মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ (জীব ভূগোল - ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Erosion And Conservation (Biogeography - Geography)
মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ (জীব ভূগোল - ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Erosion And Conservation (Biogeography - Geography)

জীব ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ | Soil Erosion And Conservation – Biogeography (Geography) Question and Answer in Bengali

মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Erosion And Conservation (Biogeography – Geography) : জীব ভূগোল – Biogeography (ভূগোল – Geography) মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ – Soil Erosion And Conservation প্রশ্ন ও উত্তর  নিচে দেওয়া হল। এই (মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ – Soil Erosion And Conservation – জীব ভূগোল Biogeography – ভূগোল Geography) প্রশ্নোত্তর গুলি স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। তোমরা যারা মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ – Soil Erosion And Conservation – জীব ভূগোল – Biogeography (ভূগোল – Geography) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর (Short Question and Answer) খুঁজে চলেছো, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নউত্তর ভালো করে পড়তে পারো।

মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ (Soil Erosion And Conservation) জীব ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

1. ভূমিক্ষয় কী ?

Ans: ধাবমান জলধারা , বায়ুপ্রবাহ ও অপরাপর ভূ – তাত্ত্বিক কারণসমূহের ( যথা — হিমবাহ , অভিকর্ষীয় বিচ্যুতি ) দ্বারা মৃত্তিকা পৃষ্ঠের উত্তরোত্তর নগ্নীভবনকেই মৃত্তিকার ভূমিক্ষয় বলে । অর্থাৎ , The Wearing away of land surface by ranning water , wind and other geographical agent ( e.g. glacier ) including such process as gravitational creep is call erosion . আবার মাটির ওপরের স্তরের সম্পূর্ণ নগ্নীভবনও জমিকে ফসল চাষের অনুপযোগী করে তোলাকে ভূমিক্ষয় বলে ।

2. ভূমিক্ষয়ের কারণ ?

Ans: Dr. G. Sing- এর মতে মৃত্তিকা ক্ষয়ের গড় পরিমাণ 16 টন / হেক্টর জমি । এর কারণগুলি নিম্নরূপ

A ) বৃক্ষচ্ছেদন : বন ধ্বংসের ফলে অনিয়মিত বৃষ্টিপাত , জলধারণ ক্ষমতা হ্রাস হয়ে মৃত্তিকা ক্ষয়

B ) বৃষ্টিপাত : বৃষ্টিপাত – – – জলধারার সৃষ্টি – নিম্নক্ষয় ও পার্শ্বক্ষয় – মৃত্তিকা ক্ষয় । • ভূমির আচ্ছাদন গ্রাস মৃত্তিকা ক্ষয় ।

C ) অনিয়ন্ত্রিত পশুচারণ : অধিক পশুচারণ –

D ) ঝুম চাষ : পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসীরা ঝুম চাষ করার ফলে মৃত্তিকা ক্ষয় বৃদ্ধি পায় । ( উত্তর – পূর্ব ভারত )

E ) বায়ুপ্রবাহ : প্রধানত মরু অঞ্চলে নিরবিচ্ছিন্ন বায়ুপ্রবাহ দ্বারা ক্ষয়কার্য চলে ।

F ) বন্যা : বন্যার সময় নিম্নক্ষয় ও পার্শ্বক্ষয় বৃদ্ধি পেয়ে ভূমিক্ষয় চলে ।

G ) ভূমির ঢাল : ভূমির ঢাল যেখানে বেশি সেখানে জলের গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়ে মৃত্তিকা ক্ষয় হয় ।

H ) অবৈজ্ঞানিক কৃষিকাজ : অধিক জলসেচ , রাসায়নিক সার প্রয়োগে ভূমিক্ষয় বৃদ্ধি পায় ।

