বস্তুতন্ত্র - নীতি ও উপাদান (জীব ভূগোল - ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Ecosystem - Principales And Components (Biogeography - Geography)
বস্তুতন্ত্র - নীতি ও উপাদান (জীব ভূগোল - ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Ecosystem - Principales And Components (Biogeography - Geography)

জীব ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান | Ecosystem – Principales And Components – Biogeography (Geography) Question and Answer in Bengali

বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Ecosystem – Principales And Components (Biogeography – Geography) : জীব ভূগোল – Biogeography (ভূগোল – Geography) বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান – Ecosystem – Principales And Components প্রশ্ন ও উত্তর  নিচে দেওয়া হল। এই (বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান – Ecosystem – Principales And Components – জীব ভূগোল Biogeography – ভূগোল Geography) প্রশ্নোত্তর গুলি স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। তোমরা যারা বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান – Ecosystem – Principales And Components – জীব ভূগোল – Biogeography (ভূগোল – Geography) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর (Short Question and Answer) খুঁজে চলেছো, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নউত্তর ভালো করে পড়তে পারো।

বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান (Ecosystem – Principales And Components) জীব ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

1. বাস্তুতন্ত্রের ধর্ম কী ?

Ans: বাস্তুতন্ত্রের ধর্মগুলো নিম্নরূপ

i ) দৈশিক পরিমাপ : এর নির্দিষ্ট এলাকা থাকে ; পৃথিবীর নির্দিষ্ট স্থান অধিকার করে থাকে । ii ) সময়গত পরিমাপ : একে এক সময়গত এককে পর্যবেক্ষণ করা হয় । iii ) মুক্ত প্রণালী : ইহা এক মুক্ত প্রণালী , নিজস্ব উৎপাদনশীলতা থাকে । iv ) উপাদানের সাম্যতা : বিভিন্ন উপাদানের এক স্থায়ী সাম্য অবস্থা থাকে । v ) মূলশক্তি সূর্য : বাস্তুতন্ত্রের সকল শক্তির মূল উৎস হল সূর্য । vi ) সুগঠিত কাঠামো : এর এক সুসংগঠিত নির্দিষ্ট কাঠামো থাকে ।

2. বাস্ততন্ত্রের ভারসাম্য ও হোমিওস্টেসিস্ কী ?

Ans: বাস্তুতন্ত্রের সুস্থিরতাই হল বাস্তুতন্ত্রের সাম্য অবস্থা । এই সাম্য অবস্থা বজায় থাকে শক্তিপ্রবাহ ও বিভিন্ন পুষ্টি পদার্থের চক্রাকার আবর্তনের মাধ্যমে । এখানে সজীব উপাদানগুলো নিজেদের মধ্যে ও জড় উপাদানের সাথে এক সাম্য অবস্থা বজায় রাখে , একে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বলে । আবার পার্থিব উপাদানের পরিবর্তনে ( উষ্ণতার তাপবৃদ্ধি ; বৃষ্টির তারতম্য ) এই ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সজীব উপাদানগুলো নিজেদের মধ্যে কিছু পরিবর্তন ঘটায় । ফলে তাদের নিজেদের পরিবেশ অবিঘ্নিত থাকে । একে হোমিওস্টেসিস্ বলে ।

যেমন : গিরগিটি তার দেহের তাপমাত্রা বাড়ানোর জন্য সকালবেলা রোদ পোহায় ।

3. বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বিনষ্টের কারণ কী ? 

Ans: নানান প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণে এই ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে । যেমন— ( i ) ব্যাপক জীব বৈচিত্র্য হ্রাস । ( ii ) উদ্ভিদ বা উৎপাদকের পরিমাণ হ্রাস । ( iii ) ভূমি ব্যবহারে ও কৃষি পদ্ধতির পরিবর্তন । ( iv ) বিদেশী ও বিজাতীয় উদ্ভিদের প্রবর্তন । ( v ) ভূমিক্ষয় , কীটনাশক , রাসায়নিক সারের ব্যবহার বৃদ্ধি ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি এই ভারসাম্য বিনষ্টের কারণ ।

4. What is Scale Of Ecosystem ?

Ans: ODUM- এর পরিবেশতন্ত্রের কার্যকারিতা ও জৈব পদার্থ উৎপাদনের দক্ষতা বিচার করতে পরিবেশতান্ত্রিক স্কেলের প্রস্তাব করেছেন । জৈব পদার্থ উৎপাদনের দক্ষতা অনুসারে সর্ববৃহৎ পরিবেশতন্ত্রগুলোকে মহাদেশীয় পরিবেশতন্ত্র বলে ।

উদাহরণ : আমাজন উপত্যকার মহাদেশীয় পরিবেশতন্ত্র । এই পরিবেশতন্ত্রকে উচ্চতা , মৃত্তিকা স্কেলে বিভাজন করা যায় ।

5. বায়োস্ফিয়ার গঠনকারী অংশসমূহ গুলি কী কী ?

