দূষণ (পরিবেশ ভূগোল - ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Pollution (Environmental geography) Geography
দূষণ (পরিবেশ ভূগোল - ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Pollution (Environmental geography) Geography

পরিবেশ ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

দূষণ | Pollution – Environmental geography (Geography) Question and Answer in Bengali

দূষণ (পরিবেশ ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Pollution (Environmental geography – Geography) : পরিবেশ ভূগোল – Environmental geography (ভূগোল – Geography) দূষণ – Pollution প্রশ্ন ও উত্তর  নিচে দেওয়া হল। এই (দূষণ – Pollution – পরিবেশ ভূগোল Environmental geography – ভূগোল Geography) প্রশ্নোত্তর গুলি স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। তোমরা যারা দূষণ – Pollution – পরিবেশ ভূগোল – Environmental geography (ভূগোল – Geography) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর (Short Question and Answer) খুঁজে চলেছো, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নউত্তর ভালো করে পড়তে পারো।

দূষণ (Pollution) পরিবেশ ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

1. দূষণ কাকে বলে ? (POLLUTION)

Ans: বর্তমান বিশ্বের প্রধান প্রধান পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যা । বর্তমান শতাব্দীতে পৃথিবীব্যাপী বিভিন্ন আর্থ – সামাজিক সমস্যার উদ্ভব হয়েছে । এই সমস্যাগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়— A ) প্রাকৃতিক সমস্যা : ( i ) বিশ্ব উয়ায়ন ( Global Warming ) ; ( ii ) ওজোন ক্ষয় ( Ozone . Hole ) ; ( iii ) দূষণ ( Pollution ) ; ( iv ) ভূমির অবক্ষয় ; ( v ) অ্যাসিড বৃষ্টি ; ( vi ) বনভূমি ধ্বংস ।

B ) সামাজিক সমস্যা : ( i ) জনবিস্ফোরণ ; ( ii ) যুদ্ধ ; ( iii ) দারিদ্র্যতা ; ( iv ) উগ্রপন্থা ও নাশকতা ; ( v ) সন্ত্রাসবাদ ; ( vi ) ধর্মান্ধতা ইত্যাদি ।

2. বায়ুদূষণ কী ? ( AIR POLLUTION ) | 

Ans: পরিবেশবিদ্ পাকিন্স – এর মতে আবহমণ্ডলে বিষাক্ত ধোঁয়া , ধূলিকণা , গ্যাস প্রভৃতি যখন জীবজগতের উপর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আসে তখন তাকে বায়ুদূষণ বলে । WHO- এর মতে , ‘ Air pollution is mixing of some substances in the ambient air in such concentrations that a situation arises in which man and his environment is badly affected . ‘ আবার যখন পারিপার্শ্বিক বায়ুমণ্ডলে অবাঞ্ছিত ও দূষিত পদার্থের উপস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে প্রাণী ও জীবজগতের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে তাকে বায়ুদূষণ বলে ।

মেমরী প্লাস : কলকাতায় 70 % মানুষ ভুগছেন শ্বাস ও প্রশ্বাসজনিত অসুখে ।

3. প্রধান প্রধান জলদূষকের নাম লেখো ।

Ans: ( a ) ভারী বস্তু দূষক : আর্সেনিক ( As ) , ক্যাডমিয়াম ( Cd ) , সীসা ( Pb ) , পারদ ( As ) , নিকেল , দস্তা ইত্যাদি । ( b ) কীটনাশক : D.D.T. , গ্যামাক্সিন ও এলড্রিন । ( c ) তেজস্ক্রিয় পদার্থ : থোরিয়াম , ইউরেনিয়াম ও লিথিয়াম । ( d ) বর্জ্য পদার্থ : নাইট্রাইড ও ক্লোরাইড । প্রধান প্রধান ভূমিদূষকের ( Major Land Pollutants ) নাম । ( a ) জৈব দূষক : ভাইরাস , ব্যাকটেরিয়া , প্রোটোজোয়া ও কৃমি ইত্যাদি । ( b ) অজৈব দূষক : সীসা , পারদ , দস্তা , লবণ , ক্যাডমিয়াম ইত্যাদি । ( c ) সজীব দূষক : D.D.T. অলড্রিন ইত্যাদি । ( d ) তেজস্ক্রিয় দূষক  ঃ সিজিয়াম -90 , 137 , রেডিয়াম -140 , ল্যাণ্ডানিয়াম -140 । ( e ) প্লাস্টিক ও পলিথিন ।

