ভূ - প্রকৃতি (ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল - ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Relief (Regional Geography of India) Geography
ভূ - প্রকৃতি (ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল - ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Relief (Regional Geography of India) Geography

ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

ভূ – প্রকৃতি | Relief – Regional Geography of India (Geography) Question and Answer in Bengali

ভূ – প্রকৃতি (ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Relief (Regional Geography of India – Geography) : ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল – Regional Geography of India (ভূগোল – Geography) ভূ – প্রকৃতি – Relief প্রশ্ন Oও উত্তর  নিচে দেওয়া হল। এই (ভূ – প্রকৃতি – Relief – ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল Regional Geography of India – ভূগোল Geography) প্রশ্নোত্তর গুলি স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। তোমরা যারা ভূ – প্রকৃতি – Relief – ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল – Regional Geography of India (ভূগোল – Geography) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর (Short Question and Answer) খুঁজে চলেছো, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নউত্তর ভালো করে পড়তে পারো।

ভূ – প্রকৃতি (Relief) ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

1. ভূ – প্রকৃতির গঠন অনুসারে ভারতকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ? 

Ans: ভারতের দক্ষিণের কন্যাকুমারিকা থেকে উত্তরের হিমালয় পর্বতমালা পর্যন্ত ভূ – প্রকৃতির বৈচিত্র্য অনুসারে 7 ভাগে বিভক্ত । যথা-

( A ) উত্তর পার্বত্য অঞ্চল ( হিমালয় , কারাকোরাম , লাদাক পর্বতশ্রেণী ) ;

( B ) উত্তরের বিশাল সমভূমি ( পলি মৃত্তিকা দ্বারা গঠিত পৃথিবীর বৃহত্তম সঞ্চয়জাত সমভূমি ) ;

( C ) মৰু তাঞ্চল ( ভারতের একমাত্র মরু অঞ্চ ) ;

( D ) মধ্য ও পূর্ব ভারতের উচ্চভূমি ( আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলা গঠিত ) ;

( E ) দক্ষিণাত্য মালভূমি অঞ্চল ( বিদার অগ্ন্যুৎপাতে লাভা সঞ্চয়ে সৃষ্টি হয় ) ;

( F ) উপকূলীয় সমভূমি অঞ্চল

( G ) দ্বীপ অঞ্চল ( পূর্ব ভারতের দ্বীপগুলি আগ্নেয় দ্বীপ ও আরব সাগরীয় দ্বীপগুলি প্রবালদ্বীপ ) ।

2. আঞ্চলিক ভূগোলের কিছু প্রয়োজনীয় শব্দার্থ , পরিভাষা , নামকরণ করো ।

Ans: শোলা : বস্তুর , পঞ্চমড়ী , মহাবালেশ্বর , নীলগিরি , পালনী অঞ্চলে প্রশস্ত পাতার উপক্রান্তীয় চিরহরিৎ অরণাকে স্থানীয়ভাষায় শোলা বলে ।

মেঘালয়ঃ ভারতের এই অঙ্গরাজ্যে বছরের 300 এর বেশী দিনই গভীর মেঘে আবৃত ও কুহেলী আচ্ছন্ন থাকে ; বৃষ্টিও অধিক ; মেঘে ঢাকা আকাশ তাই ‘ মেঘালয় ‘ ; নামটি দেন স্বর্গত ভূগোলবিদ শিবপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় ।

অরুণাচলপ্রদেশ : এ রাজ্যেই ভারতের প্রথম উদীয়মান নবোদিত সূর্য দর্শন হয় , পূর্বে অবস্থানের কারণে । অরুণ = নবোদিত সূর্য ও অচল = গিরি । অর্থাৎ প্রত্যহ গিরিরাজিতে প্রথম সূর্য উদয় হয় বলে অরুণাচল প্রদেশ । নামটি দেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু ।

তিনবিঘা করিডর  ঃ পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ কুচলিবাড়ি এলাকার 178 মি . দীর্ঘ ও 85 মি . প্রশস্ত এলাকাটি 1992 এর 26 শে জুন ভারত সরকার বাংলাদেশকে লিজ দেয় । একে তিনবিঘা করিডর বলে । বাংলাদেশের অধিবাসীরা রোজ নির্দিষ্ট সময় এলাকাটি ব্যবহার করে ; আইন শৃঙ্খলা ভারতের হাতে আছে ।

Pillar Box of the East : শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরে ভারত মহাসাগরের জাহাজ আসে বলে , একে pillar Box of the east বলে ।

ডোবাখোল : গারো পাহাড়ের সিজুগুহা ; গারো ভাষায় এর নাম ডোবাখোল বা বাদুড়ের গুহা ।

Marble Falls : নর্মদা নদীর ধুঁয়া ধরা জলপ্রপাত অঞ্চলে মার্বেল পাথর আছে বলে এর এরূপ নামকরণ হয়েছে ।

3. উত্তরের সমভূমি অঞ্চল সৃষ্টির কারণ কী ? 

