মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম (জীব ভূগোল - ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Physical And Chemical Properties Of Soil (Biogeography - Geography)
মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম (জীব ভূগোল - ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Physical And Chemical Properties Of Soil (Biogeography - Geography)

জীব ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম | Physical And Chemical Properties Of Soil – Biogeography (Geography) Question and Answer in Bengali

মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Physical And Chemical Properties Of Soil (Biogeography – Geography) : জীব ভূগোল – Biogeography (ভূগোল – Geography) মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম – Physical And Chemical Properties Of Soil প্রশ্ন ও উত্তর  নিচে দেওয়া হল। এই (মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম – Physical And Chemical Properties Of Soil – জীব ভূগোল Biogeography – ভূগোল Geography) প্রশ্নোত্তর গুলি স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। তোমরা যারা মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম – Physical And Chemical Properties Of Soil – জীব ভূগোল – Biogeography (ভূগোল – Geography) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর (Short Question and Answer) খুঁজে চলেছো, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নউত্তর ভালো করে পড়তে পারো।

মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম (Physical And Chemical Properties Of Soil) জীব ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

1. মৃত্তিকার ভৌত বৈশিষ্ট্য কী ? ( PHYSICAL PROPERTIES OF SOIL ) । 

Ans: মৃত্তিকার কতকগুলি ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান । মৃত্তিকার বিভিন্ন ভৌত ধর্মগুলি নিম্নরূপ ক ) মৃত্তিকার প্রথন মৃত্তিকার কণার আপেক্ষিক আকারকেই এখন বলা হয় । খ ) মৃত্তিকার গঠন : মৃত্তিকার কণাগুলির বিন্যাস বা সঞ্চিতকরণকেই মৃত্তিকার গঠন বলে ।

গ ) মৃত্তিকার সছিদ্রতা : মৃত্তিকার মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রকেই মৃত্তিকার সছিদ্রতা বলে । ঘ ) মৃত্তিকার রঙ জৈব পদার্থ , খনিজ ইত্যাদির পার্থক্য অনুযায়ী মৃত্তিকার রঙও বিভিন্ন হয় ।

ঙ ) মৃত্তিকার উষ্ণতা : মৃত্তিকার ঢাল , আর্দ্রতা , বর্ণ ও গভীরতা অনুযায়ী উন্নতা নির্ভর করে ।

চ ) অন্যান্য বৈশিষ্ট্য : মৃত্তিকার জলধারণ ক্ষমতা , মৃত্তিকার স্থিরতা ( Soil Consistence ) মৃত্তিকার রঞ্জু পরিসর , সংশক্তি , বল ইত্যাদি ।

2. মৃত্তিকার গঠন ( SOIL STRUCTURE ) অথবা , মৃত্তিকার সংযুক্তি কী ? 

Ans: মৃত্তিকা বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী , জটিল ভৌত ধর্ম মৃত্তিকার গঠন । মৃত্তিকার গঠন বলতে মৃত্তিকার কণার দ্বারা সংযোজিত তাদের গঠন ও তাদের পারস্পরিক সুনির্দিষ্ট বিন্যাসকে বোঝায় । মৃত্তিকার গঠন সৃষ্টি অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া । আবহাওয়া , খনিজ প্রস্তর , দ্রবীভূত লবণ ও জীবাণুমিশ্রিত পদার্থ দ্বারা মৃত্তিকার পৃথকীকরণ ও দানাবদ্ধকরণ চলতে থাকে ।

শ্রেণী : ইহা 4 প্রকার ; যথা- ( i ) পাতের মতো , ( ii ) প্রিজমের মতো , ( iii ) খণ্ডাকৃতি , ( iv ) কণার মতো ।

গুরুত্ব : মৃত্তিকার সছিদ্রতা , তাপমাত্রা , ঘনত্ব ও রং মৃত্তিকার গঠন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ।

