কৃষিকাজ (অর্থনৈতিক ভূগোল - ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Agriculture (Economic Geography) Geography
কৃষিকাজ (অর্থনৈতিক ভূগোল - ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Agriculture (Economic Geography) Geography

অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

কৃষিকাজ | Agriculture – Economic Geography (Geography) Question and Answer in Bengali

কৃষিকাজ (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Agriculture (Economic Geography – Geography) : অর্থনৈতিক ভূগোল – Economic Geography (ভূগোল – Geography) কৃষিকাজ – Agriculture প্রশ্ন Oও উত্তর  নিচে দেওয়া হল। এই (কৃষিকাজ – Agriculture – অর্থনৈতিক ভূগোল Economic Geography – ভূগোল Geography) প্রশ্নোত্তর গুলি স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। তোমরা যারা কৃষিকাজ – Agriculture – অর্থনৈতিক ভূগোল – Economic Geography (ভূগোল – Geography) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর (Short Question and Answer) খুঁজে চলেছো, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নউত্তর ভালো করে পড়তে পারো।

কৃষিকাজ (Agriculture) অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

1. কৃষিকাজ কী ? ( AGRICULTURE ) । 

Ans: ‘ Agriculture ‘ শব্দটি একটি ল্যাটিন শব্দ থেকে এসেছে , যার ‘ Agar ‘ অর্থ ‘ ভূমি ‘ বা ‘ ক্ষেত্র ‘ ও ‘ Culture ‘ অর্থ ‘ কর্ষণ করা ‘ । কৃষিকাজ সম্বন্ধে জিমারম্যান বলেছেন— “ জমিতে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী মানুষ যখন স্বাভাবিক জন্ম ও বুদ্ধি প্রক্রিয়ার সুযোগ নিয়ে আপন চাহিদা মেটাবার জন্য উদ্ভিজ্জ ও প্রাণীজ দ্রব্য উৎপাদন করে , তখন মানুষের এই কর্মপ্রচেষ্টাকে কৃষিকার্য বলে । ” পশুপালন , উদ্ভিদের রক্ষণাবেক্ষণ , বনসৃজন , জলসেচ , মৎস্য প্রতিপালন , পশম উৎপাদনও কৃষিকাজের অন্তর্গত ।

2. কুষিযোগ্য জমি / জমির কুষিযোগ্যতা কী ?

Ans: ভূ – পৃষ্ঠের উপর যে জমিতে অনুকূল প্রাকৃতিক , অর্থনৈতিক , সামাজিক ও প্রশাসনিক বৈশিষ্ট্যের প্রভাবে কৃষক তার আপন প্রয়োজনে বা বাণিজ্যিক স্বার্থে কৃষিকাজের প্রয়োজনে যতটা পরিমাণ দানাশস্য , খাদ্যশস্য ও অর্থকরী ফসল উৎপাদনে সক্ষম , জমির সেই প্রয়োগ ও উৎপাদন পটুতাকে জমির কৃষিযোগ্যতা বলে ।

3. কৃষিকার্যের ওপর ভৌগলিক পরিবেশের প্রভাব কেমন ?

Ans: কৃষিকার্য ভৌগলিক পরিবেশের উপাদানের ওপর নির্ভরশীল , যেমন— উয়তা : উয়তা পরিমিত হলে ফসল উৎপাদন বাড়ে ও চরমভাব হলে উৎপাদন ব্যাহত হয় । আর্দ্রতা : বৃষ্টির প্রকৃতি , পরিমাণ , আপেক্ষিক আর্দ্রতা ফসল উৎপাদনের প্রভেদ ঘটায় । সূর্যকিরণ : দিবারাত্রির পরিমাণ ও সূর্য রশ্মির প্রকৃতির ওপর কৃষিকার্য নির্ভর করে । ভূমির প্রকৃতি : উচ্চস্থান ও নিচুভূমি ; অনুবাত ও প্রতিবাত ঢাল ; ভূ – গঠন , জল নিকাশ , ভূমিক্ষয় কৃষিকে প্রভাবিত করে । বাতাসঃ বায়ুর গতি , ঝড়ের প্রভাব , বাতাসে ক্ষতিকর গ্যাসের প্রভাব ( cl ) কৃষিকে প্রভাবিত করে । উদ্ভিদ : জমির আলে গাছ , জমিতে আগাছা , পরগাছা কৃষিকে প্রভাবিত করে । অর্থনৈতিক উপাদানের প্রভাব : জমির প্রকৃতি , বাজারের অবস্থা , কৃষিসংক্রান্ত ব্যয় , ব্যাঙ্ক ঋণ , আন্তর্জাতিক বাজারের অবস্থা , সরকারী কৃষি নীতি , ভরতুকি , কৃষকের অবস্থা প্রভৃতি কৃষিকার্যকে প্রভাবিত করে ।

4. কৃষিতে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রভাব কেমন ?

Ans: গ্রীনহাউস প্রভাবের চুড়ান্ত ফলাফল ভূ – পৃষ্ঠের উষ্মীকরণ কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রভাব নিয়ে আসবে ; যেমন ( i ) তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষের হার বাড়ে বলে ভূট্টা , জোয়ার , বাজরার উৎপাদন কিছুটা বৃদ্ধি পায় বটে তবে ধান , গম , পাট , তুলো , সয়াবিন প্রভৃতির উৎপাদন মারাত্মক হারে কমতে থাকে । ( ii ) প্রধান প্রধান খাদ্য ফসলের উৎপাদন বিশ্বজুড়ে ২০-৫০ শতাংশ হ্রাস পাবে । ( iii ) উপকূল প্লাবিত হবার ফলে বিশ্বে মোট কৃষিজমির পরিমাণ প্রায় ৩০ % কমে যাবে । ( iv ) কৃষিক্ষেত্রে জলের যোগান ক্রমশ কমে যাবে ।

( v ) কৃষিক্ষেত্রে ক্ষতিকারক কীটের উপদ্রব বৃদ্ধি পাবে ও বিভিন্ন আগাছায় কৃষিজমি ভরে যাবে । ( vi ) ফসল উৎপাদনের হার যেমন কমবে তেমনি জমির উৎপাদনশীলতাও ক্রমশ কমে ( জমির রুক্ষতা বৃদ্ধির ফলে ) যাবে ।

5. কৃষি আঞ্চলিকীকরণের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয় গুলি । 

Ans: কৃষি আঞ্চলিকীকরণের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা দরকার— ( i ) শস্য উৎপাদনের ধরণ । ( ii ) শস্য সম্মিলন । ( iii ) শস্যের কেন্দ্রীভবন ও বিভিন্নতার ধরণ । ( iv ) কৃষি উৎপাদনের আঞ্চলিক হয় । ( v ) বাণিজ্যিকীকরণের মাত্রা । ( vi ) শস্যাবর্তনের ধরণ ।

