জলবায়ুবিদ্যা – ভূগোল – প্রশ্ন ও উত্তর | Geography – Climatology – Question and Answer in Bengali

অধ্যায়ঃ সূর্যরশ্মি ও বায়ুমণ্ডলের উয়তা - INSOLATION AND TEMPERATURE OF THE ATMOSPHIER | জলবায়ুবিদ্যা - ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Climatology - Geography)


জলবায়ুবিদ্যা – Climatology (ভূগোল – Geography) বিষয়ের অধ্যায়ঃ সূর্যরশ্মি ও বায়ুমণ্ডলের উয়তা – INSOLATION AND TEMPERATURE OF THE ATMOSPHIER প্রশ্ন ও উত্তর  নিচে দেওয়া হল। এই (অধ্যায়ঃ সূর্যরশ্মি ও বায়ুমণ্ডলের উয়তা – INSOLATION AND TEMPERATURE OF THE ATMOSPHIER – জলবায়ুবিদ্যা Climatology – ভূগোল Geography) প্রশ্নোত্তর গুলি স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। তোমরা যারা অধ্যায়ঃ সূর্যরশ্মি ও বায়ুমণ্ডলের উয়তা – INSOLATION AND TEMPERATURE OF THE ATMOSPHIER – জলবায়ুবিদ্যা – Climatology (ভূগোল – Geography) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর (Short Question and Answer) খুঁজে চলেছো, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নপত্র ভালো করে পড়তে পারো। 

অধ্যায়ঃ সূর্যরশ্মি ও বায়ুমণ্ডলের উয়তা – INSOLATION AND TEMPERATURE OF THE ATMOSPHIER

1 . বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হবার প্রক্রিয়া ।

উত্তরঃ সূর্যই বায়ুমণ্ডলের উয়তার প্রধান উৎস । বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হবার প্রক্রিয়া । নিম্নরূপ – A ) পরিবহন প্রক্রিয়া : ভূ – পৃষ্ঠের তাপবিকিরণে বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তর উত্তপ্ত হয়ে পরস্পর বায়ুস্তর উত্তপ্ত হয় । B ) পরিচলন প্রক্রিয়া : উয় ও শীতল বায়ু যথাক্রমে ঊর্ধ্বগামী ও নিম্নগামী হয়ে চক্রাকারে বায়ু উত্তপ্ত হয় । C ) বিকিরণ প্রক্রিয়া : সূর্য থেকে বিকিরিত সৌররশ্মি সরাসরি । বায়ুমণ্ডল ও ভূ – পৃষ্ঠ উত্তপ্ত করে । D ) তাপশােষণ : বায়ুমণ্ডলের ভাসমান ধূলিকণা , জলীয় বাষ্প , CO , তাপশােষণ করে বায়ু উত্তপ্ত করে । E ) অন্যান্য প্রক্রিয়া : ( i ) তেজস্ক্রিয় পদার্থ বিকিরণ , ( ii ) আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও উয় প্রস্রবণ থেকে নির্গত তাপ , ( iii ) জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে মেঘ ও বৃষ্টিতে পরিণত হয়ে যে লীনতাপ ত্যাগ করে তাতেও বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হয় ।

2. বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা তারতম্যের কারণ । 

উত্তরঃ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে উয়তার পার্থক্যের জন্য কতকগুলি কারণ প্রভাব বিস্তার করে , এদের উন্নতার নিয়ন্ত্রক বলে । ( i ) সূর্যরশ্মির তাপীয় ফল বা ইনসােলেশন , ( ii ) অক্ষাংশের পরিবর্তন , ( iii ) উচ্চতার পার্থক্য , ( iv ) সমুদ্র হতে দূরত্ব , ( v ) সমুদ্রস্রোত , ( vi ) বায়ুপ্রবাহ , ( vii ) দিনের পরিমাণ , ( viii ) ভূমির উচ্চতা , ( ix ) পর্বতের অবস্থান , ( x ) ভূমির ঢাল , ( xi ) মৃত্তিকার গঠন , ( xii ) জলভাগ ও স্থলভাগের বন্টন , ( xiii ) অ্যালবেভাের পার্থক্য , ( xiv ) বাষ্পীভবনের পার্থক্য , ( xv ) আপেক্ষিক তাপমাত্রা , ( xvi ) ভৌগােলিক অবস্থান , ( xvii ) মেঘের আবরণ , ( xviii ) বনভূমির অবস্থান , ( xix ) ভূ – পৃষ্ঠের প্রকৃতি ও ( xx ) সর্বোপরি মানুষের ক্রিয়াকলাপ তাপমাত্রা তারতম্যের কারণ । 

3.  ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য উয়তা ।

উত্তরঃ পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের এক ইন্দ্রিয় ত্বকের মাধ্যমে আমরা যে উয়তা অনুভব করি , তাকে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য উন্নতা বলে ।
তাৎপর্য : শুষ্ক মরু অঞ্চলে অধিক উয়তায় চামড়া থেকে জল দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে যায় ও চাম কায়ে যায় । আর্দ্রকুণ্ড থার্মোমিটারে যখন 75°F , তখন একটানা শারীরিক পরিশ্রম প্রচণ্ড অস্বস্তি আবার ঠিক শীতল আবহাওয়া থেকে আর্দ্র স্যাতস্যাতে আবহাওয়া অধিক কষ্টকর ( যেমন কঙ্গো অববাহিকা ) , সে তুলনায় অধিক শীতল আবহাওয়া অসহ্য বােধ হয় না ( যেমন কানাডা ) , যদি সেখানে সূর্যালােক ও স্থির বাতাস থাকে ।

4. লীন তাপ ( LATENT HEAT ) । 

উত্তরঃ তাপ পদার্থের উষতার পরিবর্তন না ঘটিয়ে পদার্থের অবস্থার ( যেমন — কঠিন থেকে তরলে এবা হল থেকে গ্যাসীয় অথবা গ্যাসীয় থেকে তরল এবং তরল থেকে কঠিন ইত্যাদি ) পরিবর্তন ঘটায় , তাতে লীন তাপ ( LATENT HEAT ) বলে । । উদাহরণসহ ব্যাখ্যা : তাপের ফলে কঠিন বরফ গলে জল ; জল গ্যাসীয় অবস্থায় বা বাষ্পে পরিণত হয় ; তা আবার শীতল বাতাসের সংস্পর্শে এসে ঘনীভূত হয়ে মেঘ ও ক্ষুদ্র জলকণা আবার তা কখনাে বরফেও পরিণত হয় । তাই এইরুপ অবস্থায় পরিবর্তনকারী তাপকে লীন তাপ বলে । 

5. সূর্যরশ্মির তাপীয় ফল ( INSOLATION ) বা , কার্যকরী সৌরবিকিরণ । 

উত্তরঃ সূর্য থেকে আগত ক্ষুদ্র তরঙ্গবিশিষ্ট সূর্যরশ্মি প্রধানত বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত করে । সূর্য থেকে বিকিরিত অতি সামান্য অংশ , সম্ভবত মাত্র 220 কোটি ভাগের ১ ভাগ প্রতি সেকেণ্ডে 1 , 86 , 000 মাইল বেগে পৃথিবীতে এসে পৌঁছয় । একেই ইনসােলেশন বা সূর্যরশ্মির তাপীয় ফল বলে । 
উদাহরণসহ ব্যাখ্যা : সূর্যরশ্মির তাপীয় ফলের শতকরা 34 ভাগ ( 2 ভাগ ভূ – পৃষ্ঠ , 7 ভাগ বায়ুমণ্ডল ও 25 ভাগ মেঘপুঞ্জ ) মহাশূন্যে প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরিত হয়ে বহৎ তরঙ্গরূপে ফিরে যায় । ফলে এরা বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত করে না । কাজেই বাকী 66 % সৌরবিকিরণ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে , একে কার্যকরী সৌরবিকিরণ বলে । 