4. জলদূষণ কাকে বলে ? ( WATER POLLUTION ) ।

Ans: সাধারণভাবে জলের বৈশিষ্ট্য ও গুণগত মানের কুফলদায়ী পরিবর্তনকে জলদূষণ বলে । পরিবেশ বিজ্ঞানী সাউথউইকের মতে— “ The term water pollution refers to deterioration in chemical , physical and biological properties of water brought about by Human 2018 ভূগোলিকা activities and or by natural . ” মনিবাসকম বলেছেন- জলের বৈশিষ্ট্য এবং গুণগত মানের কুফলদায়ী পরিবর্তনকে জলদূষণ বলে ।

5. শব্দদূষণ কাকে বলে ? ( SOUND POLLUTION ) )

Ans: যে শব্দতরঙ্গা মানুষের সহনক্ষমতা বা শ্রুতিসীমার অতিরিক্ত তীর , অবাঞ্ছিত , কর্কশ ও বেসুরের মধ্যে অস্বস্তিকর তাকে শব্দদূষণ বলে । তাই বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় শব্দদূষণ হল- “ Wrong sound in the wrong place at the wrong time . ” 6S ডেসিবেলের শব্দতীব্রতা খুবই ক্ষতিকারক ।

6. মৃত্তিকাদূষণ কাকে বলে ? ( SOILED POLLUTION ) 

Ans: সাধারণভাবে বিভিন্ন জৈব – অজৈব পদার্থের মাধ্যমে জমি বা মাটি ক্রমাগত প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেললে বা মনুষ্য বসবাসের অযোগ্য হলে জমি বা মাটির সেই বিষাক্ত অবস্থাকে মৃত্তিকাদূষণ বলে । মৃত্তিকাদূষণের ফলে মাটির উপযোগিতা নষ্ট হয়ে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয় । বনভূমি হ্রাস ও বাদ্যশৃঙ্খল

7.  আর্সেনিক দূষণ কাকে বলে ? ( ARSENIC POLLUTION ) । 

Ans: আর্সেনিক মারাত্মক বিষ । মাটির নিচ থেকে অনিয়ন্ত্রিত জল তুলে নেওয়ার ফলে মৃত্তিকার নিচে যে ফাঁক সৃষ্টি হয় সেখানে আর্সেনিক ও ক্লোরাইড যৌগ বাতাসের সংস্পর্শে এসে জলে দ্রবণীয় আর্সেনিক ও অন্যান্য বিষাক্ত যৌগের সৃষ্টি হয় । WHO- এর মতে , পানীয় জলের মধ্যে আর্সেনিক 05 : মিলিগ্রাম / লিটার থাকলে তা ক্ষতিকারক নয় । পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যেমন আর্জেন্টিনার মতে কোয়েয়াদে , চিলির আনফোগাস্তো , তাইওয়ান , মেক্সিকো , পশ্চিমবঙ্গের মালদহ , হুগলী , উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাতে এর প্রভাব বেশি । আর্সেনিক দূষণের ক্ষতিকারক প্রভাব  ঃ দীর্ঘদিন আর্সেনিক যুক্ত জল পান করলে হাত ও পায়ে ছোপ যুক্ত কালো কালো দাগ অর্থাৎ ব্ল্যাকফুট রোগ , ক্ষুধা মন্দা , ওজন হ্রাস , কোষ্ঠবদ্ধতা , পেটের অসুখ , কনজাংটিভাইটিস , ভার্মাটাইটিস , ত্বক ক্যানসার , অসাড়তা ইত্যাদি রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় ।

8. ফ্লুরাইড দূষণ কী ?

