স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল (ব্যবহারিক ভূগোল - ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Scale & Techniques Of Data Representation (Practical Geography) Geography
স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল (ব্যবহারিক ভূগোল - ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Scale & Techniques Of Data Representation (Practical Geography) Geography

ব্যবহারিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল | Scale & Techniques Of Data Representation – Practical Geography (Geography) Question and Answer in Bengali

স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল (ব্যবহারিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Scale & Techniques Of Data Representation (Practical Geography – Geography) : ব্যবহারিক ভূগোল – Practical Geography (ভূগোল – Geography) স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল – Scale & Techniques Of Data Representation প্রশ্ন Oও উত্তর  নিচে দেওয়া হল। এই (স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল – Scale & Techniques Of Data Representation – ব্যবহারিক ভূগোল Practical Geography – ভূগোল Geography) প্রশ্নোত্তর গুলি স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। তোমরা যারা স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল – Scale & Techniques Of Data Representation – ব্যবহারিক ভূগোল – Practical Geography (ভূগোল – Geography) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর (Short Question and Answer) খুঁজে চলেছো, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নউত্তর ভালো করে পড়তে পারো।

স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল (Scale & Techniques Of Data Representation) ব্যবহারিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

1. স্কেল ( SCALE ) বা মাত্রাক্রম কী ? 

Ans: স্কেলের আভিধানিক অর্থ ‘ মাপনি বা মানদণ্ড ‘ । কিন্তু ভূগোলে ‘ স্কেল ’ ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয় । মানচিত্রে দুটি স্থানের দূরত্ব এবং ভূমিভাগের দুটি স্থানের দূরত্ব যত হয় , তাদের অনুপাতকে স্কেল বলে । অর্থাৎ , A scale is the ratio between map distance and ground distance . উদাহরণস্বরূপ বলা যায় , শুশুনিয়া পাহাড় থেকে ছানার দূরত্ব 10 কিমি । এই 10 কিমি দূরত্ব কাগজের উপর উপস্থাপিত করা সম্ভব নয় বলেই একটি অনুপাত দ্বারা দূরত্ব প্রকাশ করা হয় । ধরা যাক্ , 1c.m. = 2k.m. অর্থাৎ 5c.m. রেখা দ্বারা এই দূরত্ব প্রকাশ করা যায় । স্কেল ছাড়া মানচিত্র অর্থহীন ।

2. রৈখিক স্কেল ( LINEAR SCALE ) বা সরল স্কেল ( SIMPLE SCALE ) বা চিত্রালেখাকার স্কেল ( GRAPHIC SCALE ) বা সাধারণ স্কেল ( PLAIN SCALE ) । 

Ans: স্কেলের ব্যবহারিক গুরুত্ব অনুযায়ী উদ্ভাবিত অন্যতম শ্রেণী রৈখিক স্কেল । যখন মানচিত্রের দুটি বিন্দুর দূরত্ব ও ভূমিভাগের মধ্যে প্রকৃত দূরত্বের মধ্যে সম্পর্ক সরলরেখা দ্বারা বিশেষ পদ্ধতিতে অঙ্কন করে দেখানো হয় , তাকে রৈখিক স্কেল বলে । এক্ষেত্রে সরলরেখাকে কতকগুলি মুখ্য ও একটি মুখ্য ভাগকে কতকগুলি গৌণ ভাগে ভাগ করা হয় । এতে জোড় সংখ্যায় মাইল ও কিমি – তে ব্যবহার করা হয় ।

3. রৈখিক স্কেলের ( LINEAR SCALE ) সুবিধা ও অসুবিধা 

কী ? 