6. সৌরস্থিরাঙ্ক ( SOLAR CONSTANT ) । 

উত্তরঃ সাধারণত বায়ুমণ্ডলের বহিঃসীমায় প্রতি বর্গ এককে সৌরবিকিরণের যে মাত্রা , সেই মাত্রাকে | সােরথিরাঙ্ক বলে । সৌরঙ্খিরাঙ্ক ল্যাঙল এককে প্রকাশ করা হয় । যেমন , 1 ল্যাঙল = প্রতি বর্গসেমিতে । T ক্যালােরি তাপ । আমেরিকার স্মিথসােলিয়াম ইনস্টিটিউটে দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের সৌরঙ্খিরাঙ্ক মাপা সম্ভব । হয়েছে । সাধারণত প্রতি ৷ বৎসর সৌরকলঙ্কের বিস্ফোরণ ( Sunspot ) সৌর তাপীয় ফলের হ্রাস – বৃদ্ধি । ঘটে বলে সৌরঙ্খিরাঙ্কেরও তারতম্য হয় ।

7. অ্যালবেড়া ALBEDO ) । 

উত্তরঃ সংজ্ঞা: পৃথিবীতে আগত মােট সৌরকিরণ প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যাওয়া সৌরকিরণের অনুপাতের । ৩রা হারকে অ্যালবো বলে । মংকহাউসের মতে The ratio between the total radiation । alling upon a surface and the amount reflected expressed as a decimal or a Percentage is known as albedo . 
পরিমাণ: সৌরকিরণের 220 কোটি ভাগের ১ ভাগ পৃথিবীতে আসে ; এই তাপীয় ফলের প্রতিফলিত । ‘ রে যাওয়ার অংশ হল  : ভূ – পৃষ্ঠ থেকে 2 ভাগ । বায়ু মণ্ডল থেকে – 7 ভাগ । মেঘপুঞ্জ থেকে – 25 ভাগ । মােট 34 ভাগ পুনরায় মহাশূন্যে ফিরে যায় ; একে অ্যালবেড়াে বলে । বেশষ্ট্য : ( i ) ফিরে যাওয়া 34 ভাগ পৃথিবীর বায়ু মণ্ডলকে উত্তপ্ত করতে পারে না । হয়ে ফিরে যাওয়ার অংশ হল । ii ) অ্যালবেডাে আলডােমিটার যন্ত্রে পরিমাপ করা হয় । ( ii ) ঋতুভেদে অ্যালবেডাে পরিবর্তিত হয় । 

8. উত্তাপের সমতা ( IIEAT BALANCE ) ।

উত্তরঃ পৃথিবীর গড় বার্ষিক উত্তাপ কখনও বাড়েও না , কমেও না । দিনের বেলায় যে সৌরশক্তি । তরক্ষাৱগে পথিবীতে এসে পৌঁছায় , তা রাত্রিতে বৃহৎ তরঙ্গারুপে ফিরে যায় । দিনের বেলায় ভূ – পষ্ঠ মেনু সৌরকিরণ গ্রহণ করে উত্তপ্ত হয় , রাত্রিতে তেমনি তাপ বিকিরণের ফলে শীতল হয় । এর ফলে পৃথিবীর বার্ষিক উত্তাপের পরিমাণ একই থাকে একেই উত্তাপের সমতা বলা হয় । 