Ans: উত্তর ভারতের সমভূমির উৎপত্তিতে 2 টি তত্ত্ব বিদ্যমান । যথা A ) পাত সম্বন্ধীয় তত্ত্ব । আজ থেকে 10 কোটি বৎসর পূর্বে হিমালয় পর্বত সৃষ্টির সময় ভারতীয় পাত এশিয় পাতের তলদেশে প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করার সময় গন্ডোয়ানাল্যান্ডের উত্তর প্রাপ্ত নিচের দিকে বেঁকে যায় । ফলে এক বিশাল অধোভগ্নস্থান সৃষ্টি হয় । পরবর্তীকালে হিমালয় ও দক্ষিণ ভারতের নদী পলি সঞ্চিত করে সমভূমি সৃষ্টি করে । B ) পলি সঞ্চতত্ত্ব : ভূ – বিজ্ঞানীদের মতে , হিমালয় ও দাক্ষিণাত্যে মালভূমির মধ্যবর্তী গহ্বরে সিন্ধু , গঙ্গা , ব্রহ্মপুত্র ও তাদের অসংখ্য উপনদী সঞ্চিত পলি দ্বারা এই সমভূমি গঠিত হয়েছে ।

4. মানবজীবনে হিমালয়ের প্রভাব লেখো । 

Ans: হিমালয় ‘ হিমাল ‘ ক্ষেত্রের আগার । এই দেশের জনজীবনে নগরিরাজ হিমালয়ের প্রভাব অত্যন্ত সক্রিয় । যেমন A ) সমভূমি সৃষ্টি হিমালয় সৃষ্ট নদী থেকেই বিশ্বের বৃহত্তম উত্তর ভারতের বিশাল সমভূমির । B ) প্রতিরক্ষা হিমালয় উত্তর সীমান্তে দুর্ভেদ্য প্রাচীরের মতো দন্ডায়মান থেকে বহিঃশত্রুর হাত C ) শৈত্যপ্রবাহ থেকে রক্ষা হিমালয় পর্বত না থাকলে শীতকালে ভারতেও সাইবেরিয়ার মধ্যে তীব্র শীত দেখা দিত । D ) জলবিদ্যুৎ ও সেচ হিমালয়ের বরফগলা জলে পুষ্ট নদীগুলো দ্বারা সেচ ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজে লাগে । E ) বাগিচা হিমালয়ের পাদদেশে প্রচুর বাগিচা গড়ে উঠেছে । ( যেমন- হিমাচল প্রদেশের আপেল বাগিচা । ) F ) শিল্প হিমালয়ের পাদদেশে কুটির শিল্প , হস্তশিল্পের জন্য প্রসিদ্ধ । G ) পর্যটন শিল্প : সর্বোপরি সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্যকর জলবায়ুর জন্য সারা বিশ্বের ভ্রমণপিপাসু মানুষদের জন্য শ্রেষ্ঠ স্থান ।

5. মরু অঞ্চল সৃষ্টির কারণ কী ? 

Ans: ( A ) বনভূমি ধ্বংস : রাজস্থানের পশ্চিমভাগে বনভূমি দ্বারা আচ্ছাদিত থাকলেও মায়োসিন ও মায়োসিন যুগে ব্যাপক বনভূমি ধ্বংস হয় ।

( B ) সমুদ্র পশ্চাৎপসরণ । সমুদ্র পশ্চাৎপসরণ ও পরবর্তীকালে হিমযুগের পর আবহাওয়া শুষ্ক ও উদ্ভ হয়ে মরুভূমিতে পরিণত হয় ।

C ) অবস্থান কর্কটক্রান্তি রেখার উপর অবস্থিত হওয়ার প্রচও উন্নতার জন্য স্বর্ণীভবন না হওয়ায় বৃষ্টিহীন অঞ্চলে পরিণত হয়েছে ।

( D ) মৌসুমী কার্যকারিতা দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমী বায়ু পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটানোর পর এখানে কোন জলীয় বাষ্প থাকে না ।

( E ) আরাবল্লীর ভূমিকা বৃষ্টি হয় না । আয়ন বায়ুর প্রভাব

( F ) উত্তর – দক্ষিণে বিস্তৃত আরাবল্লী পর্বতের অনুবাত ঢালে অবস্থিত হওয়ায় আয়ন বায়ু পশ্চিম দিকে বৃষ্টিপাত না ঘটানোয় এখানে মরুভূমি সৃষ্টি সরস্বতী , দুনবগতি ইত্যাদি নদীর গতি পরিবর্তন এখানে মরুভূমি সৃষ্টি হয়েছে ।

( G ) নদী গতি পরিবর্তন অন্যতম কারণ ।

6. মরু অঞ্চলের ভূ – প্রকৃতি কী ? 

Ans: ভারতের মরু অঞ্চলকে 5 ভাগে ভাগ করা যায় । যথা –

( A ) পূর্বে যাগার আরাবল্লী পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত অঞ্চলটি অল্প বালুকাময় স্থান ।

( B ) রোহি : বাগার – এর পশ্চিমে অবস্থিত এই অঞ্চলটি উর্বর প্লাবনভূমি ।

( C ) ক্ষুদ্র মরু অঞ্চল : রোহি অঞ্চলের পশ্চিমে অবস্থিত আসল মরু অঞ্চল ।

( D ) হামাদা বালিযুক্ত নরম শিলাস্তরযুক্ত অঞ্চলকে হামাদা বলে ।

( E ) বালুকাময় অঞ্চল মাইলের পর মাইল এখানে শুধু বালি । মরুভূমির ভয়ঙ্করতা এখানে পরিস্ফুট ।

বৈশিষ্ট্য : ( i ) গড় উচ্চতা 150-300 মিটার ; ( ii ) নিচু অংশে লবণাক্ত জলের হ্রদ দেখা যায় ( যেমন- সম্বর , কুচমান ) ; ( iii ) অবনত নিচু ভূমি ( ধান্দ ) ও চলমান বালিয়াড়ি ( প্রিয়ান দেখা যায় ) ; ( iv ) কিছু জায়গায় মরুদ্যান দেখা যায় ।

7. মরুস্থলী কী ?

