আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন (জলবায়ুবিদ্যা - ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Humidity, Condensation and Precipitation - Climatology Geography
আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন (জলবায়ুবিদ্যা - ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Humidity, Condensation and Precipitation - Climatology Geography

জলবায়ুবিদ্যা – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন | Humidity, Condensation and Precipitation – Climatology (Geography) Question and Answer in Bengali

আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন (জলবায়ুবিদ্যা – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Humidity, Condensation and Precipitation (Climatology – Geography) : জলবায়ুবিদ্যা – Climatology (ভূগোল – Geography) আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন – Humidity, Condensation and Precipitation প্রশ্ন ও উত্তর  নিচে দেওয়া হল। এই (আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন – Humidity, Condensation and Precipitation – জলবায়ুবিদ্যা Climatology – ভূগোল Geography) প্রশ্নোত্তর গুলি স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। তোমরা যারা আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন – Humidity, Condensation and Precipitation – জলবায়ুবিদ্যা – Climatology (ভূগোল – Geography) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর (Short Question and Answer) খুঁজে চলেছো, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নউত্তর ভালো করে পড়তে পারো। 

আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন (Humidity, Condensation and Precipitation) জলবায়ুবিদ্যা – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

1. আপেক্ষিক আর্দ্রতাকে কিভাবে প্রকাশ করা হয়?

উত্তরঃ আপেক্ষিক আর্দ্রতাকে শতকরা হারে প্রকাশ করা হয় ।

2. শুষ্ক বায়ুর ও আর্দ্র বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা কত?

উত্তরঃ শুষ্ক বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা 0 ° ও আর্দ্র বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা 100 % ।

3. চরম আর্দ্রতা কিসে প্রকাশিত হয়?

উত্তরঃ চরম আর্দ্রতা গ্রামে প্রকাশিত হয় ।

4. আর্দ্রতার গুণাঙ্ক কি?

উত্তরঃ প্রতি কিলোগ্রাম বায়ুতে যত গ্রাম জলীয় বাষ্প থাকে তাকে আর্দ্রতার গুণাঙ্ক বলে ।

5. ঘনীভবন কি?

উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় বাষ্প তরল পদার্থে পরিণত হয় , তাকে ঘনীভবন বলে । 

6. ধোঁয়াশা কাকে বলে?

উত্তরঃ শহর বা শিল্পাঞ্চলের ধোঁয়াপূর্ন কুয়াশাকে ধোঁয়াশা বলে। ধোঁয়া + কুয়াশা = ধোঁয়াশা।

7. ধোঁয়াশা কথাটি কে কত সালে প্রথম ব্যবহার করেন?

উত্তরঃ 1905 সালে সর্বপ্রথম H.A. Desvoeux ধোঁয়াশা কথাটি ব্যবহার করেন।

8. আপেক্ষিক আর্দ্রতা ( RELATIVE HUMIDITY ) কাকে বলে?

উত্তরঃ কোন নির্দিষ্ট উষ্ণতায় নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প আছে , তাতে ঐ বায়ু সম্পৃক্ত  হয় না , ঐ একই উষ্ণতায় একই পরিমাণ বায়ু সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প প্রয়োজন ,তার ভরের আনুপাতিক পরিমাণকে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বলে ।

 আপেক্ষিক আর্দ্রতাকে শতকরা হারে প্রকাশ করা হয় । শুষ্ক বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা 0 ° ও আর্দ্র বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা 100 % । ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আপেক্ষিক আর্দ্রতা দ্বারা প্রভাবিত হয় । 

9. আপেক্ষিক আর্দ্রতার নিয়ন্ত্রকগুলি কি?