3. মৃত্তিকার রাসায়নিক গুণ বা ধর্ম লেখো । 

Ans: মাটির উপাদানের পারস্পরিক বিক্রিয়ায় মাটি H ও OH আয়নের উপস্থিতিকে মাটির রাসায়নিক ধর্ম বলে । মাটির রাসায়নিক ধর্ম বা গুণ হলঃ ( i ) . আম্লিক মাটি ও মাটিতে চুন বর্জিত অবস্থায় H * বেড়ে গিয়ে মাটি আম্লিক হয় ; যার pH এর কম । ( ii ) ক্ষারকীয় মাটি : কম ধৌত প্রক্রিয়ায় চুনের আধিক্যপূর্ণ মাটিতে OH বৃদ্ধি পেয়ে মাটি ক্ষারকীয় হয় ; যার pH 7 এর বেশী । ( iii ) প্রশমিত মাটি : মাটির pH 7 হলে তা প্রশমিত বা নিরপেক্ষ মাটি হয় ।

4. মাটির ভৌত ধর্ম বা গুণ লেখো । 

Ans: যখন মাটির কণার পরিমাণ , আকার , আকৃতি , সজ্জিতকরণ , খনিজমিশ্রন প্রভৃতির আলোচনা করা হয় তখন তাদের মাটির ভৌত গুণ বলে । এগুলো হল ( A ) গ্ৰথনঃ বালি , পলি কর্দমকণার আপেক্ষিক অনুপাতকে মাটির বুনন বলে ; এর ফলে মাটির জলধারণ ক্ষমতা , উর্বরতা , গঠন , বায়ুচলাচল প্রভৃতি নিয়ন্ত্রিত হয় ।। ( B ) গঠন : মৃত্তিকাকণার পরস্পর সংযোগে যে মাটি বিন্যাস গড়ে ওঠে তাকে মাটির গঠন বলে । ইহা তিন প্রকার : ( i ) সাধারণ গঠন ( ii ) পুঙ্খাকার গঠন ( iii ) যৌগিক গঠন । যৌগিত গঠনের পেডগুলো বিভিন্ন প্রকার ( i ) স্তরীয় ( ii ) দানাদার ( iii ) চাইয়ের মতো গঠন হয় ( iv ) প্রিজমের মতো হয় ।

5. মৃত্তিকার প্রথন ( SOIL TEXTURE ) অথবা , মৃত্তিকার বুনন । 

Ans: মৃত্তিকার এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌতধর্ম । কোন মাটিতে বালি , পলি ও কাদা ইত্যাদি কণার আপেক্ষিক অনুপাতকে মৃত্তিকার এথন বলে । অর্থাৎ ‘ Soil texture refers to the percentage of sand , siet and clay in a soil . ” অনুভব ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ( সমগ্রাফিক ত্রিভুজের মাধ্যমে ) ইহা নির্ণয় করা যায় । শ্রেণী : প্রথনের ভিত্তিতে মৃত্তিকার 12 টি শ্রেণী রয়েছে । যেমন — বেলেমাটি , বেলে – দোঁয়াশ মাটি , দোঁয়াশ মাটি , পলি – দোঁয়াশ মাটি , পলিমাটি , এঁটেল মাটি , পলি – এঁটেল মাটি ইত্যাদি ।

6. মৃত্তিকার জল কী ? ( SOIL WATER ) । 

Ans: মৃত্তিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মৃত্তিকার জল । মৃত্তিকা কণার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রন্ধ্রের মধ্যে যে জল আবদ্ধ থাকে তাকে মৃত্তিকার জল বলা হয় ।

শ্রেণী : মৃত্তিকার জল 4 প্রকার । যথা— ( i ) মুক্ত বা মহাকর্ষীয় জল , ( ii ) কৌশিক জল , ( iii ) শোষিত বা জলগ্রাহী জল , ( iv ) সংযুক্ত জল ।