6. মিশ্র কৃমি কী ? ( MIXED FARMING ) 

Ans: যে কৃষি ব্যবস্থায় বিভিন্ন শস্য উৎপাদনের সাথে সাথে গবাদি পশু , মেষপালন হাঁস মুরগী পালন , মংসা চাষ , রেশম কীট প্রতিপালন প্রভৃতি বিশাল অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ একসাথে করা হয় , সেই বাজারমুখী , অনেকাংশে ঝুঁকিহীন কৃষি ব্যবস্থাকে মিশ্র কৃষি বলে । অর্থাৎ , ” Mixed farming a type of commercial agriculture concerned with the produce of both crops and animal an one farm . ” আমেরিকার টেক্সাস , ওহিও প্রদেশে , ইউক্রেনে মিশ্র কৃষির প্রচলন আছে ।

7. মিশ্র কৃষির প্রধান বৈশিষ্ট্য কী কী ?

Ans: A ) জমির আয়তন : কৃষিজোতগুলো বৃহদাকৃতি হয় ( যুক্তরাষ্ট্রে 100 হেক্টর , ইওরোপে 40 হেক্টর ) । B ) শস্যপর্যায় শস্যাবর্তন অর্থাৎ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শস্য চাষ এই কৃষি ব্যবস্থার ERIT বৈশিষ্ট্য । C ) শস্য উৎপাদন : মানুষের খাদ্য , অর্থকরী শস্য ও পশুখাদ্য — এই তিন প্রকার শস্যের চাষ করা হয় । D ) উন্নত প্রযুক্তি : ট্রাক্টর , হারভেস্টার প্রভৃতি উন্নত যন্ত্রপাতিও কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হয় । E ) সমৃদ্ধ বাজার : এই কৃষি ব্যবস্থা একটি সমৃদ্ধ বাজার কেন্দ্রিক । ( F ) পশু খামার : ফসল উৎপাদনের সাথে পশুপালন , মৎস্যচাষ করা হয় ।

8. মিশ্র কৃষির সুবিধা কী কী ?

Ans: ( A ) ক্ষতির সম্ভাবনা কম : বিভিন্ন ফসল থেকে আয় হয় বলে কৃষকের আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা কম । B ) প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন : খাদ্যশস্য , শাক – সব্জী , ফল , পশুপালন করা হয় বলে কৃষকের প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন মিশ্র কৃষিতে সম্ভব হয় । C ) মাটির উর্বরতা বজায় : শস্যাবর্তন পদ্ধতিতে চাষ করা হয় বলে মৃত্তিকায় স্বাভাবিক উর্বরতা বজায় রাখা সম্ভব ।

9. মিশ্র কৃষির অসুবিধা কী কী ?

Ans: A ) অনুকূল পরিবেশের অভাব : একইসাথে ফসল উৎপাদন ও পশুপালনের জন্য যে অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রয়োজন তা বিশ্বের সর্বত্র নেই বলে এরূপ কৃষি প্রবর্তন সম্ভব হয় না । B ) উন্নত পরিবহনের অপ্রতুলতা : মিশ্র কৃষির অন্যতম শর্ত উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা ; কিন্তু বিশ্বের বহু কৃষি অঞ্চলে এরূপ উন্নত পরিবহন নেই বলে সর্বত্র মিশ্র কৃষি গড়ে তোলা সম্ভব হয় না । C ) উন্নত কৃষিজ্ঞান : এরুপ কৃষি সম্পন্ন করতে গেলে কৃষকদের কৃষি বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা দরকার ; কিন্তু সকল স্থানের কৃষকেরা এইরূপ দক্ষ নয় বলে সর্বত্র এই কৃষি প্রচলন সম্ভব নয় । যেমন — মধ্য আফ্রিকা , দক্ষিণ – পূর্ব এশিয়া ।

10. মিশ্র কৃষি ব্যবস্থার বিশ্বে অবস্থান কী ?

Ans: মিশ্র কৃষি ব্যবস্থা বিশ্বের তিনটি অঞ্চলে প্রচলিত আছে ; যথা i ) আমেরিকার মিশ্র কৃষি বলয় : ওহিও , ইন্ডিয়ানা , ইলিনয় ও টেক্সাস প্রদেশ । ii ) সোভিয়েত মিশ্র কৃষি বলয় ( 40 ° -60 ° উত্তর ) : ইউক্লেন ( ইওরোপের রুটির ঝুড়ি ) । iii ) পশ্চিম ইওরোপীয় বলয় : ইংল্যান্ডের টেমস অববাহিকা , স্কটল্যান্ডের মধ্য উপত্যকা , ফ্রাগের 1 প্যারিস অববাহিকা ও ইতালির পো – উপত্যকা , নেদারল্যান্ড ।

11. ভূমধ্যসাগরীয় কৃষি কী ? ( MEDITERANEAN AGRICULTURE ) 

Ans: ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে , যেখানে আৰ্দ্ৰ – মৃদু শীতল ঋতু ও শুদ্ধ – মৃদু উর গ্রীষ্ম ঋতু দেখা যায় সেখানে যে বৈচিত্র্যময় কৃষিব্যবস্থায় একবারে পশুপালন এবং অন্যদিকে বাজারকেন্দ্রিক বহুসসঙ্গী ও বৃহদায়তন কৃষির মধ্যে সমন্বয় সাধন করেছে , সেই আধুনিক কৃষি ও উদ্যোগকে ভূমধ্যসাগরীয় কৃষি বলে ।

12. ভূমধ্যসাগরীয় কৃষি বিশ্বের কোন কোন দেশে প্রচলিত আছে ? 

Ans: ইওরোপ : স্পেন , ফ্রান্স , ইতালী , গ্রীস , আলবানিয়া , যুগোশ্লোভিয়া আফ্রিকা মরক্কো , আলজিরিয়া , টিউনিশিয়া , লিবিয়া , ইজিপ্ট , দক্ষিণ আফ্রিকা । এশিয়া তুরস্ক , সিরিয়া , লেবানন , ইজরায়েল । উত্তর আমেরিকা : ক্যালিফোর্নিয়া উপকূল । দক্ষিণ আমেরিকা : মধ্য চিলি উপকূল । ওশিয়ানিয়া : অস্ট্রেলিয়ার পার্থ , মেলবোর্ন , অ্যাডিলেড ; নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপে ভূমধ্যসাগরীয় কৃষি দেখা যায় ।

13. ভূমধ্যসাগরীয় কৃষিব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য কী কী ?

