা
(B) ভ্যালি ট্রেন
(C) ড্রামলিন
(D) বোল্ডার ক্লে
Ans: (B) ভ্যালি ট্রেন
- ঝুলন্ত উপত্যকায় সৃষ্টি হয় –
(A) জলপ্রপাত
(B) গিরিখাত
(C) হিমশৈল
(D) আঁকাবাঁকা গতিপথ
Ans: (A) জলপ্রপাত
- হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ হল –
(A) গ্রাবরেখা
(B) ঝুলন্ত উপত্যকা
(C) ড্রামলিন
(D) এসকার
Ans: (B) ঝুলন্ত উপত্যকা
- হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের মাধ্যমে গঠিত ভূমিরূপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –
(A) সার্ক
(B) হিমসিঁড়ি
(C) ড্রামলিন
(D) ক্লাগ এন্ড টেল
Ans: (C) ড্রামলিন
- দুটি সার্ক পাশাপাশি গড়ে উঠলে তাদের মাঝখানের পর্বতশিরাকে বলে –
(A) ফিয়র্ড
(B) পিরামিড চূড়া
(C) অ্যারেটি
(D) এসকার
Ans: (C) অ্যারেটি
- ফিয়র্ড উপকূল গড়ে ওঠে হিমবাহের কোন কার্য দ্বারা ?
(A) ক্ষয়কার্য
(B) বহর্নকার্য
(C) সঞ্চয়কার্য
(D) ক্ষয় ও সঞ্চয়কার্য
Ans: (A) ক্ষয়কার্য
- ” Basket of eggs topography ” কোন অঞ্চলকে বলা হয় –
(A) এস্-কার
(B) গ্রাবরেখা
(C) ড্রামলিন
(D) ক্রেভাস
Ans: (C) ড্রামলিন
- আয়তনে সবচেয়ে বড়ো হয় –
(A) পার্বত্য
(B) উপকুলীয়
(C) পাদদেশীয় হিমবাহ
(D) মহাদেশীয়
Ans: (D) মহাদেশীয়
- হিমরেখার উচ্চতা সবচেয়ে কম হয় –
(A) নিরক্ষীয় অঞ্চলে
(B) উপক্রান্তীয় অঞ্চলে
(C) নাতিশীতোয় অঞ্চলে
(D) মেরু অঞ্চলে
Ans: (D) মেরু অঞ্চলে
- আলাস্কার বেরিং হিমবাহ হল – যার উদাহরণ –
(A) পার্বত্য হিমবাহের
(B) মহাদেশীয় হিমবাহের
(C) পাদদেশীয় হিমবাহের
(D) উপকূলীয় হিমবাহের
Ans: (D) উপকূলীয় হিমবাহের
- কুমেরু মহাদেশের মাউন্ট তাকাহি হল একটি –
(A) পিরামিড চূড়া
(B) ফিয়র্ড
(C) নুনাটকস
(D) এস্-কার
Ans: (C) নুনাটকস
- পৃথিবীতে মহাদেশীয় হিমবাহ সবচেয়ে বেশি দেখা যায় –
(A) ইউরোপে
(B) উত্তর আমেরিকায়
(C) অ্যান্টার্কটিকায়
(D) এশিয়ায়
Ans: (C) অ্যান্টার্কটিকায়
- মাউন্ট তাকাহি নুনাটক্স অবস্থিত –
(A) ইউরোপে
(B) এশিয়ায়
(C) উত্তর আমেরিকা
(D) অ্যান্টার্কটিকায়
Ans: (D) অ্যান্টার্কটিকায়
- পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পার্বত্য হিমবাহ দেখা যায় –
(A) হিমালয় – এ
(B) আন্দিজ – এ
(C) গ্রেট ডিভাইডিংরেঞ্জ – এ
(D) আল্পস
Ans: (A) হিমালয় – এ
- হিমবাহ উপত্যকার আকৃতি কীরুপ ?
(A) I
(B) V
(C) S
(D) U
Ans: (D) U
- তহ করি ভূমিরূপ ফ্রান্সে কী নামে পরিচিত ?
(A) এরিটি
(B) কার
(C) সার্ক
(D) হর্ন
Ans: (C) সার্ক
- দুটি কেটলের মধ্যবর্তী উঁচু অংশ হল –
(A) ভাব
(B) নব
(C) এস্-কার
(D) গ্রাবরেখা
Ans: B) নব
- ক্র্যাগ – এর পিছনে প্রলম্বিত শিলাস্তরকে বলা হয় –
(A) টেল
(B) ভ্যালিট্রেন
(C) রসে মতানে
(D) কেম
Ans: (A) টেল
- কোন দেশকে ‘ The land of fjords ‘ বলা হয় ?
(A) আইসল্যান্ড
(B) নরওয়ে
(C) ফিল্যান্ড
(D) কানাডা
Ans: (B) নরওয়ে
- কোন্ মহাদেশের বেশিরভাগটাই হিমবাহে ঢাকা ।
(A) উত্তর আমেরিকা
(B) ইউরোপ
(C) অ্যান্টার্কটিকা
(D) এশিয়া
Ans: (C) অ্যান্টার্কটিকা
- কোন প্রকার হিমবাহে নুনাটাকস্ দেখা যায় –
(A) মহাদেশীয়
(B) পার্বত্য
(C) পাদদেশীয়
(D) উপকূলীয়
Ans: (A) মহাদেশীয়
- ম্যালাসপিনা কোন প্রকার হিমবাহের উদাহরণ ?
(A) পার্বত্য
(B) উপত্যকা
(C) পাদদেশীয়
(D) মহাদেশীয়
Ans: (C) পাদদেশীয়
- কোন্ নামটি হিমবাহের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত ?
(A) গিলবার্ট
(B) অ্যালম্যান
(C) চেম্বারলিন
(D) ডেভিস
Ans: (B) অ্যালম্যান
- পৃথিবীর মোট জলের মধ্যে মিষ্টি জলের পরিমাণ কত শতাংশ ?
(A) ২.৫ %
(B) ৪.৮ %
(C) ৫.৮ %
(D) ৫.২ %
Ans: (A) ২.৫ %
- হর্ন ভূমিরূপটি কোন্টির অপর নাম—
(A) এরিটি
(B) সার্ক
(C) পিরামিড চূড়া
(D) রসে মতানে
Ans: (C) পিরামিড চূড়া
- কোন্ বিষয়টি জাহাজ চলাচলে বিপদ ঘটায় ?
(A) বার্গযুক্ত
(B) হিমশৈল
(C) ক্রেভাস
(D) এরিটি
Ans: (B) হিমশৈল
- কোন্ ভূমিরূপটি হিমবাহ ক্ষয়কার্যে গঠিত নয় ?
(A) এরিটি
(B) হিমসিঁড়ি
(C) গ্রাবরেখা
(D) ক্রাগ ও টেল
Ans: (C) গ্রাবরেখা
- করি ভূমিরূপটি জার্মানিতে কী নামে পরিচিত ?
(A) এরিটি
(B) সার্ক
(C) কাম
(D) কার
Ans: (B) সার্ক
- বদ্রিনাথের নীলকণ্ঠ ও নেপালের মাকালু কোন্ ভূমিরূপের উদাহরণ –
(A) হর্ন
(B) এরিটি
(C) ড্রামলিন
(D) এস্-কার
Ans: (A) হর্ন
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer :
- পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশীয় হিমবাহ কোনটি ?
Ans: অ্যান্টার্কটিকার ল্যাম্বার্ট ।
- পর্বতগাত্র ও হিমবাহের মধ্যে যে সংকীর্ণ ফাঁকের সৃষ্টি হয় । তাকে কী বলে ?
Ans: বার্গযুক্ত ।
- পৃথিবীর দীর্ঘতম উপত্যকা হিমবাহ কোনটি ?
Ans: আলাস্কার হুবার্ড ।
- পার্বত্য হিমবাহ ক্ষয়ের ফলে একটিমাত্র শিলাখণ্ডের ওপর গঠিত ঢিবির মতো আকৃতিবিশিষ্ট ভূমিরূপকে কী বলে ?
Ans: রসে মতানে ।
- হিমসিঁড়ির বেসিনের মতো অংশে সৃষ্ট হ্রদকে কী বলে ?
Ans: প্যাটার্নওস্টার হ্রদ ।
- কোন দেশকে বলা হয় ‘ the land of fjords ?