গুরুত্ব : মৃত্তিকার জল প্রাকৃতিক ( উদ্ভিদের বংশবৃদ্ধি ) , রাসায়নিক ( মৃত্তিকার PH ) ও জৈবিক ক্রিয়াকলাপের ( জীবাণু ) জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ।

7. মুক্ত বা মহাকর্ষীয় জল কী ? ( FREE OR GRAVITATIONAL WATER ) । 

Ans: মুক্ত বা মহাকর্ষীয় জল মৃত্তিকা মধ্যস্থিত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জল মুক্ত বা মহাকর্ষীয় জল । মৃত্তিকায় সেচ দিলে বা বৃষ্টি হলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে বৃহৎ মৃত্তিকা ছিদ্র ( Macro pore space ) দিয়ে যে জল মৃত্তিকার নিচে চলে অর্থাৎ যে জল মৃত্তিকা ধরে রাখতে পারে না , তাকে মুক্ত বা মহাকর্ষীয় জল বলে ।

বৈশিষ্ট্য : i ) মৃত্তিকার বায়ু ও উদ্ভিদ খাদ্য নানাভাবে নষ্ট হয় এই জলের সাহায্যে । ii ) মুক্ত জল উদ্ভিদের কোন কাজে লাগে না । iii ) জলনিকাশী ব্যবস্থা সুবন্দোবস্ত করে এই জলকে প্রবীভূত করা হয় । iv ) বৃহৎ পদার্থ দ্বারা এই জল দ্রুত শোষিত হয় ।

8. কৌশিক জল কী ? ( CAPILLARY WATER ) ।

Ans: মৃত্তিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জল কৌশিক জল । মৃত্তিকার মধ্যে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম রন্থ পরিসর থাকায় কৌশিক নল তৈরি হয় । মৃত্তিকার কৌশিক নলে আকর্ষণ বলের প্রভাবে যে পরিমাণ জল আবদ্ধ থাকে ; তাকে কৌশিক জল বলে ।

বৈশিষ্ট্য : i ) পৃষ্ঠটান ও জলকণার পরস্পরের আকর্ষণের দ্বারা এই জল আবদ্ধ থাকে । ii ) মৃত্তিকার উপরিস্থিত জল শেষ হয়ে গেলে নিচের জলস্তর থেকে কৌশিকার্ষণ শক্তির বলে উপরে উঠে আসে ও মৃত্তিকার উপরিস্তর সিক্ত রাখে । গুরুত্ব : উদ্ভিদ এই জল শোষণ করতে পারে বলে এই জল সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ।

9. শোষিত বা জলগ্রাহী জল কী ? ( HYGROSCOPIC WATER ) । 

Ans: মৃত্তিকা মধ্যস্থিত অন্যতম জল জলগ্রাহী জল । মৃত্তিকা ও জৈব , পদার্থের কণার চারধারে জলের যে পাতলা আবরণ ( 4-5 মিউ পুরু ) থাকে ; তাকে শোষিত জল বলে । বৈশিষ্ট্য : i ) মৃত্তিকাকে প্রায় 100 ° তাপমাত্রায় উদ্বু করলে এই জলের বায়বীয়তা দূর হয় । ii ) মৃত্তিকার জৈব কণা , কাদা কণার আয়তন অনুযায়ী এই জলে সংযুক্ত হয় । গুরুত্ব : মৃত্তিকা কণার গাত্রে এই জল দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ থাকে বলে , এই জল উদ্ভিদ শোষণ করতে পারে না । তাই এই জলের উপযোগিতা নেই ।

