সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার (অর্থনৈতিক ভূগোল - ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Marine Resources / Fishing (Economic Geography) Geography
সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার (অর্থনৈতিক ভূগোল - ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Marine Resources / Fishing (Economic Geography) Geography

অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার | Marine Resources / Fishing – Economic Geography (Geography) Question and Answer in Bengali

সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Marine Resources / Fishing (Economic Geography – Geography) : অর্থনৈতিক ভূগোল – Economic Geography (ভূগোল – Geography) সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার – Marine Resources / Fishing প্রশ্ন Oও উত্তর  নিচে দেওয়া হল। এই (সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার – Marine Resources / Fishing – অর্থনৈতিক ভূগোল Economic Geography – ভূগোল Geography) প্রশ্নোত্তর গুলি স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। তোমরা যারা সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার – Marine Resources / Fishing – অর্থনৈতিক ভূগোল – Economic Geography (ভূগোল – Geography) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর (Short Question and Answer) খুঁজে চলেছো, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নউত্তর ভালো করে পড়তে পারো।

সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার (Marine Resources / Fishing) অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

1. বাণিজ্যিক মৎস্যক্ষেত্র কী ? ( COMMERCIAL FISHING GROUND ) । 

Ans: পৃথিবীর যে সব উন্মুক্ত সমুদ্র উপকূল ও গভীর সমুদ্র অঞ্চল থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে বাণিজ্যিক হারে মৎস্য আহরণ করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে দেশ – বিদেশে রপ্তানি করা হয় , তাদের বাণিজ্যিক মৎস্য আহরণ ক্ষেত্র বলা হয় । এককথায় যখন নিজ দেশের চাহিদা মিটিয়ে প্রধানত বাণিজ্য বা রপ্তানিস উদ্দেশ্যে যে মৎস্য শিকার করা হয় , তাকে বাণিজ্যিক মৎস্য শিকার বলে । পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক মৎস্যচারণক্ষেত্রগুলি উত্তর গোলার্ধের নাতিশীতোয় মণ্ডলে অবস্থান করলেও দক্ষিণ গোলার্ধের নাতিশীতোয় মণ্ডলে এর অবস্থান দেখা যায় ।

2. পৃথিবীর বাণিজ্যিক মৎস্যচারণক্ষেত্র কী ?

Ans: ডেভিস কুশিং ( 1979 খ্রিঃ ) তাঁর ‘ Fisheries resources of the sea ‘ গ্রন্থে পৃথিবীর সমস্ত দেশের মৎস্যক্ষেত্রকে 15 টি ভাগে ভাগ করলেও প্রধান বাণিজ্যিক মৎস্যক্ষেত্র 4 টি । যথা A ) উত্তর – পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় মৎস্যক্ষেত্র আলাস্কা , কানাডা , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল । B ) উত্তর – পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় মৎস্যক্ষেত্র : জাপান , শাখালিন , পূর্ব চীন , ফিলিপাইন ও দক্ষিণ কোরিয়া । C ) উত্তর – পূর্ব আটলান্টিক মহাসাগরীয় মৎস্যক্ষেত্র : ব্রিটেন , ফ্রান্স , ডেনমার্ক , নরওয়ে , ফিনল্যান্ড । D ) উত্তর – পশ্চিম আটলান্টিক মহাসাগরীয় মৎস্যক্ষেত্র : U.S.A. পূর্ব উপকূল , কানাডা পূর্ব উপকূল , নিউ ইংল্যান্ড । এছাড়া ভূমধ্যসাগরীয় ( স্পেন , মরক্কো ) ও পেরু , চিলি উপকূলেও মৎস্য ধরা হয় ।

3. পিলেজিক মৎস্য কী ? 