Ans: নরওয়েকে ।
- বহিঃবিধৌত সমভূমি হিমবাহ দ্বারা বিচ্ছিন্ন হলে তাকে কী বলে ?
Ans: ভ্যালি ট্রেন ।
- কেটল হ্রদের তলদেশে স্তরে স্তরে সঞ্চিত পলিকে কী বলে ?
Ans: ভার্ব ।
- উচ্চ অক্ষাংশের উপকূলে উচ্চ অক্ষাংশের উপকূলে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্টি হওয়া আংশিক জলমগ্ন উপত্যকাকে কী বলে ?
Ans: ফিয়র্ড ।
- উচ্চ অক্ষয়াংশের উপকূল হিমবাহের সঙ্গে প্রবাহিত পাথরখণ্ড ও বালিসহ মিশ্র উপাদানকে একসঙ্গে কী বলে ?
Ans: বোল্ডার ক্লে বা টিল ।
- হিমবাহ যেখানে এসে শেষ হয় অর্থাৎ গলে যায় , সেই অংশের গ্রাবরেখাকে কী বলে ?
Ans: প্রান্ত গ্রাবরেখা ।
- করি ভূমিরূপকে ফ্রান্সে কী বলে ?
Ans: সার্ক ।
- হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে পর্বতের পাদদেশে বড়ো বড়ো প্রস্তরখণ্ড সঞ্চিত হয়ে যে ভূমিরূপ গঠিত হয় , তাকে কী বলে ?
Ans: আগামুক ।
- উচ্চ অক্ষাংশে অবস্থিত বরফমুক্ত পর্বতের শিখরদেশগুলিকে কী বলে ?
Ans: নুনাটক্স ।
- পৃথিবীর বৃহত্তম ফিয়র্ডের নাম কী ?
Ans: স্কোরবি সাউন্ড ফিয়র্ড ।
- পাদদেশীয় হিমবাহের অগ্রভাগকে কী বলে ?
Ans: লোব ।
- যে কাল্পনিক সীমারেখার ওপর সারাবছর বরফ জমে থাকে , তাকে কী বলে ?
Ans: হিমরেখা ।
- ভারতের কোথায় ‘ রসে মতানে ’ ভূমিরূপ দেখা যায় ?
Ans: কাশ্মীরের লিডার হিমবাহর উপত্যকায় ।
- জমাটবদ্ধ তুষার কণাকে কী বলে ?
Ans: ফার্ন ।
- হিমবাহ জিবের মতো এগিয়ে গেলে তাকে কী বলে ?
Ans: ব্লো আউট ।
- দুটি হিমযুগের মধ্যবর্তী সময়কালকে কী বলে ?
Ans: অন্তর্বর্তী হিমযুগ ।
- সবচেয়ে বেশি হিমবাহ কোন মহাদেশে দেখা যায় ?
Ans: দক্ষিণ গোলার্ধের অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে ।
- ক্যাগ এর পশ্চাতের ভূমিরূপটির নাম কী ?
Ans: টেল ।
- বহিঃবিধৌত সমভূমি হিমবাহ দ্বারা বিচ্ছিন্ন হলে তাকে কী বলে ?
Ans: ভ্যালি ট্রেন ।
- অসংখ্য ড্রামলিন একসঙ্গে অবস্থান করলে তাকে কী বলে ?
Ans: Busket of egg topography .
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর | হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer :
- হিমবাহ ( Glacier ) কী ?
Ans: চিরতুষারাবৃত অঞ্চলে ক্রমাগত হারে সঞ্জিত তুষার প্রবল চাপে সুবিশাল কঠিন বরফস্তূপে পরিণত হয় । এই বরফস্তূপ অভিকর্ষের টানে ঢাল বরাবর নেমে আসে । একেই বলে হিমবাহ ।
- নেভে ও ফার্ন বলতে কী বোঝ ?
Ans: হিমরেখার ঊর্ধ্বে প্রচণ্ড শৈত্যের কারণে তুষারপাত ঘটে । সদ্য পতিত তুষার হাল্কা পেঁজা তুলোর মতো হয় । একে নেভে বলে । নেভের ওপর পুনরায় তুষারপাতে নীচের তুষারের দৃঢ়তা ও ঘনত্ব বাড়ে । এটি হল ফার্ন ।
- রেগেলেশন বা পুনর্জমাটন কাকে বলে ?
Ans: প্রবল চাপে নীচে হিমবাহ ও ভূমির সীমানা বরাবর গলনাঙ্ক নেমে গিয়ে বরফ জলে পরিণত হয় । পরে চাপ হ্রাস পেলে ওই জল আবার বরফে পরিণত হয় । এই পদ্ধতি হল রেগেলেশন ( Regelation ) বা পুনর্জমাটন ।
- হিমযুগ ( Ice Age ) কাকে বলে ?
Ans: প্রাচীনকালের কিছু কিছু সময় ভূপৃষ্ঠের বিস্তীর্ণ অংশ পুরু বরফে ঢাকা ছিল । এই যুগকে বলে হিমযুগ । আজ থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ বছর আগে প্লাইস্টোসিন যুগে পৃথিবীর ১/৩ ভাগ অংশ হিমবাহ দ্বারা ঢাকা ছিল ।
- অন্তর্বর্তী হিমযুগ বলতে কী বোঝ ?
Ans: হিমযুগ – এর সময়কাল একটানা ছিল না , মাঝে মাঝে উয়তা বেড়ে হিমবাহ ঢাকা অঞ্চল সংকুচিত হয়েছিল । এই সময়টিকে বলা হয় অন্তর্বর্তী হিমযুগ ।
- হিমবাহের গুরুত্ব লেখো ।
Ans: হিমবাহের গুরুত্ব— ( i ) এটি মিষ্টি জলের আধার , ( ii ) বিভিন্ন হিমবাহর উৎসস্থল , এবং ( iii ) এটি দৃষ্টিনন্দন উপত্যকা যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে । নুনাটক্স কী ? উত্তর : উচ্চ অক্ষাংশের মহাদেশীয় হিমবাহ অধ্যুষিত অঞ্চলে বরফমুক্ত পর্বতের শিখরদেশগুলিকে নুনাটস বলে ।
- পাদদেশীয় হিমবাহ কাকে বলে ও উদাহরণ দাও ।
Ans: হিমবাহ যখন উঁচু পার্বত্য অঞ্চল ছেড়ে উপত্যকায় পাদদেশে মেশে তাকে পাদদেশীয় হিমবাহ বলে । উদাহরণ : কুমেরু মহাদেশ , যুক্তরাষ্ট্রে আলাস্থা প্রদেশে , গ্রিনল্যান্ডে এই জাতীয় পাদদেশীয় হিমবাহ দেখা যায় ।
- মহাদেশীয় হিমবাহ ( Continental Glacier ) কী ?
Ans: মহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে অবস্থান করা সুবিশাল বরফের আচ্ছাদনকে বলে মহাদেশীয় হিমবাহ । যেমন — অ্যান্টার্কটিকা , গ্রিনল্যান্ড ও আইসল্যান্ডে এই মহাদেশীয় হিমবাহ দেখা যায় ।
- পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহ ( Valley Glacier ) কী ? উত্তর : যে হিমবাহ পার্বত্য উপত্যকার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় , তাকে বলে পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহ । যেমন – হিমালয় , রকি , আন্দিজ , আল্পস প্রভৃতি সুউচ্চ নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চলে পার্বত্য হিমবাহ দেখা যায় ।
- হিমরেখা ( Snowline ) কী ?
Ans: মেরুপ্রদেশ ও উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলের তীব্র শৈত্যে , যে সীমারেখার ওপরে অত্যধিক শীতলতার জন্য সারাবছরই জল জমে বরফে পরিণত হয়ে থাকে এবং যে সীমারেখার নীচে উত্তাপে তুষার গলে যায় , সেই সীমারেখাকে হিমরেখা বলে ।
- হিমরেখার সাথে হিমবাহর সম্পর্ক কী ?
Ans: হিমরেখার নীচে উয়তা বাড়ার সাথে সাথে হিমবাহ গলতে শুরু করে । তাই এটা বলা যায় যে , হিমরেখা প্রধানত হিমবাহ গলে হিমবাহ সৃষ্টির পর্যায়কে সূচিত করে ।
- হিমশৈল ( Ice berg ) কাকে বলে ?