Ans: ফ্লুরাইড হল একটি তীব্র ক্ষতিকারক গ্যাসীয় পদার্থ । জলের মধ্যে দ্রবীভূত ফুরাইড থেকে মানবদেহে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয় । ফ্লুরোসিসও নক – সি – সিনড্রোম ( দাঁত ও হাড় দুর্বল ) রোগ হয় । সার , প্লাস্টিক , কাচ শিল্প দ্বারা এর দুষণ হয় ।

9. ব্ল্যাকফট রোগ কী ?

Ans: জল যখন আর্সেনিক বিষক্রিয়াতে বিষাক্ত হয় তখন তাকে আর্সেনিক দূষণ বলে । i ) হাতের তলে বা করতলে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে ।

প্রভাব : ii ) পায়ের পাতায় কালো কালো দাগ তৈরি হয় । iii ) শরীরের চামড়ায় উদ্দীপনা কমে যায় ও অসাড়তা দেখা যায় ।

উদাহরণ : তাইওয়ান ও চিলি – তে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বহুলোকের মৃত্যু ঘটে ।

10. ইটাই ইটাই বা আউচ আউচ রোগ কী ?

Ans: জলদূষণের এক অন্যতম কারণ হল ক্যাডমিয়ামের মিশ্রণ । ক্যাডমিয়াম ঘটিত রোগ ইটাই – ইটাই বা আউচ – আউচ রোগ নামে পরিচিত । রোগের লক্ষণ : i ) শরীরের ক্ষয় হয়ে শীর্ণকায় হতে থাকে । ii ) রেচন প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয় । iii ) অস্থিসন্ধিতে যন্ত্রণা , অস্থির ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা , উচ্চরক্তচাপ অনিয়মিত শ্বসন ইত্যাদি । জাপানে সেচের জমিতে ব্যবহৃত জলে ক্যাডমিয়াম ( Cd ) ছিল যা জৈববিবর্ধনের মাধ্যমে চালে সঞ্চিত হয় । এই চাল খেয়ে মানব দেহে এর মাত্রা বহু গুণ বিবধিত হয়েছে । জাপানী ভাষায় ইটাই ইটাই কথার অর্থ হল “ উফ উফ ” ।

প্রথম প্রকোপ : 1968 সালে জাপানের জিন্টসু নদী উপত্যকার বাসিন্দাদের মধ্যে বিশেষত স্ত্রীলোকের মধ্যে প্রথম এই জলদূষণঘটিত রোগের প্রকোপ দেখা যায় ।

11. অ্যাসিড বৃষ্টির প্রভাব কী ?

Ans: বর্তমান শিল্পোন্নত যুগে অ্যাসিড বৃষ্টি একটি মহামারীর মতো । এর কুফলগুলি নিম্নরূপ A ) জলজ বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস : জলজ খাদ্যশৃঙ্খল ও সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র বহুলাংশে পরিবর্তিত হয় । B ) মৃত্তিকার উর্বরতা হ্রাস : মৃত্তিকা অম্লযুক্ত হয়ে মাটি অনুর্বর হয় । C ) অরণ্য ধ্বংস : বীজের অঙ্কুরোদগম বাধা পায় , পাতা নষ্ট হয় ও পাতার উপরিভাগে ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায় । D ) মানবস্বাস্থ্যে ক্ষতি : মানুষের ত্বক , স্নায়ুতন্ত্র ও পরিপাক তন্ত্রের ক্ষতি হয় । E ) নির্মাণ শিল্পে ক্ষতি : তাজমহল , লালকেল্লা ইত্যাদি শিল্প ও স্মৃতিসৌধে Stone Cancer হচ্ছে ।

12. মিনামাটা রোগ কী ?