Ans: ( A ) বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ : জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যের জন্য ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের বৈচিত্র্যময় কৃষিব্যবস্থা প্রচলিত । B ) ফসল উৎপাদন : গম , বার্লি , ওট প্রভৃতি ফসলের সাথে সাথে আঙুর , লেবু , কলা ইত্যাদি ফল উৎপন্ন হয় ; প্রচুর ফল চাষ হওয়ায় একে ‘ পৃথিবীর ফলের ঝুড়ি ‘ বলা হয় । C ) দুই বিপরীতধর্মী কৃষি : এখানে যে বৃহদায়তন বাণিজ্যিক কৃষিব্যবস্থা আছে তেমনি জীবিকাসত্তাভিত্তিক প্রগাঢ় কৃষিব্যবস্থাও দেখা যায় । D ) আঙুর চাষ ( Viticulture ) : মদ উৎপাদনের জন্য আঙুরের চাষ ভূমধ্যসাগরীয় কৃষির প্রধান অঙ্গ । E ) হেক্টর প্রতি বেশি উৎপাদন : এই কৃষিতে হেক্টর প্রতি উৎপাদনের পরিমাণ অধিক হয় ।

14. বাগিচা কৃষি কী ? ( PLANTATION AGRICULTURE ) 

Ans: বিশ্বের ক্রান্তীয় ও নিরক্ষীয় অঞ্চলের দেশগুলিতে যে রপ্তানি বাণিজ্যনির্ভর কৃষিব্যবস্থায় কোন একটি বিশেষ শস্য আন্তর্জাতিক চাহিদার উপর ভিত্তি করে পরিকাঠামোগত সবরকম সুবিধার মধ্যে চাষ করা হয় , সেই বৃহদায়তন লাভজনক একক শস্যকেন্দ্রিক কৃষিব্যবস্থাকে বাগিচা কৃষি বলে । চা , কফি , কোকো , কলা ও রবার ইত্যাদির আন্তর্জাতিক বাজার থাকায় এই শস্য বৈদেশিক বাজারের উপর নির্ভরশীল ।

15. বাগিচা কৃষির প্রধান বৈশিষ্ট্য কী ? 

Ans: i ) বিশাল জমি : বাগিচা কৃষি জমির আয়তন বিশাল ( 200 হেক্টর বা তার বেশি ) । ii ) বিশেষ শস্য : এই কৃষিতে কোন একটি বিশেষ শস্য চাষ করা হয় ( যেমন — ইন্দোনেশিয়ার রবার ) । iii ) শ্রমিক : প্রধানত বিদেশি শ্রমিক কর্ম করে ( যেমন — দার্জিলিং – এর চা বাগানে নেপালী , ভুটিয়া ) । ( iv ) মূলধনঃ সেচ , পরিষেবা , সার , বীজ ইত্যাদির জন্য প্রচুর মূলধন বিনিয়োগ করতে হয় । ( v ) সমৃদ্ধ বাজার বাগিচা কৃষিতে আভ্যন্তরীণ বাজার না থাকায় সম্পূর্ণ বৈদেশিক বাজারের উপর নির্ভরশীল । vi ) অন্যান্য : এই কৃষি বিকাশশীল দেশের জাতীয় অঙ্গ ।

16. স্থানান্তর কৃষির বৈশিষ্ট্য কী । 

Ans: ( i ) স্থানান্তর কৃষি জীবিকাসত্তাভিত্তিক কৃষিপদ্ধতির আদিম রূপ : ( ii ) আগুন এই কৃষি ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ; ( iii ) চাষ আবাদ সম্পূর্ণ বৃষ্টি নির্ভর : ( iv ) এটি একটি পরিযায়ী কৃষিব্যবস্থা ; ( v ) জীবনধারণের উদ্দেশ্যেই এই কৃষিকাজ করা হয় ; ( vi ) ক্লান্তীয় অঞ্চলের যাযাবর ও অনুন্নত সম্প্রদায়ের দ্বারা অনুসৃত ; ( vii ) এই কৃষিব্যবস্থা কেবলমাত্র মুষ্টিমেয় মানুষের প্রয়োজন মেটাতে পারে , বিশাল জনগণের ব্যাপক চাহিদার পরিপন্থী ; ( viii ) এই কৃষিতে শ্বেতসার জাতীয় খাদ্যের ( ভুট্টা , ধান , গম , সাবু , কলা ) প্রবণতা বেশি ।

17. ঝুম চাষের সমস্যা কী ?

Ans: ভারতের উত্তর – পূর্ব রাজ্যগুলিতে যে স্থানান্তরী কৃষিকাজ হয়ে থাকে , তাকে ঝুম চাষ বলে । এই আদিম নিকৃষ্ট কৃষিপ্রথার সমস্যাগুলি হল- ( i ) প্রতিবার জাল পুড়িয়ে কৃষিকাজ করার ফলে বনভূমি ধ্বংস হয় ; ( ii ) অরণ্য হ্রাসের ফলে ভূমিক্ষয় বৃদ্ধি পায় ; ( iii ) বৃষ্টিপাত অস্বাভাবিক রকমে কমে যায় ; ( iv ) ক্রমাগত জঙ্গল পোড়ানোর পর চাষ করার ফলে জমির উর্বরতা হারিয়ে পতিত জমিতে পরিণত হয় , ( v ) স্থানীয়ভাবে বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয় ; ( vi ) সর্বোপরি পরিবেশের ভারসাম্যের অস্থিরতা সৃষ্টি হয় ।

18. স্থানান্তর কৃষিভিত্তিক সমাজ কি কারণে ক্রমশ স্থায়ী কৃষিভিত্তিক সমাজে পরিণত হচ্ছে ?

Ans: সারা বিশ্বে স্থানান্তর কৃষির প্রবণতা ক্রমশ হ্রাস পেয়ে তা স্থায়ী কৃষিভিত্তিক সমাজে পরিণত হচ্ছে ;