Ans: A ) অজীব অংশ : ইহা তিনটি অংশে বিভক্ত : ( 1 ) বায়ুমণ্ডল ( Atmosphere ) : সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বিস্তৃত 16-29 হাজার কিমি পর্যন্ত গ্যাসীয় আবরণ । ( 2 ) লিথোস্ফিয়ার ( Lithosphere ) : পৃথিবীপৃষ্ঠের 20 কিমি পুরু শক্ত অংশ বিশেষ । এই অংশের মৃত্তিকা স্তরটিতে মূলত জীব বাস করে । ( 3 ) হাইড্রোস্ফিয়ার : পৃথিবী পৃষ্ঠের প্রায় 71 % অংশ জল দ্বারা আবৃত । B ) সজীব উপাদান : সমস্ত জীবকুল । স্থায়িত্ব : সৌরশক্তির উপর এর স্থায়িত্ব নির্ভর করে ।

6. জীবমণ্ডল কী ? (What is Biosphere ? ) 

Ans: গ্রীক শব্দ ‘ Bios ‘ এর অর্থ “ জীবন ” ও “ Sphere ” এর অর্থ হল “ ক্রিয়াশীল অঞ্চল ” । সাধারণভাবে জীবমণ্ডল বলতে বোঝায় পৃথিবী ও তার পরিমণ্ডলের যে অঞ্চল জীবগোষ্ঠী ও ভৌত পরিবেশের সঙ্গে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া করে , জীবন ধারণের উপযোগী হয় সেই অঞ্চলকে জীবমণ্ডল বলে । বিজ্ঞানী জে . টিভি , ( J. Tivy ) তাঁর “ বায়োজিওগ্রাফি ” গ্রন্থে জীবমণ্ডলের সংজ্ঞায় বলেছেন যে , “ জীবমণ্ডল একটি সামগ্রিক এলাকা । পৃথিবীর জল , মাটি , বাতাস যেখানেই প্রাণের অস্তিত্ব আছে তা ‘ জীবমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত । ” শ্রেণি — বৈশিষ্ট্য অনুসারে ইহা দুই ভাগে বিভক্ত । pate and The 32 ( a ) পেডোবায়েস্ফিয়ার বা স্থলভাগের জীবমণ্ডল । ( b ) হাইড্রোবায়োস্ফিয়ার বা জলভাগের জীবমণ্ডল । বিস্তার — পৃথিবীর জীবমণ্ডল সমুদ্রগর্ভের 7 কিমি ও সমুদ্র পৃষ্ঠের 6 কিমি উপর পর্যন্ত অর্থাৎ মোট 13 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত । অবশ্য নাসার বিজ্ঞানীরা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 15 কিমি উচ্চতা পর্যন্ত প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন ।

7. What is Feed Back ?

Ans: Feed Back হল প্রণালী পদ্ধতির এক নিয়ন্ত্রক । হোমিওস্ট্যাটিক প্রণালীতে বহুধরণের ধনাত্মক Feed Back আছে যা প্রতিসাম্যে আসতে সাহায্য করে । যেমন — এক ধরণের ব্যাকটিরিয়া নাইট্রোজেনজাত ব্যাকটিরিয়াকে প্রতিঘাত করে ।

ধনাত্মক Feed Back এ নিরপেক্ষ প্রক্রিয়া সৃষ্টি করে , যেমন — উঃ গোলার্ধে উচ্চ – মধ্য অক্ষাংশে শীত – গ্রীষ্মে বরফ গলে যায় , যা প্রধানত উচ্চ অ্যালবেডোর জন্য হয় ।

8. স্বাভাবিক আবাস কী ? (What is Habitate ?) 

Ans: পৃথিবীর জল , আলো , বাতাস , উয়তা এবং মৃত্তিকাকে নিয়ে কোন জীবের যে বাসস্থান করার উপযুক্ত । পরিবেশ সৃষ্টি হয় তাকে বলা হয় স্বাভাবিক আবাস । এখানে বিশেষ প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী বসবাস করে । বিশেষ বিশেষ পরিবেশে এরা অভিযোজন করে বসবাস করে । ভূ – পৃষ্ঠের স্থলভাগের উপর বিভিন্ন ভূমিরূপের বৈশিষ্ট্য যথা পাহাড় , পর্বত , মালভূমি , জলাভূমি প্রভৃতি স্থানে কোন জীবের আবাসস্থলে পরিলক্ষিত হয় ।

9. রাসংস্থান বা ইকোলজি কী ?

Ans: গ্রীক শব্দ ‘ OIKOSLOGY ‘ থেকে ‘ ECOLOGY ‘ কথাটি এসেছে । যার ‘ OIKOS ‘ অর্থ ‘ গৃহ ‘ ‘ LOGY ‘ অর্থ ‘ বিজ্ঞান ‘ । যার আক্ষরিক অর্থ জীবসমূহের বিভিন্ন আবাস বা বাস্তু সম্পর্কে অধ্যয়ন । পরিবেশ বিজ্ঞানী ওডামের কথায়– ” Ecology is the Study of Man , Animal Plants and Organism at Home . ” পরিবেশ বিজ্ঞানের অভিধানে ‘ বাস্তুসংস্থানের ‘ সংজ্ঞা হল – ‘ জীবসমূহের পারস্পরিক এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্কের সমীক্ষা । আবার ওয়েবস্টারের মূল অভিধান অনুযায়ী ‘ বাস্তুসংস্থান হল জীব ও পরিবেশের সম্পর্কের ধরনসমূহের সমগ্রভাবে বিদ্যা বা বিজ্ঞান । আর্নেস্ট হেলে সর্বপ্রথম ‘ ইকোলজি ‘ কথাটি ব্যবহার করেন ।

10. অসম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্র কী ?(What is Incomplete Ecosystem )