Ans: যে সব মৎস্য সমুদ্রজলের উপরিভাগে বিচরণ করে , তাদের পিলেজিক মৎস্য বলা হয় । এই জাতীয় মৎস্যের মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হেরিং । এরা সাধারণত বড় বড় ঝাঁকে ঝাঁকে বিচরণ করে । নরওয়ে , সুইডেন , আইসল্যান্ড , ফিনল্যান্ড প্রভৃতি দেশের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য মৎস্য হেরিং । হেরিং – এর পর ম্যাকারেল সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য । এছাড়াও সার্ডিন , পিলচার্ড , ব্রিসলিং , মেনহাডেন প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য । ইউরোপের স্পেন , ফ্রান্স , নরওয়ে , সুইডেন প্রভৃতি দেশের উপকূলে এই মৎস্য পাওয়া যায় ।

4. ডেমার্সাল মৎস্য কী ? 

Ans: সাধারণত যে সব মৎস্য গভীর সমুদ্রজলে বিচরণ করে , তাদের ডেমার্সাল মৎস্য বলা হয় । ডেমাসাদ মাছ হল পিলেজিক মাছের তুলনায় বড় ও ভারী । এই জাতীয় মৎস্যের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হল কর্ড ( 1.5 মি ) । কর্ড ছাড়াও হাড়ক , হ্যালিব্যুট , টুনা , হেক্ , ফ্ল্যাট প্রভৃতি ডেমার্সাল মাছ অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ উত্তরসাগর , নরওয়ে ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ , চীন , জাপান প্রভৃতি দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে এই মৎস্য আহরণ করা হয় ।

5. পিলেজিক ও ডেমার্সাল মাছের মধ্যে পার্থক্য :

পিলেজল মৎস্য ভিত্তি ডেমার্সাল মৎস্য
এই মৎস্য সমুদ্রের উপরিভাগে বিচরণ করে অবস্থান এই মৎস্য সমুদ্রের গভীর জলে বসবাস করে ।
এই মৎস্য গুলি করে ছোট অবস্থানের প্রকৃতি বিচ্ছিন্ন ভাবে অবস্থান করে ।
ঝাঁকে ঝাঁকে বিচরণ করে উল্লেখযোগ্য মাছ কর্ড মাছ এই মৎসের প্রকৃষ্ট উদাহরণ ।
ভাষা জলে ধরা হয় ধৃত পদ্ধতি টানা জলে ধরা হয় ।
স্পেন, ফ্রান্স, নরওয়ে, সুইডেনে এর বিস্তার বণ্টন চীন ও জাপানের এর বিস্তার ।
খুবই স্বুসাদু ও পুষ্টিকর স্বাদ তুলনমূলক কম স্বুসদু ও কম পুষ্টিকর ।

6. DRIFTING বা ডাসাজাল পদ্ধতি কী ?

Ans: ইহা আসলে সমুদ্রে মাছ ধরার এক পদ্ধতি । পদ্ধতি : ভাসাজাল পদ্ধতিতে ভাসমান ভেলা থেকে উন্নস্বভাবে মাছ ধরার জাল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কয়েক মিটার গভীরে ঝুলিয়ে রাখা হয় । তারপর জালে মাছ আটকা পড়লে ঐ জাল জাহাজ বা নৌকায় তুলে মাছ শিকার করা হয় ।

বৈশিষ্ট্য : 1 . ভাসা জাল জাহাজ বা নৌকা থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় । 2 . এই জাল থেকে সমুদ্রজলের উপরিভাগের কেবল ভাসমান মাছ যেমন- ম্যাকারেল , হেরিং , ম্যানহাডেন ( পিলেজিক ) শিকার করা হয় ।

7. TRAWLING বা টানা জাল পদ্ধতি কী ? 

Ans: সমুদ্রের মাছ শিকারের সর্বোত্তম পদ্ধতি হল টানা জাল পদ্ধতি । পদ্ধতি : একমুখ খোলা বড়ো থলির মতো জাল সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় । গভীর জলের মাছ থলির মুখ দিয়ে ঢুকে পড়লে জাল টেনে উপরে তোলা হয় । ঘণ্টায় প্রায় 4 কিমি গতিবেগের জাল 2 ঘণ্টা টেনে মাছ ধরা হয় । বৈশিষ্ট্য : 1 . এই পদ্ধতিতে ডেমার্সাল বা গভীর সমুদ্রের কর্ড , হাঙ্গর , টুনা , হ্যাডক প্রভৃতি মাছ ধরা হয় । 2 . এই জালের দৈর্ঘ্য 46-50 মিটার হয় । 3 . এক একটি ট্রলারে 80 90 জন শ্রমিকের দরকার হয় । 4. টুলারে বিভিন্ন সরঞ্জাম সংরক্ষণ ব্যবস্থা বা হিমাগার প্রভৃতির ব্যবস্থা থাকে ।