Ans: অবস্থান : ভারতে ‘ থর ‘ মরুভূমির সর্ব পশ্চিম অংশে ভারতীয় সীমান্ত অংশে অবস্থিত ।

বৈশিষ্ট্য : i ) মাইলের পর মাইল জুড়ে বালির প্রান্তর । ii ) সবুজের কোন চিহ্ন এখানে নেই ।

নামকরণ : একেবারেই বৃষ্টিহীনতার জন্য [ 5-7 সেমি ] জীবনের অস্তিত্ব প্রায় নেই ; তাই এই অঞ্চলকে মরুস্থলী বা স্থানীয় নাম অনুসারে ‘ মৃতের দেশ ‘ বলে । মরুভূমির এরুপ ভয়াল রূপযুক্ত অংশই মরুস্থলী নামে পরিচিত ।

8. ধ্রিয়ান কী ?

Ans: থর মরু অঞ্চলের স্থানে স্থানে প্রবল বায়ুপ্রবাহে বালিয়াড়িগুলোর স্থান পরিবর্তন ঘটে , এইসব চলমান বালিয়াড়িগুলোকে থ্রিয়ান বলে । স্থানীয় অধিবাসীরা এরুপ চলনশীল বালির পাহাড়কে ‘ টিব্বা ’ বলে । আবার এখানের নীচু অংশে লবণাত্ত হ্রদকে ‘ রান ‘ বলে । এরুপ বালিয়াড়ির মধ্যবর্তী স্থানের দীর্ঘাকৃতির নীচু হ্রদকে ‘ ধান্দ ’ বলে । তবে ধান্দগুলো প্রায়শই শুকনো থাকে ।

9. দাক্ষিণাত্য মালভূমি সৃষ্টির কারণ কী ?

Ans: দাক্ষিণাত্যের মালভূমি সারা ভারতের একটি স্বতন্ত্র ভূ – প্রাকৃতিক অঞ্চল । বিএ – ডেকানট্রোপ প্রায় 7-18 কোটি বৎসর পূর্বে ক্রিটেসিয়াস যুগের শেষে বেলেপাথর , গ্রিট ও ক্লে সঞ্চয়ের পরবর্তী পর্যায়ে উপদ্বীপ অঞ্চলের এক বিরাট Volcanic out brust দ্বারা প্রভাবিত হয় । যার ফলে ব্যাসল্ট লাভারাশি উদ্ভূত হয়ে পাইরোক্লাস্টিক পদার্থসহ স্তরে স্তরে ছড়িয়ে পড়ে জমাট বাঁধে । বিদার ও ফাটল দ্বারা পুনঃ পুনঃ লাভা উন্নীরণ দ্বারা কয়েক হাজার ফুট পুরু লাভা সঞ্চয় করে ধাপযুক্ত ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়েছে বলে একে ডেকান ট্রাপ বলে । সুইডিশ শব্দ ‘ Trap ‘ অর্থ ‘ সিঁড়ি ‘ ; যা ধাপযুক্ত ও ঢালের সাথে তুলনীয় ।

10. উত্তর – পূর্ব পার্বত্যভূমির ভূ – প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য লেখো । 

Ans: ভারতের উত্তর – পূর্বদিকে পূর্ব হিমালয়ের কোলে এই অঞ্চলটি অবস্থিত । এর ভূ – প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ

ভূ – প্রকৃতি : ( A ) অরুণাচল প্রদেশের পাটকই ও মিশমি পর্বতশ্রেণী অবস্থিত ; ( B ) নাগাল্যান্ডের পূর্বে নাগা পাহাড় ও পশ্চিম কোহিমা পাহাড় অবস্থিত । নাগা পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সারমতি ( 3,926 মিটার ) ; ( C ) মণিপুরের পাহাড়গুলির উচ্চতা গড় 2000 মিটারের কম । মণিপুরের পাহাড় ঘেরা ইম্ফল উপত্যকা খুব সুন্দর : ( D ) ত্রিপুরার সর্বোচ্চ পাহাড় জাম্পুইটাং ( 960 ) মিটার ) ; ( E ) মেঘালয়ের গারো , খাসিয়া ও জয়ন্তিয়া পাহাড় উল্লেখযোগ্য ।

11. হিমালয়ের গিরিপথ কী ? 

Ans: প্রাচীরের মতো ভারতের উত্তর – পূর্ব সীমায় বিস্তৃত থাকলেও হিমালয়ের মাঝে মাঝে কিছু গিরিপথ আছে । যেমন গিরিপথ । A ) জম্মু – কাশ্মীরের গিরিপথ বুজিলা , জোজিলা , কারাকোরাম , পিরপঞ্জাল , বানিহাল , বুন্দলপীর B ) হিমাচল প্রদেশের গিরিপথ বরলাচালা ও সিপকী না – গিরিপথ । C ) উত্তরাঞ্চলের গিরিপথ : কুমায়ুন হিমালয়ের থাল গিরিপথ । ( D ) সিকিমের গিরিপথ : সিকিমের নাথুলা , জেলেপ লা গিরিপথ বিখ্যাত ।

12. হিমালয় কী কী পর্বতশ্রেণী দ্বারা গঠিত ? 