Ans: সুবিধা ( Advantages ) : i ) মানচিত্রে লাইনে এইরূপ স্কেল প্রকাশ করা সহজ হয় । ii ) অধিক ও কম দূরত্ব পরিমাপের জন্য মুখ্য ও গৌণভাগ দেখানো যায় । iii ) মানচিত্রে ব্লকে বা ফটোতে ছোট বা বড়ো করলে এইরূপ স্কেলও সেই অনুপাতে ছোট বা বড়ো হয়ে সঠিক নির্দেশকে উপস্থাপন করে ।

অসুবিধা ( Disadvantages ) : সীমিত ব্যবহার— এরূপ স্কেলের ব্যবহার সীমিত ; যে সকল দেশে রৈখিক স্কেলে ঐ বিশেষ ইউনিটের প্রচলন আছে সেখানে ছাড়া অন্যত্র এরুপ স্কেলের ব্যবহার নেই ।

4. স্কেল অনুসারে মানচিত্র ( SCALE AND MAPS ) । 

Ans: স্কেল অনুযায়ী মানচিত্র প্রধানত তিন প্রকার । যথা—

  1. বৃহৎ স্কেল মানচিত্র ( Large Scale Map ) : পৃথিবীপৃষ্ঠের স্বল্পপরিসর স্থানকে যে মানচিত্রে অনেক বড় করে দেখানো হয় , তাকে বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র বলে । মৌজা মানচিত্র ( Mouza Map ) বা ক্যাডাস্ট্রাল মানচিত্র ( Cadestral Map ) এর উদাহরণ । এতে 1 : 50,000 R. F.- এর কমে মানচিত্র আঁকা হয় ।
  2. মাঝারি স্কেল মানচিত্র ( Medium Scale Map ) : এক্ষেত্রে 1 : 50,000 থেকে 1 : 1,000,000 R. F.- এর মধ্যে মানচিত্র আঁকা হয় । ভূ – স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল ( Scale & Techniques Of Data Representation ) এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ ।
  3. ক্ষুদ্র স্কেল মানচিত্র ( Small Scale Map ) : পৃথিবীপৃষ্ঠের বড় অঞ্চলকে ছোট করে দেখানো হয় এই স্কেলের মানচিত্রে । এতে 1,000,000–250,000,000R . F.- এর মধ্যে মানচিত্র আঁকা হয় । দেয়াল মানচিত্র ( Wall map ) ও অ্যাটলাসের মানচিত্র ( World atlas ) এই মানচিত্রের উদাহরণ ।

5. মানচিত্রে স্কেল প্রকাশের বিভিন্ন উপায় কি ? ( DIFFERENT METHODS OF SHOWING SCALE IN MAPS ) 

Ans: মানচিত্রে স্কেল বিভিন্ন উপায়ে প্রকাশিত হয় । যেমন— = 1. লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে ( By a statement ) : যেমন 1 সেমিতে 1 কিমি ; অর্থাৎ মানচিত্রের 1 সেমি = ভূমিতে 1 কিমির সমান । তবে 1 সেমি = 1 কিমি কখনোই নয় ; তাই তুল্যাঙ্ক চিহ্নটি ব্যবহার করা উচিত । এক্ষেত্রে =

2 . সংখ্যাসূচক ভগ্নাংশে প্রকাশ ( By a numerical fraction ) : যেমন R. F. 1 : 100000 অর্থাৎ ইহা মানচিত্রের 1 হলে ভূমিভাগের 100000 ভাগের প্রতিনিধি ।

  1. অঙ্কনের মাধ্যমে প্রকাশ ( By a graphical ) : যেমন- রৈখিক স্কেল ।

6. রৈখিক স্কেল ও তুলনমূলকস্কেলের পার্থক্য করো ।

রৈখিক স্কেল তুলনামূলক স্কেল
(a) সরলরেখা দ্বারা প্রকাশিত স্কেলকে রৈখিক স্কেল বলে । (a) দুটি রৈখিক স্কেলকে দুটি পৃথক এককের দ্বারা প্রকাশ করা হলে তাকে তুলনমূলক স্কেল বলে ।
(b) অঙ্কন অত্যন্ত সহজ । (b) CGS ও FPS পদ্মতির তুলনা করতে হয় বলে অঙ্কন তুলনমূলক কঠিন ।
(c) একাধিক দৈর্ঘ্যের এককে রূপান্তর সম্ভব । (c) একাধিক দৈর্ঘ্যের এককে রূপান্তর সম্ভব ।
(d) সাধারণ কাজে এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশী । (d) আর্মি, বৈমানিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের এই স্কেল খুবই উপযোগী ।

7. বিবৃতিসূচক স্কেল ( STATEMENT SCALE ) কাকে বলে ? 