Ans: যে বাস্তুতন্ত্রে বাস্তুতন্ত্রের উপাদানগুলো যেমন— জড় উপাদান , সজীব উপাদানের মধ্যে স্বভোজী , পরভোজী এবং বিয়োজন প্রভৃতি উপাদানগুলোর মধ্যে এক বা দুই উপাদান উপস্থিত থাকে না তাকে অসম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্র বলে ( Southwick , 1976 ) । উদাহরণসহ ব্যাখ্যা : গভীর সমুদ্র অঞ্চলে পরভোজী খাদকের সংখ্যা ও বিয়োজকের সংখ্যা বেশি । সূর্যালোকের অভাবে উদ্ভিদ জন্মায় না এখানে । তাই সমুদ্রের গভীর অঞ্চল অসম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্রে পরিণত হয়েছে ।

মেমরী প্লাস : গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন গুহায় বিয়োজকের অভাবে অপূর্ণ বাস্তুতন্ত্র গঠিত হয়েছে । আবার বরফাচ্ছন্ন তুষারভূমির নিম্নেও অসম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্রের প্রকৃষ্ট নিদর্শন দেখা যায় ।

11. অটোইকোলজি ( AUTECOLOGY ) ও সিন্‌ইকোলজি ( SYNECOLOGY ) কী ?

Ans: বাস্তুতন্ত্র দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত । যথা — অটোইকোলজি ও সিন্‌ইকোলজি । একটি নির্দিষ্ট জীব বা একটি প্রজাতির ইকোলজি সম্পর্কিত আলোচনাকে অটোইকোলজি বলে । যেমন— একটি অরণ্যের একটি ইউক্যালিপটাশ বৃক্ষ বা বৃক্ষের প্রজাতির বাস্তুসংস্থান অধ্যয়ন । অন্যদিকে সিন্‌ইকোলজি বলতে বোঝায় একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের জীবসম্প্রদায়ের ইকোলজি সম্পর্কিত আলোচনা । সিন্‌ইকোলজি চার প্রকার । যথা- কমিউনিটি ইকোলজি , পপুলেশন ইকোলজি , বায়োম ইকোলজি ও ইকোসিস্টেম ইকোলজি । কোন একটি অরণ্যের সমস্ত বৃক্ষের প্রজাতি অধ্যয়ন সিন্‌ইকোলজির অন্তর্গত ।

12. ইকোটন কী ? ( What is Ecotone ? ) 

Ans:  ‘ Ecotone ‘ অর্থ ‘ TRANSITION ZONE ‘ যখন কোন ভিন্নধর্মী বাস্তুতন্ত্র অঞ্চলসমূহ পৃথক পৃথকভাবে না থেকে একে অপরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের সাথে উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈশিষ্ট্যগুলি ধীরে ধীরে । অঞ্চলকে ইকেটিন বলে । পরবর্তী বায়মের সাথে মিশে যায় , তখন সেই দুই ভিন্নধর্মী সংক্রমণগত

বৈশিষ্ট্য : i ) বিভিন্ন বাস্তুতান্ত্রিক অঞ্চলের মধ্যে কোন নির্দিষ্ট অরণ্য সীমারেখা টানা যায় না ।

ii ) দুটি বায়মের মধ্যবর্তী অঞ্চলের উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রকৃতি প্রায় সমরূপ সম্পর্কযুক্ত হয় ।

উদাহরণ : নাতিশীতোয় বনভূমি ও সাভানা তৃণভূমির পরিবর্তনশীল অঞ্চল জীববৈচিত্র্যে ভরপুর ।

13. জৈবপ্রণালী কী ?

Ans: যে নির্দিষ্ট প্রণালীর মাধ্যমে কোন আবাসভূমির অন্তর্গত উদ্ভিদকূল নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য পরিবেশ ও মৃত্তিকা হতে পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করে এবং প্রাণীকূল ঐ প্রাকৃতিক পরিবেশের অন্তর্গত উদ্ভিদকূল হতে পুষ্টি উপাদান সরাসরি সংগ্রহ করে , সেই পারস্পরিক ক্রিয়া – প্রতিক্রিয়াটিকে জৈবপ্রণালী বলে ।

14. মোট প্রাথমিক উৎপাদন বা G. P. P. ( GROSS PRIMARY PRODUCTION ) কী ?

Ans: শক্তির মূল উৎস সূর্য ( 12.3 x 1022 কিলোক্যালোরি ) । এই শক্তি সালোকসংশ্লেষ দ্বারা ( 0.1 % ) উৎপাদকের দেহে স্থৈতিক শক্তি হিসাবে জমা হয় ও এই আবদ্ধ শক্তিকে মোট প্রাথমিক উৎপাদন বা G. P. P. বলে । এই মোট প্রাথমিক উৎপাদন হল

6C02 + 12H2O , সূর্যালোক ক্লোরোফিল > C6H12O6 + 6H2O + 602 + 613 K.Cal GPP মাপা হয় — জীবভর / একক সময় / একক আয়তন ।

15. আঞ্চলিক সীমাবদ্ধতা ( Endemosm ) ও আঞ্চলিক সীমাবদ্ধ প্রজাতি কী ?