Ans: হিমালয়ের দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকের পর্বতশ্রেণীগুলি হল—

( A ) শিবালিক হিমালয় হিমালয়ের দক্ষিণ প্রান্তে ছোট ছোট সমান্তরাল পর্বতশ্রেণী নিয়ে গঠিত পাহাড়গুলিকে শিবালিক বলে । এর গড় উচ্চতা 300-1200 মিটার ও চওড়া 10-50 কি.মি .।

( B ) হিমাচল হিমালয় : শিবালিকের উত্তরে অবস্থিত । এখানকার চালু উপত্যকা দুন নামে পরিচিত । এখানকার গড় উচ্চতা 2000-3000 মিটার । পিরপঞ্জাল , নাগটিব্বা এখানকার প্রধান পর্বতশৃঙ্গ ।

( C ) হিমাদ্রী হিমালয় : সবচেয়ে উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট ( 8,862 মিটার ) এখানে অবস্থিত । গড় উচ্চতা 6000 মিটার ।

( D ) টেথিস বা তিব্বতীয় হিমালয় : হিমাদ্রীর উত্তরে অবস্থিত । জাস্কর পর্বতশ্রেণী এর মধ্যে বিস্তৃত । সর্বোচ্চ শৃঙ্গ লিওপারগেল ( 7,420 মিটার ) ।

13. তরাই কী ? 

Ans: অর্থ : পর্বতের পাদদেশের আর্দ্র ভূমিকে তরাই বলে । তরাই এক নিম্নভূমি অঞ্চল যা ভেজা ও স্যাঁতস্যাতে । উচ্চতা : 100-150 মিটার । বিস্তার : হিমালয়ের পাদদেশ থেকে দক্ষিণে 40 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল । অবস্থান : উত্তরপ্রদেশ থেকে অসম পর্যন্ত বিস্তৃত ; পশ্চিমবঙ্গে মেচি নদী থেকে সংকোশ নদীর মধ্যবর্তী দার্জিলিং জেলার দক্ষিণাংশ ও জলপাইগুড়ি জেলার উত্তরাংশ তরাই ভূমি ।

14. ভাবর কী ? 

Ans: সংজ্ঞা ও অর্থ : ভাবর এক পান্জাবী শব্দ । হিমালয়ের পাদদেশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্তরখণ্ড দ্বারা গঠিত ভূমিরূপকে পাঞ্জাবের ভাষায় ভাবর বলে ।

অবস্থান : শিবালিক হিমালয়ের পাদদেশে , গাঙ্গেয় সমভূমির উত্তরে ভাবরের অবস্থান ।

বিস্তার : উক্ত স্থানে 10-15 কিমি প্রস্থযুক্ত স্থানে ভাবর বিস্তৃত । উৎপত্তি : হিমালয়ের উচ্চ পর্বতগাত্রের বরফগলা ও নদীবাহিত জলে বাহিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্তরখণ্ড ও ট্যালাস সন্বিত হয়ে ভাবর উৎপত্তি হয়েছে ।

বৈশিষ্ট্য : ( i ) অঞ্চলটি উঁচু – নিচু ও ঢেউ খেলানো । ( ii ) কিছু নদী প্রস্তরখণ্ডের মধ্যে প্রবাহিত হয়ে অন্তঃসলিলা হয়েছে । ( iii ) ভাবর অঞ্চলের দক্ষিণে নদীগুলো জলাভূমি সৃষ্টি করেছে ।

15. খাদার কী ? 

Ans: সংজ্ঞা : নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নবীন পলিমাটিকে খাদার বলে । অবস্থান : উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের গঙ্গাতীরের ও পাঞ্জাব সমভূমির পঞ্চনদীর তীরবর্তী অঞ্চলকে যথাক্রমে খাদার ও বেট বলে ।

উৎপত্তি : নদীপথের ঢাল কম বলে বর্ষার অতিরিক্ত জল উপচে অবনত নিচু ভূমিতে প্লাবনে বছরের পর বছর নতুন নতুন পলিমাটির স্তর বা খাদার সৃষ্টি হয় ।

বৈশিষ্ট্য : ( i ) খাদার নতুন পলিস্তর । ( ii ) খাদার নিম্নভূমিযুক্ত অঞ্চল । ( iii ) খুবই উর্বর । কৃষিতে প্রভাব : নবীন পলির উর্বর অঞ্চল বলে প্রচুর কৃষিজ ফসল যেমন- ধান , গম , তৈলবীজ , পাট , ডাল উৎপন্ন হয় ।

16. বাগর কী ? 