Ans: সমুদ্র বা হ্রদে ভাসমান বরফের স্তূপকে বলে হিমশৈল । উপকূলীয় হিমবাহ মহাদেশীয় হিমবাহ বরফের বিচ্ছিন্ন স্তূপ হিমশৈল সমুদ্রের ধারে এসে পড়লে সমুদ্রের তরঙ্গের আঘাতে সমুদ্র ভেঙে বা মহাদেশীয় হিমবাহের অংশ সমুদ্রে হিমশৈল ভাসতে থাকলে হিমবাহের কিছু অংশ ভেঙে গিয়ে ক্রমশ ভেসে দূরে সরে যায় এবং হিমশৈলের উৎপত্তি ঘটে ।
- বার্গমুন্ড ( Bergshrund ) কাকে বলে ?
Ans: উঁচু পর্বত থেকে উপত্যকার ( সার্ক বা করি ) মধ্যে দিয়ে হিমবাহ নামার সময় আগের থেকে জমে থাকা বরফস্তূপ এবং নামতে থাকা হিমবাহের মধ্যে যে ফাঁক বা গ্যাপের সৃষ্টি হয় , তাকে বলে বার্গম্বুন্ড । এই ফাঁক হিমবাহের পৃষ্ঠদেশ থেকে তলদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে ।
- ক্রেভাস ( Crevasse ) বলতে কী বোঝ ?
Ans: হিমবাহের উপরের পৃষ্ঠে ফাটল ধরলে তাকে ক্রেভাস্ বলে । করি অংশে হিমবাহ নামার সময় ঢাল হঠাৎ বেড়ে গেছে । হিমবাহের পৃষ্ঠদেশে যে – টান পড়ে তার ফলে ক্রেভাস সৃষ্টি হয় । পর্বত ছাড়া চেয়ারের মতো , বার্গযুক্ত মাখানে গর্ভ এমন ভূমিরূপ বা করি । ক্রেভাস , বার্গযুক্ত এবং করি ( সার্ক )
- র্যান্ডক্লাফট্ ( Randkluft ) কী ?
Ans: করি অংশের পিছনে মস্তক দেয়াল ও হিমবাহের যে ফাঁক তা হল র্যান্ডক্লাফট্ । হিমবাহের দেয়াল অংশ তুলনামূলক উঁচু বলে হিমবাহ গলে এই ফাঁক সৃষ্টি হয় ।
- করি বা সার্ক ( Corrie ) কাকে বলে ?
Ans: সার্ক হল হিমবাহের অবঘর্ষ ও উৎপাটনজনিত ক্ষয়কাজের ফলে সৃষ্টি হওয়া হাতল ছাড়া ডেকচেয়ারের মতো মাঝখানে গর্তবিশিষ্ট ভূমিরূপ । এইরকম আকৃতিবিশিষ্ট উপত্যকাকে ফরাসি ভাষায় সার্ক এবং ইংরেজিতে ‘ করি ‘ বলে ।
- করির ক – টি অংশ থাকে ও কী কী ?
Ans: করির তিনটি অংশ থাকে । যেমন— ( i ) পিছনের দিকে খাড়া দেয়াল , ( ii ) মধ্যভাগে নীচু সরা বা চামচের মতো গর্ত , এবং ( iii ) প্রান্তভাগে ঢিবির মতো উঁচু অংশ ।
- পিরামিড চূড়া ( Pyramidal peak ) বা হর্ন কাকে বলে ?
Ans: একটি পাহাড়ের বিভিন্ন দিকে তিন – চারটি সার্ক পাশাপাশি সৃষ্টি হলে , এদের মধ্যবর্তী খাড়া পর্বতচূড়াটিকে পিরামিডের মতো দেখায় । পিরামিডের মতো আকৃতিবিশিষ্ট এই ধরনের পর্বতচূড়াকে পিরামিড চূড়া বলে ।
- পিরামিড চূড়া হর্ন নামেও পরিচিত কেন ?
Ans: সুইটজারল্যান্ডের আপ্পস পর্বতের ম্যাটারহর্ন হল এক ধরনের পিরামিড চূড়ার উদাহরণ । তাই এর নামানুসারে ভূমিরূপের নামকরণ হয় হর্ন ।
- হিমসিঁড়ি বা হিমসোপান কাকে বলে ?
Ans: অসম ক্ষয়কার্যের কারণে উপত্যকা বরাবর সিঁড়ি বা ধাপ সৃষ্টি হয় । এই ভূমিরূপ হল হিমসিঁড়ি বা হিমসোপান ।
- রসে মতানে ( Rockes Mountonnes ) কাকে বলে ?
Ans: হিমবাহ প্রবাহপথে কোনো উঁচু ঢিবি বা টিলা থাকলে টিলার হিমবাহ প্রবাহের দিকের অংশ ( প্রতিবাত অংশ ) অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় মসৃণ হয় এবং বিপরীত অংশে ( অনুবাত অংশ ) উৎপাটন প্রক্রিয়ায় অসমতল , এবড়োখেবড়ো ও ফাটলযুক্ত হয় । এরুপ ভূমিরূপ হল রসে মতানে ।
- ক্র্যাগ ও টেল কী ?
Ans: হিমবাহের গতিপথে কঠিন শিলাস্তরের পিছনে নরম শিলাস্তর থাকলে , অনেক সময় কঠিন শিলাস্তরটি পিছনে নরম শিলাকে রক্ষণ করে । সামনের কঠিন শিলাকে বলে ক্লাগ , পিছনের ঢালযুক্ত কোমল শিলাস্তরকে বলে টেল ।
- ফিয়র্ড ( Fjord ) কী ?
Ans: সমুদ্র উপকুলসংলগ্ন পার্বত্যভূমি হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে আংশিক জলমগ্ন হয়ে যে হিম উপত্যকা গঠন করে , তাকে বলে ফিয়র্ড ।
- ফিয়র্ড ও ফিয়ার্ডের তফাত কী ?
Ans: উপকূলবর্তী অঞ্চলে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে উপত্যকা সমুদ্রপৃষ্ঠ অপেক্ষা গভীর হয় । এই অংশ জলমগ্ন হলে একে ফিয়র্ড বলে । নরওয়ে , সুইডেন , গ্রিনল্যান্ড উপকূলে ফিয়র্ড দেখা যায় । ফিয়র্ড অংশ অপেক্ষাকৃত ছোটো ও কম গভীর হলে তাকে ফিয়ার্ড বলে । নীচু উপকূলে ফিয়ার্ড গঠিত হয় ।
- ফিয়র্ড উপকূল গভীর হয় কেন ?
Ans: সমুদ্র উপকূলে পার্বত্য হিমবাহ তার উপত্যকাকে এমন গভীরভাবে ক্ষয় করে যে হিমবাহ উপত্যকা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকেও নীচে হয়ে যায় । এই কারণে ফিয়র্ড উপকূল গভীর হয় ।
- গ্রাবরেখা ( Moraine ) কাকে বলে ?
Ans: হিমবাহের ক্ষয়জাত দ্রব্যগুলি ( শিলাখণ্ড , বালি , কদম ) হিমবাহের সাথে বাহিত হয়ে উপত্যকার বিভিন্ন অংশে সঞ্চিত হয় । এরুপ সঞ্চয়কার্যকে গ্রাবরেখা বলে ।
- ড্রামলিন ( Drumlin ) কী ?
Ans: বিভিন্ন আকৃতির শিলাখন্ড এবং নুড়ি , বালি , পলি ইত্যাদি হিমবাহ বাহিত পদার্থ কোনো স্থানে সঞ্চিত হয়ে উলটানো নৌকা বা উলটানো চামচের মতো ভূমিরূপ সৃষ্টি করে । একে ড্রামলিন বলে ।
- ” Basket of egg topography ” বলতে কী বোঝ ?
Ans: একসঙ্গে অসংখ্য ড্রামলিন একটি স্থানে গড়ে উঠলে তাকে ডিম ভরতি ঝুড়ির মতো দেখায় । এই কারণে একে Basket of egg topography বলা হয় ।
- বহিঃবিধৌত সমভূমি ( Outwash plain ) কাকে বলে ?