Ans: যদি কোন প্রজাতি পৃথিবীর কোন সুনির্দিষ্ট ক্ষুদ্র অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকে এবং ঐ অঞ্চলের বাহিরে ঐ প্রজাতির অন্তর্গত জীবগুলি যদি পৃথিবীর আর কোথাও প্রাকৃতিক পরিবেশে না পাওয়া যায় , তবে ঐ প্রজাতিকে আঞ্চলিক সীমাবদ্ধ প্রজাতি ( Endemic Species ) এবং ঐ ঘটনাকে আঞ্চলিক সীমাবদ্ধতা ( Endemism ) বলে ।

কারণ : মাটি , আবহাওয়া ও জলবায়ুর জন্য ( Endemism ) ঘটে ।

গুরুত্ব আঞ্চলিক সীমাবদ্ধ প্রজাতিগুলি জীববৈচিত্র্যের ( Biodiversity ) একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং সংরক্ষণের জন্য চূড়ান্ত অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য , কারণ ঐ স্থান থেকে অবলুপ্ত হলে পৃথিবী থেকে চিরতরে অবলুপ্ত হবে । উদ্রাহরণ : ভারতের ২ টি Endemic Species হল ( 1 ) এশিয়ার সিংহ ( Panthera leo persica ) শুধুমাত্র গুজরাটের গির অরণ্যে সীমাবদ্ধ । ( 2 ) মুগা মথ ( Antherac assamensis ) শুধুমাত্র অসমের কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ ।

16. প্রকৃত প্রাথমিক উৎপাদন বা N. P. P. ( Net Primary Production ) । 

Ans: সালোকসংশ্লেষে মোট প্রাথমিক উৎপাদন শক্তির কিছুটা পরিমাণ শক্তি উদ্ভিদের শারীরবৃত্তীয় কাজে ( শ্বসন ) ব্যবহৃত হয় । উৎপাদকের কাজে লাগার পর অবশিষ্ট সজ্জিত শক্তিকে নীট প্রাথমিক উৎপাদন বা N. P. P. বলে ।

মোট প্রাথমিক উৎপাদনের 50-80 শতাংশ হল আসল প্রকৃত উৎপাদন ।

17. BIOTA কী ?

Ans: একটি অঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির জীব অবস্থান করে । এরূপ বিভিন্ন জীব প্রজাতির উপস্থিতিগত বিবরণকে BIOTA বলে । কোন অঞ্চলের সমস্ত উদ্ভিদ , গুল্ম , ব্যাকটিরিয়া , প্রাণীর প্রজাতিগত সংখ্যা প্রভৃতি BIOTA- এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ।

গুরুত্ব : BIOTA তথ্যনির্ভর অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ঠিক করা হয় । জৈবমণ্ডলের গঠন সম্পূর্ণভাবে বিচার ও তথ্য বিশ্লেষণের জন্য BIOTA ব্যবহার করা হয় ।

18. ইকোলাইন কী ?

Ans: কোন বিশেষ অঞ্চলে দুই বা তিনটি জৈবমণ্ডল মিশ্র অবস্থায় থাকে । আসলে জলবায়ুর পরিবর্তনের সাথে সাথে যখন প্রজাতির পরিবর্তন ঘটে তখন এরূপ অবস্থা ও আঞ্চলিক বিস্তৃতিকে ইকোলাইন বলে । যেমন : i ) হিমালয়ের পার্বত্য ঢালে 0-300 মিটার উচ্চতায় – শাল , সেগুন , শিশু দেখা যায় । ii ) 300-1000 মিটার উচ্চতায় শালের সাথে সেগুন , খয়ের বৃক্ষ দেখা যায় । iii ) 1000-2000 মিটার উচ্চতায় – পাইন , বীচ একত্রে থাকে । এরুপ সম্মিলিত মিশ্রণ ক্রান্তীয় পর্ণমোচী ও নাতিশীতোর চিরহরিতের সীমারেখাকে Ecoline বলে ।

18. ( NITCHE ) বা প্রকৃত বাসস্থান কী ?

Ans: যখন এক বিশেষ শ্রেণীর প্রজাতি খাদ্যশৃঙ্খলের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক স্থানের কোন অবস্থান করছে তাকে তখন ঐ প্রজাতির প্রকৃত বাসস্থান বলে । জন সডিওয়েল একটি ছোট নদীর মধ্যে বসবাসকারী প্রজাতির খাদ্যশৃঙ্খল যেমন আছে তেমনি শক্তির প্রবাহস্তরও লক্ষ্য করা যায় । আবার বিভিন্ন প্রজাতির শক্তি প্রবাহ স্তরও দেখা যায় । প্রজাতিগুলো শক্তির প্রবাহ স্তরগুলোর মধ্যে বিশেষ স্থান অধিকার করে । এরূপ শক্তিপ্রবাহ বছরের মধ্যে বিশেষ প্রজাতির অবস্থানকে সেই প্রজাতির NITCHE বলে ।

19. Endimism কী ?

Ans: বিভিন্ন পরিবেশ বৃদ্ধির উপযুক্ত সাহায্য পেলেও প্রজাতিগুলো সেরূপ সুযোগ সুবিধা পায় না । এরুপ বিশেষ পরিবেশে পরিবেশগত বিশেষ প্রজাতির সুবিধাকে ENDIMISM বলে । ENDIMISM – G একটি বিশেষ প্রজাতি বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চলে বিশেষ কারণবশত মাটি অথবা আবহাওয়ার দরুণ সেই অঞ্চলেই কেন্দ্রীভূত হয় ।

20. Climax কী ?

Ans: কোন সুনির্দিষ্ট পরিণত প্রজাতি সেখানকার আবহাওয়া এবং মৃত্তিকার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সর্বোচ্চ পরিণতি লাভ করে তখন তাকে CLIMAX বলে ।