9. বৈপরীত্য উত্তাপ ( INVERSION TEMPERATURE ) । 

উত্তরঃ উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উত্তাপ না কমে অনেক সময় বেড়ে যায় এবং এই অবস্থা অনেক সময় ট্রপােস্ফিয়ারের উপরের দিকে কিছুদূর পর্যন্ত দেখা যায় । একে তাপমাত্রার ব্যতিক্রম বা বৈপরীত্য উত্তাপ বলে । । উদাহরণসহ ব্যাখ্যা : সাধারণত পার্বত্য উপত্যকায় রাত্রে তাপ বিকিরণ করার ফলে উচ্চ পার্বত্য বাতাস খুব শীতল ও ভারী হয়ে পর্বতের ঢাল বরাবর ধীরে ধীরে ক্যাটাবেটিক বায়ুরূপে পর্বতের গা বেয়ে উপত্যকার নিচু অংশে নেমে আসে । এর ফলে উপত্যকার নিচু অংশের উয়তা উচ্চ পর্বতগাত্রের উন্নতা অপেক্ষা কম থাকে । এইভাবে বৈপরীত্য উয়তার সৃষ্টি হয় । 

10. বৈপরীত্য উত্তাপের ফলাফল । 

উত্তরঃ বৈপরীত্য উত্তাপ পার্বত্য অঞলে বহুলাংশে প্রভাব বিস্তার করে । যেমন — i) কষিকার্য ও জনবসতি : বৈপরীত্য উত্তাপের জন্য নাতিশীতােয় ও শীতল অঞ্চলে পর্বতবেষ্টিত উপত্যকায় কৃষিকার্য ও জনবসতি পর্বতের নিচু অপেক্ষা উঁচু অঞ্চলে দেখা যায় । ( উদাহরণ — আল্পস পর্বতের জনবসতি । ) ii ) অনুকূল আবহাওয়া : কোন শৈলাবাসে এই বৈপরীত্য উম্নতার কারণে ভােরের বেলায় উপত্যকাগুলি মেঘে ঢাকা থাকে । বেলা বাড়লে উয়তা বাড়ে ও উপত্যকাগুলি মেঘমুক্ত হয় । ( উদাহরণ দার্জিলিং ) । iii ) ধোঁয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ : কোন শিল্পশহর ( কোলকাতা , লস এঞ্জেলস ) শীতকালে সন্ধ্যাবেলায় ধোঁয়াশার জন্য বৈপরীত্য উয়তার সৃষ্টি হয় ।

11. ক্যাটাবেটিক বায়ু ( KATABATIC WIND ) । 

উত্তরঃ গ্রীক শব্দ ‘ Kata ” অর্থ ‘ নিম্নদিকে ’ অনেক সময় পার্বত্য উপত্যকায় শান্ত আবহাওয়ায় উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উয়তা না কমে বেড়ে যায় । শীতকালে মেঘপুঞ্জ পরিষ্কার আকাশে শান্ত আবহাওয়ায় পর্বতের অপরের অংশের বায়ু দ্রুত তাপ বিকিরণ করে দ্রুত শীতল ও ভারী হয়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে পর্বতের বেয়ে নিচে উপত্যকা অঞ্চলে নেমে আসে । একে কাটাবেটিক বায়ু বলে । নিম্নদিকে প্রবাহিত বলে একে নিকাশী বায়ুও বলা হয় । উদাহরণ : গ্রীনল্যান্ড , আন্টার্কটিকার বরফ আচ্ছাদিত স্থানে এর প্রকৃষ্ট নিদর্শন দেখা যায় ।

12. অ্যানাবেটিক বায়ু ( ANABATIC WIND ) ।

উত্তরঃ পার্বত্য বায়ুর একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা অ্যানাবেটিক বায়ু । গ্রীক শব্দ ‘ Ana ‘ অর্থ ‘ ওপরের দিকে । বস্তৃত দিনের বেলায় পর্বতশীর্ষ সূর্যের উত্তাপে দ্রুত উত্তপ্ত হয় বলে শীর্ষদেশে নিম্নচাপ বিরাজ করে কিন্তু তখন উপত্যকার নিম্ন অংশে সূর্যের তাপ ঠিকমতাে না পৌঁছানাের ফলে পার্বত্য উপত্যকা অংশে উচ্চচাপ থাকে । এর ফলে দিনের বেলায় উপত্যকা থেকে শীর্ষদেশের দিকে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে যে বায়ু প্রবাহিত হয় , তাকে অ্যানাবেটিক বা পার্বত্য বায়ু ( Mountain Breeze ) বলে ।
 উদাহরণ : উয়তার উলম্ব বন্টনে , বায়ুর দিক ও গতি নির্ণয়েও বৈপরীত্য উত্তাপকে প্রভাবিত করে । 