10. মুত্তিকা জলের গুরুত্ব । 

Ans: মৃত্তিকা জল ছাড়া অর্থহীন । মৃত্তিকার জলের গুরুত্ব হল A ) উদ্ভিদ খাদ্যের উৎস মৃত্তিকা জল চিরন্তন দ্রাবক হিসাবে উদ্ভিদের পুষ্টি সরবরাহ করে । B ) উদ্ভিদের ব্যবহার উদ্ভিদের অঙ্কুরোদগম , বৃদ্ধি , ফসল ধারণ সব ক্ষেত্রেই জল অপরিহার্য । C ) আবহবিকার আবহবিকার , ক্ষয়ীভবন ইত্যাদি মৃত্তিকা জলের দ্বারা সম্পাদিত হয় । D ) মৃত্তিকা গঠন ও এখন মৃত্তিকার সুষম গঠন ও প্রথনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ জলের প্রয়োজন । E ) জীবাণু ক্রিয়াকলাপ : মৃত্তিকার জীবাণুর পুষ্টি , ক্রিয়াকলাপ ও বংশবৃদ্ধির জন্য জল প্রয়োজন । F ) অন্যান্য সুষম কর্ষণ , উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষের জন্যও জল অপরিহার্য ।

বৈশিষ্ট্য : i ) রঞ্জ- পরিসরের অর্ধেক জল ও বায়ু হলে সন্তোষজনক মাটি হয় । ii ) রঞ্জু – পরিসর পৃষ্ঠস্তর থেকে অধঃস্তরে কম । iii ) মৃত্তিকার গঠনের উপর রন্ধ্র পরিসর নির্ভরশীল । গুরুত্ব : উপযুক্ত রন্ধ্র – পরিসরযুক্ত মাটি জন্মানোর পক্ষে আদর্শ ।

11. মৃত্তিকার জৈব পদার্থ ( ORGANIC MATTER ) সৃষ্টি । 

Ans: মৃত্তিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ মৃত্তিকার জৈব পদার্থ । উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহের দেহাবশেষ মৃত্তিকাতে মিশে জৈব পদার্থের সৃষ্টি করে । মৃত্তিকায় ‘ O ’ স্তরে রাসায়নিক পদার্থ বা মৃত্তিকার জীবাণুর সহায়তায় অপরিণত জৈব পদার্থ হিউমাসে পরিণত হয় । পরিশেষে Co2 , H , O , NH , CaOH ও ফসফরাস সৃষ্টি করে । ওজন অনুসারে শুষ্ক মৃত্তিকাতে । ভাগের কম থেকে 15 বা তার বেশি জৈব পদার্থ থাকে । কিন্তু ভারতের মৃত্তিকাতে 1-2 ভাগের বেশি জৈব পদার্থ থাকে না ।

12. মৃত্তিকার জৈব পদার্থের গুরুত্ব । 

Ans: “ Organic Matter is the life of Soil ” বা , মৃত্তিকার জৈব পদার্থের গুরুত্ব হল : A ) খাদ্য খনিজের উৎস : উদ্ভিদের খাদ্যের সাথে জৈব পদার্থ ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কযুক্ত । B ) খাদ্যভাণ্ডার : মৃত্তিকার জৈব পদার্থ উদ্ভিদের খাদ্যভাণ্ডার ( Store house of food ) C ) জীবাণুর উৎস : মৃত্তিকার উপকারী জীবাণু জৈব পদার্থে ক্রিয়া করে উদ্ভিদের খাদ্যকে গ্রহণযোগ্য করে । D ) জলধারণ ক্ষমতা : জৈব পদার্থে কলয়েড পদার্থ থাকায় Water holding capacity বেশি । E ) মৃত্তিকার প্রথন ও সছিদ্রতা : জৈব পদার্থ মৃত্তিকার প্রথন ও সছিদ্রতার উন্নতি ঘটায় । F ) আবরণী জৈব পদার্থ : জৈব পদার্থ তুষার ও বৃষ্টিপাতের হাত থেকে উদ্ভিদকে রক্ষা করে ।

13. হিউমাস কী ? ( HUMAS ) 