Ans: প্রান্তদেশে হিমবাহ গলতে শুরু করলে গণিত জল হিমবাহ বাহিত মুড়ি , বালি , পলি বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চাদরের ন্যায় সঞ্চিত হয় । এর ফলে পর্বতের পাদদেশে যে সমভূমি গড়ে ওঠে তা হল বহিঃবিধৌত সমভূমি ।
- কেটল ( Kettle ) ও কেটল হ্রদ কী ?
Ans: বহিঃবিধৌত সমভূমিতে বড়ো বড়ো বরফখন্ড জমে থাকে । পরে ওই বরফ গলে যে গর্ত বা অবনমিত অংশ সৃষ্টি হয় , তাকে বলে কেটল । কেটলের বরফ গলে গহ্বরগুলি জলপূর্ণ হলে যে হ্রদ সৃষ্টি হয় , একে বলে কেটল হ্রদ ।
- এস্-কার ( Esker ) কাকে বলে ?
Ans: পর্বত পাদদেশের নিম্নভূমিতে হিমবাহিত নুড়ি , বালি জমে যে দীর্ঘ , নাতিউচ্চ সংকীর্ণ বাঁধের মতো আঁকাবাঁকা শৈলশিরা গঠিত হয় , তাকে বলে এস্-কার ।
- কেমও কেম সোপান কী ?
Ans: হিমবাহ অধ্যুষিত পর্বতের পাদদেশের হ্রদে কাঁকর , বালি , পলি সঞ্চিত হয়ে গঠিত বদ্বীপের মতো ত্রিকোণাকার ভূমি হল কেম । কেম ধাপে ধাপে গঠিত হলে তাকে কেম সোপান বলে ।
- আগামুক কী ?
Ans: হিমবাহের কার্যের ফলে পর্বতের পাদদেশে বড়ো বড়ো প্রস্তরখণ্ড সঞ্চিত হয়ে যে ভূমিরূপ গঠিত হয় , তাকে বলে আগামুক ।
- ভাব কাকে বলে ?
Ans: কেটল হ্রদের তলদেশে স্তরে স্তরে সঞ্চিত পলিকে ভাব বলে ।
- কোন দেশকে ‘ The land of fjords ‘ বলা হয় ও কেন ?
Ans: নরওয়েকে বলা হয় “ The land of fjord ” । কারণ নরওয়েতে অসংখ্য জলমগ্ন ফিয়র্ড দেখা যায় ।
- হিমবাহ হল হিমবাহর উৎসস্থল ‘ কারণ কী ?
Ans: হিমরেখার নীচে , অধিক উন্নতার জন্য হিমবাহ গলতে থাকে । সেই হিমবাহগলা জল নিজ পথ বের করে নিয়ে উপর থেকে নীচের দিকে নেমে আসতে থাকে । এইসকল জলধারাই হিমবাহ নামে পরিচিত হয় । তাই বলা হয় যে , হিমবাহ হল হিমবাহর উৎসস্থল ।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নোত্তর | হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer :
- হিমবাহের উৎপত্তি কীভাবে ঘটে ?
Ans: হিমরেখার ঊর্ধ্বে প্রচণ্ড শৈত্যের কারণে তুষারপাত ঘটে । সদ্য পতিত তুষার হালকা পেঁজা তুলোর মতো হয় । একে নেভে বলে । নেভের ওপর পুনরায় তুষারপাত হলে নীচের হিমবাহের বরফ । তুষারের দৃঢ়তা ও ঘনত্ব দানাকার তুষার ফার্ন বাড়ে । একে বলে ফার্ন । ফার্ন পরে আরও জমাটবদ্ধ হিমবাহের উৎপত্তি হয়ে দৃঢ় বরফের স্তূপে পরিণত হয় এবং অভিকর্ষের টানে নেমে আসে । এইভাবেই হিমবাহের উৎপত্তি ঘটে ।
- হিমবাহ গতিপ্রাপ্ত হয় কীভাবে ?
Ans: প্রবল চাপের ফলে হিমবাহ ও ভূমির মাঝের সীমানা বরাবর অংশে গলনাঙ্ক নেমে যায় ফলে ওই স্থানে বরফ জলে পরিণত হয় । পরে চাপ হ্রাস পেলে ওই জল পুনরায় বরফে পরিণত হয় । এই পদ্ধতিকে বলা হয় পুনর্জমাটন বা রেগেলেশন । এই প্রক্রিয়ার ফলে নীচের সীমানা বরাবর বরফ থথকে পিচ্ছিলকারক পদার্থে পরিণত হয় বলে ঢাল বরাবর হিমবাহ নীচের দিকে নেমে আসতে থাকে । এইভাবেই হিমবাহ গতিপ্রাপ্ত হয় । হিমবাহের গতি অত্যন্ত ধীর , প্রতিদিন কয়েক সেমি থেকে কয়েক মিটার । সব হিমবাহের গড় গতি সমান নয় ।
জেনে রাখো : গ্রিনল্যান্ডের কোয়ারেক – কে এতদিন দ্রুততম হিমবাহ হিসেবে উল্লেখ করা হত । কিন্তু বর্তমানে European Geosciences Union- এর সমীক্ষা অনুযায়ী গ্রিনল্যান্ডের Jakobshvan ( ইয়াকোভশান ) এখন পৃথিবীর দ্রুততম হিমবাহ ( গতিবেগ ৪৬ মি . / প্রতিদিন )
- মিষ্টি জল বা সুপেয় জলের সঞ্চয় হিসেবে হিমবাহের গুরুত্ব কী ?
Ans: পৃথিবীর মোট জলের মাত্র ২.৫ % হল মিষ্টি জল আর এই জলের ১.৭ % অর্থাৎ মোট মিষ্টি জলের ৬৮.৭ % রয়েছে ( মোট মিষ্টি জল ২.৫ % কে ১০০ % ধরে ) হিমবাহ ও বরফরূপে । বিশেষজ্ঞদের ধারণা জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে আগামী দিনে পৃথিবীর যে সমস্যাটি সবথেকে ভয়াবহ আকার নেবে তা হল পানীয় জলের সমস্যা । ভবিষ্যতে এই সমস্যা হয়তো অনেকটাই মেটাতে পারে হিমবাহ ।
- উদাহরণসহ হিমবাহের শ্রেণিবিভাগ করো ।
Ans: অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে হিমবাহ বিশারদ অ্যালম্যান । ( Alhmann ) হিমবাহকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করেন । যথা— ( i ) মহাদেশীয় হিমবাহ ( Continental Glacier ) : উচ্চ অক্ষাংশে বিশালাকার ও গভীর বরফের স্তূপকে ( Ice sheet ) মহাদেশীয় হিমবাহ বলে । উদাহরণ : অ্যান্টার্কটিকা , গ্রিনল্যান্ডের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে এই হিমবাহ দেখা যায় । অ্যান্টার্কটিকার ল্যাম্বার্ট পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশীয় হিমবাহ । ( ii ) পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহ ( Mountain or Valley Glacier ) : উচ্চ পার্বত্য বা পর্বতের উপত্যকায় দীর্ঘকাল ধরে স্তূপাকারে তুষার জমে বরফে পরিণত হলে এবং তা অভিকর্ষের টানে নেমে এলে তাকে পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহ বলে । উদাহরণ : আলাস্কার হুবার্ড পৃথিবীর দীর্ঘতম উপত্যকা হিমবাহ । ভারতের সিয়াচেন ( ভারতের বৃহত্তম ) , বল্টারো , জেমু , গঙ্গোত্রী ইত্যাদি হল বিখ্যাত হিমবাহ উপত্যকা । ( iii ) পাদদেশীয় হিমবাহ ( Pediment Glacier ) : উচ্চ অক্ষাংশে পর্বতের পাদদেশে উয়তা হিমাঙ্কের নীচে থাকলে উপত্যকার হিমবাহ নেমে এসে না – গলে অবস্থান করে । একেই পাদদেশীয় হিমবাহ বলে ।
উদাহরণ : আলাস্কার মালাসপিনা পৃথিবীর বৃহত্তম পাদদেশীয় হিমবাহ ।
- মহাদেশীয় হিমবাহের বৈশিষ্ট্য লেখো ।
Ans: মহাদেশীয় হিমবাহের বৈশিষ্ট্যগুলি হল ( i ) মহাদেশীয় হিমবাহের ব্যাপ্তি বিশাল । ( ii ) এর গভীরতা খুব বেশি । ( im ) এই হিমবাহ দেখতে অনেকটা গম্বুজের মতো । ( iv ) এর গতি অত্যন্ত কম । ( v ) তুষারের চাপে বিভিন্ন দিকে সম্প্রসারিত হয় । ( vi ) নুনাটক্স ( বরফমুক্ত পর্বতের শীর্ষদেশ ) দেখা যায় । ( vii ) এর থেকে হিমশৈলের সৃষ্টি হয় ।
- পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহের বৈশিষ্ট্য লেখো ।
Ans: পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহের বৈশিষ্ট্য হল— ( i ) এই উপত্যকার দৈর্ঘ্য কয়েক কিমি থেকে ২০০০ কিমি পর্যন্ত । ( ii ) এর গভীরতা কম । ( iii ) গতিবেগ মহাদেশীয় হিমবাহের তুলনায় বেশি । ( iv ) এখানে বার্গমুন্ড ও ক্রেভাস দেখা যায় । ( v ) এই হিমবাহের শেষ প্রান্তে বরফ গলে হিমবাহর উৎপত্তি ঘটে ।
- পাদদেশীয় হিমবাহের বৈশিষ্ট্য লেখো ।
Ans: পাদদেশীয় হিমবাহের বৈশিষ্ট্যগুলি হল – ( i ) একাধিক পার্বত্য হিমবাহ পাদদেশে পরস্পর মিলিত হলে পাদদেশীয় হিমবাহ গড়ে ওঠে । ( ii ) বর্তমানে উয়তার প্রভাবে পাদদেশীয় হিমবাহ আয়তনে কমে গেছে । ( iii ) পাদদেশীয় হিমবাহ অনেকটা হিমবাহর বদ্বীপের মতো দেখতে হয় ।
- হিমরেখার অবস্থান কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর প্রশ্ন নির্ভর করে ?