21. Rad Diation Absorved Dose ) কী ?

Ans: যে পরিমাণ সূর্যরশ্মি কোন জীব প্রধানত উদ্ভিদ গ্রহণ করে তাকে শক্তিতে প্রকাশ করা হয় ( eng / gm . ) দ্বারা । ঐ সুনির্দিষ্ট কোষ বা পদার্থের ওজনকে RAD বলে ।

22. Population কী ?

Ans: কোন সুনির্দিষ্ট স্থানের একই প্রজাতির নিজেদের মধ্যে সদা ক্রিয়ারত পৃথক পৃথক জৈবসত্তাকে Population বলে । Population শব্দটি লাতিন Populus থেকে এসেছে । সাধারণভাবে Population বলতে বোঝায় কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে একই প্রজাতির যত জীব বসবাস করে তাদের মোট সংখ্যা । পপুলেশনে অবস্থিত জীবগুলির মধ্যে জিনের আদান প্রদান সম্ভব অর্থাৎ স্বাভাবিক প্রজননের ফলে ঐ জীব উৎপাদন সম্ভব ।

উদাহরণ : 2010 সালে সুন্দরবন অঞ্চলে বাঘের সংখ্যাই হল ঐ স্থানে বর্তমান বাঘের Population .

23. ক্যাটালেজম ( Ketabalism ) বা অপচিতি বিপাক কী ?

Ans: ক্যাটাবলেজম পদ্ধতির দ্বারা প্রাণীরা খাদ্যকে ভেঙে দেয় এবং জটিল খাদ্যবস্তু নিজেদের কাজে লাগায় । এই ভাঙনের পৃথক প্রক্রিয়াকে বলে ক্যাটাবলেজম । এই প্রক্রিয়ায় জীবদেহের শুষ্ক ওজন হ্রাস পায় । উদাহরণ – শ্বসন ( Respiration )

24. অ্যানাবলেজম ( Anablisim ) বা উপচিতি বিপাক কী ?

Ans: অ্যানাবলেজম পদ্ধতির দ্বারা প্রাণীরা খাদ্যকে গঠন করে থাকে এবং নিজেদের দেহ গঠনের কাজে লাগায় । যা প্রাণী বৃদ্ধি ও সজীব গঠনের একান্ত প্রয়োজনীয় । যেমন , পুষ্টি ( Nutrition ) এই প্রক্রিয়ায় জীবদেহের শুষ্ক ওজন বৃদ্ধি পায় ।

25. সৌরপুকুর (Solar Pondyl) কী ?

Ans: বিশেষ প্রক্রিয়ার দ্বারা কোন পুকুর বা জলাশয়ের মধ্যে সূর্যের তাপশক্তিকে আবদ্ধ করা হয় , তাকে সৌরপুকুর বলে । পুকুরের জলে যথেষ্ট পরিমাণে সোডিয়াম ক্লোরাইড , ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম প্রভৃতি মিশিয়ে জলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করা হয় । এই জাতা সূর্যের তাপে 200 ° C পর্যন্ত উঁচু হয় । গুরুত্ব : i ) সৌরপুকুরের জল গৃহস্থালী , শিল্পকাজে ব্যবহৃত হয় । ii ) জলের উন্নতাকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয় ।

মেমরী গ্লাস : বিশ্বের বৃহত্তম সৌরপুকুর ইহায়েন্সে অবস্থিত ।

26. State কী ?

Ans: বিশেষ প্রজাতিগুলোর বৈশিষ্ট্যজাত যৌথতাকে পরিবেশতত্ব স্তর বা STATE বলে । জৈব প্রজাতির মধ্যে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সাম্যযুক্ত বিস্তৃতি বহুক্ষেত্রে দেখা যায় ; এগুলো আবার সকল সময় নাও দেখা যেতে পারে । তবে স্থানের সঙ্গে সঙ্গে এরূপ বিস্তৃতি দেখা যায় । উদাহরণ : পরিবেশতন্ত্র এরুপ স্তর নিরক্ষীয় জৈবতন্ত্রের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য ।

27.  এসচুইরাইন হ্যাবিটেট কী ?

Ans: যখন কোন জলাভূমি বা মোহনাতে অনেক জলজ উদ্ভিদ , জলাভূমির লম্বা ঘাস , প্লাটেন , ইলিস , স্যামন , মাছ , কুমিরসহ বহু জলজ প্রাণী একত্রে বসবাস করে থাকে তখন এরূপ জলজ বাস্তুতন্ত্রকে এসচুইরাইন হ্যাবিটেট বলা হয়ে থাকে । যেমন — মোহনাতে প্লাংটন , জলজ উদ্ভিদ , ঘাস , ইলিশ , মাছ , কুমীর ও অন্যান্য প্রাণী বসবাস করে জীববৈচিত্র্যে ভরপুর করেছে ।

28. প্ল্যাঙ্কটন ( Plankton ) কী ?

Ans: বাস্তুতন্ত্রের অন্তর্গত জলে ভাসমান ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আণুবিক্ষণিক জীবকুলকে প্ল্যাঙ্কটন বলে । প্ল্যাঙ্কটন প্রধানত দুই প্রকার ( 1 ) ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন ( Phytoplankton ) । ( 2 ) জুপ্ল্যাঙ্কটন ( Zooplankton ) । ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন – জলে ভাসমান আণুবিক্ষণিক উদ্ভিদগোষ্ঠীকে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন বলে । যেমন – ক্লামাইডোমোনাস , ভলভক্স , ডায়াটন , নস্টক অ্যানাবিনা ইত্যাদি । জুপ্ল্যাঙ্কটন – জলে ভাসমান ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আণুবিক্ষণিক প্রাণীগোষ্ঠীকে জুপ্ল্যাঙ্কটন বলে । যেমন — ড্যাফনিয়া , সাইপ্রিস , মাইসিস , সাইক্লপস ইত্যাদি ।

29. নেকটন (Necton) কী ?

