ভারতের প্রধান নদনদীর নামকরণের উৎপত্তি
ভারত একটি নদীমাতৃক দেশ। উত্তরে গঙ্গা-সিন্ধু-ব্রহ্মপুত্র থেকে দক্ষিনে গোদাবরী-কৃষ্ণা-কাবেরী — সর্বত্রই কোনো না কোনো নদীর প্রকৃতির পাশাপাশি ভারতীয় সমাজ, চেতনা, আধ্যাত্মিকতাকে যুগ যুগ ধরে পুষ্ট করে চলেছে। অথচ আমরা এইসব চিরপরিচিত নদনদী গুলির নামকরণের উৎপত্তি সম্পর্কে ক’জনই বা জানি। আসুন, আজকের এই পোস্টে আমরা ভারতের প্রধান ১১ টি নদনদীর নামকরণের উৎপত্তি জেনে নিই —
1 . গঙ্গাঃ- ভারতের দীর্ঘতম নদী এবং জাতীয় নদী। ‘গঙ্গা’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘গঙ্গা’ অর্থে দ্রুত ধাবমান (Swift-goer) থেকে এসেছে।
2 . সিন্ধুঃ- উত্তর-পশ্চিম ভারতের প্রধান নদী। ‘সিন্ধু’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘সিন্ধু’ অর্থে সমুদ্র বা জলস্রোত (Sea ; Stream) থেকে এসেছে।
3 . ব্রহ্মপুত্রঃ- উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রধান নদী। ‘ব্রহ্মপুত্র’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘ব্রহ্মপুত্র’ অর্থে ব্রহ্মার পুত্র (Son of Brahma) থেকে এসেছে।
4 . গোদাবরীঃ- দক্ষিন ভারতের দীর্ঘতম নদী। ‘গোদাবরী’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘গোদাবরী’ অর্থে জল প্রদানকারী (go = Water ; da = what gives) থেকে এসেছে।
5 . কৃষ্ণাঃ- দক্ষিন ভারতের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। ‘কৃষ্ণা’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘কৃষ্ণ’ অর্থে হিন্দু দেবতা কৃষ্ণের নাম থেকে এসেছে।
6 . কাবেরীঃ- দক্ষিন ভারতের তৃতীয় দীর্ঘতম নদী এবং ভারতের সর্বাপেক্ষা নিয়ন্ত্রিত নদী। ‘কাবেরী’ শব্দটি কাবেরীর উৎস ‘তালকাবেরী’ থেকে এসেছে।
7 . নর্মদাঃ- ভারতের দীর্ঘতম পশ্চিমবাহিনী নদী। ‘নর্মদা’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দটি ‘নর্মদা’ অর্থে আনন্দ প্রদানকারী (the Giver of Pleasure) থেকে এসেছে।
8 . তাপ্তীঃ- ভারতের দ্বিতীয় দীর্ঘতম পশ্চিমবাহিনী নদী। ‘তাপ্তী’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘তপতী’ অর্থাৎ সূর্যদেবতার কন্যা তপতীর নাম থেকে এসেছে।
9 . মহানদীঃ- পূর্ব-মধ্য ভারতের দীর্ঘতম নদী। ‘মহানদী’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘মহা’ ও ‘নদী’ অর্থাৎ বৃহৎ নদী (Great River) থেকে এসেছে।
10 . যমুনাঃ- ভারতের দীর্ঘতম উপনদী। ‘যমুনা’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘যমুনা’ অর্থাৎ সূর্যদেবতার কন্যা ও যমদেবতার ভগ্নী যমুনার নাম থেকে এসেছে।
11 . লুনীঃ- ভারতের দীর্ঘতম অন্তর্বাহিনী নদী। ‘লুনী’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘লবণাবতী’ অর্থে লবনাক্ত নদী থেকে এসেছে।
2 . সিন্ধুঃ- উত্তর-পশ্চিম ভারতের প্রধান নদী। ‘সিন্ধু’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘সিন্ধু’ অর্থে সমুদ্র বা জলস্রোত (Sea ; Stream) থেকে এসেছে।
3 . ব্রহ্মপুত্রঃ- উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রধান নদী। ‘ব্রহ্মপুত্র’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘ব্রহ্মপুত্র’ অর্থে ব্রহ্মার পুত্র (Son of Brahma) থেকে এসেছে।
4 . গোদাবরীঃ- দক্ষিন ভারতের দীর্ঘতম নদী। ‘গোদাবরী’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘গোদাবরী’ অর্থে জল প্রদানকারী (go = Water ; da = what gives) থেকে এসেছে।
5 . কৃষ্ণাঃ- দক্ষিন ভারতের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। ‘কৃষ্ণা’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘কৃষ্ণ’ অর্থে হিন্দু দেবতা কৃষ্ণের নাম থেকে এসেছে।
6 . কাবেরীঃ- দক্ষিন ভারতের তৃতীয় দীর্ঘতম নদী এবং ভারতের সর্বাপেক্ষা নিয়ন্ত্রিত নদী। ‘কাবেরী’ শব্দটি কাবেরীর উৎস ‘তালকাবেরী’ থেকে এসেছে।
7 . নর্মদাঃ- ভারতের দীর্ঘতম পশ্চিমবাহিনী নদী। ‘নর্মদা’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দটি ‘নর্মদা’ অর্থে আনন্দ প্রদানকারী (the Giver of Pleasure) থেকে এসেছে।
8 . তাপ্তীঃ- ভারতের দ্বিতীয় দীর্ঘতম পশ্চিমবাহিনী নদী। ‘তাপ্তী’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘তপতী’ অর্থাৎ সূর্যদেবতার কন্যা তপতীর নাম থেকে এসেছে।
9 . মহানদীঃ- পূর্ব-মধ্য ভারতের দীর্ঘতম নদী। ‘মহানদী’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘মহা’ ও ‘নদী’ অর্থাৎ বৃহৎ নদী (Great River) থেকে এসেছে।
10 . যমুনাঃ- ভারতের দীর্ঘতম উপনদী। ‘যমুনা’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘যমুনা’ অর্থাৎ সূর্যদেবতার কন্যা ও যমদেবতার ভগ্নী যমুনার নাম থেকে এসেছে।
11 . লুনীঃ- ভারতের দীর্ঘতম অন্তর্বাহিনী নদী। ‘লুনী’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘লবণাবতী’ অর্থে লবনাক্ত নদী থেকে এসেছে।
© ভূগোল শিক্ষা – Bhugol Shiksha
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের পােস্টটি পড়ার জন্য । এই ভাবেই ভূগোল শিক্ষা – Bhugol Shiksha এর পাশে থাকুন, ভূগোল বিষয়ে যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলাে করুন এবং নিজেকে ভৌগােলিক তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন, ধন্যবাদ।
নিচের শেয়ার বাটনে ক্লিক করে শেয়ার করেন বন্ধুদের মাঝে