উত্তরঃ আপেক্ষিক আর্দ্রতার নিয়ন্ত্রকগুলি হল 

উষ্ণতা : উষ্ণতা ও আপেক্ষিক আর্দ্রতার সম্পর্ক ব্যাস্তানুপাতিক । অর্থাৎ উষ্ণতা বাড়লে বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা বাড়ে এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতা কমে । অপরপক্ষে , উষ্ণতা কমলে বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা কমে ফলে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়ে । 

জলীয় বাষ্প : জলীয় বাষ্পের জোগান বাড়লে আপেক্ষিক আর্দ্রতাও বাড়ে । 

বৃষ্টিপাত : বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়লে আপেক্ষিক আর্দ্রতাও বাড়ে । 

বায়ুর চাপ : নিম্নচাপযুক্ত অঞ্চলে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি হয় । 

10. নিরপেক্ষ আর্দ্রতা বা চরম আর্দ্রতা( ABSOLUTE HUMIDITY ) কাকে বলে?

উত্তরঃ নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে জলীয় বাষ্পের প্রকৃত পরিমাণকে চরম আর্দ্রতা বলে । নিরপেক্ষ আর্দ্রতায় কেবলমাত্র জলীয় বাষ্পের ওজনকে ধরা হয় । নিরপেক্ষ আর্দ্রতার পরিবর্তনের হার খুব দ্রুত । চরম আর্দ্রতা গ্রামে প্রকাশিত হয় । ঘনমিটার বায়ুতে কত গ্রাম জলীয় বাষ্প আছে তাই চরম আর্দ্রতা । চরম আর্দ্রতার ক্ষেত্রে বায়ুর আয়ত ঘনমিটারে ও জলীয় বাষ্পের পরিমাণ গ্রামে প্রকাশিত হয় । 

11. আপেক্ষিক আর্দ্রতা ও চরম আর্দ্রতার মধ্যে পার্থক্য লেখ। 

উত্তরঃ 

বিষয় আপেক্ষিক আর্দ্রতা চরম আর্দ্রতা
সংজ্ঞা নির্দিষ্ট উষ্ণতা ও আয়তনের বায়ুতে যতটা জলীয়বাষ্প আছে একই উষ্ণতা ও আয়তনের বায়ুকে সম্পৃক্ত করার জন্য আর যতটা জলীয়বাষ্প দরকার এই দুয়ের অনুপাত হল আপেক্ষিক আর্দ্রতা । নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে জলীয় বাষ্পের প্রকৃত পরিমাণকে চরম আর্দ্রতা বলে ।
ওজন আপেক্ষিক আর্দ্রতা দুটি ওজনের অনুপাত । চরম আর্দ্রতায় জলীয় বাষ্পের ওজনকে ধরা হয় ।
একক আপেক্ষিক আর্দ্রতার একক থাকে ( শতকরা হারে প্রকাশ পায় ) । গ্রাম/ঘনসেমি এককে প্রকাশ করা হয়। 
পরিবর্তন উষ্ণতার পরিবর্তনে আপেক্ষিক আর্দ্রতার দ্রুত পরিবর্তন ঘটে । চরম আর্দ্রতার পরিবর্তন হার খুব ধীর ।
ব্যবহার আবহাওয়ার উপাদান হিসাবে বায়ুর অবস্থা বোঝাতে আপেক্ষিক আর্দ্রতার ব্যবহার । নিরপেক্ষ আর্দ্রতার বিশেষ কোন ব্যবহার নেই ।

12. আর্দ্রতার গুণাঙ্ক ( SPECIFIC HUMIDITY ) বলতে কি বোঝ?

উত্তরঃ প্রতি কিলোগ্রাম বায়ুতে যত গ্রাম জলীয় বাষ্প থাকে তাকে আর্দ্রতার গুণাঙ্ক বলে । যত ওপরে ওঠা যায় বায়ুর আয়তন বাড়ে আবার নিম্নে আয়তন কমে অর্থাৎ আপেক্ষিক ওজনের কোনও পরিবর্তন হয় না । ফলে আর্দ্রতার গুণাঙ্কের কোনও পরিবর্তন হয় না । আবহবিদ্যায় আর্দ্রতার গুণাঙ্ক এর গুরুত্ব অপরিসীম ।