Ans: জাপানের মিনামাটা সমুদ্র উপকূলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সমুদ্রের মৎস্য খাওয়ার ফলে 1955 সালে মিথাইল পারদের বিষক্রিয়াজনিত রোগ দ্বারা সংক্রমিত হয় , যা মিনামাটা রোগ নামে পরিচিত । রোগের লক্ষণ : i ) এই রোগের প্রভাবে মানুষ পেশীর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে । ii ) জিভ , হাত , পা অসাড় হয়ে কালক্রমে দৃষ্টিহীন ও বধির হয়ে পড়ে । iii ) হাত , পা , জিভ , ঠোঁটের অসাড়তা , কালক্রমে বধিরতা , দৃষ্টিভ্রম , স্মৃতি বিলোপ , ভ্রুণের মস্তিষ্কের অসম্পূর্ণতা বৃদ্ধি , পেশি দৌর্বল্য , মানসিক বৈকল্য , উত্তেজনা প্রভৃতি ।

13. ডিসলেক্সিয়া রোগ কী ?

Ans: বিষাক্ত ভারী ধাতু সীসা ( Pb ) এর বিষক্রিয়াজনিত রোগকে ডিসলেক্সিয়া বলে । এটি স্টোরেজ ব্যাটারি , পেট্রোলের দহন গ্যাসোলিনের দহন ইত্যাদির ফলে পরিবেশে আসে । i ) রোগের লক্ষণ — একাধিক অঙ্গ তন্ত্রের ক্ষতি করে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র , বৃদ্ধ রক্তকোষ ইত্যাদি । হিমোগ্লেবিন সংশ্লেষকারী উৎসেচককে সীসা নিষ্ক্রিয় করে হিমোগ্লোবিন উৎপাদানে বাধা দেয় ফলে রক্তাল্পতা , রক্তচাপ বৃদ্ধি ঘটে । ii ) বুদ্ধের কাজে ব্যাঘাত ঘটায় । রেনাল ফাইব্রোসিস ও গ্লেমেরুলার স্ক্লোরোসিস ঘটায় । iii ) মস্তিষ্ক কোষের স্থায়ী বিনাস এবং চেষ্টীয় স্নায়ুর অবক্ষয় ঘটায় । 70-80 mgidi সীসার উপস্থিতি শিশুদের মস্তিষ্কের চিরস্থায়ী ক্ষতি করে । iv ) শিশুদের IQ কমিয়ে দেয় । v ) জননতন্ত্র ও গর্ভস্থ ভ্রুণের ক্ষতি করে । গর্ভপাত ঘটায় বা মৃত সন্তান প্রসব করে । vi ) ভিটামিন D ও ক্যালসিয়াম বিপাকে বিঘ্ন সৃষ্টি করে । মেমরী প্লাসঃ পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে মালদ্বীপের মন্ত্রীসভা সমুদ্রের নিচে বৈঠক করে ।

14. ধোঁয়াশা কাকে বলে ?

Ans:  শীতকালে বাতাস ভারী থাকে । শীতকালে শিল্পাঞ্চলে অক্সাইড ও হাইড্রোকার্বনের সঙ্গে সূর্যরশ্মির আলোক রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে বায়ুমণ্ডলে যে ধোঁয়াটে অবস্থার সৃষ্টি হয় , তাকে ধোঁয়াশা বলে । ধোঁয়াশার ফলে নাক , গলা জ্বালা , শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি মানবদেহে নানা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে । উদাহরণ : 1952 খ্রিস্টাব্দে ধোঁয়াশার সঙ্গে মিশ্রিত সালফার – ডাই – অক্সাইড ( SO . ) – এর জন্য লন্ডনে বহুলোকের মৃত্যু হয় ।

15. পৌর উত্তাপ বা Urban Heat Island কী ?