কারণ :

i ) স্থানাভাবঃ বিশ্ব জুড়ে জনবৃদ্ধি ও সভ্যসমাজ কর্তৃক সমগ্র বিশ্ব অধিগৃহীত হওয়ায় আদিবাসীদের জায়গা সংকুচিত হওয়ায় এই কৃষির স্থানাভাব দেখা যাচ্ছে । ii ) সচেতনতা বৃদ্ধি : শিক্ষা ও সভ্য সমাজের সংস্পর্শে আসায় এই কৃষিতে নিযুক্ত অধিবাসীদের সচেতনতা বৃদ্ধির দরুণ তারা কৃষি ছেড়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে । iii ) আরামপ্রিয় জীবন অরণ্যে বসবাস যেমন ঝুঁকিপূর্ণ , তেমনি বারবার বাসস্থান ত্যাগের ফলে জীবন খুব কষ্টকর হয় ; তাই এরা বর্তমানে স্থায়ী সমাজ গঠন করে । আরামপ্রিয় জীবন যাপনে অভ্যস্থ হচ্ছে । iv ) খাদ্য সংকুলান : স্থানান্তর কৃষিতে অধিবাসিদের খাদ্য সংকুলান হতো না , বর্তমান স্থায়ী কৃষিতে নিযুক্ত হওয়ায় তাদের এ সমস্যা দূর হয়েছে । v ) অরণ্য হ্রাস : অরণ্য হ্রাসের ফলে অধিবাসীদের পশুর খাদ্য , স্থান প্রভৃতির অভাব হচ্ছে । vi ) সরকারী প্রচেষ্টা  ঃ বর্তমানে অনেক দেশের সরকার এ কৃষিতে নিযুক্ত অধিবাসীদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন দিয়ে এ কাজে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছে । যেমন — ভারত প্রচুর স্থানান্তর কৃষিতে নিযুক্ত অধিবাসীদের স্থায়ীভাবে বসবাসের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে । অর্থনৈতিক ভূগোল ১৮৩ পান কালচার । উদাহরণ : জাপান মুক্তা চাষে বিশ্বে প্রথম স্থান দখল করে । তবে চান এবং কোরিয়াও মুক্তা চাষে প্রভূত উন্নতি করেছে । ঝিনুক থেকে মুক্ত , সংগ্রহ করাকে পার্ল কালচার বা মুক্তার চাষ বলে । সমুদ্রের অগভীর উপকূল । অঞ্চলে মুক্তা প্রজননকারী ঝিনুকের চাষ করা হয় ।

19. আন্তঃকৃষি বা ইন্টার কালচার কী ?

Ans: জমিতে জনসংখ্যার চাপ বেশি হলে সেখানে নিবিড় কৃষি ব্যবস্থা গড়ে ওঠে । তাই এরুপ কুবিতে জমিকে সারা বৎসরের কোন সময়ই শসাহীন অবস্থায় না রেখে কোন না কোন ফসল চাষ করা হয় । এরূপ কবি পদ্ধতিতে কয়েক রকম ফসল যেগুলোর পরিণতি প্রাপ্তির সময় বিভিন্ন , সেইগুলোকে একই জমিতে বিভিন্ন সারিতে পর্যায়ক্রমে লাগানো হয় । এরূপ কৃষি পদ্ধতিকে ইন্টার কালচার বলে । জাপানের কোয়েন্টা সমভূমি , চীনের ইয়াং – সি – কিয়াং ব – দ্বীপ , দক্ষিণ – পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশে এই কৃষিপ্রণালী দেখা যায় ।

20. ওলেরী কালচার কী ?

Ans: যখন বাজারকেন্দ্রিক কৃষিব্যবস্থায় সারা বছর ধরে বিভিন্ন শাক – সব্জীর চাষ করা হয় তখন তাকে গুলেরী কালচার বলে । ফুলকপি , বাঁধাকপি , টমাটো , কুমড়ো সহ বিভিন্ন সব্জীর চাষ হয় । ভারত , নেদারল্যান্ড , ফ্রান্স , জার্মানী ওলেরী কালচারে উন্নতি লাভ করেছে ।

21. পোমাম কালচার কী ?

Ans: যখন বাজার নির্ভর কৃষিব্যবস্থায় অসময়ের ফল সারা বছর ধরে চাষ করা হয় তাকে পোমাম কালচার বলে । এইরূপ কৃষিতে আপেল , স্ট্রবেরী , কমলালেবু , নাশপাতি , আঙুর , পেয়ারা , পেঁপে , কলা , আম , চেরি , পিচ , খেজুর প্রভৃতি ফলের চাষ করা হয় । স্পেন , গ্রীস , বসনিয়া , নেদারল্যান্ড , কানাডা এই কৃষিতে খুবই উন্নত ।

22. ফ্লোরি কালচার কী ?

Ans: বাজারে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ফুলচাষকে কেন্দ্র করে যে বাজারভিত্তিক উদ্যানকৃষি ব্যবস্থা গড়ে ওঠে তাকে ফ্লোরি কালচার বলে । ফ্লোরি কালচারে সারা বৎসর ধরে অসময়ের ফুল — গাঁদা , গোলাপ , টিউলিপ , রজনীগন্ধা , সূর্যমুখী , চন্দ্রমল্লিকা প্রভৃতির চাষ হয় । নেদারল্যান্ড , যুক্তরাজ্য , ইতালী , ফ্রান্স প্রভৃতি দেশ এমনকী ভারতেও ফ্লোরি কালচার গড়ে উঠেছে ।

মেমরী প্লাস : ভার্মিকালচার : কেঁচো দ্বারা প্রস্তুত সারকে ভার্মিকালচার বলে । ভ্যালোরাইজেশান : আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কফির মূল্য নির্ধারণ করার পদ্ধতিকে ভ্যালোরাইজেশান বলে । ব্রাজিলে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় । ভারনালাইজেশান  ঃ অতি অল্প সময়ে দ্রুত বর্ধনশীল চারাগাছ তৈরীর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিকে ভারনালাইজেশান বলে । মেরু অঞ্চলে এই পদ্ধতি অনুসৃত হয় । ভ্যালকানাইজেশানঃ তরল রবারের সাথে 2 % -3 % গন্ধক মিশিয়ে 150 % উন্নতায় উত্তপ্ত করে প্রস্তুত রবার তাপ ও চাপ সহ্যকারী রবারকে ভ্যালকানাইজেশান বলে ।

23. সেচন কৃষি কী ? ( IRRIGATION FARMING ) 

Ans: বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় কম ও অনিশ্চিত হলে গভীর ও অগভীর নলকূপ , নদীতে বাঁধ দিয়ে জমিতে জলসেচের সাহায্যে যখন কৃষিকাজ সম্পন্ন হয় , তখন তাকে সেচন কৃষি বলে । বৈশিষ্ট্য : i ) সারা বৎসর সেচের সাহায্যে বহুফসলী কৃষিব্যবস্থা অবলম্বন করা হয় । ii ) এই কৃষি ব্যয়বহুল বলে খাদ্যফসল অপেক্ষা অর্থকরী ফসল চাষ অধিক হয় । অবস্থান : ভারত – পাকিস্তানের গঙ্গা – সিন্ধু সমভূমি ; চীনের হোয়াৎ হো অববাহিকা ; আমেরিকা , মিসিসিপি – মিসৌরী অববাহিকা ও মিশরের নীলনদ অববাহিকা ।

23. সেচন কৃষির অসুবিধা কী ?