Ans: মৃত্তিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিউমাস , মাটির গাঢ় বাদামী বা কালো বর্ণের , অনিয়তাকার , গঠনহীন সমসত্ত্ব ও পচনক্রিয়া প্রতিরোধক্ষম জটিল কলয়েড পদার্থের মিশ্রণকে হিউমাস বলে ।

বৈশিষ্ট্য : i ) হিউমাস গঠনহীন , কলয়েডধর্মী ।

ii ) | হিউমাস উপাদান কার্বন হিউমাস লিগনো প্রোটিন , ক্লে – প্রোটিন ও পলি ইউরোনাইডস দ্বারা গঠিত । iii ) হিউমাসের নমনীয়তা ও সংশক্তি কম । iv ) হিউমাসের বাফারিং ক্যাপাসিটি খুব বেশি ।

গুরুত্ব : হিউমাস মৃত্তিকার গঠন , সছিদ্রতা , তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ।

14. হিউমাসের গুরুত্ব লেখো । 

Ans: হিউমাস উদ্ভিদের খাদ্যভাণ্ডার । এর গুরুত্ব নিম্নরূপ A ) খাদ্যভাণ্ডার : হিউমাস উদ্ভিদের সুষম খাদ্যভাণ্ডারে ভরপুর । B ) PH নিয়ন্ত্রণ : হিউমাস মৃত্তিকার অম্লত্ব ও ক্ষারত্ব নির্ণয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । C ) গঠন উন্নয়ন : হিউমাস মৃত্তিকার গঠন উন্নত করে । D ) তাপমাত্রা ও জলধারণ ক্ষমতা : হিউমাস মৃত্তিকার তাপমাত্রা ও জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে । E ) সছিদ্রতা : হিউমাস মৃত্তিকার সছিদ্রতা বৃদ্ধি করে । F ) জীবাণুদের কার্যাবলী : হিউমাস মৃত্তিকার জীবাণুদের কার্যক্রম ক্রমশ বৃদ্ধি করে ।

15. মৃত্তিকার জীবাণুর গুরুত্ব লেখো । 

Ans: মৃত্তিকার উন্নতিতে জীবাণুর অবদান অনেকখানি । যেমন— i ) মৃত্তিকার জীবাণু সততই বায়ুমণ্ডল থেকে নাইট্রোজেন সংগ্রহ করে ( অ্যাজাটোব্যাকটর ) । ii ) মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখা গেছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবাণু মৃত্তিকার বায়ু চলাচলে উন্নতি ঘটায় । iii ) উচ্চ উদ্ভিদশ্রেণীর বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত ইন্ডোল অ্যাসেটিক অ্যাসিড ( IAA ) জীবাণুরা প্রস্তুত করে । এই সুবিধা ছাড়া কিছু কিছু জীবাণু উদ্ভিদ খাদ্য আত্মসাৎ করে ক্ষতিসাধনও করে ।

16. মৃত্তিকা অ্যারেসন কী ? ( SOIL AERATION ) । 

Ans: মৃত্তিকার বায়ু সর্বদা গতিময় । মৃত্তিকার বায়ু বায়ুমণ্ডল থেকে বিচ্ছিন্ন নয় । কারণ বায়ু মৃত্তিকা রঞ্জ থেকে প্রবাহিত হয়ে বায়ুমণ্ডলে মিলিত হয় । আবার বায়ুমণ্ডলের বায়ু মৃত্তিকা রন্ধ্রেও প্রবেশ করে । এইভাবে বায়ুমণ্ডল থেকে মুত্তিকারন্দ্র ও মৃত্তিকারঞ্জ থেকে বায়ু বায়ুমণ্ডলে চক্রাকারে আবর্তিত হতে থাকে । বায়ুর এই চক্রাকার আবর্তনকে মৃত্তিকা অ্যারেসন বলে । গুরুত্ব : উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য মাটির অ্যারেসন খুব দরকার ।

17. মাটির ক্ষেত্রক্ষমতা কী ? ( FIELD CAPASITY )