13. তাপবৈষম্য অঞ্চল ( THERMOMION ) ।

উত্তরঃ পৃথিবীর একই অক্ষরেখায় অবস্থিত সমস্ত স্থানে একই উয়তা থাকার কথা , কিন্তু বায়ুপ্রবাহ , সমুদ্রস্রোত প্রভৃতির প্রভাবে তা না হয়ে কোথাও বেশি আবার কোথাও কম হয় । তাপমাত্রার এই বিভিন্নতাকেই তাপবৈষম্য অঞল বলে । | শ্রেণী : ইহা দুই প্রকার ; যেখানে তাপমাত্রা বেশি তাকে ধ্বনাত্মক ও যেখানে তাপমাত্রা কম তাকে ঋণাত্মক তাপবৈষম্য অঞল বলে । 

14. রূদ্ধতাপীয় পরিবর্তন ( ADIABATIC PROCESS ) । 

উত্তরঃ শহরে থেকে তাপের সরবরাহ ছাড়াই বায়ুর সংকোচন ও প্রসারণজনিত কারণে বায়ুর তাপমাত্রার । হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে , তাকে রূদ্ধতাপীয় পরিবর্তন বলে । উদাহরণসহ ব্যাখ্যা : ( A ) বায়ু আয়তনে প্রসারিত হলে তার তাপমাত্রা হ্রাস পায় , ঊর্ধ্বগামী বায়ু । নে প্রসারিত হয়ে তাপহ্রাস ঘটে । ( B ) বায়ু আয়তনে সংকুচিত হলে গাঢ় হয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটে , নিম্নগামী বায়ুতে এই কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটে । 

15. THERMAL ANOMELY । 

উত্তরঃ কোন স্থানের প্রকৃত তাপমাত্রার সাথে পৃথিবীপৃষ্ঠে ঐ অক্ষরেখার সমান্তরালে প্রকৃত তাপমাত্রার যে । পার্থক্য তাকে তাপীয় চূড়ান্ত অনিয়ম বলা হয় । একই THERMAL ANOMELY যুক্ত অঞ্চলগুলিকে যে রেখার দ্বারা যুক্ত করা হয় , তাকে ‘ ISOTHERMAL বলে । উদাহরণসহ ব্যাখ্যা : ভারখয়ানক্স শহরে শীতকালে তাপমাত্রা হল – 25 . 6°C । আবার ঐ অক্ষরেখার নরওয়ের উপকূলের একটি অক্ষাংশে ( 63°N ) চুড়ান্ত ধনাত্মক ব্যতিক্রম দেখা যায় । এখানকার তাপমাত্রা 25 . 6°C ।