Ans: 1 . বিস্তৃত এলাকা সেচন কৃষি গড়ে তুলতে বিস্তৃত এলাকা প্রয়োজন । 2 . পুনর্বাসন সমস্যা : নদীতে বাঁধ দিয়ে সেচ প্রকল্প স্থাপনে জলডুবি মানুষদের পুনর্বাসনের প্রচুর অর্থ প্রয়োজন ।। 3 . মৃত্তিকা অবনমন অধিক জলসেচের ফলে মৃত্তিকা লবণাক্ত ও অনুর্বর হয়ে পড়ে । প্রচুর পরিমাণে মৃত্তিকা ক্ষয় দেখা যায় । 4 . মৃত্তিকা ক্ষয় 5 . কৃষকের আর্থিক ক্ষতি বাজারে ফসলের যোগান বেশি হলে কৃষক তার ফসলের ন্যায্য মূল পায় না ।

24. ট্রাক ফার্মিং কী ?

Ans: যে বাজারনির্ভর কৃষি ব্যবস্থায় বাজারে বিক্রয়ের জন্য সারা বছর ধরে অসময়ের ফুল , ফল , শক্তি প্রভৃতির চাষ করা হয় , তখন ঐরূপ কৃষিকার্যকে ট্রাক ফার্মিং বলে । বৈশিষ্ট্য : i ) এতে সংগঠিতভাবে একটি বা দুটি কৃষিজ পণ্যের ব্যাপকভাবে চাষ করা হয় । ii ) এতে সুষম পরিকাঠামো , প্রগাঢ় মূলধন , দক্ষ ও নিপুণ শ্রমিক প্রয়োজন । যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য প্রভৃতি দেশে ট্রাক ফার্মিং ব্যাপক মাত্রায় দেখা যায় ।

25. স্থানান্তর কৃষির বাস্তুতান্ত্রিক ক্ষতিকর দিক কী ?

Ans: বিশ্বের আদিম জনজাতিরা জঙ্গল কেটে ও পুড়িয়ে কৃষিজমি তৈরী করে । এরূপ কৃষি ব্যবস্থার বাস্তুতান্ত্রিক দিকগুলি হল ( i ) শুষ্ক ঋতুতে পরিস্কার জমিতে আগুন প্রয়োগে আশেপাশের বহু উদ্ভিদ বিনষ্ট হয় । ফলে বাস্তুতন্ত্রে ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় । ( ii ) বনজ সম্পদের ব্যাপক হ্রাস ঘটে । ( iii ) মাটির জলধারণ ক্ষমতা কমে । ( iv ) মৃত্তিকার ক্ষয় বৃদ্ধির ফলে বন্যার ভয়াবহতা বাড়ে ।

26. আর্দ্র কৃষি কী ? ( WET FARMING ) 

Ans: নিয়মিত ও পর্যাপ্ত বৃষ্টির জলে যে কৃষিকার্য হয় , তাকে আর্দ্র কৃষি বলে ।

বৈশিষ্ট্য : i ) বৃষ্টির জলে হয় বলে একে খারিফ ফসলও বলে । ii ) এরূপ কৃষি জলসেচ ছাড়াই সম্পন্ন হয় । iii ) উত্তর গোলার্ধে জুন ও দক্ষিণ গোলার্ধে ডিসেম্বর মাসে এর চাষ শুরু হয় । প্রধান ফসল : ধান এই কৃষির অন্যতম ফসল ; ভুট্টা , ইক্ষু , তুলাও চাষ হয় । অবস্থান : শ্রীলঙ্কা , মায়ানমার , ভিয়েতনাম , ইন্দোনেশিয়া , মেক্সিকো ও ব্রাজিলের পূর্বে এই কৃষি দেখা যায় ।

27. শুষ্ক কৃষি কী ? ( DRY FARMING ) 

Ans: শুষ্ক জলবায়ু অঞ্চলে যেখানে বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাত 50 সেমি – র কম ; জলসেচের সুবিধা নেই ও প্রচণ্ড খরা সহ্যকারী যে ফসল চাষ করা হয় তাকে শুষ্ক কৃষি বলে । অবস্থান : মধ্য এশিয়ার কিরঘিজস্তান , কাজাকাস্তান ; মধ্যপ্রাচ্যের ইজরায়েল , সিরিয়া , লেবানন , অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমভাগ ; ভারতের উত্তর – পশ্চিম ও দক্ষিণ আফ্রিকার দক্ষিণ অংশে এই কৃষি দেখা যায় ।

28. শুষ্ক কৃষির বৈশিষ্ট্য কী ?

Ans: 1 . কম জল ব্যবহার : বিজ্ঞানসম্মত ( ক্যারেজ ) প্রক্রিয়ায় সুনিয়ন্ত্রিতভাবে কম বৃষ্টিপাতেও কৃষিকার্য করা হয় । 2 . মালচিং বাষ্পীভবন রোধ ও আর্দ্রতা সংরক্ষণের জন্য জমিকে সুক্ষ্ম ধূলিকণা ও পাতার আবরণ দেওয়া হয় । 3 . জলের অপচয় রোধ : সামান্য জলও যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার 4 . 5 . জলের বহির্গমন রোধ জলের বহির্গমন রোধ করার জন্য জমিতে ধাপ , বাঁধ নির্মাণ করা হয় । বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি : গভীরভাবে কর্ষিত জমি , শস্যাবর্তন , মরুজাতীয় শস্য চাষ ও প্লাস্টিক চাদর দিয়ে আর্দ্রতা রক্ষা করা হয় ।

29. দৌ – ফসলী কৃষি কী ? ( DOUBLE CROP CULTIVATION / DUOCULTURE ) 

Ans: যখন কোন অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশে , বিশেষত জলসেচের ব্যবস্থা করে একই জমিতে দুটি ফসল উৎপাদন করা হয় । তাকে দো – ফসলী কৃষি বা ডুয়োকালচার বলে । ভারতীয় উপমহাদেশে বর্ষার প্রারম্ভে ‘ খরিফ ‘ ও শীতের গোড়ায় ‘ রবি ‘ চাষকে একত্রে দো – ফসলী কৃষি বলে । বৈশিষ্ট্য : i ) বছরে দুটি ভিন্ন ঋতু চক্রাকারে আসা – যাওয়া করে । ii ) এই কৃষি ব্যবস্থায় ক্ষতির আশঙ্কা কম থাকে ।

30.  বহুফসলী কৃষি কী ? ( MULTIPLE CROP CULTIVATION / OLIGOCULTURE ) । 

Ans: যখন কোন একটি জমিতে বছরে দুই বা তার বেশিবার ও বিভিন্ন ফসল চাষ করা হয় তখন ঐরূপ কৃষি ব্যবস্থাকে বহুফসলী কৃষি বলে । বৈশিষ্ট্য : i ) বহুসলী উৎপাদন কয়েক বার ও বিভিন্ন ফসল উৎপন্ন হয় । ii ) উৎপাদন— এরুপ কৃষিতে হেক্টর প্রতি উৎপাদন বেশি হয় । অবস্থান : ভারতের পাঞ্জাব , হরিয়ানা , চীনের হোয়াং হো উপত্যকা ও জাপানের কোয়েন্টা সমভূমি ।

31. দক্ষিণ এশিয়াতে বাণিজ্যিক কৃষি হিসাবে অধিক পরিমাণে ধান চাষের কারণ কী ? 