13. শিশিরাঙ্ক ( DEW POINT ) সংজ্ঞা দাও। 

উত্তরঃ সাধারণ বায়ুতে একটি জলীয় বাষ্প থাকে ; তাতে বায়ু সম্পৃক্ত হয় না । তবে কোন স্থানের উষ্ণতা হ্রাস পেলে, উষ্ণতা এমন একটি নির্দিষ্ট মানে পৌঁছায় যে বায়ুতে যে জলীয়বাষ্প ছিল তা সম্পৃক্ত হয় । এই অবস্থায় জলীয়বাস্প জলকনায় পরিণত হয় , তাকে শিশিরাঙ্ক বলে । অর্থাৎ , যে উষ্ণতায় কোন নির্দিষ্ট পরিমান বায়ু ওর মধ্যে উপস্থিত জলীয় বাষ্প দ্বারা সম্পৃক্ত হয় , সেই উষ্ণতাকে শিশিরাঙ্ক বলে ।

  উদাহরণ : 1000 মিলিবার বায়ুর চাপে 30 ° C উষ্ণতায় বায়ুর জলীয় বাষ্পের ধারন ক্ষমতা হল 27.69 গ্রাম/কেজি।

14. ঘনীভবন ( CONDENSATION ) কাকে বলে?উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় বাষ্প তরল পদার্থে পরিণত হয় , তাকে ঘনীভবন বলে । 

 আপেক্ষিক আর্দ্রতা 100 % হলে বায়ু সম্পৃক্ত হয়ে ঘনীভবন হয় । B ) বায়ু আয়তনে বৃদ্ধি পেয়ে শীতল হলে , উষ্ণ বায়ু শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে , তাপ বিকিরণের ফলে বায়ু শীতল হলে অথবা কোন শীতল স্থানের সংস্পর্শে এলে বায়ু শীতল হয়ে ঘনীভবন ঘটে ।

উদাহরণ : বায়ুমণ্ডলের ঊর্ধ্বে মেঘ ও ভূ – পৃষ্ঠ নিকটস্থ শিশির তুষার , কুয়াশা ঘনীভবনের উদাহরণ । 

15. ঘনীভবনের লীনতাপ কাকে বলে?

উত্তরঃ পৃথিবীপৃষ্ঠে তিন ভাগই জলরাশি দ্বারা আবৃত । অনুমান করা হয় , সমুদ্রপৃষ্ঠে যে পরিমাণ সৌররশ্মি পৌঁছায় তার অর্ধেকই ব্যয়িত হয় বাষ্পীভবনে । এই জলীয় বাষ্প বায়ুতে মিশে যায় । অর্থাৎ , সৌরতাপ বাষ্পীভবন লীনতাপ রূপে পরিবর্তিত 70হয়ে বায়ুতে অবস্থান করে । যখন জলীয় বাষ্পের ঘনীভবন ঘটে তখন ওই লীনতাপ বায়ুতে যুক্ত হয়ে বায়ুর উষ্ণতা বাড়িয়ে দেয় । এই যুক্ত তাপশক্তিকে ঘনীভবনের লীনতাপ বলে।

16. কুয়াশা (Fog) ও শিশির (Dew) পার্থক্য লেখ?

উত্তরঃ 

কুয়াশা শিশির
শীতকালের রাত্রিতে ভূপৃষ্ঠ তাপ বিকিরণ করে শীতল হলে ভূপৃষ্ঠ – সংলগ্ন বায়ুস্তর শীতল হয়ে শিশিরাঙ্কে পৌঁছায় । ফলে বায়ুর জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে ভাসমান ধূলিকণাকে আশ্রয় করে ভাসতে থাকে , একে কুয়াশা বলে । | কোনো সময়ে সারারাত্রি ভূপৃষ্ঠ তাপ বিকিরণ করে অধিক শীতল হলে বাতাসের জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে তৃণ , বৃক্ষপত্র জলবিন্দুর আকারে জমে , একে শিশির বলে ।
প্রচুর ধোঁয়া ও ধূলিকণাকে আশ্রয় করে কুয়াশা ভেসে বেড়ায় । নির্মল আকাশ ও ধীর বায়ুপ্রবাহ শিশির সৃষ্টিতে সাহায্য করে ।
শিশিরের তুলনায় কুয়াশা হালকা। কুয়াশার তুলনায় শিশির ভারী ।
শিশিরের তুলনায় বেশি তাপমাত্রায় ঘনীভূত হয় ।  কুয়াশার তুলনায় কম তাপমাত্রায় ঘনীভূত হয় ।

