নবম শ্রেণী
পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনাে স্থানের অবস্থান নির্ণয়

1 . নিরক্ষরেখা কাকে বলে ?
উঃ সুমেরু বিন্দু ও কুমেরু বিন্দু থেকে সমান দূরে পৃথিবীর ঠিক মাঝখানে যে কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখাটি পৃথিবীকে পূর্ব – পশ্চিমে বেষ্টন করে আছে , তাকে নিরক্ষরেখা বলে ।
2 . নিরক্ষরেখার মান কত ?
উঃ শূন্য ( ০ ) ডিগ্রী ।
3 . নিরক্ষরেখার অপর নাম কী ?
উঃ বিষুবরেখা ।
4 . কাকে কেন মহাবৃত্ত বলা হয় ?
উঃ নিরক্ষরেখার কেন্দ্র এবং পৃথিবীর কেন্দ্র একই বিন্দু , ফলে রেখাটির কোণের মান শূন্য ( 0 ) ডিগ্রী । এজন্য রেখাটির নাম নিরক্ষরেখা । নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণ এই দুটি সমান গােলার্ধে ভাগ করে । এজন্য একমাত্র নিরক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত বলে ।
5 .অক্ষাংশ কাকে বলে ?
উঃ ভূ – পৃষ্ঠের কোনাে জায়গা থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত একটি সােজা রেখা বা ব্যাসার্ধ টানলে ঐ রেখা নিরক্ষীয় তলের সঙ্গে যে কোণ তৈরি করে সেই কোণই হল সেই জায়গার অক্ষাংশ ।
6 .কলকাতার অক্ষাংশ কত ?
উঃ ২২ ডিগ্রী ৩০ মিনিট উত্তর ।
7 .অক্ষরেখা কাকে বলে ?
উঃ নিরক্ষরেখার উভয়দিকে ভূ – পৃষ্ঠকে পূর্ব পশ্চিমে বেষ্টন করে থাকা সম – অক্ষাংশযুক্ত কাল্পনিক রেখাগুলিকে বলে অক্ষরেখা বা সমাক্ষরেখা ।
৪ .প্রতিটি অক্ষরেখার কোণের সমষ্টি কত ?
উঃ ৩৬০ ডিগ্রী ।
9 . কর্কটক্রান্তি রেখা কী ?
উঃ নিরক্ষরেখার উত্তরে ২৩ ( সাড়ে ২৩ ) ডিগ্রী কৌণিক দুরত্বে অঙ্কিত কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখাটিকে বলে কর্কটক্রান্তি রেখা বলে ।
10 . মকরক্রান্তি রেখা কী ? উঃ নিরক্ষরেখার দক্ষিণে ২৩ . ৫ ( সাড়ে ২৩ ) ডিগ্রী কৌণিক দূরত্বে অঙ্কিত বৃত্তাকার কাল্পনিক রেখাটির নাম মরকক্রান্তি রেখা ।
11 . সুমেরু বৃত্ত কী ?
উঃ নিরক্ষরেখার উত্তরে ৬৬ . ৫ ( সাড়ে ৬৬ ) । ডিগ্রী কৌণিক দূরত্ব অঙ্কিত কাল্পনিক বৃত্তাকার । রেখাটির নাম সুমেরুবৃত্ত ।
12 . কুমেরু বৃত্ত কী ?
উঃ নিরক্ষরেখার দক্ষিণ ৬৬ . ৫ ( সাড়ে ৬৬ ) ডিগ্রী কৌণিক দূরত্ব অঙ্কিত কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখাটির নাম সুমেরুবৃত্ত ।
13 . মূল মধ্যরেখা কোন শহরের উপর দিয়ে টানা হয়েছে ?
উঃ গ্রীনিচ শহরের রয়াল অবসার্ভেটরী – র উপর দিয়ে ।
14 . মূলমধ্যরেখার মান কত ?
উঃ শূন্য ( ০ ) ডিগ্রী ।
15 . দ্রাঘিমা বা দ্রাঘিমাংশ কাকে বলে ?
উঃ মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্বদিকে বা পশ্চিমদিকে অবস্থিত কোন স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের দ্রাঘিমা বা দ্রাঘিমাংশ বলে ।
16 . দ্রাঘিমারেখা কাকে বলে ?
উঃ সুমেরু বিন্দু থেকে কুমেরু বিন্দু পর্যন্ত ভু – পৃষ্ঠের ওপর উত্তর – দক্ষিণে বিস্তৃত অর্ধ বৃত্তাকার কাল্পনিক রেখাগুলিকে দ্রাঘিমারেখা বলে ।
17 . দ্রাঘিমারেখাকে দেশান্তর রেখা বলা হয় কেন ?
উঃ দ্রাঘিমারেখার সাহায্যে পূর্বে বা পশ্চিমে কোন দেশের অবস্থান নির্ণয় করা হয় বলে । দ্রাঘিমারেখাকে দেশান্তর রেখাও বলে ।
18 . প্রত্যেকটি দ্রাঘিমার কোণের সমষ্টি কত ?
উঃ ১৮০ ডিগ্রী ।
19 . কলকাতার দ্রাঘিমা কত ?
উঃ ৮৮ ডিগ্রী ৩০ মিনিট পূর্ব ।
20 . ১ ডিগ্রী দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য কত হয় ?