Ans: সংজ্ঞা : নদী অববাহিকায় তীর থেকে দূরে প্রাচীনযুগের ( PLEISTDCENE ) পলি মৃত্তিকা অঞ্চলকে বাঁগর ( “ BANGAR ‘ ) বলে । তবে কথাটি ‘ ভাঙ্গর ‘ নয় ।

উৎপত্তি : নদী অববাহিকাতে নদী তীরের দূরের স্থানে পূর্বে বন্যাতে প্লাবিত হয়ে বাঁগর সৃষ্টি করেছে ; বর্তমানে স্থানগুলো উঁচু বলে বন্যার জল পৌঁছায় না ।

বৈশিষ্ট্য : ( i ) বাঁগর অপেক্ষাকৃত উঁচু ভূমি । ( ii ) উর্বরতা অপেক্ষাকৃত কম । ( iii ) চুনের নুড়ি ‘ কঙ্কড় ’ বা কাঁকর দেখা যায় । উদাহরণ : নিম্নগঙ্গা অববাহিকার বর্ধমান , বীরভূমের রাঢ় ভূমিতে প্রাচীন পলির বাঁগর দেখা যায় । কৃষিতে প্রভাব : তুলনায় কম উর্বর হলেও পলিমাটি বলে ধান , আলু , সরিষা ও বিভিন্ন শাক – সব্জির চাষ হয় ।

17. ডুয়ার্স কী ? 

Ans: সংজ্ঞা ও অর্থ : পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা ও অসমের তরাই অঞ্চলকে ডুয়ার্স বলে । ডুয়ার্স শব্দটি উক্ত স্থানের আঞ্চলিক ভাষা ‘ দুয়ার ‘ বা ‘ পথ ‘ থেকে এসেছে । অবস্থান : পশ্চিমবঙ্গ ও অসমের শিবালিক হিমালয়ের পাদদেশে তরাই অঞ্চলে এরূপ 11 টি ডুয়ার্স বা পথ আছে । উৎপত্তি : ডুয়ার্সগুলোর সৃষ্টির সম্ভাব্য কারণ হল- ( i ) নদীসৃষ্ট গিরিখাত দ্বারা । ( ii ) শিবালিকের অবনমিত অংশ দ্বারা । ( iii ) খাড়া ঢালের Br ক্লমনিমজ্জমন দ্বারা । ( iv ) শিবালিকের ক্ষয়প্রাপ্ত অংশ দ্বারা । ( v ) অধিক ডুয়ার্স আব্দুল বৃষ্টিতে চুনাপাথর ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে পাহাড়ের বৈচিত্র্যময় অবনমন দ্বারা ।

নামকরণ : শিবালিক হিমালয় দ্বারা পশ্চিমবঙ্গ ও আসামকে আড়াল করে রেখেছে ভুটান ; মাঝে মাঝে অবস্থিত এই নিচু স্থানগুলো দ্বারা সহজে ভুটানে যাওয়া যায় ; তাই একে ‘ দুয়ার ’ বা ডুয়ার্স বা পথ বলে ।

উদাহরণ : জলপাইগুড়ি জেলার ১ টি ডুয়ার্স হল- চামুর্চি , লখিমপুর , বল্লা , বকসা ও কুমারগ্রাম ।

18. নিপানী অঞ্চল কী ? 

Ans: দাক্ষিণাত্য কৃষ্ণমৃত্তিকা অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত এক তামাক চাষ অঞ্চলকে নিপানী অঞ্চল বলে । অবস্থান : মহারাষ্ট্রের কোলাহরপুর ও কর্ণাটকের বেলগাঁও জেলার বিস্তৃত অংশে নিপানী অঞ্চল অবস্থিত । আয়তন : তামাক চাষ অধ্যুষিত নিপানী অঞ্চলটি 40,500 হেক্টর স্থান জুড়ে অবস্থিত ।

বৈশিষ্ট্য : i ) নিপানী অঞ্চলের ভূ – প্রকৃতি ধাপযুক্ত ও বন্ধুর ভূ – প্রকৃতি ।

ii ) নিপানী অঞ্চলের মৃত্তিকা উর্বর ও জলধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন । iii ) এখানে কৃষ্ণমৃত্তিকার ( রেঙর ) মৃত্তিকার অবস্থান দেখা যায় । উর্বরতা : নিপানী অঞ্চলটি ভারতের এক অন্যতম উৎকৃষ্ট তামাক উৎপাদক অঞ্চল হিসাবে চিহ্নিত ।

19. কাজরী কী ? 

Ans: কাজরী হল ভোজপুরী এক লোকসঙ্গীত বিশেষ । ভারতে নানান জনজাতির নানান প্রাকৃতিক পরিবেশে জীবনপ্রণালীও বিভিন্ন । এরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশের জনগোষ্ঠী বসবাসকারী মানবগোষ্ঠীর লোকসঙ্গীত অনেকটা সেখানকার আবহমণ্ডল অনুযায়ী প্রবাহিত হয় । ভোজপুরী অঞ্চলে প্রখর গ্রীষ্মে প্রচণ্ড উত্তাপের পর যখন প্রথম বৃষ্টিধারার যে শব্দ ‘ মূর্ছনা ‘ , শারীরিক প্রশান্তি , প্রাণের স্পন্দন জাগরিত হয় এবং তাকে উদ্যাপন করার জন্য যে লোকসঙ্গীত গাওয়া হয় , তাই হল কাজরী ।

20. পাটলা কী ? 