I ) মানুষের ক্রিয়াকলাপ : বসতি নির্মাণ , ইট , টালি নির্মাণও ভূমিক্ষয়ের কারণ ।

মেমরী প্লাস : পৃথিবীর বহু সুদৃশ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেগুলি কালক্রমে ভূ – তাত্ত্বিক শক্তি দ্বারা ভূমির প্রাকৃতিক ক্ষয়ের ফলে উৎপন্ন হয়েছে । যেমন- অ্যারিজোনার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ( Grand Canyon ) , পেইন্টেড মরুভূমি ( Painted Desert ) ইত্যাদি ।

3. জল দ্বারা ভূমিক্ষয় । 

Ans: জল প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা মৃত্তিকার ক্ষয়ীভবন হয় । যেমন – i ) চাদর ক্ষয় ( Sheet Erosion ) : মৃত্তিকার উপরিভাগ স্তরে স্তরে সমানভাবে মাটি ক্ষয় হয় । ii ) রীল ক্ষয় ( Rill Erosion ) : ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নালার মাধ্যমে এই ক্ষয়ীভবন হয় । iii ) গালী ক্ষয় ( Gully Erosion ) : গভীর ও চওড়া নালা বড় হয়ে এই ক্ষয়ীভবন হয় । iv ) র‍্যাভাইন ক্ষয় ( Ravine Erosion ) : উদ্ভিদহীন স্থানে খাড়া খাতের মাধ্যমে মৃত্তিকা ক্ষয় । এছাড়াও বৃষ্টির ফোঁটার আঘাতের ক্ষয়ীভবন ( Raindrop Erosion ) ও জলধারা দ্বারা ক্ষয়ীভবন Overfall Erosion ) দ্বারাও মৃত্তিকা ক্ষয় হয় ।

4. স্তর ক্ষয়ীভবন বা ভূমির চাদর ক্ষয় ( SHEET EROSION ) । 

Ans: জলের দ্বারা ক্ষয়ীভবনের একটি ধরণ হল চাদর ক্ষয় । বৃষ্টির জল মাটির উপর গড়িয়ে যাওয়ার সময় উপরের স্তরের মাটিকে ধুয়ে নিয়ে যায় । এর ফলে স্তরে স্তরে প্রায় সমানভাবে মাটির ক্ষয়কে স্তর ক্ষয়ীভবন বলে । এই ক্ষয় এত ধীর গতিতে চলে যে সহজে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় না । এই প্রকার ক্ষয়ীভবনে মৃত্তিকার উর্বরতা হ্রাস পায় ।

5. ভূমিক্ষয়ের ফলাফল । 

Ans: জল প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা মৃত্তিকার ক্ষয়ীভবন হয় । যেমন— i ) আন্তঃ মৃত্তিকার প্রকাশ : মৃত্তিকার উর্বর অংশের অপসারণে ( Sub – Soil ) বেরিয়ে পড়ে । উর্বরতা হ্রাস : উর্বর মৃত্তিকা অপসারণে ভূমি অনুর্বর হয়ে পড়ে । ii ) iii ) মৃত্তিকা বুনট আলগা : মৃত্তিকা ক্ষয়ের ফলে উদ্ভিদকে আটকে রাখার শক্তি কমে যায় । iv ) জনস্বাস্থ্য বিঘ্ন : ভূমিক্ষয় অনেক সময় জনস্বাস্থ্য বিঘ্নিত করে । ( যেমন – ধূলিঝড় ) v ) কৃষিজমি বিনষ্ট : মৃত্তিকাময় কৃষিজমি বিনষ্ট করে । ( পাহাড়ী এলাকার ভূমিক্ষয় ) ,

6. স্বাভাবিক উদ্ভিদের উপর জলবায়ুর প্রভাব ( INFLUENCE OF CLIMATE ON NATURAL VEGETATION )