Ans: যখন কোন মানচিত্রের স্কেল সাধারণ বিবৃতির মাধ্যমে বা সাধারণ ভাষায় প্রকাশ করা হয় , তাকে বিবৃতিসূচক স্কেল বলে । মানচিত্রে বিবৃতিসূচক স্কেল দুই সেমিতে এক কিমি ( Two cm to one kum ) এভাবে লেখা হয় । বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন একক ব্যবহার করা হয় বলে এর ব্যবহার সার্বজনীন নয় । তবে এটি ঐ এককের সঙ্গে পরিচিত লোকের পক্ষে সুবিধাজনক ।

8. বিবৃতিসূচক স্কেলের ( STATEMENT SCALE ) সুবিধা ও অসুবিধা লেখো ।

Ans: সুবিধা ( Advantages ) : i ) অঙ্কের মাধ্যমে করার কোন ঝামেলা নেই । ii ) এই স্কেল অত্যন্ত সহজবোধ্য ; তাই স্কেলের একক সহজেই বোঝা যায় । iii ) লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে প্রকাশিত হয় বলে আঁকার কোন প্রয়োজন নেই ।

অসুবিধা ( Disadvantages ) : i ) বিবৃতিসূচক স্কেলের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল — বিভিন্ন দেশে এর বিভিন্ন একক ব্যবহৃত হয় ; ফলে সেই ভাষা জানা না থাকলে মানচিত্রটি গুরুত্ব হারায় । ii ) স্কেলের একক পরিবর্তনের সময় নানা জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় ।

9. ভগ্নাংশসূচক স্কেল ( REPRESENTATIVE SCALE ) । FRACTION বা R. F. SCALE কী ?

Ans: ভূ – পৃষ্ঠের দুটি স্থানের মধ্যবর্তী দূরত্ব এবং মানচিত্রে এই দুটি স্থানের মধ্যবর্তী দূরত্বকে যে সমানুপাতিক ভগ্নাংশে প্রকাশ করা হয় , তাকে ভগ্নাংশসূচক স্কেল বলে । এই স্কেলে লব ও হর অংশ একই একক অনুপাত দ্বারা প্রকাশ করা হয় । যেমন 1 : 1000 ; এখানে 1 কে ইঞ্চিতে ধরা হলে 1000 – কেও ইঞ্ঝিতে ধরা হয় । বিশ্বে ভগ্নাংশসূচক স্কেলের ব্যবহার অত্যধিক । মানচিত্রকে অধিক ব্যবহার উপযোগী করতে ভগ্নাংশসূচক স্কেল প্রয়োজন হয় ।

10. ভগ্নাংশসূচক স্কেলের ( REPRESENTATIVE FRACTION SCALE ) সুবিধা ও অসুবিধা লেখো ।

Ans: সুবিধা ( Advantages ) : i ) এই স্কেলের সবচেয়ে বড় সুবিধা , এটি এককবিহীন ( Unitless ) হওয়ায় বিভিন্ন দেশে এই স্কেলের সার্বজনীন ব্যবহার দেখা যায় । ii ) মানচিত্রকে অধিক ব্যবহার উপযোগী করতে ভগ্নাংশসূচক স্কেলের কোন বিকল্প নেই ।

অসুবিধা ( Disadvantages ) : সংখ্যাসূচক স্কেলযুক্ত মানচিত্র ছোট বা বড়ো করা হলে স্কেলটির পুনরায় হিসাব ছোট বা বড়ো করা অসুবিধাজনক ।

11. কর্ণীয় স্কেল বা ডায়াগোনাল স্কেল ( DIAGONAL SCALE ) কী ?