8. ভারতের উপকূলে মৎস্য চাষ লেখো ।

Ans: ভারতের আরবসাগর ও বঙ্গোপসাগরের উপকূলের অগভীর মহীসোপান অঞ্চল , উপকূলবর্তী উপহ্রদ , জলাভূমি ও ভেড়ীতে উপকূলীয় মৎস্য চাষ করা হয় । উপকূলীয় মৎস্য চাষে তামিলনাড়ু ( চেন্নাই ) , অন্ধ্রপ্রদেশ ( বিশাখাপত্তনম ) , কেরালা ( কোচিন ) , কর্ণাটক , মহারাষ্ট্র , গুজরাট প্রভৃতি রাজ্য উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে । চিন্তা , পুলিকট হ্রদ , সুন্দরবন অঞ্চল কেরালার কয়ালগুলি উপকূলীয় মৎস্য চাষের প্রধান অঞ্চল । ভারতীয় উপকূলীয় অঞ্চলে ভেটকী , চিংড়ি , হেরিং , কর্ড , টুনা প্রভৃতি মাছ বিশেষ উল্লেখযোগ্য ।

9. ভারতের অন্তর্দেশীয় মৎস্য চাষ কী ?

Ans: ভারতের অন্তর্দেশীয় জলভাগের নদ – নদী , নালা , পুকুর , ভেড়ী প্রভৃতি স্থানে প্রধান মৎস্যক্ষেত্রগুলি অবস্থিত । ভারতের গঙ্গা , মহানদী , গোদাবরী , কৃয়া , কাবেরী প্রভৃতি বড় নদী ; কোলের , লোকটক , উপার প্রভৃতি বড় বড় হ্রদ এবং বিভিন্ন নদীতে নির্মিত কৃত্রিম জলাধারগুলি এজাতীয় মৎস্য চাষের প্রধান কেন্দ্র । অন্তর্দেশীয় জলভাগে রুই , কাতলা , মৃগেল , শোল , মাগুর , চিংড়ি প্রভৃতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য সাধু বা মিষ্টি জলের মৎস্য পাওয়া যায় । এছাড়া নদীর মোহনার কাছাকাছি স্বাদু ও লোনা জলে ভেটরী , তপসে , চিংড়ি প্রভৃতি ধরা হয় । ভারতের আভ্যন্তরীণ মৎস্যের চাহিদা মেটাতে অন্তর্দেশীয় জলভাগের এই মৎস্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে ।

10. পৃথিবীর অত্যন্ত সম্ভাবনাময় মৎস্যক্ষেত্র কী ?

Ans: পৃথিবীর অত্যন্ত সম্ভাবনাময় মৎস্যক্ষেত্রগুলি হল- ( i ) কুমেরু সাগর , ( ii ) জাভা সাগর , আরাসূ সাগর , ( iii ) দক্ষিণ – পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর , ( iv ) 3 ° উত্তর – দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যবর্তী প্রশান্ত মহাসাগরের কিরিবাতি দ্বীপ থেকে ইকুয়েডরের পশ্চিম উপকূল পর্যন্ত অঞ্চল । ( v ) গিনি উপসাগর , ( vi ) ওসেটি সাগর , পীতসাগর , পূর্ব চীন সাগর , বেরিং সাগর , আলাস্কা উপসাগর , কানাডার পূর্ব উপকূলে আলেকজান্ডার দ্বীপপুঞ্জ ।