Ans: উদ্ভিদের উপর বায়ুর উন্নতা , আর্দ্রতা ও অন্যান্য উপাদানের গুরুত্ব অপরিসীম । যথা— A ) সূর্যালোক ( Sunlight ) : শ্বসন , বাষ্পমোচন , অঙ্কুরোদগম , সালোকসংশ্লেষ প্রভৃতি উদ্ভিদের শারীরবৃত্তীয় কাজ তাপমাত্রার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় । অত্যন্ত কম ও বেশি তাপমাত্রায় প্রোটোপ্লাজমের ক্ষতি হয় । B ) অধঃক্ষেপন ( Precipitation ) : অধঃক্ষেপনের মাধ্যমে মাটি জল পায় । উদ্ভিদের দেহের রস সংরক্ষণের জন্য জল প্রয়োজন । সজীব কোষের প্রোটোপ্লাজমের জন্য জল দরকারী । C ) বাষ্পীভবন ( Evaporation ) : বাষ্পীভবন — গাছ বেঁচে থাকার অন্যতম শর্ত । এটি গাছের প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত । D ) অন্যান্য কারণ : এছাড়া বায়ুর গতিবেগ ও দিক উদ্ভিদকে যথেষ্ট প্রভাবিত করে ।

7. উদ্ভিদ জন্মানোর ক্ষেত্রে উন্নতার ভূমিকা । 

Ans: উদ্ভিদ প্রজাতির বেঁচে থাকার জন্য একটি উন্নতার প্রয়োজন । যেমন— ক ) শ্বসন , সালোকসংশ্লেষ , অঙ্কুরোদগম প্রভৃতি উদ্ভিদের শারীরবৃত্তীয় কাজ তাপমাত্রা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় । খ ) অত্যন্ত কম তাপমাত্রা যেমন উদ্ভিদের ক্ষতিকারক , বেশি তাপমাত্রাও ক্ষতিকারক । গ ) কম তাপমাত্রায় উদ্ভিদের মূলে ক্ষত সৃষ্টি হয় । উন্নতার কারণেই উয়ু নিরক্ষীয় অঞ্চলের রোজউড বৃক্ষ সরলবর্গীয় অঞ্চলে কখনোই জন্মায় না । উদ্ভিদ বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশে ন্যূনতম , আদর্শ ও সর্বোচ্চ উন্নতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয় ।

8. উদ্ভিদের শারীরবৃত্তীয় কাজে আলোর ভূমিকা । 

Ans: উদ্ভিদের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজে আলোকের প্রভাব রয়েছে , যেমন ( 1 ) সালোকসংশ্লেষ ও অঙ্কুরোদগম সহজ হয় আলোকের প্রভাবে । ( 2 ) গাছের ফুল ফুটতে সাহায্য করে আলোক । ( 3 ) আলোকের প্রভাবে ক্লোরোফিল উৎপন্ন হয় । ( 4 ) পত্ররন্থের সঞ্চালন ঘটে আলোকের প্রভাবে । ফলে উদ্ভিদের বৃদ্ধি , বিকাশ সম্ভব হয় ।

9. উদ্ভিদের শারীরবৃত্তীয় কাজে বায়ুপ্রবাহের ভূমিকা । 

Ans: উদ্ভিদের অঙ্গসংস্থানিক ও শারীরবৃত্তীয় কাজ বায়ুপ্রবাহ দ্বারা কিছুটা প্রভাবিত হয় ; যেমন ( 1 ) বাতাসের গতি তীব্র হলে সেখানের বায়ু অন্যত্র সরে গেলে বাষ্পমোচনের হার বাড়ে । উদ্ভিদের বৃদ্ধি সহজ হয় । বিকৃতি ঘটে ; জোরে বায়ুপ্রবাহে শাখা ভাঙলে গাছের ক্ষতি হয় । ( 2 ) একটি নির্দিষ্ট দিকে জোরে বায়ুপ্রবাহ হলে শাখা – প্রশাখা সেই অভিমুখে বেঁকে যায় , শ ( 3 ) তীব্র বায়ু প্রবাহে বীজ ও পরাগরেণু অন্যত্র অপসারিত হলে বংশবিস্তার ও বনবিস্তার হে