17. অধঃক্ষেপন ( PRECIPITATION ) বা বৃষ্টিপাত এর সংজ্ঞা লেখ । 

উত্তরঃ মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে জলীয় বাষ্পের ঘনীভূত অংশ কঠিন বা তরলরুপে ভূপৃষ্ঠে নেমে আসাকে অধঃক্ষেপণ বলে । জলীয় বাষ্প বাতাসে ভেসে থাকলে বা গাছের পাতা , ঘাসের আগায় সঞ্চিত হলে তা অধঃক্ষেপণের অন্তর্ভুক্ত নয় । 

সব মেঘ থেকেই বৃষ্টি হয় না । বৃষ্টিপাতের জন্য প্রয়োজন হয় :

১) জলীয়বাষ্পপূর্ণ সম্পৃক্ত বায়ু,

২) বায়ুর ওপরে ওঠার প্রবণতা

৩) সেই বায়ুকে শীতল করার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ।

18. বিভিন্ন প্রকার অধঃক্ষেপণ এর নাম লেখ?

উত্তরঃ বিভিন্ন প্রকার অধঃক্ষেপণ গুলি হল বৃষ্টিপাত , তুষারপাত , শিলাবৃষ্টি , গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি , স্লিট প্রভৃতি অধঃক্ষেপণের অন্তর্ভুক্ত । কিন্তু শিশির , কুয়াশা , তুহিন অধঃক্ষেপণের অন্তর্ভুক্ত নয় । 

19. অধঃক্ষেপণের প্রক্রিয়া কি?

উত্তরঃ  অধঃক্ষেপণ সর্বদা ঊর্ধ্বগামী বায়ুর ঘনীভবন বা ঊর্ধ্বপাতন প্রক্রিয়ায় সংগঠিত হয় । শতকরা 90 % অধঃক্ষেপণই বৃষ্টিপাতরুপে ঝরে পড়ে ।

20. অধঃক্ষেপনের উৎপত্তি সম্পর্কে লেখ?

উত্তরঃ অধঃক্ষেপনের উৎপত্তি একটা জটিল প্রক্রিয়া এবং সহজবোধ্য নয় । কয়েকটি বিশেষ অবস্থায় মেঘ থেকে বৃষ্টিবিন্দুর সৃষ্টি হয়ে থাকে । বৃষ্টিবিন্দুর আকার বৃদ্ধি অথবা বৃষ্টিপাতের জন্য নিম্নলিখিত দুইটি প্রক্রিয়া বিশেষ উল্লেখযোগ্য :

( 1 ) বারজেরন – ফিন্‌ডিসেন মতবাদ ( Bergeron – Findeisen Theory ) 

( 2 ) সংঘর্ষ – একত্রীকরণ মতবাদ ( Collision – Coalscence Theory ) 

21. বৃষ্টিপাত অধঃক্ষেপন সম্পর্কিত বার্জেরন ও ফিনডিসন তত্ত্ব ( BERGEROL | FINDEISEN THEORY ) ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ সুইডেনের আবহবিজ্ঞানী TOB BERGERON ও জার্মান আবহবিজ্ঞানী FINDEISEN- এর মতে মধ্য ও উচ্চ অক্ষাংশে 1500 মিটারের অধিক উচ্চতায় মেঘের উষ্ণতা কম ( -25 ° C থেকে -5 ° C ) থাকায় জলকণা বরফের ক্যালাস গঠন করে । বরফ মেঘের উপরে ও জলকণা মেঘের নিচের দিকে অবস্থান করে । উষ্ণতা হিমাঙ্কের নিচে নামলে সম্পৃক্ত বাষ্পচাপ বরফপৃষ্ঠ অপেক্ষা বরফের জলকণার উপর বেশি হবে । তখন জলকণার আয়তন হ্রাস ও বরফকণার আয়তন বৃদ্ধি পাবে । বরফের ক্যালাস ভারী বলে নিচের দিকে নেমে নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করার পর তাপমাত্রা হিমাঙ্কের উপরে উঠলে বরফকণা জলকনায় পরিণত হয় ও পরিশেষে জলকণা নিচের দিকে শীতল বৃষ্টিরুপে ঝরে পড়ে । তুষার , শিলাবৃষ্টি এই প্রক্রিয়ায় বর্ধিত হয় । 

22. পরিচলন বৃষ্টি ( Convectional rain ) কাকে বলে? 