Ans: হিমরেখার উচ্চতা বা অবস্থান যে বিষয়গুলির ওপর নির্ভর করে তা হল ( i ) অক্ষাংশ , ( ii ) উয়তা , ( iii ) ভূমির ঢাল , ( iv ) ঋতু পরিবর্তন , ( v ) বায়ুর বেগ প্রভৃতির ওপর । অক্ষাংশের মান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উয়তাও কমতে থাকে । ফলে হিমরেখার উচ্চতাও কমে ।
- পৃথিবীর সকল স্থানে হিমরেখা একই উচ্চতায় থাকে না কেন ?
Ans: কোনো স্থানে হিমরেখার উচ্চতা নির্ভর করে অক্ষাংশের ভিত্তিতে অবস্থান , ভূমির উচ্চতা , ঋতুপরিবর্তন প্রভৃতির ওপর । নিরক্ষরেখা থেকে ক্রমশ উত্তরে ও দক্ষিণে যেহেতু উন্নতা কমতে থাকে তাই হিমরেখার উচ্চতাও কমতে থাকে । শীতকালে উন্নতা কমে যায় বলে হিমরেখা পর্বতের নিম্নাংশে এবং গ্রীষ্মকালে উন্নতা বেড়ে যায় বলে পর্বতের ঊর্ধ্বাংশে অবস্থান করে।তাহ দেখা যায় হিমরেখা , নিরক্ষীয় অঞ্চলে গড়ে ৫৫০০ মি , হিমালয় পর্বতে ৪৫০০ মি , আল্পস পর্বতে ২৮০০ মি , উচ্চতায় অবস্থান করে ।
- হিমশৈলের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব লেখো ।
Ans: হিমশৈলের বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্বগুলি হল ( i ) হিমশৈল হল মিষ্টি জল দিয়ে তৈরি বিশালাকার বরফস্তূপ । ( ii ) হিমশৈলের মাত্র ১/৯ ভাগ জলের ওপরে থাকে । ( iii ) উচ্চ অক্ষাংশের সমুদ্রে ( গ্রিনল্যান্ড , অ্যান্টার্কটিকা ) হিমশৈল দেখা যায় । ( iv ) জাহাজ চলাচলে ভীষণ বিপদ ঘটায় ।
- বার্গমুন্ড ও ক্রেভাস পর্বতারোহীদের কী সমস্যা সৃষ্টি করে ?
Ans: বার্গপুন্ড ও ক্রেভাস পর্বতারোহীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । এই ফাঁক বা ফাটলগুলি গ্রীষ্মকালে গভীর পরিখা সৃষ্টি করে । যা অতিক্রম করা বেশ দুরূহ । কখনও পাড় ভেঙে নীচে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । শীতকালে এই ফাটলগুলির ওপরে হালকা তুষার বা হিমানী সম্প্রপাতের বরফ জমে । ফলে বরফ সমেত হুড়মুড়িয়ে নীচে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল এবং মৃত্যু প্রায় অবধারিত । তাই এই সকল অঞ্চলে অভিযানে গেলে পর্বতারোহীদের হিমবাহ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকতে হয় ।
- হিমবাহ কোন্ কোন্ পদ্ধতিতে ভূমিরূপকে ক্ষয় করে ?
Ans: হিমবাহ দু – ভাবে ক্ষয় করে । যেমন— ( ক ) উৎপাটন ( Plucking ) : পর্বতগাত্রে যে প্রস্তরখণ্ড থাকে তা গতিশীল হিমবাহের চাপে পর্বতগাত্র থেকে আলগা হয় । ওই প্রস্তরখণ্ড ও পর্বতগাত্রের মধ্যবর্তী যদি কোনো ফাকা স্থান থাকে তাতে জল প্রবেশ করে প্রচণ্ড ঠান্ডায় বরফে পরিণত হয় । এভাবে তুষার কেলাসন জাতীয় যান্ত্রিক আবহবিকার কার্য চলে । চূর্ণবিচূর্ণ শিলাস্তর আলগা হলে হিমবাহের চাপে তা পর্বতগাত্র থেকে সহজেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে । ( খ ) অবঘর্ষ ( Abrasion ) প্রবহমান হিমবাহের তলদেশে থাকা ভারী প্রস্তরখণ্ড যখন উপত্যকাকে ক্রমাগত আঘাত করে ক্ষয়প্রাপ্ত করে , তখন তাকে বলে অবঘর্ষ ।
- করি হ্রদ কীভাবে গঠিত হয় ?
Ans: পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহ উৎপাটন ও অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় ক্ষয় করে হাতলযুক্ত চেয়ার বা অ্যাম্ফিথিয়েটারের মতো ভূমিরূপ সৃষ্টি করে । একেই করি বা সার্ক বলে । your করি ভূমিরূপটির পার্শ্বভাগ উঁচু ও মধ্যভাগ নীচু হয় । হিমবাহ সৃষ্ট করির মধ্যবর্তী খাতটিতে অনেক সময় অবশিষ্ট অংশ হিসেবে হিমবাহ থেকে যায় । পরবর্তীকালে হিমবাহ গলে গিয়ে এখানে হ্রদের সৃষ্টি করে । একেই করি হ্রদ বলে ।
- হিমবাহ উপত্যকার আকৃতি ‘ U’- এর মতো হয় ।
Ans: উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে উপত্যকা বরাবর অবস্থিত হিমবাহ সাধারণত উৎপাটন ( Plucking ) এবং অবঘর্ষ ( Abrasion ) প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কাজ করে । উৎপাটন প্রক্রিয়ায় উপত্যকার গাত্রদেশের শিলাস্তর আল্গা হয়ে অপসারিত হয় এবং অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় গাত্রদেশ ও নিম্নাংশ মসৃণ হয় । এই দুই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপত্যকার পার্শ্বক্ষয় ও নিম্নক্ষয় সমান হারে চলতে থাকে । তাই হিমবাহ উপত্যকা ” U ” আকৃতিবিশিষ্ট হয় ।
- হিমবাহ উপত্যকা ও হিমবাহ উপত্যকার আকৃতির পার্থক্য কীরূপ হয় এবং কেন তা হয় ব্যাখ্যা করো ।
Ans: হিমবাহ উপত্যকার আকৃতি হয় ‘ T ‘ ও ‘ V ‘ আকৃতি বিশিষ্ট । উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহর ঢাল বেশি হয় বলে হিমবাহ অতি প্রবলবেগে প্রবাহিত হয় । এই অংশে হিমবাহবাহিত পলি , বালি , নুড়ির পরিমাণ বেশি থাকায় হিমবাহ অতি দ্রুতহারে নিম্নক্ষয় করে । ফলে ‘ T আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টি হয় । পরবর্তীকালে আবহবিকার , জলপ্রবাহ , ধস প্রভৃতি কারণবশত পার্শ্বক্ষয় বেশি হলে ‘ I ‘ আকৃতির উপত্যকা ‘ V ‘ আকৃতিতে রুপান্তরিত হয় । হিমবাহ উপত্যকা ‘ U ’ আকৃতিবিশিষ্ট হয় । হিমবাহ যে উপত্যকার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয় , সেখানে হিমবাহ অবঘর্ষ ও উৎপাটন প্রক্রিয়ায় পার্শ্বক্ষয় ও নিম্নক্ষয় সমানভাবে ঘটায় । তাই ‘ U ’ আকৃতিবিশিষ্ট এই হিমবাহ উপত্যকার সৃষ্টি হয় ।
- ঝুলন্ত উপত্যকায় কীভাবে জলপ্রপাত গঠিত হয় ?