Ans:  শহরে যে অঞ্চলের তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশী তাকে পৌর উত্তাপ দ্বীপ বলে । সৃষ্টির কারণ : ( i ) স্বাভাবিক মেঘাচ্ছন্নতার পরিমাণ আশেপাশের গ্রামাঞ্চলের থেকে শহরে 10 % বেশী । তাই সূর্যকিরণও কম প্রবেশ করে কিন্তু বায়ুদূষণের কারণে শহরাঞ্চলের উত্তাপ পার্শ্ববর্তী গ্রামাঞ্চল থেকে 20–3 ° c বেশী হয় । ( ii ) শিল্প দহনের ফলে উৎপন্ন CO2 , CO ইত্যাদি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে সেখানের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয় ।

16. পৌর উত্তাপ দ্বীপ প্রশমনের উপায় কী ?

Ans: ( i ) সমষ্টিগত পরিবহন এর উপর জোর দেওয়া ( ব্যক্তিগত car ছেড়ে bas , train এ যাতায়াত ) । ( ii ) শহরের ব্যস্ত সময়ে যানবাহনের প্রবেশ নিষেধ করা । ( iii ) একটি নির্দিষ্ট নিয়মমাফিক শহর পরিকল্পনা করা । ( iv ) শহরে বনায়নের ব্যবস্থা করা । ( v ) শহরের জলা ভূমিগুলিকে সংরক্ষণ করা । ( vi ) শহর যথেষ্ট ফাঁকা হওয়া প্রয়োজন ।

17. ইউটিফিকেশান কী ? ( EUTRIPHICATION ) । 

Ans: গ্রীক শব্দ ‘ Eutrophy ’ থেকে ‘ Eutriphication এসেছে যার অর্থ হ্রদের তলদেশে জৈবপদার্থ ক্রমাগত জমা হওয়ার ফলে হ্রদ ভরাট হওয়ার পদ্ধতি । সাধারণত হ্রদ বা পুকুরে বা জলাশয়ের তলদেশে কুমাগত জলজ প্রাণী , কচুরীপানা , শৈবাল ইত্যাদি জৈব ও অজৈব পুষ্টিদ্রব্য ক্রমাগত সঞ্চিত হয়ে হ্রদ বা জলাশয় ক্রমাগত ভরাট করে ফেলে অগভীর হয় । জলাশয় ভরাট হওয়ার এই প্রক্রিয়াকে ইউটিফিকেশান বলে । উদাহরণ : আমেরিকা ও কানাডার বৃহৎ পঞ্চ হ্রদ ( সুপিরিয়র , মিচিগান ইত্যাদি ) , ভারতের চিন্তা , ডাল , লোকটাক হ্রদে এই সমস্যা দেখা যায় ।

18. দূষণ ভার কী ? ( POLLUTION LOAD ) । 

Ans: জল , মাটি বা বায়ু একটি দীর্ঘসময় ধরে ( যেমন এক বছর ) যে পরিমাণ দূষিত পদার্থ গ্রহণ করে বা বর্জন করে সেই পরিমাণকে দূষণ ভার বলে ।

  1. দূষণ প্রশমন কী ? ( POLLUTION SINK ) ।

Ans: পরিবেশের যে অংশ দূষককে গ্রহণ করে বা শোধন করার জন্য ব্যবহৃত হয় , তাকে দূষণ প্রশমন আধার বলে । যেমন- গাছ , মাটি , ভৌমজল , হ্রদ ও সমুদ্র প্রভৃতি ।

20. NUCLEAR HOLOCASTI কী ?

Ans: রমাণু চুল্লীর ভিতরে বিস্ফোরণের সাথে সাথে চতুর্দিকে আগুন সরে যায় । এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যায় । বহু মানুষ আগুনে ঝলসে মারা যায় । মনে রাখা দরকার যে , পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ ঘটালে এইভাবেই ব্যাপক এলাকা জুড়ে মুহূর্তে আগুন লাগে । পারমাণবিক বিস্ফোরণের ফলে এই ব্যাপক অগ্নিকান্ডকে NUCLEAR HOLOCAST বলে ।

21. এশিয়ান ব্রাউন ক্লাউড কী ?( ASIAN BROWN CLOUD ) 