উত্তরঃ প্রবল সূর্যতাপে ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হলে উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু ওপরে উঠে যায় । ওপরে উঠে এই বায়ু প্রসারিত ও শীতল হয়ে ঘনীভবনের মাধ্যমে বৃষ্টি ঘটালে তাকে পরিচলন বৃষ্টিপাত বলে । 

উদাহরণ : নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রতিদিন বিকেল বেলায় এই ধরনের বৃষ্টি হয় ।

23. পরিচলন বৃষ্টি সংগঠনের শর্তগুলি লিখুন/লেখ । 

উত্তরঃ পরিচলন বৃষ্টি সংগঠনের শর্তগুলি হল-

ভূপৃষ্ঠের উত্তপ্তকরণ , ও জলীয় বাষ্পের জোগান ।

24. পরিচলন বৃষ্টির বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি?

উত্তরঃ ভূপৃষ্ঠ – সংলগ্ন জলরাশি উত্তপ্ত হয় । এবং জলীয় বাষ্প লীনতাপ ত্যাগ করে ঘনীভূত হয় ।  এই প্রকার বৃষ্টিপাতে নীরদ মেঘ থেকে বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড় হয় । 

25. নিরক্ষীয় অঞ্চলে পরিচলন বৃষ্টিপাত বেশি হয় কেন?-ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ নিরক্ষরেখার উভয় দিকে 5 ° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ বরাবর সারা বৎসর বিকাল ও সন্ধ্যায় পরিচলন বৃষ্টি হয় । কারণ – 

( a ) নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রশান্ত , আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগরের বিশাল জলরাশির অবস্থান।

( b ) সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেবার জন্য সারা বৎসর 25 ° C – 30 ° C উষ্ণতা থাকে ; তাই বাষ্পীভবন বেশি । 

( c ) বায়ুর চাপ কম বলে ঊর্ধ্বগামী আর্দ্র বায়ু রূদ্ধ তাপ হ্রাস হারে শীতল ও ঘনীভূত হয় । 

( d )অধিক আপেক্ষিক আর্দ্রতা বলে বায়ু সম্পৃক্ত হয় । তাই এখানে পরিচলন বৃষ্টি হয় । দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন অববাহিকা , আফ্রিকার কঙ্গো অববাহিকা এবং ভারতের আন্দামানে বৃষ্টিপাত 150-250 সেমি । 

26. শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি ( Orographic rainfall ) কাকে বলে ?

উত্তরঃ ‘শৈল’ কথার অর্থ ‘পর্বত’ ।জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু পর্বতের প্রতিবাত ঢালে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ঘটালে তাকে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত বলে । 

মৌসুমি বায়ুর অঞ্চলে এই প্রকার বৃষ্টিপাত সর্বাধিক হয় । মৌসুমি বায়ুর আরবসাগরীয় শাখা পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে এরূপ বৃষ্টিপাত বড়ে ঘটায় ।

উদাহরণ : ভারতের আসাম মেঘালয়, পশ্চিমঘাট পর্বত, মায়নমারের আরাকান পর্বত ও যুক্তরাষ্ট্রের কাসকেড পর্বতের পশ্চিম ঢালে এরূপ বৃষ্টিপাত হয়।

27. শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি সংগঠনের শর্তগুলি লিখুন/লেখ । 

উত্তরঃ বরফাবৃত পর্বতশীর্ষ ,  উপকূলবর্তী অঞ্চলে পর্বতের অবস্থান , 3 জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ুর প্রবলবেগে প্রবাহ ও সমকোণে পর্বতে বাধাপ্রাপ্তি হল শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি সংগঠনের শর্ত ।

28. ঘূর্ণবাত বৃষ্টিপাত ( Cyclonic rainfall )কাকে বলে?