Ans: সংজ্ঞা : যে সকল প্রাণী জলের উপরিভাগে স্বাধীনভাবে সাঁতার কেটে ঘুরে বেড়ায় তাদের নেকটন বলে ।

অর্থ : ‘ Necton ‘ একটি গ্রীক শব্দ , যার অর্থ সাঁতার ; অর্থাৎ , এরা জলে ভেসে থেকে নিজেদের ইচ্ছেমতো সাঁতার কেটে স্থান পরিবর্তন করতে পারে ।

বৈশিষ্ট্য : ( i ) নেকটন পরিবারভুক্ত সামুদ্রিক প্রাণী অতি ক্ষুদ্র এককোষী প্রাণী থেকে অতি বৃহৎ হয়ে থাকে । যেমন — নীল তিমি , দৈর্ঘ্য ৩০ মিটার । ( ii ) কিছু নেকটন প্রাণী জলের উপরিভাগে থাকলে ও জলের নীচে কিছু স্তন্যপায়ী নেকটন থাকে । যেমন – তিমি , ডুগা , মানাসি ( iii ) নেকটনদের মধ্যে কিছু উভচর প্রাণীও থাকে — সী – লায়ন , ওয়ালরাস ।

উদাহরণ : চিংড়ি , অ্যাঙ্গেল মাছ , তিমি মাছ সহ প্রায় ১৩০০ প্রজাতির নেকটন দেখা যায় ।

30. বেনথস ( Benthox ) কী ?

Ans: সংজ্ঞা : জলভাগের যে সকল প্রাণী জলভাগের তলদেশে বসবাস করে তাদের বেনথস বলে । শব্দার্থের অর্থ : ‘ Benthos ‘ একটি গ্রীক শব্দ , যার অর্থ সমুদ্রের গভীরতা ; অর্থাৎ , যে সকল প্রাণী ও উদ্ভিদ সমুদ্র তলদেশে পূর্ণ বা প্রায় নিশ্চল অবস্থায় জীবনধারণ করে তাদের বেনথস বলে । বৈশিষ্ট্য ( 1 ) এখানে বিভিন্ন সামগ্রিক উদ্ভিদ থাকে , যেমন — কোপ , রাক , ইলমাস , ডাবারল্য । ( ii ) বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণী এখানে থাকে , যেমন — কাঁকড়া , স্টারফিস , শামুক , ওয়েস্টার । ( iii ) খুবই গভীর সমুদ্রভাগে কিছু কীট অবস্থান করে । ( iv ) অধিকাংশ রেনথেসই মাটি আঁকড়ে জলভাগের তলায় অবস্থান করে ।

উদাহরণ: ঝিনুক , প্রবাল , স্পঞ্জ , সাগর কুসুম প্রভৃতি বেনথোস এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ ।

31. ফ্লোরা ( FLORA ) কী ?

Ans: ( FlORA ) বাস্তুতন্ত্রের অন্তর্গত কোন স্থানের উদ্ভিদ গোষ্ঠীকে ফ্লোরা এবং প্রাণী গোষ্ঠীকে ফনা বলা হয় । জলজ বাস্তুতন্ত্রে ফ্লোরা হল আণুবিক্ষণিক শৈবাল ( ভলভঙ্গ , ডায়াটস ) , এককোষী শৈবাল ( নাটক , অ্যানাবিনা ) বহুকোষী শৈবাল ( স্পাইরোগাইরা , কারা ) জলজ ছোট বড় উদ্ভিদ যেমন স্কুলে পানা , টোকা পানা , কচুরি পানা , ঝাঝি , হোগলা ইত্যাদি জলজ । বাস্তুতন্ত্রে ফনা হল আণুবিক্ষণিক প্রাণী ( ড্যাফনিয়া , সাইপ্রিস , মাইসিস , সাইক্লপম ) ছোট মাছ , বড় মাছ মাছরাঙা , চিল , বাজ , বক ইত্যাদি ।

32. BOD Biochemical Oxygen Demand কী ?

Ans: সংজ্ঞা : 20 ° C উয়তায় একক আয়তন কোন জলে অবস্থিত জীবাণুর জৈবিক জারণের জন্য প্রয়োজনীয় O , এর মাত্রাকে BOD বলে । সাধারণত 20 ° C তাপমাত্রায় একক পরিমাণ জলকে 5 দিন । রেখে BOD মাপা হয় । BOD মিলিগ্রাম / লিটার এককে মাপা হয় । BOD এর সাথে DO ( Dissolved Oxygen ) এর সম্পর্ক আছে । আদর্শ পানীয় জলে BOD এর মান 0.75-1.50 mg / Liter ( WHO ) । কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ নির্ধারিত BOD এর মান নিম্নরূপ- ( i ) পানীয় জল BOD সর্বাধিক —2 ন্যূনতম DO – 6 , ( ii ) স্নানের জল সর্বাধিক BOD – 3 ন্যূনতম DO – S BOD এর মান 10। দুষিত জল । BOD এর মান 20। অত্যন্ত দুষিত ।