10. শুষ্ক বায়ু প্রবাহে ফুল , মুকুল ঝরে পড়ে বৃদ্ধি ব্যহত হয় । 

Ans: প্রাকৃতিক বিন্যাস অনুসারে উদ্ভিদ শ্রেণী । প্রাকৃতিক বিন্যাস অনুসারে ভৌগলিক পরিবেশে বিভিন্ন উদ্ভিদ গোষ্ঠী দেখা যায় , যেমন ( 1 ) প্রধান উদ্ভিদ গোষ্ঠী : ( ক ) সাধারণ উদ্ভিদ : সাধারণ জলজ পরিবেশে জন্মায় — সাল , পাইন , মেহগনি প্রভৃতি । ( খ ) জলজ উদ্ভিদ : জলে বা জলাময় পরিবেশে জন্মায় যেমন— ভাসমান জলজ উদ্ভিদ — কচুরিপানা , অ্যাজোলা । মুলযুক্ত নিমজ্জিত — ঝাঁজি , পাতা , শ্যাওলা । ভাসমান পাতা মুলযুক্ত নিমজ্জিত – শালুক , পদ্ম । উভচর জলজ উদ্ভিদ – শুশনি , হোগলা । ( গ ) জাঙ্গল উদ্ভিদ : শুষ্ক মরু ও মরুপ্রায় স্থানে জন্মায় । যেমন খরাকে এড়িয়ে চলা উদ্ভিদ ক্যাক্টাস । খরা পলায়নী কিছু ঘাস । খরা সহিষ্ণু বাবলা , আকন্দ । খরা প্রতিরোধী উদ্ভিদ ঘৃতকুমারী । ( ঘ ) লবণাম্বু উদ্ভিদ : উপকূলের লবণাত্ত পরিবেশে জন্মায় , যেমন — সুন্দরী , গরান , কেন গোলপাতা ।

( 2 ) অপ্রধান উদ্ভিদ :

i ) সাইক্রোফাইট — ঠাণ্ডা মাটিতে জন্মায় — লাইকোপোডিয়াম । ii ) অক্সিলোফাইট — অম্লমাটিতে জন্মায় — নিটাম উদ্ভিদ । iii ) লিখোফাইট – শিলাগাত্রে জন্মানো উদ্ভিদ – বন্য গোলাপ । iv ) সাম্মোফাইট – বালি ও কাঁকর মাটিতে জন্মায় – লজ্জাবতী । ( v ) ক্যাসমোফাইট – পাথরের ফাটলে জন্মায় — ফার্ণ ।

11. হাইড্রোফাইট ( HYDROPHYTE ) বা জলজ উদ্ভিদ । 

Ans: যে সব উদ্ভিদ জলাভূমি অঞ্চলে বসবাস করে , তাদের হাইড্রোফাইট বলে । [ এটি গ্রীক শব্দ থেকে এসেছে ; যার ‘ Hudor ‘ = জল ও ‘ Phuton ‘ = উদ্ভিদ । ]

বৈশিষ্ট্য : A ) পাতা : পাতা বৃহৎ , মসৃণ এবং পত্ররন্ধ্রগুলি উপরের দিকে থাকে । B ) কাণ্ড : কাণ্ড কোমল , কাণ্ডে গ্রন্থি কন্দ তৈরি হয় ( শালুক ) । = C ) মূল : ছোট , দুর্বল , মূলরোম ও কিউটিকলহীন এমনকি যান্ত্রিক কলা নেই । উদাহরণ : কচুরিপানা , ঝাঁঝি , পাতা শ্যাওলা , পদ্ম জলজ উদ্ভিদ ।

12. সাধারণ উদ্ভিদ বা মেসোফাইট ( MESOPHYTE ) । 

Ans: ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে যেখানে জল ও তাপমাত্রার পরিমাণ স্বাভাবিক সেই পরিবেশে যেসব উদ্ভিদ জন্মায় , তাদের সাধারণ উদ্ভিদ বলে । বৈশিষ্ট্য : i ) হাইড্রোফাইট ও জেরোফাইট উদ্ভিদের অপূর্ব সংমিশ্রণ হল মেসোফাইট । ii ) উদ্ভিদগুলি বহু শাখা – প্রশাখাযুক্ত , ছাল পুরু ও ক্ষার মৃত্তিকাতে জন্মায় । iii ) উদ্ভিদগুলি তৃণ , বীরুৎ ও বৃক্ষ এই তিন শ্রেণীর হয় । iv ) পাতা সুগঠিত ও মূল সুগঠিত হয় । উদাহরণ : দেবদারু , আয়রন উড , পাইন , ফার এই শ্রেণীর উদ্ভিদ ।