Ans: বিশ্ববিখ্যাত নেচার পত্রিকার মাতে , ভারত মহাসাগরের আকাশে সম্প্রতি তাপ শোধনকারী ও তাপ বিকিরণকারী কণাসমৃদ্ধ এক মোঘের সৃষ্টি হয়েছে । একে বাদামী মেঘ বা এশিয়ান ব্রাউন ক্লাউড বলে । তাঁদের মতে – হিমবাহ , তিব্বত মালভূমির তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ার জন্য নদীতে সর্বগ্রাসী প্লাবনের সৃষ্টি হবে । একটি গবেষণায় দেখা গেছে , এই বাদামী মেঘের আশেপাশে বায়ুমণ্ডলের উন্নতা বায়ুমণ্ডলের অন্যান্য অংশের তুলনায় 50 শতাংশ বেশি । তাই হিমালয়ের বরফ গলছে ।

মেমরী গ্লাস : প্লাস্টিক দূষণ ( Plastic Pollution ) : প্লাস্টিক অবিয়োজিত বস্তু বলে প্লাস্টিক যত্রতত্র স্থানে নিক্ষিপ্ত করলে তা পরিবেশ , বিশেষ করে মৃত্তিকার ক্ষতি করে । একে প্লাস্টিক দূষণ বলে । মহাকাশ দূষণ ( Space Pollution ) : প্রধানত G – 8 এর মতো শিল্পোন্নত দেশগুলির বিভিন্ন পারমাণবিক তেজস্ক্রিয় পদার্থ রকেট বা উপগ্রহের মাধ্যমে মহাকাশের পরিবেশের হানি করাকেই । মহাকাশ দুষণ বলে । তেজস্ক্রিয় দূষণ ( Radio Active Pollution ) : পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্রে ( বিটা ও আলফা কণা ) বিস্ফোরণ ঘটিয়ে যে দুষণ হয় , তাকে পারমাণবিক দূষণ বলে । ইউরেনিয়াম , থোরিয়াম ইত্যাদি পারমাণবিক শক্তির উৎস । দৃষ্টিদূষণ ( Sight Pollution ) : পরিবেশের যত্রতত্র আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে সাম্যস্যহীন বিভিন্ন অবৈধ উত্তেজক বিজ্ঞাপন , বিদেশী টেলিভিশন চ্যানেলের দৌলতে আমাদের মনে যে কু – প্রভাব পড়ে , তাকে দৃষ্টিদূষণ বলে । কীটনাশক দূষণ ( Pollution ) : কৃষিকাজে বিষাক্ত ব্যবহার করে কীট মারার সাথে সাথে জল , মাটি , বাতাসের ক্ষতি করাকে কীটনাশক দূষণ বলে । নিয়ন্ত্রণ : এর নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হল জৈব নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ( Biological Control of Insects ) প্রয়োগ করা । এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন শত্রুখাদক ও পরজীবীর সাহায্য নিয়ে অবাঞ্ছিত কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করে । যেমন- অস্ট্রেলিয়া লেডি বার্ড বিটল পতঙ্গের দ্বারা U.S.A- এর লেবুর ক্ষেত ধ্বংসকারী ‘ কটনি কুশন স্কেল ‘ নামক পতঙ্গটির নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে ।

22. প্লাস্টিক ও পলিথিন দ্রব্যের অবৈজ্ঞানিক ব্যবহারে মৃত্তিকা দূষণ কী ?

Ans: প্লাস্টিক ও পলিথিন যথেচ্ছ ব্যবহার ও আবর্জনা হিসাবে নিক্ষেপে মৃত্তিকা দূষণ ঘটে । কারণ : ( i ) অবিশ্লেষ্য পদার্থ : এগুলো জীবকোষের বিপাকীয় ক্রিয়ার বিয়োজিত হয় না ; ফলে মাটিতে এদের সঞ্চয় ও নির্গত রাসায়নি পদার্থ দ্বারা মাটিকে দূষিত করে । ( ii ) অনুজীব হ্রাস : এই অবিশ্লেষ্য পদার্থ মৃত্তিকাস্থিত অনুজীবদের ধ্বংস করে মৃত্তিকার উর্বরতা শক্তিকে নষ্ট করে দেয় । ( iii ) সছিদ্ৰবৰ্তা ব্যহত ৪ অবিশ্লেষ্য পদার্থগুলো মাটির উপরিভাগে থাকায় সছিদ্রতা বন্ধ হয় , ফলে ধৌত প্রক্রিয়াতেও উপরের দূষক পদার্থ অপসৃত না হয়ে দূষণ মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ।