উত্তরঃ উষ্ণ ও নাতিশীতোয় অঞ্চলে ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টিপাতকে ঘূর্ণবাত বৃষ্টিপাত বলে । উষ্ণমণ্ডলে প্রচণ্ড উষ্ণতায় সৃষ্টি শক্তিশালী নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হলে তার আকর্ষণে বায়ু চারিদিক থেকে ছুটে এসে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণীঝড়ের সৃষ্টি করে । তাই নিম্নচাপ কেন্দ্রে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু উর্ধ্বে উঠে ঘনীভূত হয়ে বজ্র – বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হয় । আবার নাতিশীতোয় মণ্ডলে উষ্ণ ও শীতল বায়ু সীমান্তের সৃষ্টির মাধ্যমে বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয় , একে নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলের ঘূর্ণ বৃষ্টিপাত বলে । 

29. ঘূর্ণ বৃষ্টি ( Cyclonic rainfall ) কয় প্রকার ও কি কি ? 

উত্তরঃ  ঘূর্ণ বৃষ্টি দুপ্রকার— 

ক্রান্তীয় ঘূর্ণবৃষ্টি : ক্রান্তীয় অঞ্চলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হলে চারদিক থেকে উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবেশ করে এবং বিশাল এলাকা জুড়ে মেঘের সৃষ্টি করে এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল বৃষ্টিপাত হয় । এটিই ক্রান্তীয় ঘূর্ণবৃষ্টি।

নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবৃষ্টি : নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে অনুভূমিক আকারে ক্রান্তীয় অঞ্চল থেকে আগত উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু এবং উচ্চ অক্ষাংশ থেকে আগত শুষ্ক ও শীতলবায়ুর সংঘর্ষে এরূপ বৃষ্টি হয় । একে সীমান্ত বৃষ্টিও বলে ।

30. বৃষ্টিপাত – সংক্রান্ত বরফ কেলাস তত্ত্বটি ( Ice crystal theory ) লেখ।

উত্তরঃ 1933 সালে নরওয়ের আবহবিদ এই তত্ত্বের প্রবর্তন করেন । পরে জার্মান আবহবিজ্ঞানী Findiesen এই তত্ত্বের পরিমার্জনা করেন । ঊর্ধ্বাকাশে উষ্ণতা 0 ° সে – এর কম হলেও অনেক সময় জলকণা বরফ কণায় পরিণত হয় না । –40 ° সে উষ্ণতায় জলকণা অতিশীতল জলকণারূপে অবস্থান করে । এই অবস্থায় মেঘ আলোড়িত হলে সূক্ষ্ণ বরফকণা শীতল জলকণার মধ্যে প্রবেশ করে আয়তনে বাড়ে । ফলে বরফকণাগুলি ক্রমশ নীচের দিকে নামতে থাকে । নীচের দিকে উষ্ণতা বেশি হওয়ায় বরফকণা জলকণায় পরিণত হয়ে বৃষ্টিরূপে নেমে আসে । একে ‘ Bergeron Findiesen ‘ তত্ত্ব বা Ice crystal তত্ত্ব বলে । 

31. বৃষ্টিপাত – সংক্রান্ত সংঘর্ষ সম্মিলন ( Collision Coalescence and Sweeping Theory ) তত্ত্বটি লেখ ।

উত্তরঃ অস্ট্রেলিয়ার আবহবিজ্ঞানী E.G.Boven এই তত্ত্বের প্রবক্তা । 

উষ্ণ অঞ্চলে মেঘের মধ্যে জলকণাগুলির আয়তন বিভিন্ন থাকে । জলকণাগুলি আলোড়িত হলে বা মেঘের মধ্যেই ক্রমশ ওঠানামা করলে গতির তারতম্যজনিত কারণে জলকণাগুলি পারস্পরিক সংঘর্ষে যুক্ত হয় ও আয়তনে বড়ো হয়ে বৃষ্টির আকারে নেমে আসে । এই প্রক্রিয়া যেখানে কার্যকরী হয় সেখানে উষ্ণতা সর্বদা হিমাঙ্কের ওপরে থাকে । 

32. বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল ( Rain shadow area ) কাকে বলে ? উদাহরণ দাও । 