Ans: মাটির আর্দ্রতা বা জলকণা সমষ্টি উদ্ভিদ বা মাটির সম্পর্কিত ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে । উদ্ভিদ তার প্রয়োজনীয় প্রায় সমস্ত জল মাটিস্থিত জলকণা সমষ্টি থেকে সংগ্রহ করে । অভিকর্ষজ প্রভাবযুক্ত অবস্থায় মাটির সূক্ষ্ম রন্ধ্রে যে জল সঞ্চিত থাকে সেই অবস্থাকে মাটির ক্ষেত্রক্ষমতা বলে ।

18. উইলটিং পয়েন্ট ( WILTING POINT ) । 

Ans: কোন উদ্ভিদের মৃত্তিকা থেকে জল শোষণের একটি ক্ষমতা আছে । যখন উদ্ভিদের উৎপত্তির জন্য প্রয়োজনীয় জলের অভাব দেখা যায় ও গাছের স্বাভাবিক অবস্থা বিঘ্নিত হয় ; সেই অবস্থাকে বিশুদ্ধীভবন বা উইলটিং পয়েন্ট বলে । এই অবস্থা উদ্ভিদের পক্ষে সব দিক দিয়েই হানিকারক ।

19. জলের স্থিতিপুঞ্জ কী ? ( WATER STABLE AGGREGATE ) 

Ans: কোন অঞ্চলে নিয়মিত বৃষ্টিপাত ও বাষ্পীভবনের মধ্যে সামঞ্জস্য এবং ভৌম জলস্তরের মাটির অগভীরে অবস্থানের ফলে অনেক সময় উদ্ভিদের গ্রহণের উপযোগী জল মাটিতে দীর্ঘ সময়ব্যাপী স্থিতিশীলভাবে অবস্থান করে । জলের এই বিশেষ অবস্থানকে Water Stable Aggregate বা জলের স্থিতিপুঞ্জ বলে ।

20. মৃত্তিকার ঘনত্ব কী ? ( SOIL DENSITY ) । 

Ans: কোন দ্রব্যের একক আয়তনের ওজনকে এর ঘনত্ব বলে । জল , কোয়ার্জট , সীসা ও পারদের ঘনত্ব যথাক্রমে 1.0 , 2.6 , 11.3 13.5 মান / ঘন সেমি । ঘনত্ব পরিমাপ বিষয়ে জলকে রেফারেন্স হিসাবে ধরা হয় । কোয়ার্জট খনিজের ঘনত্ব 2.6 । খনিজ মাটির ঘনত্ব জলের চেয়ে বেশি কিন্তু জৈব মাটির ঘনত্ব জলের চেয়ে কম হয় । মৃত্তিকার ঘনত্বকে গ্রাম প্রতি ঘন সেমি দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।

21. মুক্তিকার উষ্ণতা কী ? ( SOIL TEMPERATURE ) । 

Ans: মৃত্তিকার ঢাল , আর্দ্রতা , বর্ণ ও গভীরতার উপর ভিত্তি করে মৃত্তিকার যে বিভিন্ন তাপের হেরফের হয় তাকে মৃত্তিকার উষ্ণতা বলে ।

i ) শস্য উৎপাদনে মৃত্তিকার তাপমাত্রার নির্দিষ্ট প্রভাব রয়েছে । ii ) বীজের অঙ্কুরোদগম , মৃত্তিকার জীবাণুদের কার্যপ্রণালী মুক্তিকার উন্নতার উপর নির্ভর করে । iii ) মৃত্তিকার সামগ্রিক উন্নতিতে মৃত্তিকার উন্নতা অপরিহার্য ।

22. মুত্তিকা লবণতা কী ? ( SOIL SALINITY ) 