Ans: আয়তক্ষেত্র বা বর্গক্ষেত্রের বিপরীত কোণদ্বয়ের সংযোজক সরলরেখাকে কর্ণ বলে । কতকগুলি কর্ণের সাহায্যে যে স্কেল অঙ্কন করা হয় , তাকে কর্ণীয় স্কেল বলে । এই স্কেলের মুখ্য , গৌণ ও তৃতীয় — এই তিনটি ভাগে দেখানো হয় ; ফলে এই স্কেলে মানচিত্র নিখুঁতভাবে পরিমাপ করা সম্ভব । এই স্কেলে প্রাথমিক ভাগ / 10 সেমি বা ইঞি ; দ্বিতীয় ভাগ / 100 সেমি বা ইঞি ও তৃতীয় ভাগ ‘ / 1000 সেমি বা ইঞ্চিতে দেখানো হয় ।

12. কর্ণীয় স্কেল বা ডায়াগোনাল স্কেলের ( DIAGONAL SCALE ) প্রয়োজনীয়তা । 

Ans: ডায়াগোনাল স্কেল বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয় । যেমন— i ) দৈর্ঘ্য পরিমাপ : এই স্কেল দৈর্ঘ্য পরিমাপের কাজে ব্যবহৃত হয় ; তবে দশমিকের পর দুটো সংখ্যা পর্যন্ত এর ব্যবহার সুবিধাজনক । ii ) কোণ মান নির্ণয় : এই স্কেলে কোণ পরিমাপ সহজ হয় । iii ) মৌজা ম্যাপ তৈরি : মৌজা ম্যাপ ( 16 ইঞি = 1 মাইল ধরে ) তৈরিতে এই স্কেল ব্যবহৃত হয় । iv ) জমি জরীপ : জমি জরিপের কাজে এরূপ স্কেল খুবই প্রয়োজন । v ) পরিকল্পনা : কোন পরিকল্পনা তৈরি এমনকি ভৌগোলিকদের নানান কাজে এই স্কেল খুবই প্রয়োজনীয় ।

13. ভার্নিয়ার স্কেল ( VERNIER SCALE ) কী ? 

Ans: সংজ্ঞা : যে স্কেল দ্বারা সঠিক ও নিখুঁতভাবে দৈর্ঘ্য ও কোণ পরিমাপ করে নিখুঁত মানচিত্র অঙ্কন করা সম্ভব হয় ; তাকে ভার্নিয়ার স্কেল বলে । ii ) আবিষ্কার : পিয়ারী ভার্নিয়ার নামে এক গণিতবিদ্ এই স্কেল আবিষ্কার করেন । iii ) সুবিধা : যেকোন স্কেলের সাথে ভার্নিয়ার স্কেল যোগ করলে পরিমাপ নির্ভুলভাবে সম্ভব । iv ) দৈর্ঘ্য পরিমাপ : ভার্নিয়ার স্কেলে নির্ণেয় দৈর্ঘ্য হল— – X নির্ণেয় দৈর্ঘ্য = মূল স্কেল পাঠ + ভার্নিয়ার স্কেল পাঠ x ভার্নিয়ার স্থিরাঙ্ক । ব্যবহার : থিয়াডোলাইট , সেক্সট্যান্ট ও র‍্যারোমিটার যন্ত্রে এই স্কেল ব্যবহৃত হয় ।

14. তুলনামূলক স্কেল ( COMPARATIVE SCALE ) কী ?