Ans: পার্বত্য অঞ্চলে প্রধান হিমবাহের সাথে বহু ছোটো ছোটো উপহিমবাহ এসে প্রায় সমকোণে মিলিত হয় । প্রধান হিমবাহ উপত্যকা উপহিমবাহ উপত্যকা অপেক্ষা বিস্তৃত ও গভীর হওয়ায় উপহিমবাহগুলি হিমবাহ উপত্যকার থেকে উঁচুতে অবস্থান করে । এইরূপ অবস্থায় হিমবাহ গলে গেলে বা হিমযুগের অবসান ঘটলে উপহিমবাহ উপত্যকা দিয়ে প্রবাহিত জলধারা প্রবলবেগে প্রধান হিমবাহ উপত্যকায় এসে পড়ে । এইভাবে ঝুলন্ত উপত্যকায় জলপ্রপাত সৃষ্টি হয় ।
- বিভিন্ন ধরনের গ্রাবরেখার সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দাও ।
Ans: হিমবাহ ক্ষয়জাত পদার্থগুলিকে হিমবাহের সাথে বাহিত হয়ে উপত্যকার বিভিন্ন অংশে সঞ্চিত হয় । এরূপ সঞ্চয়কে গ্রাবরেখা বলে । অবস্থানের ভিত্তিতে গ্রাবরেখা বিভিন্ন ধরনের – ( i ) পার্শ্ব গ্রাবরেখা : হিমবাহ পদার্থকে ঠেলে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় দুই পাশে পদার্থ সঞ্চিত হয়ে সৃষ্ট গ্রাবরেখা হল পার্শ্ব পার্শ্ব রেখা গ্রাবরেখা । গ্রাবরেখা : দুটি হিমবাহ পাশাপাশি প্রবাহিত হলে মধ্য যাবরেখা VE মধ্য অবিন্যস্ত যাবরেখা বিভিন্ন প্রকার গ্রাবরেখা মিলন অঞ্চলে সঞ্চিত গ্রাবরেখা হল মধ্য গ্রাবরেখা , ( iii ) প্রান্ত গ্রাবরেখা : হিমবাহ যেখানে এসে শেষ হয় অর্থাৎ গলে যায় সেখানে পদার্থ সঞ্চিত হয়ে সৃষ্ট গ্রাবরেখা হল প্রান্ত গ্রাবরেখা । এ ছাড়া ( iv ) হিমবাহের তলদেশে পদার্থ সঞ্চিত হয়ে সৃষ্ট গ্রাবরেখা হল ভূমি গ্রাবরেখা । ( v ) হিমবাহের অগ্রভাগে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত । গ্রাবরেখা হল অবিন্যস্ত গ্রাবরেখা , ( vi ) বলয়াকারে সঞ্চিত গ্রাবরেখা হল বলয়ধর্মী গ্রাবরেখা , ( vii ) সমুদ্রের তলদেশে সঞ্চিত গ্রাবরেখাকে স্তরায়িত গ্রাবরেখা বলে ।
পার্থক্য করো | হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer :
- মহাদেশীয় ও উপত্যকা হিমবাহের পার্থক্য কী কী ?
বিষয় | মহাদেশীয় হিমবাহ (Continental Glacier) | উপত্যকা হিমবাহ (Valley Glacier) |
সংজ্ঞা | উচ্চ অঞ্চলে বা দুই মেরু প্রদেশের হিমশীতল মহাদেশে অবস্থিত হিমবাহকে মহাদেশীয় হিমবাহ বলে । | উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে উপত্যকার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হিমবাহকে বলে উপত্যকা হিমবাহ । |
বৈশিষ্ট্য | নুনাটকস দেখা যায় । | বার্গস্রুন্ড ও ক্রেভাস দেখা যায় । |
আয়তন | আয়তনে বিসালায়তন । | আয়তন তুলনামূলক কম । |
গভীরতা | গভীরতা বেশী । | গভীরতা তুলনামূলক কম । |
উদাহরণ | অ্যান্টার্টিকার ল্যাম্বার্ড পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাদেশীয় হিমবাহ । | আলাস্কার হুবার্ড পৃথিবীর দীর্ঘতম উপত্যকা হিমবাহ । |
গতি | পার্শ্বচাপে প্রসারিত হয়ে বলে মন্থর গতিসম্পন্ন হয় । | অভিকর্ষের টানে নেমে আসে বলে দ্রুত গতিসম্পন্ন হয় । |
- রসে মতানে ও ড্রামলিনের পার্থক্য লেখো ।
বিষয় | রসে মতানে | ড্রামলিন |
আকৃতি | হিমবাহ ক্ষয়কার্যের মাধ্যমে শৃষ্ঠ উচু ঢিবির ন্যায় সিলাস্তুপের রসে মাতানে বলে । | হিমবাহ সঞ্চয়কার্যের ফলে ওলটানো নৌকার মতো আকৃতি বিশিষ্ট ভূমিরূপকে ড্রামলিন বলে । |
প্রকৃতি | এটি কঠিন শিলাস্তর দ্বারা গঠিত ভূমিরূপ । | এটি পলি, নুড়ি, গ্রাভেলসঞ্চয় কার্যে এটি গঠিত হয় । |
অবস্থান | উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে এটি গঠিত ভূমিরূপ । | পর্বতের পাদদেশে হিমবাহ ও জলধারার মিলিত সঞ্চয় কার্যে এটি গঠিত হয় । |
বৈশিষ্ট্য | রসে মতানে ভূমিরূপের প্রতিবাদ অংশ মসৃণ এবং অমসৃণ হয় । | ড্রামলিনের প্রতিবাদ অংশ অমসৃণ এবং অনুবাত অংশ মসৃণ হয় । |
সম্মিলন | রসে মতানে সাধারণত এককভাবে অবস্থান করে । | অসংখ্য ড্রামলিন একত্রে অবস্থান করে, ‘Basket of eggs topography গঠন করে । |
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer :
1. হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপের ব্যাখ্যা দাও ।
Ans: হিমবাহ ক্ষয়ের ফলে সৃষ্টি ভূমিরূপ : ( ১ ) করি বা সার্ক এবং করি হ্রদ : হিমবাহ ক্ষয়ের ফলে পর্বতগাত্রে হাতলযুক্ত চেয়ার বা চামচের গর্ত বা অ্যাম্ফিথিয়েটারের মতো ভূমিরূপ সৃষ্টি করে । একেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , ইংল্যান্ড , স্কটল্যান্ডে করি , ফ্রান্সে সার্ক , জার্মানিতে কার , ওয়েলস – এ কাম বলে । করির তিনটি অংশে থাকে ( 1 ) পিছনের দিকে খাঁড়া দেয়াল , ( ii ) মধ্যভাগে নীচু সরা বা চামচের মতো গর্ত এবং ( iii ) প্রান্তভাগে ঢিবির মতো উঁচু অংশ ।
করির মধ্যভাগের খাত অংশে অনেক সময় হিমবাহ থেকে যায় । পরে ওই হিমবাহ গলে খাত অংশে জমে হ্রদের সৃষ্টি করে । একেই করি হ্রদ বলে । নরওয়ে , সুইডেন , ফিনল্যান্ডের অধিকাংশ হ্রদ এই ধরনের ।
( ২ ) এরিটি বা অ্যারেট : করিগুলি মস্তক ক্ষয় ও পার্শ্বক্ষয়ের মাধ্যমে ক্রমশ প্রসারিত হলে দুটি করির মধ্যবর্তী অংশ সংকীর্ণ হয়ে তীক্ষ্ণ প্রাচীরের মতো অবস্থান করে । একেই বলে এরিটি ।
( ৩ ) পিরামিড চূড়া : অনেকগুলি এরিটি বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে মধ্যবর্তী শৃঙ্খটিকে পিরামিডের মতো দেখায় । এটি হল পিরামিড চূড়া বা হর্ন । সুইটজারল্যান্ডের আল্পস পর্বতের ম্যাটার হর্ন এরূপ একটি পিরামিড চূড়া এবং এর নামানুসারে ভূমিরূপের নামকরণ হয় হর্ন । আমাদের দেশে বদ্রিনাথের নিকট নীলকণ্ঠ , নেপালের মাকালু হর্ন – এর উদাহরণ ।
( ৪ ) ‘ U ’ আকৃতিবিশিষ্ট হিমবাহ উপত্যকা ও হিমদ্রোণী : হিমবাহ উপত্যকার মধ্য দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হলে অবঘর্ষ ও উৎপাটন ‘ U ’ আকৃতির উপত্যকা বা হিমদ্রোণী প্রক্রিয়ায় হিমবাহ পার্শ্বক্ষয় ও নিম্নক্ষয় সমান হারে করে , ফলে উপত্যকা ‘ U ’ আকৃতিবিশিষ্ট হয় । একেই হিমদ্রোণী বলা হয় । এই উপত্যকার গভীরতা ও বিস্তার বেশি ।
( ৫ ) হিমসিঁড়ি বা হিমসোপান অসম ক্ষয়কার্যের কারণে উপত্যকা বরাবর সিঁড়ি বা ধাপ সৃষ্টি হয় । এই ভূমিরূপ হল হিমসিঁড়ি । হিমসিঁড়িতে বেসিনের মতো অংশ দেখা যায় এবং সেখানে জল জমে সৃষ্ট হ্রদ হল প্যাটার্নওস্টার হ্রদ ।
( ৬ ) ঝুলন্ত উপত্যকা : প্রধান হিমবাহতে যেমন উপহিমবাহ মেশে তেমনি প্রধান হিমবাহের সাথে ছোটো ছোটো হিমবাহ এসে মিলিত হয় । ছোটো হিমবাহের উপত্যকা অপেক্ষা প্রধান হিমবাহের উপত্যকা অনেক বৃহৎ ও সুগভীর হয় । এরুপ অবস্থায় মনে হয় ছোটো হিমবাহ উপত্যকা প্রধান হিমবাহ উপত্যকার উপর ঝুলে রয়েছে । একেই বলে ঝুলন্ত উপত্যকা । বদ্রিনাথের নিকট ঋধিগঙ্গা ঝুলন্ত উপত্যকার উদাহরণ । ঝুলন্ত উপত্যকা অংশে হিমবাহ সরে গিয়ে হিমবাহ সৃষ্টি হলে জলপ্রপাতের উৎপত্তি ঘটে । উপপ্রধান হিমবাহ উপত্যকা ঝুলন্ত জলায় পাঠ কর্তিত কর্তিত স্পার কর্তিত স্পার স্পার প্রধান হিমবাহ উপত্যকা ঝুলন্ত উপত্যকা ঝুলন্ত উপত্যকায় জলপ্রপাত