উত্তরঃ জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু পর্বতের প্রতিবাত ঢালে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে যখন অনুবাত ঢালে পৌঁছায় তখন তাতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ খুব কমে যায় । ফলে অনুবাত ঢালে বৃষ্টিপাত খুব কম হয় , তাই এই অঞ্চলকে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলে । 

কারণ : a) অনুবাত ঢালে বায়ুতে জলীয় বাষ্প খুব কম থাকে ।  

  1. b) অনুবাত ঢালে বায়ু নীচের দিকে নামতে থাকায় উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় এবং এর জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা বাড়ে । 

উদাহরণ : পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বঢাল , মেঘালয়ের রাজধানী শিলং ।

33. অনুবাত ঢালে বৃষ্টির পরিমাণ কম কেন ?

উত্তরঃ প্রতিবাত ঢালে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু বাধাপ্রাপ্ত হয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটানোর পর যখন অনুবাত ঢালে পৌঁছায় , তখন তাতে জলীয় বাষ্প থাকে না বললে চলে , ফলে বৃষ্টির পরিমাণ কম হয় । অনুবাত ঢালে বায়ু নিম্নগামী হয় বলে উষ্ণতা বাড়তে থাকে এবং জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতাও বাড়ে । বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা কমে , যা বৃষ্টির পরিপন্থী ।

34. কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ( ARTIFICIAL RAIN ) কাকে বলে?

উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে বার্জেরন – ফিল্ডিসেন তত্ত্ব প্রয়োগ করে শীতল মেঘে ( যাদের উষ্ণতা -5°C থেকে 5°C) সিলভার আয়োডাইট ও জৈবযৌগ প্রোপেন কোন বিমান ও রকেটের সাহায্যে স্প্রে করে তুষার ক্যালাস গঠন করে বৃষ্টিপাত ঘটায়, তাকে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত বলে।

35. কৃত্রিম বৃষ্টিপাত সর্বপ্রথম কে, কত খ্রিস্টাব্দে ও কোথায় ঘটান ?

উত্তরঃ 1946 খ্রিস্টাব্দে বার্নার ফোনেগাট সর্বপ্রথম নিউইয়র্কে মেঘে সিলভার আয়োডাইট স্প্রে করে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটান। 

36. অক্ষাংশ বৃষ্টি ( LATITUTE RAIN ) কাকে বলে?

উত্তরঃ কোন নির্দিষ্ট অক্ষাংশ বরাবর যে বৃষ্টিপাত সারা বৎসর ধরে সংঘটিত হয় , তাকে অক্ষাংশ বৃষ্টি বলে। নিরক্ষরেখা বরাবর অপরাহ্নে অক্ষাংশ বৃষ্টি সংগঠিত হয়।

37. অরণ্য বৃষ্টি ( FOREST RAIN ) কাকে বলে?

উত্তরঃ দক্ষিণ আমেরিকার নিরক্ষীয় অঞ্চলের সেলভা অরণ্যের ঘন বনভূমিতে অত্যধিক তাপে অতিরিক্ত উদ্ভিদরাজীসমূহ অত্যধিক বাষ্পমোচন করে । এই জলীয় বাষ্প হালকা বলে ওপর দিকে উঠে বৃক্ষের চাদোয়াতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টির ন্যায় ঝরে পড়ে । একেই অরণ্য বৃষ্টি বলে।

38. শ্লিট ( Sleet ) সংজ্ঞা দাও ? 

উত্তরঃ বৃষ্টিকণা শীতল বায়ুস্তরের ভিতর দিয়ে আসার সময় অত্যধিক শৈত্যের কারণে ছোটো ছোটো বরফ কণার আকারে ভূপৃষ্ঠে পড়ে , একে শ্লিট বলে । শ্লিটের সাথে বৃষ্টিপাতও হয় । 

39. শিলাবৃষ্টি ( Hail ) কী? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ বৃষ্টির সাথে বিভিন্ন আকৃতির বরফখণ্ড ঝরে পড়লে তাকে ‘ শিলাবৃষ্টি ’ বলে । 

উদাহরণ: সাধারণত পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখীর সময় শিলাবৃষ্টি হতে দেখা যায়।

40. হিমকেন্দ্রাণু ( FREEZING NUCLEI ) কাকে বলে?