Ans: কানাড়া অঞ্চলের দক্ষিণে কিছু নিম্নভূমির অবস্থান আছে । ঐ নিম্নভূমিগুলো বর্ষাকালে বৃষ্টির জলে পূর্ণ হয়ে যায় । এই অস্থায়ী প্রাকৃতিক নিম্নভূমিযুক্ত জলাশয়গুলো কয়েক ফুট জলের তলায় নিমজ্জিত হয় , এদেরকে পাটলা বলে ।

বৈশিষ্ট্য : i ) বর্ষার সময় পাটলাগুলো জলাশয়ের রূপ ধারণ করে । ii ) 2-3 মাস পাটলাগুলো জলের তলায় নিমজ্জিত হয় । iii ) এতে পুরু পলিমাটির স্তর পড়ে বলে খুবই উর্বর হয় । গুরুত্ব : পাটলাগুলো উর্বর পলিমাটি সমৃদ্ধ হয় বলে জল শুকিয়ে যাবার পর নতুন পলিমাটি উন্মুক্ত হয় এবং তাতে ভালো রকমের কৃষিকার্য হয় । এজন্য পাটলাগুলো কৃষিসমৃদ্ধ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে ।

21. তাল অঞ্চল কী ? 

Ans: সংজ্ঞা : উত্তরবঙ্গ সমভূমির কোচবিহার জেলার দক্ষিণের সমভূমিকে তাল অঞ্চল বলে । অবস্থান : কালিন্দী নদীর পূর্বভাগে অবস্থিত কোচবিহার জেলার দক্ষিণাংশ , সমগ্র উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সমভূমি তাল অঞ্চলের অন্তর্গত ।

বৈশিষ্ট্য : ( i ) ইহা এক নিচু সমভূমি । ( ii ) বন্যার প্লাবনে নতুন পলি পড়ে । ( iii ) মাটি পলিজাতীয় কাদা ও মিহিদানার মতো হয় । ( iv ) মাটি খুবই উর্বর হয় । কৃষিতে প্রভাব : পলি , কাদা মিশ্রিত উর্বর মাটি বলে প্রচুর ধান , পাট , আলু , শাক – সব্জি প্রভৃতির চাষ হয় ।

22. বরেন্দ্রভূমি কী ?

Ans: সংজ্ঞা মহানন্দা নদীর পূর্বদিকের এক প্রাচীন সমভূমিকে বরেন্দ্রভূমি বলে । অবস্থান : মহানন্দা নদীর বামতীরে মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পূর্বাংশ নিয়ে বরেন্দ্রভূমি অবস্থিত । বৈশিষ্ট্য : ( i ) উঁচু – নিচু ও ঢেউখেলানো প্রকৃতির । ( ii ) মাঝে মাঝে উঁচু মূর্তি ( 30 মিটার ) ঢিবি দেখা যায় । ( iii ) মাটি ল্যাটেরাইট প্রকৃতির । ( iv ) উর্বরতা কম । ( v ) প্রাচীন পলিতে গঠিত । কৃষিতে প্রভাব : অনুর্বর মৃত্তিকা বলে কৃষিতে অঞ্চলটি ততটা উন্নত নয় ।

23. দিয়াড়া কী ? 

Ans: মালদহ জেলার নবীন পলিযুক্ত মৃত্তিকা অঞ্চলকে দিয়াড়া বলে । অবস্থান : মালদহ জেলার কালিন্দী নদীর দক্ষিণাংশে এই নবীন পলি অবস্থিত । উৎপত্তি : বর্ষাতে অতিরিক্ত জল দু’কূল উপচে গঙ্গায় প্লাবনে বছর বছর পলি পড়ে দিয়াড়া ভূমি গঠন করেছে ।

বৈশিষ্ট্য : i ) দিয়ারাই দিয়াড়া ভূমি সমতল প্রকৃতির । ii ) কাদাযুক্ত ক্ষুদ্র দানার পলিমাটি । iii ) নবীন পলি বলে উর্বরতা বেশি । কৃষি ও জনবসতিতে প্রভাব : উর্বর মাটি বলে প্রচুর ধান , পাট , ভুট্টা , ইক্ষু , আলু চাষ হয় । এখানে প্রচুর আমবাগানও আছে । উর্বর সমভূমি বলে কৃষি ও পরিবহনে উন্নতির কারণে জনবসতিও ঘন ।

24. খোয়াই কী ?

Ans: সংজ্ঞা : এক বিশেষ ধরনের মৃত্তিকা ক্ষয়কে খোয়াই বলে । ক্ষয়ের প্রকৃতি : এরুপ মৃত্তিকা ক্ষয়ে মাটি সৃষ্ট ক্ষুদ্র খাতগুলো ক্রমশ ক্ষয়প্রাপ্ত হতে হতে বড় খাতে পরিণত হলে তাকে ‘ খাতক্ষয় বা Gully Erosion ‘ বলে । কৃষিক্ষেত্রে জলপ্রবাহের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়কে প্রণালী ক্ষয় বলে ।

কারণ : i ) ক্ষুদ্র জলধারা বা RILL দ্বারা মাটিতে সৃষ্ট ক্ষুদ্র খাতগুলো ক্রমশ বড় হয়ে খোয়াই সৃষ্টি করে । ii ) মাটির গঠন আলগা হলে উন্মুক্ত প্রান্তরে এরুপ ক্ষয় হয় । iii) কৃষিক্ষেত্রে জলপ্রবাহের ফলে এরূপ ক্ষয় হয় । প্রভাবিত অঞ্চল : চম্বল উপত্যকা , আরাবল্লীর পূর্বাংশ , পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার স্থানবিশেষে খোয়াই দেখা যায় । তৃতীয় ও চতুর্থ পণ্যবার্ষিকী পরিকল্পনায় খোয়াই নিবারণে ব্যবস্থা নেওয়া হয় ।

25. রোহি অঞ্চল কী ? 