13. জেরোফাইট ( XEROPHYTE ) বা জাঙ্গল উদ্ভিদ । 

Ans: মরু ও মরুপ্রায় পার্বত্য শিলাময় পরিবেশে জলের অভাব আয়ত্ত করার জন্য যেসকল উদ্ভিদ নিজেদের দহের অঙ্গস্থানগত ও শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটিয়ে বসবাস করে , তাদের জালাল উদ্ভিদ বলে ।

বৈশিষ্ট্য : A ) পাতাগুলি পুরু , রসালো , শাঁসালো অথবা শক্ত চামড়ার হয় । B ) মূলগুলি সুগঠিত , শাখা – প্রশাখাযুক্ত ও জলের খোঁজে মাটির গভীরে প্রবেশ করে । C ) পাতা কাঁটাতে রূপান্তর ( ইউলেক্স ) , বীজে জল সঞ্জয় ( শতমূলী ) , পুরু ছাল ( ফণিমনসা ) ইত্যাদি অভিযোজনগত অপূর্ব সুন্দর নিদর্শন দেখা যায় । উদাহরণ : অ্যাকাশিয়া , গ্রামিনী , সনেডেনা ইত্যাদি খরা সহ্যকারী উদ্ভিদ এই উদ্ভিদের উদাহরণ ।

14. অম্ল মৃত্তিকা উদ্ভিদ ( OXYLOPHY TES ) I 

Ans: অম্লঘটিত মৃত্তিকাতে যেসকল উদ্ভিদ জন্মে তাদের অম্ল মৃত্তিকা উদ্ভিদ বলে । মৃত্তিকার সৃষ্টি : ( i ) মধ্য অক্ষাংশে অবিয়োজিত পদার্থের সঞ্চয়ের দ্বারা এই মাটি সৃষ্টি হয় । ( ii ) আদি শিলাতে অবস্থানকারী জীবাণুর বিয়োজনে এ মাটি সৃষ্টি হয় । ( iii ) মাটির ধৌত প্রক্রিয়া বেশী হলেও মাটির অম্লত্ব সৃষ্টি হয় । উদাহরণ : অম্ল মৃত্তিকাতে সৃষ্ট উদ্ভিদ হলো — পাইন , এরিকাসিয়া , পরিট্রাইকাস । ” hydrophytes ‘ কথাটি এসেছে গ্রীক শব্দ ‘ Hudor ‘ বা Water- জল থেকে ও Phyton ‘ ” lant অর্থাৎ উদ্ভিদ থেকে ।

15. শারীরবৃত্তীয় শুদ্ধ বাড়ুক্ষেত্র ( PHYSIOLOGICALLY DRY HABITAT ) । 

Ans: মৃত্তিকাতে জল সমৃদ্ধ থাকলেও উদ্ভিদ তা নানা কারণে গ্রহণ করতে অসমর্থ । উচ্চ পার্বতা অ্যাল কুমেরু মহাদেশে প্রচুর জল থাকলেও তা বরফরুপে জমে থাকায় উদ্ভিদ কাজে লাগাতে পারে না । আবার ভিকা লবণাক্ত বা আম্লিক হলেও উদ্ভিদ গ্রহণ করতে পারে না । এই বিশেষ বাস্তুক্ষেত্রকে ‘ শারীরবৃত্তীয় শুদ্ধ ক্ষেত্র বলে ।

16. হ্যালোফাইট ( HALOPHYTE ) বা লবণাম্বু উদ্ভিদ বা , ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ । 