উত্তরঃ ঊর্ধ্বাকাশে অধিক শীতলতায় থেকে ভাসমান জলকণা তুষার কণাতে পরিণত হয় । এই তুষারকণা সম্মিলিত প্রভাবে তুষার কেলাস সৃষ্টি করে । সেইসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণাকে হিমকেন্দ্রাণু বলে ।

41. গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ( DRIZZLING ) বা মিষ্ট ( MIST ) কী?

উত্তরঃ উঁচু বা মাঝারি আকাশে কখনো কখনো দেখা যায় 0.5 মিলিমিটারের কম ব্যাসযুক্ত জলকণা বায়ুমণ্ডলে ভাসমান অবস্থায় দেখা যায় । এদের মিষ্ট ( MIST ) বলে ।

 আবার যখন এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণাগুলি গুঁড়ি গুঁড়ি আকারে ভূ – পৃষ্ঠে পতিত হয় , তাকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ( DRIZZLING ) বলে ।

প্রধানত স্ট্যাটাস বা স্তর মেঘ থেকে এই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়ে থাকে ।

FILE INFO : আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন – Humidity, Condensation and Precipitation | জলবায়ুবিদ্যা – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Climatology – Geography)

File Details:

PDF Name : আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন – Humidity, Condensation and Precipitation | জলবায়ুবিদ্যা – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Climatology – Geography)

Price : FREE

Download Link : Click Here To Download

INFO : Geography – Climatology – Question and Answer | ভূগোল – জলবায়ুবিদ্যা – আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন (Humidity, Condensation and Precipitation) প্রশ্নোত্তর

 ” ভূগোল (Geography) – জলবায়ুবিদ্যা (Climatology) – আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন – Humidity, Condensation and Precipitation “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক বিভিন্ন শ্রেনীর পরীক্ষা (Class 5, 6, 7, 8, 9,  Madhyamik, Class 11, Higher Secondary – HS, College & University Exam) এবং বিভিন্ন চাকরির (WBCS, WBSSC) পরীক্ষায় এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে BhugolShiksha.com এর পক্ষ থেকে ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নো ও উত্তর উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস  ভূগোল (Geography) জলবায়ুবিদ্যা (Climatology) – আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন – Humidity, Condensation and Precipitation / আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন সংক্ষিপ্ত ছোট প্রশ্ন ও উত্তর / আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন (জলবায়ুবিদ্যা – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Humidity, Condensation and Precipitation (Climatology – Geography)  SAQ / Short Question and Answer / আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন (জলবায়ুবিদ্যা – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Humidity, Condensation and Precipitation (Climatology – Geography) Quiz / আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন (জলবায়ুবিদ্যা – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Humidity, Condensation and Precipitation (Climatology – Geography) QNA / আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন (জলবায়ুবিদ্যা – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Humidity, Condensation and Precipitation (Climatology – Geography) Question and Answer FREE PDF Download ) পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর সফল হবে।

আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন (জলবায়ুবিদ্যা – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Humidity, Condensation and Precipitation (Climatology – Geography) Question and Answer in Bengali

    স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ডিজিটাল মাধ্যম BhugolShiksha.com । এর প্রধান উদ্দেশ্য পঞ্চম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী, মাধ্যমিকউচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত বিষয় এবং গ্রাজুয়েশনের শুধুমাত্র ভূগোল বিষয়কে  সহজ বাংলা ভাষায় আলোচনার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে সহজ করে তোলা। 

আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন (জলবায়ুবিদ্যা – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Humidity, Condensation and Precipitation (Climatology – Geography)

        আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” আর্দ্রতা, ঘনীভবন ও অঞ্চঃক্ষেপন (জলবায়ুবিদ্যা – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Humidity, Condensation and Precipitation (Climatology – Geography) ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই আমাদের ভূগোল শিক্ষা – Bhugol Shiksha – BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। ভূগোল বিষয়ে যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইটটি ফলাে করুন এবং নিজেকে ভৌগোলিক  তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন , ধন্যবাদ।