16. সমােয়রেখা ( ISOTHERMS ) ।

উত্তরঃ পৃথিবীর যে সকল স্থানের উন্নতা প্রায় একই রকম সেই সমস্ত থানগুলিকে যদি কোন কাল্পনিক রেখা দ্বারা যােগ করা যায় , তাহলে যে রেখা । পাওয়া যায় , তাকে সমােয়রেখা বলে । ( ISOTHERMS এর ‘ ISO ‘ অর্থ । সমান ’ ও ‘ THERMS অর্থ ‘ উষ্ণুতা ‘ ) ।
বৈশিষ্ট্য : i ) উত্তর গােলার্ধে থলভাগ বেশি থাকায় সমােয়রেখা | ঘনভাবে অবস্থান করে । ii ) দক্ষিণ গােলার্ধে জলভাগ বেশি থাকায় সমােয়রেখা দূরে । দূরে অবস্থান করে । iii ) উত্তরায়ন ও দক্ষিণায়নের সাথে সমমায়রেখাগুলিও উত্তরে ও দক্ষিণে স্থানান্তর হয় ।
গুরুত্ব : সমােয়রেখার সাহায্যে বিশ্বের বিভিন্ন অঞলের উয়তার স্বচ্ছ প্রতিচ্ছবির সাথে মানুষের জীবনধারার তথ্য জানা যায় । 

17. মরু অঞ্চলে শীত ও গ্রীষ্মের উয়তার পার্থক্য ।

উত্তরঃ মরু অঞ্চলে প্রধানত বিকিরণের প্রভাবে শীত ও গ্রীয়ের উয়তার পার্থক্য বেশি হয় । এর কারণ হল i ) সমুদ্র হতে দূরত্ব বেশি : সমুদ্র হতে দূরত্ব বেশি হওয়ায় জলবায়ু চরমভাবাপন্ন ( উদাহরণ ভারতের থর মরুভূমি , মঙ্গোলিয়ার গােবি ) । ii ) কোয়ার্জ : মরুভূমির বালুতে কোয়ার্জ খনিজ সমৃদ্ধ , যা দ্রুত উত্তপ্ত ও শীতল হয় । এর ফলে । এই চরমতা দেখা যায় । iii ) জলধারণ ক্ষমতা : বালুকাময় মরুমৃত্তিকার জলধারণ ক্ষমতা খুব অল্প বলে উত্তাপের যথেষ্ট হ্রাস – বৃদ্ধি হয় । iv ) বৃষ্টিহীন : মরু অঞ্চল বৃষ্টিহীন বলে এই চরম প্রকতির আবহাওয়া দেখা যায় ।

18. টুফ ( TROUGH ) বা , রীজ ( RIDGE ) । 

উত্তরঃ নিম্নচাপ কেন্দ্রে বায়ুর চাপ কম থাকে । এর দ্বারা ঘূর্ণবাত সৃষ্টি হয় নিম্নচাপের পার্শ্ববর্তী এলাকার অর্থাৎ উচ্চচাপযুক্ত অঞলের সাপেক্ষে এর ঢাল নিম্ন হয় । দুটি উচ্চচাপ কেন্দ্রের মধ্যস্থলে বিস্তৃত আকারের নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে তার চাপীয় ঢাল জিহ্বা সদৃশ বিশাল আকৃতির হয় । একে TROUGH বা খাত বলে । । বিপরীতভাবে দুটি নিম্নচাপ অঞলের মধ্যবর্তী খাড়াই ঢালযুক্ত উচ্চচাপ অঞলকে RIDGE বলে । 

19. তাপীয় ঢাল ( TEMPERATURE GRADIENT ) । 

উত্তরঃ দুটি স্থানের মধ্যে উয়তার পরিমাণকে যদি আকৃতিগত হিসাবে ধরা হয় তাহলে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ ও শীতল স্থানের মধ্যে তাপের পার্থক্যের । যে ঢাল পাওয়া যায় , তাকে উন্নতার তাপীয় ঢাল বলে । দুটি সমমায়রেখার মধ্যে পার্থক্য অনুসারে একে অঙ্কন করা যায় । সমােয়রেখা নিকটবর্তী অবস্থান খাড়াই ঢাল ও দূরবর্তী অবস্থান মৃদু ঢাল নির্দেশ করে ।