Ans: তুলনামূলক স্কেল একটি মিশ্র সরলরৈখিক স্কেল । যে স্কেলে দুটি রৈখিক স্কেলকে দুটি পৃথক এককের দ্বারা প্রকাশ করে তাদের মধ্যে তুলনামূলক দুরত্ব দেখানো হলে তাকে তুলনামূলক স্কেল বলে ।

বৈশিষ্ট্য : i ) দুটো রৈখিক স্কেলের শূন্যমান উভয়ের একই রেখায় মিলন ঘটে । ii ) উভয় স্কেলের প্রাথমিক ও গৌণভাগের দূরত্বকে একই মানে নির্দেশ করা হয় । iii ) উভয় স্কেলের ক্ষেত্রেই প্রতিনিধিত্বমূলক অনুপাত ( R.F. ) সমান হয় ।

সুবিধা : এই স্কেলে একই সাথে কিমি ও মাইল দু’রকম দুরত্ব ইউনিটের পরিমাপ করা সম্ভব ।

15. তুলনামূলক স্কেল ( COMPARATIVE SCALE ) প্রয়োজনীয়তা । 

Ans: তুলনামূলক স্কেলের সুবিধা হল এই স্কেলের মাইল ও কিমি বা অন্য যেকোন ভিন্ন দুটি এককের মধ্যে সম্পর্ক দ্রুত বুঝতে সাহায্য করে । আর্মিদের , বৈমানিকদের এবং ইঞ্জিনিয়াররা এটি ব্যবহার করে । এটিতে ঘূর্ণন ও দুরত্ব এবং সময় ও দূরত্ব প্রভৃতি বুঝতে সাহায্য করে । যেকোন পছন্দসই সুবিধাজনক এককে স্কেল পাঠ নেওয়া যায় ও দুটি ইউনিটেই দূরত্ব মেপে তাদের মধ্যে দুরত্বের তুলনা করা যায় ।

16. মানচিত্রে স্কেলের ব্যবহার কী ? 

Ans: স্কেল মানচিত্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । স্কেল ছাড়া মানচিত্র অর্থহীন । কারণ ( i ) মানচিত্রে স্কেল ব্যবহার করলে বাস্তবের ভূমিভাগটির সঠিক দুরত্ব পাওয়া যায় ; ( ii ) জরীপ কাজের সময় স্কেলের ব্যবহার আছে ; ( iii ) মানচিত্র অঙ্কন , মানচিত্র পঠন – পাঠন এবং মানচিত্রের আয়তন নির্ধারণের সময় স্কেল ব্যবহৃত হয় ; ( iv ) মানচিত্রের উপর বিভিন্ন শহর ও বস্তুগুলোর পারস্পরিক দুরত্ব নির্ণয় করতে স্কেল ব্যবহৃত হয় ; ( v ) মানচিত্রকে সুবিধামতো ছোট – বড়ো করার কাজেও স্কেলের ব্যবহার আছে ; ( vi ) মানচিত্রে রেলপথ , রাস্তা , নদী প্রভৃতির দৈর্ঘ্য নির্ণয় করার জন্য স্কেল ব্যবহৃত হয় ; ও ( vii ) মানচিত্রের স্কেল ছোট – বড়ো করলেও তা একই পরিমাপ নির্দেশ করে , যা অন্য পদ্ধতিতে পাওয়া দুস্কর ।

17. রোটামিটার ( ROTAMETER ) বা কার্ভিমিটার ( CURVIMETER ) কী ? 

Ans: রোটামিটার বা কার্ভিমিটার হল মানচিত্রের মধ্যে অবস্থিত বিভিন্ন বস্তু বা অবয়বের দৈর্ঘ্য পরিমাপের যন্ত্র । এই যন্ত্রের সাহায্যে মানচিত্রের নদনদী , রাস্তা , ব্রিজ , খাল ও মিয়েন্ডারের দূরত্ব খুব সহজেই পরিমাপ করা সম্ভব । এই যন্ত্রের মধ্যে সেমি ও কিলোমিটার দুইটি স্কেল থাকে । রোটামিটারের চাকার পরিধি সর্বদা দৈর্ঘ্যের সঙ্গে সমানুপাতি হয় । কোন চাকার পরিধি 7 সেমি হলে , মানচিত্রের ওপর ওই চাকাকে এক পাক ঘোরানো হলে ঐটি 7 সেমি দূরত্ব অতিক্রম করবে ও রোটামিটারের কাঁটাটিও 7 সেমি দৈর্ঘ্যের মাপ নির্দেশ করবে ।

18. প্যান্টোগ্রাফ ( PANTO GRAPH ) কী ? 