11. পৃথিবীর কোন কোন মৎস্যক্ষেত্রে মৎস্য সম্পদের অবক্ষয় বেশী । 

Ans: সমুদ্রবিজ্ঞানী কুসিং – এর মতে পৃথিবীর যে সমস্ত অঞ্চলে মৎস্য সম্পদের অবক্ষয় সবচেয়ে বেশী সেই তালিকা হল i ) ব্রিটেনের ইস্ট আঙ্গালিয়া’র উপকূলে উত্তর সাগরের কিছু অংশ ( হেরিং মাছ কমছে ) । ii ) ইংলিশ চ্যানেল ও আইরিশ সাগর ( পিলচার্ড মাছের সংখ্যা ) । iii ) আলাস্কার বেরিং প্রণালীতে প্রাইবিলভ দ্বীপ ( অতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত সীল মাছ শিকার ) । iv ) জাপানের পূর্ব উপকূল বরাবর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ( সার্ডিন মাছ কমছে ) ।

12. দক্ষিণ গোলার্ধে মৎস্য চাষ অনুন্নতির কারণ কী ?

Ans: পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে বাণিজ্যিক মৎস্যচারণ ক্ষেত্র তেমন গড়ে ওঠেনি কারণ- ( i ) স্থলভাগের অভাবে জনসংখ্যা কম হয় বলে মৎস্য চাহিদা কম , ( ii ) ভগ্ন উপকূলের অভাবে সমুদ্রের বন্দরের সংখ্যা কম , ( iii ) দক্ষিণ গোলার্ধে অগভীর সমুদ্র ও মহীসোপানের সংখ্যা কম , ( iv ) এখানের মহীসোপানগুলি প্রশস্ত নয় , ( v ) এখানে অনেক দেশ পশুপালনে খুব সমৃদ্ধ বলে মাছের তুলনায় মাংসের চাহিদা বেশি । ( যেমন- অস্ট্রেলিয়া , নিউজিল্যান্ড , ব্রাজিল , আর্জেন্টিনা ) , ( vi ) সর্বোপরি দক্ষিণ গোলার্ধে স্বল্প উপকূল রেখা মৎস্যচাষ অনুন্নতির কারণ ( চিলি , পেরু ইত্যাদি ) ।

13. মৎস্য সংরক্ষণ ( FISH CONSERVATION ) উপায় কী ?

Ans: মৎস্য সংরক্ষণের বিভিন্ন পদ্ধতিগুলি নিম্নরূপ ( i ) অতি মৎস্য সংগৃহীত অঞ্চলে নতুন প্রজাতির মৎস্য নিয়োগের দ্বারা ব্যাপক পুনর্গঠন করতে হবে । ( ii ) অপরিণত মৎস্য সংগ্রহ বন্ধ করা প্রয়োজন ( নরওয়ে ও সুইডেনে এটি মানা হয় ) । ( iii ) সমুদ্র দূফ কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে । ( iv ) কৃত্রিম উপায়ে ডিমের উর্বর সাধন ও প্রজনন ব্যবস্থা কাি ( v ) সমুদ্রের সার্বভৌম জল সীমা 12 কিমি অথবা 200 কিমি । কোন্‌টি হওয়া প্রয়োজন সে সম্পরে মতৈক্যে আসা প্রয়োজন । ( vi ) ডিম পাড়ার সময় মৎস্য ধরা বন্ধ করতে হবে । ( vii ) উন্নত পদ্ধতিতে মৎস্য আহরণ করতে হবে । ( viii ) আরও নতুন মৎস্যক্ষেত্র অনুসন্ধান । ( ix ) মিহিজালের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে । ও ( x ) সর্বোপরি সমুদ্রবিদ্যা , সামুদ্রিক জীববিদ্যা , সামুদ্রিক আবহবিদ্যা ও সংগ্রহ কৌশল সম্বন্ধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে ।

14. ক্যাটাড্রোমাস ( CATADROMOUS ) মৎস্য কী ? 