উঃ ৪ মিনিট ।
21 . গ্রীনিচের দ্রাঘিমা কত ?
উঃ শূন্য ( ০ ) ডিগ্রী ।
22 . ভারতের প্রামাণ্য দ্রাঘিমা কত ?
উঃ ৮২ ডিগ্রী ৩০ মিনিট ।
23 . আন্তর্জাতিক তারিখরেখার মান কত ?
উঃ ১৮০ ডিগ্রী ।
24 . নিরক্ষরেখায় ১ ডিগ্রী অন্তর দুটি দ্রাঘিমারেখার রৈখিক ব্যবধান কত ?
উঃ ১১৩৩ কিমি ।
25 , মেরুপ্রদেশের কাছাকাছি স্থানসমূহের অক্ষাংশকে কী বলে ?
উঃ উচ্চ অক্ষাংশ ।
26 , প্রতিটি অক্ষরেখার কোণের সমষ্টি কত ?
উঃ ৩৬০ ডিগ্রী ।
27 . মূল মধ্যরেখার দ্রাঘিমার মান কত ?
উঃ শূন্য ( 0 ) ডিগ্রী ।
28 , গ্রীনিচ শহরের ওপর দিয়ে বিস্তৃত দ্রাঘিমারেখার নাম কী ?
উঃ মূল মধ্যরেখা ।
29 . অক্ষরেখার আর এক নাম কী ?
উঃ সমাক্ষরেখা ।
30 . সর্বোচ্চ দ্রাঘিমা ও সর্বোচ্চ অক্ষাংশ কত ?
উঃ সর্বোচ্চ দ্রাঘিমা ১৮০ ডিগ্রী এবং সর্বোচ্চ অক্ষাংশ ৯০ ডিগ্রী ।
31 . কোন রেখাগুলি পৃথিবীকে পূর্ব – পশ্চিমে বেস্টন করে আছে ?
উঃ অক্ষরেখাগুলি ।
32 . শূন্য ( ০ ) ডিগ্রী দ্রাঘিমারেখাটির নাম কী ?
উঃ মূল মধ্যরেখা ।
33 . কোন জায়গার স্থানীয় সময়কে ভারতের প্রমাণ সময় ধরা হয় ?
উঃ এলাহাবাদের ।
34 . কলকাতা ও এলাহাবাদের স্থানীয় সময়ের পার্থক্য কত ?
উঃ ২৪ মিনিট ।
35 . কোন স্থানের অক্ষাংশ ৩০ ডিগ্রী দক্ষিণ হলে ঐ স্থানের প্রতিপাদ স্থানের অক্ষাংশ কত ?
উঃ ৩০ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ ।
36 . ক্রনােমিটার কী ?
উঃ বিশেষ ধরণের ঘড়ি ।
এই ঘড়ির মাধ্যমে গ্রীনিচের সময় জানা যায় ।
37 . কলকাতার প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা কত ?
উঃ ৯১ ডিগ্রী ৩০ মিনিট পশ্চিম ।
38 . কোন সমাক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত বলে ?
উঃ নিরক্ষরেখাকে ।
39 . কোন স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত ?
উঃ ১২ ঘণ্টা ।
40 . উত্তর গােলার্ধের কোন স্থানে ধ্রুবতারার উন্নতি ৯০ ডিগ্রী ?
উঃ উত্তর গােলার্ধের সুযেরুতে ।
41 . কর্কটক্রান্তি রেখা ও সুমেরুবৃত্তের অক্ষাংশ কত ?
উঃ কর্কটক্রান্তি রেখার অক্ষাংশ ২৩ . ৫ ডিগ্রী ( সাড়ে ২৩ ডিগ্রী ) উত্তর এবং সুমেরু বৃত্তের অক্ষাংশ ৬৬ . ৫ ডিগ্রী ( সাড়ে ৬৬ ডিগ্রী ) উত্তর ।
42 . ভারতের প্রমাণ সময় নির্ণয়ের জন্য কোন দ্রাঘিমা নির্ধারিত হয়েছে ?
উঃ ৮২ ডিগ্রী ৩০ মিনিট পূর্ব ।
43 . গ্রীনিচ সময় যন্ত্রের নাম কী ?
উঃ ক্রনােমিটার ।
44 . আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কাকে বলে ?
উঃ আন্তর্জাতিক তারিখরেখা হল এমন একটি কাল্পনিক রেখা , যে রেখাটি মােটামুটিভাবে ১৮০ ডিগ্রী দ্রাঘিমারেখা অনুসরণ করে সুমেরু থেকে কুমেরু পর্যন্ত বিস্তৃত এবং যে রেখাটিকে সাধারণভাবে পৃথিবীর বার ও তারিখের শুরু ও শেষ হিসাবে ধরা হয় ।
45 . কোন প্রণালীর মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক তারিখরেখা কল্পনা করা হয়েছে ?
উঃ বেরিং প্রণালীর মধ্যে দিয়ে ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের পােস্টটি পড়ার জন্য । এই ভাবেই ভূগোল শিক্ষা – Bhugol Shiksha এর পাশে থাকুন, ভূগোল বিষয়ে যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলাে করুন এবং নিজেকে ভৌগােলিক তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন, ধন্যবাদ।