Ans: দক্ষিণ এশিয়াতে ধান চাষের অনুকূল পরিবেশগুলি হল i ) অনুকূল জলবায়ু : ক্রান্তীয় মৌসুমী অঞ্চলে অবস্থিত বলে ধান চাষের জন্য পরিমিত উন্নতা 24 ° -28 ° সে . ও বৃষ্টিপাত অনুকূল 100-200 সেমি হয়ে থাকে । ii ) উর্বর পলিমাটি : নদী অববাহিকাগুলোর উর্বর পলিমাটি ধান চাষের সহায়ক হয়েছে । iii ) সেচের সুব্যবস্থা : এখানে সেচের সুব্যবস্থা থাকায় তৃত্স্নার্ত ফসল ধানের ফলন অধিক হয় । iv ) শ্রমিক প্রাপ্তি : অঞ্চলটি বিশ্বের অন্যতম প্রধান ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় প্রচুর সুলভ শ্রমিক পাওয়া যায় । v ) এছাড়া ধানের গবেষণাকেন্দ্র স্থাপন , অধিক চাহিদা ও আধুনিক কৃষিব্যবস্থায় ধান চাষ অধিক হয় ।

32. উদ্যান কৃষি কী ? ( HORTICULTURE ) 

Ans: নানান আয়তনের উদ্যানে যে কৃষিতে অত্যন্ত আধুনিক পদ্ধতিতে সারা বছর ধরে ফল , ফুল , শাক – সব্জী কেবলমাত্র বাজারকে লক্ষ্য করে চাষ করা হয় , তাকে উদ্যান কৃষি বলে । বৈশিষ্ট্য : ( i ) বাণিজ্য নির্ভর কৃষি ; ( ii ) মাঝারি কৃষি জোত ; ( iii ) দক্ষ ও নিপুণ শ্রমিক ; ( iv ) প্রচুর মূলধন ; ( v ) উন্নত পরিবহন ; ( vi ) অর্থকরী ফসল । Horticulture শব্দটি ল্যাটিন শব্দ ‘ Hortus ‘ বা উদ্যান ও ‘ Culture ‘ বা কৃষি থেকে এসেছে ।

33. জীবিকাসত্তাভিত্তিক কৃষি বা স্বয়ংসম্পূর্ণ কৃষি কী ? 

Ans: কেবলমাত্র নিজেদের ভোগের উদ্দেশ্যে ও স্থানীয় প্রয়োজনে ও জীবিকা নির্বাহের জন্য যে কৃষিকায় হয় , তাকে জীবিকাসত্তাভিত্তিক কৃষি বলে । এতে কোনরূপ ফসল উদ্বৃত্ত থাকে না : এরুপ কৃষিতে কৃষিভিত্তিক গ্রামগুলো তাদের প্রয়োজনীয় কৃষিজ পণ্য ঐসব থেকেই উৎপন্ন করে নিজেদের চাহিদা মেটায় ; অন্যের উপর নির্ভর করতে হয় না । তাই এরুপ কৃষিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ কৃষি বলে । যে সকল দুর্গম পার্বত্য বনাঞ্চল পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন , পরিবহন ব্যবস্থা নেই ; সাংস্কৃতিক বিনিময় নেই সেখানে এরুপ কৃষিব্যবস্থা এখনো প্রচলিত আছে । যেমন — হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে এরূপ কৃষিপ্রণালী দেখা যায় ।

34. জলচায় বা অ্যাকোয়া কালচার । 

Ans: যখন সমুদ্রের লবণাক্ত অথবা স্থলভাগের মিষ্টি জলকে পরিশ্রুত করে জলের মধ্যেই বিভিন্ন খাদ্য চাষ বা কৃষিকাজ করা হয় ; তাকে অ্যাকোয়া কালচার বলে । সুবিধা : i ) জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির সাথে সাথে খাদ্য উৎপাদনও বজায় রাখা সম্ভব । ii ) মানুষের সাথে সাথে পশুখাদ্যের ও মৎস্যের খাদ্যের যোগান পাওয়া যায় । অসুবিধা : i ) সামুদ্রিক নোনা জলে খাদ্যগুণ সঠিক থাকে না । ii ) প্রাচীন কৃষিপদ্ধতি হলেও বিশ্বের সব দেশে এখনো প্রচলন হয়নি ।

35. ডানালাইজেশান কী ? 

Ans: প্রধানত শীতপ্রধান দেশসমূহে যখন দ্রুত ফসল পাবার উদ্দেশ্যে বিশেষ বিজ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তিতে চারা ও বীজ কার্যকর করা হয় , এই পদ্ধতিকে ভার্নালাইজেশান বলে । উদাহরণসহ ব্যাখ্যা : মেরু অঞ্চলে প্রায় 9 মাস শীতকাল থাকায় মৃত্তিকাস্তর বরফে ঢাকা থাকে । তাই সেই সময় ফসল চাষ করা সম্ভব হয় না । কিন্তু যে 3-4 মাস গ্রীষ্মকাল থাকে তখন বীজকে ও চারাকে বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে দ্রুত বর্ধনশীল কৃষিকাজ করা হয় । ফলে কম সময়ে সুষ্ঠু ফসল পাওয়া সম্ভব ।

36. সিনভি কালচার কী ?

Ans: যখন দ্রুত বৃদ্ধি পায় এমন বৃক্ষ কোন বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে রোপণ করা হয় ; তাকে সিলভি কালচার বলে । বৈশিষ্ট্য : ( i ) বৃক্ষগুলি একসাথে বৃদ্ধি পায় ; ( ii ) পাশাপাশি একই বৃক্ষের সমাবেশ থাকে । অনুসৃত অঞ্চল : কানাডা ( মন্টানা – কুইবেক ) , ফিনল্যান্ড , নরওয়ে ইত্যাদি দেশে কাগজ শিল্পের উপযোগী কাষ্ঠ চাষ করা হয় ।

37. বিন্দু কৃষি কী ? 

Ans: শুষ্ক কৃষি ব্যবস্থায় কৃষিজমিতে প্রয়োজনের তুলনায় জলের অভাব দেখা যায় । তাই জলসেচ করার জন্য খুবই সতর্কতার সাথে রবারের নলের মধ্যে ফুটো করে শস্যের গোড়ায় বিন্দু বিন্দু জলসেচ করা । হয় ; এরূপ পদ্ধতি জলের অপচয় রোধ করাও সম্ভব হয় । এই পদ্ধতিতে কৃষিকার্যকে বিন্দু কৃষি বলে । ইস্রায়েলে বিন্দুকৃষি পদ্ধতিতে শস্য উৎপাদন করা হয়ে থাকে ।

38. বাগান রাজ্য কী ? 