Ans: গ্রীক শব্দ ‘ HALO ‘ অর্থ ‘ লবণ ‘ অর্থাৎ প্রচুর অজৈব লবণ । যেমন- সোডিয়াম ফ্লোরাইডযুক্ত শরণায় মৃত্তিকা বা লবণাপ্ত জলাভূমিতে যে সব উদ্ভিদ জন্মায় , তাকে লবণাম্বু উদ্ভিদ বলে । বৈশিষ্ট্য : i ) পাতা ছোট , রসালো ( ট্যামরিক্স গ্যালিকা ) , মসৃণ ( রাইজোফোরা ) , নিম্ন পারঞ্জযুক্ত । ii ) ফল , বীজ হালকা ও জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম দেখা যায় । iii ) কান্ড রসালো ( অ্যাজিসেরাস ) ও মোম জাতীয় পদার্থ ঢাকা থাকে ।

উদাহরণ : সুন্দরী , গরান ও হোগলা ইত্যাদি ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ এর উদাহরণ ।

17. হ্যালোফাইটের ( HALOPHYTES ) বা লবণাম্মু উদ্ভিদের অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য । 

Ans: লবণাম্বু উদ্ভিদের অভিযোজনগত অসংখ্য নিদর্শন আছে । যেমন— i ) লবণাস্ত মৃত্তিকায় অঙ্কুরোদগম অসম্ভব বলে ফলের মধ্য বীজেরই জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম হয় । iii ) জোয়ার অঞ্চলের মৃত্তিকা নরম বলে প্রধান মূল ছাড়া ভদ্ভমূল বা ঠেসমূল দেখা যায় । iii ) মৃত্তিকা লবণাত্ত ও জলসিও বলে O , কম থাকে , তাই শ্বাসমূল দ্বারা জ্বলের উপর থেকে শ্বাসকার্য চালায় । iv ) মুক্তিকা নরম বলে উদ্ভিদগুলি সর্বদা মাঝারি হয় ।

18. পৃথিবীতে লবণাম্বু উদ্ভিদের বন্টন বা অবস্থান । 

Ans: পৃথিবীতে ব – দ্বীপ সংলগ্ন নদী মোহনা ও খাঁড়ি এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে লবণাক্ত মৃত্তিকায় এই উদ্ভিদ দেখা যায় । পৃথিবীর প্রায় 7 % লবণাম্বু উদ্ভিদ ভারতে অবস্থিত । ভারতের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন । মহানদী , গোদাবরী , কৃষ্ণা , কাবেরীর ব – দ্বীপ মোহনায় , রণ – অঞ্চল ও কচ্ছ উপদ্বীপে এই উদ্ভিদ দেখা যায় । এছাড়া সিন্ধুনদের মোহনায় , আমাজন ও কঙ্গো অববাহিকায় এই অরণ্য দেখা যায় ।

19. ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বৈশিষ্ট্য ।

Ans: ম্যানগ্রোভ অরণ্যের উদ্ভিদের বেশ কতকগুলি অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য দেখা যায় । যেমন— i ) শ্বাসমূল : উদ্ভিদ লবণাক্ত ও কদমাক্ত অঞ্চল থেকে O , সংগ্রহ করার জন্য শ্বাসমূল থাকে ( উদাহরণ— কেওড়া ) । ii ) ঠেসমূল : জোয়ার – ভাটার হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য গাছগুলিতে ঠেসমূল সৃষ্টি হয়েছে । ( উদাহরণ – গর্জন ও কেয়া ) । iii ) জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম : ফল মাতৃবক্ষে আটকে থাকা অবস্থায় অঙ্কুরোদগম হয় । উদাহরণ : রাইজোফেরা । iv ) জীববৈচিত্র্য : ম্যানগ্রোভ অরণ্য তার অসাধারণ জীববৈচিত্র্যের জন্য সুপ্রসিদ্ধ ( উদাহরণ সুন্দরবন ) ।

20. কঙ্কালসার মৃত্তিকা ( Skeleton soil ) কাকে বলে ? 