মেমরী গ্লাস : BOD- এর পুরো নাম Biochemical Oxygen Demand ( Oxford Dictionary ) । তবে কেউ একে Biological Oxygen Demand বলে থাকেন ।

33. Cod বা Chemical Oxygen Demand কী ?

Ans: একক আয়তন কোন জলে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট রাসায়নিক জারক পদার্থ দ্বারা যে পরিমাণ জলে দ্রবীভূত জৈবপদার্থ জারিত হয় , তাকে ঐ জলের রাসায়নিক অক্সিজেন চাহিদা বা COD বলে । COD তে পটাসিয়াম ডাইক্লোমেট ( K2Cr2o , ) জারক পদার্থ ব্যবহার করা হয় । COD এর মান ও জলদূষণের সুচক হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং এর মান BOD এর মানের চেয়ে অনেক বেশী ।

34. Nudation কী ?

Ans: বন্যা , খরা , দাবানল প্রভৃতি প্রাকৃতিক কারণের দ্বারা প্রভাবিত হয় কোন এলাকার স্বাভাবিক উদ্ভিদসমূহ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে অনাবৃত , নগ্ন এলাকায় পরিণত হওয়াকে ন্যুডেশন বলে ।

35. Climax Vegetation কী ?

Ans: বাস্তুতন্ত্রে যখন উদ্ভিদের সবচেয়ে বেশি বিকাশ ঘটে , তখন তাকে ক্লাইম্যাক্স ভেজিটেশন ( CLIMAX VEGETATION ) বলে ।

বৈশিষ্ট্য : i ) বাস্তুতন্ত্রের গুণমানের আরো সমৃদ্ধি হয় । ii ) ঐ অঞ্চলের জীববৈচিত্র্যেও নতুনত্ব আসে । উদাহরণসহ ব্যাখ্যা : নিরক্ষীয় ক্রান্তীয় বৃষ্টি অরণ্যে এর প্রকৃষ্ট নিদর্শন দেখা যায় ।

36. IUCN , IBWL , EIA ও UNEP- এর সম্পূর্ণ নাম কী ?

Ans: i ) IUCN : International Union for Conservation of Nature and Natural Resource . ( ii ) IBWL : Indian Board of Wild Life . iii ) EIA : Environment Impact Assessment . iv ) UNEP : United Nations Environment Programme . v ) PAN Peroky Aceatyle Nitrate . vi ) SPM : Suspended Particulate Matter . vii ) MAB Man And Biosphere Program .

36. বাস্তুতন্ত্রের বৃহত্তম একক কী ?

Ans: বাস্তুতন্ত্রের বৃহত্তম একক হল জীবমণ্ডল বা বায়োস্ফিয়ার । NASA- এর মতে , জল ও বায়ুমণ্ডলের প্রায় 13 কি.মি. ব্যাপী যে স্তর জীবনের আধিপত্য সীমাবদ্ধ , তাকে জীবন্তর বা জীবমণ্ডল বলে । বায়ুমণ্ডল ( Atmosphere ) , জলমণ্ডল ( Hydrosphere ) এবং শিলামণ্ডল ( Lithosphere ) জীবের বাসোপযোগী অঞ্চলগুলিকে নিয়েই জীবমণ্ডল গঠিত ।

37. বাস্তুবিদ্যার প্রয়োজনীয়তা কী ?

Ans: বাস্তুবিদ্যার প্রয়োজনীয়তা হল নিম্নরূপঃ i ) বাস্তুবিদ্যা অর্থাৎ বাস্তুসংস্থান বা Ecology অধ্যয়ন করলে জনমানসে পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তোলা এবং তার প্রসার ঘটানো সম্ভব । ii ) ইকোলজি অধ্যয়ন করলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পরিবেশ ও তাদের জীব সম্প্রদায় এবং এদের পারস্পরিক সম্পর্ক সম্বন্ধে জ্ঞানলাভ করা যায় । iii ) এছাড়া ইকোলজি অধ্যয়নের মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ , বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করা যায় ।

38. প্রাণী ভূগোলের প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য কী ?

Ans: যে ভূগোলে , প্রধানত প্রাণী উদ্ভবের সময় থেকে বিভিন্ন প্রজাতি সৃষ্টি , বিবর্তন , বিবর্তনের কারণ ও নিয়ন্ত্রকের আলোচনা করে , তাকে প্রাণী ভূগোল বলে ।

বৈশিষ্ট্য : i ) রাসায়নিক মৌল বা জড় উপাদান নয় , জড় উপাদানের মতো প্রকৃতিতে সৃষ্ট সজীব উপাদান থেকেই প্রাণের উদ্ভব ঘটেছে । ii ) এই ভূগোল প্রাণের চরিত্র , বৈশিষ্ট্য ও বিন্যাস নিয়ে আলোচনা করে । iii ) 50 দশকের পর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির অর্থনৈতিক গুরুত্ব এই ভূগোলে প্রাধান্য পায় । iv ) বাস্তুতান্ত্রিক অভিযোজন দ্বারা কিভাবে মানুষের অস্তিত্ব বজায় থাকবে , তা এই ভূগোলের আলোচ্য বিষয় ।

39. বর্তমানকালে জৈর ভূগোলে পরিবর্তন কী ? 