Ans: অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ – পূর্বে অবস্থিত তাসমানিয়া ; এখানে বাণিজ্যিক আকারে উদ্যান কৃষি ব্যাপকভাবে গড়ে উঠেছে । দ্বীপের প্রায় সর্বত্রই প্রচুর ফলের বাগান দেখা যায় । এখানে প্রচুর পরিমাণে আগে নাশপাতি সহ বিভিন্ন ফলের চাষ করা হয় । তাই তাসমানিয়াকে বাগান রাজ্য বলে ।

39. ফলের ঝুড়ি কী ?

Ans: ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বিভিন্ন দেশ যেমন- ফ্রান্স , ইতালি , গ্রীস , স্পেন , তুরস্ক , মরক্কো প্রভৃতি দেশে প্রচুর ফল চাষ হয় । এখানে ব্যাপকভাবে আঙুর , কমলালেবু , জলপাই , ডুমুর , আখরোট , পীচ , খুবানী প্রভৃতি ফল চাষ হয় । তাই এই অঞ্চলকে ফলের রাজ্য বা ফলের ঝুড়ি বলে ।

40. সাহারা ও দক্ষিণ – পশ্চিম এশিয়াতে সীমাবন্দ খেজুর চাষ । 

Ans: সাহারা মরুভূমির মিশর , সুদান প্রভৃতি ও দক্ষিণ – পশ্চিম এশিয়ার ইরাক , ইরান , সৌদি আরব , আফগানিস্তান প্রভৃতি স্থানে প্রচুর খেজুর উৎপাদন হয় ; খেজুর চাষের অনুকূল পরিবেশ । এখানে থাকার ফলে খেজুরের উৎপাদন অধিক হয় । এই অনুকূল অবস্থা হল ( 1 ) খেজুর গাছের জন্য প্রচুর উন্নতা এখানে থাকে । ii ) এখানে মেঘশূনা রৌদ্রকরোজ্জ্বল আকাশ খেজুরের অনুকূল পরিবেশ । iii ) বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম । iv ) অন্যান্য ফসল চাষের অন্তরায় খেজুর চাষে প্রবণতা অধিক হয় ।

41. চা পাতা তোলার ক্ষেত্রে নিযুক্ত মহিলা শ্রমিক । 

Ans: চা বাগানগুলোতে বিশেষত চা পাতা তোলার ক্ষেত্রে অধিক মাত্রায় মহিলা শ্রমিক নিয়োগ করা হয় । কারণ হল i ) কাজটি একঘেয়ে প্রকৃতির ; মেয়েরা একে মানিয়ে নিতে অধিক পারঙ্গম । ii ) পাতা তোলাতে অধিক ধৈর্যের দরকার ; মেয়েরা অধিক ধৈর্যশীলা হয় । iii ) দুটি পাতা ও একটি কুঁড়ি তুললে চা গাছ ভালো থাকে ও অধিক চা পাতা বের হয় ; মেয়েদের সরু আঙুল এ কাজে দক্ষতা ও নিপুণতার কাজ করে । ( iv ) অধিক শ্রমিক নিয়োগ করতে হয় বলে সুলভ শ্রমিক দরকার ; মহিলা শ্রমিকের মজুরী তুলনামূলক কম বলে মহিলা শ্রমিক বেশি নিয়োগ করা হয় ।

42. কৃষিভূমি সংরক্ষণ কী ?

Ans: অধিক জনবৃদ্ধির জন্য শিল্পায়ন , নগরায়ন , পরিবহন , বসতির জন্য কৃষি ভূমি সংকুচিত হচ্ছে , তাই কৃষিজমি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অধিক । পদ্ধতিগুলো হল ( ক ) পরিকল্পিতভাবে ভূমি কৃষি ব্যবহার ও পরিকল্পনা । ( খ ) নিচু জমি ভরাট করে জমিতে রূপান্তরিত করা । ( গ ) পতিত ও অব্যবহৃত জমির পুনরুদ্ধার করে কৃষি জমিতে রূপান্তর করা । ( ঘ ) শিল্প স্থাপনে কৃষি অযোগ্য রুক্ষ , অনুর্বর , বন্ধ্যা জমিকে অধিগ্রহণ করে শিল্প স্থাপন । ( ঙ ) মৃত্তিকা ক্ষয় রোধ ও নদীভাঙ্গন রোধ করে কৃষিভূমি সংরক্ষণ করতে হবে ।

43. 15 ⁰ উত্তর -15 ° দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ কোকো চাষ ।

Ans: বিশ্বের অধিকাংশ কোকো চাষ 15 ° উত্তর -15 ° দক্ষিণ অক্ষাংশের আইভরি , ঘানা , নাইজেরিয়া প্রভৃতি দশের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে হয়ে থাকে । কারণ— 1 . কোকো গাছের ফল কাণ্ডে , ডালে অত্যন্ত অনিশ্চিতভাবে ঝুলে থাকে ; এখানে বায়ু উপর – নিচে উল্লম্বভাবে উঠানামা করে । বায়ুপ্রবাহ প্রায় দেখাই যায় না ; তীব্র বায়ুপ্রবাহ না থাকার ফলে এখানে কোকো চাষ অধিক হয় । 2 . কোকো চাষের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত ( 200-250 ) দরকার ; নিরক্ষীয় অঞ্চলে অবস্থানের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত কোকো চাষের সহায়ক হয়েছে । 3 . উয় – আর্দ্র অঞ্চলে অবস্থানের জন্য কোকো চাষে প্রয়োজনীয় প্রচুর উন্নতা ( 25 ° -32 ° ) পাওয়া যায় । 4 . ঝড় – ঝঞ্ঝা প্রভৃতির প্রকোপ কম বলে কোকোর উৎপাদন অধিক হয় ।