Ans: শুষ্ক অঞ্চলে , জলাভূমি , সমুদ্রতীরবর্তী বা অন্যান্য লবণহ্রদ তীরবর্তী আবহবিকারের ফলে ও রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিনিময়যোগ্য লবণ ও সোডিয়াম উভয়েরই কেন্দ্রীভবনের ফলে লবণ সৃষ্টি হয় । লবণাস্ত মৃত্তিকা উদ্ভিদের নানাভাবে ক্ষতি করে । অতিরিক্ত ভবণের অসমোটিক চাপ বেশি থাকে ফলে অঙ্কুরোদগম সাময়িকভাবে বা অনির্দিষ্টকালের জন্য হতে পারে না । লবণাক্ত মুক্তিকায় হ্যালোফাইট জাতীয় উদ্ভি জন্মায় ।

23. মুস্তিকার উর্বরতা কী ? ( SOIL FERTILITY ) 

Ans: উদ্ভিদের জন্য আবশ্যিক পুষ্টি উপাদানসমূহ সুষম পরিমাণে বিষাক্ত দ্রব্যযুক্ত সরবরাহ করার জন্মগত ক্ষমতাকে মৃত্তিকার উর্বরতা বলে । বৈশিষ্ট্য : ( i ) মৃত্তিকার উর্বরতা মৃত্তিকার প্রথনের উপর নির্ভরশীল । ( ii ) মৃত্তিকার উর্বরতা উৎপাদন ক্ষমতার উপর নির্ভরশীল নয় । ( iii ) সমস্ত উদ্ভিদ মৃত্তিকায় চাষবাস করা যাবে তার নিশ্চয়তা নেই । গুরুত্ব : মৃত্তিকার উর্বরতাতে সমস্ত পুষ্টিমৌল সন্নিবিষ্ট থাকে ।

24. মৃত্তিকার সংহতি কী ? ( SOIL INTEGRATION ) । 

Ans: মৃত্তিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌতধর্ম মৃত্তিকার সংহতি । মৃত্তিকা কণার মধ্যে পারস্পরিক যে আকর্ষণ বলা নিহিত থাকে ; ত াকে মৃত্তিকার সংহতি বলে । বৈশিষ্ট্য : i ) মৃত্তিকা জল , Fe , AI , O , দ্বারা ইহা নির্ভরশীল । ii ) এর দ্বারা মৃত্তিকার আঠালোভাব প্রকাশ করা হয় । গুরুত্ব : মৃত্তিকার প্রথন এর দ্বারা নির্ভরশীল ।

25. মৃত্তিকার আসঞ্চন কী ? ( SOIL COHESON FORCE ) 

Ans: মৃত্তিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌতধর্ম মৃত্তিকার আসঞ্জন । মৃত্তিকার কণাসমূহের পৃষ্ঠদেশ যে বলের প্রভাবে জলে আবিষ্ট থাকে ; সেই বল বা ক্ষমতাকে আসঞ্জন বল বলে । মৃত্তিকার আসান বলের প্রভাবেই মৃত্তিকার কৌশিক জল অনুরন্ত্রের মধ্যে দিয়ে নিম্ন থেকে উর্ধ্বে উঠতে পারে । মৃত্তিকা অনুযায়ী এই ধর্মের বিভিন্নতা ঘটে ।

26. শারীরবৃত্তীয় শুল্ক মৃত্তিকা কী ? ( PHYSIOGRAPHIC DRY SOIL ) 

Ans: লবণাক্ত মাটিতে পর্যাপ্ত জল থাকা সত্ত্বেও উদ্ভিদ জল গ্রহণ করতে পারে না । কারণ অভিস্রবণের মূলনীতি অনুযায়ী কোষরসের ঘনত্ব ( Ccu Sap ) মাটির দ্রবণের অপেক্ষা বেশি হলে উদ্ভিদ মূল মাটি থেকে জল শোষণ করতে পারে । কিন্তু লবণাক্ত মাটিতে দ্রবণের ঘনত্ব বেশি হওয়ায় কোষরসেই বহিঃ অভিস্রাবণ ( Exosmosis ) প্রক্রিয়াটি বের হয়ে আসে ও প্রোটোপ্লাজমের সঙ্কোচন ঘটে । তার ফলে উদ্ভিদ মরে যায় । এই কারণে লবণাক্ত মাটিকে শারীরবৃত্তীয় শুষ্ক মৃত্তিকা বলে ।