Ans: 1920-30 দশকের পর থেকে জৈব ভূগোলের বিষয় কিছুটা পরিবর্তিত হতে চলেছে । যেমন ( i ) ভূগোলের আলোচ্য বিষয়গুলি বাতৃতান্ত্রিক গঠন , পরিবেশ ও বাস্তুতান্ত্রিক অভিযোজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে । ( ii ) বর্তমানে জৈব ভূগোল দূষণ , সম্পদের সীমা , সম্পদ ব্যবহার পদ্ধতি , ভূগোলের কেন্দ্রভাগে চলে এসেছে । ( iii ) 90 – এর দশকের পর জৈব মণ্ডলের এক দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার , জৈবমণ্ডল সংরক্ষণ ও দূষণ প্রতিরোধের বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে । ( iv ) 2000 সালের পর পৃথিবীতে উন্নতা বৃদ্ধি , অম্লবৃষ্টি , El – nino- র প্রভাব ও Ozone গহ্বর ও তাদের দ্বারা জৈব মণ্ডলের প্রভাব ও পরিবর্তন বিষয়টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে ।

40. জৈব বৈচিত্র্যকে রক্ষার ব্যবস্থা কী ?

Ans: মানুষ তার অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদেই জৈব বৈচিত্র্যকে রক্ষা করা উচিত । তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হল ( i ) জৈব বৈচিত্র্য সংরক্ষিত মণ্ডল গঠন করা , যাতে উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতিগুলো বিলুপ্তি থেকে রক্ষা পারে । যেমন- সুন্দরবন ও সিঙ্গালীলা জৈব বৈচিত্র্য সংরক্ষিত মণ্ডল থেকে কোন উদ্ভিদ , ছত্রাক ও প্রাণী বাইরে চালিত হতে দেওয়া হয় না । ( ii ) অদূর ভবিষ্যতে বিভিন্ন প্রজাতি সুরক্ষার বিষয়গুলোকে অধিকভাবে গুরুত্ব দিতে হবে । ( iii ) জৈব বৈচিত্র্য বজায় রাখার জন্য উপযুক্ত গবেষণা ও প্রাযুক্তিক কৌশল অবলম্বন করতে হবে ।

41. জৈব বৈচিত্র্যের অর্থনৈতিক গুরুত্ব লেখো ।

Ans: মানবজীবনে জৈববৈচিত্র্যের অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে । যেমন ( i ) জৈববৈচিত্র্য বেশী হলে ( বাস্তুতন্ত্র দীর্ঘস্থায়ী হয় ) উৎপাদন বেশী হয় । ( ii ) জৈববৈচিত্র্যের সমস্যা দেখা দিলে উৎপাদন হার নিম্নমুখী হয় , তার ফলে অর্থনীতিও দুর্বল হয় । ( iii ) শস্যবৈচিত্র্য বৃদ্ধি পায় , জৈববৈচিত্র্য অধিক এবং সুরক্ষিত থাকে ।

FILE INFO : বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান – Ecosystem – Principales And Components | জীব ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Biogeography – Geography)

File Details:

PDF Name : বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান – Ecosystem – Principales And Components | জীব ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Biogeography – Geography)

Price : FREE

Download Link : Click Here To Download

INFO : Geography – Biogeography – Question and Answer | ভূগোল – জীব ভূগোল – বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান (Ecosystem – Principales And Components) প্রশ্নোত্তর

” ভূগোল (Geography) – জীব ভূগোল (Biogeography) – বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান – Ecosystem – Principales And Components “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক বিভিন্ন শ্রেনীর পরীক্ষা (Class 5, 6, 7, 8, 9,  Madhyamik, Class 11, Higher Secondary – HS, College & University Exam) এবং বিভিন্ন চাকরির (WBCS, WBSSC) পরীক্ষায় এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে BhugolShiksha.com এর পক্ষ থেকে ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নো ও উত্তর উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস  ভূগোল (Geography) জীব ভূগোল (Biogeography) – বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান – Ecosystem – Principales And Components / বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান সংক্ষিপ্ত ছোট প্রশ্ন ও উত্তর / বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Ecosystem – Principales And Components (Biogeography – Geography)  SAQ / Short Question and Answer / বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Ecosystem – Principales And Components (Biogeography – Geography) Quiz / বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Ecosystem – Principales And Components (Biogeography – Geography) QNA / বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Ecosystem – Principales And Components (Biogeography – Geography) Question and Answer FREE PDF Download ) পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর সফল হবে।

বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Ecosystem – Principales And Components (Biogeography – Geography) Question and Answer in Bengali

আশা করি এই ” বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Ecosystem – Principales And Components – Biogeography Geography ”  পোস্টটি থেকে উপকৃত হয়েছেন। স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ডিজিটাল মাধ্যম BhugolShiksha.com । এর প্রধান উদ্দেশ্য পঞ্চম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী, মাধ্যমিকউচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত বিষয় এবং গ্রাজুয়েশনের শুধুমাত্র ভূগোল বিষয়কে  সহজ বাংলা ভাষায় আলোচনার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে সহজ করে তোলা।

বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Ecosystem – Principales And Components (Biogeography – Geography)

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” বস্তুতন্ত্র – নীতি ও উপাদান (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Ecosystem – Principales And Components (Biogeography – Geography) ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই আমাদের ভূগোল শিক্ষা – Bhugol Shiksha – BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। ভূগোল বিষয়ে যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইটটি ফলাে করুন এবং নিজেকে ভৌগোলিক  তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন , ধন্যবাদ।