Ans: সংজ্ঞা ও অবস্থান : রাজস্থানের থর মরু অঞ্চলের পশ্চিম দিকে অর্ধমরু অঞ্চল ‘ বাগর ‘ । এই ‘ স্বাগরের পূর্বদিকে , আরাবল্লী পর্বতের পশ্চিম পাদদেশের এক সংকীর্ণ সমভূমিকে ‘ রোহি ‘ বলে । উৎপত্তি : আরাবল্লীর পশ্চিম ঢালে বয়ে আসা ‘ ওয়াদি প্রচুর পলি সঞ্চিত । করে রোহি অঞ্চলের উৎপত্তি করেছে ।

বৈশিষ্ট্য : 1 ) বার বার পলল রাশি সঞ্চয়ের জন্য স্থানীয় ভাষায় একে ‘ রোহি ‘ বলে । ii ) অঞ্চলটি উর্বর মৃত্তিকার হয় । iii ) জলধারা বা ওয়াদিগুলো ক্ষুদ্র বলে পলল প্রাপ্যতা বেশি । দেবী অঞ্চল iv ) সিক্ততার জন্য এখানে বালিয়াড়ির সংখ্যা কম । গুরুত্ব : উর্বর পলল , জলের প্রাপ্যতা , কম বালিয়াড়ি বলে অঞ্চলটি উল্লেখযোগ্য কৃষি ও জনবসতিপূর্ণ ।

উদাহরণ : সিরোহী , সীকর , ঝুঁঝন রোহী অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য রোহী স্থান ।

26. বাগড়ি কী ? 

Ans: সংজ্ঞা : গঙ্গা ব – দ্বীপের মৃতপ্রায় অংশকে বাগড়ি বলে । অবস্থান : নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলা ( কাঁদি মহকুমা বাদে ) ‘ বাগড়ি ‘ অঞ্চলভুক্ত । উৎপত্তি : জলঙ্গী , ইছামতী , চূর্ণী , ভৈরব নদী গঙ্গা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মজে গিয়ে ব – দ্বীপ গঠনের কাজ শেষ হয়ে মৃতপ্রায় ব – দ্বীপ বা বাগড়ি গঠন করেছে ।

বৈশিষ্ট্য : i ) ব্যাপক পলি সঞ্জয় ঘটেছে । বাগাড়ি UTATA ii ) পলি সঞ্চয়ে নদীগুলো মজে গেছে । iii ) ব – দ্বীপ গঠনের কাজ আর হয় না ।

গুরুত্ব : উর্বর পলিমাটি বলে নিবিড় কৃষিকাজ ও ঘন জনবসতি গড়ে উঠেছে ।

27. মালব মালভূমির অবস্থান লেখো ।

Ans: অবস্থান : মধ্য ভারতের উচ্চভূমির দক্ষিণাংশে মালব মালভূমির অবস্থান । বিন্ধ্য ভৃগুভূমির পশ্চিম দিকে ও মধ্যভারত পঠার অঞ্চলের দক্ষিণ দিকের অংশ হল মালব মালভূমি । “ MALWA ‘ থেকে নামটি এসেছে । সালের মালভূমি বৈশিষ্ট্য : i ) লাভাগঠিত অঞ্চলটি মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত । ii ) অঞ্চলটি উত্তরে ঢালু । প্রবাহিত নদী : বেতওয়া , পার্বতী , চম্বল , মাহী ।

উল্লেখযোগ্য স্থান : ভূপাল , ইন্দোর , উজ্জয়িনী , বিদিশা ।

28. মালনাদ কী ?

Ans: ভারতের দাক্ষিণত্যে কর্ণাটক মালভূমির দক্ষিণ ও পশ্চিমাংশে অর্থাৎ পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বপাশে 320km দীর্ঘ এবং 35 km প্রশস্ত সংকীর্ণ ও সুদীর্ঘ পাহাড়ী অঞ্চলকে মালনাদ বলে । কন্নড় ভাষায় মলনাদ ‘ শব্দের অর্থ ‘ পাহাড়ী দেশ ‘ । গ্রানাইট , নিস দ্বারা গঠিত এই অঞ্চলটি কর্ণাটক মালভূমির অপেক্ষাকৃত উঁচু অংশ । এখানকার মাটির রং সাধারণত লাল ।

29. তামিল নাদ মালভূমি কী ? 

Ans: অবস্থান : দক্ষিণ – পূর্ব মাঠের পূর্বদিকে তামিল নাদ উচ্চভূমি অবস্থিত । এর দক্ষিণাংশে নীলগিরি অবস্থিত । বৈশিষ্ট্য : i ) অঞ্চলটি পূর্বদিকে ঢালু । ii ) মাঝে মাঝে পাহাড় ( জাভাদি , শেভরয় ) দেখা যায় । প্রবাহিত নদী : পালার , কাবেরী , ভাইগাই । উল্লেখযোগ্য স্থান : সালেম , কোয়েম্বাটুর ।

30. দণ্ডকারণ্য অঞ্চলের অবস্থান লেখো । 

Ans: অবস্থান : ছত্তিশগড়ের বাস্তার , উড়িষ্যার কালাহাণ্ডি , কোরাপুট জেলার অসমতলভূমি দণ্ডকারণ্য নামে পরিচিত । এর পশ্চিমদিকে উত্তর – দক্ষিণা পথ অবস্থিত ।