Ans: সংজ্ঞা : পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল খুব বেশি হওয়ায় ভূপৃষ্ঠস্থ জল দ্রুত গতিতে প্রবাহিত হতে থাকে । এর ফলে পার্বত্য অঞ্চলে মৃত্তিকা ও বিচুর্ণীকৃত পদার্থ সহজেই অপসারিত ত হয় । ও সেজন্য এখানে মৃত্তিকার স্তর গঠন বাধাপ্রাপ্ত হয় । তাই এই অঞ্চলের মৃত্তিকা অপরিণত বা নবীন অবস্থায় থাকে । এই ধরনের নবীন মৃত্তিকার সঙ্গে বড়ো বড়ো পাথর , শিলাখণ্ড , বোল্ডার , নুড়ি প্রভৃতির সংমিশ্রণ ঘটে যে মৃত্তিকার সৃষ্টি হয় , তাকেই কঙ্কালসার মৃত্তিকা বলে ।

বৈশিষ্ট্য : 1) এটি অপরিণত মাটি । 2) সুস্পষ্ট স্তরবিন্যাস দেখা যায় না । 3) মৃত্তিকা গঠনে জনক শিলার প্রভাব বেশি । অবস্থান : পর্বতের অবতল ঢালে দেখা যায় । উদাহরণ : লোয়েস মাটি ।

FILE INFO : মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ – Soil Erosion And Conservation | জীব ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Biogeography – Geography)

File Details:

PDF Name : মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ – Soil Erosion And Conservation | জীব ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Biogeography – Geography)

Price : FREE

Download Link : Click Here To Download

INFO : Geography – Biogeography – Question and Answer | ভূগোল – জীব ভূগোল – মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ (Soil Erosion And Conservation) প্রশ্নোত্তর

” ভূগোল (Geography) – জীব ভূগোল (Biogeography) – মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ – Soil Erosion And Conservation “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক বিভিন্ন শ্রেনীর পরীক্ষা (Class 5, 6, 7, 8, 9,  Madhyamik, Class 11, Higher Secondary – HS, College & University Exam) এবং বিভিন্ন চাকরির (WBCS, WBSSC) পরীক্ষায় এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে BhugolShiksha.com এর পক্ষ থেকে ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নো ও উত্তর উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস  ভূগোল (Geography) জীব ভূগোল (Biogeography) – মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ – Soil Erosion And Conservation / মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ সংক্ষিপ্ত ছোট প্রশ্ন ও উত্তর / মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Erosion And Conservation (Biogeography – Geography)  SAQ / Short Question and Answer / মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Erosion And Conservation (Biogeography – Geography) Quiz / মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Erosion And Conservation (Biogeography – Geography) QNA / মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Erosion And Conservation (Biogeography – Geography) Question and Answer FREE PDF Download ) পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর সফল হবে।

মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Erosion And Conservation (Biogeography – Geography) Question and Answer in Bengali

আশা করি এই ” মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Erosion And Conservation – Biogeography Geography ”  পোস্টটি থেকে উপকৃত হয়েছেন। স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ডিজিটাল মাধ্যম BhugolShiksha.com । এর প্রধান উদ্দেশ্য পঞ্চম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী, মাধ্যমিকউচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত বিষয় এবং গ্রাজুয়েশনের শুধুমাত্র ভূগোল বিষয়কে  সহজ বাংলা ভাষায় আলোচনার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে সহজ করে তোলা।

মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Erosion And Conservation (Biogeography – Geography)

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” মৃত্তিকা ক্ষয় ও সংরক্ষণ (জীব ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Soil Erosion And Conservation (Biogeography – Geography) ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই আমাদের ভূগোল শিক্ষা – Bhugol Shiksha – BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। ভূগোল বিষয়ে যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইটটি ফলাে করুন এবং নিজেকে ভৌগোলিক  তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন , ধন্যবাদ।