Ans: প্যান্টোগ্রাফ যন্ত্রের সাহায্যে নক্সা , চার্ট ও মানচিত্র ছোট বা বড়ো করার কাজে ব্যবহৃত হয় । এই যন্ত্রে দুটি বড়ো বাহু ও দুটি ছোট বাহু বর্তমান । এই চারটি বাহু নির্দিষ্ট স্কেল অনুযায়ী স্থাপন করলে একটি সামান্তরিক তৈরি করে । সরলরেখা দ্বারা ছেদিত সামান্তরিকের ছোট বাহুর ছেদ বিন্দু ও বড়ো বাহুর ছেদবিন্দুর স্থানান্তরের অনুপাত ফালকম থেকে যথাক্রমে ঐ দুটি বাহুর দূরত্বের অনুপাতের সমান । প্যান্টোগ্রাফে মানচিত্র চার বা পাঁচ গুণের বেশি ছোট বা বড়ো করা যায় না ।

FILE INFO : স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল – Scale & Techniques Of Data Representation | ব্যবহারিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Practical Geography – Geography)

File Details:

PDF Name : স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল – Scale & Techniques Of Data Representation | ব্যবহারিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Practical Geography – Geography)

Price : FREE

Download Link : Click Here To Download

INFO : Geography – Practical Geography – Question and Answer | ভূগোল – ব্যবহারিক ভূগোল – স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল (Scale & Techniques Of Data Representation) প্রশ্নোত্তর

” ভূগোল (Geography) – ব্যবহারিক ভূগোল (Practical Geography) – স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল – Scale & Techniques Of Data Representation “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক বিভিন্ন শ্রেনীর পরীক্ষা (Class 5, 6, 7, 8, 9,  Madhyamik, Class 11, Higher Secondary – HS, College & University Exam) এবং বিভিন্ন চাকরির (WBCS, WBSSC) পরীক্ষায় এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে BhugolShiksha.com এর পক্ষ থেকে ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নো ও উত্তর উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস  ভূগোল (Geography) ব্যবহারিক ভূগোল (Practical Geography) – স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল – Scale & Techniques Of Data Representation / স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল সংক্ষিপ্ত ছোট প্রশ্ন ও উত্তর / স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল (ব্যবহারিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Scale & Techniques Of Data Representation (Practical Geography – Geography)  SAQ Practical Geography / Short Question and Answer / স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল (ব্যবহারিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Scale & Techniques Of Data Representation (Practical Geography – Geography) Quiz / স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল (ব্যবহারিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Scale & Techniques Of Data Representation (Practical Geography – Geography) QNA / স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল (ব্যবহারিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Scale & Techniques Of Data Representation (Practical Geography – Geography) Question and Answer FREE PDF Download ) পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর সফল হবে।

স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল (ব্যবহারিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Scale & Techniques Of Data Representation (Practical Geography – Geography) Question and Answer in Bengali

স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ডিজিটাল মাধ্যম BhugolShiksha.com । এর প্রধান উদ্দেশ্য পঞ্চম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী, মাধ্যমিকউচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত বিষয় এবং গ্রাজুয়েশনের শুধুমাত্র ভূগোল বিষয়কে  সহজ বাংলা ভাষায় আলোচনার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে সহজ করে তোলা।

স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল (ব্যবহারিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Scale & Techniques Of Data Representation (Practical Geography – Geography)

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” স্কেল ও তথ্য উপস্থাপনের কৌশল (ব্যবহারিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Scale & Techniques Of Data Representation (Practical Geography – Geography) ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই আমাদের ভূগোল শিক্ষা – Bhugol Shiksha – BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। ভূগোল বিষয়ে যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইটটি ফলাে করুন এবং নিজেকে ভৌগোলিক  তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন , ধন্যবাদ।