20.  উষ্ণতার উলম্ব বন্টন ( VERTICAL DISTRIBUTION OF TEMPERATURE ) ব্যাখ্যা । 

উত্তরঃ A ) বায়ুমণ্ডলের ট্রপােস্ফিয়ার স্তরে ( 1 – 18 কিমি ) প্রতি 1000 মিটার উচ্চতায় 6 . 4°C করে | তাপমাত্রা কমে । B ) ট্রপােপজের উপরে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ( 10 – 50 কিমি ) উয়তা বাড়ে ( উয়তা 0°C ) । C ) ট্রলােপজের উপরে মেসােস্ফিয়ারে ( 50 – 80 কিমি ) উয়তা কমে ( এখানে উয়তা – 100°C ) । D ) আবার মেসােপজের উপরে থার্মোস্ফিয়ারে ( 80 – 750 কিমি ) তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ে ( এখানে | তাপমাত্রা 12320C ) । । E ) পরবর্তীকালে এক্সোস্ফিয়ার ও ম্যাগনেটোস্ফিয়ারে তাপমাত্রা আরাে বৃদ্ধি পায় , অর্থাৎ উচ্চতা অনুযায়ী উষ্ণতা হ্রাস – বৃদ্ধির বিভিন্ন বৈচিত্র্য লক্ষণীয় । 

FILE INFO : অধ্যায়ঃ সূর্যরশ্মি ও বায়ুমণ্ডলের উয়তা – INSOLATION AND TEMPERATURE OF THE ATMOSPHIER | জলবায়ুবিদ্যা – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Climatology – Geography)

File Details:
PDF Name : অধ্যায়ঃ সূর্যরশ্মি ও বায়ুমণ্ডলের উয়তা – INSOLATION AND TEMPERATURE OF THE ATMOSPHIER | জলবায়ুবিদ্যা – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Climatology – Geography)
Language : Bengali
Size : 745.0 kb
No. of Pages : 18
Download Link : Click Here To Download

INFO : Geography – Climatology – Question and Answer | ভূগোল – জলবায়ুবিদ্যা – অধ্যায়ঃ সূর্যরশ্মি ও বায়ুমণ্ডলের উয়তা – INSOLATION AND TEMPERATURE OF THE ATMOSPHIER – প্রশ্নোত্তর

         ” ভূগোল (Geography) – জলবায়ুবিদ্যা (Climatology) – অধ্যায়ঃ সূর্যরশ্মি ও বায়ুমণ্ডলের উয়তা – INSOLATION AND TEMPERATURE OF THE ATMOSPHIER “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক বিভিন্ন শ্রেনীর পরীক্ষা (Class 5, 6, 7, 8, 9,  Madhyamik, Higher Secondary – HS, College & University Exam) এবং বিভিন্ন চাকরির (WBCS, WBSSC) পরীক্ষায় এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে BhugolShiksha.com এর পক্ষ থেকে ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নো ও উত্তর উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস  ভূগোল (Geography) জলবায়ুবিদ্যা (Climatology) – অধ্যায়ঃ সূর্যরশ্মি ও বায়ুমণ্ডলের উয়তা – INSOLATION AND TEMPERATURE OF THE ATMOSPHIER / সংক্ষিপ্ত ছোট প্রশ্ন ও উত্তর / SAQ / Short Question and Answer / QNA / FREE PDF Download ) পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর সফল হবে।

Source : Bhugolika

    স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ডিজিটাল মাধ্যম BhugolShiksha.com । এর প্রধান উদ্দেশ্য পঞ্চম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী, মাধ্যমিকউচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত বিষয় এবং গ্রাজুয়েশনের শুধুমাত্র ভূগোল বিষয়কে  সহজ বাংলা ভাষায় আলোচনার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে সহজ করে তোলা। 

        আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই আমাদের ভূগোল শিক্ষা – Bhugol Shiksha – BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। ভূগোল বিষয়ে যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইটটি ফলাে করুন এবং নিজেকে ভৌগোলিক  তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন , ধন্যবাদ।

নিচের বাটনে ক্লিক করে শেয়ার করেন বন্ধুদের মাঝে