Ans: সাধারণত যে সব মৎস্য নদীর স্বাদু বা মিষ্টি জলে অবস্থান করলেও ডিম পাড়ার সময় অর্থাৎ , বছরের একটি বিশেষ ঋতুতে শারীরবৃত্তীয় কারণে সমুদ্রের জলে এসে ডিম পাড়ে , তাদের ক্যাটাড্রোমাস বা ভাটিগামী মাছ বলা হয় । ঈল এই জাতীয় মৎস্যের উদাহরণ ( উভ – জল মৎস্য ) ‘ Catadromous ‘ এই ইংরাজী কথাটি এসেছে গ্রীক শব্দ ‘ Kata ‘ থেকে , যার অর্থ নিম্নগামী ।

15. অ্যানাড্রোমাস ( ANADROMOUS ) মৎস্য কী ?

Ans: সাধারণত যে সব মৎস্য সমুদ্রের লবণাক্ত জলে অবস্থান করে কিন্তু ডিম পাড়ার সময় অর্থাৎ বছরের একটি বিশেষ ঋতুতে শারীরবৃত্তীয় কারণে নদীর স্বাদু বা মিষ্টি জলে এসে ডিম পাড়ে , তাদের অ্যানাড্রোমাস বা উজানগামী মৎস্য বলা হয় । এই জাতীয় মৎস্য স্বাদু বা লবণাক্ত উভয় প্রকার জলেই অবস্থান করতে পারে ( উভ জল মৎস্য ) । ইলিশ , স্যামন মাছ এই জাতীয় মৎস্যের প্রকৃষ্ট উদাহরণ । গঙ্গা – পদ্মাতে ইলিশ ও রাইন নদীতে স্যামন ধরা হয় । গ্রীক শব্দ ‘ Ana ‘ অর্থ উর্ধ্বগামী ।

16. উত্তর আটলান্টিক মৎস্যক্ষেত্র । 

Ans: উত্তর – পূর্ব আটলান্টিক মহাসাগরীয় মৎস্যক্ষেত্র পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মৎস্যক্ষেত্র । 35 ° North – 70 ° North অক্ষাংশের মধ্যবর্তী আটলান্টিক মহাসাগরের ব্রিটেন , ফ্রান্স , স্পেন , জার্মানী , নরওয়ে , আইসল্যান্ড , আয়ারল্যান্ড প্রভৃতি দেশের উপকূলে ( উত্তর সাগর , বাল্টিক সাগর ) মৎস্য ধরা হয় । বিস্তৃত মহীসোপান , ভগ্ন উপকূল , রকফল – ডগার্স , ওয়েলস ব্যাঙ্ক – এর অবস্থান , উত্তর উদ্বু আটলান্টিক ও শীতল সুমেরু স্রোতের মিলনে এখানে প্রচুর প্লাঙ্কটন জন্মায় তাই এখানে প্রচুর মৎস্য সমাগম হয় । এই অঞ্চলে সম্মিলিতভাবে এককোটি টন মৎস্য ধৃত হয় ।

17. প্লাঙ্কটন কী ?

Ans:  ‘ Plankton ’ একটি গ্রীক শব্দ যার অর্থ ‘ ঘুরে বেড়ানো ‘ । নাতিশীতোয় সমুদ্রের অগভীর অংশে ( 200 মিটার গভীরে ) যেখানে সূর্যের আলো সহজেই প্রবেশ করে সেখানে অতি ক্ষুদ্র প্রাণী ও উদ্ভিদ জন্মায় । এবং সমুদ্রস্রোতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেড়ায় , এদের একত্রে প্লাঙ্কটন বলে । অতি ক্ষুদ্র ভাসমান উদ্ভিদগুলোকে উদ্ভিদ প্লাঙ্কটন ও প্রাণীগুলোকে প্রাণী প্লাঙ্কটন বলে । – সমুদ্রে এই প্লাঙ্কটনের গুরুত্ব হল – ( i ) প্লাঙ্কটনকেই কেন্দ্র করে সামুদ্রিক মৎস্যের খাদ্যশৃঙ্খল গঠিত হয় । ( ii ) উদ্ভিদ প্লাঙ্কটন হল প্রাণী প্লাঙ্কটনের প্রধান খাদ্য । ( iii ) প্লাঙ্কটন খেয়ে সামুদ্রিক মৎস্য দ্রুত বৃদ্ধি লাভ করে ও আয়তনে বড় হয় । ( iv ) প্লাঙ্কটন খেয়েই সামুদ্রিক মৎস্য খুব সুস্বাদু হয় ।

18. ক্রান্তীয় অঞ্চলে মৎস্যক্ষেত্র গড়ে না ওঠার কারণ কী কী ? 