8. চোর্নাবিল দুর্ঘটনা কী ?

Ans: 1986 সালের 28 এপ্রিল ইউক্রেনের চোর্নাবিল শহরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়াম মৌলের বিস্ফোরণে যে পরিবেশীয় বিপর্যয় ঘটে , তাকে চোনাবিল দূর্ঘটনা বলে । দুর্ঘটনার পর প্রায় 1 লক্ষ 35 হাজার মানুষকে 30 কিমি দূরে স্থানান্তরিত করা হয় । বিস্ফোরণে বেসরকারী মতে 2000 / লোকের মৃত্যু হয় । বিজ্ঞানীদের মতে এই দুর্ঘটনার প্রভাব আগামী 100 বছর ধরে দেখা যাবে ।

FILE INFO : দূষণ – Pollution | পরিবেশ ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Environmental geography – Geography)

File Details:

PDF Name : দূষণ – Pollution | পরিবেশ ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Environmental geography – Geography)

Price : FREE

Download Link : Click Here To Download

INFO : Geography – Environmental geography – Question and Answer | ভূগোল – পরিবেশ ভূগোল – দূষণ (Pollution) প্রশ্নোত্তর

” ভূগোল (Geography) – পরিবেশ ভূগোল (Environmental geography) – দূষণ – Pollution “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক বিভিন্ন শ্রেনীর পরীক্ষা (Class 5, 6, 7, 8, 9,  Madhyamik, Class 11, Higher Secondary – HS, College & University Exam) এবং বিভিন্ন চাকরির (WBCS, WBSSC) পরীক্ষায় এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে BhugolShiksha.com এর পক্ষ থেকে ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নো ও উত্তর উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস  ভূগোল (Geography) পরিবেশ ভূগোল (Environmental geography) – দূষণ – Pollution / দূষণ সংক্ষিপ্ত ছোট প্রশ্ন ও উত্তর / দূষণ (পরিবেশ ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Pollution (Environmental geography – Geography)  SAQ / Short Question and Answer / দূষণ (পরিবেশ ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Pollution (Environmental geography – Geography) Quiz / দূষণ (পরিবেশ ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Pollution (Environmental geography – Geography) QNA / দূষণ (পরিবেশ ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Pollution (Environmental geography – Geography) Question and Answer FREE PDF Download ) পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর সফল হবে।

দূষণ (পরিবেশ ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Pollution (Environmental geography – Geography) Question and Answer in Bengali

আশা করি এই ” দূষণ (পরিবেশ ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Pollution – Environmental geography Geography ”  পোস্টটি থেকে উপকৃত হয়েছেন। স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ডিজিটাল মাধ্যম BhugolShiksha.com । এর প্রধান উদ্দেশ্য পঞ্চম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী, মাধ্যমিকউচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত বিষয় এবং গ্রাজুয়েশনের শুধুমাত্র ভূগোল বিষয়কে  সহজ বাংলা ভাষায় আলোচনার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে সহজ করে তোলা।

দূষণ (পরিবেশ ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Pollution (Environmental geography – Geography)

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” দূষণ (পরিবেশ ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Pollution (Environmental geography – Geography) ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই আমাদের ভূগোল শিক্ষা – Bhugol Shiksha – BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। ভূগোল বিষয়ে যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইটটি ফলাে করুন এবং নিজেকে ভৌগোলিক  তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন , ধন্যবাদ।