( ৭ ) কর্তিত শৈলশিরা : উপত্যকার মধ্য দিয়ে হিমবাহ অগ্রসর হওয়ার সময় স্পার বা পর্বতের অভিক্ষিপ্তাংশে তীক্ষ্ণ ও মসৃণভাবে ক্ষয় করে । এই স্পারগুলি হল কর্তিত শৈলশিরা । ( ৮ ) রসে মতানে : হিমবাহ প্রবাহপথে কোনো কৰ্তিত শৈলশিরা উঁচু ঢিবি বা টিলা থাকলে টিলার হিমবাহ প্রবাহের দিকের অংশ ( প্রতিবাত অংশ ) অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় মসৃণ হয় এবং বিপরীত অংশে ( অনুবাত অংশ ) উৎপাটন প্রক্রিয়ায় অসমতল , এবড়োখেবড়ো ও ফাটলযুক্ত হয় । এরুপ ভূমিরূপ হল রসে মতানে । হিমবাহের দিক অবধর্ষণ রসে মতানে
( ৯ ) ক্র্যাগ ও টেল : হিমবাহ প্রবাহপথে বৃহৎ ও উঁচু কঠিন ও নরম শিলা একসাথে অবস্থান করলে হিমবাহ প্রতিবাত অংশের নরম শিলাকে কঠিন শিলাস্তর অপেক্ষা দ্রুত ক্ষয় করে । অনেক সময় কঠিন শিলার পশ্চাতের ( অনুবাত অংশের ) নরম শিলাস্তরকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে । এরুপ কঠিন শিলা দিয়ে গঠিত উঁচু ঢিবিকে বলা হয় ক্র্যাগ এবং পশ্চাতের নরম শিলা গঠিত প্রলম্বিত লেজের মতো অংশটিকে বলা হয় টেল ।
( 10 ) ফিয়র্ড ও ফিয়ার্ড তুষার যুগে উচ্চ অক্ষাংশের উপকূল অংশ হিমবাহ ভূমিকে ক্ষয় করতে করতে সমুদ্রপৃষ্ঠের নীচে উপত্যকা সৃষ্টি করে । পরে তুষারযুগের অবসান হলে ওই উপত্যকা অংশ জলমগ্ন হয় । এই ধরনের ভূমিরূপ হল ফিয়র্ড । নরওয়ে , সুইডেন , ফিনল্যান্ড , স্কটল্যান্ড , গ্রিনল্যান্ড প্রভৃতি উচ্চ অক্ষাংশীয় দেশের উপকূলে ফিয়র্ড দেখা যায় । নরওয়েকে বলা হয় ‘ the land of fjords ‘ । ফিয়র্ড অংশ অপেক্ষাকৃত ছোটো ও কম গভীর হলে তাকে ফিয়ার্ড বলে । নীচু উপকূলে ফিয়ার্ড গঠিত হয় ।
2. হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত প্রধান তিনটি ভূমিরূপের ব্যাখ্যা দাও ।
Ans: এই অধ্যায়ের রচনাধর্মী ১ নং প্রশ্নের উত্তরে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপের মধ্যে যে – কোনো তিনটি উত্তর লেখো ।
3. হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপের ব্যাখ্যা দাও ।
Ans: হিমবাহের সঞ্চয়কার্য – এর ফলে সৃষ্ট প্রধান ভূমিরূপ হল গ্রাবরেখা ।
( ক ) গ্রাবরেখা ( Moraine ) : ‘ মোরেন ‘ ( গ্রাবরেখা ) একটি প্রাচীন ফরাসি শব্দ , যার অর্থ মাটি ও প্রস্তর দ্বারা গঠিত তীর । উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহের ক্ষয়জাত পদার্থগুলি হিমবাহের সঙ্গে বাহিত হয়ে উপত্যকার বিভিন্ন অংশে সঞ্চিত হয় । এরুপ সঞ্চয়কে গ্রাবরেখা বলে ।
উদাহরণ – তিস্তা হিমবাহর উচ্চ অববাহিকায় লাচেন ও লাচুং অঞ্চলে নানা ধরনের গ্রাবরেখা দেখা যায় । অবস্থান অনুসারে গ্রাবরেখার শ্রেণিবিভাগ
( i ) প্রান্ত গ্রাবরেখা ( Terminal Moraine ) হিমবাহ যেখানে এসে শেষ হয় অর্থাৎ গলে যায় , সেই অংশের গ্রাবরেখাকে প্রাপ্ত গ্রাবরেখা বলে ।
( ii ) পার্শ্ব বরেখা ( Lateral Moraine ) হিমবাহের প্রবাহপথের দু – পাশে শিলাস্তূপ প্রাচীরের মতো সঞ্চিত হলে এটি গঠিত হয় ।
( iii ) মধ্য আবরেখা ( Medial Moraine ) : দুটি হিমবাহ , দুদিক থেকে এসে একসঙ্গে মিলিত হলে উভয়ের মধ্যবর্তী অংশে আর একটি গ্রাবরেখার সৃষ্টি হয় , যাকে বলে মধ্য গ্রাবরেখা । ” ইতস্তত গণিতজ্ঞাবে
( iv ) হিমাবদ্ধ গ্রাবরেখা ( Englacial Moraine ) : এই ধরনের গ্রাবরেখা হিমবাহের ফাটলের মধ্যে সঞ্চিত হয় ।
( খ ) ড্রামলিন বিভিন্ন আকৃতির শিলাখণ্ড এবং নুড়ি , বালি , পলি ইত্যাদি হিমবাহ বাহিত পদার্থ কোনো স্থানে সঞ্চিত হয়ে উলটানো নৌকা বা উলটানো চামচের মতো ভূমিরূপ সৃষ্টি করে । একে ড্রামলিন বলে । বাজ প্রবাহের দি ভর্তি বাড়ি ভূমি tof eggs topography ) ড্রামলিন বৈশিষ্ট্য :
( i ) ড্রামলিনের আকৃতি কিছুটা লম্বাটে এবং অক্ষটি হিমবাহ প্রবাহের সমান্তরালে থাকে ।
( ii ) দৈর্ঘ্য ১–৩ কিমি , প্রস্থ ৩০০-৬০০ মিটার এবং উচ্চতা ৬০ মিটার পর্যন্ত হয় ।
( iii ) হিমবাহ প্রবাহের দিক অসমৃণ এবং বিপরীত দিক মসৃণ হয় ।
( iv ) একসঙ্গে অসংখ্য ড্রামলিন গড়ে উঠলে ডিম ভর্তি ঝুড়ি মতো দেখায় যা – topography ‘ নামে পরিচিত ।
3. হিমবাহ ও জলধারার মিলিত কার্যে গঠিত ভূমিরূপগুলির ব্যাখ্যা দাও ।
Ans: হিমবাহ ও জলধারার মিলিত সঞ্চয়কার্য ও ভূমিরূপ : হিমরেখার নীচে হিমবাহ গলে অসংখ্য জলধারার সৃষ্টি করে । এই সকল জলধারা হিমবাহ বাহিত পদার্থগুলিকে বহুদুর পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে সঞ্চয় ঘটায় । এই সঞ্চয়কে একত্রে বলে হিমবাহ – জলধারার সম্মিলিত সঞ্চয় ।
( ১ ) বহিঃবিধৌত সমভূমি : প্রান্তদেশে হিমবাহ গলতে শুরু করলে গলিত জল হিমবাহ বাহিত নুড়ি , বালি , পলিকে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চাদরের ন্যায় সঞ্চয় ঘটায় । এর ফলে পর্বতের পাদদেশে যে সমভূমি গড়ে ওঠে তা হল বহিঃবিধৌত সমভূমি বা আউটওয়াশ প্লেন । বহিঃবিধৌত সমভূমি হিমবাহ দ্বারা বিচ্ছিন্ন হলে তা হল ভ্যালি ড্রেন ( Valley train ) ।
( ২ ) কেটল ও কেটল হ্রদ : বহিঃবিধৌত সমভূমিতে বড়ো বড়ো বরফখণ্ড সঞ্জিত হয় । পরে ওই বরফ গলে সৃষ্ট গর্ত বা অবনমিত অংশ হল কেটল এবং কেটল অংশে জল জমে সৃষ্ট কেটল হ্রদ । কেটল হ্রদের তলদেশে স্তরে স্তরে সঞ্চিত পলিকে ভার্ব বলে । কেটলগুলির মাঝের উঁচু স্থানগুলি হল নব ।
( ৩ ) এসকার : হিমবাহ বাহিত নুড়ি , বালি , কাঁকর , কাদা ইত্যাদি | জলস্রোতের দ্বারা অনেক দূর পরিবাহিত ও সঞ্চিত হয়ে আঁকাবাঁকা শৈলশিরার মতো ভূমিরূপ সৃষ্টি করলে তা এস্-কার । এগুলি দেখতে গ্রামের আঁকাবাঁকা উঁচু আল রাস্তার মতো । এস্-কারের উচ্চতা হয় ৩ – ৫ মিটার কিন্তু দৈর্ঘ্য হয় কয়েক থেকে কয়েকশো কিমি ।
( ৪ ) কেম ও কেম সোপান : হিমবাহ অধ্যুষিত পর্বতের পাদদেশের হ্রদে কাঁকর , বালি , পলি সঞ্চিত হয়ে গঠিত বদ্বীপের মতো ত্রিকোণাকার ভূমি হল কেম । কেম ধাপে ধাপে গঠিত হলে তাকে কেম বা সোপান ‘ বলে ।
( ৫ ) আগামুক , বোল্ডার ক্লে : হিমবাহ কার্যে পর্বতের পাদদেশে বড়ো বড়ো প্রস্তরখণ্ড সঞ্জিত ভূমিরূপ হল আগামুক এবং বালি ও কাদার উপর প্রস্তরখণ্ড সঞ্চিত ভূমিরূপ হল বোল্ডার ক্লে বা টিলা ।
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Madhyamik Class 10th Geography Question and Answer / Suggestion / Notes Book
আরোও দেখুন :-
মাধ্যমিক ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নউত্তর Click Here
Madhyamik Suggestion 2025 | মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৫