Ans: পৃথিবীর ক্রান্তীয় সমুদ্র অঞ্চলে বাণিজ্যিক মৎস্য চাষে অনগ্রসর । এর কারণ – ( a ) উয় প্রকৃতির জলবায়ু ( 20 ° -36 ° C ) মৎস্য সংরক্ষণের প্রধান প্রতিবন্ধক ; ( b ) বিভিন্ন প্রকৃতির মৎস্যের যোগান ; ( c ) অধিকাংশ মাছই খাদ্যের অযোগ্য ও বিষাক্ত ; ( d ) মূলধন , প্রযুক্তি ও পরিকাঠামোর অভাব ; ( e ) চাহিদা কম ও বাজারজাত করার অসুবিধা ; ( f ) উয় ক্রান্তীয় সমুদ্রে মাছের ঝাঁকগুলি ছোট , যা বাণিজ্যিক চাষে অসুবিধা ; ( g ) সর্বোপরি অনুন্নত প্রযুক্তি ও পরিবহন ব্যবস্থা এখানে মৎস্য চাষের প্রধান প্রতিবন্ধক স্বরূপ ।

FILE INFO : সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার – Marine Resources / Fishing | অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Economic Geography – Geography)

File Details:

PDF Name : সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার – Marine Resources / Fishing | অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Economic Geography – Geography)

Price : FREE

Download Link : Click Here To Download

INFO : Geography – Economic Geography – Question and Answer | ভূগোল – অর্থনৈতিক ভূগোল – সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার (Marine Resources / Fishing) প্রশ্নোত্তর

” ভূগোল (Geography) – অর্থনৈতিক ভূগোল (Economic Geography) – সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার – Marine Resources / Fishing “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক বিভিন্ন শ্রেনীর পরীক্ষা (Class 5, 6, 7, 8, 9,  Madhyamik, Class 11, Higher Secondary – HS, College & University Exam) এবং বিভিন্ন চাকরির (WBCS, WBSSC) পরীক্ষায় এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে BhugolShiksha.com এর পক্ষ থেকে ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নো ও উত্তর উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস  ভূগোল (Geography) অর্থনৈতিক ভূগোল (Economic Geography) – সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার – Marine Resources / Fishing / সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার সংক্ষিপ্ত ছোট প্রশ্ন ও উত্তর / সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Marine Resources / Fishing (Economic Geography – Geography)  SAQ / Short Question and Answer / সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Marine Resources / Fishing (Economic Geography – Geography) Quiz / সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Marine Resources / Fishing (Economic Geography – Geography) QNA / সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Marine Resources / Fishing (Economic Geography – Geography) Question and Answer FREE PDF Download ) পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর সফল হবে।

সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Marine Resources / Fishing (Economic Geography – Geography) Question and Answer in Bengali

স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ডিজিটাল মাধ্যম BhugolShiksha.com । এর প্রধান উদ্দেশ্য পঞ্চম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী, মাধ্যমিকউচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত বিষয় এবং গ্রাজুয়েশনের শুধুমাত্র ভূগোল বিষয়কে  সহজ বাংলা ভাষায় আলোচনার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে সহজ করে তোলা।

সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Marine Resources / Fishing (Economic Geography – Geography)

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” সমুদ্র সম্পদ / মৎসশিকার (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Marine Resources / Fishing (Economic Geography – Geography) ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই আমাদের ভূগোল শিক্ষা – Bhugol Shiksha – BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। ভূগোল বিষয়ে যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইটটি ফলাে করুন এবং নিজেকে ভৌগোলিক  তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন , ধন্যবাদ।