27. মৃত্তিকার সছিদ্রতার ( SOIL POROSITY ) গুরুত্ব লেখো । 

Ans: উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও শস্য উৎপাদনে মৃত্তিকার সছিদ্রতার গুরুত্ব অধিক । কারণ— A ) উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় জল শোষণ করে মৃত্তিকার ছিদ্রের জলের মধ্যে থাকে । B ) মৃত্তিকাস্থিত জীব যে পরিমাণ O গ্রহণ করে , তা বায়ুমণ্ডল থেকে আসে এই ছিদ্রপথ ধরে । C ) মৃত্তিকাস্থ জীবাণুর ঘোরাফেরার স্থান অনুছিদ্র রঞ্জ । D ) মৃত্তিকার জল ওই ছিদ্রপথ দিয়ে ওঠানামা করে ।

FILE INFO : মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম – Physical And Chemical Properties Of Soil | জীব ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Biogeography – Geography)

File Details:

PDF Name : মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম – Physical And Chemical Properties Of Soil | জীব ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Biogeography – Geography)

Price : FREE

Download Link : Click Here To Download

INFO : Geography – Biogeography – Question and Answer | ভূগোল – জীব ভূগোল – মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম (Physical And Chemical Properties Of Soil) প্রশ্নোত্তর

” ভূগোল (Geography) – জীব ভূগোল (Biogeography) – মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম – Physical And Chemical Properties Of Soil “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক বিভিন্ন শ্রেনীর পরীক্ষা (Class 5, 6, 7, 8, 9,  Madhyamik, Class 11, Higher Secondary – HS, College & University Exam) এবং বিভিন্ন চাকরির (WBCS, WBSSC) পরীক্ষায় এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে BhugolShiksha.com এর পক্ষ থেকে ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নো ও উত্তর উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস  ভূগোল (Geography) জীব ভূগোল (Biogeography) – মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম – Physical And Chemical Properties Of Soil / মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম সংক্ষিপ্ত ছোট প্রশ্ন ও উত্তর / মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Physical And Chemical Properties Of Soil (Biogeography – Geography)  SAQ / Short Question and Answer / মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Physical And Chemical Properties Of Soil (Biogeography – Geography) Quiz / মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Physical And Chemical Properties Of Soil (Biogeography – Geography) QNA / মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Physical And Chemical Properties Of Soil (Biogeography – Geography) Question and Answer FREE PDF Download ) পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর সফল হবে।

মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Physical And Chemical Properties Of Soil (Biogeography – Geography) Question and Answer in Bengali

আশা করি এই ” মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Physical And Chemical Properties Of Soil – Biogeography Geography ”  পোস্টটি থেকে উপকৃত হয়েছেন। স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ডিজিটাল মাধ্যম BhugolShiksha.com । এর প্রধান উদ্দেশ্য পঞ্চম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী, মাধ্যমিকউচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত বিষয় এবং গ্রাজুয়েশনের শুধুমাত্র ভূগোল বিষয়কে  সহজ বাংলা ভাষায় আলোচনার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে সহজ করে তোলা।

মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Physical And Chemical Properties Of Soil (Biogeography – Geography)

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” মৃত্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Physical And Chemical Properties Of Soil (Biogeography – Geography) ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই আমাদের ভূগোল শিক্ষা – Bhugol Shiksha – BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। ভূগোল বিষয়ে যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইটটি ফলাে করুন এবং নিজেকে ভৌগোলিক  তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন , ধন্যবাদ।