প্রবাহিত নদী : শাবরী , ইন্দ্রাবতী প্রভৃতি ।

উল্লেখযোগ্য স্থান : জগদ্দলপুর ।

31. তেলেঙ্গানা মালভূমির অবস্থান লেখো ।

অবস্থান : তেলেঙ্গানা মালভূমি অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থিত ।

বৈশিষ্ট্য : i ) পূর্ব দিকে ঢালু । ii ) মাঝে মাঝে গোলাকার পাহাড়ের অবস্থান । iii ) ঢেউখেলানো সমভূমি ও প্রশস্ত নদী উপত্যকার অবস্থান । iv ) উত্তর – দক্ষিণে মালভূমিটি বিস্তৃত । প্রবাহিত নদী : গোদাবরী , ভীমা । উল্লেখযোগ্য স্থান : আদিলাবাদ , হায়দ্রাবাদ , খাম্মাম , কুর্মুল , অনন্তপুর ।

32. ভাবর ও তরাই – এর পার্থক্য লেখো ।

পার্থক্যের বিষয় ভাবর তরাই
সংঘা হিমালয়ের পাদদেশে পাঞ্জাব সমভূমিতে নদীবাহিত বালুকণা ও শিলাখন্ড দ্বারা গঠিত পদদেশীয় সমভুমিকে ভাবর বলে । গাঙ্গেয় সমভূমির উত্তরাংশে শিবলিক পর্বতের পাদদেশে বিভিন্ন ফল্গুধারা দ্বারা গঠিত সমভূমিকে তরাই বলে ।
অর্থ ভাবর হল বালুকণা দ্বারা গঠিত সমভূমি । তরাই শব্দের অর্থ হল আদ্র বা স্যাঁতসেঁতে সমভূমি ।
অবস্থান সিন্ধু থেকে তিস্তা পর্যন্ত শিবালিক পর্বতের পাদদেশ অঞ্চল । ভাবরের দক্ষিণে সামন্তরালে গঠিত শিবালিক পর্বতের পাদদেশে অঞ্চল ।
গড় বিস্তার 8 – 16 কিমি. 20 – 30 কিমি.
উপাদান নুড়ি, শিলাখন্ড দ্বারা গঠিত । বালি ও পলিকনা দ্বারা গঠিত ।
নদীর প্রকৃতি ভাবর অঞ্চলে নদী অন্তসলিলা হয় । ভাবরের নদী তরাইয়ে আত্মপ্রকাশ করে ।
গুরুত্ব অনুর্বর বলে কৃষিকাজের উপযুক্ত নয় । কিছুটা উর্বর বলে কৃষিকার্যের উপযোগী ।

FILE INFO : ভূ – প্রকৃতি – Relief | ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Regional Geography of India – Geography)

File Details:

PDF Name : ভূ – প্রকৃতি – Relief | ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Regional Geography of India – Geography)

Price : FREE

Download Link : Click Here To Download

INFO : Geography – Regional Geography of India – Question and Answer | ভূগোল – ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল – ভূ – প্রকৃতি (Relief) প্রশ্নোত্তর

” ভূগোল (Geography) – ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল (Regional Geography of India) – ভূ – প্রকৃতি – Relief “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক বিভিন্ন শ্রেনীর পরীক্ষা (Class 5, 6, 7, 8, 9,  Madhyamik, Class 11, Higher Secondary – HS, College & University Exam) এবং বিভিন্ন চাকরির (WBCS, WBSSC) পরীক্ষায় এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে BhugolShiksha.com এর পক্ষ থেকে ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নো ও উত্তর উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস  ভূগোল (Geography) ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল (Regional Geography of India) – ভূ – প্রকৃতি – Relief / ভূ – প্রকৃতি সংক্ষিপ্ত ছোট প্রশ্ন ও উত্তর / ভূ – প্রকৃতি (ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Relief (Regional Geography of India – Geography)  SAQ / Short Question and Answer / ভূ – প্রকৃতি (ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Relief (Regional Geography of India – Geography) Quiz / ভূ – প্রকৃতি (ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Relief (Regional Geography of India – Geography) QNA / ভূ – প্রকৃতি (ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Relief (Regional Geography of India – Geography) Question and Answer FREE PDF Download ) পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর সফল হবে।

ভূ – প্রকৃতি (ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Relief (Regional Geography of India – Geography) Question and Answer in Bengali

স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ডিজিটাল মাধ্যম BhugolShiksha.com । এর প্রধান উদ্দেশ্য পঞ্চম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী, মাধ্যমিকউচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত বিষয় এবং গ্রাজুয়েশনের শুধুমাত্র ভূগোল বিষয়কে  সহজ বাংলা ভাষায় আলোচনার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে সহজ করে তোলা।

ভূ – প্রকৃতি (ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Relief (Regional Geography of India – Geography)

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” ভূ – প্রকৃতি (ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Relief (Regional Geography of India – Geography) ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই আমাদের ভূগোল শিক্ষা – Bhugol Shiksha – BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। ভূগোল বিষয়ে যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইটটি ফলাে করুন এবং নিজেকে ভৌগোলিক  তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন , ধন্যবাদ।