44. ভারতে কৃষির উন্নয়নের জন্য ব্যবস্থা । 

Ans: সাম্প্রতিক কালে ভারতে কৃষি উন্নয়নের জন্য গৃহীত ব্যবস্থা হল : ( ক ) রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা ( RKVY ) গৃহীত হয় ও তাতে বরাদ্দকৃত অর্থ বাড়ানো হয় । ( খ ) কৃষকদের কম সুদে ( 7 % এর কম ) ঋণ দেওয়া হয় । এই খাতে 325000 কোটি টাকা বরাহ করা হয় ( 2009 বাজেট ) ( গ ) হর্টিকালচার , বাগিচা , পশুপালন ও মৎস্যচাষে গুরুত্ব দেওয়া হয় , এ খাতে 4100 কোটি টাক বরাদ্দ করা হয় 2009 বাজেটে । ( ঘ ) AIRP এর দ্বারা সেচের সম্প্রসারণের জন্য 9 টি বড় সেচ প্রকল্প করা হবে যাতে 1000 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় । ( ঙ ) কৃষকদের ঋণ মুকুবের কথা বলা হয় , এর দ্বারা 71000 কোটি টাকা ঋণ মুকুব দ্বারা কোটি কোটি কৃষক উপকৃত হয় । ( চ ) খাদ্য ফসল , সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার স্থাপনের কর্মসূচী গ্রহণ করা হয় । ( ছ ) কৃষকদের উচ্চফলনশীল বীজ সরবরাহের জন্য মিনি কিট প্রদান করা হয় ও সারে ভরতুকি প্রদানের কথা বলা হয় ।

45. কৃষিকাজে বাণিজ্যিকীকরণের কারণ কী ?

Ans: কৃষি প্রাথমিক ক্রিয়াকলাপের সাথে যুক্ত হলেও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটের কারণে কৃষিকাজে বাণিজ্যিকীকরণের প্রভাব ঘটেছে । ( i ) বিনিময় প্রথা  ঃ বর্তমানে উদ্বৃত্ত ফসল বাজারে বিনিময় করার সাথে সাথে কৃষিতে বাণিজ্যের সূত্রপাত হয় । ( ii ) জমির আয়তনঃ জমির আয়তন ও পরিমাণ বেশী হলে ভোগের থেকে উদ্বৃত্ত ফসল বেশী হয় । ফলে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য গড়ে ওঠে । ( iii ) জীবনের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন : স্বচ্ছল জীবনের প্রতি মানুষের আকাঙ্ক্ষা বাড়ার ফলে কৃষিও এক উন্নয়নমুখী বাণিজ্যিক অর্থনৈতিক কাজে রূপ পেয়েছে । ( iv ) সরকারী নীতি  ঃ সরকার দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধির জন্য কৃষির বাণিজ্যিকীকরণের সহায়তা হয় ।

46. সর্বোচ্চ সুস্থায়ী ফলন কী ?

Ans: পরিবেশের সাথে বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক বজায় রেখে উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যার দ্বারা যেকোন উৎপাদন ব্যবস্থায় যেকোন স্তরে একক প্রতি উৎপাদন সর্বোচ্চ হলে তাকে সর্বোচ্চ সুস্থায়ী ফলন বলে । এক্ষেত্রে উৎপাদন কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কাজকর্মের সাথে পরিবেশের সম্পর্ক নিবিড় । যথাসম্ভব অপচয় বন্ধ করা , উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যার দ্বারা বিজ্ঞানসম্মতভাবে দ্রব্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করা এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য ।

মেমরী প্লাস : ভারতীয় কৃষির সঙ্কট . ভারতীয় কৃষি সবুজ বিপ্লবের হাত ধরে যে অভূতপূর্ব সাঁফল্য পেয়েছিল , তার সুফল আজ অনেকটাই স্থিমিত । ভারতীয় কৃষি ও কৃষকের আজ বড়ই দুঃসময় । বিশ্বে যারা অন্নদাতার ভূমিকা পালন করেছিল তারাই দেশ থেকে দেশান্তরে খাদ্যের জন্য দাঙ্গা করছে । বস্তুত এক সর্বাঙ্গীণ অবক্ষয়ের চিহ্ন স্পষ্ট হয়ে উঠছে আজ ভারতের কৃষিক্ষেত্রে । আর আজ এটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট যে ভারতীয় কৃষি আজ সত্যসত্যই অলাভজনক ব্যবসা । আর এরই প্রতিফলন ঘটিয়ে রাজ্য অসহায় । ঋণ জর্জরিত কৃষকেরা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছে । 2001 থেকে 2006 সাল পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশ , কর্ণাটক , কেরালা ও মহারাষ্ট্র মাত্র এই চারটি রাজ্যের 8900 হতভাগ্য কৃষক তাদের একদা সোনার জমির মায়া কাটাতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন ।

FILE INFO : কৃষিকাজ – Agriculture | অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Economic Geography – Geography)

File Details:

PDF Name : কৃষিকাজ – Agriculture | অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল প্রশ্নোত্তর (Economic Geography – Geography)

Price : FREE

Download Link : Click Here To Download

INFO : Geography – Economic Geography – Question and Answer | ভূগোল – অর্থনৈতিক ভূগোল – কৃষিকাজ (Agriculture) প্রশ্নোত্তর

” ভূগোল (Geography) – অর্থনৈতিক ভূগোল (Economic Geography) – কৃষিকাজ – Agriculture “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক বিভিন্ন শ্রেনীর পরীক্ষা (Class 5, 6, 7, 8, 9,  Madhyamik, Class 11, Higher Secondary – HS, College & University Exam) এবং বিভিন্ন চাকরির (WBCS, WBSSC) পরীক্ষায় এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে BhugolShiksha.com এর পক্ষ থেকে ভূগোল পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নো ও উত্তর উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস  ভূগোল (Geography) অর্থনৈতিক ভূগোল (Economic Geography) – কৃষিকাজ – Agriculture / কৃষিকাজ সংক্ষিপ্ত ছোট প্রশ্ন ও উত্তর / কৃষিকাজ (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Agriculture (Economic Geography – Geography)  SAQ / Short Question and Answer / কৃষিকাজ (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Agriculture (Economic Geography – Geography) Quiz / কৃষিকাজ (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Agriculture (Economic Geography – Geography) QNA / কৃষিকাজ (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Agriculture (Economic Geography – Geography) Question and Answer FREE PDF Download ) পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর সফল হবে।

কৃষিকাজ (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Agriculture (Economic Geography – Geography) Question and Answer in Bengali

স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ডিজিটাল মাধ্যম BhugolShiksha.com । এর প্রধান উদ্দেশ্য পঞ্চম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী, মাধ্যমিকউচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত বিষয় এবং গ্রাজুয়েশনের শুধুমাত্র ভূগোল বিষয়কে  সহজ বাংলা ভাষায় আলোচনার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে সহজ করে তোলা।

কৃষিকাজ (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Agriculture (Economic Geography – Geography)

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” কৃষিকাজ (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন ও উত্তর | Agriculture (Economic Geography – Geography) ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই আমাদের ভূগোল শিক্ষা – Bhugol Shiksha – BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। ভূগোল বিষয়ে যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইটটি ফলাে করুন এবং নিজেকে ভৌগোলিক  তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন , ধন্যবাদ।