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Bengali Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik English Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Geography Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik History Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Life Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Mathematics Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik Physical Science Suggestion 2025 Click here
আরোও দেখুন:-
Madhyamik All Subjects Suggestion 2025 Click here
Info : হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik Geography Suggestion | West Bengal WBBSE Class Ten X (Class 10th) Geography Qustion and Answer Suggestion
” হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা (West Bengal Class Ten X / WB Class 10 / WBBSE / Class 10 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 10 Exam / Class 10 Class 10th / WB Class 10 / Class 10 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Bhugol Shiksha .com এর পক্ষ থেকে মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন / মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ও উত্তর । Madhyamik Geography Suggestion / Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer / Class 10 Geography Suggestion / Class 10 Pariksha Geography Suggestion / Geography Class 10 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / Madhyamik Geography Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারেলাগলে, আমাদের প্রয়াস মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Madhyamik Geography Suggestion / West Bengal Ten X Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 10th Geography Suggestion / Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer / Class 10 Geography Suggestion / Class 10 Pariksha Suggestion / Madhyamik Geography Exam Guide / Madhyamik Geography Suggestion 2022, 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2028, 2029, 2030, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015, 2031, 2032, 2033, 2034, 2035 / Madhyamik Geography Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Madhyamik Geography Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।
FILE INFO : হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer with FREE PDF Download Link
PDF File Name | হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer PDF |
Prepared by | Experienced Teachers |
Price | FREE |
Download Link 1 | Click Here To Download |
Download Link 2 | Click Here To Download |
হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) অধ্যায় থেকে আরোও প্রশ্ন ও উত্তর দেখুন :
[আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন Subscribe Now]
হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর
হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর।
হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | মাধ্যমিক ভূগোল
হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর।
হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ভূগোল
হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।
হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর – দশম শ্রেণি ভূগোল | Madhyamik Class 10 Geography Himobaho
দশম শ্রেণি ভূগোল (Madhyamik Geography Himobaho) – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) | Madhyamik Geography Himobaho Suggestion দশম শ্রেণি ভূগোল – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর।
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer Question and Answer, Suggestion
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) | পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) | মাধ্যমিক ভূগোল সহায়ক – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer, Suggestion | Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer Suggestion | Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer Notes | West Bengal Madhyamik Class 10th Geography Question and Answer Suggestion.
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10 Geography Question and Answer, Suggestion
মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) । Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer Suggestion.
WBBSE Class 10th Geography Himobaho Suggestion | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়)
WBBSE Madhyamik Geography Himobaho Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) | Madhyamik Geography Himobaho Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।
Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer Suggestions | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ।
WB Class 10 Geography Himobaho Suggestion | মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর।
West Bengal Class 10 Geography Suggestion Download WBBSE Class 10th Geography short question suggestion . Madhyamik Geography Himobaho Suggestion download Class 10th Question Paper Geography. WB Class 10 Geography suggestion and important question and answer. Class 10 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।
Get the Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer Question and Answer by Bhugol Shiksha .com
Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10 Geography Suggestion with 100% Common in the Examination .
Class Ten X Geography Himobaho Suggestion | West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Exam
Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Ten X Geography Suggestion is provided here. Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below.
হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” হিমবাহ (বহির্জাত প্রক্রিয়া – প্রথম অধ্যায়) মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Geography Himobaho Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Bhugol Shiksha ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।